![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ, যারা মুলত ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবার নিয়ে শহরে থাকতেন, তাদের একাংশ শহর ছেড়ে নীরবে গ্রামের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। এসব মানুষ ছোটখাট চাকুরী করতেন, ছোটখাট দোকান ইত্যাদি চালাতেন; এরা এখন কপর্দকশুন্য। এদের যে, এই অবস্হা হতে পারে, সেটা ওরা নিজেরা বুঝতে পারেননি, বা সরকারও বুঝতে পারেনি। এই অবস্হার কথা অনুমান করতে পারলে, আরো ৪ মাস আগেই, হাতে সামান্য পয়সা থাকতে গ্রামে চলে গেলে, সেই পয়সায় বেশ কিছুদিন চলতে পারতেন। গ্রামে যাওয়া মানে, কোনভাবে থাকার ব্যবস্হা করা, কিন্তু সেখানে এখন আয়ের কোন পথ আছে বলে মনে হয় না।
যারা শহরে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে সামান্য বেতনে চাকুরী, বা ছোটখাট দোকান ইত্যাদি চালাতেন, তাদের কোন সন্চয় আছে কিনা আমার জানা নেই। আপনারা যারা দেশে আছেন, তারা ভালো জানার কথা। গত কিছু বছর স্বর্ণের দাম এত বেশী ছিলো যে, এসব পরিবারের কাছে অলংকার ইত্যাদিও থাকার কথা নয়। যারা গ্রাম ছেড়ে ১০/১৫ বছর শহরে আছেন, গ্রামে তাদের তেমন কোন কিছু থাকার কথা নয়; সামান্য যায়গা জমি থাকলেও অনেকে তা বিক্রয় করে দিয়েছেন, বা নিজেরা যে চাষ করতে পারবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই; চাষ করা জানতে হয়, এবং চাষের থেকে কিছু পেতে অনেক সময় লাগে।
এদের ব্যাপারে সরকারের কোন প্ল্যান প্রোগ্রাম আছে বলে মনে হয় না; এরা নিজ দায়িত্বে দেশের নাগরিক, কোন নাগরিক অধিকারের বলে নাগরিক নন। দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই, কোন লেনদেন নেই; এরা এমপি'দের কেহ নন, স্হানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারের সাথেও এদের কোন সম্পর্ক নেই; এরা কিভাবে চলবেন?
এখন গ্রামের মানুষও বদলে গেছেন, তাদেরও অনেক খরচ। আমাদের এলাকার গ্রামের মানুষ চাষাবাদ থেকে ঠিক মতো চলতে পারেন না; এদের বেশীরভাগ পরিবারের কেহ না কেহ আরবে আছে। আমাদের এলাকার অনেক মানুষ বিনা চাকুরী, বিনা আয়ে চট্টগ্রাম শহরে থাকে, এদের পরিবারের ২/১ জন বিদেশে থাকে; এদের কি হবে, তাও বলা মুশকিল। এটা ঠিক যে, এসব পরিবার শহরে থেকে অকারণে টাকা পয়সা পানিতে ফেলছিলো।
আমাদের এলাকার লোকজন যারা দীর্ঘ সময় আরবে ছিলো, সাম্প্রতিক সময়ে তারা অনেকেই ফেরত চলে এসেছেন, এবং দেশে আসার পর মোটামুটি বেকার। গ্রামের অশিক্ষিত মানুষ বিদেশে থাকার পরও তাদের কোন সন্চয় থাকে না। ঢাকা, কুমিল্লা ও নোয়াখালীর প্রচুর মানুষ বিদেশে আছেন, তাদের কি অবস্হা? এরা কি চট্টগ্রামের মানুষ থেকে কিছুটা আলাদা? চট্টগ্রামের মানুষ সবচেয়ে কম সন্চয়ী।
যারা গ্রামে ফিরছেন, তাদের সম্পর্কে আপনারা জেনে থাকলে কিছু তথ্য দেবেন: কি করে তারা গ্রামে টিকবে, তাদের ছেলেমেয়েদের কি অবস্হা হবে?
