![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আমার নিজ জেলার আনাচে কানাচের মানুষগুলোকেও আমার দেখা হয়নি সঠিকভাবে; রোমের লোকজনকে দেখার অত লোভ আমার ছিলো না; ২ জন ক্লাশমেট রোম দেখতে যাচ্ছে, আমাকে সাথে নেবেই নেবে, গেলাম। খরচ কমানোর জন্য বিমানে ওয়ারশ, সেখান থেকে ট্রেনে রোম, ৯দিন থাকার প্ল্যান। ওয়ারশ'র মানুষজন এত ফিটফাট যে, নিজকে টুরিষ্ট মনে হলো না; মনে মনে ভয় করতে লাগলম, ওরা আমাদেরকে আদম টাদম ভাবছে কিনা। ওয়ারশ ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েদের দেখে মনে হলো, এরা পড়ালেখা করে, এরা ভদ্র, এরা জ্ঞানী।
সন্ধ্যায় ট্রেনে উঠে, পরদিন দুপুরবেলা রোমের সেন্ট্রাল ট্রেন ষ্টেশনে নামলাম; কাজের দিন, লোকজন তেমন নেই, আমি পেনসিওনাতের পক্ষে, আমার ক্লাশমেটদের কাছে বেশ টাকাপয়সা ছিলো, হোটেলে থাকার কথা ভাবছিলো; শেষে আমার কথায় পেনসিওনাতে উঠতে ইচ্ছুক হলো। হাঁটার দুরত্বের মাঝেই একটা জায়গা পেলাম, খরচ হোটেলের ৪ ভাগের একভাগ। সুন্দর ছোট বাড়ী, বাবা, মা ও তাঁদের কলেজের মেয়ে থাকেন বাড়ীতে; উপরের তলায় তাঁরা থাকেন, নীচের তলায় ৪টি রুম ভাড়া দেয়; আমাদের জন্য ৩ রুম, ১ রুম খালি, রাতে এক রুমানিয়ান দম্পতি আসবেন। মালিকের মেয়ে,রোসেত্তা, গেষ্টদের দেখাশোনা করে। আমরা খাইনি শুনে বললো,
- ঘরে মাকারণী, মিটবল, সালাদ, আলু ও লবনাক্ত স্যামন আছে; তোমরা চাইলে আমি লান্চ তৈরি করে দেবো, এজন্য পে করা লাগবে না।
-ধন্যবাদ, তোমার নিশ্চয় কষ্ট হবে।
-না, তোমরা ছাত্র মানুষ, বেড়াতে এসেছ, আমাদের পেনসিওনাত পছন্দ করেছ, এটা আমাদের জন্য অনেক কিছু।
আমাদের ৩ জনের ৩ ধরণের এজেন্ডা, আমি রোমের মানুষ দেখতে চাই; এক ক্লাশমেট, লাভলু, সে পুরাতন রোম ও টুরিষ্ট স্পট দেখবে; অন্য ক্লাশমেট রতন, সে ভ্যাটিকান ও মিউজিয়াম দেখবে। বিকালে, আমি ইটালীর কাজের লোকজন দেখার জন্য ট্রেন ষ্টেশনে গেলাম, লোকজন কাজ শেষে ৩টার পর থেকে ট্রেনে বাড়ী ফিরবে; রতন গেলো ভ্যাটিকান, লাভলু কলোসিয়েমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো। আমি ষ্টেশনে বিকেলের ব্যস্ততা দেখার পর, লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে ষ্টেশনের অদুরে রোমের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারে গেলাম; এখানে বিশ্বের সবকিছু বিক্রয় হচ্ছে; মেয়েদের ভাবসাব দেখে মনে হলো, মেয়ে কেনাও সম্ভব। বয়স্ক মহিলারা ফল বিক্রয় করছেন এত সস্তা যে, আমি ভয়ে দাম জিজ্ঞাসা করিনি, শেষে যদি ফ্রিতে দিয়ে দেয়।
রাত ৯ টায় সবাই ফিরে এলাম, রোসেত্তা কলেজ থেকে ফিরেছে; তার থেকে জানতে চাইলাম কোথায় কম খরচে ডিনার খাওয়া যায়? সে ২ ব্লক দুরে একটা কাফেতে নিয়ে এলো আমাদের; বেইক-করা পুরো মুরগী, একটা পিজ্জা, সালাদ ও ৪ গ্লাস পান্চ ১১ ডলার, খুবই কম দাম; রোসেত্তা কফি খেলো, সে সন্ধ্যা ৭ টার পর আর খায় না। আমরা ভালো যায়গার সন্ধান পেলাম, আমাদের বাজেটের মাঝে অনেক ধরণের খাাবার আছে এখানে। (পরে আরো লিখবো )
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্যাপার হলো, ওসব দেশের যারা নাম লিখতে জানে মাত্র, তারাও আমাদের অনেক পিএইচডি থেকে বিশ্ব সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা রাখে।
কলোসিয়াম এক নজর দেখেছিলাম; আসলে আমি ওখানে গিয়েছিলাম মানুষ দেখতে, বিশ্বের সব দেশের মানুষ ওখানে আসেন; যতটুকু দেখেছিলাম, সেটুকু লেখার চেষ্টা করবো।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
