নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাজউদ্দিন সাহেব এত বড় পদের জন্য যোগ্য ছিলেন না

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২২



১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট, সামরিক ক্যু'এর রাতে যুদ্ধকালীন সময়ের প্রধানমন্ত্রীকে কেন হত্যা করা হয়নি? ষড়যন্ত্রকারীরা হয়তো ভেবেছিলো যে, তাজউদ্দিন আহমেদ ক্যু-কারীদের বিপক্ষে অবস্হা নেবে না; অথবা ক্যু'এর সময় উনাকে হত্যা করার মতো জনবল তাদের ছিলো না; কিংবা, যাদের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো, তারা কোন কারণে তা পালন করেনি।

শেখ সাহেবের হত্যার খবর পাবার পর, তাজউদ্দিন সাহেবের মনে প্রথম ভাবনাটা কি হওয়ার কথা? যারা শেখকে হত্যা করেছে, কি কারণে তারা উনাকে হত্যা করেনি? পরবর্তী টার্গেট কে? এখানে তাজউদ্দিন সাহবে কমবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছন: উনার বুঝার দরকার ছিলো যে, পরবর্তী টার্গেট উনি, সেটা তিনি বুঝতে সক্ষম হননি।

শেখের হত্যার খবর কানে আসার সাথে সাথে উনার দরকার ছিলো বাসা থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে যাওয়া ও যেকোন প্রকারে কমপক্ষে ভারত চলে যাওয়া। তিনি কিছুই করেননি, নিজের বাসায় বসেছিলেন, অপেক্ষা করছিলেন কখন মিলিটারী এসে ধরে নিয়ে যায়। উনি বাসায় ছিলেন ৭ দিন; আসলে, উনার উচিত ছিলো বাসায় ৭মিনিটও না থাকা।

যেই ৭ দিন তিনি বাসায় ছিলেন, সেই ৭ দিনে ক্যু'এর পক্ষের লোকেরা নিশ্চয় উনার সাথে যোগাযোগ করেছে; উনি অবস্হা বুঝার সুযোগ পেয়েছিলেন। এ'ছাড়া নিশ্চয়, আওয়ামী লীগের কেহ না কেহ উনার সাথে যোগাযোগ করেছিলো, দলের বাইরের মানুষের সাথে উনার নিশ্চয় যোগাযোগ হয়েছিলো; তারা কি বলেছে? কাদের ছি্দ্দিকী শেখ হত্যার বিপক্ষে অবস্হান নিচ্ছিল, সেটা উনার জানার কথা। তখনো আওয়ামী লীগ খুবই শক্তিশালী ছিলো, দরকার ছিলো নেতৃত্ব, উনি গোপন অবস্হানে গিয়ে মওলানা ভাসানীর সাথে যোগাযোগ করলে, উনি সঠিক বুদ্ধি পেতেন।

বেতনহীন ভলনটিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরী কেন উনি শেষ করেছিলেন, সেটা হয়তো তিনি কোনদিনও ভেবে দেখেননি, নিজের লোকদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) দুরে সরায়ে দিয়ে, উনি ভয়ংকর বেকুবীর পরিচয় দিয়েছিলেন; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা উনাকে কখনো ফেলে দিতেন না; তখন, চট্টগ্রাম ও টাংগাইলে বিপুল পরিমাণ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, যেখানে উনি বিশাল সাপোর্ট পেতেন; উনি যদি চট্টগ্রাম, কিংবা টাংগাইল গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এলাকায় উঠতেন, উনি মিলিটারীর ধরাচোঁয়ার বাইরে থাকতেন। উনি বাইরে থাকলে, ইন্দিরা গান্ধী কিছু একটা ভেবে বের করার চেষ্টা করতেন, হয়তো।

মন্তব্য ৮০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

আকন বিডি বলেছেন: ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট?

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, টইপো; ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

আকন বিডি বলেছেন: অনেক কিছুই করতে পারতেন। উনি চুপ করে কেন বসে ছিলেন? তাও সাত দিন। শুধু তিনি না, অন্য সবাই কিছুই করেন নাই। বরং সুবিধা নিয়েছে।
আর উপরের কমেন্ট মুছে দিন।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



তিনি বড় পদের জন্য অযোগ্য ছিলেন; উনার উপর যেসব ক্রিটিক্যাল দায়িত্ব ছিলো, উনি একটাও সঠিভাবে করতে পারেননি; উনার অর্থহীন, নির্মম মৃত্যই সেটার বড় প্রমাণ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: লেখা সাবলীল ও নতুনত্ব আছে।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কোন জেনারেশনের?

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বঙ্গবন্ধু সব সময় ভুল করতেন !!
ওই পদে আপনাকে বসালে আজ
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যেতো!

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সিংগাপুরের লোকজন ছিলো চোর, ডাকাত; এই জন্য তাদেরকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেয়া হয়; বাংলার মানুষকে চোর ডাকাতে পরিণত করেছে জেনারেল জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনা; আমারা অবশ্যই সিংগাপুর থেকে ভালো থাকতাম, ইডিয়ট জিয়া আমাদেরকে দাসের জাতিতে পরিণত করে গেছে।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

শাহ আজিজ বলেছেন: কেউ কস্মিনকালেও ভাবেনি স্বাধীন বাংলাদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে । শেখ হত্যার পরে আমরা সবাই স্তব্দ হয়ে নির্বাক চেয়ে ছিলাম । হ্যা এটা ঠিক যে তাজউদ্দীন সাহেব তো আমার মত স্তব্দ হতে পারেননা । তার পূর্বাপর অনেক তথ্য জানা ছিল এবং যা ঘটে গেছে তার পরেই যেমনটি তিনি ২৫ মার্চ তার কোমরে পিস্তল আর বাজারের ব্যাগ নিয়ে নদী পেরিয়েছিলেন ঠিক তেমন অ্যাকশন তাজ সাহেবের দরকার ছিল । তিনি তখন বরখাস্তকৃত অর্থমন্ত্রী বিধায় তার হয়ত দ্বিধা দন্ধ ছিল । হয়ত ভেবেছিলেন ক্যু এর সেনা অফিসাররা তার কিছু করবেনা , ভারত নিশ্চয়ই অ্যাকশনে যাবে ইত্যাদি । আদতে গোটা বিষয় ভণ্ডুল হয়ে গিয়েছিল মেজরদের নিজেদের মধ্যেকার কোন্দলে । এর শিকার জেলখানায় সরবচ্চ নেতাদের হত্যা এবং হত্যাকারীরা সহজে পালাতে পেরেছিল বা পালাতে সহায়তা করেছিল অদৃশ্য প্রশাসন । গোয়েন্দা বিভাগ কিন্তু শেখ সাহেবকে প্রেসিডেন্ট ভবনে চলে যাওয়ার পরামর্শ আগেই দিয়েছিল কিন্তু শেখ তা শোনেননি । ৭৫ সালে ভাসানি প্রায় বাতিল অবস্থা , প্রায় তাজউদ্দীনের মন্ত্রিত্ব থেকে বহিস্কারের মত - কে কাকে আশ্রয় দেয় --------- ।

