নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ নিজ বাড়ীতে বাস করে, মাসে ৪/৫ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১



মানুষ যাতে নিজ গ্রামে, নিজ ঘরে, নিজ পরিবারে বাস করে মাসে ৪/৫ হাজার টাকা আয় করে, কিছুটা সুস্হ পরিবেশে জীবন যাপন করতে পারেন, সেটার জন্য কি করা যায়?

মানুষ নিজ গ্রামে, নিজ বাড়ীতে বাস করে, দৈনিক যাতায়তের দুরত্বে কাজ করে, মাসে ৪/৫ হাজার টাকা আয় করতে পারলে, উহা শহরে বাস করে ২০/২৫ হাজার টাকা আয়ের সমান, কিংবা বেশী হবে। গ্রামের মানুষ, যারা শহরে, কিংবা কোন শিল্প এলাকায় গিয়ে কাজ করে ও বাস করতে বাধ্য হয়, তারা অবশ্যই গ্রামে নিজের বাড়ী থেকে অনেক প্রতিকুল পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হয়; এবং অনেকই পরিবারকে সেখানে নেয়ার মতো আয় করতে পারেন না।

ঢাকা শহরে একজন রিকসা ড্রাইবার এখন গড়ে ১৫ হাজার টাকা আয় করেন; কিন্তু এরা মোটামুটি বস্তি, কিংবা বস্তির কাছাকাছি পরিবেশে বাস করেন; ফলে, আয়টা তাঁদেরকে কোনভাবে ভালো জীবন দিচ্ছে না। গ্রামের রিকসা ড্রাইবার এতো বেশী আয় করে না; কিন্তু এদের বেশীরভাগই নিজ ঘরে থাকেন, পরিবারের সাথে থাকেন।

আমাদের গ্রামের ১ জন সাধারণ শ্রমিক প্রায় ২৫ বচরের মতো খুলনায় জুটমিলে চাকুরী করেছেন; উনি নিজের পরিবার নিয়ে যাননি; বছরে গড়ে ২/৩ বার বাড়ী আসতে পারতেন মাত্র; ইহাকে কি জীবন বলা হয়? উনি ভাইবোনদের কিছুটা পড়ালেখা করায়েছেন, কিন্তু উহা দরকারী পরিমাণ হয়নি; ভাইয়েরা শ্রমিকই হয়েছেন। উনি নিজের ২ বোনকে বিয়ে দিয়েছেন নিজের আয় থেকে; কিন্তু টাকার অভাবে, ছোটবোনের বিয়েতে উপস্হিত থাকতে পারেননি।

আমাদের জাতির বর্তমান অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সের যেই অবস্হা, গ্রামের মানুষকে বিদেশে চলে যেতে হচ্ছে, কিংবা দেশের ভেতরেব বড় বড় শহরে যেতে হচ্ছে আয়ের জন্য। যাঁরা বড় শহরে যাচ্ছেন, তাঁরা সবাই কিন্তু চাকুরী পাচ্ছেন না, এদের একটা অংশ শহরের গরীবদের সার্ভিসে নিয়োজিত আছেন: টং-দোকান, ফুরপাথে দোকান, ও অনেকে দৈনিক ফেরি করে আয় করছেন; কিন্তু এদেরকে বাস করতে হয় মোটামুটি বস্তিতে।

মানুষ নিজ গ্রামে, নিজ ঘরে, নিজ পরিবারের সাথে বাস করে, মাসে ৪/৫ হাজার টাকা আয় করে, কিছুটা সুস্হ পরিবেশে ভালো থাকতে পারেন, সেটার ব্যবস্হা করা কি সম্ভব?

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: কৃষিখাতে আধুনিকতার ছোঁয়া পেলে সম্ভব।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বর্তমানে, দেশের ৫০ ভাগ মানুষ চাষে আছেন; এঁরা বছরে গড়ে ৪/৫ মাস কাজ পেয়ে থাকেন; ইহা কি সমাধান? আরেকটু যান্ত্রিক করলে, শতে ২০ জন বেকার হয়ে যাবেন।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: অন্য ব্লগাররা লেখুক, সবার মতামত পড়ে দেখি।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমিও দেখতে চাচ্ছি, এসব নিয়ে ব্লগারদের কোন ভাবনাচিন্তা আছে কিনা?

