নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হা কেন চালু আছে?

১২ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৫০



শেখ সাহেবের ছেলেমেয়েরা, শেখ হাসিনার ছেলেমেয়েরা, তাজউদ্দিন সাহেবের ছেলেমেয়েরা, জেনারেল জিয়ার ছেলেমেয়েরা, এরশাদের ছেলেমেয়েরা, সাইফুর রহমানের ছেলেমেয়েরা, মাল মুহিতের ছেলেমেয়েরা, দীপুমনির ছেলেমেয়েরা কেন মাদ্রাসায় পড়েনি? কোন সেক্রেটারীর ছেলেমেয়ে, সালমান রহমানের পরিবারের কেহ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে? তা'হলে, দেশে মাদ্রাসা কেন চালু আছে, এবং সেখানে যেই ৫০ লাখ ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করেছে, এরা কাহাদের ছেলেমেয়ে? মাদ্রাসার এসব ছেলেমেয়ে কি সেক্রেটারীদের বাচ্চাদের সাথে বসে একই ক্লাশে পড়তে চাহে না?

এমন কোন ব্লগার আছেন, যার ছেলেমেয়ে মাদ্রাসায় যায়, কিংবা ভবিষ্যতে যেতে পারে? সেদিন আমি এক ব্লগারকে ইংগিতে বলেছিলাম যে, তিনি মাদ্রাসায় পড়েছেন; তিনি রেগে মেগে আগুন আমার উপর; কিন্তু আমি বিবিধ সময় দেখেছি, তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্হার পক্ষে।

আমার চাচা (বাবার চাচাতো ভাই ) ছিলেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও ভালো চাষী; উনার ২ ছেলে কোনদিন মাদ্রাসায় যাননি, সরাসরি রেগুলার স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটি।

আমার পাশেই খুবই বড় একটি মসজিদ আছে; এই মসজিদের প্রায়ই ইউরোপ থেকে মওলানা ইত্যাদি আসেন। একবার বেশ কয়েকজন ইন্জিনিয়ার এসেছিলেন; তাদের মাঝে ১ জন ছিলেন পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত; তিনি তখন রিটায়ার্ড, মুসলামনদের হেদায়েতের কাজে নিয়োজিত। উনার ১ ছেলে লন্ডন সিটির সরকারে বড় চাকুরী করেন, সিভিল ইন্জিনিয়ার; মেয়েও সিভিল ইন্জিনিয়ারিং'এ পিএইচডি, মেয়ের কন্সাল্টিং ফার্ম আছে। মসজিদ থেকে সেইবার ৫/৬টি ছেলে কোরানে হাফেজ হয়েছিলেন। এই লোকটি এসব ছেলেদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখলেন, বক্তব্য আমেরিকার অন্য পড়ালেখাকে "কুফরী শিক্ষা" আখ্যা দিলেন।

আপনারা নিশ্চয় জানেন, এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে কাহাদের ছেলেমেয়েরা পড়ে; সরকার ঢাকা মেডিক্যালের জন্য বছরে ৩/৪ কোটী টাকা ব্যয় করে; কিন্তু একটি কওমী মাদ্রাসার জন্য ৩ লাখ টাকাও ব্যয় করতে হয় না। কওমীতে এতিম কিংবা হত দরিদ্রদের ছেলেমেয়েরা পড়ে; পড়ে মানে পড়ে, এই পড়ার কোন মুল্য আছে, এদের কোন পেশা আছে? কোন বাচ্চাকে স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ার চয়েস দিলে, কোন বাচ্চা মাদ্রাসায় যাবে? দীপু নির ছেলেেয়রা ঠিকই ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হবে, মাদ্রাসার এরা কি হবে?