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
দরিদ্রদের সন্চয়ী করতে সরকারের প্রোগ্রাম থাকতে হয়, না হয় মানুষ নিজের থেকে ভবিষ্যত প্ল্যান করতে পারে না। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরীবেরা টেনেটুনে মাসই চালাতে পারে না; ফলে, এদের সন্চয় থাকার কথা নয়।
২| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৩
বিজন রয় বলেছেন: অবস্থা ভাল নয়।
সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই এদের নিয়ে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ কোনদিকে যাচ্ছে সরকার হয়তো জানে না। জানুয়ারী, ফেব্রুয়ারীতে এই ধরণের মানউষদের পরিবারকে গ্রামে পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, এরা কিছুদিন কোনভাবে চলতে পারতো।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৬
বিজন রয় বলেছেন: যারা সরকারি চাকরিতে আছে কারা কিছুটা আছে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের কোন আয় আছে বলে মনে হয় না; অন্যরা সমান্য হলেও আয় করে, সরকারী চাকুরীর বেশীরভাগ লোকজন সরকারের জন্য কোনভাবে আয় করে না।
৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৬
রাশিয়া বলেছেন: সুদূর মার্কিন মুলুকে থেকেও বাংলাদেশে যারা 'নিজ দায়িত্বে নাগরিক', তাদের খোঁজ খবর নেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই সারা বাংলাদেশের মানুষ এক ভয়ানক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন। ব্যবসায়ীদের কামাই রোজগার তো আগেই বন্ধ হয়ে গেছে, চাকুরীজীবিদের ১০% এখনো বিনা বেতনে নিজেদের চাকুরি টিকিয়ে রেখেছেন এই আশায় যে একদিন সব স্বাভাবিক হয়ে গেলে বকেয়া বেতন বুঝে পাবেন। এর মধ্যে গ্রামে যারা চলে গেছেন, তাদের অবস্থা খুবই করুণ।
গ্রামে মোটামুটি সব বাড়িতেই দু'তিন মাসের চাল ডাল মজুত থাকে। মাংসের দাম শহরের মত হলেও মাছ ও ডিম তুলনামূলক সস্তা দরে মেলে। কিন্তু নাগরিক সুযোগ সুবিধায় অভ্যস্ত শহুরে মানুষের কেবল খাওয়া খাদ্যে চলেনা। চিকিৎসা ও শিক্ষার মত মৌলিক প্রয়োজন উপেক্ষা করেই তাদেরকে কোন মতে টিকে থাকতে হচ্ছে। সরকার যদি ঋণ খেলাপি ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টদের জন্য ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনার জায়গায় এদের জন্য মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকার গ্রাম ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করত, তাহলে এর বিশাল সুবিধাভোগীরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকত। কিন্তু এদের জন্য কোন রুবানা হক নেই, যে তাদের কষ্টের কথা সরকারের কাছে তুলে ধরবে। এরা ভাগ্যের হাতে নিজেদের সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকার ভান ধরে আছে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা দুষ্টরা শেখ হাসিনার মাথায় কদুর তেল ঢেলে 'রেসকিউ প্যাকেজ' নিয়ে হোটেল সোনারগাঁয়ে পার্টি করছে।
শহরের দরিদ্রারা গ্রামে এসে কি করে টিকে থাকবেন, অনুমান করাই কঠিন।
৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যারা গ্রামে ভালোভাবে টিকতে পারছিল না তারাই শহরে নিয়েছিল ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায়। করোনার আক্রমণের শহরে এখন তাদের কাজ নেই। বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম আয় রোজগার নেই।
তাই বাধ্য হয়ে তারা গ্রামের পথ ধরেছে। গ্রামে গিয়েছে তারা যে ভালো থাকবেএ ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং ধরে নেওয়া যায় তারা শহরের চেয়েও খারাপ থাকবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
গ্রামে কিছুই নেই, আয়ের কোন পথ নেই।
৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৫
আমি সাজিদ বলেছেন: চট্রগ্রামের মানুষ সবচেয়ে কম সঞ্চয়ী, সত্য কথা।
আমি গতকাল যে আবাসিক এলাকায় থাকি তাঁর থেকে একটু দূরে বের হয়েছিলাম এক কাজে, অনেক টু-লেট দেখলাম। যেমন ভাবছি বিষয়টা তেমন নাও হতে পারে !
সামনে কি যে অবস্থা হয়, বুঝতে পারতেসি না আসলে । দেশের মানুষের জন্য মন কাঁদে। আমার একার কান্নায় কিছু আসে যায় না।
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা 'টু লেট' দিচ্ছেন, তাদের মাঝেও একটা শ্রেণী আছেন, ওটাই একমাত্র আয়।
চট্টগ্রামের মানুষ আগামীকালের কথা ভাবেন না, ভয়ংকর ব্যাপার।
৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫২
