নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটমবোমা কি ইরানের জন্য খুবই দরকারী বস্তু?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২



ইরানের এটমবোমা প্রোগ্রামের জনক, মোহসেন ফখরিযাদেহ'কে হত্যা করা হয়েছে; এর আগেও একজনক পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে বিদেশী গোয়েন্দারা; কারা ইরানের এসব জ্ঞানী মানুষকে হত্যা করছে, আপনার কোন ধারণা? এই রকম জ্ঞানী মানুষ কি বিশ্বের জন্য খুবই সহজলভ্য, চাইলেই মেরে ফেলতে পার, চাইলেই তৈরি করে নিতে পারে?

ইরানের সুপ্রীমনেতা এই জ্ঞানী মানুষটাকে বিজ্ঞানীর চেয়েই বড় টাইটেল দিয়েছেন, "শহীদ"; এবং ঘোষনা দিয়েছেন, প্রতিশোধ নেয়া হবে; ইরান কি প্রতিশোধ নেয়ার মতো অবস্হানে আছে? যদি প্রতিশোধ নেয়ার অবস্হানে থেকে থাকে, কোন দেশকে কি করতে পারবে ইরান? যদি ইরান প্রতিশোধ নেয়, সেটা হবে শেষ, নাকি তারপর আরো ভয়ংকর কিছু ঘটবে?

ইরান এটমবোমা বানানোর প্রজেক্ট হাত নেয়ার পর, ইরাকী এক অস্ত্র কারখানাকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলো ইসরায়েল; তারপর, ইরান নিজের ফেসিলিটিকে মাটির নীচে নিয়ে গেছে; ফলে, এখনো উহাকে মাটিতে মিশাতে পারছে না; যাক, একদিক রক্ষা হচ্ছে; কিন্তু ইহার জন্য মুল্যটা কে দিচ্ছে, কত দিচ্ছে?

ইরান এটমবোমা বানানোর প্রোগ্রাম শুরু করার পর, ইসরায়েল, সৌদী আরব, আমেরিকা ও ইউরোপ ইহার বিরোধীতা করে আসছিলো; কিন্তু ইরানের সমর্থকও ছিলো; সেই প্রোগ্রাম নিয়ে বিশ্ব ব্যাপি মিশ্র-প্রতিক্রিয়া ছিলো; ইউরোপের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করতো যে, ইরান আসলে বোমা বানাতে পারবে না; কিংবা সময়ের সাথে ইরানকে তার প্রোগ্রাম থেকে সরানো সম্ভব হবে। প্রেসিডেন্ট আহমেদি নেজাদ (২০০৫-২০০১৩) ২০০৬ সালে, একদিন ইরানের বোমার ১ম ক্রিষ্টাল দেখে, পুরো জাতিকে নিয়ে দিনটি উদযাপন করেছিলো; সেদিন পুরো বিশ্ব জানতে পারে যে, ইরান আসলেই বোমা বানাতে যাচ্ছে।

ওবামা ইরানের সাথে চুক্তি করে ২০১৬ সালে, ইরান বোমা বানানোর থেকে সরে যায়; ওবামা সকল ধরণের সেংশান তুলে নেয়, আমেরিকায় আটকে পড়া ইরানের সম্পদ, প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়ার ব্যবস্হা নেয়; এবং ২০৩০ সালে ইরানকে ২টি বোমা বানানোর জন্য অনুমতি দেয়া হয়।

ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে ইরানের সাথে করা চুক্তিকে বাতিলের ভয় দেখাতে থাকে, কিন্তু বাতিল করেনি। ইরান ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপগুলোকে নিজেদের জন্য বর হিসেবে মনে করে, তারা ওবামা চুক্তিকে স্হগিত করে রাখে; এখানেই ইরান ভুল করেছে; তাদের উচিত ছিলো, ট্রাম্পের ভুল কর্মকান্ডকে পুঁজি না করে, জাতি সংঘ ও ইউরোপের সাথে চুক্তির বাস্তবায়ন চালিয়ে যাওয়ার দরকার ছিলো।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মহাসচিব আলি শামখানি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এই হত্যা অভিযান খুবই জটিল ছিল। এ কাজে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। কোনো হামলাকারী ঘটনাস্থলে ছিল না।’এবার তারা সম্পূর্ণ পেশাগতভাবে উন্নত ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে এবং অবশেষে সফল হয়েছে।’
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইরানের বিদ্রোহী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-এ খালকের ভূমিকা রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছে । ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের আরবি ভাষার চ্যানেল আল-আলম দাবি করেছে, হামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলো ‘স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত’ ছিল

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



হাইটেক ব্যবহৃত হয়েছে, বাংলাদেশকে দোষারোপ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ইরান কেন বুঝতে পারেনি যে, এই মানুষটাকে একদিন মেরে ফেলা হবে?

