নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাধারণ মানুষ বিজয়ের রাজনৈতিক অর্জনটা অনুধাবন করার সুযোগ পাননি।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩



১ম বিজয় দিবসটি (১৬ই ডিসেম্বর, '৭১ সাল ) ছিলো বিনা আয়োজনে, মানুষের বিজয়ের আনন্দটা সীমাবদ্ধ ছিল পাকী বাহিনীকে পরাজিত করার মধ্যেই, এবং আজকেও পাকীদের পরাজয়ই মুল বিষয়, মানুষের রাজনৈতিক অর্জন এখনো বড় বিষয় নয়; অবশ্য, সেটাই ছিলো আসল মুক্তির দিন, ৯ মাসের যুদ্ধের পর পাকী বাহিনী পরাজিত, ত্রাসের সমাপ্তি, দেশ শত্রুমুক্ত, এক অসম যুদ্ধের অবসান, স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত। ৯ মাসের অবরোধ, যুদ্ধ, হত্যা, নির্যাতন থেকে মানুষ ও দেশ মুক্ত হওয়ার সংবাদ ছিল এক বিশাল অর্জন। তবে, রাজনৈতিক অর্জনটা সাধারণ মানুষের কাছে ঠিক পরিস্কার ছিলো না; সেটাকে পরিস্কার করার জন্য আনুষ্টানিকভাবে কোন "বিজয় ভাষন" দেননি প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন সাহবে। উনি ভারত থেকে দেরীতে ফিরেছিলেন, যথাসম্ভব ২২শে ডিসেম্বর; উনার ফেরার পর, দিনটিকে আনুষ্টানিকভাবে পালন করে, একটা 'বিজয় ভাষণ' দেয়ার দরকার ছিলো; সেই ভাষণে জনতাকে বিজয়ে তাঁদের ভুমিকার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে, তাদের বিশাল অজর্ন, একটি স্বাধীনদেশ ও সেই দেশে তাঁদের অধিকার, দায়িত্ব নিয়ে ও জাতির ভবিষ্যত নিয়ে একটি আভাস দেয়ার দরকার ছিলো; কিন্তু সেটা সেইভাবে ঘটেনি।

শেখ সাহেবের ফিরে আসা ছিলো জাতির জীবনে আরেক বড় ঘটনা; প্রথম কয়েকদিন কেটে গেছে ইমোশানে; এরপর, দরকার ছিলো জাতির সাথে উনার রাজনৈতিক সেতু বন্ধন; সেটার হতে পারতো একটি বিজয় ভাষণের মধ্য দিয়ে, সেখানে জনতার বীরত্ব, ত্যাগ, বিশাল অবদানের স্বীকৃতি দিতে পারতেন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শেখ সাহেব কিংবা তাজউদ্দিন সাহেব। কিন্তু সেটা ঘটেনি, শেখ সাহেব ও উনার চারিপাশের লোকজন সারাক্ষণ শেখ সাহেবর ভুমিকাকে এমন এক স্তরে নিয়ে গিয়েছিলো যে, মনে হচ্ছিল শেখ সাহেব একাই দেশ স্বাধীন করেছেন; সাধারণ মানুষ নিজেদের ভুমিকাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না।

আজকেও অনেক লেখক, অনেক কবি, অনেক রাজনীতিবিদ বলেন, শেখ সাহেবের জন্ম না'হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না; এটা ইমোশানেল কথা, ইহা ২/১ বার বলে, শেখ সাহেবের ভুমিকাকে সন্মান করা ঠিক আছে; কিন্তু ইহাকে প্রতিষ্ঠিত করা ঠিক নয়; কারণ, ইহা সঠিক নয়, এবং ইহাতে সাধারণ মানুষের বিশাল ত্যাগ ও অবদান চাপা পড়ে যায়, মানুষ অসহায় দর্শকের ভুমিকায় চলে আসেন।

এখন বিজয় দিবস কিভাবে পালন করেন জাতি, কতটুকু তাঁদের অনুধাবন বুঝা মুশকিল; কারণ, দিবসটা সরকারের নিয়নত্রণে থাকে; দিবসটিকে পালনের সঠিক কোন ট্রেডিশন নেই। ৫০ বছর কেটে গেছে বিশৃংখলায়, মানুষের ত্যাগ, মানুষের অবদানের ঠিক স্বীকৃতি দেয়নি সরকারগুলো; সেই কারণে, মানুষের অধিকার ও দায়িত্বটা কখনো পরিস্কার হয়নি এই দেশে; বিজয়ের দিনটা মানুষকে নতুন করে উৎসাহিত করে তোলে না, মানুষের কথায় অপ্রাপ্তির কথাই বড় হয়ে উঠে।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

শাহ আজিজ বলেছেন: তার মানে বিজয় ছিনতাই হয়ে গেছে !!