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কৃষিখাতে আধুনিকতার ছোঁয়া পেলে সম্ভব। সত্যই ই তাই ! ব্যাপারটা নিয়ে অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম;
ছাত্র অবস্থায় যখন অনার্স পরীক্ষার ছুটিতে প্রজেক্টের কাজ নিয়ে রংপুর গেলাম সে সময় কারুপন্যের কিছু কাজ দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। সেই ১৯৯৭ সালের কারুপন্য আর বর্তমান কারুপন্য নামের প্রতিষ্ঠানের মাঝে নিশ্চয়ই আকাশ পাতাল ব্যবধান। আন্তরিক ইচ্ছে সৃজনশীল মন আর অধ্যবসায় থাকলে অনেক কিছুই সম্ভব।
পারিবারিক কারনে আমাকে প্রায় ১৫ বছর প্রবাস জীবন কাটাতে হয়েছে, এখন আমি দেশে আমার এই ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে এখন। গ্রামে আমার কিছু ফসলি জমি আছে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন তাতে ফুল বা পেঁপে লেবুর বাগান করার তাতে অর্থ বেশি আসে। কিন্তু আমি ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার কারার পক্ষে নই। এখন আমি আসে একবার করে গ্রামে গিয়ে কৃষাণী র সাথে কথা বলি। কিভাবে অধুনিকতার ছোঁয়া আনলে তাতে ফসল বেশি আসে সেসব নিয়ে এগুচ্ছি। আমার ছেলেটা এখন ও স্কুলে তাই গ্রামে যেয়ে একটানা কয়েকদিন থাকা সম্ভব না বর্তমানে। এভাবে সব বুঝে নিয়ে হয়ত একদিন ইনশাআল্লাহ্‌ আমি পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কিভাবে আধুনিক চাষাবাদ হচ্ছে সে ব্যবস্থা আনার চেষ্টা করব। আর সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে গ্রামীণ ৩৫ থেকে ৬০/৬৫ বছরের নারীদের কে কাজে লাগানোর।
তবে আপনি যে শ্রেণীর কথা এখানে তুলে আনলেন, তাদের অধিকাংশ ই গ্রামীণ জীবন পছন্দ করছে না, ফিরে যেতে চায় না। করোনা সময়ে জবলেস হয়ে বিপাকে পরা বেশ কিছু কে চিনি যারা অন্যের সাহায্য চাইছেন কিন্তু গ্রামে গিয়ে থাকতে চাচ্ছেন না। সেখানে ছোট ব্যাবসা। কয়েক বিঘা পুকুরে মাছচাষ এবং জমি দেখা শোনার দায়িত্ব দিতে চাইবার পর ও শহুরে জীবন ই পছন্দ। উনারা ভাবছেন এই অবস্থা সাময়িক তাই সাহায্য দরকার কিছুদিন পর আবার উনাদের জব ফেরত পাবেন।

আমার চাকুরী জীবনে তিন বছরে আমি বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি গ্রামে গিয়েছি; দুঃখের বিষয় হচ্ছে খুব কম পরিবারেই দেখেছি মেয়েরা আঙিনায় সবজি বা ফলজ গাছে উৎসাহী। তখন নতুন টিভি পৌঁছেছে গ্রামে আর আজকাল তো নিয়ম করে মেডিসিন খাবার মত করে জি বাংলা সিরিয়াল দেখতে হয়। তার আগেই রান্না এবং কাজ গুছিয়ে নিতে হয়।


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষকে সরকার ও শিক্ষিতরা পথ দেখায়নি, ও গ্রামীন বেইজড অর্থনীতি গড়ে তোলেনি; তাই, মানুষ শহরের বস্তি বেশী পছন্দ করছে।
আমাদের এদলাকায় (চট্টগ্রামে ) চাষের জমি নেই; যা আছে, সেগুলোর মালিকেরা সৌদী কিংবা দুবাইতে আছেন। আপনার জমি কোন এলাকায়?

