নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমনী কবিরাজের মেয়ে

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯



আমাদের পাশের গ্রামের ১টি হিন্দু মেয়ে জন্ম থেকে অনেকগুলো প্রতিকুল অবস্হার মাঝে পড়েছিলো; সে এসব প্রতিকুল অবস্হাকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলো, এটি সেই কাহিনী।

আমাদের দক্ষিণ পাশের গ্রামটা হিন্দু গ্রাম; গ্রামের দক্ষিণ সীমানা বরাবর পুর্ব-পশ্চিমএকটি বড় খাল; গ্রামের সবচেয়ে দক্ষিণে, খালের সাথে লাগানো বাড়িটি রমনী কবিরাজের বাড়ি; কবিরাজ ব্রাম্মণ; কিন্তু তিনি পুরোহিত হননি, এক কবিরাজের কাছে কবিরাজী শিখে, আজীবন কবিরাজী করেছিলেন; অবস্হা তেমন স্বচ্ছল ছিলো না, চলে যাচ্ছিলো। আমাদের গ্রামের মাঝ বরাবর উত্তর-দক্ষিণ একটি রাস্তা আছে, এই রাস্তাটি হিন্দু গ্রামের মাঝ দিয়ে খাল অবধি গেছে; রাস্তার পশ্চিম পাশে কবিরাজের বাড়ী, রাস্তার পুর্বপাশে উনার পুকুর। পুকুরটি বেশ বড় ছিল; ফলমুল ও বিবিধ গাছের জন্য রাস্তা থেকে পুকুরটি অনেকটা দেখা যায় না, মনে হয় একটা বড় জংগল। পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে গ্রামের শ্মশান। আমাদের রাস্তাটি যেখানে খালের পাড়ে লেগেছে, সেখানকার সাঁকোটা ছিল আজীবন নড়বড়ে; ভাংগাসেতু ও শ্মশানের কারণে এই রাস্তা দিয়ে লোক চলাচল ছিলো না তেমন। আরো আধা মাইল পশ্চিম দিকে একটি ভালো সাঁকো ও রাস্তা আছে, লোকজন সেটা ব্যবহার করেন। নির্জনতার কারণে আমি রাস্তা হয়ে খালের দক্ষিণ পাড়ের গ্রামে আমার ক্লাসমেটদের এলাকায় যেতাম, ফুটবল খেলতাম; স্কুল থেকে ফেরার সময়ও মাঝে মাঝে এইপথ ধরে ফিরতাম। এই রাস্তায় আসতে যেতে প্রায়ই দেখতাম, কবিরাজের মেয়ে, সবিতা পুকুর থেকে বালতি করে পানি নিচ্ছে, হাঁড়পাতিল, বা কাপড় ধুচ্ছে। সবিতা মানুষকে খুবই ভয় পেতো, সে কারো সাথে কথা বলতো না, মানুষ দেখলে ভীত পাখির মতো ছটপট করতো; ভয়ের কারণে সে স্কুলে যেতো না, তার মাসীর কাছে পড়তো; বয়সে আমার থেকে সামান্য কম ছিলো। আমার সামনে পড়লে, আমি জিজ্ঞাসা করতাম,
-সবিতা, কেমন আছিস!

সে কখনো উত্তর দিতো না, ভীতু পায়ে বাড়ীতে চলে যেতো। রমনী কবিরাজ আমার চাচাদের পরিবারিক কবিরাজ ছিলেন; ২/১ সপ্তাহ পরপর কবিরাজকে ডাকার দরকার হতো; চাচাচাচী আমাকেই পাঠাতেন। কবিরাজের বাড়ী গেলে দেখতাম, সবিতা বারান্দায় বসে পড়ছে, না'হয়, গাভীটার পরিচর্যা করছে, না'হয়, পুকুরে কিছু ধুচ্ছে; সে বাবাকে ডেকে দিতো; বাবা বাড়ী না থাকলে সে বলতো যে, বাবাকে বলবে, এর চেয়ে বেশী কথা বলতো না; আমি বরাবরই জিজ্ঞাসা করতাম তাকে, সে কেমন আছে; সে ভয়ে ভয়ে তাকাতো।