মোহসেন ফখরিযাদেহ যখন দেখলেন, উনার একজন বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে; তখন উনার কি করা উচিত ছিলো?

২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

মোগল সম্রাট বলেছেন: এটম বোমা আসলে কোন দেশের রাখা উচিৎ গাজীসাব?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন দেশের রাখা উচিত নয়; সোভিয়েত বিলুপ্ত হওয়ার পর, বিশ্ববাসী বিশ্বকে এটমবোমা-মুক্ত করার আন্দোলন বন্ধ করে দিয়েছে।

৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ওবামা ইরানের সাথে চুক্তি করে ২০১৬ সালে, ইরান বোমা বানানোর থেকে সরে যায়;
ওবামা সকল ধরণের সেংশান তুলে নেয়, আমেরিকায় আটকে পড়া ইরানের সম্পদ,
প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেয়ার ব্যবস্হা নেয়;
এবং ২০৩০ সালে ইরানকে ২টি বোমা বানানোর জন্য অনুমতি দেয়া হয়।

...................................................................................................................
অথচ ট্রান্পের সময় সকল বিষয় উল্টো পথে হাটল ।
বিশ্বে এখন আর রাজনীতি, অর্থনীতির খেলায় আমেরিকান কার্ড চলেনা ।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রাম্প শুরু আমেরিকা নয়, বিশ্ব শান্তির ভয়ংকর ক্সতি করে গেছে।

৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যদি বানাতে পারে তবে রাখা উচিত।না পারলে রাখবে কোথা থেকে।অন্য রাষ্ট্রর উচিত না তাকে অন্যায় ভাবে বাঁধা দেয়া।পারলে সকলের থাকা উচিত নয়তো কারো না।
পাকিস্তান ,ভারত পারলে বাংলাদেশ কেন পারবেনা।ইসরাইলের থাকতে পারলে ইরানের কেন থাকতে পারবেনা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাচ্চা যেটা বুদ্ধিমান, আপনি সেটার যত্নে আপনার ঘরের বন্দুক রাখবেন; যেটা বেকুন সেটার হাতে অশ্যই অস্ত্র দেবেন না।

পাকিস্তান বোমা বানানোর পর, লাফালাফি বন্ধ করে দিয়েছে নিজেই; কারণ, বোমা ফেলার মতো কোন যায়গা নেই।

৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ইরান ভুল পথে আছে।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইরানীরা যতটুকু শিক্ষিত ও যতটুকু তেলের মালিক, তারা ভালো মানুষ হলে, বিশ্বের সবচেয়ে সুখী জাতি হতে পারতো; তারা ভালো "শিয়া", তাই নিজের পায়ে কুড়াল না মারলে ঘুম হয় না।

৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ইরানের কাছে এটমবোমা থাকুক সমস্যা নেই। সমস্যা হলো ইরাকে সোলাইমানী হত্যা, দেশে মোহসেন হত্যা ওরা বুঝতে না পারা।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সোলেমানীর কর্মকান্ড তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে গেছে।
মোহেসেন ফখরিযাদেহ অবশ্যই জ্ঞানী মানুষ ছিলেন; কিন্তু উনি যে, ভুল কাজে নিজকে নিয়োজিত করছেন, সেটা বুঝতে পারেননি; কারণ, তিনি ভেবেছিলেন যে, তিনি জিহাদ করছেন।

৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

আখেনাটেন বলেছেন: মোল্লাদের মাথা এমনিতেই গরম। যে কাজ গোপনে করা যায়, তা ঢাক ঢোল বাজিয়ে করতে গিয়ে গিয়েছে ফেঁসে। কাউকে ম্যাপ থেকে মুছে দিবে। বোমা মেরে উড়ে দিবে। ইরানীরা যে পরিমাণ মেধাবী ও পরিশ্রমী ও তাদের যে পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয় গোটা বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হতে পারত।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


তারা সুখী শিয়া, অসুখী মানুষ।

আহমেদী নেজাদ নেয়ে গেয়ে ঘোষনা দিয়েছিলো যে, মানচিত্র বদলায়ে দেবে, ইডিয়ট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.