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: সর্বপ্রথম নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, মার্চ থেকে আজঅব্দি দেশের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে, এই বৃহৎ জনগোষ্ঠী মাইগ্রান্ট ওয়ার্কারে পরিণত হবে, এসব এলাকায় কৃষিকাজ ব্যহত হবে, মাটির গুণাগুণ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

@ ব্লগার সাজিদের সাথে একমত, সেইসাথে ক্ষুদ্রঋণ সহজলভ্য করতে হবে।

চট্টগ্রাম শহরের আধুনিকায়ন জরুরি, সব সেক্টর ঢাকায় না রেখে চট্টগ্রাম এবং রাজশাহীতে স্থানান্তর সময়ের দাবী। তাহলে উপজেলার মানুষ নিজ বাড়িতে থেকে কাজ করতে পারবে।

শিক্ষিত তরুণদের ০-২% সুদে ঋণ প্রদান করতে পারলে তরুণরা নিজ গ্রামে কিছু করতে পারবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "শিক্ষিত তরুণদের ০-২% সুদে ঋণ প্রদান করতে পারলে তরুণরা নিজ গ্রামে কিছু করতে পারবে। "

-এই হারে ঋণ কোন ব্যাংক দেবে?

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: শুধূ কৃষিতে না থেকে শিল্পে আসতে হবে।
প্রতিটা গ্রামে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের প্রয়োজনীয় দ্রব্য গ্রামে তৈরির চেষ্টা করতে হবে।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: শহর যতটা উন্নত হয়েছে গ্রাম হয় নি।গ্রাম গুলো অবহেলিত ছিল সকল সরকারের আমলেন।না ছিল রাস্তা ঘাট,না ছিল স্কুল কলেজ,চিকিত্সা ব্যবস্থা তো ছিলই না।মধ্যবিত্ত মানসিকতাও শহরমুখী হবার একটা প্রথান কারন।
জনবিস্ফোরণ আরেকটা কারন।হাজার হাজার পরিবার ভিটামাটি বিক্রিকরে গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসছে।তাদের আর কোন কালেই
গ্রামে যাওয়া হবে না।
বর্তমানে সবথেকে বেশি শ্রমিক আছে পোশাক শিল্পে।এটিও অপরিকল্পিত ভাবে বড় বড় শহর গুলোতে গড়ে উঠেছে।এটিও একটি বড় কারন শহরমুখী হবার।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



গার্মেন্টস'এর মালিকেরা শহরে বাস করে।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি তো এই কথাটাই বলতে চাই ।
বিদেশে কামলা দিতে না দিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করে মাসে 4 থেকে 5 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারলে সেটাও ভালো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ সরকার এটুকু করতেই পারছে না, এগুলোর মগজ আছে?

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
শিল্পকারখানাগুলো বিশেষ করে গার্মেন্টশিল্প গুলো ঢাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া দরকার ।
এটা অন্ততপক্ষে জেলা শহরে হলেও এটা মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সহজতর করবে।
সবচেয়ে ভালো হয় উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের কারখানা করে দিতে পারলে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


গার্মেন্টস'এর সেলাই কারখানাগুলো গ্রামে নেয়া সম্ভব। আর অন্য কিছু?

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা চাষের জমি খুব বেশি প্রয়োজন ও নেই আধুনিক চাষাবাদে, গরুর খামারে। আমার দের বিক্রমপুরে সরকারি রাস্তার পাশের জমিতে উন্নতজাতের ঘাস ফলিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাছাড়া ছোটখাট শিল্পগুলো যাতে পরিবেশ নষ্ট হবার ভয় নেই এমন সব কারখানা করা যায়। ছোট বড় পেরেক তৈরি এছাড়া আমাদের একজন ব্লগার আছেন শিপুভাই নামে উনার যে প্রজেক্ট ইটের পরিবর্তে ব্লক তৈরি করে বাড়ি বানানো। এতে মাটির অপচয় ও কমে জ্বালানী খরচ বাঁচে। আমি গ্রামে অন্যান্য শিল্প কারখানা যেগুলো তে পরিবেশ নষ্ট হয় তার বিপক্ষে। নারায়ণ গঞ্জের মত আধা শহরের নদী গুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে কারখানার বর্জ্য রঙ দিয়ে। আর একদম গ্রামে তো আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে।

