নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাষা আন্দোলন, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ\'র বেকুবীর ঐতিহাসিক প্রমাণ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৬



ভারত ভুখন্ডে ১ম বার ভোট হয়েছিলো ১৯২০ সালে, ইহাই ছিলো একই সাথে প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রের শুরু; ভারতের মানুষ প্রথম জানলো, দেশের সরকার গঠনে মানুষের অধিকার ও উহার প্রয়োগের কথা। ১৯৪৭ সালে কলোনী থেকে ভারতে ২টি প্রজাতন্ত্রের সৃষ্টি হওয়ার পর, মানুষের দরকার ছিলো, শিক্ষা ও চাকুরী; সরকারের দরকার ছিলো জাতি গঠনের; ২ দেশেই সরকারী ভাষা ছিলো ইংরেজী।

প্রয়োজন ছিলো দেশের মানুষের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করা ও তাদের পড়ালেখার জন্য তাদেরকে স্কুল কলেজে যেতে দেয়া; নতুন করে স্কুল কলেজ, ইউনিভার্সিটি সৃষ্টি করা, দেশের ইনফ্রাষ্ট্রাকচার তৈরি করা; কিন্তু জিন্নাহ'এর মাথায় ছিলো ভাষা সমস্যা; লোকটা ভয়ংকর বেকুব ছিলেন। উনি দীর্ঘদিন বাঁচেননি, বাঁচলে বাংলাদেশ দেখে যেতে পারতেন।

১৯৪৫ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পর, বিশ্বের পরিস্হিতি দ্রুত বদলায়েছে; বৃটিশ কলোনীর সব দেশগুলো স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছিলো; সারা ভারতে, ছাত্ররা ছিলো স্বাধীনতার পক্ষে। যদিও ততকালীন সময়ে যেই সামান্য পরিমাণ বাংগালীরা পড়ালেখা করতেন, তাদের বেশীরভাগই কোন না কোনভাবে, ততকালীন সময়ের ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে ছিলেন; ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা আন্দোলন ইত্যাদিতে খুব বেশী একটা বেশী যোগ দিতো না।

কিন্তু পুর্ববাংলা এলাকায় ধনীদের সংখ্যা ছিলো নগণ্য, জমিদারেরা ও তাদের অধীনে যারা চাকুরী বাকুরী করতেন, এদের ছেলেমেয়েরাই পড়ালেখার সুযোগ পেতো; এরা ভারতের অন্য এলাকার তুলানয় দরিদ্র ছিল; ফলে, এরা স্বাধীনতা আন্দোলনে যুক্ত ছিলো। জিন্নাহ সাহেব যখন অপ্রয়োজনীয় কাজ, ভাষা নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করলেন, বাংলার ছেলেমেয়েরা, যারা বৃটিশের বিপক্ষে আন্দোলনে হাত পাকিয়েছিলো তারা জিন্নাহের বিপক্ষে সহজেই সংগঠিত হলো।

ছাত্রদের এই দু:সাহস দেখে, এদিকে জিন্নাহের মাথায় রক্ত উঠলো, তিনি কংগ্রেসের সাথে ৫০ বছর সংগ্রাম করে 'মুসলমানদের জন্য দেশ' আনলেন, আর এসব সামান্য ছেলেমেয়েরা উনার কথা শোনে না! তিনি নিজের বেকুবী বুঝার চেষ্টা না করে একরোখা হয়ে উঠলেন।

এইবার, ২০২১ সালে শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে যদি জিন্নাহ'র বেকুবীটা বুঝতে পারেন, তিনি নিজকে শোধরাতে পারবেন; উনি সম্প্রতি জিন্নাহ সাহেবের মতো অনেক বেকুবী করছেন, ও জিন্নাহ সাহেবের মতো একরোখা হয়ে গেছেন।


মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেখ হাসিনা বুঝেন না তা নয় কিন্তু, ফেরার পথ নেই...

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার যদি ফেরার পথ না থাকে, কার ফেরার পথ আছে? উনি তৃণমুল আওয়ামীদের সাথে যোগ দিলে, উনাকে কে ঠেকাবে?