মানুষ এখন দুরুহ ভাবনায় গা না ভাসিয়ে বিজয় দিবস মানে আনন্দের দিবস এই সমীকরণ করে । আর বাকি যা বলেছেন তা দুই রহমান পরিবারের খেলা।

শুভ বিজয়

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহবে শুরুতে মহা ভুল করেছেন; মানুষের অসীম ত্যাগ, অবদান, উৎসাহকে উনারা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন; এরপর, মানুষের যেই শক্তি পাকী বাহিনীকে পরাজিত করেছিলো, সেই শক্তিকে উনারা কাজে লাগাতে পারননি।

আরো বড় ভুল ছিলো, উনারা যেভাবে নিজের চাকুরীটাকে ধরে রেখেছিলেন, অন্যদেরও যে একটা চাকুরী বা কাজের দরকার ছিলো, সেটা উনাদের মাথায় কখনো প্রবেশই করেনি, উনাদের উত্তরসুরী শেখ হাসিনার মাথায়ও উহা ঢোকে না।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৬ই ডিসেম্বর সহ ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২৬শে মার্চ, দেশের একদল বাংলাদেশের পতাকা রঙে কাপড় পরে রমনা এলকায় গিয়ে চটপটি ফুচকা গান বাজনা বিরিয়ানী খাওয়া দাওয়া সহ আনন্দ ফুর্তি করেন। ডাইনং টেবিলে খাবার দাবার রেখে ছবি তুলে ফেসবুকে আপডেট দেন। বাদবাকি দিনগুলো পাকিস্তান লোন জামা কাপড় পরে পাকিস্তানের আয় উন্নতি করেন। - স্বাধীনতার অর্জন।




১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




শুরুতে যেভাবে এই বিশাল শক্তিকে কাজে লাগানোর দরকার ছিলো, সেটা ঘটেনি; আজকে, ৫০ বছর পরও শেখ হাসিনা সেটা বুঝতে পারছেন না; রাজনীতি না বুঝলে, অন্যের জন্য কেহ কিছু করতে পারে না।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "শেখ মুজিব না জন্মালে দেশ স্বাধীন হতনা" - এটাই এখন দেশের সবচেয়ে বেশী প্রতিষ্ঠিত কথা।

স্বাধীনতা যুদ্ধে সাধারন মানুষের ভূমিকা ও ত্যাগ আমাদের দেশের কোন সরকার বা রাজনৈতিক দলই যথাযথভাবে স্বীকার করেনা।তারা তাদের দলের বা নেতার সাফল্যই বেশী মনে করে।আর যে যত জোরে এবং যতবেশী বলতে পারবে তার ভবিষ্যত ততবেশী উজ্জ্বল।
আর আমজনতার না আছে আনন্দ না আছে প্রাপ্তি।

ভাই দয়া করে আমার ৩ নং মন্তব্যটি মুছে দেয়ার অনুরোধ রইল যা বানান ভুলের দোষে দোষী।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার কমেন্ট ও দেশ সম্পর্কে আপানর ধারণার মাঝে মিল নেই।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: তাজউদ্দিন স্বাধীন দেশে ফিরে ভাষন না দিলেও বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারী ভাষন দিয়েছিলেন। উনি কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, আজ আমরা স্বাধীন।
তাজউদ্দিন আহমেদ ভারত থেকে দেশের জন্য কাজ করছিলেন। উনি পিস্তল না ঝাপিয়ে না পড়লেও নিরবে কাজ করে গেছেন।

বিজয় দিবস আমরা পালন করি।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে বহু মানুষকে (রেকর্ড করে) বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দৈনিক পত্রপত্রিকায় শুভেচ্ছা বিনিময় চলছেই। মেয়েরা সবুজ লাল শাড়ি পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছেলেরা লাল সবুজ পাঞ্জাবী আর গেঞ্জি পড়ছে। এই করোনার মধ্যেও চারিদিকে কেমন একটা আনন্দময় পরিবেশ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ সাহেব সাহেব যখন ফিরে এসেছিলেন, সেই সময়কার পরিস্হিতি আপনি জেনেছেন কিনা আমি জানি না; মানউষ উনার জন্য অস্হির হয়ে অপেক্ষা করেছিলেন; কিন্তু তিনি মানুষের জন্য অস্হির হননি।