খুব দুশ্চিন্তাপূর্ণ সময় কাটিয়েছি ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ সাহেব ভালো ও বুদ্ধিমান ছাত্রলীগার ছিলেন; সাথে সাথে তাজুদ্দিন সাহেব ছিলেন সবচয়ে কমবুদ্ধিমান যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী। যুদ্ধকালীন প্রেসিডেন্ট ছিলেন শেখ সাহেব; পাকিস্তান থেকে ফেরার পর, উনার দরকার ছিলো নিজ পদে যোগ দেয়া।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: তাজউদ্দিন আহমেদ তখন রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না ।
সিআইএ তাঁকে পছন্দ করার কারণ ছিল না । সিআইএ জিয়াকে ঠিক করে রেখেছিল ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজনীতিবিদরা সারাক্ষণ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। তাজুদ্দিন সাহেব এতটুকুই ছিলেন।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্যরি, মওলানাকে নিয়ে কোন একজনের মন্তব্য ছিলো, "মওলানার তাতক্ষনিক রিএ্যাকশন কি ছিলো", যথাসম্ভব। মন্তব্যটা আমার ভুলেমুছে গেছে।

মওলানা ভয়ে ছিলেন; উনি জানতেন যে, বাংলাদেশ মিলিটারীর লোকদের মরাল নীচু ছিলো।

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি মাঝে মাঝেই ভাবি।

ভাবি আর অবাক হই। 15 আগস্টে এত বড় হত্যাকাণ্ড ঘটার পরেও তাজউদ্দিন আহমেদ কোন বিবেচনায় ঢাকার বাসায় অবস্থান করছিলেন?

উনার তো উচিত ছিল ঢাকা ত্যাগ করে গোপনে অন্য কোথাও চলে যাওয়া এবং অজ্ঞাত স্থান থেকে দলীয় নেতৃত্ব দেয়া। উনি সেটা না করে ঘরে বসে রইলেন কিসের আশায়?

১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সব চেয়ে খারাপ সময় গেছে ।

মানুষ মনে হয় হত বিহ্বল হয়ে পড়েছিল । নেতারা তো বটেই।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগের কাজ ছিল প্রতিবাদ করা; ইহা ছাত্র রাজনীতির লক্ষণ; আওয়ামীলীগ দেশের স্বাধীনতায় মানুষের ভুমিকা বুঝতে পারেনি, মানুষের অধিকার ইত্যাদি ওরা তখনও বুঝতো না, এখনো বুঝে না; আোয়ামীলীগের নেতাদের অপক্কতার কারণে ১৯৭৫ সালে ক্যু করা সহজ হয়েছিলো।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮

সোহানাজোহা বলেছেন:




আমার আব্বা একটি কথা বলেন। “কেউ খারাপ নয়। ১৯৭০ - ১৯৮০ পরিস্থিতি ও সময় ভালো ছিলো না”। কথাটি আমার আব্বারও নয় কথাটি আমার আমার দাদাজানের। তাজ উদ্দিন সাহেব সঠিক ছিলেন। সঠিক ছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীও। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার।

ভিন্ন বিষয়: কি পরিমান চাইনীজ সিঙ্গাপুর ছেড়ে চীনে চলে যাবেন তা এখনো জানা যাচ্ছে না। ব্যবসা একটির পর একটি শাট ডাউন হচ্ছে। বিশেষ করে ১ম কাতারে আছে হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট। ২য় কাতারে আছে গার্মেন্টস টেক্সটাইল মার্চেন্ট ট্রেডিং হাউজগুলো।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধরলাম, সবাই পরিস্হিতির শিকার; কিন্তু কথা হলো, একটা রাষ্ট্রে পরিস্হিতি কন্ট্রোলে করে সরকার ও সরকারের দায়িত্বশীলরা; নিজ দায়িত্ব পালন না করলে পরিস্হিতি বিপক্ষে চলে যায়।

সিংগাপুরের আয় হচ্ছে ব্যবসা ও বিদেশীদের ব্যবসায়িক কারণে ওখানে অবস্হানের কারণে; করোনা কি কন্ট্রোলে নেই?

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তাজউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে আমাদের ধারনা বাস্তবতা থেকে একটু ভিন্ন।৭১ যা কিছু ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের পরিক্ল্পনা মত ঘটেনি,৭৫ তো প্রশ্নই আসে না।৭১ কাদের সিদ্দিকী ভারতে যায়নি,৭৫ যেতে বাদ্য হয়েছে।তারা কেহই বিপ্লবী না।
৭২ এর পরে আওয়ামী লীগ মুক্তি যোদ্ধাদের নিয়ে যা করেছে তাতে করে৭৫ এর পর একজন মুক্তি যোদ্ধাও তাদের পক্ষে থাকতো না এটা তাজউদ্দিন সাহেব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিলেন,তাই ঐ পথ মাড়ান নি।৭১ আর ৭৫ এর প্রেক্ষাপট সম্পুর্ণ ভিন্ন।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৭৫ সালে, মুক্তিযোদ্ধারা আসলে তাজুদ্দিন সাহেবকে মুছে ফেলেনি; উনি হয়তো মুছে ফেলেছিলেন; উনি ভুল করেছেন প্রতিটি পদক্ষেপে; উনার সাথে জাতির স্বপ্নটা কবরে চলে গেছে।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭

সত্যপীরবাবা বলেছেন: কেউ খারাপ নয় ...... তাজ উদ্দিন সাহেব সঠিক ছিলেন। সঠিক ছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীও। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার।
সেই যুক্তিতে ৭১ এ ৩০ লক্ষ শহীদ 'পরিস্থিতির স্বীকার', ২ লক্ষ নারী ধর্ষিত পরিস্থিতির কারনে !!!!! পাইক্যা বাহিনী পরিস্থিতির কারনে গনহত্যা আর ধর্ষণে "বাধ্য" হয়েছিল!!!!!!! যুক্তির সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



উহা সেনা বাহিনী ছিলো না; পাকিস্তানে আটকে-পড়া সৈন্যদের এয়ারপোর্ট থেকে রিটায়ারমেন্টে পাঠানোর দরকার ছিলো; তাদেরকে বেনেফিট দিলে সবকিছু সঠিক হতো।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯

সোহানাজোহা বলেছেন:




সিঙ্গাপুর চাইনিজদের দেশ। সরকারি খবর মোতাবেক আজকে আক্রান্ত ২৭৭। মৃত্যু ২৭। নিউজ পেপারগুলো বাংলাদেশের মতো মনগড়া/ ইচ্ছেমতো/সত্য খবর এখানে পত্রিকায় লেখা সম্ভব নয়। সরকার ফিল্টার করে দিবেন তারপর নিউজে ছাপা হবে। সমগ্র বিশ্বের বিজনেস হাব সিঙ্গাপুরে আছে। এশিয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ সি পোর্ট, কার্গো হ্যান্ডেলিং ও ট্রানজিট পোর্ট সিঙ্গাপুর। যে কোনো মূল্যে সিঙ্গাপুর তার সুনাম অক্ষুন্ন রাখবেন। সিঙ্গাপুর আন্ডার কন্ট্রোল।

আমিও আমার লেখা মন্তব্য ফিল্টার করেছি।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক।
ওরা সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১

সত্যপীরবাবা বলেছেন: কেউ কি জানেন ১৯৭৫ এ সেনাবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা এবং পাক-ফেরত অনুপাত অফিসার লেভেলে কত ছিল?