ফেনা বলেছেন: সব থেকে খারাপ কথা কি জানেন, আমাদের দেশের মানুষের কমনসেন্স নাই বলতে গেলেই চলে। সংসার চলার মত টাকা থাকে না হাতে কিন্তু ঘরের বউ বাচ্চার জন্য ধার করে ঈদের বাজার করে। পাশের বাসায় গরুর মাংস রান্না হয়েছে আমাকেও করতে হবে। শহর থেকে গ্রামে এসে অনেকেরই এমন অবস্থা। অনেকের আবার চিন্তা এমন আমি শহর থগেকে এসেছি আমাকে ত একটা স্টাট্যাস মেন্টেইন করতে হবে। আরে ছাগল তুর ত বুঝতে হবে যে তুর ঘরের উপরের চাল নাই।
এই সব আমার আশে পাশে দেখা ঘটনা।
২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেশীরভাগ মানুষের ভাবনাচিন্তা প্রেকটিক্যাল নয়; এরা আগামীকালের কথা ভাবেন না।
৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
জুন বলেছেন: দেশে জমি জমা বিক্রি করে যে সব নিম্ন বিত্ত মানুষজনের ভেতর সঞ্চয়ের মনোভাব খুব কমই দেখেছি আমার অবজার্ভেশনে। তারা দুটো টাকা হলেই বিনোদনের পেছনে খরচ করেছে। যেমন আমাদের দ্রাইভার। একদিন এসে জানালো সে বিশাল একটা রংগীন টিভি কিনেছে, কে একজন বিক্রি করছে তা সে কিছু কমদামে কিনেছে। আগের টিভি কি হলো? সেটাও তো রংগীন ছিল! আমার প্রশ্নের জবাবে জানালো সেটা ২০ ইঞ্চি ছোট স্কিরিন। তার হাতে আমি দুদিন পর পর নতুন টাচ স্ক্রিন মোবাইল দেখি যদিও সে পড়ালেখা জানে না এবং সেই অত্যাধুনিক মোবাইলের ব্যাবহার ও জানে না। কি ভাবে কিনে জানতে চাইলে বলে কম দামে আশেপাশের লোকজন এর কাছ থেকে কিনে। দেশে খানিকটা জমি ছিল নাকি গ্রামের রাস্তার পাশে, তার বউ দেশে যাবে না, তাই সেটাও বেচে এসেছে। এই যে অপচয়ের মানসিকতা এটা শুধু একজনের উদাহরন দিলাম। এমন আমাদের সমাজে ভারিভুরি। এখন এই দুর্যোগে ৫ ছেলে মেয়ে নিয়ে সাতজনের সংসারে তার আয় আমাদের দেয়া বেতন। ছেলে মেয়েদের হাতে কলমে কিছু কাজ শেখানোর কথা বহুবার বলেছি। সেটা নাকি ইজ্জতের ব্যাপার। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করা বড় দুই ছেলে মেয়ে ঘরে বাবার উপর নির্ভরশীল।
বুঝেন আমাদের দেশের অবস্থা। সরকারকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরাও তো গত ১৫ বছরে তার মগজে কিছুই ঢোকাতে পারি নি।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতি গড়ার সময় ছিলো ১৯৭২ সাল; এরপরে মানুষ বদলে গেছে, আস্হা হারিয়ে মানুষ নিজ পরিবার নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে; এখন মানুষ কারো কথা শোনেন না, নিজের মতো করে চলেন।
৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: গ্রামে যারা ফিরে যাচ্ছেন, গণমাধ্যমেই তাদের খবর পাচ্ছি, দেখছি। ব্যক্তিগতভাবে কাউকেই এখনও জানিনা।
একটা বিষয় পরিষ্কার যে বিপদের সময়ে গ্রামই ভরসা। যুদ্ধের সময়ও মানুষ গ্রামে চলে গিয়েছিলো, এখনও যাচ্ছে। তবুও কোনো সরকার গ্রাম উন্নয়নকে গুরত্ব দেয়নি। এদিক থেকে অন্তত এরশাদ সরকার কিছুটা ভালো। কিছুটা উন্নয়নমূলক কাজ তখন হয়েছিলো বোধহয়। জাতীয় পার্টির একটা শ্লোগান আছে- ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরশাদ ২০০ কোটীর থেকে বেশী টাকা দিয়ে গেছে ওর ছেলেদের, এখন যারা গ্রামে ফিরে যাচ্ছে, এরশাদের ছেলেরা তাদের খাওয়াবে, বাঁচার পথ পাওয়া গেলো, রক্ষা।
১০| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
আমি সাজিদ বলেছেন: জুন আপুর কমেন্টটা পড়ে একটা বাস্তব চিত্র পেলাম। সঠিক নির্দেশক না থাকলে দেশ এমন হতে বাধ্য। আমাদের কবে এমন একজন নেতা হবে যে মাইডাস টাচে সব চেঞ্জ করে দিবে , সব !
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন নেতা হওয়ার কাতারে আছে 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী' আন্দোলনের নেতা, নুরু নাকি গূরু, উহা হয়তো রগকাটার যন্ত্র বানানোর ফ্যাক্টরী খুলবে।
১১| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চরম বিপদে মানুষ মাটির কোলে ফিরে। ৭১ এ গ্রামের মানুষ আমাদের আপন করে নিয়েছে। এবার নিবে কি না জানি না। শহরে অনেকে এসেছে ভূমিহীন হয়ে, নদী ভাঙ্গনে। এরা গ্রামে কার কাছে যাবে। গ্রামের অনেক পরিবার চলে প্রবাসী আয়ে। তাদের অবস্থাও ভালো না। আসলে সচ্ছলতার সময় আমরা বেহিসাবি হই আর বিলাসিতায় নিমগ্ন হই। এটা শুধু আমরা না পশ্ছিমে আরও বেশী। তবে পশ্ছিমে সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করে। আমাদের দেশে কিছু আছে তবে তা লোক দেখানো, অপ্রতুল ও দুর্নীতি দ্বারা আক্রান্ত। আমাদের অনেকের শহরে থাকলে নাও চলত। কিন্তু শহরে থাকাটা status symbol হয়ে গেছে অনেকের কাছে। আমাদের অর্থনীতি মূলত ঢাকা আর চিটাগাং কেন্দ্রিক। এই ব্যাপারটা কোনও সরকার বুঝল না অথবা নিজেদের স্বার্থে স্বীকার করলো না। অর্থনৈতিক কর্ম কাণ্ড হতে হবে দেশব্যাপি ছড়ানো। আমাদের দেশের উর্বর ভুমি আর নদী যে একটা মূল্যবান সম্পদ তা আমরা বুঝতে পারি নি। গ্রামে গেলে দেখা যায় শুধু নারী আর শিশুর সংখ্যা বেশী। তরুনরা সব শহরমুখী।
