নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কমবুদ্ধিমান জাতির ৩য় লিংগের দু:খী সন্তানেরা

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১১



"হিজড়া" শব্দটা শুনতে ভালো লাগে না, কোথায় যেন সন্মানের ও দয়ামায়ার অভাব আছে এই বাংলা শব্দটায়। মা-বাবার প্রতি প্রকৃতির একটা অস্বাভাবিক আচরণ হলো, ৩য় লিংগ সন্তানের জন্ম; প্রকৃতির জন্যও ইহা একটি ব্যতিক্রম। সন্তানদের মাঝে যদি শারীরিকভাবে ব্যতিক্রম কেহ থাকে, সেই সন্তানকে বেশী আদর, স্নেহ ও যত্নে বড় করার কথা; কিন্তু বাংলাদেশে এই মানব গোষ্টী কি কারণে যেন পুরো জাতির শত্রু হয়ে গেছে।

যেহেতু, এই জাতিতে মানসিক সমস্যার মানুষকে "পাগল, পাগলী" বলে ক্ষেপায়, ঢিল ছোঁড়ে, তাড়ায়, জাতির কোন একজন সন্তান পার্লামেন্টে মানসিক রোগী ও তেমনিভাবে ৩য় লিংগের সন্তানদের নাগরিক অধিকার নিয়ে বিল এনে আইন করার দরকার ছিলো; ১৮ কোটীর মাঝে সেই বুদ্ধিমান সন্তানও আজো জন্ম নেয়নি। যেহেতু, ৩য় লিংগের সন্তানের সারাক্ষণ মেডিক্যাল সাহায্যের দরকার নেই, এই সন্তানগুলো বিনা কষ্টে পরিবারের সাথে, বাকী সবার মতো বড় হওয়ার কথা; এরা কিভাবে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়? দেশের আইন পরিবারকে এই ব্যাপারে সাহায্য ও দায়ী করছে না কেন?

৩য় লিংগের সন্তানেরা কি কারণে পরিবারহারা হচ্ছে? কেন তারা পরিবার ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র কি ব্যবস্হা নিচ্ছে? কেন অন্য সন্তানদের মতো এই সন্তানটি লেখাপড়া করে, পরিবারের স্নেহে মমতায় থাকতে পারছে না? সমাজ ও রাষ্ট্র কেন ৫০ বছরে এদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি? কেন বেশীরভাগ ব্লগার সেইদিকটা নিয়ে কথা না বলে, তাদের চাঁদাবাজিটাকে আগে দেখছেন? অনেক ব্লগারের চিন্তাশক্তিও দেখছি রাস্তার মানুষের সমান।

এসব সন্তানরা অন্য সন্তানদের চেয়ে মানসিকভাবে কিছুটা অশান্তিতে থাকতে পারে, ভুগতে পারে; ফলে, পরিবার যদি এই ধরণের সন্তানকে সঠিকভাবে সাহায্য করতে না পারে, এদের সাহায্য করতে কাদের এগিয়ে আসার কথা?

যাকে তোমরা সাহায্য করনি, যার আজন্ম-দু;খ তোমাদের নাড়া দেয়নি, যে পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে, সে যদি বাঁচার জন্য অস্বাভাবিক কিছু করে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে, সেটার সমাধান করতে হবে। ব্লগারেরা, শিক্ষকেরা, ডাক্তারেরা, প্রফেশানেলরা যদি ১ দিন সারা দেশে এদের অধিকারের জন্য রাস্তায় দাঁড়ায়, সরকার কি দেশের সকল নাগরিককে "গুম" করে ফেলবে?

এদের জন্য আইনের দরকার, সাহায্যের দরকার, নাগরিক অধিকারের দরকার, এরা যেন পরিবারের স্নেহে বড় হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করে নিজের দু:খময় জীবনটাকে কিছুটা হলেও ভুলে গিয়ে মানুষের মতো বাঁচতে পারে।


মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের এক বন্ধু ( গ্রামের) সম্পর্কে আমার ভাই আমৃত্যু পরিবারের সাথেই ছিল।তার চাল চলন কথা বর্তা সবই ছিল আমাদের মত।ভাল ফুটবল খেলত।অন্যেরা অন্য রকম হয়ে যায় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবার কারনে।

৩য় লিংকের মানুষ জনের সাথে ব্যবহারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাত হয়ে।সমাজে তাদের একীভূত করে নিতে হব।তারাতো মা বাবারই সন্তান।তারা কেমন বাবা মা যারা নিজ সন্তান কে বাড়ীর বার করে দেয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পরিবার থেকে যাতে এদেরকে বিচ্ছিন্ন হতে না হয়, সেইজন্য আইন ও দরকারী সরকারী বাজেট দরকার।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন ।
সরকার ২০১৩ সালে হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে

হিজড়া জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ হলেও আবহমান কাল থেকে এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। সমাজে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার এ জনগোষ্ঠীরউন্নয়নের জন্য সরকারী বেসরকারী কিছু উন্নয়ন কর্মসুচী আছে বলে দেখা যায় । বেসরকারী পর্যায়ে বেশ কিছু এনজিও যথা ন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের কিছু কর্মসুচী রয়েছে ।

হিজরাদের পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, স্বাস্থ্যগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরকে সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে সরকার একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানা যায়। সমাজসেবা অধিদফতরের জরিপমতে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার যদিও বলা হয়ে থাকে দেশে হিজরা জনসংখ্যা দেড় লাখেরও বেশী ।

সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তথ্যভান্ডার হতে জনা যায় ২০১২-২০১৩ অর্থ বছর হতে একটি পাইলট কর্মসূচি হিসেবে দেশের ৭টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু হয়। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৬৪ জেলায় এই কর্মসুচী সম্প্রসারন করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৬৪ জেলায় বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫,৫৬,০০,০০০/- (পাঁচ কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষ) ) টাকা।
এই প্রকল্পের মুল লক্ষ হিসাবে বলা হয়েছে
স্কুলগামী হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৪ স্তরে (জনপ্রতি মাসিক প্রাথমিক ৭০০, মাধ্যমিক ৮০০, উচ্চ মাধ্যমিক ১০০০ এবং উচ্চতর ১২০০ টাকা হারে) উপবৃত্তি প্রদান ;
৫০ বছর বা তদুর্ধ বয়সের অক্ষম ও অসচ্ছল হিজড়াদের বিশেষ ভাতা জনপ্রতি মাসিক ৬০০ প্রদান ;
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূল স্রোতধারায় আনয়ন ;
প্রশিক্ষণোত্তর আর্থিক সহায়তা ১০,০০০/-( দশ হাজার) টাকা প্রদান।
তথ্য সুত্র : Click This Link

এই ৩য় লিংগের সমস্যা অনেক থাকলেও তার সমাধান খুব একটি কঠিন কাজ নয় । সকলের একটু সহযোগীতা মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমেই এই ৩য় লিংগের জনগুষ্ঠি উঠে আসতে পারে সমাজের মুল ধারায় ।

হিজরা তথা এই ৩য় লিংগের আইডি সমস্যা একটি বিকট সমস্যা অনেকেই মেয়ে পরিচিতি নিয়ে আইডি চান আবার অনেকেই ছেলে পরিচিতি নিয়ে আইডি চান । এটা তাদের জন্য চিকিতসা ও অন্যান্য নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে ।

যদিও সরকার ৩য় লিংগের স্বিকৃতি দিয়েছে তথাপি দেশে আইন আছে নারী ও পুরুষের জন্য। হিজড়াদের জন্য কোনো আইন নেই। হিজরারা থানা-পুলিশের কাছে গেলে বলে, তোমাদের সমস্যা তোমরাই মিটাও।তাই এ বিয়য়ে সুপষ্ষ্ট আইন দরকার ।

যদিও সংবিধান অনুযায়ী দেশের সব মানুষ সমান। তবে বাস্তবতা হল প্রতিবন্ধকতামূলক। ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে হিজড়াদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তা দূর করতে হবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর মনোজগৎ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের স্পষ্ট ধারণা নেই। পরিবারে বাবা-মাসহ অন্যরা এদের মানসিক নির্যাতন করছেন। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো জরুরি।

ইদানিং যদিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যথা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ফরমে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের উল্লেখ আছে।এতে মনে হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। তবে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে শুধু লিঙ্গ ও যৌনভিত্তিক পরিচয় দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিকভাবে বুঝতে হবে।

হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হতে হলে রাষ্ট্রীয় আইনকানুন পরিবর্তনের পাশাপাশি অবশ্য তাদের নিজেদেরও মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।

হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিয়ে পরিচালিত যে কোন কর্মসূচিতে পরিবার, বন্ধু, ও শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ৩য় লিংগের জনগোষ্ঠীকে সম্মানিত করা হলে তারা আর রাস্তায় গিয়ে টাকা তুলবে না। তখন তাদের আত্মসম্মানে লাগবে।তাদের আত্মসন্মানটুকু জাগিয়ে তুলা সমাজের সকলের দায়িত্ব ।

মুল্যবান কথামালাসমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে গেল

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আপনি দেখছি দরকারী অনেককিছু ও তথ্য জানেন। তবে, বিষয়টা এনজিও'র হাতে না দেয়াই ভালো।

যারা পড়ালেখার সুযোগ পায়নি, এখন পরিবার থেকে আলাদা, সম্ভবমতো তাদেরকে পরিবারের সাথে যুক্ত করার একটা প্রসেস দরকার, তাদের চলার মতো আয়ের ব্যবস্হা করার দরকার ও পরিবার থেকে যাতে বিচ্ছিন্ন হতে না পারে, সেইজন্য আইন দরকার।

৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সঠিক ভাবনা।
তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে, কাজ দিতে হবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা কেন এসব মানুষের প্রতি নির্দয়, বুঝা মুশকিল।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: থাইল্যান্ডের লেডিবয়দের খুব ভালো লাগে। মনে চায় এদের বিয়ে করে ফেলি B-)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওরা মেয়ে তো? মেয়ে হলে, বিয়ে করতে পারেন।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

রাশিয়া বলেছেন: আমি যতদূর জানি, হিজরারা মেয়ে নয়, ফিজিক্যালি তারা মেয়ে, মানে মেয়েদের মত দেখতে। কিন্তু সেক্সুয়ালি তারা ছেলে। ছেলেদের মতই তারা অন্য মেয়েদেরকে গর্ভবতী করতে পারে। তাদের সন্তান সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছেলে বা মেয়ে হয়।
https://www.chicagotribune.com/lifestyles/ct-life-first-transgender-birth-certificate-tt-01132020-20200114-qfbbf3dvufhppid5shjru6l5xu-story.html

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি এসব জানি না; আমি জানি যে, তারা আমাদের বেকুব সমাজে পরিত্যক্ত; পরিবার, সমাজ ও জাতি এর জন্য দায়ী; কিন্তু ইহার সমাধান যেকোন লিলিপুটিয়ানও করতে পারে; আমাদের পিপমীরা পারছে না।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

শাহ আজিজ বলেছেন: যেসব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা সাধারন মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে তাদের বিচ্ছিন্নকরন করে আলাদা করে কল কারখানায় কাজ করার উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে । এরাই বিভিন্ন পরিবারের তৃতীয় লিঙ্গের সন্তানদের ফুসলিয়ে অপহরন করে মগজ ধোলাই করে রাস্তায় নামায় । হয় কাজ কর বা জেলে যাও । দুটি অপশন দেওয়া হবে । যাদের পুরুষ বা মহিলা হবার সম্ভাবনা আছে তাদের সার্জারি বিনামুল্যে করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে হবে । কিছু কঠিন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে যারা বেপরোয়া , এদের বিশেষ ট্রিটমেনট দিয়ে অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে । এরাই মুল খুঁটি এবং এরাই এলাকার এম পি , কাউন্সেলরদের প্রত্যক্ষ মদদে সন্ধ্যা বাজার থেকে চাদা তোলে ।

এসব না হলে লাঠি জারি ছাড়া উপায় দেখি না । আমার বাসায় তো রীতিমত ডাকাতি করেছে । আমার এদের প্রতি কোন নুন্যতম বোধ জাগেনা আর এর জন্য আমি দুঃখবোধ করিনা ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের দেশে যাদের আয় নেই, চাকুরী নেই, কিন্তু ক্ষমতা আছে, তারা বড় ধরণের চাঁদাবাজি করছে; এই দেশে লাখের উপর চাঁদাবাজ আছে, যাদের নিজস্ব গাড়ী আছে, বাড়ী আছে, গাড়ীতে করে এসে চাঁদা নিয়ে যায়।

৩য় লিংগরা এই অরাজকতাকে বাঁচার পথ হিসেবে নিয়েছে, ৩য় লিংগরা লজ্জা ভুলে নিজকে প্রকাশ করছে; এদের আয় থাকলে এরা নিজকে প্রকাশ করতো না।

আপনি অত্যচারিত হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন; মনে দু:খ আছে, ঠিক; কিন্তু সরকার ও সমাজ মিলে এই সমস্যা সৃষ্টি করেছে, এবং সরকার ব্যতিত এই সমস্যার সমাধান হবে না; এবং ইহার সমাধান করা খুবই সহজ হওয়ার কথা।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: হিজড়াদের চক্রটা মারাত্মক! বহু সুস্থ পুরূষ হিজড়ার সাজ নিয়ে চাঁদাবাজি ও লুন্ঠনের সাথে জড়িত। অনেক ব্যাংক বিমা কোম্পানি তাদের টাকা আদায়ের জন্য এদের সাহায্য নেয়।
গাম গঞ্জে অনেক পরিবার হিজড়াদের তাদের সাথে রাখতে চাইলেও পারে না- ধর্ম, সমাজ, পৃবেশ ও প্রতিবেশীর জন্য, তাছাড়া এদেরকে বিভিন্ন হিজরা গ্রুপ জোড় করে বা ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
এদের পক্ষে বিপক্ষে কঠিন আইন জরুরি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন যে, এখানে আইন দরকার; ৩য় লিংগদের মানসন্মান খোয়ায়ে এদেরকে বা মিথ্যুকদের অন্যেরা কাজে লাগাচ্ছে; এদের পক্ষে সব মানুষকে দাঁড়ানোর দরকার।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: হিজড়া এদেশে উগ্র,যদিও আমরাই দায়ী।এরা যেভাবে বাচার কথা সেভাবে বাচতে দেয়া হয়নি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারের লজ্জা না থাকাতে এরা নিজেদের লজ্জা ত্যাগ করে, ভুল পথে নেমেছে, ইহা যাঁরা বুঝেন, তাঁদের উচিত, এদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী যেসব তথ্য দিয়েছেন আপনার পোস্টে এই তথ্য যোগ করা দরকার।