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবই তো পাক-ফেরত, না হয় লুকিয়ে থাকা অফিসার; যুদ্ধে বেংগল রাজিমেন্টের ৫০/৬০ জন অফিসার ছিলেন, হয়তো।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সোহানাজোহা বলেছেন:

আমার আব্বা একটি কথা বলেন। “কেউ খারাপ নয়। ১৯৭০ - ১৯৮০ পরিস্থিতি ও সময় ভালো ছিলো না”। কথাটি আমার আব্বারও নয় কথাটি আমার আমার দাদাজানের। তাজ উদ্দিন সাহেব সঠিক ছিলেন। সঠিক ছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীও। সবাই পরিস্থিতির স্বীকার।

এই জাতীয় দুকূল রাখা কথার কোন যুক্তি নেই। নেই কোন সারমর্ম। যিনি বলেন তিনি নিজেও জানেন না এই কথার কি মানে।

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৬

সোহানাজোহা বলেছেন:




চাঁদগাজী সাহেব আমি দুজনের মন্তব্য উত্তর দিচ্ছি। প্লিজ, আপনি উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে

১৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২

সোহানাজোহা বলেছেন:




সত্যপীরবাবা ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আপনারা জীবন দেখেন নি, দেখেন নি তৎকালীন সময়ও। আমি আপনাদের দোষ দিচ্ছি না। না জানাটা কখনো দোষের না। পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান দুটি ভিন্ন দেশই নয় জাতি হিসেবেও ভিন্ন জাতি। পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যা করেছে তার ফল আজও ভোগ করছে। ১৯৭২ উত্তর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিকগণ ও বাংলাদেশ সরকার এই দেশের সন্তান।

ক্ষমতার লোভ কি তা আপনারা জানেন না, কারণ ক্ষমতার আগুন সামনা সামনি দেখার সুরেযাগ পাননি জীবনে। যদি সামান্যতম ক্ষমতার আগুন দেখার সুযোগ পেতেন তাহলে আমার মন্তব্য কোট করার আগে দশবার ভাবতেন। তারপরও আপনাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।

১৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪

সোহানাজোহা বলেছেন:




১৯৭৫ থেকে আজব্দি যতোগুলো রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে সব ক্ষমতার লোভে। আর ক্ষমতার লোভ সময় ও পরিস্থিথি তৈরি করে। আপনারা হয়তো বুঝবেন না, কারণ সময় ও পরিস্থিতি কি তা বোঝার জন্য শিক্ষা ও জ্ঞান প্রয়োজন। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন যিনি এই কথা বলেছেন তার সাথে দেখা করতে পারা জীবনের সৌভাগ্য। তার একটি ফোনকলে আপনার মতো রেমিটেন্স যোদ্ধার বাংলাদেশে বিনা ইন্টারভিউতে প্রথম শ্রেণীর প্রাইভেট প্রতিষ্টানে চাকরি হয়ে যায়।

ক্ষমতা ভয়ঙ্কর! ক্ষমতার কাছে টাকা পয়শা কিছু না। ক্ষমতা অর্থ সরকার।

১৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামে লিখেছেন তাজুদ্দিন তার নাম তাজউদ্দিন।

উনি একজ গ্রেট নেতা। সৎ নেতা।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, উনার নাম তাজউদ্দিন? ওকে ।

তাজউদ্দিন সাহেব যদি বেঁচে যেতেন, জিয়া ২/১ বছর ক্ষমতায় থেকে, পরে পালিয়ে যেতো।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার এই লেখাটা হয়তো আপনার চোখে পড়েনি। সময় পেলে একবার চোখ বুলাবেন।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার মেয়ে বাবাকে নিয়ে লিখেছেন, যা লিখেছেন, ওকে।

মেয়েটাকে আমি চিনি, ২০০১ সালেও দেখা হয়েছিলো ভার্জিনিয়ায়; বাচ্ছাদের বই লেখেন।
আমরা যেভাবে তাজউদ্দিন সাহেবকে দেখি, মেয়ে সেটা বুঝার মতো অবস্হানে নেই।

২০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৬

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সোহানাজোহা
১)সত্যপীরবাবা ও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আপনারা জীবন দেখেন নি, দেখেন নি তৎকালীন সময়ও।
তৎকালীন সময় দেখিনি, সত্য, কিন্তু জীবন দেখি নাই --এই কথার অর্থ কি?

২)যদি সামান্যতম ক্ষমতার আগুন দেখার সুযোগ পেতেন তাহলে আমার মন্তব্য কোট করার আগে দশবার ভাবতেন।
আপনার মন্তব্যের সারবত্তা হল -- সেনাবাহিনীর কর্মকান্ড সঠিক ছিল সেই সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। 'ক্ষমতার আগুন' কি ভাবে শেখ মুজিবের প্রায় পুরো পরিবার বা জেলে চার নেতার হত্যা হালাল করে?

৩)তার একটি ফোনকলে আপনার মতো রেমিটেন্স যোদ্ধার বাংলাদেশে বিনা ইন্টারভিউতে প্রথম শ্রেণীর প্রাইভেট প্রতিষ্টানে চাকরি হয়ে যায়।
ভীষন অপমানজনক কথা বলেছেন। আপনার অহেতুক কোলিন্যবোধের পরিচয়ও পা্ওয়া যায়। বোঝাই যাচ্ছে উনি (এবং তাঁর নাতনি হিসেবে আপনিও) বাংলাদেশের সুবিধাপ্রাপ্ত (privileged) ক্ষমতাবলয়ের কাছাকাছি থাকা পরিবারগুলোর একটি। এই পরিবারগুলোর কোনোটাই গুন অথবা যোগ্যতার বিবেচনায় ক্ষমতাবলয়ে প্রবেশ করে নাই। কিভাবে প্রবেশ করেছে সেটা উল্লেখ করে আপনার মন খারাপ করাতে চাই না। কাজেই "বিনা ইন্টারভিউতে প্রথম শ্রেণীর প্রাইভেট প্রতিষ্টানে চাকরি হয়ে যায়" এটা উনার কোনো বদান্যতা না, স্রেফ ক্ষমতা দেখানোর অভিলাষ। আপনি যেহেতু সুনিশ্চিত ভাবে জানেন "চাকরি হয়ে যায়", তার মানে ক্ষমতার এই অপব্যবহার তিনি আগেও অনেকবার করেছেন।

বিষয় বহির্ভূত একটি প্রশ্ন আছে, অস্বস্তিকর হলে উত্তর না দিলেও চলবে --- আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়েও কি ওনার ফোনকলের দরকার হয়েছিল? দয়া করে 'উচ্চ শিক্ষায়' এইসব খাটে না জাতীয় যুক্তি দিয়েন না -- অর্থ বা প্রভাবের হাত অনেক লম্বা।

