নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমিনের বাবার চিঠিটা

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪



ইহা আমাদের গ্রামের একজন স্বামী-সংগহীন মহিলার কষ্টকর জীবনের ছোট কাহিনী।

আমাদের গ্রামের আমিনের মা'কে আশপাশের দুই তিন গ্রামের মানুষ চিনতেন, এবং মোটামুটি সবাই হয়তো ঘৃণা করতেন, আমিনের মা সুদে টাকা ধার দিতেন। আমি স্কুলে যাওয়া শুরু করার আগের থেকেই আমিনের মাকে আমি চিনতাম, তিনি সপ্তাহে ২/১ বার আমাদের বাড়ী আসতেন, আমার মায়ের সাথে বসে পান খেয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যেতেন; উনার স্বামী রেংগুন গিয়েছেন বহু বছর আগে, আর ফিরে আসেননি; বিয়ের ১ বছরের মাথায় উনাদের একটা ছেলে হয়েছিলো; ছেলে হওয়ার পরপরই উনার স্বামী চাকুরীর আশায় রেংগুন চলে যান; স্বামী রেংগুন যাবার বছর দু'য়েক পরে ছেলেটির মৃত্যু হয়; ছেলেটির নামানুসারে মহিলাকে মানুষজন আমিনের মা ডাকতেন।

মনে হয়, আমার জন্মের সামান্য আগে, কিংবা পরে, আমিনের বাবা রেংগুন চলে গিয়েছিলেন; প্রথম ২/৩ বছর লোক মারফত উনি স্ত্রীর জন্য সামান্য টাকা পয়সা পাঠাতেন; তারপর থেকে আর টাকা পয়সা পাঠাননি; মানুষের মুখে শোনা যেতো যে, তিনি ওখনে বিয়ে করে সংসার করছেন; কিন্তু আমিনের মা উনার পথ চেয়ে এখানে একা বাস করে চলেছেন।

আমি যখন ২য় শ্রেণীতে, গ্রামের প্রবাসী মানুষদের স্ত্রীদের পত্রলেখক হিসেবে আমার স্হান এক নম্বরে ছিলো; তখন আমাদের গ্রামের অনেকেই কলকাতায় চাকুরী করতেন, ৩/৪ জন রেংগুনে ছিলেন। একদিন স্কুল থেকে এসে ভাত খাবার সময়, মা বললেন যে, আমিনের মা আসবেন সন্ধ্যায়, আমি যেন ১টা চিঠি লিখে দেই; সন্ধ্যায় আমিনের মা আসলেন, আমি চিঠি লিখলাম; তিনি ২ আনা পয়সা দিলেন চিঠি পাঠাতে; আমি ঠিকানা চাইলাম; কিন্তু তিনি আমিনের বাবার ঠিকানা জানেন না; আমি মনে অনেক কষ্ট পেলাম। যাক, আমার মা বললেন, এটা সমস্যা নয়, যারা রেংগুনে চাকুরী করে তাদের থেকে যোগাড় করা যাবে। প্রায় বছর খানেক চেষ্টা করে, মা ৩/৪টা ঠিকানা যোগাড় করলেন, আমি সবগুলোতে পাঠালাম; কোন উত্তর নেই। এরপর ৩/৪ মাস পরপর সব ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে লাগলাম; কোনদিন উত্তর আসেনি। আমি যখন ৪র্থ শ্রেণীতে, তখন একখানা উত্তর এলো; উত্তরের সেই চিঠিখানা আমি কত শতবার পড়েছি ১০ম শ্রেণী অবধি, সেটা এক দু:খের কাহিনী।

আমার বাবা গ্রামের বিচার ইত্যাদি করতেন; মসজিদের ইমাম ছিলেন আমাদের দুর-সম্পর্কের আত্মীয়; মনে হয়, আমি চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ার সময়, ইমাম সাহেব আরো কয়েকজন মুসল্লীসহ বাবার কাছে নালিস করলেন, আমিনের মার সুদে টাকা দেয়া বন্ধ করার জন্য ব্যবস্হা নেয়ার দরকার; বাবা কোন ব্যবস্হা নেননি। বাবার মৃত্যুর পর, ইমাম সাহেব আবার ব্যবস্হা নেন, এবার লোকজন মহিলাকে ডেকে গ্রাম থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়; মহিলার ১টা গাভী ও ১টা ছাগল ব্যতিত আর কিছু ছিলো না।