সরকার থেকে আসা করে লাভ নেই। কারণ এরা চরম অদক্ষ, অসৎ আর আমলাতান্ত্রিক মানসিকতা সম্পন্ন। এরা কোনও উদ্যোগ নিলেও সেটা বাস্তবায়ন করাতে ৫ বছর লাগিয়ে দেবে। ততদিনে মানুষ পথে বসবে। আমাদের দেশের গ্রামের তরুনরা একতাবদ্ধ হয়ে কিছু সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে প্রতিটি গ্রামে। তাদের উদ্যোগে গ্রামের প্রভাবশালীদের সহায়তায় আর গ্রামের জনগণের চাঁদায় এ ধরণের দরিদ্র পরিবারে জন্য কোনও একটা আয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এভাবে একটা কাঠামো দাঁড়ালে তার পর সরকারের থেকে কিছু খাস জমি এদের জন্য সাময়িক বরাদ্দ করা যেতে পারে যাতে এরা কিছু করে খেতে পারে। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে মানুষকে দেশ জুড়ে সংগঠিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা যেন সরকারের দুশ্চিন্তার কোনও কারণ না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালের মানউষ বেঁচে আছেন ২ কোটী; এর মাঝে ৫০ লাখ হবে দেশবিরোধীরা। ১৯৭১ সালের মানুষের একটা আশা ছিলো। এখন যারা গ্রামে আছে, তারা ১৯৭১ সালের লোকজন নন, এরা হাল আমলের লোকজন, এরা নিজেরা চলে অন্যের ঘাঁড় মটকায়ে।
সরকারের কোন খাস জমি নেই, যে ছিলো বসুন্ধরা ও অন্যান্য ভুমি দস্যুরা সেগুলো অনেক আগে দখলে নিয়ে গেছে
১২| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কম শিক্ষিত প্রবাসীদের একটা বদঅভ্যাস হল সঞ্চয় না করা। আর সারাজীবনের আয় দিয়ে আলিশান বাড়ি করা(যে বাড়িতে ভাড়াটিয়া পাওয়া যায় না)। আমার মনে হয় যে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে বেড়াতে এসে ফেঁসে গিয়েছে তারা এ বছরটাও পার করে দিতে পারবে। শহরের মধ্যবিত্তরাও ধার, দেনা, সঞ্চয় থেকে এ বছর পার করতে পারবে। নিম্নবিত্তদের কস্ট বেশী হবে। গ্রামে বা শহরে নিম্নবিত্তদের জন্য তেমন কোন কাজ নেই...
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
অশিক্ষিত ও কমশিক্ষিত প্রবাসীরা বিদেশে যাবার আগে কইছু জমি বিক্রয় করেছে; পরে পাকা বিশ্রী ১ তলা ঘর তুলেছে, আজীবনের আয় সেখানে শেষ।
দেখা যাক, শেখ হাসিনা টেলিভিশন দেখেন কিনা।
১৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১২
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: যারা শহরে ভাড়াটিয়া হিসেবে থেকে সামান্য বেতনে চাকুরী, বা ছোটখাট দোকান ইত্যাদি চালাতেন, তাদের কোন সন্চয় আছে কিনা আমার জানা নেই।-------
১. প্রথমতো, তাঁদের সঞ্চয় বলতে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, যারা বউ, বা্চ্চাসহ কিছু কামাই রোজগার করেছে তারা হয়তো সামান্য কিছু করেছে- তার মধ্যে বেশিরভাগ-ই জুন আপুর মন্তব্যের মতো;
২. ঢাকায় ১ জুন থেকে অধ্যাবদি বাজার উর্ধ্বমূখী - কোন কারণ খুঁজে পাই না- দোকানীদের ভাষায় পরিবহন সমস্যা (যেটা গ্রহণযোগ্য না), উত্তর বঙ্গে বন্যা ( সেটাও কাঁচাবাজারে প্রভাব ফেলার কথা না); -- সর্বনিন্ম তরকারি দাম ৫০-৬০ টাকা/কেজি, যা রোজায়ও ১০-৩০টাকা ছিল ( যদিও এই উচ্চমূল্য গ্রামের কৃষক পায় না) ;
৩. বাড়ীওয়ালাদের জমিদারি ভাব-সাব ( প্রতিবছর নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে ভাড়া বৃদ্ধি) থাকলে থাকেন নইলে বাসা ছাড়েন ?? ( আশাকরি এই ভাব-সাব ডিসেম্বরে বাড়ীওয়ালাদের পেটে টান পড়বে *** যে সকল জমিদাররা ভাড়ার টাকার উপর নির্ভরশীল) ;
৪. গ্রামের জমি চাষাবাদ ও শ্রমিক ব্যায়ের তুলনায় উৎপাদিত পন্য ধানসহ অন্যানের বিক্রয় মূল্য লোকসানেই যায়; ফলে কায়িক শ্রমে আগ্রহ হারিয়ে গেছে অনেক এলাকায়; প্রায়ই গ্রামে এখন কৃষক হওয়ার চেয়ে খামারি হওয়াটাই লাভবান মনে করে হাঁস মুরগি, গরু-ছাগল লালন পালন করছে - দুধ, ডিম বিক্রি আর সামনে আগত কোরবানীর অপেক্ষায়!! কিন্তু আসন্ন কোরবানীর ভবিষ্যত বানী আমি করতে পারবো না-- ( যে কোন সময় বেড়া ভেঙে্ খেতে গরু ঢুকতে পারে??)
৫. বিদেশ ফেরত কিংবা বিদেশে বসবাসরত জেলার মানুষ গুলো ইতোমধ্যেই অস্থিরতা বেড়েছে! যারা বিদেশে আছে ৭৫% পেটে ভাতে আছে - (মিডলইস্ট বেইজড), যারা দেশে আছে তারা না পারছে বিদেশে যেতে না পারছে দেশে -সমাজে খেটে খেতে !!!;
৬. কুমিল্লা, নোয়াখালী, বি-বাড়িয়ার লোকজনের গোল্ড বিক্রির প্রবণতা বেড়ে গেছে!!!! বিনিময়ে উক্ত এলাকার গোল্ড ব্যবসায়ীরা হন্ডিতে চালান করছে সীমান্ত দেশে -- আর আসছে হতাশা দূর করার টনিক! এবং
৭. সু-শাসন এখন কোথায় জানি না!!