২১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৩

সোহানী বলেছেন: ১৯৭৫ সালের পরিস্থিতিকে ২০২০ এ বিচার করা সম্ভব নয়। উনি একজন সৎ অকুতোভয় নেতা ছিলেন। উনি কোন অন্যায় করেননি, চুরি করেননি বরং চুরির প্রতিবাদে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন। উনি কেন ভয় পাবেন? কেন পালাবেন? যারা উনাকে মেরেছে ওরা উনার সততাকে ভয় পেয়েছে বলেই উনাকে হত্যা করেছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি যেটা বলছেন, সেটা হলো বিদ্যা-গারের লেখা "বাল্য শিক্ষার" সত উপদেশ।

মিলিটারী কি জিনিষ পাকিস্তান, বার্মা ও বাংলাদেশ অনুভব করতে পেরেছে; ওরা অজগর সাপের মত সব গিলে ফেলে। ইহা থেকে বেঁচে থাকার দরকার ছিলো তাজউদ্দিন সাহেবের।

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, শিরোনামটা এখনও ঠিক হয় নি। তাউদ্দিন হয়েছে। তাজউদ্দিন হবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, আজকাল চোখে এত কম দেখি যে, অনেক কিছুই ২য় বার পড়ে দেখা হয় না।

২৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধের সময় শেখ মুজিব জেলে।
চারিদিকে দিশেহারা অবস্থা। ওই সময়টায় তাজউদ্দিন যা করেছেন তার জন্য উনাকে বাংলাদেশের মানুষের সারা জীবন শ্রদ্ধা করা উচিত।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি অনেক করেছেন, কিন্তু কিছুই সঠিভাবে করেননি।

২৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৩

সোহানাজোহা বলেছেন:




@সত্যপীর, তাজ উদ্দিন সাহেব কে হত্যা করা হয়েছে ক্ষমতার লোভে, তাজ উদ্দিন সাহেব বেঁচে থাকলে পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় গেছেন তারা ক্ষমতায়ে যেতে পারতেন না। আপনি কখনো ক্ষমতার সেকেন্ড ম্যান বা সিরিয়ালে ছিলেন না তাই আপনি ধারণাও করতে পারবেন না “এই দেশে সেকেন্ড ইন কমান্ডরা ফার্স্ট ইন কমান্ডকে সরিয়ে কিভাবে ফার্স্ট হয়েছেন”

বঙ্গবন্ধু হত্যা সহ জেল হত্যার ফুল মোটিভ ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। ক্ষমতার লোভে একটির পর একটি হত্যা করে নানা ধরণের নাম দিয়ে আপনার মতো লোকরা হত্যাগুলোকে হালাল করতে চেয়েছেন। তৎকালীন সেনাবাহিনীর হাতে যে ক্ষমতা ছিলো তা আপনার মতো মানুষ চিন্তা করার বাইরে বলেই একটির পর একটি ক্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে আজো এর বিচার হতো না। বাংলার মানুষ এরা বিচার এর চিন্তাও করতে পারতো না। কারণ আপনাদের মতো লোকজন। আপনারা বিএনপি দলের চাটুকারে পরিণত হয়েছিলেন। সময় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিলো না। নিয়ন্ত্রন করার যোগ্য কেউ ছিলেন না। ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করার যোগ্য ক্ষমতাধর কি এবং কাকে বলে জানেন কি? - গুগল খোঁজে বার করার চেষ্টা করুন আপনার হাতে আনলিমিটেড সময় দেওয়া হলো।

আমরা খুশি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। আমরা খুশি যদ্ধাপরাধীর বিচার হয়েছে।

বাবা দিবসে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্লগারের পোস্টে বাবা নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন যা দেখে যে কেউ বলে দিবে মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এর বাবা নিয়ে এলার্জি আছে। বাবার প্রতি যাদের বিরুপ আচরণ তারাই বাবা নিয়ে মনগড়া মন্তব্য করতে পারেন। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এর জন্য মন্তব্য আপনি আপনার গাঁয়ে মেখেছেন কারণ আপনিও তাই।

প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি বলার কারণ: তিনি সেই প্রতিষ্ঠানের উপকার করেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানে তাঁর সন্তান সমতূল্য ছাত্রছাত্রী আছেন যাদের তিনি একটি ফোনকল দিলেই যথেষ্ট। - যেহেতু আপনার আক্কেল ঠিকানায় নেই তাই ক্ষমতার অপব্যবহার আপনার মাথায় এসেছে। তাই আপনি পড়তে পারেন নি “প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান” লেখা হয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়! আশাকরি কিছুটা হলেও জ্ঞান লাভ করবেন। তারপরও বলছি জীবনে কারো উপকার করেছেন? যদি উপকার করে থাকতেন তাহলে জানতেন উপকারের রিটার্ন কি?

আপনার সুমতির জন্য একটি ঘটনা লিখছি: ২০১৭ সনের কথা বৃষ্টিতে ঢাকা ডমেস্টিক বিমান বন্দরে পৌছেছি। পৌছে জানতে পারি বাংলাদেশ বিমান ঢাকা-কক্স ফ্লাইট এইমাত্র চলে গেছে। পরবর্তী ফ্লাইট রিজেন্ট এয়ার যেখানে কোনো সিট নেই। রিজেন্ট এয়ারের যাত্রী এক ভদ্রলোক এগিয়ে এলেন তিনি শুধু নিশ্চিত হতে চাইলেন “আপনি কি সৈয়দ স্যারের মেয়ে? আপনি আমার টিকেট নিয়ে যান। তিনি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার। ২০১৪ সনের কোনো একদিন - নরসিংদি (ঢাকা সিলেট) হাইওয়েতে ভদ্রলোক মটর সাইকেল দুর্ঘটনা করে রাস্তায় পরে ছিলেন, সেখানে তামাশা দেখারও লোক ছিলো না, হাইলাক্স থামিয়ে কাঁধে করে তাকে যিনি গাড়িতে তুলেন, ছোট ছেলেপুলেদের ডেকে তার মটার সাইকেল হাইলাক্সে তুলেন। এসব কর্মকান্ড করে ভদ্রলোককে নরসিংদি সদর হাসপাতালে যিনি নিয়ে যান “তিনি আমার বাবা”। পায়ে প্লাষ্টার করা পর্যন্ত সময় লাগে তার আত্মীয় পরিজন ও কোম্পানীর লোকজন নরসিংদি সদর হাসপাতালে পৌছাতে। - সেদিনের টিকেট না, আপনার ধারণা আছে এই ভদ্রলোক আব্বার জন্য কি কি করবেন যদি প্রয়োজন হয়? ধারণা আছে উপকারের উপকার কাকে বলে?

এই ধরণের ঘটনা একটি দুটি না, অসংখ্য।

ফোনকলে বিসিএস হওয়া যায়?

আমি লক্ষ্য করেছি আজকেও একজন ব্লগার মা বাবার বদনাম করে কি কি যেনো লিখেছেন! তাদের সাথে অনেকে সহমত একমতও হয়েছেন। আর মা বাবার গুনাগুন বললে আপনার মতো লোকজন ঝাপিয়ে পরেন কুৎসা করার জন্য - বিষয়টি সত্যি হতাশা জনক! আপনাদের আম্মা আব্বার কি কোনো গুন নেই যে কারণে সকলের বাবা মা’র দোষ খোঁজেন?

ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবকে বলছি, কারণ তাঁর পোস্টে লিখছি, বিসিএসে ক্লাসে একটি কথা বলা হয় “ক্ষমতা একজনতে ততোটুকু অর্পণ করতে হবে যতোটুকু সে গ্রহণ করতে পারবে - অধিক হলে সেই ক্ষমতা ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করতে পারে” এটি আমি ছাড়াও ব্লগে আর যারা পড়েছেন তারা হচ্ছেন ব্লগার অগ্নি সারথি, ব্লগার সায়েমুজ্জামান, ব্লগার মৃন্ময়ী শবনম।

পোস্টে পুরো বিতর্ক তৈরি হয়েছে বাবাকে নিয়ে বলাতে, তাজ উদ্দিন সাহেব না। সবাই যদি মা বাবার প্রতি এতো বিরুপ হোন তাহলে এই দেশে ঘরে ঘরে ঐশী জন্ম নেবে। আর মা বাবা ঐশীর মা বাবার মতো হত্যা হবেন।


২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আশাকরি, আপনি উন্নত দেশের ব্যুরোক্রেটদের সাথে উঠাবসা করবেন, তাদের থেকে বুঝতে পারবেন, ব্যুরোক্রেসী কি ধরণের হওয়া উচিত। ব্লগার "অগ্নসারথী"কে আমি ভালোভাবে জানি; স্যরি, বলতে হয়, একজন ফাউল মানুষ।

২৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৫১

সোহানাজোহা বলেছেন:




বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে যে ক্ষমতা ছিলো তা সুন্দরবনের গহীন বনের বাঘের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিলো! এই ক্ষমতায় সেনাবাহিনী বারবার ভুল পদক্ষেপে একটির পর একটি অন্যায় ও পাপ করেছে। ভয়ঙ্কর ক্ষমতা না থাকলে এতোগুলো হত্যা হয় না। এর অর্থ এই নয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্ধ করে দিতে হবে। তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে

রাজনৈতিক হত্যার পর সেনাবাহিনীতে অজস্র হত্যা হয়েছে, সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছে, একটির পর একটি ক্যু হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবহিনীর সদস্যরা নিজেরা নিজেদের হত্যা করেছেন - এরা সবাই বাংলাদেশী। - এরা কেউ পরাধীন পশ্চিম পাকিস্তানের নাগরিক বা পরাধীন পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিক ছিলেন না।

ক্ষমতা ভয়ঙ্কর বলেই ক্ষমতাধররা তাজ উদ্দিন সাহেবের মতো মানুষকে হত্যা করার মতো অজ্ঞতার কাজ করেছেন। পৃথিবীতে কেউ অমর নয়, তাজ উদ্নি সাহেব বার্ধক্যজনিত কারণেও মারা যেতেন হয়তো দশ বছর পর হোক আর বিশ বছর পর। যারা হত্যা করেছেন তাদের কেউ মনেও রাখবে না। কিন্তু তাজ উদ্দিন সাহেবকে বাংলাদেশের নামের সাথে এই দেশ মনে রাখবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশে দেশ রক্ষার জন্য সেনা বাহিনীর দরকার ছিলো না; দরকার ছিলো দেশের জরুরী অবস্হা (ঝড়, বন্যা, সন্ত্রাস, মহামারী ইত্যাদি) অবস্হা মোকাবেলার জন্য। দেশের জরুরী অবস্হা মোকাবেলার জন্য "পিপলস আর্মি (সবাই সৈনিক) গঠন করার দরকার ছিলো; শেখ সাহেব বুদ্ধিমান ছিলেন না।

২৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:৪২

সোহানাজোহা বলেছেন:




@মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই জাতীয় দুকূল রাখা কথার কোন যুক্তি নেই। নেই কোন সারমর্ম। যিনি বলেন তিনি নিজেও জানেন না এই কথার কি মানে। - যিনি এই কথা বলেছেন তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন অবসরপ্রাপ্ত চৌকস বিসিএস, তার ছাত্র হতে হলে আপনাকে বিসিএসে টিকতে হবে! এটি কি আদৌ সম্ভব?

পুরো লেখাকে আপনি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও সত্যপীর বিতর্কিত করেছেন। অনুরোধ করবো আপনাদের বাবা যদি বেঁচে থাকেন তাঁকে সম্মান করুন। যদি না থাকেন তাঁর জন্য দোয়া করুন। আপনারা বাবাদের প্রতি এতো বিরূপ হলে আপনাদের সন্তান আপনাদের সাথে কি করবেন - একবার ভেবে দেখবেন প্লিজ।


==========
চাঁদগাজী সাহেব, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলছি বাংলাদেশ সংসদে এখনো মূর্খ সাংসদের অভাব নেই, তাই বিসিএসরা সাংসদদের হাতের পুতুল হতে হয় বারবার।

এখানেও একটি ঘটনা উল্লেখ করছি: আপনাদের কি মনে আছে ২০১৮ সনে থাইল্যান্ডের একটি পাহাড়ের গুহাতে ১৩ জনের একটি স্পোর্টস টিম বৃষ্টির পানির কারণে আটকে পরেছিলো? তাদের বের করে আনার জন্য সমগ্র বিশ্ববাসী পাশে দাড়িয়েছিলো একমাত্র অজ্ঞ বাংলাদেশ ব্যতীত! বিসিএসরা সচিবালয় থেকে একরাতে (মাত্র এক-রাতে) লিখিত সিদ্ধান্ত নিলেন সেখানে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে তিনজনের একটি চৌকস রেসকিউ টিম পাঠাবেন। তারা থাই টিমের সাথে কাজ করবে কাজ না থাকলে পাশে দাড়িয়ে থাকবে তারপরও দেশ দেশের পাশে থাকুক - বাংলাদেশের সাংসদ ও মন্ত্রী মহোদয় ভাবতে ভাবতে থাই কিশোররা উদ্ধার হয়ে গেছেন! - আমরা কাদের সাথে কাজ করছি ভাবতে পারেন?

পাউবো প্রজেক্ট করছে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গায় জমা হওয়া সকল নর্দমা পরিস্কার করবে - যদি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না হয় তাহলে ঢাকার ওয়াসার পানি মফস্বল অঞ্চলের ডিপের পানির মতো পরিস্কার পানীয় পানি হবে নিশ্চিত।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা সংসদে মাসল-ম্যানদের আনছে, এটা সঠিক; তবে, তারা ব্যুরোক্রেটদের মতো বুদ্ধিমান নন।

২৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:২৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: দূর চাঁদগাজী সাহেব, আপনি আজ পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ-এর নামের দুটি অংশের একটিও সঠিকভাবে লিখতে পারলেন না (ওনাকে নিয়ে আপনার একাধিক লেখা আছে), অথচ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে অবলীলায় কী ভয়ংকর সব সমালোচনা করে ফেলেন! আরে ভাই, নামটি অন্তত ঠিকঠাক লিখুন।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার নামটি কিভাবে লিখতে হয়?

উনি ১ লাখের বেশী মুক্তিযোদ্ধাকে (বিনা বেতনে ভলনটিয়ার যোদ্ধা) সাটাই করেছিলেন, উহার ব্যাখ্যা আপানার কাছে আছে?

২৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:১৬

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সোহানাজোহা, আপনি যে বিসিএস গাইড মুখস্ত করা বিসিএস পাস সেটা আপনার উত্তরের ধরন দেখেই বোঝা যায়। ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া আর নিজের/পরিবারের কৌলিন্য যেখানে সেখানে প্রকাশ করার উদগ্র/নির্লজ্জ বেহায়াপনার অসাধারান ক্ষমতা বিশ্বে বিসিএস চাকরেদের একচেটিয়া।
আমার (এবং মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের ) প্রতিমন্তব্য শুরু হয়েছিল আপনার দাদার উল্লেখিত " তাজ উদ্দিন সাহেব সঠিক ছিলেন। সঠিক ছিলেন তৎকালীন সেনাবাহিনীও। " -- এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। তৎকালীন সেনাবাহিনীর "অতি সুকর্মের" প্রতি আপনার দাদার এই মুগ্ধতা ঢাকা দেয়ার জন্য তাই এখন কবে ব্লগার সাজ্জাদ হোসেন কোন পোস্টে কোন বাবা-দাদার প্রতি অসম্মান দেখিয়েছেন, ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করার যোগ্য ক্ষমতাধর কি এবং কাকে বলে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপনি কি পরিমান খুশি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কিছু তেল-মাখা মন্তব্য এবং সবশেষে আপনি যে জন্মসূত্রে 'সৈয়দ' উত্তরাধিকারিনী এই সম্পর্কে হালকা আভাস -- আমার মন্তব্যের সাথে সম্পুর্ন অপ্রাসঙ্গিক (একই সাথে পোষ্ট-বিষয় বহির্ভুত) শিবের গীত গাওয়ার প্রয়োজন পড়েছে।

আপনার মূল লক্ষ্য আপনার কৌলিন্য যে ভাবেই হোক প্রকাশ করা -- কাজেই এই গীত আপনি পরবর্তি মন্তব্যেও গাইবেন, ১৯৭৫ এ সেনাবাহিনীর ভূমিকা কোন দিক দিয়ে সঠিক ছিল সেই প্রসঙ্গ সম্পুর্ন এড়িয়ে।

প্রশ্ন করেছেন যে ফোনকলে বিসিএস হওয়া যায় কিনা। যায় -- অন্তত তিনজনকে চিনি যারা ফোনকলের জোরে বিসিএস চাকরে। আপনি যদি না জেনে থাকেন সেটা সম্ভবত: বিসিএস গাইডে লেখা ছিল না তাই ধরতে পারেন নাই।

ফোনকল দিয়ে কারো চাকরী নিশ্চিত করা যে ক্ষমতার অপব্যবহার, সেটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে হলেও, আপনার এই বোধটাই নাই, কারন আপনি বিসিএস -- ক্ষমতার অপব্যবহার আপনার মজ্জাগত। ঘুষ দেয়া-নেয়াও নিশ্চয় "উপকারের" মধ্যেই পরে -- অর্থনৈতিক উপকার।

বিসিএস এর ফুটানি দেখায়েন না। আপনি বিসিএস ক্যাডার হয়ে কোনো কুতুব মিনার হন নাই। মুখস্ত কিছু শব্দ উগরে দিয়ে পান্ডিত্য প্রকাশের আপ্রান চেষ্টা আর নিজেকে কুলীনস্য কুলীন প্রামানের প্রয়াস দেখেই বোঝা যায় আপনার বিদ্যার দৌড় কতদূর।

বিসিএস ক্যাডার হলেই একটা সবজান্তা ভাব চলে আসে -- এক ইপিসিএস অফিসার ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন আফ্রিকার বান্টু জাতি আকারে ছোট কেন থেকে শুরু করে মহাবিশ্বের আয়তন কতো সব বিষয়ে নির্ভুল জ্ঞানের অধিকারী বিসিএস ক্যাডার।

এবার কিছু স্বগত সংলাপ:
ইদানীং প্রতি বছর পিএইচডি করতে বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান বিসিএস ক্যাডার থেকে। Final selection যদি মন্ত্রালয়ের হাতে না থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাতে থাকত, কয়জন যোগ্যতা দেখিয়ে সুযোগ পেত সন্দেহ।

আর পিএইচডি ডিগ্রি যে মানুষের জ্ঞানের বিন্দুমাত্র উন্নতি ঘটায় না তার অন্যতম প্রমান ড: মহিউদ্দিন আলমগীর । পরবর্তি কয়েকজনেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে।



২৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩০

সোহানাজোহা বলেছেন:



@সত্যপীর, ব্যক্তি আক্রমণ করার আগে দশবার ভাবা উচিত। @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই জাতীয় দুকূল রাখা কথার কোন যুক্তি নেই। নেই কোন সারমর্ম। যিনি বলেন তিনি নিজেও জানেন না এই কথার কি মানে। এই কথা না বললে ফাউল তর্ক এতোদুর আসে না।

সত্যপীর ব্লগে আপনি নতুন, আপনি নিজেকে প্রমান করুন। প্রমাণ করুন আপনার শিক্ষা, মেধা ও আপনার পরিচয়। সমাজে এগিয়ে থাকা মানুষদের প্রতি এতো হিংসা নিয়ে কিভাবে বেঁচে আছেন?

নোট: উদগ্র/নির্লজ্জ বেহায়াপনা এই শব্দের ব্যবহারে আপনার ও আপনার পরিবারের পরিচয় চলে এসেছে। ধন্যবাদ। আবারও ধন্যবাদ আপনার পরিচয় পাওয়া গেছে।

৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০১

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সোহানাজোহা, আপনি লাফাইতেই থাকেন। কোন প্রানীর মত তার আর উল্লেখ করলাম না। আপনি সমাজে এগিয়ে থাকা মানুষ? চার পায়ে আগাইতেসেন, বুঝতেই পারি।
ব্লগে আমি নতুন নাকি পুপা, আপনার জানার দরকার নাই।
আমার পরিবারের পরিচয় পাইসেন, বুঝতেই পারতাসেন, সৈয়দ বংশ।

৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১১

সোহানাজোহা বলেছেন:




@সত্যপীর আবার আপনার নিজের ও আপনার পরিবারের পরিচয় দিলেন। ব্যবহার বংশের পরিচয়

২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে পরিবার ইত্যাদিকে টানা ভুল।

৩২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৫

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সোহানাজোহা, আমার পরিবারের পরিচয় আমি বারে বারেই দিব --- সৈয়দ বংশের একটা ইজ্জত আছে না !!!!

