নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগিং মানুষের ধারণাকে রিফাইন করে কিনা, বদলায়ে দেয় কিনা?

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯



হ্যাঁ, ব্লগিং করার ফলে আধুনিক ভাবনার মানুষদের ভাবনা রিফাইন হয়, অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরিও বদলায়; তবে, যারা কোন বিষয়ে কম জেনে, ভুল ধারণাকে 'মাইন্ডসেট' হিসেবে নিয়েছেন, তাঁদের ধারণা কখনো রিফাইন হবে না সহজে। আমি ব্লগে হিটলারকে 'হিরো হিসেবে' তুলে-ধরা এক ব্লগারকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম; উনি পরে নিজেই নিজের উপর হতবাক হয়েছেন; উনার পোষ্টে আসা মন্তব্য উনাকে ভাবিয়ে তুলেছিলো, হিটলার সম্পর্কে উনার ধারণা বদলায়েছে। এটি কি ব্যতিক্রম ছিলো? না, ঠিক পুরোপুরি ব্যতিক্রম নয়; ব্লগে যারা একা হিটলারের পুরো বিশ্বের বিপক্ষে যুদ্ধে যাওয়াকে বীরত্ব মনে করতেন, তারা আসলে ইতিহাস ও বিশেষ করে ২য় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক, সামাজিক, মানবিক, অর্থনৈতিক দিকগুলো সঠিভাবে জানতেন না; কিন্তু ব্লগে এসব বিষয় বারবার আলোচনার ফলে, অনেকেই সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

ব্লগে, এক সময় জেনারেল জিয়ার বিশালত্ব নিয়ে শতশত পোষ্ট আসতো, আজো আসে, সামনের দিন গুলোতে আসবে; কিন্তু জেনারেল জিয়ার ব্যাপারে আগের মতো উৎসাহ এখন আর নেই। আগে যাঁরা জেনারেল জিয়াকে বীর হিসেবে তুলে ধরে চেষ্টা করতেন, তাঁদের বেশীর ভাগেরই সামরিক সরকারগুলোর কুপ্রভাব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। যেমন ধরুণ, যারা জিয়ার মাঝে অনেকগুলো গুণ দেখতেন, সেগুলোর তুলনায় দেশের মানুষের সার্বিক অবস্হাকে তারা অনুধাবন করতেন না। একই লোক যিনি জেনারেল জিয়াকে বাহবা দিতেন, তিনি কিন্তু ইয়াহিয়া খানকে ও বার্মার সামরিক সরকারকে পছন্দ করতেন না। জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার ও বার্মার সামরিক জান্তার সরকারের মাঝে পার্থক্য কি ছিলো? আসলে, কোন পার্থক্য ছিলো না।

এবারের করোনার শুরুর দিকের পোষ্টগুলোতে যেভাবে ইহাকে আল্লাহের গজব ও বান্দাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে বলা হচ্ছিল, উহার তীব্রতা ৪ মাসেই বেশ কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। ব্লগে ৪ মাসে করোনার উপর এত বেশী সায়েন্টিফিক, মেডিক্যাল, সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক পোষ্ট এসেছে যে, গজব মজব পেছনের সারিতে চলে গেছে, ব্লগারদের ধারণা অনেকটা রিফাইন হয়েছে।

বাংলা ব্লগে, একটা বিষয়ের উপর ব্লগারদের ধারণা খুব ধীর গতিতে বদলাচ্ছে, সেটা হলো ধর্মীয় বিষয়। আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও ব্লগে প্রচুর পোষ্ট আসতো, যেখানে বলা হতো যে, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ, এখানে ইসলামিক শাসনতন্ত্র আসবে না কেন! যারা এই অদ্ভুত ধরণের ধারণা নিয়ে এই ধরণের পোষ্ট টোষ্ট দিতেন, আমি তাঁদের লেখা ই্ত্যাদি অনুসরণ করে দেখছি, এরা দেশের শাসনতন্ত্র, আইন, পার্লামেন্ট, সরকার, ইত্যাদি নিয়ে খুব একটা পরিস্কার ধারণা রাখতেন না। যাক, উহা কিছুটা কমে এসেছে, এটা ভালো ব্লগিং'এর ভালো দিক।

মন্তব্য ১০০ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১০০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আপনি সত্য বলেছেন, "যারা কোন বিষয়ে কম জেনে, ভুল ধারণাকে 'মাইন্ডসেট' হিসেবে নিয়েছেন, তাঁদের ধারণা কখনো রিফাইন হবে না সহজে।" বেশ কয়েকজন নিয়মিত ব্লগারের লেখাজোকা এবং কমেন্ট দেখলে সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকার পর, যাঁরা উহার উপর লিখেন, তাঁদেরকে নিয়ে বেশ সমস্যা।

২| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: লেখা ডাবল আসছে ।
ভাবনা পরিবর্তন করা সহজ না যদিও পরিবর্তন একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া । আমাদের দেশে যারা ইসলামী শাসন চাচ্ছে তারা ইরানি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখছিল কিন্তু ইরান তো শিয়া ।
জেনারেল জিয়ার দল পরবর্তীতে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ায় জিয়ার জনপ্রিয়তা রয়ে গেছে । স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করাও বিরাট প্লাস পয়েন্ট । জেনারেল জিয়া ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে কোর্ট মার্শালের নামে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছিলেন । দেশের ৭০ ভাগ মানুষ এইসব বিষয়ে কিছুই জানে না । সেনাবাহিনী নিজেদের স্বার্থে এইসব বিষয় জনসমক্ষে আসতে দেয় নি ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইরানীরা শিয়া, পাকীরা সুন্নী, সৌদীরা ওয়াহবী, আগা খানেরা আহযমেদীয়া, সবগুলোর সন্মিলিত গুণ হলো 'অপদার্থ'।

কোন ব্লগারকে জিয়া সম্পর্কে, বা মাদার তেরেসা সম্পর্কে ব্লগে লিখতে হলে, উনাদের সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে! কয়েক কোটী চাষী জিয়াকে বীর ভাবেন, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের ফাঁসী দেয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানেন না; এঁদের ভালো দিক হলো, এরাঁ ব্লগে লিখেন না।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




ব্লগিং মানুষের ধারণাকে অবশ্যই রিফাইন করতে কিম্বা বদলে দিতে পারে যদি কেউ সংষ্কারমুক্ত হন। ব্লগের উদ্দেশ্য মনে হয় সেটাই, ভাবের আদান প্রদান।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




সঠিক কথা।

৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জেন রসি বলেছেন: ভালো বলেছেন।

আপনার কাছেও এই প্রশ্নটাই রাখলাম। আপনি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছেন। অনেকের সাথে ভাবের আদান প্রদান করেছেন। তা আপনার ভাষায় ব্লগিং আপনার ধারণাকে রিফাইন করেছে কিনা, বা বদলায়ে দিয়েছে কিনা?

আমার করা পূর্বের মন্তব্যটি মুছে দেন।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:



হ্যাঁ, আমার কিছু কিছু ধারণাকে রিফাইন করেছে, কিছু কিছু ধারণাকে শক্তিশালী করেছে, এবং কিছু ধারাণাকে বদলায়েছে।

৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার , আপনার ধারণা ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজে বদলাতে চায় না । এরা তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই থাকতে চায়। পরিবর্তন এদেরকে খুব একটা প্রভাবিত করতে পারেনি।

বিজ্ঞান এদের কে প্রভাবিত করতে পারেনি। শিক্ষা এদেরকে প্রভাবিত করতে পারে নাই। কেবল মাত্র হুজুররাই তাদেরকে প্রভাবিত করতে পারে।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিজ্ঞান হলো মানুষের লব্ধ জ্ঞান, কিন্তু কঠিন জ্ঞান; উচ্চশিক্ষিত মানুষ ব্যতিত ইহা অন্যদের জন্য অধরা হয়ে থেকে যায়।

৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন: রিফাইন যে করে সেটার উদাহরণ করোনার বিষয়টা আপনার লেখাতেই উঠে আসছে ।
সঠিক জানার যদি আগ্রহ থাকে আর কেউ ওপেন মাইন্ডেড হয় তাহলে বদলাবে ।
এনিওয়ে, গুড টু সি ইউ ব্যাক ।

২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


একমাত্র শিক্ষিত ও ওপেন মাইন্ডেড মানুষরা নতুন ব্যাখ্যা ও আধুনিক ধারণাকে সহজেই অনুধাবন করতে সমর্থ হয়ে থাকেন।

৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি ফিরে এসেছেন তাতেই খুশী!!
আশা করি এতদিনে আপনিও রিফা্ইন
হয়েছেন। কিছুদিন নিয়মনুবর্তিতা মেনে
চলুন। দূর্বলতা কাটুক তার পর না হয়
এসব নিয়ে ভাববেন। ধকল কাটিয়ে না
উঠতেই আবার ঝুকি নেবেন না। ব্লগিং
শুভ হোক।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ।
আমি চেষ্টা করছি।

৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি এ্যামেরিকাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী বলে স্বীকার করবেন কবে?
তাহলে বুঝবো মনোজগৎ পরিশোধিত হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকা সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা নেই; আমেরিকা অনেক কমপ্লেক্স সিষ্টম অনুসরণ করে চলে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:০৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং'এর মতো আলোচনার যায়গা আর নেই বাংলাদেশে

১০| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৭

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: আপনি ফিরে এসেছেন দেখে আমি খুশি হয়েছি, তবে কখন পুরোদমে পোস্ট চালূ করবেন তাই ভাবছি। (বলার ভঙ্গিটা আপনার হতে নকল করা।)