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, এটাই চিত্র।
১৪| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৩
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।
শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী ভাই কেমন আছেন?
দীর্ঘদিন পর সামুতে ফিরে এলাম ।
আশা করছি সামুর সবাই ভাল আছে।
এসেই আপনার চমৎকার একটা পোস্ট দেখলাম।
সত্যিই দেশের এই একটা শ্রেনির বিরাট সংখ্যক মানুষ যাদের নিয়ে সরকার বা সংস্লিষ্ঠ কারো কোন পরিকল্পনা থাকেনা।
হ্যাঁ, এরা আসলেই নিজ দায়িত্বে দেশের জনগণ!!
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো থাকুন, এই খারাপ সময়ে সতর্খ থাকুন; নিজ পরিবারের প্রতি খেয়াল রাখুন।
১৫| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: করোনা না যাওয়া পর্যন্ত দেশে শান্তি আসবে না।
করোনা গেলে আবার মানূষ শহরে আসবে চাকরি পাবে। তাই এই করোনাকাল দুঃখে কষ্টে পার করতে হবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন সেটাই আশা। তবে, অনেক ব্যবসায়ী করোনার পরও অনেক সময় অবধি টাকা বিনিয়োগ করবে না।
১৬| ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: গ্রামে যারা যাবে তারা হয়ে যাবে বেদুঈন, গ্রামের মানুষরা হয়ে যাবে গোত্র প্রধান।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের তো বেদুইন প্রথা নেই, আছে যাযাবর প্রথা; জাতি অনেকটাই যাযাবরে পরিণত হয়েছে: বউ চট্টগ্রামে, স্বামী ওমানে, ছেলে ঢাকায় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে।
১৭| ২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫২
নূর আলম হিরণ বলেছেন: সরকার মনে হয় টাকা ছাপাবে সরকারি লোকদের বেতন দেওয়ার জন্য। দেশে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে।
২৮ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এ ব্যতিত সরকারের হাতে অন্য পথ আছে কিনা কে জানে! সরকার তো নিজের আয় ব্যয় সম্পর্কে মানুষকে জানায় না। শেখ হাসিনা যদি এই ধরণের সমস্যার সময়ে মানুষকে সরকারের অবস্হা জানতে দিতেন, ভালো হতো।
১৮| ২৮ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
চিরটাকালই ছিন্নমুল মানুষেরা নিরুদ্দেশের পথে অসহায় যাত্রা করেই এসেছে। এ তাদের ভবিতব্য।
আপনার চরম সত্য কথাটির মতো এরা সেই নিজ দায়িত্বে দেশের নাগরিক, কোনও নাগরিক অধিকারের বদলে নয়।
ফেনা ও জুন এর মন্তব্যগুলোর মতোই আমাদের এই খাসলতও এর জন্যে কম দায়ী নয়।
কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) মন্তব্যে আপনার আতঙ্কের অনেক ছবিই ফুটে উঠেছে।
মানুষ হয়তো এবারে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা একবার হলেও ভাবতে শিখবে।
আপনার পুরো পোস্টটাই আতঙ্কিত হওয়ার মতো বাস্তব সত্যগুলো নিয়েই গড়ে ওঠা।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদের জীবনযাত্রার মান কম ব্যয়-সাপেক্ষ; ফলে, আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান ছিলো সহজ, আমাদের সম্পদের মাঝেই হয় যেতো; কিন্তু সরকারের লোকেরা এত কম দক্ষ যে, এরা বর্তমান সভ্যতায় অন্য দেশগুলোতে ট্যাক্সি চালানোর চেয়ে ভালো কাজ পাবার কথা নয়।
১৯| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৬
শের শায়রী বলেছেন: আর একজনের কি তথ্য দেব? নিজেরই ত্রাহি মধুসূদন অবস্থা। ইয়া নফসি ইয়া নফসি সিচ্যুয়েশান। ঢাকায় আমি যে এলাকায় থাকি সে এলাকায় এখন বেশ কিছু টু লেট দেখছি স্বাভাবিক অবস্থায় যা চোখে পড়ে নি।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশকে যদি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে কড়াভাবে ২ মাস বন্ধ করে রাখতো, সব ফ্লাইট বন্ধ করে দিতো, খাবার ও ইমারজেন্সী গাড়ী ব্যতিত সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিতো, আজকে মানুষের এই অবস্হা হতো না; সরকারে কোন দক্ষ মানুষ নেই
২০| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: লোকে বলে প্রেম লুকিয়ে রাখা যায় না।
আমি বলি- টাকা লুকিয়ে রাখা যায় না।
যারা টাকার মালিক তারা নানান কর্মকান্ড করে টাকা দেখাতে চান। টাকা দেখাতে গিয়ে তারা ব্যবসায় নামেন। তাতে সাধারন মানূষের উপরকার হয়।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে সবাই ব্যাংকলোন নিয়ে ব্যবসা করে, লাভের টাকা ও কালো টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনে, কিংবা বিদেশে নিয়ে যায়।