হাসান রাজু বলেছেন: সংক্ষেপে লিখে ফেলার একটা তাড়া আছে আপনার। এটা গুণ নাকি দোষ সেটা বুঝছি না। কারন দুটোরই সুবিধা, অসুবিধা আছে। আপনার লেখা পড়ে আমরা অভ্যস্থ তাই সমস্যা হচ্ছে না। লিখতে থাকুন । ভাল লাগা জানিয়ে রাখলাম।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি প্রকৃতি, দালান, শহর, মল, গাড়ী, ট্রেন দেখার জন্য কোন দেশে যেতাম না, শুধু মানুষ দেখার জন্য যেতাম; এখনো রাস্তায় বের হলে আমি মানুষ দেখি।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমার একটা মিল আছে। আমিও মানূষ দেখতে, মানুষ জানতে পছন্দ করি।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিবিধ জাতির মানুষ নিয়ে আমার কৌতুহল ছিলো আজীবন।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: সবসময় রাজনৈতিক প্যাচাল নিয়ে এত লেখেন যে আপনার এই ধরনের শৈল্পিক লেখাগুলো হারিয়েই যায়। ভালো লাগা ইন্ট্রোর পর বাকিটুকুর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
রাজনীতি ও অর্থনীতি মানব জাতির সুখশান্তি ও অশান্তির মুল কারণ, এগুলো বাংগালীরা না বুঝার কারণে ১৮ কোটী বাংগালী আজকে ভয়ানক কষ্টকর জীবন যাপন করেছেন।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২২
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ওরা এত সভ্য হল। অথচ, আমরা এত অসভ্য হলাম কেন? আমাদের পরিবর্তন হল না কেন?
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমাদেরকে যুগের পর যুগ শিক্ষা থেকে দুরে রেখেছে কিছু দুষ্ট লোকজন।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতার সঞ্চার। আপনার এ ধরনের লেখাগুলো বেশ। ভ্রমণে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে তাদের সমাজ-সংস্কৃতি-আচার জানার চেষ্টা একটি অসাধারণ ব্যাপার। আমি নিজেও চেষ্টা করি তা...কিন্তু সাথের বেশির ভাগ লোকজনের কাছে এগুলো কিছুটা বাড়াবাড়ি। আমি বুঝাতে পারি না..............।
পরের লেখায় আরো চমৎকার কিছু পাব নিশ্চয়.......।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বহু মানুষকে আমি আগের ওয়ার্ল্ড ট্রেইড সেন্টারে (২০০১ সালের আগে) নিয়ে গেছি; কিন্তু আমি ইহার উপরে উঠি নাই, সেটা নিয়ে আমার স্ত্রীও হতবাক হয়েছিলো।
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১১
আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার ক্লাসমেটরাও বাংলাদেশী ছিল তাহলে। কত সালের কথা এটা?
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্লাশমেটরা বাংলাদেশী ছিলেন, ১৯৮৪ সালের কথা।
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
রোমের মানুষের জীবিকা, চালচলন, সংস্কৃতি, ট্রেডিশন দেখার প্রথম সুযোগ ছিলো সেটি।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: শুনেছিলাম অনেক জাপানী বা ইউরোপিয়ান গ্রাজুয়েটকে যদি ম্যাপ থেলে আমেরিকা খুঁজে বের করতে বলা হয়, তাও নাকি পারবে না। বাংলাদেশে সম্ভবত এমন টা নেই।
আপনার রোম ভ্রমন কবের ঘটনা?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা জানার চে্ষ্টা করে, কিন্তু ইউনিভার্সিটিগুলোতে কিছু নেই।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেবার ১ম রোম গিয়েছিলাম ১৯৮৪ সালে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৩৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওদের সাথে আমাদের কত পার্থক্য। ভাবলে নিজেদেরকে আনসিভিলাইজড মনে হয়। ভালো লাগলো আপনার রোমের অভিজ্ঞতা। কলোসিয়াম দেখে থাকলে পরের লেখায় ওটার বিষয়ে কিছু লিখবেন আশা করি।