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: উনি অনেক করেছেন, কিন্তু কিছুই সঠিভাবে করেননি।
যুদ্ধের ৫০ বছর এরকমই মনে হবে। কিন্তু ৫০ বছর আগে ওই সময়টায় উনার কর্মকান্ড সঠিকই ছিলো। ৫০ বছর আগের ঘটনা বর্তমান সময় দিয়ে বিবেচনা করলে ঘোট পাকাবেই।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০ বছর আগেও আমি ছিলেম।

৩৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ১। আপনার নামের বানানে একটা চন্দ্রবিন্দু রয়েছে। লিখতে গিয়ে সচেতন থাকি ওটাও যেন বাদ না পড়ে, আপনার প্রতি সম্মানবোধের কারণেই। আপনি তাজউদ্দীন আহমদের নামের বানান ভুল করেন! সচেতনভাবে কাউকে অবজ্ঞা করার জন্য কিনা জানি না।
২। তাজউদ্দীন আহমদকে বুঝার ক্ষমতা ছিল ভুট্টোর, মোশতাকের। ভুট্টো বুঝতে পেরেছিল, তাজউদ্দীন আহমদের মতো বিচক্ষণ ও দৃঢ়চেতা মানুষ থাকলে ধর্মের লেবাস দিয়ে বাঙালিকে ভেড়া বানিয়ে এদেশ খুব বেশিদিন শোষণ করা যাবে না। মোশতাকও বুঝতে পেরেছিল তাজউদ্দীন আহমদের মতো তীক্ষ্ণ মেধাবী, নির্লোভ, সৎ মানুষ বঙ্গবন্ধুর পাশে থাকলে তার মতো অর্বাচীন কোনদিনই ক্ষমতার সর্বোচ্চ মসনদে আসতে পারবে না, দেশকে পুনরায় পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করে কনফেডারেশন পাকিস্তান বানানোর স্বপ্নও দেখা যাবে না। জ্ঞান বুদ্ধি যুক্তি দিয়ে তাঁর মোকাবিলা মোশতাকের পক্ষে অসম্ভব, ষড়যন্ত্রের কুটকৌশল ছাড়া। তাজউদ্দীন আহমদকে বুঝার ক্ষমতা আপনার কতোটা আছে, জানার জন্য তাঁকে নিয়ে আপনার আরো কিছু লেখা পড়তে অধীর আগ্রহ আমার।
৩। বঙ্গবন্ধু ভুল করেছেন, বহু ভুলে ভরা তাঁর কর্মময় জীবন। তাজউদ্দীন আহমদও ভুল করেছেন। অনেক ভুল। কাজ যারা করেন, তাঁরাই ভুল করতে পারেন। আর কাজের বাইরে থেকে যারা গলাবাজী করেন। কারণে অকারণে খোঁচা মারেন, অপদস্ত করেন, তাদের কোন ভুল হয় না। এসব লোকদের জ্ঞানগর্ভ বুদ্ধি নিয়ে যদি তাঁরা চলতে দেশ কেমন চলতো জানি না।
৪। জীবনকে কঠিনতম ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে যে তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, জয়লাভ করে একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁর বুদ্ধি কি হাঁটুতে ছিল? নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে বেড়ানোর শিক্ষা তাঁর ছিল না। বৃহত্তর স্বার্থের কথাই ভেবেছেন বরাবর। দীর্ঘদিন যিনি ক্ষমতার বলয়ের বাইরে, অতি সাধারণ জীবন যাপন করছেন। মোশতাকের শিয়াল বুদ্ধির মোকাবিলা করার জন্যও প্রস্তুত ছিলেন না।
৫। ইন্দিরা গান্ধীর মতো একজন চোকস নেত্রীর সহযোগিতা নিয়ে দেশ স্বাধীন করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় সেনাদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন, আমেরিকা, চায়নার সকল অপকৌশল প্রতিহত করে সকল জোটের তাবেদারী মুক্ত রেখেছিলেন, সেটা কি তাজউদ্দীন আহমদের মতো একজন অযোগ্য নেতৃত্বের ছিল!
৬। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর যে তাজউদ্দীন আহমদ পালিয়ে যাননি, তিনিই কিন্তু একাত্তুরে একবস্ত্রে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাননি জীবন বাঁচানোর জন্য, গিয়েছিলেন যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার জন্য। মুক্তিযোদ্ধারা যখন পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন (তাঁদের মধ্যে আপনিও একজন), মুক্তিযোদ্ধাদের সহমর্মে একই শহরে থেকেও তাজউদ্দীন আহমদ তখন নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। তাঁর সকল ধ্যান জ্ঞানই ছিল দেশের স্বাধীনতাকে ঘিরে। আমার মতো অধমের চেয়ে ঐ সময়ের ঘটনাগুলো আপনারই বেশি জানার কথা।
৭। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি না পালিয়ে বেকুবি করেছেন, আর কি করতে পারতেন, না পারতেন, চোর পালালে বুদ্ধি হবার মতো সেসব আজেবাজে কথা অনেকেই বলতে পারেন। ঘটনা ঘটার পর "কী করিলে কী হইতো" এমন সব স্থুল বয়ান আপনার কাছে আশা করিনি।
৮। আব্রাহাম লিঙ্কন, মহাত্মা গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধীসহ বহু বড় বড় নেতাদের মৃত্যু হয়েছে আততায়ীর হাতে। অনেক মহৎ নেতা চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিভিন্ন সময়, বিভিন্নভাবে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছেন। সেটাও হয়তো বড় পদ প্রাপ্তির অযোগ্যতায়!
৮। দেশের জন্য যুদ্ধ করার পর হয়তো তৎকালীন শাসকগণ আপনাদের মতো মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মান ও মর্যাদা দিতে পারেননি। এই দুঃখ নিয়ে অনেকেই দেশত্যাগী হয়েছেন, অনেকে দেশেও রয়েছেন। তাদের পরওতো দেশে চড়াই উৎরাইয়ে অনেক শাসক এসেছেন, বিদায় নিয়েছেন। এই দীর্ঘদিনে ব্যক্তিগত জীবন যাপনের বাইরে দেশের জন্য আপনি (একজন মুক্তিযোদ্ধা) কি কি করেছেন, খুব জানতে ইচ্ছে করে।

৯। ব্যাক্তিগত ক্ষোভে কাউকে হেয় করা অযৌক্তিক শুধু নয়। অন্যায়ও।

শুভেচ্ছা জানবেন চাঁদগাজী ভাই।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি রাজনৈতিক বিষয়গুলোকে উপর থেকে দেখেন, এগুলোর কারণ অবধি যাবার চেষ্টা করেননি মনে হয়।

৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আর একটা কথা। ১৯৭১ আর ১৯৭৫এর প্রেক্ষাপট এক না। সাধারণ জ্ঞানই তা বলে। তাজউদ্দীন আহমদকে রক্ষার পদক্ষেপ ইন্দিরা গান্ধী কখনোই নিতেন না। ইন্দিরা গান্ধীর ইচ্ছে থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধুকেই বাঁচানোর উদ্যোগ নিতেন। রাজনীতি ও ইতিহাসের সুক্ষ্ণ মারপ্যাচ আপনার ভাল জানার কথা। তখনকার সত্যিকার পরিস্থিতি চাইলেই তো লুকিয়ে সবাইকে বোকা বানানো যায় না। বাস্তবতা আড়াল করে আবোল তাবোল বলা নেহায়েতই পাগলামো নয় কি?

২৫ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আবোল তাবোল বলাটা অবশ্যই পাগলামী।
শেখ সাহেবকে হত্যা করার পর, মিলিটারী পরবর্তী টার্গেট কে ছিলো?

