নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"যে কোন অপরাধের বিচারের দায়িত্ব সৃষ্টিকর্তার

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৯



শিরোনামটা আমার নিজের ষ্টেইটমেন্ট নয়, ইহা আমার পোষ্টে একজন ব্লগারের মন্তব্যের অংশ; ইহা ভুল ষ্টেইটমেন্ট; আসলে, সৃষ্টিকর্তা কোন অপরাধীর বিচার করেন না; যদি আল্লাহ অপরাধীর বিচার করতেন, "সমাজে কোন অবস্হায় এত অপরাধ থাকতো না, এবং একই অপরাধী বারবার অপরাধ করার সুযোগ পেতো না।"

সমাজে অপরাধ কমানোর জন্য বিচার ব্যবস্হা চালু আছে; যেই সমাজে অপরাধের পরিমাণ বেশী, এবং একই অপরাধী বারবার অপরাধ করে বেড়ায়, সেই সমাজে বিচার ব্যবস্হা বেঠিক, দুর্বল, অস্বচ্ছ, অথবা বিচার ব্যবস্হা নেই। আধুনিক রাষ্ট্রে বিচার ব্যবস্হা চলে রাষ্ট্রের আইন অনুসারে; ইহা বেশ কমপ্লেক্স সিষ্টেম। যেসব জাতির বিচার ব্যবস্হা উন্নত ও স্বচ্ছ, সেখানে অপরাধের পরিমাণ খুবই কম; সিংগাপুর, জাপান, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন ও ইসরায়েলের বিচার ব্যবস্হার সুনাম আছে।

বিশ্বের যেই অংশে ইসলাম ধর্ম প্রচারিত হয়েছে, এই অংশটা ইসলামের আগেও বেশ অনুন্নত ছিলো; অনুন্নত এলাকায় মানুষের জীবন সব সময় কষ্টকর হয়; অনুন্নত এলাকায় কোন কিছুই ঠিক মতো কাজ করে না, বিচার ব্যবস্হার অবস্হাও তাই হয়। রাজত্ন্ত্রের সময় সাধারণ মানুষের বিচার পাবার সম্ভাবনা ছিলো ক্ষীণ; ফলে, মানুষ মনোকষ্টকে লাঘব করতে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ করতো; সেই দিক থেকে অসহায়, অশিক্ষিত, দরিদ্র মুসলমানেরা বিচারের ভার আল্লাহকে দিয়ে থাকেন।

আমাদের দেশের "বসুন্ধরা কর্পোরেশ" মানুষের যায়গা, সরকারী যায়গা দখল করে চলছে ৩০/৩৫ বছর; আল্লাহ বিচার করলে ইহা থেমে যেতো; ইহা থামেনি, মানে আল্লাহ বিচার করছেন না। অসহায় লক্ষ লক্ষ মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, হাজার হাজার শিশু ভয়ংকর ঘাতকের হাতে প্রাণ হারায়েছে; ইহা কখনো বন্ধ হচ্ছে না; ইহাই প্রমাণ করছে যে, আল্লাহ বিচারের দায়িত্বে নেই।

নোয়াখালীর রাফিকে পোড়ায়ে হত্যা করার পর, রাফীর শিক্ষক, মওলানার বিচার হয়েছে; মওলানা আসামী হিসেবে আদালতে নিজের পক্ষ অবলম্বন করেছে; সে তো দাবী করেনি যে, আল্লাহ বিচার করবেন, দেশের বিচার ব্যবস্হায় তার বিচার করা অন্যায়। সেই মওলানা যদি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতো যে, বিচারের দায়িত্ব আল্লাহপাকের, সে সেটা বলতো।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,

মহান আল্লাহ পাক ন্যায় বিচারক এবং বান্দা যত ক্ষুদ্র ই অপরাধ করুক না কেন তার যথাযথ প্রতিফল / প্রতিদান সে ভোগ করবে।
তবে মানুষের ন্যায় আল্লাহর বিচার তাড়াতাড়ি হয়না বা করেন না।

আর দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় বিচার চাওয়া রাষ্ট্রের যে কোন নাগরিকের অধিকার।এখন প্রশ্ন হলো দেশের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় কতটুকু নিরপেক্ষ বিচার পাবে তার উপর।

আর গরীবের জন্য " বিচারের বাণী নিভৃতে কাদে " বলে একটা কথা আছে। আর দুনিয়ার বিচার ব্যবস্থায় যাই হোকনা কেন এটা নিশ্চিত মহান আল্লাহ পাকের নিকট আমরা সবাই ন্যায় বিচার পাব।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার ধারনা, বিচার পাবেন, "ভবিষ্যত কাল"; বিচার পেতে হয় সময় মতো, না হয়, উহা বিচার নয়; বিচার নিয়ে আপনার ধারণা ভুল।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

Bonjour Monsieur,

ইহাই একটি সান্তনার বাণী ।

মানুষ এই বাণী মনে মনে আউরে সান্ত্বনা লাভ করে। ইহার তেমন কোন উপযোগিতা নাই । বিশ্বাস মাত্র।

Merci beaucoup.