আমি যে গ্রামের কথা বলেছি সেটা আমার শ্বশুরবাড়ি নওগাঁ র বদলগাছি তে। একেবারেই গ্রাম সেটা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রামে এমন কিছু করতে হবে, যার বজ্য ব্যবহার করা যায়, কিংবা রিসাইকেল করা যায়। নওগাঁ'র দিকে এখনো জমি আছে, সেটা ভালো।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সেদিন একজন রিকশাচালকের সাথে কথা বললাম, উনি বললেন সারাদিন রিকশা চালালে এক হাজার টাকা থাকে।
আধাবেলা চালালে ৫ শ' থাকে। সব রিকশাচালকের নিজের রিকশা থাকে না। তারা ভাড়া নেয়।

চারিদিকে টাকার জন্য কেমন হাহাকার!!! এই হাহাকার দেখতে বিছছিরি লাগে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা ভালো আয়; তবে, অসুস্হ হলে, কিংবা একসিডেন্ট হলে, পরিবার বস্তি থেকে পথে চলে যাবে।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১

জাহিদ হাসান বলেছেন: গ্রামে কারখানা স্থাপন করতে হবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রামে কারখানা কে করবে?

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমার দাদাবাড়ি কাপাসিয়ার বড়টেক গ্রামে একটি কারখানা হচ্ছে।

এভাবে একদিন দেশের সব গ্রামেই হবে। করার মানুষ আছে বলেই আমার বিশ্বাস।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিসের কারখানা, মালিকানায় কাা?

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

গত দশ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিছুটা আলোর মুখ দেখলেও নানান সমস্যা সম্মুখে এসে দাঁড়ায়।

তবে এটা ঠিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতির বিকল্প নেই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



কি করতে চাচ্ছেন?

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

অক্পটে বলেছেন: আপনার এই লেখাটা খুব ভালো লাগল। সম্ভবের আনেক কাছাকাছি। মাত্র তো পাঁচ হাজার টাকা মাসিক আয়, অথচ বদলে যেতেপারে গোটা গ্রামীণজীবনের চালচিত্র। এই জন্য শিল্প এবং ক্ষদ্র ব্যবসাকে প্রমোট করতে হবে। আমার দেখা একমাত্র চীনারাই বোধহয় একেবারে প্রত্যন্ত অজ্ঞলে গ্রামের নারি এব পুরুষ সকলের হাতে কাজ তুলে দিয়েছে। ওখানকার ব্যবসায়ীরা ফ্যাক্টরী বাদেও ঘরোয়াভাবে গ্রামের মানুষের হাতে অনেক অনেক কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ওখানকার ক্ষদ্রব্যবসায়ীরা পুলিশের চাঁদাবাজি যে কি জিনিস সেটাই বুঝেনা। আমাদের দেশে এমন হওয়া দরকার সন্ত্রাস/চাঁদাবাজিটার মূল নষ্ট হওয়া দরকার তাহলে অনেকেই এগিয়ে আসবে গ্রামীন মানুষের স্বনির্ভরতার বার্তা নিয়ে। অনল চৌধুরী ছোট্টকরে আসল কথাটি বলেছেন।

ধন্যবাদ এই সুন্দর লেখাটির জন্য। কেন জানিনা, তবে আমার মনে হচ্ছে আপনার এই ভাবনা এই থিমটা যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে আমাদের দেশের চেহারই বদলে যাবে। আসলে রাজনীতিটা হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণের কথা ভাবার জন্যই। তবে আমরা উল্টাপথে হাটছি বহুবছর ধরেই।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মওলানা ভাসানী, শেখ সাহেব, তাজুদ্দিন সাহেব আমাদের ভালোর জন্যই রাজনীতি করেছিলেন; এখনকার রাজনীতিবিদরা আমাদের জন্য রাজনীতি করছেন না, এটা পরিস্কার।