প্রাইম মিনিষ্টারকে যুদ্ধ করতে হয় না, যুদ্ধের আয়োজ ও পরিচালনা করতে হয়; যুদ্ধ শেষে মানুষের সাথে এক কাতারে আসতে হয়; তাজউদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা নিয়ে বসে ছিলেন, বাকীদের যে চাকুরী নেই, সেই কথটা বলেননি ও ব্যবস্হা নেননি।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: গায়ক গায়িকারা বিজয়ের গান গাইছেন।
কবিরা বিজয় দিবস নিয়ে কবিতা লিখছেন। লেখকরা গল্প প্রবন্ধ লিখছেন। যার যার জায়গা থেকে যতটুকু পারছেন করছেন। টিভি তে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বানী দিয়েছেন।
সকল শহীদদের মানুষ ভালোবেসে স্মরণ করেছেন।
এমন কি ছোড় ছোট বাচ্চা ছেলেমেয়েরা তাদের বাসার গলি দেশের পতাকা দিয়ে ভরিয়ে ফেলেছে। বহু সংগঠন রান্না করে গরীবদের খাওয়াচ্ছেন।

আপনি বিজয় দিবস কিভাবে পালন করলেন?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকে বিজয় দিবস, এখন সকাল ৬:২০; আমি ভালো নাস্তা তৈরি করেছি; দুপুরে আমরা ১ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আমন্ত্রন করেছি; গতবার ৪টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সমবেত হয়েছিলাম, এবার করোনার জন্য সবকিছু সীমিত।

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শেখ সাহেব সাহেব যখন ফিরে এসেছিলেন, সেই সময়কার পরিস্হিতি আপনি জেনেছেন কিনা আমি জানি না; মানউষ উনার জন্য অস্হির হয়ে অপেক্ষা করেছিলেন; কিন্তু তিনি মানুষের জন্য অস্হির হননি।

প্রাইম মিনিষ্টারকে যুদ্ধ করতে হয় না, যুদ্ধের আয়োজ ও পরিচালনা করতে হয়; যুদ্ধ শেষে মানুষের সাথে এক কাতারে আসতে হয়; তাজউদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা নিয়ে বসে ছিলেন, বাকীদের যে চাকুরী নেই, সেই কথটা বলেননি ও ব্যবস্হা নেননি।

এখনকার সময়, অভিজ্ঞতা আর জ্ঞান নিয়ে ৭১ এর কথা ভাবলে চলবে না। সেই সময় ভয়াবহ সময় গেছে। তখনকার পরিস্থিতি অন্য রকম ছিলো। একটা রাস্তা নাই, একটা কালভার্ট নাই। সব ভাঙ্গা। সব লন্ডভন্ড। সেই অবস্থায় যা করার বন্ধুবন্ধুই করেছেন। তিনি দ্বারে দ্বারে গেছেন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদের অবস্থার কথা জানিয়েছেন। এই ভাঙ্গাদেশ রেখে বন্ধু পালিয়ে যান নি। এই ভাঙ্গা দেশকে তিনি মেরামত করেছেন। সব শ্রেণীর মানুষকে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরেছেন।

যুদ্ধবিধ্বস্তকে নতুন করে গড়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর সাথেই ছিলেন তাজ উদ্দিন। তার সমস্ত চিন্তা পরিকল্পনা দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন। রাতারাতি সব করা সম্ভব নয়। তবে দেশে ধীরে ধীরে কলকারখানা সবই হয়েছে। তবে কিছু দুষ্ট লোক রয়ে গিয়েছিলো। তারা দেশকে বারবার পিছিয়ে নিতে চেয়েছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আজকে যা লিখছি, ১৯৭৩ সালে তা বলেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের।

আপনি হয়তো অর্থনীতি সঠিভাবে বুঝেন না: "বাংলাদেশ জাপান, রাশিয়া, বা জার্মানীর মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি যুদ্ধে"; যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো, বাংগালীরা নিজ হাতে ২/১ বছরেই তা মেরামত করতে পারতেন; শেখ সাহবে মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে বলেননি, কাজ দেননি; উনি রিলিফের জন্য, ভিক্ষার জন্য কাঁদছিলেন আর নিজে একা একা কাজ করছিলেন। আজকে দেখছেন, শেখ হাসিনা কিভাবে চীনাদের কাজ দিয়ে, ভারতীয়দের কাজ দিয়ে নিজে বেকার বসে বকবক করছেন?