তাদের জন্য সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে লাভ হচ্ছে না, এরা কাজ কর্ম করতে চায়না, লেখা পড়া করেনা, চাকরী নিতে ইচ্ছুক না শুধু হেটে হেটে মানুষকে অপদস্থ করে টাকা বা চাদা উঠাতে ইচ্ছুক(অবশ্য সবাই এক না)।

মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন না করাই ভাল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পরিবার যদি এদেরকে নিজেদের মমতায় লালন পালন করতো, এরা নিজের থেকে কখনো নিজেদের শারীরিক ব্যতিক্রমতার কথা প্রকাশ করতো না।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: হিজড়াদের অধিকার প্রতিষ্টা করতে হলে তাদের সর্বপ্রথম কাজ হবে শিক্ষা। সাধারণ অশিক্ষিত আর হিজড়া অশিক্ষিতের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান। তাই এদের লাইনে আনতে হলে শিক্ষিত হওয়াটায় প্রথম ধাপ আর জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এরশাদের পথ শিশু ট্রাস্টের মতো হিজড়া ট্রাস্ট লাগবে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



যারা সমস্যা হয়ে গেছে, এই সমস্যা সরকার ছাড়া, আইন ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়; যাতে করে ভবিষ্যতে এসব শিশু পরিবারে থাকে সেটার জন্য আইন ও সাহায্য দরকার, ঠিক!

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সব বিষয় আবেগ দিয়ে হয় না।
বাংলাদেশে রাস্তার ভিক্ষুক, রাস্তা ও বাসের হকার এবং হিজরাদের চক্র সম্পর্কে আগে জানুন, বুঝার চেষ্টা করুন। তারপর ভাবুন।এই চক্রের ফিতা কোনো না কোনো ভাবে সকল আমলের সরকারের সাথে জড়িত ছিলো। জড়িত আছে।

বাংলাদেশে এখনও হিজরা সন্তান জন্ম হলে হিজরা চক্র সেই সন্তান ছিনিয়ে নেয় - এই বিষয়ে জানুন।

এনজিও গুলো হিজরাদের দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছে। বাংলাদেশে হিজরা চক্র রিতিমতো ছিনতাই ও সাইবার ক্রইমের সাথে জড়িত। তাদের পুনর্বাসন করা কোনোভাবেই সম্ভব না। আমি আবারও বলছি বর্তমানে যে সকল হিজরা বাজারে বন্দরে পথে ঘাটে চাঁদা আদায় করছে গুন্ডামী করছে সাইবার ক্রাইম করছে - তাদের পুনর্বাসন করা কোনোভাবেই সম্ভব না। তাদের পুনর্বাসনের জন্য আপনার কাছে যদি কোনো ভালো/হার্ড এ্যাকশন পরামর্শ থাকে জানাতে পারেন। আপনার লেখাটি পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সহ আইন মন্ত্রনালয়ে পৌছানোর মতো ব্লগার আমাদের ব্লগে আছেন।

এখন একটি কাজ সম্ভব আর তা হচ্ছে নতুন করে হিজরা সন্তান জন্ম নিলে জরুরীভাবে পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থা সহ আইনি শেল্টার। এখন এটি কি সরকার ভেবে দেখবেন?



০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই প্রাকৃতিক ব্যতিক্রম আমেরিকা ও কানাডায় আছে, মানুষ এদের চিনে? মানুষ এদের চিনে না, পরিবার ও সরকার এদের সেই পরিচায় গোপন রাখার পরিবেশ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন যে, অনেক সমস্যার সমাধান নেই, মানুষের সৃষ্ট সব সমস্যার সমাধান আছে।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যাকে তোমরা সাহায্য করনি, যার আজন্ম-দুঃখ তোমাদের নাড়া দেয়নি, যে পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিত্যক্ত হয়েছে, সে যদি বাঁচার জন্য অস্বাভাবিক কিছু করে, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে, তার সমাধান করতে হবে- স্যালুট লন ভাই। কী পরিমান হৃদয়হীনতা দিয়ে আমরা তাদের বরণ করি পৃথিবীতে। অতঃপর নিখাদ নির্বোধের মত আশা করি যে এই হিজড়া আমাদের চুমু দেবে রাস্তায় দেখা হলে! আর ভাই বাঙালি এখনও এক দুই এর বেশি গুনতে শেখেনি- 'তৃতীয় লিংগ' এই জাতির এখনও এন্টেনার উপর দিয়ে যাওয়া বিষয়। ডঃ এম এ আলী ভাই এর তথ্য বহুল কমেন্ট এবং আপনার মানবিক লাইনটা ধরে রাখতে পোস্ট সোজা প্রিয়তে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা ব্লগারেরা রাস্তার মানুষের মতো ভাবলে চলবে না, আমাদের লজিক্যালী দেখতে হবে।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:



এরকম জন্মের জন্য শিশুটার কোনও ভূমিকা নেই অথচ তাকে পরিবার থেকে সরিয়ে নেয়া হয় । পুরো বিষয়টা এতোটা ব্রুটাল আর অমানবিক, পৃথিবীর অন্য কোথাও এরকম হয়না । এ বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন খুবই জরুরি । এ শিশুগুলোও যেন সমাজের আর সব শিশুদের মতোই পরিবারের মধ্যে থেকে বড় হয় এবং সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পায় । তাদের যেনো আলাদা করে আইডেন্টিফাই না করা হয় ।


০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই জাতির বেশীরভাগ মানুষ এখনো অনেকটা গুহাবাসীদের স্তরে রয়ে গেছে।

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

নতুন বলেছেন: সামাজ দীর্ঘদিন ধরেই হিজড়াদের কাজ দেয় না।

এখন তারা চাদাবাজী করে। অনেক পুরুষও হিজড়া সেজে চাদাবাজী করে ।

এখন আগে সমাজে হিজড়াদের কাজ দিতে হবে। সাথে সাথে পুলিশি ব্যবস্তায় এদের চাদাবাজী বন্ধ করতে হবে।

যদি কাজের সুযোগ থাকে তবে চাদাবাজি করতে দেওয়া যাবেনা। তাদের অন্য সব সন্ত্রাসীর মতন প্রতিরোধ করা হবে।

কিন্তু সমাজ এতো সহজে পরিবর্তন হবেনা। সমাজে নতুন হিজড়া না হলে একটা জেনারেসন পরেই এই সমস্যা থাকবেনা।

অর্থ হলো ৩য় লিঙ্গের সন্তান জন্ম নিলে তাদের সাভাবিক ভাবেই বড় করতে হবে। তারাও অন্য ১০টা শিশুর মতন বড় হবে এবং অন্য ১০ জনম মানুষের মতনই সমাজে চলবে।

বাইরের দেশে তারা অন্য সবার মতন চাকুরি/ব্যবসা করে জীবিকা নিবাহ করে তাই ঐখানে এই রকমের চাদাবাজী নাই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


সঠিক বলেছেন যে, তাদেরকে সবার মতো সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকার দিতে হবে; সমাজ এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে, এখন ওদেরকে দোষী সাব্যস্ত করছে, বেকুবদের সমাজ!

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: আপনার বইয়ের কোন খবর জানতে পারবো ?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আসলে আমার শরীর ভালো নয়, আমি বই নিয়ে বসতে পারিনি, স্যরি।

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আজ থেকে প্রায় ২৫-৩০ বছর আগে যায়যায়দিন বিশেষ সংখ্যাগুলোতে প্রায়ই এই বিষয়ে লেখা থাকতো। তুজো ভাই, ক্যাপ্টেন রফিকুল বারী ভাই (বাংলাদেশ নৌবাহিনী) সহ আমিও এই বিষয়ে যথেষ্ট লেখালেখি করেছি। সম্পাদকীয়তে যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান স্যার ও তালেয়া রেহমান ম্যাম ও লিখেছেন। ফলাফল = ০০


০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি "ফাউল" শফিক রেহমান'এর কথা বলে আমাকে বিপদে ফেললেন; সালটা ভুলে গেছি (১৯৯৯ বা ২০০০ সাল হতে পারে), ৭০০০ লোকের উপস্হিতিতে বাংলাদেশ সন্মেলন হচ্ছিল ম্যানহাটনের স্পোরটস এরেনাতে; হলভর্তি লোক, শফিক রেহমান বক্তব্য রাখছিলেন; আমি অনেকটা সামনে বসা; উনি ৫ মিনিট এটাসেটা বলার পর শেখ সাহেব'এর ভুল সমালোচনা করছিলেন; আমি দাঁড়ায়ে বললাম, "আপনি মন্চ থেকে নামুন"; উনি হতভম্ব, বিএনপি'র লোকজন সম্মেলন চালালচ্ছিলেন, এদের অনেকই আমার জানাশোনা ছিল; এরা থামাতে চেষ্টা করলেন, ততক্ষণে পুরো হল চীৎকার দিচ্ছেন, "আপনি সরে যান"; বেচারা দুষ্ট লোক ছিলেন।