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই ভুল ধারণা মুসলিম এলাকাকে গ্রাস করে ফেলেছে, মানে মুসলিম এলাকায় সঠিক বিচার নেই বললেই চলে।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

আকন বিডি বলেছেন: আপনি কি ইসলাম মানেন?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানি

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমার ধারণা আপনি একজন
বুদ্ধিমান শয়তান নয় তো নির্বোধ।

কারণ আপনার লেখার শিরোনামটি
সত্য হওয়া সত্যেও তা অস্বীকার বা
অবজ্ঞা করছেন। বান্দার সমস্ত পাপ পূন্যের
বিচারের ভার একমাত্র মহান আল্লাহতায়ালার।
তাই ভূপৃষ্ঠে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ধরনের অন্যায় ও
অপকর্ম করা চলবে না; একমাত্র আল্লাহকেই ... তোমার
প্রতিপালক তাঁর বান্দাদের প্রতি কোনো জুলুম করেন না।
(সূরা হা-মিম সিজদা, আয়াত: ৪৬)
রোজ হাশরে আল্লাহ তাআলা মানুষের পাপ-পুণ্যের ফয়সালা
করবেন এবং যার যার দুনিয়ার আমল-আখলাক কর্মফল অনুযায়ী
নিখুঁত নিক্তিতে বিচার করবেন।
দুনিয়ায় যত মানুষ এসেছে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের পর তাদের
একত্র করে আমলনামার লিখিত প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার করবেন।
অবশ্য এ সময় মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, হাত-পা কথা বলবে এবং ন্যায়-
অন্যায়ের সাক্ষ্য দেবে। শেষ বিচারের দিন প্রতিটি মানুষ তার দুনিয়ার
জীবনের কর্মফল অনুযায়ী ন্যায্য প্রতিদান পাবে। ভালো কাজ করলে
পুরস্কার তথা জান্নাত আর মন্দকাজ করলে শাস্তি তথা জাহান্নাম। এ
প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘আজ
প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের প্রতিফল দেওয়া হবে, আজ কারও প্রতি
জুলুম করা হবে না। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।’ (সূরা আল-মুমিন, আয়াত: ১৭)

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


তা'হলে বিশ্বে বিচার বিভাগ কেন করেছেন মানব সমাজ?

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: জনাব নুরু ভাইয়ের মন্তব্যের শুরুটা বেশ আপত্তিজনক! আমি খুব কষ্ট পেলাম উনার মত এমন বিজ্ঞ ব্লগারের এমন মন্তব্যে;
আমি গত বার বছরের ব্লগ জীবনে ব্লগীয় কোন ক্যাচালে থাকিনা। কিন্তু এইভাবেই বিতর্কের সুত্রপাত হয়; হিংসা বিদ্বেষ বাড়ে।
দুজনের বক্তব্য দু'ধরনের একজন বলেছেন, দুনিয়ার বিচার নিয়ে আরেকজন বলেছেন, রোজ- হাশরের বিচার নিয়ে।
আমরা যে কারো গুন ও দোষ এর ফল সরাসরি আরোপের পক্ষপাতি। আমি বহুদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করেছি, যারা খারাপ কাজ করেন সবাই তার এই কৃতকর্মের ফল দুনিয়াতে দেখতে চেয়ে অপেক্ষা করে! যহি তার সংসারের কারো অপমৃত্যু হয় তাহলে সবাই বেশ খুশি হয়ে বলে; দেখেছিস 'পাপের ফল'। আর ভালো(আমরা যাদের ভাল জানি) তাদের তেমন কিছু হলে বলে, আহারে- আল্লাহ উনার পরিক্ষা নিচ্ছেন।'
খারাপ লোক দীর্ঘ রোগে ভুগে নিদারুন কষ্ট সহ্য করে মারা গেলে বলে'এইতো দেখেছ কর্মের ফল এমনে ভোগ করতে হয়।'