২১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৫
আহা রুবন বলেছেন: আমি এখন গ্রামে আছি। যতটুকু বুঝতে পারছি মানুষ ধরেই নিয়েছে সরকার খামোখা সব বন্ধ করে রেখেছে। রোগের ভয়াবহতা সম্পর্কে কোনও ভয়-ডর নেই, আবার অবাক করার বিষয় গ্রামে যখন একজন আক্রান্ত হল সবাই দল বেঁধে গেল তাকে গ্রাম থেকে চলে যেতে বলতে।
শুরুতেই সরকার রোগ সম্পর্কে ঠিকঠাক প্রচার ও পদক্ষেপ নেয়নি, অধিকন্ত মোল্লারা ছড়িয়েছে ইহা মুসলমানের ক্ষতি করবে না। নিজেকে রক্ষার দায়ীত্ব নিজেকেই নিতে হবে এবং যথাসম্ভব কাজ-কর্ম চালিয়ে যেতে হবে। নয়ত করোনা মারার আগে না খেয়ে মরতে হবে।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
জানুয়ারী থেকে জাতীয় টেলিভিশনগুলোতে ডাক্তার ও শেখ হাসিনা যদি রোগের প্রতিরোধ সম্পর্কে ও পদ্ক্ষেপের কথা মানুষকে শিখাতেন; দরকারী "মহামারী টিম" গঠন করে ৫/৬ লাখ ছাত্রকে ভলনটিয়ার করে, সরকার সবকিছুতে কন্ট্রোল রাখতো, মানুষ সরকারের সাথে থেকে কাজ করতো। এখন দেরী হয়ে গেছে।
২২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৯
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দেশের মানুষ ভালো অবস্থায় নেই।
২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে সরকার ও মানুষ মিলে যেই বিশৃংখলা করেছে, ইহাকে দেশ বলাও কঠিন ব্যাপার।
২৩| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখছি ।
টেলিফোনে আত্মিয়স্বজন ও পরিচিতজনদের নিকট হতে সে সমস্ত খবর শুনছি তাতে খুবই অতংকের মাঝে আছি ।
টেলিফোনে অনেকের অনুরোধ রাখতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছি । দেশের গ্রামাঞ্চলে নাকি চুরী চামারী আশংকাজনক ভাবে
বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার লোকজন পালা করে রাতে বাড়ীঘর পাহারা দিচ্ছে । ধনী নির্ধন কেও নিরাপদ নয় । একদিকে করোনার
বিপদ আর দিকে চরম আর্থিক দুরাবস্থা । এর হাত হতে মুক্তির জন্য ইমিডিয়েট , স্বল্প মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি উপযুক্ত পরিকলনা
প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন । বিষয়গুলির কিছু অংশ নিয়ে আমার চিন্তাভবনা তুলে ধরে পৃথক একটি পোষ্ট দেয়ার কথা
সক্রিয়ভাবে ভাবছি।
২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ষরকার ব্যতিত এই ধরণের সমস্যা কেহ সমাধান করতে পারবে না
২৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ৭১ এ গ্রামের মানুষ ছিল সচ্ছল ও বন্ধু বৎসল তাই
গ্রামে যারাই গিয়েছে প্রচুর সহায়তা পেয়েছে,
আমি নিজে ও গ্রামের পর গ্রাম হেটে গেছি, মানুষের মনে
কিযে সহানুভুতি, যেন নিজের ভালোটা দিয়ে কি ভাবে উপকার করা যায়
তার ব্যস্ততা, উৎকন্ঠা দেখেছি !
............................................................................................
বাস্তবতা বড়ই কঠিন , এখন করোনার ভয়ে উঠান লোকে ভরে উঠে না,
উপরন্ত ভয়ে ভয়ে থাকে, কি জানি করোনা নিয়ে এলো কিনা ।
আগামী ৫/৬ মাস কঠিন সময়, এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দেশে না
আসলে, প্লেগের মতো মহামারী দেখতে হবে ।
২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আগামী ৫/৬ মাসে ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাওয়া যাবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
২৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২০
রাকু হাসান বলেছেন:
আপনার এই পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ । পত্রিকায় পড়লাম হাজার হাজার বাসা ছাড়ছে। শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে দিচ্ছে। স্কুল বিক্রির মত ঘটনা খবরে আসছে। এদের কারও সাথে সকরারের সম্পর্ক নেই। ক্রমে সম্পর্কে দূরত্ব জিনিসটা ভালো না । দূরত্ব কমালে লাভ হবে । একা আর কত ভালো রাখা যায়!
২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার মানে ক্যাবিনেট, প্রশাসন ও দলের সামান্য অংশ; বাকীরা যাযাবর।
২৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৪৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখক বলেছেন : সরকারের ভেতর লুকিয়ে থাকা দুষ্টরা শেখ হাসিনার মাথায় কদুর তেল ঢেলে 'রেসকিউ প্যাকেজ' নিয়ে হোটেল সোনারগাঁয়ে পার্টি করছে।
কি নির্মম সত্য !