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজকে বিজয় দিবস, এখন সকাল ৬:২০; আমি ভালো নাস্তা তৈরি করেছি; দুপুরে আমরা ১ জন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আমন্ত্রন করেছি; গতবার ৪টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সমবেত হয়েছিলাম, এবার করোনার জন্য সবকিছু সীমিত।

যাক, আপনি রান্না জানেন।
জ্যাকসন হাইটস এ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাঙ্গালীরা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নি? নাকি করোনা সমস্যা?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



না, এবার জেকসন হাইটস'এ কিছু করতে পারছে না; অন্য সময় করে; গত কিছু বছর আমি যাই না; আমরা কিছু পরিচিত লোকজন নিজেরা একত্রিত হই।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাজীব নুর ভাই, বীর শ্রেষ্টদের কবর কোথায় কোথায় আছে বলতে পারবেন উইকি না দেখে? বিশেষ দিন ব্যতিত তাঁদের কবরে গিয়ে দেখবেন - তখন বুঝতে পারবেন দেশের বিজর আর স্বাধীনতা কোন পর্যায়ে আছে।

বিজয় দিবসে এমন কারো সাথে কথা বলেছেন যে কিনা তার মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান হারিয়েছেন যুদ্ধে? যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা ছিলো না! এখানে মারো নয়তো মরো কথায় বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধ ব্লগের মতো টিটকারী খোঁচা মারা কথা দিয়ে হয় নাই, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মেরেছে, গুলি করে নদীতে খালে বিলে ডোবাতে লাশ ফেলে দিয়েছে। জানাজা বিহীন কবর হয়েছে।

একটি খুব জরুরী কথা লিখছি: - সেদিন যুদ্ধ শুধু পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে হয়নি, যুদ্ধ হয়েছে বাঙালী বাঙালীর বিরুদ্ধেও। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে বলছি একদল বাঙালী পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে যার কারণে সহজ হয়েছে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে খোঁজে বার করা ও হত্যা করা। যুদ্ধশেষে সেইসব পরিবারের কেউ খোঁজও করেনি। তারা যুদ্ধ শেষে ক্ষেতে খামারে মিলে কাজে লেগেছে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মরেছে কাজের সন্ধানে।

লাল সবুজ কাপড় পরে রাস্তায় পার্কে ঘুরে বেড়ানো এসব হচ্ছে এক ধরনের ফাইজলামী। দেশের সাথে ফাইজলামী, দেশের ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে ফাইজলামী।



১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যদি জামাত, শিবির,রাজাকার, আল বদর না থাকতো, ৩/৪ মাস পরেই পাকীরা কাবু হয়ে যেতো, সমান্য প্রাণহাীি হতো।

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: স্বাধীনা যুদ্ধ শুরুই হয়ে ছিল প্রস্তুতিবিহীন,শেষ হয়েছিল আচমকা, ফলাফল হজবরল।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুরু করেছিলো পাকীরা, ওরা নিশ্চয়ই ওদের প্ল্যানে করেছে; সেপ্টেম্বরে আমরা জানতাম, রাস্তাঘাট শুকালে (নভেম্বর/ডিসেম্বর) আমাদের পক্ষ থেকে সীমান্ত ক্রস শুরু হবে।

হযবরল করেছেন শেখ সাহেব, জাতির জন্য উনার কোন প্ল্যান ছিলো না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আক্রমণ যে হবে, সেটা ব্রি: মজুমদার সাহবে শেখ সাহেবকে খবর দিয়েছিলেন মার্চের ২১/২২ তারিখের দিকে।

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

ফটিকলাল বলেছেন: বর্তমানে কেউ কোনো বিষয়ে এক হতে পারেন না। শেখ সাহেব বেঁচে না থাকলে আমাদের বিভক্তি আরো প্রকট হতো। সেক্ষেত্রে বিভক্ত এই জাতিকে কিভাবে একত্রিত করে যুদ্ধে নামিয়ে জেতা সম্ভব হতে পারে?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



যাঁরা যুদ্ধে গেছেন, ওঁরা শেখ সাহবের জন্য যাননি, নিজ নিজ দায়িত্বে গেছেন; বিভক্ত বলতে, জামাত-ইসলামী ছাত্রসংঘ কখনো জাতির পক্ষে থাকার কথা ছিলো না।