৩৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: লেখার টাইম ফ্রেম নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা ছিল। ইদানীং তাজউদ্দিনের ইমেজ একদম ধসিয়ে ফেলার চেষ্টা করা দেখা যাচ্ছে। আপনার কথা যদি সত্যও হয়, এতোদিন এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কেন আপনারা চুপ থেকেছেন? উনি যদি এতো বাজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন আগে কেন কথা উঠে নি? এই সময়ে কেন?

২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


তাজউদ্দিন সাহেবের সমালোচক আমি একজন; আমি ১৯৭২ সাল থেকে এগুলো বলে আসছি।

৩৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আমি সাজিদ বলেছেন: ২৮ নং কমেন্টটা ভালো লেগেছে। সরকারী চাকরির স্থায়িত্বকাল নিয়ে আরেকবার ভাবা উচিত এবং বয়সসীমা বাড়ানো উচিত৷ যে কেউই প্রশাসন চালাতে পারবে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং পেলে, যেহেতু বাংলা থেকে পড়ে বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় চালানো যায়,এবং কোন স্পেসেফিক এডুকেশনাল রিকোয়ারমেন্ট নাই। তাহলে প্রিলি পাশের ওরাকল গাইডের বিক্রিও কমে যাবে।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


২৮ নং মন্তব্য যিনি করেছেন, উনাকে আমি অন্য নিকে চিনি; আমার কাছে উনার প্রোফাইল ভালো নয়।

৩৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আগে ব্লগে বা কমেন্টে বলেননি বা আমার চোখে পড়েনি তাই মন্তব্য করলাম

৩৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৪

লরুজন বলেছেন: @সত্যপীরবাবা,,, ব্যবহারডা সেইরাম
বমি আইতাছে সত্যপীরবাবা আফনেন কমেন্ট দেইক্কা,,,
আফনে কার মাল্টি গো???

চাঁদগাজীর পোস্টো কমেন্ট করা একটা গুনাহগারী

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সত্যপীরবাবা মিথ্যার প্রাসর ঘটাচ্ছে?

৪০| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

লরুজন বলেছেন: ২৮ নাম্বার কমেন্ট পইরা মনে আইছে ছোটলোকের ছোট চিন্তা।
একদম খালিছ সেইরাম বেহায়া
হে অত বিসিএস চিনে মাগার নিজে পিয়ন দারোয়ানের কামকাজ করতাছে কেন? লুল

@আমি সাজিদ, রতনে রতন চিনে, বেহায়া চিনে বেহায়া
সরকারি অফিসো গেলে পিয়নরে স্যার ডাকতে ডাকতে মুখো ফেনা ওডে আফনের মত লোকের
ধুর দুরে গিয়া ম....

৪১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: @লরুজন আমার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড এমন খারাপও যা যে আমি পিয়নকে স্যার বলবো। মাল্টির পেছনে কে আছে জানি। আপনি যা করেছেন, অকারনে কাউকে এড্রেস করে এমন না বললে ভালো। আমি কাউকে এড্রেস করে কিছু বলিও নাই। আমি সত্যপীরবাবাকে চিনিও না, তবে তার কমেন্টের কিছু অংশ আমার কাছে ভালো লেগেছে। এবং আমার যে বিষয়টা ভালো লেগেছে, সে বিষয়টা মানে এটা নিয়ে আজকাল সবাই কথা বলছে। চোখ খুললেই দেখা যাচ্ছে, কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। চাঁদগাজী আংকেল আপনার এখানে মাল্টি দিয়ে এমন অপমানিত হবো ভাবি নাই। আমি কোন দিক থেকে বেহায়া?

২৮ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লরুজন অকারণে ম্যাঁওপ্যাঁও করে বেড়াচ্ছেন, চিন্তিত হবেন না, উনি ২/৪দিন লাফায়ে হয়রাণ হয়ে যাবেন।

৪২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে এটা উনার নিয়তি ছিল। ভুল করেছেন বলেই মৃত্যু হলো। খন্দকার মুশতাকের দৌরাত্ম্যে উনি ছিলেন কোণঠাসা।
মুক্তি যুদ্ধের অন্যতম সংগঠকের এমন পরিণতি দুঃখজনক।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার বড় দায়িত্ব ছিলো স্বাধীনতার স্বপ্নের বাস্তবায়নে হাত দেয়া, উনি সেটা নিয়ে কথাও বলেননি।

৪৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

লরুজন বলেছেন: @আমি সাজিদ, মল্টির পচা রচা কতা আফনার পছন্দ অইছে কেন?
আফনে মাল্টি আফনে মাল্টি না অইলে আফনের পচা রচার দোষ আছে
চাঁদগাজী লাফাইতে লাফাইতে ব্যান খায়,,,

হেই দিন রায়হান কবিররে লইয়া পোস্টাইছে পুরাডা ভুল,
নিজে আম্রিকা বইয়া আম্রিকার গীত গায় বাংলা ব্লগো,,,,
ইংলিশে ইতা আম্রিকা লেখলে তাবিজ পিন্দাইব আম্রিকায়

চাঁদগাজী ফাল পারেন কম, আওয়ামী লীগ করেন?
আজীবন আওয়ামী লীগ থাকত না




২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগিং করেন, পাগলামী করলে ব্লগিং হয় না।

৪৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৯

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: শাহ্ আজিজ দারুণ বলেছেন।
আসলে ৭৪-৭৫-এ কি রকম লুটপাট হয়েছে তা বোঝা যায় আজকের অবস্থা দেখে।
বঙ্গবন্ধুকে কেন মরতে হোল তাও বোঝা যায়।
তাজউদ্দীন খুব একটা উচুঁ মাপের নেতা ছিলেন না তাও বোঝা যায় সোহেল তাজকে দেখে। ছেলেটার কথাবার্তা গবেট মার্কা। পোষাক পরিধাণ হাস্যকর। বিখ্যাত চরিত্র ডন কুইকজটের মতো। নিজকে নিয়ে অলীক কল্পনায় ভোগে।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



তাজউদ্দিন সাহেব বড় বড় ভুল করেছিলেন।

৪৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: সত্যপীরবাবা বলেছেন: @সোহানাজোহা, আপনি লাফাইতেই থাকেন। কোন প্রানীর মত তার আর উল্লেখ করলাম না। আপনি সমাজে এগিয়ে থাকা মানুষ? চার পায়ে আগাইতেসেন, বুঝতেই পারি।
ব্লগে আমি নতুন নাকি পুপা, আপনার জানার দরকার নাই।
আমার পরিবারের পরিচয় পাইসেন, বুঝতেই পারতাসেন, সৈয়দ বংশ।
- সত্যপীর এর মতো নিকৃষ্ট প্রাণীর বিচার হওয়া জরুরী। সিলেটের সাত বেজন্মা ধর্ষকের মধ্য সত্যপীরকে খুঁজে পাচ্ছি।

চাঁদগাজী আপনি মন্তব্য মুছেন কেনো?

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


লম্বা কমেন্টে আমি বিরক্ত হই

৪৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

আমেনা বেগম চৌধুরী বলেছেন: আপনি বিশ্রাম নিন। সত্যপীরের মতো লাম্পট্য মন্তব্য সহ্য করা হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.