গ্রামের মহিলারাও এই মহিলাকে কোনভাবে সাহায্য করতো না; তারা এই তথাকথিত পাপিষ্ঠার ভয়ে থাকতেন, কথা বললে গুনাহ হতে পারে; আসলে, আমাদের বাড়ী ব্যতিত উনার জন্য সব দুয়ার প্রায় বন্ধ হলো। আমার বাবার মৃত্যুর পর, প্রতি শুক্রবার মা ইমাম সাহেবকে কবর জেয়ারতের জন্য কিছু পয়সা দিতেন; মা ক্রমে সেটা বন্ধ করে আমিনের মাকে দেয়ার শুরু করলেন। যাদের স্বামীরা কলকাতায় থাকতেন, তাদের মাঝে ৩/৪ জন চুপেচুপে আমিনের মাকে সাহায্য করতে লাগলেন। আরো ২টি কৃষক পরিবার ও মহিলার ভাইদের সামান্য সাহায্য নিয়ে মহিলা কোনভাবে টিকেছিলেন। আমাদের বাড়ীতে আসার সময় স্বামীর দেয়া চিঠিটা নিয়ে আসতেন; এক সময় লেখাগুলো অনেকটা লেপটে গিয়েছিলো; কিন্তু বাক্যগুলো আমার মনে থাকায়, আমি ঠিক মতোই পড়ে দিতাম।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: গ্রামের গরীব ও অসহায় নারীর কাহিনি। চিঠিটাই হয়তো তার ভালোলাগার একমাত্র জায়গা ছিলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে হয়; চিঠিতে লিখেছিলেন, তিনি ফিরে আসবেন শীঘ্রই।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৩

বঙ্গদুলাল বলেছেন: গরীবদের বোবাকান্নার শব্দ উচ্চবিত্তরা খুব কমই শুনতে পেয়েছে যুগে যুগে।পুঁজিবাদের কোমড় ভেঙে দেওয়া বাঙালি রাজপুত কখনোই জন্মাবে না?(যার প্রতিটি মানুষ নিয়ে ভাবার মতো জ্ঞান থাকবে)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলায় জন্ম নিলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, লজিক্যাল ও সামাজিক জ্ঞান আপনা থেকেই বিলুপ্ত হয়ে যায়।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: মালয়েশিয়ায় ড.মাহাথির প্রেসিডেন্ট হয়েছিল, বাংলায়ও ডক্টর ইত্যাদি প্রেসিডেন্ট মেসিডেন্ট হয়েছিলো মনে হয় (ড.বদরুদ্দোজা)।বাংলা কয়েকদিন সুখী ছিল?(ইনার একটি পারিবারিক ইন্টারভিউ দেখেছিলাম)।সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কেমন ছিল আসলে?( আপনি জানবেন নিশ্চয়ই)।যদিও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা, সাংবিধানিক দুর্বলতা ইত্যাদির জটিলতা আছে আমাদের দেশের সিস্টেমে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে যারা প্রসিডেন্ট হয়েছিলো, শেখ সাহেব ব্যতিত বাকীগুলো লিলিপুটিয়ান ছিলো; আর শেখ সাহেব ছিলেন কম দক্ষ। ডাক্তার বদরুদ্দোজ্জা চৌ: ছিলো ডামী।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহা!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলার নারীদের একজন।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিনের মা তো তাও আপনাকে দিয়ে তার নিরুদ্দেশ স্বামীকে চিঠি লিখাতে পেরেছিলেন। যে সময়ের কথা বলেছেন, সে সময়ে নিভৃত বাংলার বিরহিনী অসহায় পল্লীবালাদের দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফেলে "যাও পাখি বলো তারে, সে যেন ভোলে না মোরে" গান গাওয়া ছাড়া করার আর কিছু ছিল না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরীব নারীরা জীবনে কিছুই পাননি; তখন গ্রামে ৮০ ভাগ পরিবার ছিলেন দরিদ্র। আজকেও গরীব নারীরা যে কষ্ট পাচ্ছেন, ইহা হওয়া উচিত নয়।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: সমস্যা হলো এলিট পরিবারে জন্ম নেয়া প্রাকৃতিক অমানুষগুলো গরীবদের কষ্ট বুঝবে না।এখন শেখ হাসিনার কাছে ভিড়তে পারা আমলারাও এরকম।২০৪১ পর্যন্ত বলে অপেক্ষা করতে হবে দারিদ্র্য দূর করতে। হাজার কোটি উল্টা পাল্টা বাজেট, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ এসব থাকবে কিন্তু গরীবের বাচ্চারা স্কুলে যাবে আস্তে আস্তে ২০৪১ এর পর।এসব ভিশন মিশন তৈরি করা এগুলো মানুষ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা নিজেই কম বুদ্ধিমতী মহিলা; উনি দেশের মানুষের শুধু বর্তমান নয়, ভবিষ্যতও বিনষ্ট করে যাচ্ছেন।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩০