কবিরাজের স্ত্রী জীবিত ছিলেন না, সবিতার জন্মের সময় কবিরাজের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মেয়েটাকে বড় করেছ মেয়ের মাসী, কল্যানী চক্রবর্তী, তিনি চট্টগ্রাম শহরের মেয়ে ছিলেন; বোনের মেয়েকে দেখাশোনা করতে এসে এখানে ছিলেন সবিতার বয়স ৭ বছর হওয়া অবধি। আমি যখন অষ্টম শ্রেণীতে, কবিরাজের মৃত্যু হয়; সবাই বলাবলি করছিলো, তিনি লতাপাতা, গাছের ছাল-বাকল দিয়ে ঔষধ বানাতেন; এই ধরণের কোন ঐষধের বিষক্রিয়ায় উনার মৃত্যু হয়েছে। আমরা উনার শেষকৃত্ত দেখতে গিয়েছিলাম; সবিতা শোকে ও ভয়ে পাথর হয়ে গেছে। আমি ভাবছিলাম, সে একা কিভাবে থাকবে? শুনলাম তার মাসী আবার এসেছেন, থাকবেন সবিতার সাথে।

কবিরাজের মৃত্যুর মাস'খানেক পরে, আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে, বেলা ডুবার একটু আগে বাড়ী ফিরছিলাম; দেখি সবিতা, বাবার চিতায় রাখা একটা মাটির কলসীতে বালতি থেকে পানি রাখছে; আমি দাঁড়ালাম, সে কপালে হাত ঠেকিয়ে ১ মিনিট প্রার্থনা করে শ্মশান থেকে রাস্তায় এলো; আমাকে দেখে কোনভাবেই ভীত হলো না আগের মতো, স্বাভাবিকভাবে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,
-বাড়ী যাচ্ছিস?
-হ্যাঁ, তুই কেমন আছিস, কেমনে চলছিস তোরা?
-কষ্ট হচ্ছে; তবে, চলছি। বাবা তো নেই, তুই তো আমাদের বাড়ী আর আসবি না; এই পথ দিয়ে আসা যাওয়ার সময় আমাদের বাড়ী আসিস। আমি স্কুলে ভর্তি হবো।
-তুই তো আগে স্কুলে যাসনি! কোন স্কুলে যাবি?
-স্কুলে যেতে ভয় লাগতো; আমি বাড়ীতে নবম শ্রেণীর বই পড়ছি এখন, তোদের স্কুল আমাকে নেবে?
-তুই হেড মাষ্টারের সাথে দেখা কর, নেবেন; উনি না নিলে, গার্ল স্কুল নিবে তোকে।
-না, আমি গার্ল স্কুলে যাবো না। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ী আসিস, আমি একা হয়ে গেছি।

আমি হতবাক, তার মাঝে কোন ভয় নেই, জড়তা নেই, আমাকে যেন আজীবন চেনে। আমাদের স্কুল তাকে নেয়নি, সে পশ্চিম দিকের বেশ দুরে একটি জুনিয়র হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেনীতে ভর্তি হলো। আমি সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই ওদের বাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে ওর সাথে কথা বলতাম। সে সংসারটাকে চালিয়ে যাচ্ছে, পুকুরের মাছ ও কিছু গাছ বিক্রয় করে আরেকটা গাভী কিনেছে, দুধ বিক্রয় করে; গ্রামের সম্পর্কের এক চাচা গরুগুলো দেখে। মায়ের রেখে যাওয়া গহনা ও পুকুরের কিছু অংশ বিক্রয় করে কিছু ধানের জমি কিনেছে। গ্রামের জ্যোতি মহাজনের মা'কে জ্যোতির বউ পছন্দ করতো না, সবিতা উনাকে নিজের ঘরে নিয়ে এসেছে। তার মাসী তাকে চট্টগ্রাম শহরে নিতে চেয়েছিলো সে যায়নি; তার নিজ চাচা বাস করতো আগরতলায়, সে এসেছিলো ত্রিপুরা নিয়ে যেতে, সে যায়নি; নিজ বাড়ীতে থাকবে।