১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

ইলি বলেছেন: অনেক কিছু বলতে চাইছিলাম বলব না। বিনম্র শ্রদ্ধা সকল শহীদদের। আমরা কিভাবে যথাযথ ভাবে স্বাধিনতা উৎযাপন করতে পারি। আজ ৫০ বছর পরে এসেও কেন এই ভেদাভেদ। যতুটুক যেনেছি একটা দেশ বা জাতি কোন একক ব্যক্তি দারা স্বাধীন করা সম্ভব নয়, সেই সময়ে সব মানুষের অংশ ছিল। সবাই মিলেই দেশটা স্বাধিন করেছে সবারই যথাযথ সম্মান প্রাপ্য।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার পর, জনতাকে দেশ গড়ার কাজে লাগানোর দরকার ছিলো, শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহেব এই সহজ কাজটি পারেননি; এখন শেখ হাসিনা পারছেন না; কিন্তু গামলার মাঝে শুয়ে আছেন।

১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি আজকে যা লিখছি, ১৯৭৩ সালে তা বলেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের।

আপনি হয়তো অর্থনীতি সঠিভাবে বুঝেন না: "বাংলাদেশ জাপান, রাশিয়া, বা জার্মানীর মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি যুদ্ধে"; যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো, বাংগালীরা নিজ হাতে ২/১ বছরেই তা মেরামত করতে পারতেন; শেখ সাহবে মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে বলেননি, কাজ দেননি; উনি রিলিফের জন্য, ভিক্ষার জন্য কাঁদছিলেন আর নিজে একা একা কাজ করছিলেন। আজকে দেখছেন, শেখ হাসিনা কিভাবে চীনাদের কাজ দিয়ে, ভারতীয়দের কাজ দিয়ে নিজে বেকার বসে বকবক করছেন?

অর্থনীতি আমি আসলেই কম বুঝি। যেটা বুঝি না সেটা আমি মেনে নেই। এতে আমি লজ্জা পাই না।
মন্তব্যের উত্তর সুন্দর দিয়েছেন। অযথা আমি তর্ক করবো না।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্বাধীনতার ২ মাসের মাঝে, ফ্রান্স ও ভারত বাংলাদেশ সরকারকে টাকা ছাপিয়ে দেয়; পরিমাণটা আমি বলতে পারবো না, তবে, উহা ছিলো যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, পুর্ব পাকস্তান ন্যাশানেল ব্যাংকের/তহবিলের জমা টাকার সমান; তা'হলে, সরকার দেশ চালাতে কোন রকম অসুবিধায় পড়েনি; সব ধরণের ক্ষতি চলে গেছে নাগরিকদের ঘাঁড়ে।

১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, বীর শ্রেষ্টদের কবর কোথায় কোথায় আছে বলতে পারবেন উইকি না দেখে? বিশেষ দিন ব্যতিত তাঁদের কবরে গিয়ে দেখবেন - তখন বুঝতে পারবেন দেশের বিজর আর স্বাধীনতা কোন পর্যায়ে আছে।

বিজয় দিবসে এমন কারো সাথে কথা বলেছেন যে কিনা তার মা, বাবা, ভাই, বোন, সন্তান হারিয়েছেন যুদ্ধে? যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা ছিলো না! এখানে মারো নয়তো মরো কথায় বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধ ব্লগের মতো টিটকারী খোঁচা মারা কথা দিয়ে হয় নাই, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মানুষ মেরেছে, গুলি করে নদীতে খালে বিলে ডোবাতে লাশ ফেলে দিয়েছে। জানাজা বিহীন কবর হয়েছে।

একটি খুব জরুরী কথা লিখছি: - সেদিন যুদ্ধ শুধু পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে হয়নি, যুদ্ধ হয়েছে বাঙালী বাঙালীর বিরুদ্ধেও। অত্যন্ত দুঃখ নিয়ে বলছি একদল বাঙালী পাকিস্তানীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে যার কারণে সহজ হয়েছে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে খোঁজে বার করা ও হত্যা করা। যুদ্ধশেষে সেইসব পরিবারের কেউ খোঁজও করেনি। তারা যুদ্ধ শেষে ক্ষেতে খামারে মিলে কাজে লেগেছে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মরেছে কাজের সন্ধানে।

লাল সবুজ কাপড় পরে রাস্তায় পার্কে ঘুরে বেড়ানো এসব হচ্ছে এক ধরনের ফাইজলামী। দেশের সাথে ফাইজলামী, দেশের ৩০ লক্ষ শহীদের সাথে ফাইজলামী।

