নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন লেখকদের লেখায় সামাজিক জীবনের প্রতিফলন ঘটছে না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২



কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় আমাদের ভাষার গুরুত্ব বেড়েছে, বাংগালী জাতির মুখ উজ্বল হয়েছে; উনি একটা বইয়ের জন্য নোবেল পুরস্কার পাননি, উনি পুরস্কার পেয়েছেন উনার পুরো সাহিত্য ভান্ডারের জন্য, সাহিত্য-কর্মের জন্য; উনার সাহিত্যে ততকালীন সময়ের সমাজের প্রতিফলন ঘটেছিলো; সাহিত্য হচ্ছে সমাজের প্রতিচ্ছবি। রবী ঠাকুরের সময়টা ছিলো কলোনিয়েল সিষ্টেম; তিনি ততকালীন সময়ের রাজনীতি ও উহার প্রভাব নিয়ে তেমন লিখেননি; কিন্তু তিনি সেই সময়ের সমাজের কথা বলতে পেরেছিলেন।

বাংলা সাহিত্যে এখনো সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জীবন আলেখ্য উঠে আসছে না; কারণ, সর্বস্তরের মানুষ এখনো শিক্ষার সুযোগ পাননি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর বেশীভাগ বই লিখেছেন এমন মানুষজন, যাদের বেশীরভাগ যুদ্ধের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন না। গত বই মেলায় শেখ সাহবের উপর ২৮টি বই বের হয়েছিলো, এদের মাঝে অনেক লেখক শেখ সাহেবকে দেখেননি, এবং এসব লেখকদের অনেকেরই রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই; শেখ সাহবের উপর ভালো বই লিখতে পারতেন মওলানা ভাসানী, কিংবা শেরে বাংলা ফজলুল হক সাহবে।

রবী ঠাকুর যখন নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন, তখন পুরো বাংলা ভাষায় ৫০০০ বই ( টাইটেল ) ছিলো কিনা কে জানে; তবে, গত বছর বইমেলায় নতুন বই এসেছিলো ৫ হাজার। আমাদের শিক্ষার হার, শিক্ষার মান, বিশ্ব সাহিত্যে আমাদের অবদান, এসব কিছু মনে রাখলে, ১ বছরে নতুন ৫০০০ বই প্রকাশ কিন্তু বিশাল ব্যাপার। প্রকাশনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের ছাড়া পেয়ে বাজারে নতুন ৫০০০ ভালো বই আসা আসলে মোটামুটি অসম্ভব। এসব বই প্রকাশের আগে, সঠিক প্রিভিউ ও পাঠকদের ফিডব্যাক নেয়া হয়নি বলে হচ্ছে; কারণ, পরে জানা গেছে যে, এইসব নতুন বইয়ের শতকরা ৯০ ভাগ ছিলো নীচু মানের।

আজকে ব্লগে একটা লেখা পড়লাম, লেখক খুশী যে, অসীম বিশ্বকে যিনি সৃষ্টি করেছেন, উনাকেও সেই বিশাল সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছে, উনি সৃষ্টিকর্তার গুণগান করেছেন, ভালো! কিন্তু উনার পৃথিবীতে আগমণে আমি ২ জন মানুষকে দেখছি, উনার পিতামাতা; লেখক উনাদের কথা উল্লেখ করেননি; উনি থালিতে ভাত দেখেন না, আকাশের রংধনু দেখতে পান; আমরা রংধনুর গল্প পড়ছি, কিন্তু ভাত ও কৃষকের গল্প নেই।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

স্থিতধী বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেয়েছেন " গীতাঞ্জলি" বা সং অফারিংস এর জন্য । ওগুলো সব গানের বাণী । ওনার গানের বাণীতে কি খুব বেশী সমাজের কথা থাকতো ? মনে তো হয়না ওনার ১৫% গানেও খুব বেশী সমাজ কে ভিত্তি করে কথা আছে । " আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে " ; এই জাতীয় গানের বানীতো বোধ হয় প্রায় হাতেগোণা । বরং আধ্যাত্মিক চিন্তার পূজা পর্যায়ের গান অনেক, প্রকৃতি প্রেম, বিচিত্র পর্যায়ের গানের আধিক্য । থালির ভাত দেখার চাইতে ' সন্ধ্যার মেঘমালা ' তে নিজ 'প্রাণের সাধণা' এর উপমা খোঁজার প্রয়াস অধিক ওনার গানগুলোতে । তরুণ সুকান্ত বরং পূর্ণিমার চাঁদেও ঝলসানো রুটি খুঁজে গিয়েছেন ।