আমার এক বন্ধু রেফারেন্স দিয়েছিল; সিরাজুদ্দৌলা'র সাথে বেইমানীর শাস্তি কে কিভাবে পেয়েছিল! আমি মীর জাফরের ডিটেল দিয়ে তাকে বলেছিলাম। যাদের খারাপ হয়েছে তাদের নিয়েই ওখানে বলা হয়েছে। আচ্ছা বলতো সিরাজুদ্দৌলার অমন করুন মৃত্যু হওয়ার কারন কি পাপের ফল? আর কেউ কি সিরাজুদ্দৌ্লার সাত্হী যা্রা ছি্ল ্তাদের সবার ্মৃত্যুর ইতিহাস রেকর্ড করে রেখেছে।মানুষ শুধু খারা্প মানুষের খারাপ পরিণতির অপেক্ষা করে।
কাউকে সরাসরি আক্রমন করে আমরা বলতে পারি না 'তুমি খারাপ'তুমি বদমায়েশ, তুমি কাফের' -এইখানে খুব বেশী বললে , হয়তো তুমি ভাল নয় একথা বলতে পারি। কে খারাপকে কে ভাল এইসব বিচারের ভার পরম করুনাময়ের হাতে ছেড়ে দিই। আসুন আরো বেশী ধর্ম জানার চেষ্টা করি, ধৈর্য শীল হই।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের জ্ঞানী মানুদের ভাবনা মতে মানব সমাজ চলছে, মানব সমাজে বিচারের ব্যবস্হা করা হয়ে অপরাধ কমানোর জন্য; মৃত্যুর পর যদি বিচার হয়, সেটা হবে দেরীতে; দেরীতে বিচার মানে বিচারহীনতা

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই,

আপনার মন্তব্যের জন্য ।কিন্তু যে কোন কাজের ই একটা নিয়ম আছে । যেমন ,এই দুনিয়াতেও সে প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য যে রাষ্ট্রই হোক না কেন বিচারের জন্য দেশের প্রচলিত নিয়ম কানুন অনুসরন করেই চূড়ান্ত রায় দেওয়া হয়।এখন প্রশ্ন হলো প্রচলিত বিচার পদ্ধতিতে কতটা নিরপেক্ষ বিচার হ্য় তার। আর এই দুনিয়ার বিচারের ও রায় বের হতে কখনো কখনো দীর্ঘ সময় লাগে।তড়িঘড়ি করে বিচার দুনিয়ায় বিচারেও হয় না আর আল্লাহর বিচার সঠিক সময়ে সঠিক ভাবেই সমাপ্ত হবে।এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই ।

এই প্রথম আমি ব্লগে "কবর" বিষয়ে একটি লেখা লিখেছি যা আপনাকে উৎসর্গ করা। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্যে আশা করছি।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল্লাহ কি আপনাকে বিচারের কথা জানায়েছেন?

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

নজসু বলেছেন:



শিরোনাম দেখে ভাবলাম শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সম্পর্কে এতোদিন যা ভেবেছি তা ভুল ছিলো।
কিন্তু পুরো পোষ্ট পাঠ করে বুঝলাম, এখন আপনার সম্পর্কে যেটা ভাবলাম সেটাই বরং ভুল।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে মানব সমাজের নিয়ম মেনেই চলতে হয়, মানব সমাজ লজিক্যাল পথে থাকার চেষ্টা করে।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দুনিয়ার বিচার দুনিয়াতেই হোক। রোজ হাসরের বিচার পরে হলে চলবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানব সমাজে মানুষের বিচার মানুষ করেন, এটাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তাই মানুষের বিচার আগে মানুষের দ্বারাই হোক। মানুষের নিজেদের বিচার বুদ্ধি ও বিবেচনা দিয়ে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



যেসব জাতি বিধাতার কাছে নালিশ করে, সেসব জাতিতে সঠিক বিচার নেই।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শেরজা তপন বলেছেন: জনাব নুরু ভাইয়ের মন্তব্যের শুরুটা বেশ আপত্তিজনক!

তপন দাদা আপনার আপত্তি করা দোষের নয়।
তবে গাজীসাব হলো ঝুনো নারকেল। তার থেকে
কঠিন আবরণ ভেদ করে সুপেয় পানি ও শাস বের
করতে হলে আঘাতটা একটু বেশীই আবশ্যক হয়।
আমি তাকে মাঝে মাঝে বেশ আঘাত করে থাকি যা
সবার কাছে গ্রহনীয় না হলেও গাজীসাব উচ্চবাচ্য
করেন না। এটা তার সাথে বহু দিনের তিক্ততার ফল
স্বরুপ আমার অর্জন। আশা করি অন্যরা সহজ ভাবে
নিবেন।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৪

রাশিয়া বলেছেন: ব্লগার যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্য, কুরআন হাদীসের অমোঘ বাণী নয়। তাই এ নিয়ে অযথা ক্যাচাল করার কিছু নেই।

সূরা ত্বীনের শেষ আয়াতে আল্লাহ্‌কে সব বিচারকের বড় বিচারক বলা হয়েছে - একমাত্র বিচারক বলা হয়নি।