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চাঁদগাজী ভাই,
আমার মন্তব্য আপনার লেখার প্রসঙ্গের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরে কোনো এক সময় এ বিষয়ে কথা বলবো। শফিক রেহমান স্যার আমার প্রিয় মানুষ। তবে কথা সত্যি তিনি শুধু ফাউল মানুষ নন তিনি সত্যিকারের গুহামানব ও লিলিপুটিয়ান মগজের একজন শিশুমানব। তার অতি লোভের কারণে যায়যায়দিন পত্রিকাটির মৃত্যু হয়। - আপনি ১০০% সঠিক। তিনি অবস্যই একজন ফাউল ও বে আক্কল মানুষ। তার উপর ভরসা করা আমাদের পাপ হয়েছিলো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ধরণের মানুষগুলো আমাদের অশিক্ষিত মানুষগুলোর কমজ্ঞানের সুযোগ নিয়ে এক ধরণের অরাজকতার মাধ্যমে নিজেরা ভালো থেকেছে; এরা অপগুণী মানুষ।

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি জানিনা, কেন বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের চাকরি বা শিক্ষার ক্ষেত্রে রিজার্ভেশন নাই কেন। আমাদের এখানে যদিও এখন রিসার্ভেশন করে তৃতীয় লিঙ্গের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।তবে সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজের মেইনস্ট্রিমে প্রবেশ করলেও হতদরিদ্ররা এখনো পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। নদীয়ার কৃষ্ণনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষা একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। উনি আবার অন্য ভাবে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি সেবা চালু করেছেন। ওনার কলেজে তৃতীয় লিঙ্গের পড়ুয়াদের ভর্তি ও পড়াশোনার ব্যবস্থা করছেন। যদিও বেছে বেছে তৃতীয় লিঙ্গের পড়ুয়াদের একত্রিত করায় ওনাকে স্টাফ রুমে অন্যান্য অধ্যাপকদের প্রবল বিরোধিতার সামনে পড়তে হয়েছে। তবুও উনি হাল ছাড়েননি। তবে বাকি সমাজ এদের নিয়ে হাসাহাসি করে। পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষকেও সাফল্যের চূড়ায় উঠেও একাধিক বার অট্টহাসির খোরাক হতে হয়েছিল। তবে মানবী বন্দোপাধ্যায় নামে কৃষ্ঞনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বা ঋতুপর্ণ ঘোষের মতো সাফল্য তৃতীয় লিঙ্গের বেশির ভাগ সদস্যের কাছে স্বপ্ন বৈকি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ সরকার ও ইহার ব্যুরোক্রেসীর কোন লিংগই নেই, এরা চতুর্থ লিংগের ইডিয়ট। ৫০ বছর ধরে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র এই দু:খি সন্তানদের পরিত্যক্ত অবস্হায় রাস্তায় রেখেছে। পশ্চিমবংগের কিছু মানুষ ইংরেজদের সাথে কাজ করে কিছু শিখেছিলেন, কিছুটা মানবিক গুণের অধিকারী হয়েছেন।

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই মানুষগুলি বছরের পর বছর পরিবার ও সমাজের কাছে নির্যাতিত হতে হতে এখনকার সহিংসতা তাদের ভেতর ছড়িয়েছে, যেটার দায় রাষ্ট্র বা সমাজ বা পরিবার এড়াতে পারে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


মিলিটারী, জামাত ও শেখ হাসিনা মিলে এই দেশকে রবার্ট ক্লাইভের কলোনী বানায়েছে।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: হিজড়া যেন জন্ম না নেয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এখন তো আধুনক যন্ত্রপাতি আছে- মায়ের পেটে থাকা শিশুর হাড় থেকে শুরু করে প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্পষ্ট দেখা যায়। যদি শীশূর সমস্যা থাকে, তাহলে সেই শিশু পৃথিবীতে না আনলেই হয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটা হবে একটা নতুন ধরণের অপরাধ।

২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আইনের দরকার, সাহায্যের দরকার, নাগরিক অধিকারের দরকার,
................................................................................................
সরকার নীতিগত ভাবে তাদের কিছু স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্ত আমাদের সমাজ
এখনও প্রস্তত নয় এই ব্যাপারে ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আইন কারো প্রস্তুতি ও অপ্রস্তুতির জন্য আওপেক্ষা করার কথা নয়; সরকার সাহায্য করবে, ৩য় লিংগের সন্তানকে পরিবার পড়ালেখা শিখায়ে বড় করবে।

২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পালটাতে হবে। আর দশটা নারী পুরুষের মত সম অধিকারেই বেড়ে উঠবে তারা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা লাঠি না'হলে বুঝে না, হোক সে প্রাইম মিনিষ্টার কিংবা মফিজ মিয়া; আইনের দরকার, ৩য় লিংগের শিশু যেন পরিবারের সাথে বড় হয়।