#### ##### ######
শহীদদের কবর নিয়ে আমার জানার ইচ্ছা ছিলো। তাই দুই হাজার সালে আমি নিজ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরেছি। দেখেছি, কিছু জেনেছি। এমন কি আমাদের ঢাকার মিরপুরে- অসংখ্য মানুষের সাথে কথা বলে জল্লাদখানা সহ অনেক তথ্য যোগাড় করেছিলাম।

মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সব সময় শ্রদ্ধা করি। না তাদের খোঁজ খবর রাখা হয় না। কিন্তু অনেক লোভী মুক্তিযোদ্ধাও দেখেছি। তারা মুক্তিযোদ্ধা বলে, জোর খাটিয়ে নিজের অনেক সুবিধা আদায় করে নিতে লজ্জা বোধ করেন না।
প্রচুর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখেছি। প্রতিমাসে তেল, ডাল আর চাল নিতে। সেই সব আলোচনায় আমি যাবো না।

লাল সবুজ জামা পরা মানে ফাইজামী না। মোটেও না। এটা ভালোবাসার প্রকাশ।
আমি আপনাকে লাল সবুজ পাঞ্জাবী উপহার দিবো। ১৬ ডিসেম্বরে পরবেন।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২

কল্পদ্রুম বলেছেন: তখনকার সাধারণ মানুষ অনুধাবনের সুযোগ পাননি।এই সময়ের সাধারণ মানুষের কি সেই সুযোগ আছে? বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে অনেক লেখালেখি হচ্ছে ফেসবুকে, ব্লগে, বইয়ের পাতায়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প,উপন্যাস,চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে। এগুলো সাহায্য করছে কি না? আমার মনে হয় অনেকটাই করছে।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বর্তমানে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কোন রাজনীতিবিদ, প্রফরশানেল জাতিকে সাহায্যের কথা বলছেনা; ফলে, তারা মানুষের আস্হা পাচ্ছে না; মানুষের চরিত্র সব সময় প্রশাসনের মতো হয়।

১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার উত্তরের সঠিক অর্থ ধরতে পেরেছি কি না জানি না। তবে ব্যক্তিত্ববান রাজনীতিবিদ ও প্রফেশনালরা সাহায্যের কথা বলছেন না এটা মানি। তারপরেও নিজের সেক্টরে জানি অনেক প্রফেশনেলরাই জাতিকে সাহায্য করছেন।সেটা পুরো জাতির উপর কোন প্রভাব না ফেললেও কিছুটা হলেও মানুষের আস্থা তৈরি করছে।মানুষ এখনো পুরোপুরি আস্থা হারিয়ে ফেলেনি।পুলিশ এত অপকর্ম করছে।তবুও মানুষ পুলিশের কাছে যাওয়া বন্ধ করেনি।সরকারি হাসপাতালে বেহাল দশা সত্ত্বেও ওয়ার্ডে পা ফেলার জায়গা নেই।করোনায় এরকম কঠিন অবস্থায়ও হাসিমুখে বিজয় দিবসে ঘুরছে,ছবি তুলছে।দুর্নীতিবাজ প্রশাসনেও তো ভালো মানুষ থাকে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো মানুষ যে নেই, তা নয়, এরা মোটামুটি সময়ের তুলনায় অদক্ষ; যারা ভালো পেশায় ও প্রশাসনে আছে, তারা নিজ পরিবারের বাহিরে অন্যদের জন্য কিছু করে না। সব চাষী, দিন মুজুরেরা ভালো মানুষ, কিন্তু ওরা ১৮ কোটী মানুষের জন্য কি করবেন?

১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ব্লগার রাজীব নুর সাহেব, শহীদদের কবর নিয়ে কতোটুকু জেনেছেন বুঝতে পারছিনা, কারণ আপনি সেসব যায়গা গিয়ে থাকলে দুটি বিষয় উল্লেখ করতেন ১। বাজে ছেলেমেয়েদের আড্ডাখানা আর ২। মাদকদ্রব্য। অথবা এমন হতে পারে কবরস্থানে মাদকদ্রব্য পাওয়া, বেচাকেনা, মাদকদ্রব্য গ্রহণ আপনার কাছে কোনো সমস্যা মনে হয়নি। আর বাজে ছেলেমেয়েদের আনাগোনাকে আপনি দেশের আধুনিকতা, নারী অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতা মনে করছেন।