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ব্লগিং ভালোবাসি; ফলে, সবকিছু বরাবরের মতোই হবে, আশাকরি।
করোনার সময় খুবই সতর্ক থাকুন।

১১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

জুন বলেছেন: যে কোন পড়াশোনা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা বা জ্ঞ্যান আহরন মানুষের মন ও মননকে অবশ্যই শুদ্ধ করে সেটা ব্লগিং এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য চাদগাজী। এটা আপনি ইতিহাসের অন্ধকার সময়কে চিরদিনের জন্য আমুল বদলে দেয়া রেনেসাঁর সময়ও লক্ষ্য করে থাকবেন।

আপনি ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধন্যবাদ, ফিরে আসাটা আনন্দের ব্যাপার। বাংলাদেশে আলাপ আলোচনার জন্য কোন ফোরাম নেই বললেই চলে; ব্লগই একমাত্র ভরসা।

১২| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে আসা উচিত শেখার জন্য শিখানোর জন্য না। নিজে বেশী জানি, না লক্ষ ব্লগার বেশী জানে। অবশ্যই এই লক্ষ ব্লগারের মধ্যে বহু ব্লগার আছে যারা আমার চেয়ে বেশী জানে। অহম ত্যাগ করতে হবে। যুক্তিকে মানতে হবে। ভুল হলে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে ধর্ম বিশ্বাসের গোঁড়াটা কিন্তু বিশ্বাস দিয়ে। তাই ধার্মিকের বিশ্বাসে আঘাত দেয়া যাবে না। ধর্ম খুব সংবেদনশীল জিনিস। তবে কেউ যদি ধর্মের নামে ভুয়া জিনিস উপস্থাপন করে সেটা আলাদা কথা। ধর্ম নিয়ে এরকম নোংরা কলহ পশ্চিমের কোনও ব্লগে পাবেন না। যে যার যার বিশ্বাস নিয়ে আছে। আমাদের দেশে বই পড়ে ইতিহাস পুরোটা জানা যায় না। কারণ গোএবলসিও পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যাকে সত্য বানানোর চেষ্টা চলেছে। ৫০ বছর আগের প্রকৃত ইতিহাস যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা অনেকেই জীবিত। ইতিহাস বইয়ে যেটা নাই সেটা তারা জানে কারণ তারা দেখেছে নিজের চোখে। যে সুবিধা আপনার মত অনেকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইতিহাসের বইয়ে সব কথা আসে নাই বিভিন্ন কারণে। আমাদের চেয়ে বয়সে যারা বড় তারা আমাদের চেয়ে প্রকৃত ইতিহাস বেশী জানে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে পুথিগত বিদ্যার কারণে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী হয়ে যাচ্ছে। সবাইকেই কম বেশী রিফাইন হতে হবে। কারণ ব্লগ রিফাইন হওয়ারই জায়গা। তবে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন হোল আপনি কি কিছুটা রিফাইন হয়েছেন? যদি ব্যাখ্যা করতেন।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি রিফাইন হয়েছি অনেকভাবেই; আমি হাতে কলমে বাংলাদেশে খুব অল্প সময় কাজ করেছি; দেশের মানুষের আচরণ সম্পর্কে আমার অনেক ধারণায় ভুল ছিলো, ব্লগিং আমাকে ইহাতে সাহায্য করেছে।
আমি ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিই না; যারা পোষ্ট দেন, তাদের পোষ্টে লজিক্যাল ভুল চোখে পড়লে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করি।

অন্য ব্লগারকে কিছু শেখানো মোটামুটি অসম্ভব কাজ, সহজ হলো, নিজে কিছু নতুন ধারণা পাওয়া।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার মতো আরো কয়েক জনের লিখা পড়ে আমার কিছু পরিবর্তন হয়েছে।কিছু কিছু শিখছি,তবে অনেকটা পথ চলতে হবে।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার থেকে কিছু শিখার চেষ্টা করবেন না, আমি নিজেই অনেক ব্যাপারে কনফিউজড।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫২

সুপারডুপার বলেছেন:



২০০৯ সালে ধর্মকে নিয়ে যেরকম ভাবতাম ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম ভাবি। এর পিছনে আছে ব্লগ থেকে পাওয়া তথ্যসূত্র, নিজেস্ব পড়াশোনা ও তার বাস্তবতা দেখা।

ব্লগিং মানুষের ধারণাকে তখনই রিফাইন করে যখন সে এটার বাস্তবতা দেখতে পায়। যেমনঃ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আক্রমণ না করলে, বৈজ্ঞানিক প্রমান পেলেও বহু ব্লগারই বিশ্বাস করে যেতেন করোনা আল্লাহ সুবহানাতায়ালার গজব ।

তবে কিছুজন এতো বেশি গোঁড়া যে বাস্তবতা প্রমান পেলেও মানতে চায় না। যেমনঃ অনেক ওয়াজ মাহফিলে হুজুরকে দেখছি পৃথিবী গোলাকার এটা মানতে রাজি না। কারণ কোরআনে বলা আছে পৃথিবী সমতল। একইভাবে, কিছু ব্লগার এখনো বিশ্বাস করে যাচ্ছেন "করোনা আল্লাহ সুবহানাতায়ালার গজব"।

দুঃখের বিষয় ফেইসবুকের প্রভাবে ব্লগিং হারিয়ে যেতে বসেছে। সামুকে ধন্যবাদ যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এখনো ধরে রেখেছে। সামু যতদিন এই বৈশিষ্ট্য ধরে রাখবে ততদিন বাংলা ব্লগিং সামুর হাত ধরেই টিকে থাকবে।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগিং কঠিন, বেশীরভাগ বাংগালী কোন বিষয়ের উপর সঠিভাবে ২০/২৫ লাইন লিখতে পারেন না; কিন্তু ২/৩ লাইন লিখতে পারেন অনেকেই; এই কারণে, ফেইসবুক বেশী জনপ্রিয়।

যাঁদের উচ্চ-শিক্ষা আছে, ধর্ম তাঁদের কাছে অনেকটা পরিস্কার। শিক্ষিত মানুষের অনুধাবন ক্ষমতা বেশী, তাঁরা কঠিন বিষয়কে সহজে এনালাইজ করতে পারেন।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগিং মানুষের ধ্যান ধারণা রিফাইন করে সমৃদ্ধ করে। ব্লগারের প্রথম দিকের কমেন্ট শেষের দিকে কমেন্টে পার্থক্য থেকে বিষয়টি অনুধাবন করা যায় । জানার কোন শেষ নাই । তবে সর্ব সাধারণের মেধার রেঞ্জ খুব সাদামাটা। সেগুলোর পাঠও বেশি হয়। আর তৈল মর্দনে আমরা অনেক সময় সাধারণকে অসাধারণ বলে অনেক বিদগ্ধ পণ্ডিতের হাস্য রসের খোরাক হয়ে অসার প্রমানিত হই ।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন বিষয়ে সঠিক ও সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য উচ্চ-শিক্ষা খুবই দরকারী বিষয়; দেশের সাধারণ মানুষকে অশিক্ষিত করে রাখার ফলে, মানুষ বেশীরভাগ বিষয়ে সঠিক ধারণার অধিকারী নন।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৬

নৃ মাসুদ রানা বলেছেন: আপনি সত্য বলেছেন।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং আমাদের শিক্ষিতদের সাহায্য করছে।

১৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন ব্লগার বলেছেন কোরআনে বলা হয়েছে পৃথিবী সমতল। কথাটা ঠিক না। context এর বাইরে আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গেলে এরকম মনে হতে পারে অনেক সময়। অনেক সময় আয়াতটা কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে তার উপর নির্ভর করে আয়াতের ব্যাখ্যা হয়। আয়াতের ব্যাখ্যার জন্য হাজার হাজার পাতা তফসির লেখা হয় তবেই আয়াতটা বোঝা যায়। কোরআনের কিছু আয়াত আছে যেগুলি হঠাৎ করে plain ভাবে পরলে অন্য অর্থ হবে। কোরআন সেই যুগের মানুষকে ভূগোল পড়ানোর জন্য নাজিল হয় নাই। উনি আয়াত টা উদ্ধৃত করলে এটার পূর্ণ জওয়াব দেয়া যেত। তবে আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই এইজন্য যে এই ধরনের বিতর্ক সত্য প্রকাশে সাহায্য করে ও ভুল বোঝাবুঝি কমায়। ব্লগ এই ধরনের সুস্থ জ্ঞান চর্চারই জায়গা।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ টা আয়াতের জন্য হাজার পাতা তফসীর লিখতে হয়, ১৪০০ বছর আগে, যখন ১টা আয়াত পড়তে পারার মতো লোকই ছিলো না, তারা কি বুঝেছে?

১৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

করোনা আল্লাহর কোন গজব না।
করোনা আল্লাহর সৈনিক।
আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা পাপী বান্দাদেরকে শায়েস্ত করার জন্য এদেরকে সৈনিক হিসাবে পাঠিয়েছেন।
পাপী বান্দারা সব মারা না গেলে সৈন্য প্রত্যাহার করার সম্ভাবনা খুবই কম।
এ ব্যাপারে কোন আলোচনা বা আপোষ মেনে নেয়া হবে না।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা হলো যে, ভুল ধারণার লোক সংখ্যা যদি বেশী হয়, সেই জাতি চলবে কি করে?

১৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন: ব্লগিং মানুষের ধারণাকে রিফাইন করে কিনা, বদলায়ে দেয় কিনা?