শেরে বাংলা কি শেখ মুজিব কে নিয়ে বই লেখার জন্য একটু বেশী সিনিয়র হয়ে যাচ্ছেন না ? মানে ছয় দফা কে যদি শেখ সাহেবের রাজনৈতিক জীবনের মূল টারনিং পয়েন্ট ধরা হয় তাহলে তো সে হিসেবে শেরে বাংলা আরো চার বছর আগেই ইন্তেকাল করে ফেলেছেন । শেখ সাহেবের উপর শেরে বাংলা বড়জোর পত্রিকায় একটা প্রবন্ধ লিখে থাকতে পারেন তরুণ রাজনীতিক কে উৎসাহ দিতে, বই বোধহয় লিখতে যেতেননা। কিছু মুরুব্বী সহকর্মী হিসেবে বরং মাওলানা ভাসানী ঠিক ছিলেন বই লেখার জন্য ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহবে ছাত্রলীগকে মই বানায়ে যখন যুক্তফ্রন্টে নেতাগিরি করছিলেন, উহা শেরে বাংলার চোখে পড়েছিলো; শেখ সাহেব মানুষের সাথে আলাপ না করে বাকশাল বানানোটা যে সমস্যা হতে পারে, মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন।

গত শতাব্দীর শুরুতে নোবেল প্রাইজ যারা দিতেন, তারা বিপ্লবী খুঁজে বেড়াচ্ছিল না; তারা সাহিত্যে "সেই সময়ের সমাজের" প্রতিফলন দেখতে চেয়েছিলেন, কলোনিয়েল যুগের, এবং রিপাবলকের জাগরণের।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

স্থিতধী বলেছেন: তারা সাহিত্যে "সেই সময়ের সমাজের" প্রতিফলন দেখতে চেয়েছিলেন, কলোনিয়েল যুগের, এবং রিপাবলকের জাগরণের

রবীন্দ্রনাথের গানের কথাতে "সেই সময়ের সমাজের" প্রতিফলন কি ঘটেছে বলার মতো করে ? হোক সেটা কলোনিয়াল বা রিপাবলিকান স্পিরিটের? তাঁরা তো রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস, কবিতা গল্প প্রবন্ধের জন্য নোবেল দেয়নাই । গানের কথার জন্য দিয়েছিলো । যেমনটা কয়েক বছর আগে আমেরিকান মিউজিসিয়ান বব ডিলান পেলেন তাঁর গানের কথার জন্য । এখন সে সমাজ যদি হয়, ততকালীন বা চিরকালীন বাঙালি রোমান্টিক সমাজের কথা, সেটা ভিন্ন বিষয়।

শেখ সাহেব মানুষের সাথে আলাপ না করে বাকশাল বানানোটা যে সমস্যা হতে পারে, মওলানা ভাসানী বুঝতে পেরেছিলেন।

সেটাতো তাজউদ্দীন আহমেদ ও বুঝতে পেরেছিলেন, বলেও ছিলেন যে এবার আমরা সবাই প্রতি বিপ্লবে মরবো । শেখ সাহেব কি দেশ আর নিজের ভালো টা বুঝেছিলেন তখন ? তিনি তো স্তাবকদের দিয়ে মুজিববাদ বানিয়ে, স্তাবকদের তেলের ড্রামে ডুবে গেলেন ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