২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩০

কল্পদ্রুম বলেছেন: এদের অনেকেরই শৈশবে চিকিৎসা করলে উপযুক্ত লিঙ্গে লিঙ্গান্তরিত হওয়া সম্ভব ছিলো।এসব চিকিৎসা বাংলাদেশেই করা সম্ভব।যাদের শারীরিক জটিলতা অথবা বয়সের কারণে আর চিকিৎসার সুযোগ নেই তাদের জন্য আলাদা আইন তৈরি করা উচিত।এরা গ্যাং এর মতো আচরণ করে।গ্যাং ভাঙতে হলে গ্যাং সদস্যদের বিকল্প ভবিষ্যতের পথ দেখাতে হয়।বাংলাদেশে সুস্থ স্বাভাবিক ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতই যেখানে হতাশায় ভরা।সমাজের সার্বিক উন্নতি না করে এদের আলাদা করে বিকল্প পথে ফিরিয়ে আনা কঠিন।এরা যে অন্য কাজ করতে চায় না তার পিছনের কারণগুলোর ভিতর এটা একটা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শারীরিক ব্যতিক্রমতার জন্য একজন শিশু যদি পরিবার থেকে সাহায্য না পায়, সেটা সরকারের উপর চলে যায়; এটা সরকার আজো জানে না।

২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সেটা হবে একটা নতুন ধরণের অপরাধ।

একটা এননরমাল শিশু জন্ম দিলে বাবা মাকে সারা জীবন ভূগতে হবে। এমনকি শিশুটা বড় হবে নানান রকম যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে। যত বড় হবে তত অশান্তি শুরু হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ভিন্ন মতামত চালু আছে।

২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

আল ইফরান বলেছেন: এইটা একধরনের ইনসাইডার ইনফরমেশন বলতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারের একটি নির্দিস্ট হাসপাতালে বিনামুল্যে তৃতীয় লিংগের শিশুদের রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারি করা হয়। সরকারের একটা ক্ল্যান্ডেস্টাইন/শ্যাডো সোর্স থেকে ফান্ডিং করা হয়। সমস্যা হচ্ছে LGBT নিয়ে কাজ করা এনজিও এবং ডোনার এজেন্সীদের সাথে দ্বন্দ/ঝামেলা এড়াতে সরকার এই কার্যক্রমের প্রকাশ্য কোন বিজ্ঞাপন দেয় না অথবা দিতে ইচ্ছুক নয়। ব্লগের অনেকেই LGBT রাইটস নিয়ে লম্বাচওড়া কথা বলবেন, কিন্তু অন দ্য গ্রাউন্ড রিয়েলিটি এই ধরনের মানুষদের জন্য কতটা কঠিন তা অনুধাবন করতে চাইবেন না। ব্লগারদের পরিচিত কোন শিশু যদি এইধরনের ফিজিক্যাল এনোমালি নিয়ে জন্মগ্রহন করে থাকেন (যাদের সাহায্য প্রয়োজন) তারা দয়া করে আমাকে জানাতে পারেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই যে, আপনি নতুন তথ্য দিলেন; দেশের প্রতিটি পরিবার কি এটা জানে? সবাইকে এটা জানানো কি সরকারের কাজ নয়?

২৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: যে সমাজে মেয়ে শিশুদের এখনও দ্বিতীয় লিঙ্গ ভাবা হয় সেখানে তৃতীয় লিঙ্গদের সম্পর্কে নতুন করে ভাবনা দরকার যারা বহু যুগ থেকে সামাজিক নিয়মের জন্য অবহেলিত জীবন যাপন করে আসছে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে তাদের ইচ্ছায় অনিচ্ছায়।
এই সরকার তাদের মানুষের মতন ব্যবহার পাওয়ার আইন করেছে। সামাজিক ভাবে দৃষ্টি ভঙ্গি বদলের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় বাচ্চাদের শিক্ষত করে তোলা দরকার, মানবিক আচরণের।
তৃতীয় লিঙ্গ ছাড়াও একটু ব্যাতিক্রম দেখতে হলে সব সময়ই বুলির শিকার হয় ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতির শিক্ষাদীক্ষা, কালচার, দৃষ্টিভংগী, ট্রেডিশন, আইন-কানুন সবই খাট।

২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

মোঃ ইকবাল ২৭ বলেছেন: সপ্তাাহে একদিন রবিবার হিজড়ারা আমার নিকট হতে টাকা নিয়ে যায়, বিভিন্ন উৎসবে তারা আমার কাছ হতে টাকা নিয়ে যায়। একবার আমি তাদের উপর রেগে গিয়েছিলাম, মারতে উদ্দ্যত হয়েছিলাম। তারা কোন উচ্চ বাচ্য করেনি। তারা মন খারাপ করেছিল। পরে তাদের ডেকে আবার টাকা দিয়েছি। আপনার পোস্ট পড়ার পরে তাদের আমি বলেছি। তাদের বলেছি তোমরা তোমাদের বাচ্চাদের পড়লেখা করাতে পারোনা ? সাধারণ মানুষ জনদের মতো বসবাস করতে পারো না ? চাকুরি চাইতে পারো না ? ভাল ভাবে চলতে মন চায় না ? সে আমাকে জবাব দিলো, তারা নাকি সবাই এক নয়, তাদের মধ্যেও নাকি অনেক গ্রুপ আছে, অনেক মতের আছে। তাদের নেতারা ভিক্ষা বৃত্তিতে কিংবা চাঁদা বাজিতে বেশী আগ্রহী। তাই তাদের সমস্যা সমাধান হচ্ছেনা, এবং সে আরো বলল সরকার তাদেরকে নাকি ১৫ হাজার টাকা বেতনের চাকুরি দিতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে তাদের সাথে কথা বলার মতো পরিবেশ বর্তমানে নেই, কারন তারা অশিক্ষিত, আরেকদিকে হিজরা। তাই তাদের বর্তমানে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করা মানে সাগরের পানি সেচার সমান। এদের জন্য চিন্তা করতে হলে এদের সন্তানদের শিক্ষিত করতে হবে। তবেই যদি তাদের জাতের কোন দিশা হয়।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



