| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
চাঁদগাজী
	শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
  
চট্টগ্রামে চাষের জমি খুব একটা অবশিষ্ট নেই, ঘরবাড়ী হয়ে গেছে; যতটুকু আছে, সেটার বড় অংশ অনাবাদী পড়ে থাকে, এলাকায় সক্ষম পুরুষ মানুষ নেই, সবাই আরব চলে গেছে; চট্টগ্রামে নারীরা মাঠে নামে না। যারা আরব থেকে ফিরে এসেছে, তারা চাষবাস করে না, এদের অনেকেই বসে বসে খাচ্ছে, কেহ কেহ ড্রাইবারের চাকুরী পেয়েছে, কেহ কেহ  এলাকায় কিংবা শহরে দোকান দাকান দেয়ার চেষ্টা করছে; এলাকার ছোট বাজার উপশহরে পরিণত হয়েছে।
১৯৬০ সালের দিকে যেসব চাষী পরিবারে মোটামুটি জমি ছিলো, সেগুলো ভাইবোনদের সংখ্যানুসারে গড়ে ৩/৪ বা তার থেকে বেশী ভাগে বিভক্ত হয়েছে; ফলে, জমিগুলো ছোট ছোট টুকরায় পরিণত হয়েছে; ছোট জমিতে চাষ করা হয় না, যেই সামান্য পরিমাণ ফসল হয়, তাতে মন ভরে না, এই সামান্য ফসলের জন্য চাষের আয়োজনও করা হয়ে উঠে না।
মানুষ আরব কিংবা অন্যদেশে যাবার জন্য জমি বিক্রয় করছে গত ৪০ বছর; যারা কিনেছে তারা অবশ্যই চাষী নন; চাষীরা চাষের আয় থেকে জমি কিনতে পারার কথা নয়। নতুনভাবে যারা জমি কিনছে, তারা কেহ নিজেরা চাষ করে না।
পাহাড় ও ঢাকা হাইওয়ের মাঝখানে খুবই ভালো ফসলী জমিতে ২টি ইটের ভাটা হয়েছে; ভাটার পাশের জমিগুলো অনাবাদী পড়ে আছে, শীতের সময়, সেগুলোর উপর ইট জমা করে রাখে, ট্টাক যাওয়া আসা করে। আমাদের থেকে ৬/৭মাইল উত্তরে কিছু উঁচু এলাকা ছিলো, এখানে প্রচুর সবজী হতো, বসুন্ধরা সেখানকার বিরাট এলকা কিনে নিয়েছে; আবাসন গড়ে তোলার আয়োজন করেছে। 
আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, আমাদের এলাকায় করোনার কারণে চাষবাস বাড়েনি; আমি নিজেই ধারণা করেছিলাম, শহরে কাজের পরিমাণ কমে যাওয়ায়, জমির শহুরে মালিকেরা এবার চাষবাস করবে, কিংবা করাবে; আসলে, তা ঘটেনি।  চট্টগ্রাম শহর থেকে এলাকার কিছু পরিবার করোনার সময় গ্রামে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে; কিন্তু তারাও কেহ চাষবাসে হাত দেয়নি।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন: 
বরিশাল চাষবাসে বরাবরই ভালো, চট্টগ্রামে এক সময় তরুণ ও যুবা পুরুষ থাকবে না, মনে হয়।
২| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ট্রাক্টর উত্তম উপায় , লোক লাগাতে হবে । দেখা যায় চাষের বলদ নেই কারন গরু পালছে দুধের জন্য ।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আমি দেশের উত্তরান্চলের কথা জানি না, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় ট্রাক্টর চালু হয়েছে পুরোদমে।
৩| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:০৮
আমি সাজিদ বলেছেন: বেড়েছে, খবরে যা দেখেছি।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
খবরে কোন কোন এলাকার কথা বলেছে? নাকি আন্দাজী কথাবার্তা?
৪| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৮:২২
আমি সাজিদ বলেছেন: উত্তরের দিকের কথা বলেছে, বরিশালের কিছু খবর শুনেছি বা পড়েছি, একটু একটু মনে পড়ছে।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
উত্তরের মানুষ বিদেশে কম যাচ্ছে।
৫| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৮:৪৬
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া করোনার সময়ে ঢাকায় বাগান বিলাসী মানুষ বেড়েছে। এই লকডাউনে বাড়ি বসে বসে মানুষ ছাদ আর বারান্দা গাছ পালায় ভরে ফেললো....
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৯:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
ভালো কাজ, ডেংগু না বাড়লেেই হলো
৬| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৮:৫২
জুন বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ চাষবাস ভুলে যাবে একদিন । তারা বিল্ডিং এ বসে আমদানী করে খাবার এনে খাবে ।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ৯:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন: 
চাষবাসের "ভর্তুকি" পায় সেক্রেটারিয়েট।
৭| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১০:০৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমাদের এলাকায় বাড়ার মত খালি যায়গা খুব একটা নাই। কিন্তু চাষবাসের ধরন পাল্টেছে।ধানের জমিতে করি তরকারির চাষ করছে তাতে আয় বেশি।প্রচুর কলা হয়,তাছাড়া বেগুন পেঁপে কপি চাষ হয় প্রচুর।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১০:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
কোন এলাকা, নারায়নগন্জ?
৮| 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: চাষবাস বাড়েনি। আগের মতোই অবস্থা। 
অন্যান্য সময় শীতের সময় শীতের সবজির দাম কম হয়। এবার শিম ছাড়া আর কিছুর দামই কমে নাই। শুনলাম দাম এবার কমবে না। আজ টমেটো কিনলাম ১২০ টাকা কেজিতে। গত বছর এমন সময় টমেটো ছিলো ৬০ টাকা।
 