অবশ্যই করে...... :)
বহু প্রমান দেওয়া যাবে তার।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং বাংগালীদের ভালোই সাহায্য করছে।
আমাদের প্রশাসনের কিছু মানুষ ব্লগিং করলে, আমরা উপকৃত হতাম।

২০| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে ++++। আশা করব যে এতবার জেনারেল হবার পর আপনিও রিফাইন হয়েছেন। আর যেন আপনার ব্যান তুলে নেবার জন্য আমাদের পোস্ট না দিতে হয় B:-/

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ।
জেনারেল হওয়া পছন্দ করি না; চেষ্টা করবো ঐ পথ না মাড়াতে।

২১| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

সুপারডুপার বলেছেন:



@ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর,

কুরানের একটা সিঙ্গেল আয়াতও খুঁজে পাওয়া যায় না যা ইঙ্গিত দেয় যে পৃথিবী গোলাকার (spherical) বরং এটা নির্দেশ করে যে পৃথিবী সমতল (like a Carpet) (Quran 15:19, 20:53, 43:10, 50:7, 51:48, 71:19, 78:6, 79:30, 88:20, 91:6, 2:22, 18:47)



নিম্নে https://quran.com/ থেকে আয়াতগুলোর ইউসুফ আলীর ইংরেজি অনুবাদ ও মহিউদ্দিন খানের বাংলা অনুবাদ :

15:19 : সূরা হিজর আয়াত ১৯
And the earth We have spread out (like a carpet); set thereon mountains firm and immovable; and produced therein all kinds of things in due balance.
আমি ভু-পৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।

20:53 : সূরা তাহা আয়াত ৫৩
"He Who has, made for you the earth like a carpet spread out; has enabled you to go about therein by roads (and channels); and has sent down water from the sky." With it have We produced diverse pairs of plants each separate from the others.
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।

43:10:সূরা যুখরুফ আয়াত ১০
(Yea, the same that) has made for you the earth (like a carpet) spread out, and has made for you roads (and channels) therein, in order that ye may find guidance (on the way);
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পার।

50:7: সূরা ক্বাফ আয়াত ৭
And the earth- We have spread it out, and set thereon mountains standing firm, and produced therein every kind of beautiful growth (in pairs)-
আমি ভূমিকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদগত করেছি।

51:48: সূরা আয-যারিয়াত আয়াত ৪৮
And We have spread out the (spacious) earth: How excellently We do spread out!
আমি ভূমিকে বিছিয়েছি। আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।

71:19: সূরা নূহ আয়াত ১৯
"'And Allah has made the earth for you as a carpet (spread out),
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্যে ভূমিকে করেছেন বিছানা।

78:6: সূরা নাবা আয়াত ৬
Have We not made the earth as a wide expanse,
আমি কি করিনি ভূমিকে বিছানা

79:30: সূরা আন-নযিআ’ত আয়াত ৩০
And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);
পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।

88:20: সূরা আল গাশিয়াহ আয়াত ২০
And at the Earth, how it is spread out?
এবং পৃথিবীর দিকে যে, তা কিভাবে সমতল বিছানো হয়েছে?

91:6: সূরা আশ-শামস আয়াত ৬
By the Earth and its (wide) expanse:
শপথ পৃথিবীর এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন,

2:22: সূরা বাকারা আয়াত ২২
Who has made the earth your couch, and the heavens your canopy; and sent down rain from the heavens; and brought forth therewith Fruits for your sustenance; then set not up rivals unto Allah when ye know (the truth).
যে পবিত্রসত্তা তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, আর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করে তোমাদের জন্য ফল-ফসল উৎপাদন করেছেন তোমাদের খাদ্য হিসাবে। অতএব, আল্লাহর সাথে তোমরা অন্য কাকেও সমকক্ষ করো না। বস্তুতঃ এসব তোমরা জান।

18:47: সূরা কাহাফ আয়াত ৪৭
One Day We shall remove the mountains, and thou wilt see the earth as a level stretch, and We shall gather them, all together, nor shall We leave out any one of them.
যেদিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করব এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উম্মুক্ত প্রান্তর এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।



এখন আবার বলবেন না তো, আয়াতগুলো রূপক অর্থে লেখা, এর আসল ব্যাখ্যা জানেন বুজুর্গ -আলেমগণ। আর ধর্মানুভূতিশীলদের মন মত ব্যাখ্যা না দিলে ঐসব বুজুর্গ -আলেমগণ ভুল ব্যাখ্যাকারী।(কিছু উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস)

জানতে চাওয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন :-

২২| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৪

শায়মা বলেছেন: ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:২৫০

লেখক বলেছেন:



আপনাকে ধন্যবাদ।
জেনারেল হওয়া পছন্দ করি না; চেষ্টা করবো ঐ পথ না মাড়াতে।


হা হা হা হা তুমি পথ ভোলা এক পথিক ভাইয়ামনি

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, কখন কিভাবে যে, আমি জেনারেল হয়ে যাই, তা আমি ঠিক বুঝতে পারি না। এডমিন নিয়মের কথা বলেন, আমার মনে হয়, আমি নিয়মের মাঝেই আছি।

২৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: আপনি কি কি বিষয়ে কনফিউজড?

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি, রাজনীতি, ডেমোক্রেসী, সংবিধান, সরকারের কার্যক্রম, বাজেট, মানুষের আচরণ নিয়ে বেশ কনফিউজড।

২৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নবীর (সাঃ) এর যুগে সাহাবীরা সরাসরি রসুলের (সাঃ) কাছ থেকে কোরআনের আয়াতের মর্ম শেখার সুযোগ পেয়েছেন। তারা না বুঝলে কি আমরা তাদের চেয়ে ভালো বুঝব। তাদের মেধাকে ছোট করে দেখার কোনও সুযোগ নেই। বেদুইনরা শহরের বাইরে থাকত। কিন্তু সাহাবীরা মূলত শহরবাসী ছিলেন। কাজেই সাহাবী মানেই বেদুঈন এরকম মনে করা ঠিক হবে না। প্রথম দিকের সাহাবীরা বেশীর ভাগই শহরবাসী ছিলেন। অনেকে লিখতে পারতেন। কোরআনে কোনও বৈজ্ঞানিক টেকনিকাল টার্ম ব্যবহার করা হয় নাই। কোরআনের আয়াত তাদের বোঝার উপযোগী করেই নাজিল হয়েছিল। এটাকে বিজ্ঞানের বইয়ের মত নাজিল করা হয় নাই। কোরআন শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল যুগের সকল মানুষের বোঝার উপযোগী করেই আল্লাহ্‌ পাঠিয়েছেন। তবে out of context ভাবে চিন্তা করলে আয়াতের অর্থ বোঝার সমস্যা হতে পারে। শানে নুজুল বলা হয় আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট বর্ণনার জন্য। যেমন অনেকে আয়াত উদ্ধৃতি দেয় যে কোথাও হয়তো কোরআন বলেছে কাফেরদের যেখানে পাও হত্যা কর। out of context চিন্তা করলে মনে হবে যে কোরআন বলছে যে কাফের ধর আর মার। আসলে তা না। ঐ আয়াত হয়ত কোনও যুদ্ধের সময় নাজিল হয়েছে। তাই ঐ সময়ের অবস্থার প্রেক্ষিতে যে আয়াত নাজিল হয়েছে সেটাকে ঢালাওভাবে প্রচার করা হচ্ছে যে কোরআন বলেছে যে কাফেরদের ধর আর মার। এইজন্যই কোরআন বুঝে শুনে পড়তে হবে ও বুঝতে হবে। অনেক সময় একটা আয়াতকে রহিত করে আরেকটা আয়াত এসেছে। কিন্তু সমালোচকরা আগের আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে যাচ্ছে যেটা এখন আর কার্যকর না। তাই অনেক ক্ষেত্রে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী হয়ে যাচ্ছে। ব্লগে আপনি যেমন রেফাইন হয়েছেন আমার বিশ্বাস আপনি যদি প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা কোনও ভালো ইসলামি ওয়েব সাইট (english e.g http://www.islamqa) ভিজিট করেন তাহলে আপনিও ইসলামের ব্যাপারে অনেক রেফাইন হবেন বলে আমার বিশ্বাস। কারণ আপনার যুক্তি তর্ক করার ক্ষমতা আছে। আল্লাহ্‌ আমাদের ইসলামের সহি বুঝ দান করুন। আমিন।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সৌদীরা তেল না পাওয়া অবধি সেখানকার মানুষ কি পরিমাণ হতদরিদ্র ছিলো আপনি ধারণা করতে পারছেন? আমাদের ঢাকার বস্তির মানুষের কথা ভেবে দেখেন, সারাদিন ইট ভেংগে/রিকসা টেনে এসে কেহ স্হানীয় মসজিদে গিয়ে আয়াত বুঝার চেষ্টা করবেন? ১৪০০ আগে, মদীনায় কোন আয়ের পথ ছিলো না, কোন কাজ ছিলো না; খাবার যোগাড় করার জন্য মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন; কোথায় মানুষের সময় ছিলো কিছু বুঝার?

২৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগিং মাষকে রিফাইন করে এবং বদলিয়েও দেয়। তার জলজ্যান্ত প্রমান আমি।

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আমার ব্লগে" আপনাকে আমি অনুসরণ করতাম, এখনো আপনাকে অনুসরণ করছি; আপনার ভাবনায় নতুন অনেক কিছু যোগ হয়েছে।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

শায়মা বলেছেন: ২৫. ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬০

রাজীব নুর বলেছেন: ব্লগিং মাষকে রিফাইন করে এবং বদলিয়েও দেয়। তার জলজ্যান্ত প্রমান আমি।

হা হা ভাইয়া তাই নাকি!!! :P

২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি "আমার ব্লগ"এ ছিলেন?

২৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৮

সুপারডুপার বলেছেন:



@ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ,

পবিত্র আল কোরআন কিয়ামত পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হবে না। তাই যে সময়েই যে দেশের উপরেই ডাউনলোড হোক না কেন, ইহা সব সময় ও কিয়ামত পর্যন্ত সব দেশের জন্য প্রযোজ্য। আমাদেরকে কোরআনের কথা মেনে চলতেই হবে। দর্শন ও বিজ্ঞান মানার কোনো সুযোগ নাই। নচেৎ কল্পলোকের জাহান্নামে চিরস্থায়ী বাস করতে হবে।(ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে শাসন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ারের নাম ' ভয় ') একপাশে বুঝলে ব্রেইন মানতে চায় না, অপর পাশে না মানলে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। এই জন্যই তাবলীগ-জামায়াত ভালো পন্থা বের করেছে। অর্থসহ কোরআন পড়া যাবে না। এবং এটাই বেশিরভাগ মুসলিমরা ছোট বেলা থেকেই মেনে চলছেন। তাদের ব্রেইনে কোরআনে আরবী লেখা মানেই পবিত্র কিছু লেখা, যা পড়লে নেকী পাওয়া যায় ,যা আবৃত্তি করে নামাজ পড়তে হয়, যা পড়লে বালা মুছিবত দূর হয়; এর বেশি কিছু না। ফলে তাদের ব্রেইন দর্শন ও বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের কোনো সংঘর্ষ খুঁজে পায় না।

সুন্দর সময় কাটিয়ে অনেক অনেক ভালো থাকবেন :-

২৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

শায়মা বলেছেন: না ছিলাম না ভাইয়া....

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আচ্ছা, আমি এক সাথে ২ ব্লগে ব্লগিং করতাম না কখনো; আমি যখন আমার ব্লগে, রাজিব নুরও ছিলেন ওখানে।

২৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার সুপার ডুপারঃ বেশীর ভাগ আয়াতেই দেখলাম যে বলা আছে ' আমি পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছি ......... ' ইত্যাদি। পৃথিবী বা ভুমিকে বিস্তৃত করেছি মানে কি বুঝাই যে পৃথিবী সমতল? কোরআন তো ঐ যুগের সাহাবীদের ভূগোল পড়ানোর জন্য নাজিল হয় নাই। এই গোল পৃথিবীর ভুমি কি কম বিস্তৃত। পৃথিবীর মত বড় আকৃতির একটা গোলাকার জিনিস তো অনেক বিস্তৃতও বটে। একটা জিনিস একই সাথে বিস্তৃত ও গোলাকার হওয়া সম্ভব যদি সেটার আকৃতি হয় পৃথিবীর মত। আর Like a carpet এটা তো কোরআনের আয়াতের অংশ না। এটা অনেকটা পাদ টিকার মত যেটা কোরআনের অনুবাদক করেছেন। আসল আরবি কোরআনে কখনও কোরআনের আয়াত ব্র্যাকেটে লেখা হয় না।
কোরানের আরেকটা আয়াত আছে যেটাতে পৃথিবী যে গোলাকার তার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। সুরা আয- জুমার আয়াত নং ৫
خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ۚ یُکَوِّرُ الَّیۡلَ عَلَی النَّہَارِ وَ یُکَوِّرُ النَّہَارَ عَلَی الَّیۡلِ وَ سَخَّرَ الشَّمۡسَ وَ الۡقَمَرَ ؕ کُلٌّ یَّجۡرِیۡ
لِاَجَلٍ مُّسَمًّی ؕ اَلَا ہُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡغَفَّارُ
তিনি যথাযথভাবে আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন সূর্য ও চাঁদকে। প্রত্যেকে এক নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলছে। জেনে রাখ, তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।
He created the heavens and earth in truth. He wraps the night over the day and wraps the day over the night and has subjected the sun and the moon, each running [its course] for a specified term. Unquestionably, He is the Exalted in Might, the Perpetual Forgiver.
এখানে প্রথম লাইনে یُکَوِّرُ ( ইউকাউইরু) শব্দটার অর্থ হোল কোনও কিছুকে পাগড়ির মত পেঁচানো। ইংরেজিতে বলা যায় wrap around. এটাকে সহজভাবে যদি বলি ‘রাতকে দিনের উপর এবং দিনকে রাতের উপর জড়িয়ে দিয়েছেন পাগড়ির মত পেঁচিয়ে’। এতে কি কিছু অনুমান হয় না যে পৃথিবী যে গোল তার ইঙ্গিত কোরআনে রয়েছে। পৃথিবী গোলাকার না হলে তো এভাবে পেঁচানো যেত না। ঐ যুগে পৃথিবী গোল না সমতল তা নিয়ে সাহাবীদের কোনও আগ্রহ ছিল না। এই আয়াত নাজিলের পরে কোনও সাহাবী রসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করেন নি যে ইয়া রাসুলাল্লাহ পৃথিবী কি গোল না সমতল। কারণ প্রথম ঐ আয়াত পৃথিবীর আকৃতি বর্ণনার জন্য নাজিল হয় নাই। আল্লাহ্‌ আপনাকে কোরআনের সহি বুঝ দান করুন।

৩০| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৬

সুপারডুপার বলেছেন:



@ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর, বলছিলাম না রূপক অর্থ নিয়ে এসে মন মত বানিয়ে দিবেন। এবং তাই ঘটলো। ভালো থাকবেন :-

৩১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্‌ মানুষের জন্য ইসলাম সহজ করে দিয়েছেন। বর্তমানে যারা পেটের তাগিদে কোরআন শিক্ষার সময় সুযোগ পাবে না তারা শুধু নামাজ, রোজা করবে আর আল্লাহকে স্মরণ করবে। কোরআনের বিশেষজ্ঞ সবার হওয়ার দরকার নাই। আল্লাহ্‌ বলেছেন তোমরা যারা জান না তারা যে জানে তার কাছ থেকে জেনে নাও। ইসলাম ধর্ম পালন দরিদ্রদের জন্য খুব সহজ। রসুলের( সাঃ) এর যুগে কিছু দরিদ্র তরুন সাহাবী রসুলের মশজিদের পাশে কোনও রকমে খেয়ে না খেয়ে বেচে থাকতেন আর দরিদ্রতা ভুলে রসুলের (সাঃ) কাছ থেকে ইসলাম শিখতেন। এরা কোথাও খুব একটা জেতেন না শুধু মাত্র ইসলাম শেখার জন্য। রসূল (সাঃ) কোনও খাবার হাদিয়া পেলে তা থেকে তিনি ওদেরকে দিতেন। সাহাবীদের ইমান আমাদের মত দুর্বল ছিল না। পিঠের চামড়া তোলার পরও তারা রসুলকে ছাড়েন নি। ৩ বছর আরবের একটা উপত্যকায় রসুলের (সাঃ) গোত্র প্রায় অনাহারে কাটিয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। কিন্তু তারা রসূলকে ছাড়েন নি (অমুসলিম সহ) । বলেন নি যে আপনার জন্য আমাদের এই অবস্থা। কাজেই তারা ইসলাম বোঝার চেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন সব কিছুর উরধে। হাজার প্রতিকূলতা তাদের ইসলাম জানার ও আমল করাকে থামাতে পারে নি। ঐ যুগের সাহাবীদের সহ্য শক্তি আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ছিল। আমাদের জমানার সাথে মিলালে চলবে না। একজন সাধারণ মানুষের ইসলাম পালন করতে বেশী কিছু জানতে হয় না। জানার প্রয়োজন হলে সে ধীরে ধীরে জেনে নেবে সময় সুযোগ মত।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



যা (ইসলাম) পালন করার জন্য তেমন কিছু জানার দরকার নেই, সেটা দিয়ে এই সভ্যতায় দেশ ও জাতিকে টিকিয়ে রাখা যাবে?

৩২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ব্লগ হলো মুক্তবুদ্ধির সবচেয়ে উপযুক্ত প্লাটফর্ম। এখন এই মুক্তবুদ্ধিচর্চাকারী নিজে কতটুকু উদার মানসিকতা রাখেন, কিংবা যুক্তি-তর্ক-বিপরীত মতামতকে কতটুকু ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন সেটাই বড় কথা। এই ব্লগেই দেখেছি অনেকে নিজের একান্ত বিশ্বাস/যুক্তিকে জোর করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান। নিজের পোস্টের মন্তব্যগুলোকে ডিফেন্স না করে রেগে গিয়ে ঝামেলা পাকান, আবার কেউ কেউ পোস্ট না পড়েই লেখককে আক্রমণ করে বসেন। এগুলো ব্লগে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকে ব্যাহত করে। যে বিষয়টি নিয়ে লিখেছেন সে বিষয়ে সাম্যক ধারণা থাকা দরকার। ধর্ম হচ্ছে মানুষের জীবনবোধ। এই বিশ্বাস মানুষকে এক ধরণের প্রশান্তি দেয়। মুক্তবুদ্ধি চর্চায় কারো ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত না করাটাই মঙ্গল। মানুষকে কষ্ট দিয়ে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। পাশাপাশি, যারা কোন অরগানাইজ রিলিজিয়নকে বিশ্বাস করেন না; ধর্মের প্রতি কোন আগ্রহ নেই তাদের ভাবনাকেও সম্মান জানাতে হবে। মোট কথা, যে যেভাবে জীবনযাপন করে মনের শান্তি পায় তাকে সেভাবেই থাকতে দেওয়া ভালো। মনে রাখতে হবে, তার জীবনটা তার একান্তই। সেখানে আমি স্রেফ একজন আগন্তুক।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামকে কেন্দ্র করেই ১ম আরব সাম্রাজ্য গঠিত হয়েছিলো; যাক সেটা ছিলো রাজতন্ত্রের যুগে; রাজতন্ত্র ছিলো আসলেই মানবতা-বিরোধী একটা শাসন ব্যবস্হা, মানব সমাজকে এর ভেতর দিয়ে এতদুর আসতে হয়েছে। আজকে মানুষ নতুন সামাজিক ব্যবস্হা উদ্ভাবন করেছেন, যা রাজতন্ত্র থেকে অনেক অনেক বেশী মানবিক। কিন্তু কিছু দেশ ধর্মীয় সমস্যায় পড়ে ভয়ংকর মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে পড়ে গেছে। বাংলাদেশের কিছু মানুষ আমাদেরকে ধর্মীয় সংবিধানের কথা বলে পেছনে টানার চেষ্টা করছেন, যা বিপদ ডেকে আনতে পারে।