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমিনের বাবা হয়তো মারাও গিয়ে থাকতে পারেন। রেংগুনে চাকরি করতে যাওয়া বাঙ্গালিদের অনেক কার্যকলাপ শরৎচন্দ্রের লেখালেখিতে উঠে এসেছে। পত্রলেখক হিসেবে অনেক ছোটবেলাতেই গ্রামের মহিলাদের সাংসারিক দুঃখকষ্টের স্বাক্ষী হয়েছিলেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি অনেকের পত্র লেখক ছিলাম। আমি যখন ১০ম শ্রেনীতে, তখন রেংগুনের এক দান্গার সময় আমিনের বাবা ফিরে এসেছিলেন।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এখন আর অত দিন অপেক্ষায় থাকে না।মহিলারাও বাস্তব থেকে শিক্ষা গ্রহন করে উল্টোপথ ধরে।
৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত মোল্লাদের প্রতাপ গ্রামে ছিলনা বললেই চলে।তার পর থেকে ক্রমেই মোল্লাদের প্রতাপ বাড়তে থাকে।বর্মানে তুঙ্গে।এর থেকে সহজে জাতির নিস্তার নেই।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মদিনা সনদ শুরু হচ্ছে? সবাই মদীনার পথে

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রেংগুনে ও আসামে যে সকল বাংলাদেশী কাজের জন্য গিয়েছেন অনেকে বিয়ে করে থেকে গিয়েছেন আজীবন। এক সময় বার্মা ও আসামে বেশ কয়েকজনের সাথে আমার পরিচয় হয়। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম এ কাজটি কেনো করেছেন?

স্বামী মরে গেলেও একটি নারীর এতো দুর্গতি হয় না - যতোটা হয় স্বামী ফেলে অন্যত্র চলে গেলে।
খুবই দুঃখজনক বিষয়।




২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীদের মাঝে একাংশ বরাবরই দায়িত্বহীন ছিলো

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আশ্চর্য বিষয় আমি নিজেও অনেকের পত্র লেখকের কাজ করেছি। অনেক সময় মিথ্যে কথা লিখে দিয়েছি। “ভালো আছি - যদিও তাদের কম মানুষই ভালো অবস্থায় ছিলেন। প্রায় চিঠিতে মানি অর্ডারের জন্য অনুরোধ থাকতো। ৫০ টাকা ১০০ টাকার জন্য যে অনুরোধ আজ কাল লক্ষ টাকার জন্যও এ ধরনের অনুরোধ কেউ করেন না (হয়তোবা)


২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানী আমলে আমি আমাদের জাতির সেই জীবন দেখেছি।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমিনের বাবার চিঠিতে সম্ভবত অনেক আশার বানী ছিল।
আশাটুকু বুকে নিয়েই বিরহিনী আমিনের মা বেঁচেছিল।
তার যাতনাময় অভাবের জীবনাচারেও বাধ সাধল
সমাজেরই একাংশের মানুষ। জীবন বোধের
চেয়ে অন্য সাধারণ কিছু মুল্যবোধই
তাদের কাছে অসয্য হয়ে দেখা
দিয়েছিল বহুবিধ কারণে ।
মুল বিষয়ের অনুধাবন
সত্যিই অনেকের
কাছেই ছিল
কঠিন ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমিনের বাবা চিঠিতে লিখেছিলেন, উনি শীঘ্রই ফিরে আসবেন