রমনী কবিরাজ খুব একটা সামাজিক মানুষ ছিলেন না; সবিতার সমস্যা ছিলো ছোটকালে, সে মানুষকে ভয় করতো; এখন সে গ্রামের সবার সাথে চলে, গ্রামের লোকজনের সহানুভুতি আছে সবিতার জন্য। আমি কলেজ থেকে বাড়ী এলে ওকে দেখতে যেতাম; দশম শ্রেণীতে উঠে সবিতা বিয়ে করলো; শর্ত, স্বামী তার বাড়ীতে থাকবে, সে নিজ বাড়ী ছেড়ে শ্বশুর বাড়ী যাবে না।

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সবিতার সাথে কি যোগাযোগ আছে

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, সম্প্রতি যোগাযোগ নেই; বছর চারেক আগে দেখা হয়েছিলো, ভালো ছিলো।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: লেখক বলেছেন---না, সম্প্রতি যোগাযোগ নেই; বছর চারেক আগে দেখা হয়েছিলো, ভালো ছিলো। মানুষের প্রতি / আপনার প্রতি /সমাজের প্রতি তাঁর কি ধারণা জন্মেছে- জানতে চেয়েছেন কি??

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, সেই ধরণের কোন আলোচনা হয়নি; তবে, তার ছোটকালের কিছু কথা বলে হাসাহাসি হয়েছিলো।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

মাহবুব আলী বলেছেন: সুন্দর ঝরঝরে লিখন।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার লেখার লেজ মাথা নেই!

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর সবিতা কাহন।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিস্হিতি কিছু মানুষকে বদলায়ে দেয়।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখায় কিছুটা জড়তা আছে।
ঠিক গল্পও না আবার স্মৃতিকথাও
মনে হয়নি। যা হোক আপনার রাজনৈতিক
ম্যাও প্যাও থেকে ব্যতিক্রম।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্মৃতিকথা হয়নি?
বাংলাদেশের রাজনীতিটা আলাদা, যেই রাজনীতি উহাকে বাংগালদের দেশ বানায়ে রেখেছে।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


গল্পটি সুন্দর হয়েছ। গল্পের কাহিনী বর্ণনায় বেশ কনসিসটেন্সি পরিলক্ষিত হয়েছে।
কবিরাজের মেয়ের টিকে থাকার সংগ্রামী ও স্বাবলম্বি চরিত্রের প্রকাশ ঘটেছে
গল্পটিতে । আমাদের এলাকায় রমনী ডাক্তার নামে একজন ডাক্তার ছিলেন।
তবে তিনি খুবই জন,প্রিয় ছিলেন । তার বাড়ী ছিল আমাদের বাড়ীর কাছেই,
তার খুবই সুন্দরী তিনটি মেয়ে ছিল । ছোটটি প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত
আমাদের স্কুলেই পড়ত । মুক্তি যুদ্ধের সময় রমনী ডাক্তারই ছিল আমাদের
এলাকায় মানুষের চিকিৎসার ভরসা । আমার পরশ পাথর প্রাপ্তির ২য় পর্বে
মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গ কথায় এই হাতুরে ডাক্তারের কিছু কথা উঠে আসতে পারে ।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক মিল; সবিতা খুবই সুন্দরী ছিলো ছোট বেলা থেকেই; বাবার মৃত্যুর পর, সে ১৮০ ডিগ্রী বদলে যায় ও নিজ পায়ে দাঁড়ায় খুবই শক্ত হয়ে।
পরশ পাথর প্রাপ্তি সিরিজ লিখুন।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিছু গল্প কিছু স্মৃতি সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে।সবথেকে ভালো লেগেছে তার মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা ,যেটা ছেড়ে সে কোথাও যেতে চায়নি।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ জন্মভুমি ফেলে কোথায়ও যেতে চাহে না; আজকে যে বাংগালীরা চলে যাচ্ছে, তার পেছনে ভয়ংকর কিছু কাজ করছে।