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনাকে ঠিক বেগম জিয়ার মতো করে নাচ্চাচ্ছে ব্যুরিক্রেটরা ও প্রশাসন; ওটাকে ম্যাডাম ডাকতো, এটাকে নেত্রী ডাকে।
২৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৮
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: জুন আপুর সাথে আমিও একমত। আম্মুর সাহায্যকারী একজন মহিলা ছিলেন। খুবই নরম আর সহজ সরল প্রকৃতির। চাচী বলে ডাকতাম উনাকে। চাচীর তিনটি সন্তান। উনার হাসব্যান্ড অন্য শহরে রিক্সা চালাতো। চাচী আর তার সন্তানগুলোকে তিনবেলা খাবার দেয়া হতো, যদিও এমন কোনো চুক্তি ছিলোনা। মানবিক দিক বিবেচনা করে দেয়া হতো। মাসিক বেতন তো ছিলই। তাদের দুইজনের ইনকামে সেভিংস হবার কথা। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় কয়দিন পরপর ই উনি সমিতি থেকে লোন নিতো। আম্মু বুঝানোর চেষ্টা করেছে এই ফাঁদ নিয়ে। কিন্তু চাচির কথা যে লোনের বোঝা না থাকলে তার স্বামী বাড়ি এসে বসে থাকবে। অলস সময় কাটাবে।যে কয়টা পয়সা জমবে সেগুলো উড়িয়ে ফেলবে। তাই এই বুদ্ধি।ওই শ্রেণীর অনেকে এভাবে আলসেমি করে অভাবে জীবন কাটায়। এরা আসলে 'পুওর বই চয়েজ।' কারণ আম্মু খুব চেয়েছিলো, তারা স্বচ্ছল হোক।
২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার আম্মূ ও আপনি পড়ালেখা জানা মানুষ, ওরা অশিক্ষিত। ওদের শিক্ষিত করতে সরকারের হয়তো ৫০ হাজার টাকা খরচ হতো, কিন্তু আজকে জাতি সুইডেনের মতো থাকতে পারতো।
২৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: টাইপো: পুওর বাই চয়েজ
২৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ছিন্ন মূল মানুষ চলে যায় শহর ছেড়ে গ্রামে
লক ডাউনে বন্দী নগর যেন এক জেলখানা
এখানে নেই তাদের কোন জীবিকার আয়োজন;
বেঁচে থাকার কোন অবলম্বন ।
যা ছিল সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে তার সব
রিক্ত নিঃস্ব হাতে তবুও তো দেহে প্রাণ আছে
এই মরণ উপত্যকা থেকে পালিয়ে
বেঁচে থাকার তাগিদে তাই তারা চলে যায়
শহর ছেড়ে গ্রামে, তবুও যদি অন্ন জুটে;
হয়তো সেখানে আছে শুধু থাকিবার আশ্রয়!
যদিও অনেকেই সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে
অর্থ কড়ি হাতে নিয়ে এসেছিল শহরে,
জীবিকার অন্বেষণে; হয়তো খুব বেশি ছিল না
আয় রোজগার, তবুও তো চলে যেত টেনে টুনে
টঙ দোকানে অথবা গার্মেন্টসে শ্রমের বাজারে চাকরি নেই এখন আর।
সাথে যা ছিল টাকা কড়ি সঞ্চয়
করোনায় শেষ হয়ে গেছে সব ব্যর্থ মনোরথ
হয়ে তারা তাই ছোটে যায়
এক বুক হতাশা লয়ে বুকে শহর ছেড়ে গ্রামে।
জানেনা ললাটে কি আছে শুধু জানে যেতে হবে
শহর ছেড়ে গ্রামে বিদেশের বাজারেও নেমেছে ধ্বস রেমিটেন্স এর প্রবাহ হয়তো নেই আর
আগের মতো করোনার কড়াল গ্রাসে পড়ে ।
জীবন ও জীবিকার অন্বেষণে ছিন্নমূল মানুষেরা
ছুটে যায় হায় কতোটা অসহায় মানুষ আজ
করোনা সঙ্কটে পড়ে , জীবন যাত্রা বদলে যায়।
করোনা সময়ের দর্পন ,
কত পরিবর্তন তোমার কারণে
ভেবে ভেবে দিন যায় অঘোর বর্ষায়
মেঘমালা ভেদ করে ছড়ায় আলো চাঁদ
নদী গুলোও এখন সর্বনাশা
বিপদসীমার ওপর দিয়ে হয় প্রবাহিত
নদী ভাঙনের আশঙ্কা তাই জনমনে
তবুও তারা চলে যায়,
শহর ছেড়ে গ্রামে নিদারুণ অসহায়।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা টাকা দেবেন কারখানার মালিকদের, ছিন্নমুলদের দেবেন না।
৩০| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: যেই চাচির কথা বললাম, উনার হাসব্যান্ডের বড় ভাইয়ের দুই বউ। সেও খেটে খাওয়া মানুষ। তাই, সবার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে পারেনা। কিন্তু তার এক ছেলে মেধাবী। ছেলেটা নিজ আগ্রহে পড়াশোনা করতো। সে এখন ভালো চাকুরী করছে এবং পরিবার নিয়ে ভালো আছে। সেই ছেলেটা আমার পরিচিত একজনের কাছে তার পড়ালেখায় আম্মুর ব্যক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে গল্প করেছে। তার আগে আমার এসব জানা ছিলোনা। তখন মায়ের কাছ থেকে আরো গল্প শুনলাম।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আমার মা কিছুদিনের জন্য একটা এনজিও তে যুক্ত ছিলেন। এলাকার মানুষের মানোন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করার কাজ, শিক্ষা বিস্তারের কিছু কাজও করতেন। কিছুজন গরিব কিন্তু মেধাবী ছিলেন যাদের পয়সার অভাবে এস.এস.সি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ সম্ভব হতোনা।খাতা -কলম কেনার সামর্থ্য থাকতোনা। তখন ওই এনজিওর মাধ্যমে তিনি সেই সুযোগটা করে দিতেন। তাঁর ভাষ্যমতে, যারা চায় তারা নিজের চেষ্টায় অনেকদূর উঠে আসে। কিন্তু যারা চায়না, তাদের মোটিভেট করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এমন আরো কয়েকজনের গল্প বললেন, যাদের কিছুই নাই কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। দেশের বেশ সুনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের গল্প করলেন, যার পরিবারকে তিনি খাবার দিয়ে, অর্থ সাহায্য দিয়ে এমনকি ছোটবেলায় ওই ছেলেটিকে পড়িয়ে সাহায্য করেছেন। এসব গল্পের মাধ্যমে আসলে তাদের আর্থিক দৈন্যতা সত্বেও কতদূর এগিয়ে গেছেন, সেটা বুঝাতে চেয়েছেন।
আম্মু টিচার জন্য হয়তো চান সবার ঘরে শিক্ষার আলোটা জ্বলুক। সেজন্য নিজে যেভাবে পারেন সাহায্য করার চেষ্টা করেন, উৎসাহিত করেন। আগের চেয়ে মানুষের মাঝে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু কিছুজন নিজে থেকেই সুযোগ নিতে চায়না।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
কয়জন মানুষ জানেন যে, এই ধরণের সাহায্য পাওয়া সম্ভব?