আমাদের মানুষের সব জ্ঞান ছিলো নিজের পরিবারের জন্য, অন্যের বেলায়, তাদের মগজ তখনো কাজ করেনি, আজকেও কাজ করছে না।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: চিঠিতে কি লেখা ছিলো যে এত বার পড়েছেন সেই চিঠি?
আমিনের মা কি ধনী ছিলেন? যেহেতু সুদে টাকা দিতেন।
সবচেয়ে অবাক বিষয় আপনি ক্লাশ টু তে থাকা অবস্থায় চিঠি লিখতেন!!!!

আমিনের মা নিশ্চয়ই বেঁচে নেই।
আপনার আজকের পোষ্টে আপনার মায়ের কথা এসেছে। বাবার কথাও লিখেছেন এক লাইন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমিনের মা ছিলেন একজন নি:স্ব মহিলা, প্রায় সারা জীবনটাই একা; স্বামী বার্মা থেকে যে সামান্য টাকা প্রথমে পাঠিয়ে ছিলেন, সেটার থেকে সামান্য টাকা অন্যদের ঋণ দিয়ে, কোনভাবে নিজের খাবারটা যোগাড় করতেন।

আমিনের বাবার চিঠিতে লেখা ছিলো যে, তিনি শীঘ্রই ফিরবেন; চিঠি আসার ৭ বছর পর তিনি ফিরেছিলেন; মনে হয়, উনি বিদেশে ছিলেন ১৯ বছরের মতো।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৭

কালো যাদুকর বলেছেন: আমরা বরাবরই সমস্যা সমাধান করি না। সমস্যা বারাই। এই আমিনের মায়ের মত , আমারও পরিচিত এক মহিলা ছিল। এদের সংখ্যা বোধহয় অগনিত।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:




যে সময়ের কথা বলছি, তখন ১০ টাকায় ১ জন মহিলার ১ মাসের খাওয়া হয়ে যেতো; ইডিয়ট সরকারগুলো সেটার ব্যবস্হা করতে পারেনি।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

রামিসা রোজা বলেছেন:
করুন ও বেদনাদায়ক ঘটনা ।
৭ বছর পর যখন ফিরলেন পরবর্তীতে কি আবারো নিখোঁজ
হয়ে গিয়েছিলেন আমিনের বাবা ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


চিঠির উত্তর দেয়ার ৭ বছর পার, কিন্তু যাওয়ার ১৯ বছর পর ফিরেছিলেন; দেশে আসার পর, লোকটি সামান্য কয়েক বছরের ভেতরে মারা যান।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনার গল্পটা আমার ভালো লেগেছে। এমননি ভাবে লেখে যান, আপনার জন্য আর্শিবাদ রইলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন বিষয়ে আপনার সঠিক সঠিক ধারণা নেই; যাক, এই নারী তো সুদে টাকা দিতেন, এখন উনি নেই, উনার অবস্হা কি এখন?

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০২

সাসুম বলেছেন: সব কিছুর সুন্দর শেষ হয় না, এই গল্পের সুন্দর শেষ হয়েছে।

আমিনের বাপ ফিরে এসেছিল।

অনেকেই ফিরে আসে না, আস্তেও চায় না।

মানব জীবন অদ্ভুত। এর চেয়ে অদ্ভুত মানুষ গুলো।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




এগুলো মানব জীবন নয়, এগুলো বাংগালীর জীবন।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪০

রক বেনন বলেছেন: দুঃখের বিষয়, আমিনের বাবাদের এখনও আমিনের মা দের একা রেখে বিদেশে যেতে হয়। আমিনের মা দের দুঃখ মনে হয় কখনো ঘুচবে না।