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সরকার কে সব সুযোগ সুবিধা বিকেন্দ্রীয়করন করার চেষ্টা করতে হবে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও সব অবকাঠামো বৃদ্ধি করতে হবে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকারের কথা ভুলে যান, ইহা কলোনিয়েল সরকার, মানুষ এদের বাজার।

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার দিকনির্দেশনা মূলক একটি লেখা। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো প্রয়োজনীয় জিনিশগুলো আমরা নিজেরা তৈরী করতে পারলে সমস্যা অনেকটা কেটে যাবে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরকারী অনেক কিছু ভারত ও চীন থেকে আসছে অকারণে।

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি দেশে এসে কোন একটা উদ্যোগ নিতে পারেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি উদ্যোগ নেবো।

১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা ভালো আয়; তবে, অসুস্হ হলে, কিংবা একসিডেন্ট হলে, পরিবার বস্তি থেকে পথে চলে যাবে।

বেশির ভাগ রিকোশাচালক পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকেন না। পরিবার থাকে গ্রামের বাড়িতে। পরিবার প্রধান ঢাকায় রিকশা চালায়। বকাশ করে টাকা পাঠায়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শতকরা ৩০ ভাগ 'শ্রমিক বাংগালী' নিজের স্ত্রীর সাথে, পরিবারের সাথে থাকতে পারে না, এইটা কি জীবন?

১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: মন ও মানুষিকতা পরিবর্তন খুবই দরকার। আপনি যে গ্রাম দেখে গেছেন সেই গ্রাম আর নাই, আমাদের সময় ও যে গ্রামীন পরিবেশ ছিল এখন সেটাও নাই। মানুষ এখন উচ্চাকাঙ্ক্ষী , ৪-৫ হাজারে তাদের চুলার ভাত ও সেদ্ধ হবে না। আমার গ্রামের কথাই বলি, জমির দাম পৌরসভায় শতাংশ ৫ লক্ষ্য টাকা, খেতের জমির দাম শতাংশ ২ লক্ষ টাকা, হু হু করে দাম বাড়ছে, বিনা কারনে, আমন না যে শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে, কেউই এখন আর মাঠে কাজ করতে চায় না, জমি থেকে আয় নাই, এক কাঠি ধান অর্থ ২২ কেজি ধান এর দাম সিজনে ৪০০ টাকা অফ সিজনে ৫০০ টাকা। জমির মালিকেরা হয় তারা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে নতুবা বাপ দাদার সম্পত্তি বিক্রি না করে ফেলে রাখছে। বিকল্প কোন কিছুতেই কারো কোন আগ্রহ নাই, সবাই শহর মুখি। আর অনেক সমস্যা আছে। তার উপরে আছে ভিলেজ পলেটিক্সের মত বিষ বৃক্ষ, কেউ যদি চেস্টা করে তাকে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন রকম মামলা মকদ্দমায় ফেলে নাস্তানাবুদ করে ছারবে। ফলে উদ্যোক্তা স্বভাবিক ভাবে সরে যায়। আমি সবই নেগেটিভ কথা বললাম, পজেটিভ যে নাই তা না, আছে অবশ্যই আছে, মানুষ এত কিছুর মধ্যেও উদ্যগ নিচ্ছে চেস্টা করছে এটাই পজেটিভ। তবে তুলনা মুলক ভাবে কম।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আগের গ্রাম বদলালো কেন? আসলে এগুলো ৫০ বছরের জমানো সমস্যা।
আপনি কোন এলাকার কথা বলছেন?

২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: দ্রব্যমুল্যের উর্দ্ধগতিতে সম্ভব নয়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবকিছু সব কিছুর সাথে যুক্ত, অর্থনীতিতে আলাদাভাবে দ্রব্যমুল্য বলতে কিছু নেই!