৩১| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৭
মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: দেরিতে মন্তব্য করলাম, অন্যদের মন্তব্য জানলাম। খুবই ভাল পোস্ট। বিভিন্ন সংবাদে জানতে পারছি যে, জুলাই মাসেই আসছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভ্যাকসিন। শুনেছি এটি নাকি তৃতীয় ট্রায়ালে ও সফল। যদি সঠিক হয়, বাংলাদেশ কখন পেতে পারে ?
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো সংবাদ, আমি আপনার কাছে শুনলাম। যেখান থেকে টিকা আসুক, বাংলাদেশ পাবে; হয়তো, একটু সময় লাগবে।
৩২| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
জাহিদ হাসান বলেছেন:
আমরা সবাই ছিন্নমুল ও অসহায় হয়ে যাচ্ছি।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বেকুব রাখালের ভেঁড়াকে নেকড়ে খায়
৩৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: নীল সাধু নাকি নাকি করোনায় আক্রান্ত। উনি নিজের তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার সুস্হতা কামনা করছি; উনি নিজে বলে থাকলে, একটু সন্দেহ হচ্ছে।
৩৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৩
হাসান রাজু বলেছেন: প্রাইভেট চাকুরেদের অবস্থা আরও খারাপ। তাদের বেতন ৩০/৪০/৬০ ভাগ কেটে দেয়া হচ্ছে। এটা মালিকদের নতুন সাশ্রয়ের একটা খাত তৈরি করে দিল। এখন থেকে এই ঐ ছুতায় এটার ব্যাবহার বাড়বে।
বেতন কর্তনের কারনে চাকুরেরা কোন ডিসিশন নিতে পারবে না। যে, ঢাকায় থাকবে নাকি ঢাকা ছাড়বে। এমন এক সময় তাকে ঢাকা ছাড়তে হবে যখন তার সেই সাধ্যটা ও থাকবে না।
২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাইভেটরাই দেশ চালায়, প্রাইভেটের কর্মচারীদের করোনাকালীন বেতন নিয়ে সরকার কোন নিয়ম কানুন জারী করেছে বলে মনে হয় না।
প্রাইভেটরা হাসপাতাল ও ইউনিভার্সিটি চালায়, বাকী আছে, প্রাইভেটদের ব্যবসা থেকে দেশের প্রেসিডেন্টকে বেতন ও ভাতা দেওয়া।
৩৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই টা আপনার লেখার উপর আমার লেখা কবিতা। সময়োপযোগী লেখা আপনার।
উদ্দোক্তারা কারখানায় লস দেখিয়ে ব্যাংকের টাকা লুট করে এভাবেই চলতে থাকে লুট। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাপ ও এসব জালেমদের মানুষ করতে পারে নি। তিনি ও পারবেন না।
৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রধানমন্ত্রীর আধুনিক বিশ্বকে বুঝেন না, এটাই সমস্যা
৩৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:১৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: এই যুগে অধিকাংশের অবশ্যই জানার কথা। আপনাকে যেসব ঘটনা বললাম, সেগুলো তো অনেক আগের। আমার জন্মের আগের অথবা ছোটবেলার। এতদিনে মানুষ অনেকবেশি জানার সুযোগ পেয়েছে। আশেপাশের যেসব ছেলেমেয়ে সংগ্রাম করে উচ্চশিক্ষিত হয়েছে, তাদের দেখেও উৎসাহিত হবার কথা।
৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আধুনিক ছেলেমেয়েরা বিশ্ব দেখছে, কিন্তু তারা আমাদের সরকার থেকে কিছু পাচ্ছে না, এবং সরকারকে কিছু দিতে পারছে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: মানুষ কিভাবে টিকে থাকবে এটা বলা মুশকিল। কিছুদিন আগে দেখলাম একজন শিক্ষিত ছেলে সব্জির ব্যবসা করছেন। ছেলেটি আগে টিউশনি করে চলত। করোনায় সব বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিপদে পড়েন এবং বাধ্য হয় সব্জির ব্যবসা করছে। হয়ত নিম্ন আয়ের অনেক মানুষই এই পথ বেছে নিবেন। আবার চুরি ডাকাতিও বাড়তে পারে।
এখনকার যুগের মানুষ কতটা সঞ্চয়ী এটা বলাও মুশকিল। অল্প আয়ের মানুষ গুলো হয়ত সব টাকা সংসারেই খরচ করে ফেলেছেন, যার করানে সঞ্চয় করতে পারেননি। আবার অনেকেই আছেন ইচ্ছে করে হয়ত সঞ্চয় করেননি।
সঞ্চয়ী হওয়াটা কতটা জরুরী করোনায় এখন হারে হারে টের পাচ্ছে সবাই।