![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
ভারতের বর্ণ-প্রথার ভুক্তভোগীরা জানেন নিম্নবর্ণে জন্ম নেয়া কি ভয়ংকর; আজকের যুগে, বিবাহ বাড়িতে চেয়ারে বসে খাওয়ার জন্য প্রাণ হারাতে হয়েছে নিম্নবর্ণের একজন মানুষকে; মানুষটির অপরাধ, তিনি নিম্নবর্নে জন্ম নিয়েছিলন, ভিকটিমের পরিবার তাঁর মৃত্যুর কারণ হলো। বাংলাদেশের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে নির্যাতিত হলে, কেহ মাথা ঘামায় না; বিচার না পাওয়ার পেছনে "পরিবার"।
নারী নির্যাতন নিয়ে লেখা অনেক পোষ্টে, নির্যাতনকারীর পরিবার ও মাতাপিতাকে দোষ দেয়া হয়েছে; বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সমাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্হা মানুষকে পরিবারমুখী করে তুলেছে, সবাই নিজ পরিবারের আখের গুছানোর চেষ্টা করছেন: আমার ছেলেমেয়ে দুধেভাতে থাকুক, আমার ছেলেমেয়ে সবার থেকে ভালো পড়ালেখা করুক; পরিবারের প্রতি এত টান থাকার পর, পরিবারকে টিকিয়ে রাখার এত চেষ্টা, এত প্রচেষ্টা কি বলে যে, পরিবার চায়, পরিবারে একজন নির্যাতনকারী থাকুক; নির্যাতনকারী হয়ে, একদিন পরিনারের মুখে কালিমা লেপন করুক, এটা কি পরিবারের কাম্য?
কোন মা কি কোনদিন চেয়েছেন, তাঁর ছেলে ফাঁসীতে ঝুলুক? কোন মাতাপিতা চেয়েছেন যে, তাঁদের ছেলে নির্যাতনকারী হয়ে তাঁদের মাথা হেঁট করুক? কোন মাতাপিতা সেটা চাওয়ার কথা নয়।
ব্লগে, পোষ্ট ও মন্তব্য নিয়েও পরিবার ও পিতামাতাকে নিয়ে টানাটানি হয়েছে অতীতে, এখনো হয়। পরিবার ও মাতাপিতা তাঁদের সামর্থ অনুসারে পরিবারের সদস্যদের গড়ে তোলেন। যেহেতু মানুষের প্রথম পরিচয় ঘটে মায়ের সাথে, পিতার সাথে, পরিবারের সাথে, পরিবারের প্রভাব অবশ্যই আছে; কিন্তু মানুষের অপকর্ম পরিবারের শিক্ষা নয়, মাতাপিতার প্রভাব নয়।
বাংগালীরা শ্রেণীতে বিশ্বাসী জাতি; শ্রেণীর সৃষ্টি হয়েছে সুযোগের সঠিক, কিংবা বেঠিক ব্যবহারের ফলে; সবাই উঁচু শ্রেণীতে অবস্হান করতে চান, সবাই নীচু শ্রেনীর উপর দোষ চাপাতে চান। অর্থ, সম্পদ, প্রতপত্তি শ্রেণীর মুলধন; অপর দিকে, শিক্ষা হলো শ্রেণী বিলুপ্তির নিয়ামক।
ব্লগে, পোষ্ট ও কমেন্ট দেখা যায়, মানুষের কৃতকর্মের জন্য তাঁর পরিবার ও মাতাপিতাকে দায়ী করা হচ্ছে, এটা শ্রেণী মনোভাবের পরিচয় মাত্র, এবং ইহা পরিবার সম্পর্কে ভুল ধারণা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারদের মনোভাব সঠিক হতে হবে।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষ বাদে সন্তানরা অন্তত 16-18 বছর বাবা মায়ের কাছেই থাকে। এই দীর্ঘ সময়ে তারা যদি মূল্যবোধ শেখাতে না পারে, আঁচ না করতে পারে তাদের সন্তান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাহলে দায় কার ?