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

সাসুম বলেছেন: শেখ হাসিনা আওয়ামী ধর্মের মহানবী। উনাকে কোন কুশ্চেন বা উনার কোন মতামত কে প্রশ্ন করা যাবেনা।

সেটা শত অপরাধ হলেও। আর উনার বুঝ জ্ঞান এর দিন অনেক আগেই শেষ। দুনিয়ার সেরা রাস্ট্র গুলা যেখানে তরুণ মেধা দের কে সামনে আনছে উনি সেখানে আরবের মূর্খ বেদুইন শাসক এর মত শেষ বয়সে ক্ষমতা আকড়ে ধরে আছেন।

যা করছেন, নিজের লিগেসি কে নস্ট করছে। জামাত বিম্পি জংগি জোট কে আবার ক্ষমতায় আনার পথ করে দিচ্ছেন।

রাসুল এর অপমানে যেমন কল্লা ফেলে , আওয়ামী ধর্মের মহানবীর অপমানে জেলে যেতে হবে।

ধন্যবাদ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি রাজনীতি জানতেন না, উনি এসেছিলেন মিলিটারীকে থামানোর জন্য; দেশ কিভাবে চালাতে হবে, সেটা তিনি রপ্ত করতে পারেননি; উনার বুদ্ধিটা পুরানো আমলের; ফলে, দেশ চালাচ্ছেন কলোনীর মতো। উনি স্বাধীনতার পক্ষকে বিপদের মাঝে রেখে বিদায় হবেন।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন:
উনি স্বাধীনতার পক্ষকে বিপদের মাঝে রেখে বিদায় হবেন

এই কথাটা বলে অনলাইনে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বাহিনীর আন্ধা ভক্ত দের মারাত্মক গালি খেয়েছিলাম।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনলাইনের বেশীরভাগ বাংগালীরা ইডিয়ট ধরণের; এরা নিজের বউয়ের ও পরিবারের ছবি দেয় ও বেকুবী কথাবার্তা বলে বেড়ায়।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারতীয় ও পাকিস্তানী সব জাতি বাঙ্গালীদের ভয় পায় কারণ তারা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী এবং মেধাতেও অগ্রসর।
নেহেরু ছিলেন শেরে বাংলার সচিব।
নেহেরুকে কংগ্রেসের সভাপতি করার জন্য গান্ধী ওয়ার্কিং কমিটি থেকে সুভাষকে বাদ দেন।
পাকিরাও ভাষার নামে হলেও মূলত আতংকের কারনেই যেকেোন কৌশলে তাদের দমিয়ে রাখতে চেয়েছিলো।
বাঙ্গালীরা নৈতিকতাহীন পরশ্রীকাতরতা, দলাদলি ছেড়ে একতাবদ্ধ হলে এখনো তারা সারা পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে পারে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা প্রতিবাদী, বিপ্লবী; কিন্তু মেধাবী ও কর্মঠ নন।
বাংগালীরা আফগান, পাঠান, মগ, কিংবা আফ্রিকানদের মতো বেকুব নন, কেহ কোন কাজ দেখায়ে দিলে, উহা করতে পারেন।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলার পাশাপাশি ইংরেজী, আরবী, ফরাসী ভাষা শিখা দরকার I আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি ফেনীতে যুদ্ধ করেছেন । যুদ্ধের ইতিহাস এবং সেই সময়ের স্মৃতি ধারাবাহিক ভাবে লিখার জন্য। এবং সেই লেখা বই করার জন্য।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসরায়েলের ইহুদীরা ইংরেজী, হিব্রু ও আরবীতে ফ্লুয়েন্ট; বাংগালীরা ভাষা শিকার বেলায় মোটামুটি ভালো।

আমি ১৯৭১ সালে যা দেখেছি, যতটুকু বুঝেছি, উহা লেখার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বেশির ভাগ লেখাতেই চাকরী সৃষ্টি করার জন্য বলেন। বেকারদের কথা বলেন।
আপনার মতোন করে যদি সরকার এরকম ভাবতো তাহলে দেশে কোনো বেকার থাকতো না।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার যুগে, বাংগালীরা দাস খেটে বিদেশ থেকে হার্ড কারেন্সী আনতেছেন; শেখ হাসিনা সেগুলোকে "রিজার্ভ" হিসেবে জমা করে রেখে বেকুবী করছেন, উহার একাংশ দিয়ে চাকুরী সৃষ্টি করা যেতো; উনার ভাবনাশক্তি খুবই খাট।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ায় কোন রাষ্ট্রীয় ভাষা নেই, কিন্তু ইংরেজি বস্তুত এদেশের জাতীয় ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অস্ট্রেলীয় ইংরেজীর একটি আপন উচ্চারণভঙ্গি এবং শব্দভান্ডার হয়েছে।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই দেশের ৭৬.৮% মানুষ বাড়ীতে ইংরেজী ভাষায় কথা বলে। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের বিবেচনাযোগ্য একটি অংশ দ্বিভাষী।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জিন্নাহ বেকুবী করেছিলেন, ১৯৪৮ সালে অফিসের কাজ চলতো ইংরেজীতে, সব নথপত্র ছিলো ইংরেজীতে; উনার বেকুবীর কারণে, নতুন দেশে অকারণ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো, প্রশাসনের দিক থেকে উনিও হবুচন্দ্র ছিলেন।

৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জিন্নাহ সাহেব নির্বোধ ছিলেন।
কাকে গাধা কিংবা রামছাগল ও বলা যেতে পারে।

তিনি যেটা করতে পারতেন সেটা হচ্ছে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রধান ভাষাগুলোকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে পারতেন এবং কমন ভাষা হিসাবে ইংরেজিকে প্রাধান্য দিতে পারতেন ।
যেটা শ্রীলঙ্কাতে আছে।

জিন্না সাহেব নিপাত যাক।
ভাষা শহীদ অমর হোক।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


২১ শে ফেব্রুয়ারীতে গুলিতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, সবাই ছিলেন গরীব ঘরের ছেলেরা; ততকালীন সময়েও গরীবেরা প্রতিবাদ করতে সামনে যেতেন; কিন্তু গরীবেরা বিনিময়ে কিছু পাননি; তাদের ছেলেমেয়েরা বাংলা, ইংরেজী, উর্দু কোন ভাষায় পড়ালেখা করতে পারেননি।

৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কিছু দিন আগে এক চমকপ্রদ তথ্য (ছবি) পেলাম। জিন্নাহর কবরের নাম ফলক,জন্ম মৃত্যু ইত্যাদি বাংলা ভাষায় লেখা।
শুধু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’রই নয়, তারই ছোট বোন ফাতেমা জিন্নাহ,পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর পাকিস্তানের যোগাযোগমন্ত্রী সরদার আবদুর রব নিশতার-এর কবরেও একইভাবে তাদের নাম, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখগুলো বাংলা বর্ণমালায় খোদাই করে লেখা রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বাংলাকে তৎকালীন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার তীব্র বিরোধী ছিলেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



সত্যি, হতবাক হওয়ার মতো তথ্য।

মিস ফাতেম জিন্নাহ (১৯৬৬ সালের প্রেসিডেন্সিয়াল ভোটে ) বাংগালীদের সমর্থন পেয়েছিলেন; আমরা উনার পক্ষে ভোটের মিছিল করেছিলাম; কিন্তু আপনার নেতার "রাজনৈতিক পিতা", আইয়ুব খান বেসিক ডেমিক্রেসি নামে, চেয়ারম্যানদের থেকে ভোট কিনে ও বন্দুকের ভয় দেখায়ে ভোট নিয়ে মিস ফাতেমা জিন্নাহকে পরাজিত করে দেয়।

১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জিন্নাহ অবিভক্ত ভারতই চেয়েছিল কিন্তু বুঝতে পেরেছিলেন নেহেরুর সাথে প্রতিযোগিতা করে নেতৃত্বে যেতে পারবেন না তাই কংগ্রেস ত্যাগ করে মুসলীম লীগে যোগদান করেন এবং দ্রুত নেতৃত্বে চলে আসেন।
উনি জীবনেও নামাজ পড়েন নি,স্বাধীনতার(৪৭) পর প্রথম শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য লিয়াকত আলী তাকে নামাজের কথা বললে,উত্তরে তিনি বলেন, আমি নামাজ পড়তে জানিনা।লিয়াকত আলী বলেন, আমি যেমন যেমন করি আপনি তেমন তেমন করবেন।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



জিন্নাহকে নবার সলিমুল্লাহ ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালেয়ের মুসলিমরা বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, মুসলমানদের আলাদা দেশ দরকার; কারণ, মুসলমানেরা পেছনে পড়ে থাকবে।

১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯

স্থিতধী বলেছেন: ১০ নং মন্তব্যের রেশ ধরেই বলতে হয়, জিন্নাহ কি আসলে " মুসলমানদের জন্য দেশ" আনতে চাইছিলেন? কংগ্রেসে নেতৃত্ব ইস্যু না হলে ইনি মুসলিম লীগের পথে কি আর হাটতেন? তার শেষ বয়সের করুণ অবস্থায় ইনি আক্ষেপ করছেন এই বলে যে পাকিস্তান সৃষ্টি তার জীবনের বড় ভুল ছিলো।