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এক জন সংগ্রামী মানুষের গল্প। এক জন সংগ্রামী মানুষের গল্প।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পরিস্হিতি মানুষকে সংগ্রামী করে তোলে।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আসলেই অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর হয় মানুষ।
ভালোলাগল সবিতার রূপান্তর।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সে পুরোপুরি বদলে গিয়েছিলো।

১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:



সবিতাদের জীবন আসলেই অনেক কঠিন । সময়ের সাথে সাথে কতো বদলে যায় মানুষ । এই বদলের প্রয়োজন আছে । জীবন সংগ্রামে মানুষ কতকিছু শিখে । কষ্ট পেয়ে পেয়ে এতো কঠিন হয়ে যায় যে কোনও কষ্টই একসময় আর স্পর্শ করেনা । ঠিক আছে এমনটাই হওয়া উচিৎ । সবিতার নিজ সিদ্ধান্তে অটল থাকাকে স্যলিউট জানাই ।

আবার যখন আপনার সময় সুযোগ হবে আপনি দেখা করবেন । অনেকদিন পর পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা করা, পুরনো স্মৃতিচারন এগুলোর মাঝেও একধরণের ভালোলাগা আছে । আর সেই অনুভূতিগুলো সবিতার মতো জীবন যুদ্ধে চলা মানুষের কাছে অনেককিছু ।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি দেশে গেলে ছোট বেলার পরিচিতদের খোঁজখবর নিই; দেশে গেলে আবারো দেখা হবে।

১১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম সবিতা বহু আছে। তাদের কথা কেউ ভাবে না। তাদের দুঃখ কষ্ট কাউকে স্পর্শ করে না।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


যারা বিশ্বাস করেন যে, ভাজা মাছ জীবিত হয়ে পানিতে চলে যায়, তারা মানুষ নিয়ে ভাবার সময় পাবার কথা নয়।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশ লাগলো পড়তে। জীবনের গল্প, সাহসী স্বাবলম্বী নারীর গল্প।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাঁচার তাগিদে মানুষকে পথ খুঁজতে হয়।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




আপনার এমন লেখাগুলোর আদল আপনার গল্পের বা বাস্তবের মতোই সরল হয়। কি করে যেন মনে দাগ কেটে যায়!
মানুষ যখন একা ও নিরুপায় হয়ে যায় তখন একটা অদম্য শক্তি তাকে শক্ত করে তোলে, করে তোলে ভয়-ভীতিহীন।
সবিতা তেমনই একজন।

রমনী কবিরাজের মেয়ে সবিতা ভালো থাকুক রমনীয় হয়ে........................

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু মানুষ বাস্তবতার মুখামুখী হয়ে নিজকে খুঁজে পায়।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৭

জুন বলেছেন: ভালো লাগে আপনার এই ধরনের জীবন ঘেষা লেখাগুলো। ভালোলাগা রইলো।

ছোট একটা সংশোধনী। রমনী কবিরাজের স্ত্রী মারা গেলে সবিতাকে পীসিমা মানুষ করে ৭ বছর পর্যন্। আবার লিখেছেন বোনের মেয়ে। যদি বোনের মেয়ে হয় তবে কল্যানী চক্রবর্তী সবিতার মাসীমা হবে।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, আপনি ঠিক আছেন, মাসী হবে, আমার ভুল হয়েছিলো, ঠিক করে দিয়েছি; মায়ের বোন সবিতাকে বড় করেছিলো; ধন্যবাদ

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৮

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না। হাই প্রফাইল মানুষের চেয়ে প্রান্তিক মানুষের জীবনের গল্প বেশি ভালো লাগে।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ মানুষের জীবনই মানব সমাজের ইতিহাস।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:১৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: স্যার, কেমন আছেন?ব্যস্ত থাকায় আপনার ব্লগে আসতে পারছিনা।টাইম করে সব পড়ে নেবো।একটা বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন জানার জন্য লগ ইন করলাম।
আমাদের দেশের সব সেক্টরের দুর্নীতি বন্ধ করতে ১০ জন অফিসার নিয়ে বিশেষ উইং করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চাইলেন রেলের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন।এবং উনি তিন মাসের মধ্যেই সব সেক্টর থেকে দূর্নীতি বন্ধ করতে আশাবাদী।বিষয়টিকে আপনি কীভাবে নেবেন?যেখানে পুরো দেশের প্রতিটি সেক্টরকে দূর্নীতি গ্রাস করে ফেলেছে,সেখানে উনি কার জায়গায় কাকে বসিয়ে তিন মাসের মধ্যেই সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করবেন!নাকি এটি উনার আবেগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের মুল দুর্ণীতি করে ব্যুরোক্রেটরা; ওদের থেকে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ জন লোক দিয়ে অনেক কিছু থামানো সম্ভব; তবে, বাংলাদেশের বেশীরাগ মানুষ অদক্ষ; দক্ষ কোন সচিবের নাম, বা কোন কাহিনী আমার জানা নেই; মনে হয়, উনি নিজেও অদক্ষ।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এইটা কোন দেশে?