শ্রদ্ধেয় ব্লগার, বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই, আপনার ক্ষুদ্র একটি কাজ দ্বারা আপনি একজন দুখিনী মায়ের অন্তরে বিশাল একটি জায়গা করে নিয়েছিলেন। আরো শ্রদ্ধা রইল আপনার মায়ের প্রতি, তথাকথিত পাপ পুন্যর কথা দূরে ফেলে একজন স্ত্রী ও একজন মায়ের কথা যিনি আগে ভেবেছিলেন।

ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার। শুভকামনা রইল আপনার জন্যে!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমরা চাষী ছিলাম, মানুষকে টাকা পয়সা দেয়া খুব একটা সম্ভব হতো না; তবে, আমার মা মানুষকে খাবার দিতেন।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: জীবন আগে না পাপ বোধ আগে !!!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেই নারী কোন পাপ করেনি, ইমাম ছিলো ইডিয়ট।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি সেদিন আমার ফেসবুক লিস্টের একজন প্রবাসীর স্ট্যাটাসে জানলাম ঠিক এ ধারার এক কাহিনী। পার্থক্য হচ্ছে এই আমিনের মায়ের মেয়ে বেঁচে আছে এবং মায়ের সাথে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ৪ কোটী বাংগালী নিজের স্ত্রী, পরিবার ছেড়ে আয় করার জন্য প্রবাসে গিয়েছিলো; কমপক্ষে, ৮ লাখ নারী আমিনের মায়ের মতো জীবনটা কাটিয়েছে

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: রেংগুন কি বার্মাতে নাকি? আমি তো ভেবেছিলাম ভারতে।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



রেংগুনের বর্তমান নাম "ইয়াংগুন", ইহা এক সময় বার্মার রাজধানী ছিলো; '৩০, '৪০, '৫০ শতকে আমাদের এলাকার লোকজন রেংগুন যেতেন চাকুরীর আশায়; তখন আমাদের এলাকায় "ঢাকা" বলতে কিছু ছিলো না।

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনার মত আমিও এক সময় আমাদের গ্রামের মহিলাদের পত্র লেখক ছিলাম । এই মহিলাদের স্বামী রা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জুট মিলে কাজ করতেন । তাদের চিঠি লিখে দেওয়া এবং চিঠি এলো সেগুলো পড়ে শোনানো আমার একটা রুটিনবাঁধা কাজ ছিল।

আমাদের গ্রামে স্কুলে পড়োয়া আরো দুই একজন থাকলেও তারা আমার কাছে আসতেন। কেননা আমার লেখা চিঠি নাকি তাদের মনের মত ছিল।


আপনার আমিনের মায়ের মত আমার ঐসব মহিলাদের কারো কারো অবস্থা কতটা খারাপ না হলেও তাদের আর্থিক দৈন্য দশা
এর কাছাকাছি ছিল বলা চলে

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কত জেনারেশন থেকে আমাদের সরকারে ভালো মানুষ নেই; সবাইকে পড়ালেখা শেখানো যে ১ম কাজ, এসব ইডিয়টরা জানে না।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি শুনেছি আমাদের এলাকার অনেকেই করাচী, কলকাতা ইত্যাদি শহরে চাকুরী করতেন।
এই আমলের পুরুষরা চাকুরী করেন মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

সেই সময়ও নারীরা একাকী থাকতেন ।
এখনকার নারীরাও একাকী থাকেন ।
তবে এখনকার নারীদের চিঠি লিখতে হয় না ‌ ।
স্মার্টফোনে তারা ভিডিও কল দিতে পারেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



যতদিন আমাদের সরকারের ইডিয়টরা বউ'এর সাথে ঘুমাবে, ততদিন আনেক বাংগালী নারী একা ঘুমাবেন; এসব ইডিয়টদের কিছু বছর জেলে রাখলে, এরা পরিবারের মানে বুঝবে।

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: ট্রাজিক কাহিনী।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আজকেও ঘটছে।

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার দাদাও রেঙ্গুন চাকুরি করতেন বলে শুনেছি। যাক, উনি দেশেই মারা গিয়েছেন...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার দাদী সেই সময়ের কষ্টের গল্প করেননি? আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধুর চাচা মারা গিয়েছিলেন রেংগুনের দাংগায়।

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমার বাবার ছোট বেলাতেই আমার দাদা মারা যান। আর আমার দাদী মারা যান, আমি ৭/৮ বছর বয়সে...