আর শেখ হাসিনা নিজের বাবা থেকেই শিখতে নারাজ তো কায়েদে আযম তো দূর কি বাত। উনি রপ্ত করছেন মেজর জিয়া আর এরশাদের টেকনিক । একটু ধর্ম আর একটু ডান্ডা দিয়ে সব ঠান্ডা রাখতে চান তিনি । কোনরকম ডিস্টার্ব চান না। জনাব সাসুমের সাথে একমত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন আওয়ামী ধর্মের শেষ নবী। উনি এক্সপায়ারড হবার পরে ওনার মুখের বাণী বৈজ্ঞানিক উপায়ে সংরক্ষণ করা হবে যাতে পরে কোনটা জাল বাণী আর কোনটা সহী সেটা নিয়ে ব্লগাররা ভবিষ্যতে ব্লগে গবেষণা চালাইতে পারে। ওনার কথার কাউণ্টার মানেই হলো শাতিমে প্রধানমন্ত্রী; যার ফল পরকালে না, ইহকালেই নাজিল হবে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরলে, স্বয়ং আওয়ামী লীগ উনার বদনাম করবে।

উনার বাবাকে হত্যা করে, জিয়াই উনার পথ রচনা করে গেছে; কিন্তু আধুনিক বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতি জানা না থাকাতে উনি দেশকে কলোনীতে পরিণত করেছেন, নিজে হয়েছেন ফিল্ড মার্শাল।

জিন্নার পেছনে নবাব সলিমুল্লাহ থেকে শুরু করে সব মুসলমানেরা লেগে ছিলেন; উনাকে বুঝাতে সক্ষম হন যে, মুসলমানদের আলাদা দেশ দরকার।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি কখনো লক্ষ করেছেন ইংরেজিতে কাউকে 'I Love You' বলা যত সহজ, বাংলায় তাকে ভালোবাসি বলা কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন... কেন কঠিন জানেন, ইংরেজির চেয়ে বাংলা ভাষা অনেক বেশি আবেগময়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দও এর মত অসাধারন সাহিত্যিক রয়েছে এই বাংলা ভাষায় ; রয়েছে ১০০০ বছরের পুরানো সাহিত্য ভাণ্ডার।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের ব্লগও কিন্তু সাহিত্য ভান্ডার; ভুয়া মফিজ, মাহিরাহি, বিদ্রোহী ভৃগু, ইসিয়াক, মলাসইলমুইনা, ইত্যাদির লেখায় ব্লগ ভারী হয়ে গেছে।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জিন্নাহ কখনোই বাংলা নিয়ে খুব একটা ভাবে নি। তাই বাংলাবিভাজনে পূর্বপাকিস্তানের ভাগে পড়া অংশ ভৌগোলিকভাবে কতটুকু বাস্তবসম্মত ছিল সেটা সে কেয়ার করে নি। আর তৎকালীন ইডিয়ট বাঙালি নেতারাও ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো জিন্নার কোথায় নেচে যা পেয়েছে তাতেই খুশি ছিল। পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর ইডিয়ট বাঙালি নেতাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই পাকিগুলো সময়ে সময়ে বিভিন্ন আজগুবি আইনকানুন প্রণয়ন করেছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখন তো পুর্ববাংলা পাকিস্তানের সাথেনেই, ওখানে এখন কি রকম আইন কানুন চলছে?