রবী ঠাকুরের গানে সর্বযুগের প্রতিফলন আছে।

শেখ সাহবের উপর বই তাজউদ্দিন সাহেবের লেখা সঠিক হতো কিনা বলা মুশকিল; কারণ, তিনি ভালো প্রাইম মিনিষ্টার কিংবা ভালো অর্থমন্ত্রী ছিলেন না, বরং বেকুব ধরণের মানুষ ছিলেন।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
হালের একজন মাটির কাছাকাছি মানুষদের নিয়ে লিখছেন, তিনি হচ্ছেন হরি শংকর জলদাস।
এখনকার অধিকাংশ লেখকের লেখায় গ্রামীণ পটভূমি নেই। এরা শহুরে মানুষ। ল্যাম্পপোস্টকে চাদ কল্পনা করে কাব্য লেখেন।
বাংলা শত বছরেও আরেকজন জসিমউদদীন, আবু ইসহাক,আবুল মন্সুর কিংবা সৈয়দ ওয়ালি উল্যাহর সাক্ষাৎ পায়নি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



জসিমউদদীন, আবু ইসহাক, এই ২ জনকে আমি জানি; উনারা বাংলাকে ধারণ করেছিলেন।

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: তৎকালীন সমাজের কোন চিত্রই তার লেখনিতে আসেনাই।তিনি লিখেছেন ভাবের কথা,সসীম থেকে অসীমের কথা।একথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
ভাববাদের এক চরম বিকাশ হয়েছে তার লেখনির মাধ্যমে।একথা ঠিক যে নোবেল দাতারা এই জিনিসটাই চাইছিলেন।তারা বিপ্লবীদের নোবেল দিবে কেন,তারাতো বিপ্লবীদের দিতে ছিলেন ফাঁসি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্কেনডেনেভিয়ানরা বিপ্লবীদের ফাঁসী দেয়নি কখনো; তখন কলোনিয়েল সময়ে প্রতিবাদীদের পক্ষে ইুরোপ ছিলো না।
উনি কি কি স্বীকার করেছেন, সেটা উনার ব্যাপার, আপনার ব্যাপার; উনার লেখায় স্বাশত বাংলার মানুষের কথা ছিলো।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ সং অফারিংসের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। এই বইটি পুরোটাই আধ্যাত্মিক। ইউরোপ তখন অস্থির সময়ে ছিলো।প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে হবে করছে।তখন ইউরোপের সাহিত্যিকগণ তাঁর লেখায় একটা শান্তির বাণী খুঁজে পেয়েছিলো। যেটা সেসময় ইউরোপে ছিলো না। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পাওয়ার পরও আটাশ বছর লিখেছেন।তাঁর সমাজ,রাজনীতি সম্পর্কিত প্রবন্ধ,উপন্যাস,নাটকগুলো বেশির ভাগই নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরের সময়ের। কালান্তর,সভ্যতার সংকট এগুলো শেষ বয়সের লেখা।
আমাদের সাহিত্যে আমাদের সমাজ পুরোপুরি উঁঠে আসছে না।হুমায়ুন আহমেদের আগমনের পর থেকেই সাহিত্য মধ্যবিত্ত কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। বিখ্যাত হবার জন্য এই মধ্যবিত্তকেন্দ্রিকতাকেই বেছে নেন তার সমসাময়িক লেখকগণ।তাছাড়া পাঠকেরাও অন্যধারার লেখাকে সমাদর করে নি।শহীদুল জহিরের মতো লেখক অগোচরেই থেকে গেছেন। আমাদের সমাজে নিম্নবিত্ত গরীব মানুষের সংখ্যা বেশি।অথচ তারা বর্তমান সাহিত্যে উপেক্ষিত। পাঠকেরা এখনো মধ্যবিত্তে ডুবে আছে। এই ব্যাপারটি সম্পর্কে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বলে গেছেন তাঁর "সংস্কৃতির ভাঙা সেঁতু" বইয়ে। নিম্নবিত্তকে উপেক্ষা করা হচ্ছে বলেই সাহিত্য সমাজের কাছাকাছি থাকতে পারছে না।বইমেলায় যত বই বের হয় সেগুলোর সিংহভাগই লেখকের নিজের টাকায়।আর তা হয় ব্যবসার উদ্দেশ্যে।যে কারণে ৫০০০ বই বের হলেও ভালো কোনো বইয়ের সন্ধান পাঠক পায় না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



তা'হলে তো উনার আরো নোবেল পাওয়া উচিত ছিলো।

আমাদের ব্লগারেরাও আকাশে মেঘ, চাঁদ ও তারা দেখছেন, জমিতে ধান দেখছেন না।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বর্তমানের লেখকরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন।যার লেখা সবথেকে বেশি পঠিত হয় তিনি নিজেই সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লিখে এক ইতিহাস শৃষ্টি করে গেছেন।
অস্থির সমাজ ব্যবস্থায় যা হবার তাই হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা সমাজের সাথে আছেন নাকি, নাকি নেই?