৩৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সুপার ডুপার ভাই। আসলে রুপক অর্থ আমি কোথাও বলিনি। আরবি ঐ শব্দটার যা অর্থ আরব দেশের লোকের বলছে আমি তাই বলেছি। আর পৃথিবী গোলের ব্যাপারে যে দ্বিতীয় আয়াত বলেছি ওটাকে আপনি যদি ধরতে না চান তাতে আমার অসুবিধা নাই। কারণ আমি বলতে চেয়েছি যে কোরআনে আল্লাহ্‌ পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে কিছু বলেন নি প্রথমে বর্ণীত আয়াত সমূহে। বিস্তৃত মানে বুঝায় না যে পৃথিবী সমতল। আসলে আমার আরেকটা কথা যেটা চাঁদ গাজি ভাইকে বলতে চেয়েছি সেটা হোল ধর্মটা হোল মূলত একটা বিশ্বাস। আল্লাহ্‌ আছি কি নাই আমি আপনাকে প্রমাণ দেখাতে পারব না। যদি বলেন আল্লাহ্‌কে কে বানিয়েছে তাও আমি বলতে পারব না। তাই সেটাই যখন দেখাতে পারব না তখন অন্যান্য বিষয় নিয়ে খামাখা কথা বলে লাভ কি। আমার কথা ছিল যে ধর্ম নিয়ে যেন সংশয়বাদীরা ধার্মিকদের প্রশ্ন না করে। কারণ এর কোনও সমাধান নাই। আমরা না মরা পর্যন্ত জানছি না মৃত্যুর পরে কি হবে। তাই চেয়েছিলাম শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান। ধন্যবাদ বিষয় গুলি উপস্থাপনার জন্য।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




যতক্ষণ অবধি একজন ধর্মীয় মানুষ 'রিপাবলিক"কের ধর্মীয় ভার্সন না চায়, ধর্ম নিয়ে মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব হবে না।

৩৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

গ্রামার মেনে ব্লগিং করলে মানুষ যৌক্তিক ও চিন্তশীল হবেন, এমনকি ধর্মীয় বিষয়েও সমাজে চালু
অনেক বিষয়ের সারতা কিংবা আসারতা অনুধাবনে সক্ষম হবেন। প্রথম পৃষ্টায় পুণবহাল হয়েছেন
দেখে ভাল লাগল। দিন কয়েকতো বিশ্রাম নিতে পারলেন সেই বা কম কিসে ।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি জানি না, আপনি আগে কবিতা লিখতেন কিনা; আমাদের সামনে আপনি সামুতে মহাকাব্য লিখে ফেললেন!

৩৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বলেছি যাদের সামর্থ্য নাই গরীব এদের কথা। যেহেতু আপনি তাদের ব্যাপারে বলেছিলেন। যারা সামর্থ্যবান তারা কোরআন আর হাদিসের গবেষণা করবে জানবে ও তা দেশ ও জাতির জন্য প্রয়োগ করবে। ইসলামে জ্ঞানার্জন ফরজ করা হয়েছে। জ্ঞান বলতে যে কোনও প্রয়োজনীয় জ্ঞান। শুধু ধর্মীয় জ্ঞান নয়। কোরআনে সব ব্যাপারে মূল নির্দেশিকা দেয়া আছে। যারা এর বিশেষজ্ঞ তারা আরও বিস্তারিত মানুষকে জানাবে ও জাতিকে সেইভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করবে। সমস্যা হচ্ছে ইসলামের মূল স্পিরিট থেকে তো আমরা দূরে চলে যাচ্ছি। মানুষের ধর্ম বিকৃতির দোষ এখন পড়ছে আল্লাহর বিধানের উপর। আল্লাহর বিধান ও রসুলের বাণী অনেক তথাকথিত আলেম জেনে/ না জেনে অপব্যাখ্যা করছে। তাই সাধারণ মানুষের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের কোরআন চর্চা করতে হবে যাতে মেধাহীন ও খারাপ মতলবের তথাকথিত আলেমরা যেন আমাদের বিভ্রান্ত না করতে পারে যেমনটা চার্চের লোকেরা করেছিল তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য। ইসলামে আল্লাহর সাথে যোগাযোগের জন্য কোনও মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। ইন্টারনেটের কারণে এখন অনেক প্রামানিক তথ্য সুলভ হয়েছে। আগে কোন হাদিস জাল, কোন হাদিস দুর্বল এগুলি জানা খুব কঠিন ছিল। সহি হাদিসের চেয়ে জাল হাদিস অন্তত ১০ গুণ হবে।এখন কারও আগ্রহ থাকলে ঘরে বসেই জানতে পারে। আমাদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হোল কোরআন আমরা অবিকৃত অবস্থায় পেয়েছি।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই যুগের মানুষ ইসলামকে সঠিভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছেন; মাত্র ১০০ বছর আগেও, সাধারণ মানুষের হাতে কোরান ছিলো না; বাংগালী ও অন্য ভাষাভাসী হাফেজরাও আরবী বুঝতেন না; এখন প্রচুর মুসলমান আরবী বুঝেন।

ফলে, ইসলামের সোনালী যুগের শুরু হয়েছে এখন।

৩৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এই যুগের মানুষ ইসলামকে সঠিভাবে জানার সুযোগ পাচ্ছেন; মাত্র ১০০ বছর আগেও,
সাধারণ মানুষের হাতে কোরান ছিলো না; বাংগালী ও অন্য ভাষাভাসী হাফেজরাও আরবী বুঝতেন না;
এখন প্রচুর মুসলমান আরবী বুঝেন।

..................................................................................................................................
সহমত, এ কারনে আমাদের ইসলাম ধর্ম অন্যন্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট শক্তিশালী
কেঊ কোরান হাদিসের অপব্যাখ্যা দিলে , তাৎক্ষনিক চ্যালেন্জ আসে ।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম ধর্ম এত বেশী শক্তিশালী যে, ইহার বেআইনী মিলিশিয়া বাহিনী ও জল্লাদ বাহিনীও আছে।

৩৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এইখানে একটা বিষয়ও যুক্ত করা যায়- অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে ব্লগারদের ইনফরমেশন ফিল্টারিং আরও ভালো হওয়া উচিত। কোনটা বিশ্বাস করবো আর কোনটায় করবো না সেটা তো নিজের কাছেই। করোনা আমাদের কিছু করতে পারবে না যারা বলেছেন তারাও আজ করোনার ফলে সামাজিক স্থবিরতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। সমাধান একটাই ওই যে - ছেঁকে ছেঁকে অথেনটিক তথ্য নিয়ে কাজ করা যাতে দৃষ্টিভঙ্গী বারবার পরিবর্তন করতে না হয়।

২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সায়েন্টিক তথ্য যারা বুঝেন না, বা কমপক্ষে ইহার গুরুত্ব বুঝেন না, তারা ব্লগ থেকে কোনভাবে উপকৃত হবেন না, এবং তাদের লেখা ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় ক্যাটেগরীতে চলে যাবে।

৩৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:১৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার কথা সত্য। বদলাতে পারে। কিন্তু গোঁড়ামি, সংস্কারকে যারা জড়িয়ে ধরে থাকে তাদের বেলায় নয়!

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কুসংস্কারে বিশ্বাসীরা আধুনিক মানুষ নন; এরা সমাজকে পেছনে টানে সব সময়।

৩৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৭

বিজন রয় বলেছেন: অবশ্যই রিফাইন করে, বদলায়।

আপনার লেখায় তো কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং কাজ করছে। সমস্যা হলো, দেশের শিক্ষিত মানুষের হারের তুলনায় ব্লগার এতো কম যে, মাইক্রোস্কোপ দিয়েও দেখা অসম্ভব।

৪০| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮

বিজন রয় বলেছেন: ধর্ম নিয়ে ব্লগিং হলে লাখ লাখ মানুষ পাবেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের পেছনে পড়ার জীবন্ত ব্যাখ্যা

৪১| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৯

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। এই পোষ্টের কারনে বেশ কিছু চিন্তাশীল মানূষের মন্তব্য পড়তে পারলাম- সেজন্যেও সকলকে ধন্যবাদ। ব্লগিং অবশ্যই মানুষ কে রিফাইন্ড (পরিশীলিত) করে, বদলায়। তবে আমার মনে হয় গুন টি ব্লগ এর নয়। যে কোন বিষয় দশ জনের সামনে তুলে ধরার আগে অনেক টা পড়তে হয়, জানতে হয়, ভাবতে হয়, নানা দৃষ্টিকোন থেকে যুক্তি টা বিশ্লেষন করতে হয়, শব্দচয়ন নিয়ে ভাবতে হয়। আমার ধারনা পরিশীলন টা হয় এই পর্যায়ে। এরপর আঊটপূট টা ব্লগে হোক, রচনা লেখায় হোক, প্রেজেন্টেশনে হোক, ডকুমেন্টারিতে হোক , বই লেখায় হোক - author কে সে ইতোমধ্যে পরিশীলিত করে ফেলেছে, বদলে ফেলেছে । তবে এই রুচিবোধ টুকু যার নেই- দশ জনের সামনে যিনি কোন কিছু না ভেবে ,যা খুশি তুলে ধরতে পারেন - তাকে সম্ভবত ব্লগিং বদলাতে পারবে না।