একজন যোদ্ধা চেনার উপায় - তিনি কখনো ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলবেন না। যিনি জীবন মরণ যুদ্ধ করেছেন তিনি ইনিয়ে বিনিয়ে প্যাঁচিয়ে কথা বলতে পারেন না - সম্ভব না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের কাছে জাতির কাছে নিজের জন্য কিছুই চাননি, চাইবার নেই। যারা চাচ্ছেন তারা ডুপ্লিকেট ট্রিপলিকেট মুক্তিযোদ্ধা। আত্মহত্যার মতো যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরে বেঁচে এসে দেশের মানুষের কাছে রাজনীতির কাছে এমনকি রাষ্ট্রের কাছে তাদের নিজের জন্য চাওয়ার কিছু ছিলোও না।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ের কোটা লাগে না। প্রয়োজনও হয়নি। আপনি আমাকে পাঞ্জাবী উপহার দিবেন বলেছেন আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং এতোটাই খুশি হয়েছি যে আমার পাওয়া হয়ে গেছে। ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করতে হয় কাপড়ে না। ভালোবাসা কাপড়ে ধারণ করলে কবি লেখক সাহিত্যিকগণ কাপড় নিয়ে ভালোবাসা লিখতেন হৃদয় নিয়ে ভুলেও লিখতেন না।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা দেশের সরকার তৈরি করেছেন তাদের দল ভারী করেছেন। এইজন্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বা দেশের জনগণ দায়ী না। রাজনৈতিকভাবে ৯০ এর পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা নামটি ব্যবহার করার একটি নতুন কৌশল শুরু হয়েছে যা আজও চলছে। এভাবে চললে আর পঞ্চাশ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের মানুষ গালাগাল করবেন।

ব্লগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে নিয়েও লোকজন আজেবাজে মন্তব্য করে বাস্তবে সেইসব লোক কাদের সিদ্দিকীর সামনে দাড়ানোর যোগ্যতা রাখে না। বাংলার ইতিহাসে আর কারও নাম কখনো বঙ্গবীর হবে না। বঙ্গবীর একজন তিনি কাদের সিদ্দিকী।

=== === ===
এই পোস্টে আমার বক্তব্য এখানেই শেষ। আর কিছু বলার নেই। ঘুড্ডির চেয়ে লেজ বড় হয় তবে এতো বড় লেজ দিতে নেই যে ঘুড্ডি সেই লেজের ভারে পরে যায়। আবার অন্য কোনো পোস্টে অন্য কোনোদিন আলোচনা হবে আজকের মতো এখানেই বিদায়। খোদা হাফেজ।
=== === ===

১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কিছু অশুভ ও অনাকাঙ্খিত শক্তি দমন না হওয়া পর্যন্ত বিজয় দিবস উদযাপন রাস্ট্রিয় নিয়ন্ত্রনের মধ্যেই
থাকবে বলে মনে হয় , কারণ বলাতো যায়না কিছুই, কখন একটা কিছু না আবার ফট করে উঠে ।
এর দমন নিশ্চিত হলে সাথে কাঙ্খিত অর্থনৈতিক মুক্তি আসলে বিজয় দিবস পালন হবে আপন গতিতে
পুর্ণ আনন্দের ধারায় । বিজয়ের আনন্দ পেতে হলে সকলের সন্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন । এটা কারো একার নয় ।
অতীতের ভুল ভ্রান্তি মুল্যায়ন করলে সন্মুখের পথ চলাটা মসৃন হতে সহায়তা করে । সম্ভব ক্ষেত্রে ভুল ক্রুটি গুলি
শুধরে নেয়ার সুযোগ করে নেয়া যায় ।

যাহোক, বিজয় দিবসের আনন্দ সকলের ঘরে ঘরে পালিত হোক, আজকের দিনে এ কামনাই করি ।


১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনাকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন; সকল মুক্তিযোদ্ধা ও ব্লগারদের জন্য অভিনন্দন রলো।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৪

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনি বলেছিলেন যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখবেন। সেই সময়কার আপনার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আজকের লিখায় আশা করেছিলাম। খেয়াল করেছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন তারা কথায় কথায় ওসব দিনের গল্প, সংগ্রামের গল্প বলেন। আপনি অনেক স্মৃতিচারণমূলক লিখা লিখলেও যুদ্ধের সময়কার কোনো ঘটনা নিয়ে কখনো স্মৃতি রোমন্থন করেননি। করলেও হয়তো আমার চোখে পড়েনি। এরকম কিছু লিখে থাকলে লিঙ্ক দিবেন প্লিজ।

আমরা জানতে চাই আমাদের ইতিহাস, যুদ্ধের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস, বিজয়ের ইতিহাস। আপনারা সেসব দিনের কথা আমাদের সঠিকভাবে না জানিয়ে এভাবে বঞ্চিত করতে পারেননা। উত্তরসূরি হিসেবে আপনাদের কাছে আমাদের এই দাবী, আশা, প্রত্যাশা।