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের বর্তমান বাস্তবতায় সকলেই এখন আছে অন্যের ঘাড়ে পাড়া দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হতে। মানুষের কথা বলা, মানুষের জন্য কাজ করা, মানুষের জন্য ভাবার সময় কোথায়। আপনি বাঁচলে বাপের নাম। সবার এখন এই নীতি। সেটা দেশের মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত।

আর এতেই আমরা এখন দক্ষিণ এশিয়ায় জ্ঞান বিকাশমূলক সূচকে সবার নিচে। ভুটানেরও পরে। দেশ চালাচ্ছে কেরানীরা। আর নেতারা হা-হুকারী। এখানে জ্ঞান, গবেষণা, উদ্ভাবন, মানুষের জ্ঞানভিত্তিক বিকাশ এগুলো এখন পেছনের সারিতে প্রতি নিয়ত।

তারই প্রতিফলনও হচ্ছে মানুষের লেখাতে। এ আর নতুন কী?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ সাহেব ও হাদিসের উপর সবাই কিছু না কিছু লিখতে পারেন, বাংগালী লেখকদের জন্য এটা একটা ভালো দিক

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি আপনার আস্থা ভরসা কম। এর কারন কি?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কারণ হলো, দেশকে কলোনীতে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা; উনি নিজদল এবং নিজের কেবিনেটের উপর উপর আস্হা রাখেন না, তিনি ব্যুরোক্রেট ও প্রশাসনের ইচ্ছানুসারে দেশ চালাচ্ছেন; শিক্ষিত ও পেশাজীবিরা নিজকে নিয়ে খুশী; সাহিত্যিকেরা মানুষের কথা বলেন না।

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪০

সোহানী বলেছেন: তেল রে ভাই তেল। যত বেশী তেলের ডিব্বা ঢালতে পারবেন ততবেশী আখেরে ভালো হবে। এ ছাড়া আর কোন কিছুই নাই। মাটি মানুষ সমাজ ধুইয়া কোন পজিশান জুটবে না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী লেখকদের গল্পের প্লটগুলো মানুষের জীবনের সঠিক চিত্রায়ন বলে মনে হচ্ছে না।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: কারে কি বলিবো আমি - নিজে অপরাধী।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান সমাজে সরকারী কর্মচারী কি করছে, একজন কৃষকের পরিবারে কি হচ্ছে, ১ জন শ্রমিকের জীবনে প্রেমপ্রীতি আছে কিনা সেগুলো লেখায় চোখে পড়ছে না।

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দেশ, জাতী, জমি, ধান, চাল, গম , নদী , পানি, পাখি, প্রকৃতি, মানুষ নিয়ে সব সময়ই সব যুগেই কম বা বেশি লেখা হয়েছে হচ্ছে ব্লগে এটা কম দেখার কারণ ব্লগের অধিকাংশ ব্লগার তরুন তারা বর্তমান সময়ে যা দেখছেন তাই লিখছেন।

দেখা যাক সামনে পরিবর্তন আসে কিনা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারদের সমসাময়িক আলোচনা যতটুকু জাতির জীবনযাত্রাকে নিয়ে হচ্ছে, সাহিত্য কিন্তু খুবই সামান্য কিছুর উপর আলোকপাত করছে, এবং বেশ দুর্বলভাবেই করছে।

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: সবাইকে সবকিছু নিয়ে লিখতে হবে, তাতো নয়, তবে মোস্তাফিজুর রহমান তমালের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্যে জনপ্রিয়তার যে ধারা তৈরী করে গেছেন, পরবর্তী লেখকরা সে ধারাকে অতিক্রম করতে পারছেন না। অন্যদিকে পাঠকও হুমায়ূনে আটকে গেছে।

পাঠককে পড়ার মধ্যে ফিরিয়ে আনা, এদেশের প্রকাশনা শিল্পে গতি আনা, ইত্যকার বহুবিধ উপকার করলেও হুমায়ুন বাংলা সাহিত্যের এই স্থায়ী ক্ষতিটা করে গেছেন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