লেখকের কাছে একটা অনুরোধ করি একজন গুনী ব্লগারের উপকারের জন্য। আমার স্বল্প ব্লগ জীবনে তাকে আমি দেখেছি চিন্তাশীল, যুক্তিবাদী ব্লগার হিসেবে। শুধু তিনি যখন রেগে যান তখন, একে ওকে কটু ভাষায় গালাগালি করে বসেন । তিনি হয়তো ভাবেন, গালাগালি শুনে অন্যপক্ষ সংশোধন হবে- তার সাথে একমত হবে। বাস্তবে হয় তার উল্টো। অন্যপক্ষ নিজেকে ডিফেন্ড করার জন্য অফেন্সিভ হয়ে ওঠেন। সুন্দর পোষ্ট টি তখন দুপক্ষের অশোভন কথা বার্তায় কটুগন্ধ হয়ে ওঠে। আপনি কি কষ্ট করে এমন একটি পোষ্ট দিতে পারেন যাতে ওই ব্লগার হঠাত করে রেগে যাওয়া বন্ধ করবেন? রেগে গেলেও যিনি রাগ প্রকাশ করার আগে নিজের ওজন টা নিয়ে ভাববেন? আপনার ওই পোষ্ট টা পড়ে তিনি হয়ত জানতে পারবেন আধুনিক মনোবিজ্ঞানের গবেষনার কথা, মানুষ্ কে গালাগালি করলে সেই মানুষ নিজের মতকে আরো শক্ত করে আকড়ে ধরে।

আপনি কষ্ট করে লিখলে আমার অন্তত একটি উপকার হবে। একজন পছন্দের লেখক- অন্যদের কাছে গালাগাল শুনছেন- এমনটা দেখে আর মনে কষ্ট পেতে হবে না।

আবার ও ধন্যবাদ।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



রেগে যাওয়ার বদনাম আমারও আছে; আপনি কোন ব্লগারের কথা বলছেন?

৪২| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আজকে মহামতি ড. ইউনূসের জনমদিন।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি কি দেশে আছেন?

৪৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: যাদের মধ্যে অন্ধ বিশ্বাস এবং কুসংস্কার আছে, ব্লগ এবং ব্লগিং তাদের অন্ধ বিশ্বাস এবং কুসংস্কার ভাঙতে পারছে না।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


অন্ধ বিশ্বাস এবং কুসংস্কার ইত্যাদি হচ্ছে সমস্যা, এদের ব্লগিংও সমস্যা

৪৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: @ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই তিনটি কারনে,
১। শালীন ও যুক্তিপূর্ন ভাষায় একটি বিশেষ ধর্ম ও সেই ধর্মমতে স্রষ্টার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরার জন্য ।
২। সেই ধর্মের বিপক্ষে কিছু যুক্তি শান্তভাবে গ্রহন করা এবং তার উত্তর দেয়ার জন্য।
৩। সেই যুক্তি তর্কের পরেও এই আলোচনা ছেড়ে চলে না যাওয়ার জন্য।

জন্ম থেকে আঠারো বছর পর্যন্ত আমিও সেই ধর্মভুক্ত এবং তার মধ্যে অনেক টা সময় একনিষ্ঠ পালনকারী ও ছিলাম। পাচ দশকের এই জীবনে ওই ধর্মের ভেতরে থেকে এবং বাইরে থেকে আপনার মত মানুষ আমি একেবারে হাতে গোনা কয়েক জন কে দেখেছি । বহুগুনে বেশি দেখেছি - উগ্র, সাম্প্রদায়িক, হিংসুক, হিংস্র, স্বার্থপর , নির্মম, যুক্তিহীন মানুষ । আপনি নিজেও এমন প্রচুর ধর্মানুসারীর কথা উল্লেখ করেছেন। বস্তুত এদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখে ওই ধর্মের কার্যকারিতা নিয়ে আমার সন্দেহ আরো গভীর হয়েছে। সেই একই কারনে আপনার প্রতি জেগেছে বিস্ময় মিশ্রিত সম্মানবোধ।

আপনি পরামর্শ দিয়েছেন ভাল কোন ইসলামী ওয়েবসাইট নিয়মিত দেখতে যাতে চিন্তা ভাবনা আরো ইসলাম অনুরাগী হয়। (প্রসংগ ক্রমে বলে রাখি, লিঙ্কটি কাজ করে না) আরো বলেছেন কোরআন কে যেন ওই সময়ের কন্টেক্সট এ বিবেচনা করা হয়। বলেছেন কোরআন মানুষ কে ভুগোল বিজ্ঞান ইত্যাদি শেখাবার জন্য নাজিল হয় নি, বলেছেন কোন কোন নির্দেশনা (আয়াত) আগের নির্দেশনা কে বাতিল করেছে ইত্যাদি। আজকের মন্তব্যে এই কয়েকটি বিষয়েই আমার ভাবনা এবং সামান্য জানাশোনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

প্রথমত ওয়েবসাইট দেখে ধর্মানুরাগী হতে হলে তো স্রষ্টার স্বরচিত গ্রন্থের চাইতে ওয়েব সাইট কে ক্ষমতাবান ভাবতে হয়। বিষয় টা কি এমন হওয়া উচিত নয় যে স্রষ্টা রচিত বই এমনই সুলিখিত , যুক্তিপূর্ন , স্বয়ং সম্পুর্ন হবে যে পাঠক এটি পড়েই রচয়িতার সামর্থ এবং বক্তব্য বিষয়ের অভ্রান্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হবে? মুল বইটি যদি এমন হয় যে আরো হাজার হাজার শোনা কথা /দেখা কথা ( হাদিস), ব্যাকগ্রাউন্ড ( শানে নুযুল), ব্যাখ্যা বিশ্লেষন ( তাফসির), সময়ের সাথে তাল মেলানো ব্যাখ্যা ( ওয়েবসাইট) ইত্যাদি ছাড়া বোঝা ই যাবেনা- তাহলে এটি আসলে কোন সর্বশক্তিমানের লেখা ভাবা যাবে? নাকি সন্দেহ করা যায় এটি এক বা একাধিক দুষ্ট লোকের কারসাজি?
বিপরীতে আপনি বাংলাদেশের ( বা যেকোন দেশের) সংবিধান টি পড়ুন। সহজ বোধ্য ভাষায় মুল নির্দেশনাটি সেখানে দেয়া আছে যা যে কোন মানুষ পড়ে বুঝতে পারবে। এরপর সেই সংবিধানের অধীনে আইন হয়েছে, আইনের অধীনে বিধি, তার অধীনে বিধান, রীতি ইত্যাদি। সেসব অনেক টেকনিক্যাল হতে পারে কিন্তু মুল বইটি সহজ সরল। মানুষের পক্ষে যা সম্ভব হয়েছে- স্রষ্টার পক্ষে তা সম্ভব না- এও কি মানতে হবে? অতএব ওয়েবসাইট নয়- ধর্মে বিশ্বাস/ অনুরাগ আনার জন্য আসুন মুল্ বইটি পড়ি।

বলা হয় মুল বইটি সমগ্র মানব জাতির জন্য দিক নির্দেশনা হিসেবে স্রষ্টা নিজে লিখেছেন। মানুষের চুড়ান্ত জীবন দর্শন , দায়িত্ব, কর্তব্য, জীবন যাপন পদ্ধতি, রাষ্ট্র পরিচালনা, অর্থনীতি ইত্যাদি সবই এখানে আছে। উত্তম। বইটি কবে তিনি মানুষ্ কে দিলেন? মাত্র দেড় হাজার বছর আগে। মানুষের আবির্ভাব কবে? ২০ -৩০ লক্ষ বছর আগে। মানুষ টিকবে আর কত দিন? চিন্তাবিদ দের ধারনা আর দুশো থেকে চারশো বছর ( Homo Deus by Yuval Noah Harari ; বলে রাখা ভাল মানব জাতি ধংস হয়ে যাচ্ছেনা- বরং এত বেশী উন্নীত হচ্ছে যে তাদের আর মানুষ বলা সঠিক হবে না) । তাহলে এই হিসাবে ধর্ম আসলে দাবী করছে স্রষ্টা একজন অবিবেচক , যিনি তার রচিত নির্দেশনা ব্যাবহারকারীকে দেন ৯৯.৯৯ % সময় চলে যাওয়ার পর, তাও দেন এমন এক ভাষায় যাতে পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষ কথা বলে না। স্রষ্টা যদি কেউ থেকেই থাকেন (থাকার সমুহ সম্ভাবনা আছে) তাকে এত অবিবেচক মনে করা কি যৌক্তিক? যে ধর্ম তা করে তা কি সঠিক?