বিচারকার্য যদি মানুষের হাতে না দিয়ে এক আল্লাহ্‌ তায়ালাই করতেন, তবে ইসলামে ন্যায়বিচারকের এত সম্মান দেয়া হতনা।

সূরা নিসার ৫৮ আয়াতে এবং সূরা হুজুরাতের ৯ আয়াতে মানুষ কিভাবে বিচার করবে, তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কাজেই মানুষের হাতে বিচারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে - এটা কুরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত।

রাসূল (সা) অনেক বিচারের দায়িত্ব নিজে পালন করেছেন, খোলাফায়ে রাশেদীনগণও করেছেন। উমাইয়া ও আব্বাসীয় খেলাফতের যুগে কাজী চাইলে বাদশাহকেও শাস্তি দেবার ক্ষমতা পেতেন।

বাস্তবতা হল এই যে, আল্লাহ্‌ সমস্ত অপরাধেরই বিচার করবেন। কিন্তু সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায় যেহেতু মানুষের আছে, তাই ন্যায়বিচারের নিয়ম মেনে মানুষকেও বিচারের দায়িত্ব পালন করতে হয়। মানুষ যদি ন্যায় বিচার না করে, তবে অপরাধীর পাশাপাশি আল্লাহ্‌ তায়ালা বিচারকেরও বিচার করবেন। এই দায়বোধ থেকেই ইমাম আবু হানিফা খলীফা হারূনের প্রস্তাবিত কাজীর দায়িত্ব পালনে অস্বীকার করেছিলেন। বিপরীতে মুসলিম কাজী কর্তৃক সুলতান গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের বিচার এবং তা কার্যকর করার মহান শিক্ষাও আমরা ইতিহাস থেকে পেয়েছি।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম সম্পর্কে প্রত্যেক মুসলমানের নিজস্ব বক্তব্য আছে।

১২| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষকেই ন্যায়বিচার করার নির্দেশ আল্লাহতা'লা দিয়েছেন। এবং সে বিচার শুধু বিচারকগণই করবেন না, প্রত্যেক মানুষকে তার নিজস্ব গন্ডীতে সুবিচার করার আদেশ দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের প্রতি, আত্মীয় স্বজনের প্রতি, প্রতিবেশীর প্রতি এবং দেশবাসীর প্রতি সুবিচার করতে আজ্ঞাপ্রাপ্ত। ভাল কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে এবং মন্দ কাজকে প্রতিহত করতে, তা না পারলে নিরুৎসাহিত করতে ক্বোরানে বহুবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটাই সঠিক, বিচারের ভার মানুষের হাতে না থাকলে, মানব সমাজ অপরাধের মাঝে ডুবে যেতো।

১৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যিনি এই ষ্টেইটমেন্ট দিয়েছে, তিনি না জেনে, না বুঝে, না চিন্তা করেই দিয়েছেন।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্মের উপর সবার বক্তব্য, আছে, আসল ধর্ম সংরক্ষণ হয়েছে কিনা কে জানে!

১৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তার কি একই সাথে পরম দয়ালু ও ন্যায়বিচারক হওয়া সম্ভব? দুনিয়ার বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য আমরা বিচারককে কত কটু কথা বলি কিন্তু সৃষ্টিকর্তার বিচারের দীর্ঘসূত্রতার জন্য উনাকে কিছু বলিনা!

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



অসহায় মানুষ উনার কাছে বিচার চায়।

১৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ধারনা- আল্লাহ এখন মানুষকে কিচ্ছু বলবেন না। মানুষ যত অন্যায়ই করুক। কারন পৃথিবীতে কিভাবে চলতে হবে তার বিধান আল্লাহ কোরআন এ দিয়েছেন। এবং হাদীসও আছে।

আল্লাহ অন্যায়কারীদের ধরবেন মৃত্যুর পর। তখন তাদের কঠিন শাস্তি হবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


তা'হলে পৃথিবীতে অন্যায় বেশী বেড়ে যাবে; এবং সেইজন্য মানুষ অপরাধীদের বিচার করছে

১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলিম প্রধান দেশগুলোর বিচার ব্যবস্থা হযবরল।জমির বিলি বন্টন সহ অনেক আইন ইসলামীক বিধি মোতাবেক,আবার অনেক আইনের আধুনিকায়ণ হয় নাই।গরিবের একটাই আইন আল্লাহ ভরসা।
নূরু ভাই ,আপনি কি সেই সম্পর্কে কি আপনার ধারনা আছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আল্লাহ বিচার করেন না, মাূষ মানুষের বিচার করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.