শেরে বাংলা ফজলুল হক জিন্নাহকে সাহায্য করেছিলেন বাংলাকে পাকিস্তানের অংশ করতে; শেরে বাংলা বুঝেছিলেন যে, বাংগালী মুসলমানেরা পড়ালেখায় সুবিধা করতে পারবে না, ভারতের সাথে গেলে আজীবন গরু চরাবে।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরাকে কাঁটাছেড়া করে যেটুকু পূর্ব-পাকিস্তানকে দেয়া হয়েছিল তা ভৌগোলিকভাবে কতটুকু বাস্তবসম্মত ছিল।প্রাকৃতিক সম্পদসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থান পূর্বপাকিস্তানের ভাগে দেয়া হলো না কেন ? বাঙালি নেতারা এই ভাগাভাগি নিয়ে কোনো দরকষাকষি করেন নি কেন ?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন এগুলো বের করা মুশকিল হবে; তবে, ইংরেজরা ছিলো মালিক, এবং ওদের পছন্দের মানুষ ছিলো নেহেরু ও গান্ধী; শেরে বাংলা কোথায় লিখে গেলে এগুলো বুঝা যেতো।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:১৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: জিন্নাহ বেকুবী করেছিলেন, ১৯৪৮ সালে অফিসের কাজ চলতো ইংরেজীতে, সব নথপত্র ছিলো ইংরেজীতে; উনার বেকুবীর কারণে, নতুন দেশে অকারণ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো, প্রশাসনের দিক থেকে উনিও হবুচন্দ্র ছিলেন। [/sb জিন্নআহ লন্ডনে পাস করা ধূর্ত লোক ছিরো। সেটা না হলে ,রেবাংলা-ভাসানী সোহরাওয়ার্দীকে অতিক্রম করে নিজে প্রধান নেতা হতে পারতো না।
সে না বুঝে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা ঘোষণা দেয়নি। অতীতের সোহরাওয়ার্দী-শরৎ বসুর যুক্ত বাংলা গঠনে পরিকল্পনা এবং পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পরই কিছু ঘটনা থেকে সে অনুমান করেছিলো, বাঙ্গালীদের ভাষাকে ধ্বংস করা না হলে তারা জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা চাইতে পারে। তাই উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা ঘোষণা করেছিলো।
তবে তার চেয়েও হাজারগুণে মেধাবী ছিলেন বাংলার ছাত্ররা, যারা তার মুখের উপরই না বলেছিলেন।
ইংরেজীকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে ভাষা আন্দোলন হতো না।
এখন বাংলাদেশে সর্বস্তরে বাংলার ব্যবহার কোথায়? সর্বত্র চলছে ইংরেজীর ব্যাবহার।

উচ্চ আদালতের বিচারকেরা এতোবড় ইংরেজ যে তারা বাংলায় রায় লিখতে পারে না। তাদের লেখা রায় অনুবাদের জন্য ভারত থেকে যন্ত্র বানিয়ে আনতে হয়!!!সফটওয়্যার ইংরেজি রায় বাংলায় অনুবাদ করবে

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব বিচারক লন্ডন থেকে আইন পড়ে এসেছে, এদের শতকরা ৮০ ভাগের কাছে ভুয়া সার্টিফিকেট আছে।

জিন্নাহ ব্যারিষ্টার হিসেবে নাম করেছিলেন; মুসলমানদের মাঝে জিন্নাহ'র নাম জানতেন রাণী; ফলে,পাকিস্তান নামে দেশ পাওয়া উনার পক্ষে সহজ হয়েছিলো; কিন্তু তিনি নতুন দেশকে কিভাবে সুগঠিত করবেন সেটা জানতেন না; ফলে, ভাষা নিয়ে বেকুবী শুরু করেছিলেন; উনি পুর্ব বাংলাকে শোষণ করার জন্য কোন কিছু করেননি।

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভাষা দিবসে বড় বড় রাজনীতিবিদদের সভা-সেমিনারে এখনো বাংলায় লিখতে পড়তে না পারা বাঙালি এসে তাদের বক্তব্য হা করে শুনে এবং জোরে জোরে হাততালি দেয়!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ হাসিনা এই সমান্য সমস্যাটরও সমাধান করতে পারছেন না; অথচ, সকালবেলা ফুল দিতে আসেন; উনার ভাবনাশক্তি খুবই সীমিত, ছোট ভাবনার মানুষ বড় পদ দখল করে বসে আছেন, আর মুরগীর পোলাও রান্না করছেন।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

কালো যাদুকর বলেছেন: বাংলাদেশের অবস্থা কি আর ৫২ এর মত আছে? নেই।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




১৯৫২ সালে, মানুষের মাঝে জাতিকে নিয়ে আশা ছিলো, ঐক্য ছিলো; এখন মানুষের মাঝে কোন রকম আশা ও ঐক্য নেই; শেখ হাসিনা মানুষকে রাজনীতি থেকে দুরে সরায়ে দিয়েছেন।

১৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আপনি হয়তো জানেন না , এমন কি অনেকেই জানেন না ।

মালয়েশিয়ার মানুষজন বাংলাদেশকে সাধারণত বাংলা নামে ডাকে ।
তারা বাংলাদেশের শ্রমিকদের কে ডাকে বাংলা ওরাং।

তাই আমার মাঝে মাঝে মনে হয় পাকিস্তানের অংশ হিসেবে স্বাধীন না হয়ে বৃহত্তর বাংলাকে পৃথক দেশ হিসেবে স্বাধীন করলে সেটাই হতে পারত সব চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাকিস্তান করতেই জিন্নাহ'এর ঘাম বের হয়ে গেছে; রাণী জিন্নাহকে চিনতেন বলে পাকিস্তানের সাথে আমরা বেরিয়ে এসেছি, না'হয়, আমরা প: বংগের মতো ভারতেই থেকে যেতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.