এমন হাজারো প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে শেষ মেশ মুল বইটি পড়তে গিয়েছিলাম । পড়ে থতমত খেলাম এবং আসল সত্যটি ধরতে পারলাম। বুঝতে পারলাম কেন দেশে দেশে এমন আইন করতে হয়েছে যে ধর্মের অনুভুতিতে আঘাত লাগে এমন কথা বলা / লেখা যাবেনা , (তা সে কথা যত সত্যই হোক)। কেন ধর্মত্যাগীকে কতল করার নির্দেশ দেয়া হয় এবং ধর্মের ব্যাবসায়ী ও তাদের অনুসারীরা সেই নির্দেশ আইনের তোয়াক্কা না করে পালন করে।

বইটি পড়তে গিয়ে আমি পদে পদে হোচট খেয়েছি। অজস্র প্রশ্ন আমার মাথায় উকি দিয়েছে। তারমধ্যে বইটির ভুমিকার কিছু অংশই আমি তুলে ধরব। বলে রাখি এসব ই আমার প্রশ্ন - শেষ কথা নয়- কারো অনুভুতিকে আঘাত করার চেষ্টা নয়। তবু যদি কারো অনুভুতিতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে তিনি দয়া করে আর পড়বেন না। গত তিরিশ বছরের বেশি সময় এসব প্রশ্ন আমি মনেই রেখেছি, নিজে নিজে পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছি। আজ সাহস করে উল্লেখ করছি, ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর আক্রমনাত্বক নন দেখে।
প্রথম লাইনঃ "বিতাড়িত শয়তান থেকে----------- আশ্রয় চাই" ( আমার প্রশ্নঃ রচয়িতা আশ্রয় চান? কার কাছে চান? তিনি আর রচয়িতা কি এক নন? শয়তান কে, সে বিতাড়িত কেন , কবে কখন থেকে, কি উদ্দেশ্যে ইত্যাদি নিয়ে রচয়িতা কিছু না বলে তার কাছ থেকে বাচার কথা বলছেন কেন? এই সব কন্সেপ্ট কি পাঠক হিসেবে আমাকে অন্য মানুষদের কাছ থেকে জানতে হবে? সে সব মানুষ কতটা বিশ্বাসযোগ্য?)
দ্বিতীয় লাইনঃ " পরম করুনাময় ----- শুরু করছি" ( আমার প্রশ্নঃ রচয়িতা শুরু করছেন আরেক জনের নামে? আমার তো প্রত্যাশা ছিল রচয়িতা নিজেই সেই পরম করুনাময়। তাহলে কি তিনি নিজ নামে শুরু করছেন? সেক্ষেত্রে বিষয় টা আত্মপ্রসংসা হয়ে গেল না? এত বড় ক্ষমতাশীলের কি এই শোভা পায়?
তৃতীয় লাইনঃ " " সকল প্রসংশা-----প্রাপ্য" ( আমার প্রশ্নঃ আবারো আত্মপ্রসংশা ? )
চতুর্থ লাইনঃ " যিনি পরম দয়ালূ" ( আমার প্রশ্নঃ আবারো আত্মপ্রসংশা ? পরিবারের প্রধান কি সন্তান দের কে বার বার বলেন তোমাদের জন্ম, বাসস্থান দেয়া, খাদ্য দেয়া, বস্ত্র দেয়া, শিক্ষা দেয়া ,ভালবাসা দেয়া ইত্যাদিতে আমার কিছু অবদান আছে তাই কিছু প্রশংসা আমার প্রাপ্য ? হেড মাষ্টার কি এসেম্বলিতে গিয়ে বলেন রাম স্যার , শ্যাম স্যার তার দয়াতেই কাজে আছেন, তিনি চাইলেই এদের বদলে যদু স্যার , মধু স্যার কে নিতে পারেন। এসব বলাতো হীন মন্যতা। স্রষ্টার মত সত্বার জন্য কি তা মানান সই? )
পঞ্চম লাইনঃ "যিনি বিচার দিবসের মালিক" ( আমার প্রশ্নঃ বিচার দিবস কি, কবে, কখন, কেন কিছুই আপনি আমাদের বলেন নি কেন ? শুধু কেন দাবী করছেন সেই দিবসের মালিক হিসেবে? সেই দিন কি হবে , না হবে, সেই বিষয়ে জানার জন্য কি আমাকে প্রচলিত লোক কথায় বিশ্বাস করতে হবে? ওই লোক কথা কি আপনার কথার মতই বিশ্বাস যোগ্য? )
ষষ্ঠ লাইনঃ "আমরা তাহার ই উপাসনা করি তাহার ই সাহায্য চাই" ( আমার প্রশ্নঃ আমরা মানে ? রচয়িতা একজন নন ? রচয়িতা গন কারো উপাসনা করেন? কারো কাছে সাহায্য চান?এই বাক্য কি স্পষ্ট ই প্রমান করে না যে এর রচয়িতা স্বয়ং স্রষ্টা নন? নাকি কিছু মানুষের ওই দাবীই সঠিক- যে এই ভুমিকাতে আসলে স্রষ্টা বলেছেন কিভাবে মানুষ্ কে স্রষ্টার কাছে সাহায্য চাইতে হবে ? যদি তাই হয় সেই কথাটিও কি স্রষ্টা শুরুতে বলে দিতে পারতেন না ? আত্মপ্রশংসায় এত বাক্য নষ্ট করলেন আর দরকারী কথা বললেন না- এও কি স্রষ্টার পক্ষে মানায়? এত গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্টের শুরুতেই লেজে গোবরে পাকিয়ে ফেলা কি স্রষ্টার পক্ষে স্বাভাবিক , নাকি কোন অশিক্ষিত মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক? )
----- এভাবে লাইনে লাইনে অজস্র প্রশ্ন থাকায় - এবং সেগুলো উল্লেখ মাত্র প্রানহানির সম্ভাবনা থাকায় সিদ্ধান্ত আমাকে নিভৃতে নিতে হয়েছে। বলে রাখি সে সিদ্ধান্ত বড়ই যন্ত্রনাদায়ক, কষ্টকর।

মনে আছে - প্রায় তিরিশ বছর আগের কথা। আমি তখন সদ্যই বুঝতে পেরেছি- ধর্মগ্রন্থ গুলোর বর্ননা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঢা কা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। উদবেগ আর উতকন্ঠা নিয়ে আমি ফলাফল জানতে যাচ্ছি । মনে মনে প্রার্থনা করছি , "স্রষ্টা, আমি যেন চান্স পাই, আমাকে দয়া কর"। পর মুহুর্তেই মনে হল কার কাছে সাহায্য চাইছি আমি? সে তো এক কাল্পনিক সত্বা- তার তো কোন সাহায্যের শক্তি নেই। তার পর মনে হল কার কাছে তবে সাহায্য চাইব? তখন হঠাত ই বুঝে গেলাম - সাহায্য চাইবার আসলে আমার কেউ নেই। আমি এক অসহায় মানুষ- এই বিশ্বব্রম্মান্ডে আমি একা - নিজেকেই নিজে সাহায্য করতে হবে। সেদিন - সেই মুহুর্তে মনে হয়েছিল এই সত্য না জানাই বুঝি ভাল ছিল। তাহলে আমি কোন স্রষ্টার উপর ভাল মন্দের দায় চাপিয়ে দিয়ে নিজে শান্তিতে থাকতে পারতাম। সেদিনের সেই কষ্ট কত তীব্র ছিল- যে নিজে এর ভেতর দিয়ে না গেছে - তাকে তা বোঝানো সম্ভব নয়।

ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এর শান্তভাবে সত্যকে গ্রহন করার আচরন দেখে ভয় হয় আপনিও হয়ত কোনদিন এই নির্মম সত্যকে হৃদয়ে অনুভব করে ফেলবেন । এটিকে ভয় বলছি এ জন্য যে এরপর যে কষ্ট পেতে হয়, যে একাকীত্ব গ্রাস করে, যে বন্ধুহীনতা তৈরী হয়- তা যেন আমার পরম শত্রুরও না হয়। শুধু অনুরোধ ধর্মের ভেতরে থাকলেও - হানাহানি উসকে দেয়া মানুষদের নিয়ন্ত্রনে রাখুন। ধার্মিক- ধর্মহীন সবাই যেন মিলে মিশে শান্তিতে থাকতে পারে সেই চেষ্টা করুন। আর তো হাতে গোনা কয়েকটি প্রজন্ম টিকে থাকবে মানুষ। শেষদিন গুলো যেন সকল মানুষের জন্য শান্তির হয় আসুন সকলে সেই চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৪৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: ব্লগ কোন মানুষের চিন্তা চেতনার পরিবর্তন করে?

যে জানতে চায়, যে শিখতে চায়, যে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে উঠে সত্যকে মনেে নেয়ার মত উদার!

ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আলোচনায় অনেক বিষয় পরিস্কার হয়।

৪৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

জিজ্ঞাসু মন বলেছেন: @ লেখক

"রেগে যাওয়ার বদনাম আমারও আছে; আপনি কোন ব্লগারের কথা বলছেন? "
----আছেন একজন, নাম বলা যাবেনা। তবে আপনি কষ্ট করলে তার শুধু উপকার হবে না , আমার ও হবে। আমার জন্যই নাহয় একটু চেষ্টা করুন।
সতর্কীকরন, ওই ব্লগারকে বেশী খুজবেন না- সহজেই পেয়ে যাবেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আচ্ছা, দেখি

৪৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:



আপনার লেখাটি এবং বিভিন্ন তীর্যক মন্তব্যে আপনার ক্যান্ডিড উত্তর মুগ্ধ করার মতো।

ব্লগ লেখা এবং ব্লগে সময় দেওয়ার বিষয়টি অনেকের মতো আমাকেও রিফাইন করেছে। অনেকভাবে।

শুধু একটি বলছি: অন্যের অভিমতকে অবজেকটিভলি অথবা বিচারকের ভূমিকায় না গিয়ে দেখার অভ্যাসটি আগে ছিলো না। সবাই হয়তো ভালো কন্টেন্ট দিতে পারেন না, কিন্তু সবাই নিজের সেরাটুকু দেবার চেষ্টা করে। এটি ব্লগকে অন্যান্য সোশাল নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা করেছে।

বাংলা ভাষার এ ব্লগটি অনন্য এই কারণে যে, মাতৃভাষায় চর্চা করার জন্য এমন মিথস্ক্রিয়া সম্পন্ন প্লাটফর্ম আরেকটি নেই।

আপনার একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে আমি সবসময় একমত। সেটি হলো, ব্লগের সোনালী অতীত বলতে কিছু নেই। সবই সময়ের প্রতিচ্ছবি। বাংলা ভাষার এব্লগটি ঠিক তেমনই আছে, যেরকমটি আমরা রেখেছি। অথবা যেরকম আমাদের চাহিদা। অবশ্য ‘সোনালী অতীত’ বলে স্মৃতিকাতর হবার মতো মানুষ অনেক আছেন।

২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোনালী অতীত একটা স্মৃতি, ইহা মানুষের জন্য সুখের অনুভুতি। এটা সত্য, "সবই সময়ের প্রতিচ্ছবি। "

৪৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমি বুঝতে পারিনা গাজীসাবের পোস্টে
ঘুরে ফিরে সেই কুমীরের খাচ কাটা খাচকাটা
গল্পের অবতারণা কেন হয়!!
গরুর রচনাতেও কুমির আবার তার
জন্মদিনের গল্পেও কুমির!!