কঠিন অবস্হা; দেশের রাজনৈতিক দলের ও মাফিয়াদের চাঁদাবাজি তাদের নেতাদের পেয়ে বসেছে।

২৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইচ্ছা থাকলে এই সমস্যার সমাধান করা কোনও ব্যাপার না। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ তো সংখ্যায় বেশী না। ১৬ লাখ রোহিঙ্গার একটা ব্যবস্থা যদি করা যায় এদের ব্যবস্থা কেন করা যাবে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কোন সমাধান জানেন? আমার মনে হয় না।

২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটা শুরুই হয়েছে অত্যন্ত চমৎকার, মায়াময় একটি বাক্য দিয়ে। প্রথম অনুচ্ছেদ পুরোটাই লেখকের এ শ্রেণীর প্রতি দরদী মনের পরিচায়ক।
আমি আপনার সাথে সর্বাংশে একমত যে, এদের জন্য কিছু করতেই হবে, সমাজের সচেতন শ্রেণীকে এদের পুনর্বাসনের এবং সঠিক নিয়োগের লক্ষ্যে এগিয়ে আসতেই হবে। সরকারকেও জরুরী ভিত্তিতে এ বিষয়ে কার্যকরি নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
"হিজড়া জনগোষ্ঠীকে শুধু লিঙ্গ ও যৌনভিত্তিক পরিচয় দিয়ে বিবেচনা করলে হবে না, বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিকভাবে বুঝতে হবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত হতে হলে রাষ্ট্রীয় আইনকানুন পরিবর্তনের পাশাপাশি অবশ্য তাদের নিজেদেরও মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন নিয়ে পরিচালিত যে কোন কর্মসূচিতে পরিবার, বন্ধু, ও শিক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ৩য় লিংগের জনগোষ্ঠীকে সম্মানিত করা হলে তারা আর রাস্তায় গিয়ে টাকা তুলবে না। তখন তাদের আত্মসম্মানে লাগবে।তাদের আত্মসন্মানটুকু জাগিয়ে তুলা সমাজের সকলের দায়িত্ব" - দীর্ঘ হলেও, ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যের এ কথাগুলো উদ্ধৃত করলাম, কেননা কথাগুলো সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।



২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, পুরানো পোষ্টে গিয়ে দরকারী একটি বিয়ষের উপর আপনার ভাবনাটুকু তুলে ধরেছেন। ড: এম আলী যা বলেছেন, সেটা সমাধোনের একটি পথ।

১ম সমস্যা হলো, এইসন্তানগুলোকে পরিবার কি কি কারণে ধরে রাখে না, সেটার সমাধান করা; সেটার একটা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে, উহাকে সংগঠিত উপায়ে কার ম্যানেজ করার কথা? এই দায়িত্ব সরকারের। আমাদের সরকারে যারা আছে, তাদের মগজটুকু বেশী ছোট, এটা ৩য় লিংগের লোকগুলোর সমস্যা থেকে অনেক বেশী বড় সমস্যা।

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "'তৃতীয় লিংগ' এই জাতির এখনও এন্টেনার উপর দিয়ে যাওয়া বিষয়" - ৎঁৎঁৎঁ এর এ কথাটা বাঙালি জাতির প্রতি অবমাননাকর হলেও সত্য বলে মনে করি।
"বাংলাদেশ সরকার ও ইহার ব্যুরোক্রেসীর কোন লিংগই নেই, এরা চতুর্থ লিংগের ইডিয়ট" - এটা ব্লগে একটা এপিক পর্যবেক্ষণ হিসেবে টিকে থাকবে।
রাজীব নুর এর চরম অমানবিক মন্তব্যটির (২০ নং) জন্য তার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করছি।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজিব নুর অনেক কথা বলতে চান, কিন্তু মানুষের জীবন নিয়ে উনার অভিজ্ঞতা এখনো কম।

৫০ বছরে, প্রশাশনের উঁচুপদের কেহ, কেবিনটের কেহ, কিংবা পার্লেমেন্টরট কেহ সমস্যাটার সমাধানের কথা বললো না; কি ধরণের কম মগজের মানুষ এরা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.