একটা অনুরোধ, আপনি যে এলাকায় যুদ্ধ করেছিলেন সেই এলাকা দখলদার মুক্ত হবার দিনের ঘটনা খুব সংক্ষেপে হলেও প্রতিমন্তব্যে লিখবেন। কত তারিখে সেই এলাকা হানাদার দখলমুক্ত হয়েছিল?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লিখিনি আজো। মিত্র-বাহিনী ১ নং সেক্টর এলাকা আক্রমণ করেন ৮ তারিখ; আমরা, ১টি প্লাটুন তার আগে সীমান্ত ক্রস করে উত্তর চট্টগ্রামে অবস্হান নিয়েছিলাম; ভেতরে তখ অনেক গেরিলা গ্রুপ ছিলো; আমরা গরিলা বাহিনীর অংশ ছিলাম না; ১২ তারিখ থেকে আমরা মিত্র বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকি; সাঁজোয়া বাহিনী ছিলো ঢাকা-চট্টগ্রাম রাডে, আমরা রাইট-ফ্লাংকে, গ্রামের মাঝ দিয়ে; পাকী বাহিনী স্হানে স্হানে ডিফেন্স দিয়ে চট্টগ্রাম শহরের দিকে পালাতে ছিলো; আমাদের সামনের গ্রুপ যখন (মনে হয় ১৪ই ডিসেম্বর) কুমিরা পৌঁছে, আমরা তখন বাড়বকুন্ডের উত্তরে; ১৫ই ডিসেম্বর আমরা বাড়বকুন্ড বাজারে, তখন পাকীরা শেলিং করছিল, আমাদেরকে সামনে যেতে নিষেধ করে আমাদের কমান্ড; ১৬ তারিখও আমরা বাড়বকুন্ড বাজারে, দুপুরের একটু আগে আমরা খবর পাই যে, পাকীরা ঢাকায় সারেন্ডার করেছে; কিন্তু ১৭ তারিখ অবধি পাকীরা ও আমাদের আর্টিলারী চট্টগ্রামে শেলিং করতে থাকে; ১৮ তারিখ শুধুমাত্র ভারতীয় বাহিনীকে চট্রগ্রাম প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়; আমরা উত্তর দিকে সরে আসি; ২১ তারিখে আমি আমার পরিবারের সাথে মিলিত হই।

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, ঠাকুরমাহমুদ ভালোবাসা শুধু হৃদয়ে ধারন করলেই হবে না। কখনও কখনও তা প্রকাশও করতে হয়।

২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজকে বঙ্গবন্ধুকে বেশী হাইলাইট করতে গিয়ে ভাসানী, উসমানী, তাজউদ্দিনদের অবদান ধীরে ধীরে মিথে পরিণত হচ্ছে...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার সরকার মওলানা ভাসানী, তাজউদ্দিন সাহেব, জেনারেল ওসমানী, সেক্টর কমান্ডারগণ, মুক্তিযোদ্ধাদের নামও নেন না, একা শেখ সাহেব বাংলাদেশ নিয়ে এসেছেন!

২১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:৩০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পোস্টটি মন্ত্যব্যের জন্য হলেও স্টিকি করা উচিত (কৃতজ্ঞতা- রাজীব নুর এবং ঠাকুরমাহমুদ)
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে এই টুকুই বলবো- এই বাংলাদেশের জন্য আমার বাবা যুদ্ধ করেননি।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ হাসিনা পশ্চিমের দিকে তাকালে দেশটাকে বদলায়ে দিতে পারতেন।

২২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

আহা রুবন বলেছেন: করোনার পর থেকে গ্রামে এসে আস্তানা গেড়েছি। খুব ঘনিষ্ঠভাবে মানুষকে দেখতে পাচ্ছি। স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয়, এসব যেন কোনও প্রাগৈতিহাসিক শব্দ! এরা তর্কে লিপ্ত ভাস্কর্যের হারাম-হালাল নিয়ে। আমার ছোটবেলার দেখা সেই গ্রাম--ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান, গান-কবিতা-নাটক,-ফুল; মাইকে দেশাত্মবোধক গান, কিচ্ছুটি নেই! সরকার করলটা কী? আমি হতাশ!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনার অফিস ও সেক্রেটারিয়েটের বাহিরেও বাংলাদেশ আছে? উনার বাংলাদেশটা অত বড় নয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.