২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


সম্প্রতি, কোন ব্লগারের নতুন কোন আইডিয়া দখল করতে পারিনি।

৪৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি ব্লগার সুপার ডুপার সহ যারা ধর্ম বিষয়ে যৌক্তিক আলোচনা করতে পছন্দ করেন বা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করতে চান তাদের অনুরোধ করছি - আপনাদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসাগুলো যৌক্তিকভাবে নতুন একটি পোষ্টে লিখে জানান।

যারা সেই পোষ্টে আলোচনা করতে চায়, তাঁরা সেখানে করবেন। আপনি আপনার যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি জানাবেন। আপনি অবশ্যই উল্লেখ্য করে দিবেন - ধর্ম বিষয়ে আপনার এই প্রশ্ন গুলো আছে। ধর্ম বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে না - ধর্মীয় গ্রন্থে এমন কোন বানী নেই বা হাদীসেও নেই। বরং সবখানে জানার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।

আপনি বা অন্য কেউ বা আমি যেই হই না কেন, কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে, একটি যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তগুলো বিবেচনা করার অনুরোধ জানাই।

ধর্ম সম্পর্কে জানার পোস্ট নিয়ে আশা করি কারো আপত্তি থাকার কথা না।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলা ব্লগে, ধর্ম বিষয়ক আলোচনা কখনো শেষ হয় না, এবং কেহ কারো দেয়া যুক্তি নিয়ে মাথা ঘামায় না, ইহা চলতেই থাকে।

৫০| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

কানিজ রিনা বলেছেন: এই ব্লগে আপনি যতবার জেনারেলের খাতায়
আছেন, কোনও ব্লগার এতবার জেনারেল
হয়েছে বলে আমার মনে হয়না।
আপনি যেমন ব্লগে জেনারেল বীর তেমনই
থাকবেন।
ব্লগে আপনার বিরুদ্ধে অনেক লেখা হয়েছে
তাতে কি আপনি পিছপা হয়েছেন? আপনি
যেমন তেমনই আছেন থাকবেন।
তবে আপনার একটা গুন আছে ক্ষমা চাওয়ার
যা সচর আচর কারো থাকেনা।
তাই বলছি জিয়া ও জাতীর পিতা নিয়ে আপনি
যতই অপমান সুচক কথা বলুন না কেন
তারা তাদের জায়গা থেকেই সম্মানীয় ব্যাক্তি
বিশিষ্ট।
জিয়াকে নিয়ে আপনার এক ঘেয়েমি বক্তব্য নিয়ে
এখন কেউ পাত্তা দেয়না বা মন্তব্যও করেনা।
কোটি কোটি চাষীরা জিয়াকে যেমন বীর ভাবেন
আবার লক্ষ লক্ষ চাষী কামার কুমার তাঁতী জেলে
কৃষক এই দেশের স্বাধীনতা এনেছেন,প্রানও
দিয়েছেন তিরিশ লক্ষ।
এই ব্লগে আপনি যেমন বেশীর ভাগ ব্লগারের
কাছে প্রিয়, তেমন অল্প কিছু ব্লগারের কাছে
আপনি অপ্রিয়। কথাটা কি আপনাকে বুঝাতে
পারলাম?
করোনায় মানুষের নাভিশ্বাসে এপ্লাইড মেডিসিন
বিজ্ঞানীরা দিনরাত ঘুম হাড়াম করে ঔষধ
আবিস্কার করতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে।
আর আপনারা ব্লক্ড মস্তিস্কের নাস্তিকরা ব্যাস্ত
ধর্মের উপর বিজ্ঞান চাপাতে, ধর্মও দর্শন
বিজ্ঞানও দর্শন। এনিয়ে আপনার সাথে অনেক
আগে রাবেয়া রহিমের ব্লগে তর্ক হয়েছিল।
ধর্ম যে দর্শন তা আপনি বুঝতে অনেক
দেড়ি করেছেন। এখনও শিকার করেন কিনা
বলা মুশকিল।
আচ্ছা কোনও ঔষুধ বিজ্ঞানী যদি তার ধর্ম
অনুসরন করে বলেন সৃষ্টি কর্তা আমাকে
সাহায্য করেছেন তখন আপনাদের মুখ কোথায়
থাকবে? একজন আফ্রিকান মুসলিম ঔষুধ
বিজ্ঞানী করনার টিকা আবিস্কার করেছেন।
তার দেশে যদি সাফল্য আসে হয়ত এপ্রযুক্তি
আরও অনেক দেশেই প্রয়োগ হতে পারে।

যেমন নিউটন সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী ছিলেন।
আমাদের এশিয়ার বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডাঃ চৌধুরী
মাহমুদ তো কোরআন ও বিজ্ঞানের বিশেষ
বক্তা। বিজ্ঞানী ডাঃ শমসের আলি কোরআন
ভিত্তিক বিজ্ঞান নিয়ে অনেক লিখেছেন।
অসংখ্য বিজ্ঞানী সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী কেন
কারন কি?

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার ব্যাকগ্রাউন্ড টিকার মতো বিষয় নিয়ে নয়; তারপরও আমি চেষ্টা করতে পারতাম; কিন্তু আমার সেই পরিমাণ সম্পদ নেই, এবং কেহ আমার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলে আমাকে এই ব্যাপারে ফান্ড দেবে না।

জেনারেল জিয়া সম্পর্কে জীবিত বাংগালীদের মাঝে ক্যা: ওলি, ক্যা: এনাম, মেজর রফিক, কিছু সৈনিক, কিছু ছাত্র ও আমি কিছুটা জানি। ১৯৭৫ সালে মিলিটারী হত্যাকান্ড চালানোর কারণে, আজকে আরবে, মালয়েশিয়ায় বাংগালীরা দাস হয়েছে; আপনার মেয়ের সমান বয়স্ক মেয়েরা বস্তিতে আছে; এছাড়া বেশ কয়েক হাজার মেয়ে আছে ভারত ও পাকিস্তানের পতিতালয়ে।

৫১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৮

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ, ব্লগিং ধারণাকে রিফাইন করে।
আমাকে প্রভাবিত করেছেন সিরাজ সাঁই, অপু তানভির, প্রফেসর শন্কু, নাফিস ইফতেখার, রাগিব, হাসান মাহমুদ, রবিন মিলর্ফোড, ইমন জুবায়ের সহ অনেকে।

বর্তমানে সাজিদ ও আপনাতে ভাবনা খোরাক পাই।

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আধুনিক মানুষেরা ব্লগে এসে অনেক নতুন ধারণা পাবেন সব সময়; এবং আশপাশের জীবনকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবেন।

৫২| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ব্লগিং অনেক ধারনা রিফাইন করেছে এবং কিছু কিছু ধারনা বদলে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ঐ রিফাইন কৃত ধারনা গুলো ব্লগে প্রকাশ করতে পারি না বা পারছি না।

আপনার এই পোস্টটা আসলে অনেক কিছুই বদলে দিলো।

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে আপনার ভাবনা, ধারণা ইত্যাদি তুলে ধরতে পারেন, অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

৫৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @জিজ্ঞাসু মন -
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দরভাবে ইসলাম নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলি এখানে উপস্থাপনের জন্য। তবে এরই মধ্যে ব্লগ কর্তৃপক্ষের একজন সদস্য কাল্পনিক ভালবাসা প্রস্তাব দিয়েছেন যে ধর্ম নিয়ে যেন ব্লগার সুপার ডুপার একটি পৃথক পোস্ট দেয়। সেখানে আগ্রহী ব্লগাররা খোলা মনে এসব নিয়ে আলোচনা করতে পারে। আমার মনে হয় এটাই ভালো প্রস্তাব। আশা করি ব্লগার সুপার ডুপার এ ব্যাপারে পোস্ট দিবেন। তবে আমি সংক্ষেপে বলি সেটা হলও ইসলামের শুরুটা হয় বিশ্বাস দিয়ে। তাই সব কিছুর পিছনে যুক্তি আমি দিতে পারব না। যেমন আল্লাহ আছে তার প্রমান কি, আল্লাহকে কে সৃষ্টি করল ইত্যাদি। তবে বেশীর ভাগ প্রশ্নের জবাব আমরা সেখানে দিতে পারব ইনশাল্লাহ। ততদিন আমরা অপেক্ষায় থাকি। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.