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মানুষকে ধর্মীয় ভাবে সচেতন, ধর্মীয় শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ ও ধার্মিক নেতা হবার জন্য মাদ্রাসায় পড়াশোনার মোটেই প্রয়োজন নেই। মাদ্রাসায় পড়াশোনা না করে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত হয়েও বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় মুসলিম শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদরা সমাজে অবদান রাখছেন।

মাদ্রাসা শিক্ষার বাইপ্রোডাক্ট হিসাবে অনেক শিক্ষার্থী কর্মক্ষেত্রে অনেকটা অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ছেন। রাষ্ট্র দরিদ্র শিশুকিশোরদের দায়িত্ব না নিলে তারা এই মাদ্রাসা শিক্ষার দিকেই পা বাড়াবে। এদেরকে কর্মক্ষেত্রের উপযোগী করে তুলতে হলে সরকারকে হয় এদের দায়িত্ব নিতে হবে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় এনে। নতুবা মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই ঢেলে সাজাতে হবে যুগোপযোগী করে তোলার মাধ্যমে।

১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


একজন শিক্ষিত মানুষ ধর্মের সবকিছু ১ থেকে ২ সপ্তাহের মাঝে শিখতে পারার কথা। আর যেহেতু দেশের স্বচ্ছল শ্রেণী মাদ্রাসায় পড়ে না, ইহা অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় একটি ব্যবস্হা

২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কোন যোগউপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা নয়।জাতি যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে বেড়িয়ে আসতে পারবে ততই মঙ্গল। হাজার হাজার অনাথ ও দরিদ্র শিশুদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।কওমি মাদ্রাসাকে স্কুল বোর্ডের অধিনে আনতে হবে।

১২ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:




জাতির সব স্বচ্ছল মানুষই চায় যে, গরীবের ছেলেমেয়েরা যদি পড়তে চায়, ওখানেই পড়ুক, অনেক ব্লগারও সেটা চায়।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: সমস্যা কোথায় সেটা সবাই জানে কিন্ত সমাধানের প্রচেষ্টা দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে পাশের দেশের পশ্চিম বঙ্গ কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ফলাফল কি, তারা কি কি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে তা দেখে
নেওয়া যেতে পারে। আপনাদের জানানোর জন্য আনন্দবাজার থেকে কপি করেছি।
লেখক যেহেতু হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তাই লেখায় পক্ষপাতিত্ব কম।

আনন্দবাজার পত্রিকা
প্রবন্ধ ২
মাদ্রাসা সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া ভাল
কাজি মাসুম আখতার ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১