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১০:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন: 
তমেটোর দাম যদি ২গুণ বেড়ে যায়, চাষবাস কমেছে; মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে, খাদ্যের দাম কমার কথা ছিলো।
৯| 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১২:৪০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যশোর,কুষ্টিয়া
 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  রাত ১:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আপনার এলাকার লোকজন বাহিরে আছে?
১০| 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  ভোর ৪:৩৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আছে তবে সংখ্যায় কম।বিক্রমপুর,কুমিল্লা ,নোয়াখালী,সিলেট,চট্রগ্রামের মত না।
 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  ভোর ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন: 
উত্তর চট্টগ্রামের গ্রামগুলো নারীস্তানে পরিণত হয়েছে।
১১| 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  সকাল ১১:৫৫
গফুর ভাই বলেছেন: আশঙ্কাজনক হারে আবাদি জমি কমে যাচ্ছে।গ্রামে এক অদ্ভুত এক নিয়ম ঢাকায় থেকে গ্রামে বাড়ি বানায় ফসলি জমিতে লাখ টাকা খরচ করে তিনতলা কেউ চারতলা । গ্রাম ভরতি দালান কিন্তু থাকার মত মানুষ নাই। কয়েকদিন আগে গেলাম গ্রামের বাড়ি এত ঘর বাড়ি কিন্তু রাতে থাকার মত কেউ নাই।যে মাঠে আমি খেলাতাম তা এখন কোথায় হারায় গেছে দালান এর জঞ্জালে।
বড় অশনি সঙ্কেত এই যে সামনে থেকে বেশির ভাগ শাক, সবজি ফল আমাদের আমদানি করে খেতে হবে। বাংলা নির্বোধ জনগণ ফেসবুকে সংগ্রাম করবে  পেয়াজ ইস্যু এর মত  ইন্ডিয়া দেয় নাহ অমুক দেশ কেন আমাদের সাথে বেইমানী করল ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ ইত্যাদি কিন্তু এর পেছনে যে অনিয়ন্ত্রত জনসংখ্যা আর আবাল বাংগালী মগয বিহিন কাজের ফলাফল কাজ করে তা খতিয়ে কে দেখবে।
 
২৫ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:১০
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আিনের দরকার, যারা শহরের ফ্ল্যাটের মালিক, গ্রামে তারা  পাকা দলান করতে  পারবে না।
১২| 
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০  সকাল ৭:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
 আমাদের শিক্ষিত ভদ্র লোকজন চাষাবাদ করাকে চাষাদের কাজ বলে মনে করে। 
 এই কাজটি তারা ভুলেও করবেন না। 
তারা মধ্যপ্রাচ্চ্য , মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরের কামলা দিয়ে মরবে। 
 তাও দেশের কোন কাজ করবে না। 
আফসোস।
 
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০  দুপুর ১২:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন: 
তারা চাসবাসের অথনীতি বুঝেন না।
১৩| 
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০  সকাল ১০:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ  হোসেন বলেছেন: 
সব কিছুতেই পজিটিভ পরিবর্তন দরকার । 
আমাদের চাষাবাদ তথা সার্বিক কৃষি ক্ষেত্রেও  প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনতে হবে। 
 সেই পরিবর্তনটাই আজ পর্যন্ত কেউ আনার চেষ্টা করল না। 
 অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে আবাদি জমি গুলো ক্রমে ক্রমে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এবং সামনে আবাদ করার মতো কোনো জমিই আর থাকবে বলে মনে হয় না।
 
২৬ শে নভেম্বর, ২০২০  দুপুর ১২:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন: 
আমাদের চাষের জমি হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন; গ্রামের মানুষকেই শিখানোর দরকার,  ধানের জমিতে যেন কেহ বাড়ী তুলতে না পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমার ধারনা করোনাকালীণ সময়ে চাষাবাদ বেড়ে গেছে।
আগাম চাষাবাদের শাক সব্জীর দাম এখন হাতের নাগালে।
বরিশাল বিভাগে পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারিভাবে।
চলতি বছর বরিশালের ১০ উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের
পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।