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

জুন বলেছেন: মা বাবা যারা দীর্ঘ সময় গ্রামীন পরিবেশে কাটিয়েছিল তারা হয়তো আপনার প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় গ্রামে থাকতে পারবে কিন্ত তাদের সন্তানরা যারা শহরের আলো বাতাসে বড় হয়েছে তাদের পক্ষে সম্ভব না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি । বস্তিতে থেকে মরিচ পান্তা খেয়েও তারা শহরে যে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা গ্রামীন জীবনে সম্ভব না। যেমন তারা গার্মেন্টসে কাজ করতে যাই বলেনা , বলে অফিসে যাই, তারা নিজের পছন্দ মত জিনিস যেমন কাপড় চোপর সস্তা হলেও হরদম কিনছে, দুয়েক মাসের বেতন জমিয়ে মোবাইল কিনছে, টিভি দেখছে । এই তথ্য আমার নিজের গৃহকর্মীর কাছ থেকে পাওয়া । তারা স্বামী স্ত্রী গ্রামে যেতে চায় কিন্ত চার ছেলে মেয়ের একজনও রাজি না ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



অশান্তির অর্থনীতি সৃষ্টি করেছে সাইফুর রহমান, কিবরিয়া, মুহিতেরা; এরা জীবন বলতে যা বুঝতো, মানুষকে সেইদিকে নিয়ে গেছে, গ্রামের মানুষকে বস্তিতে এনেছে; ৫০ বছরে যেই সমস্যার জন্ম দিয়েছে এরা, আগামী ৫০ বছরে তার সমাধান করার মতো লোকজন এখনো নেই।

২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৩

স্থিতধী বলেছেন: কি শহড় আর কি গ্রাম, কি কৃষি আর কি শিল্প; আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক - রাজনৈতিক যে সম্পর্কটা আমাদের অর্থনীতি আর জীবনযাত্রার বর্তমান চেহারাটা তৈরি করার জন্য দায়ী ওখানে যদি হাত দিতে না পারি তাহলে ইচ্ছা আর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সবার জন্য ভালো এমন কোন উদ্যোগ নেয়া এখন প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।

শুধু গ্রামীণ কৃষি বা শিল্প নিয়েই যদি বলি, গ্রামের অর্থনৈতিক কাজগুলোর বর্তমান সাপ্লাই চেইনে আগে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। ওটা করতে না পারলে আপনি যেভাবে প্রান্তিক সহ সব সাধারণ গ্রামবাসীর জীবন মান পরিবর্তনের কথা ভাবতেছেন তা চাইলেও করা যাবেনা, করতে দিবেনা। ১৪ নং কমেন্টে ব্লগার অকপটে আর ১৯ নং কমেন্টে রানার ব্লগ সেই মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতাগুলর কথাই বলেছেন। সন্ত্রাস/চাঁদাবাজিটা যেমন এখন শুধু শহড়ের বিষয়না, এই উন্নয়ন এখন গ্রামের মাঠপর্যায় তেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে তলার যত মুৎসুদ্দী , লাঠিয়াল, চৌকিদার এনাদের সবার মন খুশী রাখতেই হয় নতুন যেকোন প্রকল্প নিয়ে গেলে। বলা বাহুল্য, এনাদের এতো বেশী খুশী করার পর আর প্রান্তিক ও সাধারণ কে খুশী করার মতো বিশেষ কিছু বাকি থাকেনা।

এগুলো সবই অবশ্য বাঁধা বিপত্তির গল্প। কিভাবে বাঁধাগুলো ডিঙ্গায়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনা যায় সেটা নিয়ে সবাই মিলে ভাবলে ও কাজ করলে হয়তো দেরীতে হলেও পরিবর্তন সত্যিই আসবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি গ্রামের বাস্তবতা দেখছেন; এখন দেখতে হবে, এর মাঝে কি করে প্রবেশ করে জাতিকে সাহায্য করা যায়।

২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

নাসরিন ইসলাম বলেছেন: শিল্প কারখানা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হলে ঢাকা শহরের দূষণ যেমন কমত, তেমনি প্রত্যেক এলাকায় কম বেশি কারখানা থাকলে ঢাকার উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভারও কিছু কমত।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই সরকার কি বিকেন্দ্রিকরণ করতে পারবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.