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আচ্ছা

২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



যদি ঘুমের ঘোরে ভুল না দেখে থাকি, কাল রাতে এই পোষ্ট প্রথমে প্যাঁচার ছবি ছাড়া এসেছিলো ।
আমি ভাবছিলাম এরকম শিরোনামে প্যাঁচা নেই কেনো !

আচ্ছা তাহলে এই কাহিনী । খেলাঘর মায়ের কাছ থেকে পরোপকারী স্বভাবটা পেয়েছে :)

শতবার পড়া চিঠিটার দুঃখের কাহিনীটা কি ছিলো, সেটাতো বলা হল না ।
ভদ্রমহিলা নিরুপায় ছিলেন বলে সুদের কাজ করতেন ।
কবর জিয়ারত করে কেউ টাকা নেয় এরকম শুনিনি আগে ।
ইমামকে টাকা না দিয়ে আমিনের মাকে দেয়াটা যুক্তিযুক্ত ছিলো ।

অনেক দরিদ্র নারীর জীবনের গল্পটা একরকম । এরা জন্ম নেয়, সারাটা জীবন কষ্ট করে, জীবনের যা কিছু সুন্দর সেগুলো না দেখেই মারা যায় । মধ্যবিত্ত পরিবারেও এরকম অনেক গল্প আছে । আমি একজনকে চিনি যার হাজব্যান্ড ২০/২৫ বছর আগে আমেরিকা গিয়ে ইল্লিগ্যাল হয়ে থেকে গেছেন, তাই আর ফিরে আসেনি । তিনি একা হাতেই বাচ্চা মানুষ করা থেকে সবকিছু করে এখনও অপেক্ষায় আছেন কবে ফিরবে । একজীবন শেষ করে ফেললো অপেক্ষা করে । শুধু ফোনে কথা হয় ।



২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমেরিকায় এই রকম ইডিয়ট অনেক বাংগালী আমি দেখেছি, যারা দেশে স্ত্রী রেখে অকারণে এখানে ভুতের বেগার খাটে।

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪১

জুন বলেছেন: আমাদের বাসার গৃহকর্মীনি ছিল স্বামী পরিত্যাক্তা । স্বামী তাকে বলেছিল কাজে যাচ্ছি ৫ দিনের জন্য কিন্ত ২ বছরেও ফিরেনি । পরে তার ভাবী গ্রাম থেকে এনে আমাদের বাসায় দিয়েছিল । অনেক বছর ছিল । পরে আরেকটি বিয়ে করে চলে যায় । কিন্ত আমাদের সে অনেক ভালোবাসতো। তো তার সেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়া স্বামীর এক পুরনো ঠিকানায় চিঠি লিখতো আর সেই চিঠিগুলো আমরা দু বোন তার বয়ানে লিখে দিতাম। চিঠির শেষের দিকে সে বলতো আপা এইডা লেখো জল কুমকুম জলে ভাসে, চিঠির যেন উত্তর আসে কিন্ত কোনদিন একটা চিঠিরও উত্তর আসে নি । আমিনের মাএর মতই আমাদের গ্রামের গরীব ঘরের মেয়েদের দুঃখের জীবন । আপনার লেখাটি ভালোলাগলো ।
+

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন শেখ হাসিনার ভুল নীতির কারণে লাখ লাখ মানুষ আমিনের বাবা হচ্ছে; শেখ জাসিনার স্বামী জীবিত থাকলে হয়তো উনি ভালোভাবে ভাবার সময় পেতেন।

২৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: একসময় অনেক ছেলে মেয়েকে প্রেমের চিঠি লিখে দিতাম।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই কাজটা আমার করা হয়নি, এখন অনুশোচনা হয়।

২৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন । ভালো লেগেছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেষ্টা করছি, অনেক ব্লগার চেষ্টা করছেন না; এঁদের লেখা বদলায় না; একই কথা, "ভাই, আমাদের সবাইকে একদিন মরতে হবে, আখেরাতের জন্য কিছু করেন!"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.