জীবজন্তুর মত বাচ্চা পয়দা করতে অভ্যস্ত এই জাতির অধিকাংশ মা বাবা। পরে যে শেখানো পড়ানোর ব্যাপার আছে এইটা তাদের মাথায় থাকে না।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৬-১৮ বছরের মাঝে একটা বাচ্চা স্কুল/কলেজ শেষ করার কথা; ততক্ষণে, সে আধা আইনষ্টাইন; আপনার ভাবনা ভুল।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
মেটালক্সাইড বলেছেন:
মুঘল আগমনের অনেক আগে থেকেই এই বদ্বীপ অঞ্চলে সবধর্মের গরিব নিম্নজাতের মানুষ বিতাড়িত হয়ে নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় নিত। কালের প্রবাহে ক্ষুদ্র এই জাতি এই এলাকায় আবাদী হয়ে উঠে। হিন্দু রাজা, মুঘল, পর্তুগীজ ও খুনে রেঙ্গুন মগদের যন্ত্রণায় অনেকই বিতাড়িত হয়ে যায়।
ভীত নিপীড়িত এই জাতির উত্তরাধিকারী আমরা। শেকড়ের পেছনে লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, এই জাতি কখনো সুশৃঙ্গল ও প্রাতষ্ঠানিক জ্ঞানী কোন জাতি ছিল না। যখন যে আবহে পড়েছে তখনি সেই রুপে পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং আজকের এর রুপ।
প্রতিটি মানুষই তার পূর্বপুরুষের কৃতিত্বে ঊদ্ধুধ হয়ে সামনে এগিয়ে চলার সাহস পেয়ে যায়।
প্রশ্ন এখানে, আমাদের পিতামাতা বা তারও পিতামাতা বা আমরা কি এমন কৃতিত্ব প্রতিষ্ঠা করছি যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সামনে এগিয়ে যেতে পারে।
মনে রাখতে হবে, ১০০ বছর আগেও এই অঞ্চলে কাঠামোগত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। পারিবারিক শিক্ষা ব্যবস্থা তখন সর্বসাধারণের একমাত্র মাধ্যম ছিল বলা যায়।
১০০ বছর আগে জন্ম নেয়া একজন বাঙালি আর বর্তমানের একজন বাঙালি মধ্যে তুলনা করুন-উত্তরটা নিজেই পেয়ে যাবেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ সমাজের সৃষ্টি; ১০০ বছর আগে, বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে যাঁরা জ্ঞান গরিমায় বড় হয়েছেন, সবাই শিক্ষিত ছিলেন।
রবীঠাকুরকে শিক্ষিত করেছিলেন টিউটরেরা
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
একাল-সেকাল বলেছেন:
নৈতিকতার ভীত তৈরি হয় পরিবার থেকে। পারিবারিক শিক্ষার প্রভাব অনস্বীকার্য। অভিভাবকরা নৈতিকতা বিবর্জিত হলে সন্তানরা হবে। শিশুরা মাতৃভাষা যেমন পরিবার থেকে শিখে প্রতিষ্ঠানে যায় তেমনটাই। সন্তানদের প্রতি উদাসীন পরিবার থেকেই উঠে আসে সমাজের আগাছাগুলা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
নৈতিকতা ও আচার আচরণ শিক্ষা ও পরিবেশের উপর নির্ভরশীল; আপনার ধারণায় সমস্যা আছে।
৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা অবশ্যই সত্যি যে পরিবার হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সন্তানরা শেখে । কাজেই ফাউন্ডেশন গঠনে বাবা মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য । কিন্তু এটাও সত্যি ছেলে মেয়েরা বখে যায় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে যখন বাবা মায়ের কন্ট্রোলে থাকে না, নিজেদের একটা জগত হয়ে যায় । সেইসময়ে সঙ্গদোষে অনেক সময় মানুষ ট্র্যাকের বাইরে চলে যায় যেটা বাবা মায়ের পক্ষে সব সময় মনিটরিং বা কন্ট্রোল করা সম্ভব না । আর বয়সও একটা ফ্যাক্টর । একটা সারটেইন বয়সের পর সন্তানরা বাবা মায়ের কথা শোনে না অবাধ্য হয় । সেটার জন্য বাবা মা কখনোই রেস্পন্সিবল না ।
ম্যাক্সিমাম বাবা মা সন্তানের ভালো চায় এবং তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে । দু একটা কুলাঙ্গার বাবা মা থাকতে পারে কিন্তু সেটা এক্সসেপ্সন । তাই এটা কখনোই উদাহরণ হতে পারে না । যদি অফেন্ডার আন্ডারএইজ হয়ে থাকে, তাহলে বাবা মায়ের প্রশ্ন আসতে পারে কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অপকর্মের জন্য কোনোভাবেই তার বাবা মা কে ব্লেম দেয়া উচিত না ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
পরিবার ও মাতাপিতা থেকে মানুষ যা শিখেন, সবটাই ভালো শিখেন; মানুষ সমাজিক জীব।
৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: এখন সমাজে আগের মতো বংশবড়াই বা কতর্ৃত্ব কমে যাচ্ছে।
হিন্দু সমাজে বর্ণ জাতপাত নিয়ে বাড়াবাড়িটা খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে আছে এখনও।
সভ্যতার সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষের জ্ঞান বাড়ছে, মানুষ সামাজিক জীব; যে বাচ্চা মায়ের দুধ খেতো, সে একদিন সৈনিক, বৈজ্ঞানিক, চাষী হচ্ছেন; মানুষ খাবারে ফরমালিন দেয়া শিখছে; মাতা ফরমালিন চেনেনও না।
৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
জাহিদ হাসান বলেছেন:
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
একজন পুর্নাংগ মানুষ কার থেকে বেশী শিখে, সমাজ থেকে নাকি পরিবার থেকে?
৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সব কিছুর সাথে সব কিছুর একটা সামাঞ্জস্য আছে। একটা কথার সাথে আরেকটা চলে আসে। না চাইলেও অনেক কিছু লিখতে হয়। আর বলতে বলতে ঘরের কথা, বাইরের কথা, নানান রকম কথা চলে আসে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
কথায় লজিক থাকলে, সুচিন্তিত ভাবনা থাকলে, কথার মুল্য আছে; না'হয়, উহা কথার কথা
৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
স্থিতধী বলেছেন: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে একটা বড় পার্থক্য এটি। গোত্র ও পরিবার কেন্দ্রিকতার এই নেতিবাচক প্রভাবটি প্রাচ্যের দেশগুলোকে এখনো পশ্চিমের অনেক কল্যাণ রাষ্ট্র গুলোর মতো জনবান্ধব দেশ হিসেবে তৈরি না করতে পারার পেছনে ভূমিকা রাখছে। মিথ্যা বংশ কৌলিন্য, স্বজনপ্রীতি এসব সামাজিক শ্রেনী বৈষম্য আর দুর্নীতি বিস্তারে বড় ভুমিকা রাখে, ফলে রাষ্ট্র আর জনকল্যাণমুখী হয়ে ওঠেনা।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার ও প্রশাসনের কল্যানে, মানুষ সমাজকে বাদ দিয়ে নিজের "পরিবার" নিয়ে চিন্তিত শুধু, অন্যের পরিবার জাহান্মামে যাক; ক্ষেতের দিনমজুরের ঘরে, চাকরাণীর ঘরে, গার্মেন্টস কর্মীদের ঘরে রবীন্দ্রনাথ জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা নেই, গোলাম আজমও জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা নেই।
১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ১৬-১৮ বছরের মাঝে একটা বাচ্চা স্কুল/কলেজ শেষ করার কথা; ততক্ষণে, সে আধা আইনষ্টাইন; আপনার ভাবনা ভুল।
একটা ম্যাথ ভাল করে করা আর কোন গরিব মানুষকে সাহায্য করার মানসিকতা দুইটা আলাদা জিনিস।
আইনস্টাইন হলেই যদি ভাল মানুষ হইত তাহলে দেশের আমলারা অন্তত চুরি করত না।
স্কুলে শিক্ষার মান কেমন সেটা নিয়ে যদি আপনার ধারনা না থাকে তাহলে সেটা নিয়ে একটু পড়াশোনা করে দেখেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমলারা পারিবারিক শিক্ষাকে মুলধন করে আমলা হয় না; ওরা আমলা হয়ে, গরীবদের "পরিবার" নিয়ে টানাটানি করে; আপনি ব্লগে পরিবার ও মাতাপিতা নিয়ে টানাটানির পক্ষে আছেন?
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষ যেই পারিপারসিক অবস্থার মধ্যে তাকে তার চিন্তাধারা সেরকম।তার চিন্তাধারায় শ্রেনীর ছাপ থাকবেই।অর্থনৈতিক শ্রেনী,ধর্মীয় শ্রেনী না।ব্যতিক্রম হয়তো আছে,কিন্তু ব্যতিক্রম নিয়মের অধীন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
শ্রেণীর সদস্যরা অন্যদের পরিবার খুঁজে বেড়ায়।
১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখকদের কিছু লুকাতে হয় না। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর সব দেশের লেখকরা নিজেকের ভালো কথা মন্দ কথা সব লিখেছেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখকেরা সব লেখেন, পাঠকেরা বুঝতে চান, পাঠকের কথা আছে কিনা লেখায়!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের মাঝে সুশিক্ষার যথেষ্ট অভাব আছে ।
আমরা যথেষ্ট সচেতন নই ।
আমাদের মধ্যে অহংকার টা খুব বেশি।