হুমায়ুন আহমেদ বাংগালী মানউষের জীবনের কইছু দিক তুলে ধরেছেন, অনেক লেখকের প্লটগুলো/লেখাগুলো হাইব্রীড ধরণের হচ্ছে।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

এম এ হানিফ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,
আমার প্রথম উপন্যাস- আবছায়া, বইমেলা-২০২১ এ প্রকাশিত হচ্ছে কাকলী প্রকাশনী থেকে।

পুরো উপন্যাস জুড়ে থাকছে একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের বেচে থাকার লড়াই, সংগ্রামের বাস্তব চিত্র। পরাগ আলীর অদূরদর্শীতা, সংসারের প্রতি উদাসীনতা, ঋণের প্রতি মোহ, সংসার চালানোয় অদক্ষতা ও কর্মহীনতা কিভাবে একটি পরিবারের জীবনকে দূর্বিষহ করে তোলে তার একটি বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে উপন্যাসে। সেই সাথে বোরহান সাহেবের মত অর্থ ও প্রভাবশালী ব্যক্তির অর্থ ও ক্ষমতা কিভাবে একটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনকে প্রভাবিত করে, অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয় তারই প্রতিচ্ছবি এই উপন্যাস|


পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। আশা করি ভাল লাগবে।


২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, পরার চেষ্টা করবো।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: সময়ের পরিবর্তনের কারনে সমাজের রূপরেখার ও পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে কিছু লিখলেই রস্ট্র প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে, আমার জানা মতে গত বই মেলায় বর্তমান রাজনীতি ও অনুসাঙ্গিক প্রেক্ষাপটে একটা বই প্রকাশ পেয়েছিল বিষয় ছিলো মাদ্রাসার বালক নির্যাতন, লেখক তার নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন, এটা বেশ সমদৃত হয় পাঠক সমাজে কিন্তু কিছু মহলের চাপে পুর বঈ টা কে ব্যান্ড করা হয়। এখন বলেন গল্পের ছলে অনেকেই চেস্টা করে বর্তমান প্রেক্ষাপটের উপর লিখতে কিন্তু নিজের ও তার লেখার ভবিষ্যতের জন্য প্রকাশ করতে চান না।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



কতজন ব্লগারের লেখা এডমিন সরায়ে দিচ্ছেন, অথবা ৫০০০ বইয়ের মাঝে সরকার কয়টা বই সরয়ে দিয়েছে যে, বইগুলো সাধারণ মানুষের জীবনের উপর লেখা হয়েছে?

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কালো যাদুকর বলেছেন: মার্ক টোয়েনের কথা যদি চিন্তা করেন, উনি ছিলেন একজন সাধারন "টাইপ সেটার" এবং ভাই্য়ের সংবাদপত্রেও লিখতেন। এই মানুষটির থেকেই আমারিকা পেয়েছে "The Adventures of Tom Sawyer" আর "Adventures of Huckleberry Finn" এরকম বই। যেখানে ঐ সময়ের একেবারে রুট লেভেলের মানুষের জীবন উঠে এসেছে। এরকম পেসন নিয়ে কয়জন লিখে, খুব কম মানুষ।

যদি বলগিংয়ের সুযোগ না থাকতো, এখানে ওনেকেই আছেন, যারা কাগজ কলম যোগার করে লিখতেন না। আমিও হয়ত তাদের দলে পরি।

থালাতে ভাতের কথা লিখতে হলে সেরকম পেসন থাকতে হবে -- যেরকমটা ছিল মার্ক টোয়েনের, জসিমুদ্দিনের, বা জীবনানন্দের।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, ব্লগ ও ফেসবুকের কারণে বাংগালীরা লিখার সুযোগ পেয়েছেন।

সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে লেখা বেশ ভাবনার বিষয়; লেকার জন্য অনেক অনেক পেসন ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।

১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: অবশ্য ওই রকম জীবনবোধ কয়জনার আছে এটাও ভেবে দেখার বিষয়।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বইমেলায় বই বের করার আগে, একটা কমিটি বইগুলো দেখার দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.