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

সপ্তম৮৪ বলেছেন: চমৎকার । । ।

ইদ মোবারক

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঈদের শুভেচ্ছা, ভালো থাকুন।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

সপ্তম৮৪ বলেছেন: লেখার সাথে ছবির মিল আছে

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার স্মৃতিকথা ইত্যাদিতে আমি এই ছবিটি ব্যবহার করি; আমাদের একটা ছাড়া বাড়ীতে অনেক পেঁচা থাকতো, প্রজাতিটি আকারে ছোট ছিলো, আমাকে ভয় পেতো না, কেমন যেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো।

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়াতে নেপালি দারোয়ানদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
উক্ত ভিডিওটি আজকে এখানে প্রকাশিত হয়েছে। এতে একজন মালয়েশিয়ান নেপালি একজন দারোয়ানকে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে । বিষয়টি আলোচনা জন্ম দিয়েছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২০ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাক্য থেকে বুঝা যাচ্ছে না, কে কাকে মেরেছে

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটাকে একটু অসম্পূর্ণ গোছের মনে হলো। তবে নারীদেরকে বাহ্যতঃ ভঙ্গুর ও ভীতু মনে হলেও, প্রকৃতিগতভাবে ওদের অন্তঃস্থ শক্তি ওদেরকে বিপদে আপদে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে, ওরা জীবনের ঝড় ঝাপ্টাকে পুরুষের চেয়ে দক্ষভাবে সামলে নিতে পারে। সবিতাও সে রকমই একজন নারী।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই পোষ্টটা আমারও তেমন পছন্দ হচ্ছে না; কিছু ইহাকে এডিট করাও হচ্ছে না। কষ্টকর পরিস্হিতিতে এখন মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে খারাপ করছে না, সময় সময়, পুরুষদের চেয়ে ভালো করছে।

২২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শেষ পর্যন্ত সবিতা স্ট্রং মেন্টালিটি গড়তে পেরেছে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঠিক সময়ে সে নিজ পায়ে দাঁড়িয়েছিলো।

২৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৫

পুলক ঢালী বলেছেন: আমার মনে হয় সবিতাদের গ্রামের প্রতিবেশী মানুষগুলো খুব ভাল এবং সহানুভুতি সম্পন্ন মানুষ ছিলো। অন্যথায় ওর মত এতিম একটা মেয়ের পক্ষে পুকুর টুকুর গুলো ধরে রাখতে পারার কথা নয় সব বেদখল হয়ে যেত । মাছ ও গাছ বিক্রি করে গরু কিনতে পারারও কথা নয়, জমি কেনা তো দুরঅস্তঃ ।
নারীশক্তি বিবর্তনের ধারায় আত্মপ্রকাশ করেছে দারুন লিখেছেন । ঘরজামাই নিয়ে বর্তমানে তার অবস্থা কি ?
আপনি রাজনৈতিক ক্যাচাল পোষ্ট না দিয়ে যদি এগুলো লিখতেন --------।
ভাল থাকুন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সে জমি কিনেছিলো মায়ের অলংকার ও পুকুর থেকে কিছু অংশ বিক্রয় করে ধানের জমি কিনেছিলো; পুকুরের যেই অংশে শ্মাশান ছিলো, সেটা সে গ্রামবাসীর কাছে বিক্রয় করেছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.