রাজ্যের অনুমোদনহীন খারেজি মাদ্রাসাগুলি সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া— প্রায় এক দশক আগে মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বর্ধমান বিস্ফোরণের সূত্রে মন্তব্যটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। এই কাণ্ডকে ঘিরে তদন্তে যে-ভাবে জঙ্গি কার্যকলাপে মাদ্রাসার যোগসূত্র উঠে এসেছে, তা সত্যিই উদ্বেগের। মনে হতেই পারে যে মাদ্রাসাগুলিই যেন জঙ্গি তৎপরতার মূল কেন্দ্র। বিষয়টি গভীর উদ্বেগের, কারণ এই প্রশ্নে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য।
মাদ্রাসা সম্পর্কে বিভ্রান্তির পিছনে রয়েছে মাদ্রাসা তথা ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অ-মুসলিমদের একাংশের অজ্ঞতা ও উপেক্ষা। বিভ্রান্তি শুরু হয় ‘মাদ্রাসা’ শব্দটি থেকেই। বিদ্যালয়কে যেমন ইংরাজিতে স্কুল বলা হয়, তেমনই আরবিতে বলা হয় ‘মাদ্রাসা’। পশ্চিমবঙ্গে মূলত তিন ধনের মাদ্রাসা রয়েছে। ১) অনুমোদন প্রাপ্ত ও সরকারি অনুদান প্রাপ্ত। ২) অনুমোদন প্রাপ্ত, কিন্তু সরকারি অনুদানে বঞ্চিত। ৩) অনুমোদনবিহীন ও অনুদানবিহীন। রাজ্যে প্রথম ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ৬১৪টি। যার মধ্যে হাইমাদ্রাসা ৫১২টি এবং সিনিয়র মাদ্রাসা ১০২টি। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ-এর অধীনে থাকা হাই মাদ্রাসাগুলির পাঠ্যক্রম একেবারেই সাধারণ বিদ্যালয়গুলির অনুরূপ। বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরে পড়ুয়ারা সাতশো নম্বরের যে আধুনিক পরীক্ষা দেয়, মাদ্রাসার পড়ুয়াদের তার সঙ্গে অতিরিক্ত একশো নম্বরের ‘ইসলাম পরিচয়’ ও ‘কমপালসারি অ্যাডিশনাল’ হিসেবে তৃতীয় ভাষা আরবি-র পরীক্ষায় বসতে হয়, যার নম্বর রেজাল্টের মোট নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হয় না। পার্থক্য এইটুকুই। বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সংস্কৃত শিক্ষার বিকল্প বলা যায়। হাই মাদ্রাসার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠক্রম ও পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভাবে সাধারণ বিদ্যালয়ের মতো উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণাধীন। এখানে ধর্মীয় শিক্ষার কোনও বালাই নেই। সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিযুক্ত কিছু হাই মাদ্রাসায় শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই অ-মুসলিম। পড়ুয়াদের মধ্যেও অ-মুসলিম রয়েছে। সরকারি বেতন কাঠামোয় মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বিদ্যালয় শিক্ষকদের সমান। তাই অনেক উচ্চ ডিগ্রিধারী শিক্ষককেও হাই মাদ্রাসায় দেখা যায়।
সিনিয়র মাদ্রাসার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তরে (আলিম) এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে (ফাজিল) পাঠক্রমে ধর্মীয় শিক্ষার ভাগ তুলনায় বেশি। তবে হাই ও সিনিয়র, দুই ধরনের মাদ্রাসাই সাধারণ স্কুলের মতো জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দফতর কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। মাদ্রাসাগুলিও সর্বশিক্ষা মিশন বা শিক্ষা দফতর প্রদেয় বিভিন্ন গ্রান্ট সমান ভাবে পায়। সঙ্গে বাড়তি হিসাবে পায় সংখ্যালঘু দফতর সূত্রে প্রাপ্ত আর্থিক অনুদান। এ ছাড়া রয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর অনুমোদিত প্রায় পাঁচশো শিশুশিক্ষা কেন্দ্র (চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত) এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকেন্দ্র (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত)। এখানে শিক্ষকরা সাম্মানিক বেতনস্বরূপ সামান্য অর্থ পান। পরিকাঠামোর উন্নয়নেও সরকারি অনুদান বরাদ্দ হয়। মাদ্রাসা পর্ষদের পাঠক্রম অনুযায়ী পঠনপাঠন হয়।
পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা ২৩৫টি। এগুলি মাদ্রাসা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত এবং মাদ্রাসা পর্ষদের পাঠক্রম অনুযায়ী পরিচালিত। তবে সরকারি অনুদান থেকে তারা বঞ্চিত। বিভিন্ন ধরনের দান এবং পড়ুয়াদের বেতন এই মাদ্রাসাগুলির আয়ের উৎস।
বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রেক্ষিতে বিতর্ক উঠেছে তৃতীয় ধরনের মাদ্রাসাগুলি নিয়ে। যার নাম খারেজি মাদ্রাসা। খারেজি কথার অর্থ ‘বাহিরে’। এ কথার অর্থ অনুমোদনের বাহিরে অর্থাৎ অনুমোদনহীন। রাজ্যে এমন মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার, যদিও, সম্ভবত ভ্রান্তিবশত, মুখ্যমন্ত্রী দশ হাজার খারেজি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু অনুমোদন দেবেন, অনুদান দেবেন না— তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সাড়া দেয়নি খারেজি মাদ্রাসাগুলি। অনুমোদনের শর্তস্বরূপ নিজস্ব জমি, বাড়ি, পর্যাপ্ত শিক্ষক, পড়াশুনোর পরিবেশ ইত্যাদি না থাকায় মাদ্রাসাগুলি অনুমোদন প্রাপ্তির জন্য আবেদনই করেনি। তাই ঘোষণার তিন বছর পরে মাত্র ২৩৫টি খারেজি মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়ে মাদ্রাসা পর্ষদের পাঠক্রম অনুসরণ করছে।
অত্যন্ত গরিব মুসলিম পরিবারের সন্তানরাই সাধারণত খারেজি মাদ্রাসার পড়ুয়া হয়। সন্তানদের হাফেজ, ইমাম বা মোয়াজ্জেম তৈরি করাই এখানে অভিভাবকদের মূল লক্ষ্য। তা ছাড়া, অধিকাংশ খারেজি মাদ্রাসা আবাসিক হওয়ায় প্রায় বিনা ব্যয়ে অনাথ বা হতদরিদ্র পড়ুয়ারা দু’বেলা অন্ন গ্রহণের সুযোগ পায়। সাধারণত বাড়ি-বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা ‘দান’ বা ‘জাকত’ এই সব মাদ্রাসার অর্থ জোগানের উৎস। মূলত মসজিদ লাগোয়া ছোট কয়েকটি কক্ষ নিয়েই খারেজি মাদ্রাসাগুলি গড়ে ওঠে। কিছু খারেজি মাদ্রাসায় বাংলা-ইংরাজি পড়ানো হলেও আরবি-উর্দুসহ ধর্মশিক্ষা দেওয়াই এই সব মাদ্রাসার মূল লক্ষ্য।
এই খারেজি মাদ্রাসাগুলি একাধিক সমস্যায় জর্জরিত। প্রথমটি হল যোগ্য নজরদারির সমস্যা। আর্থিক সাহায্য তো দূরের কথা, সরকার তথা মুসলিম সমাজের অগ্রসর সচেতন অংশের বিন্দুমাত্র নজরদারি থেকে বঞ্চিত এগুলি। বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসা-সহ আরও কয়েকটি খারেজি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে যে-ভাবে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে, তা সম্ভব হয়েছে যোগ্য নজরদারির অভাবেই।
দ্বিতীয়ত, ফুরফুরা, দেহবন্দ, আহলে হাদিস বা বেরেলি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত খারেজি মাদ্রাসাগুলির পরিকাঠামো বা শিক্ষার পরিবেশ মন্দের ভাল হলেও অধিকাংশ খারেজি মাদ্রাসার পরিকাঠামোগত দৈন্য দশা বড়ই প্রকট। ফলস্বরূপ প্রকৃত শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত অসচেতন এই সব মাদ্রাসার পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করা বেশ সহজ। ধর্মীয় আবেগে ইন্ধন দিয়ে এই পড়ুয়াদের উগ্রবাদী কর্মে লিপ্ত করাও অনেক সময় কঠিন নয়।
তৃতীয়ত, মাত্র দুই-আড়াই হাজার টাকা বেতনের অদক্ষ শিক্ষক দ্বারা পরিকাঠামোহীন মাদ্রাসায় পড়ুয়ারা না পায় উন্নত অর্থকরী আধুনিক শিক্ষা, না পায় উন্নত জ্ঞানভিত্তিক ধর্মশিক্ষা বা আরবি-উর্দু শিক্ষা। অর্থ না বুঝে আরবি ভাষা শিক্ষায় ভাষাজ্ঞান বা ধর্মজ্ঞান কোনওটাই সম্পূর্ণ হয় না। বস্তুত, শুধু খারেজি মাদ্রাসায় কেন, দেহবন্দ, মোরাদাবাদ, সাহারনপুর ইত্যাদি ইসলাম ধর্ম ও ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রের মতো পশ্চিমবঙ্গের কোথাও উন্নত আরবি ভাষা বা ধর্মচর্চার কেন্দ্র নেই। এ রাজ্যে শিক্ষা নেওয়া মাদ্রাসা শিক্ষক, এমনকী কলেজের আরবি ভাষার শিক্ষকদের মধ্যেও খুব কমই আরবিতে দু’পাতা রচনা লেখার ক্ষমতা রাখেন। আরবি শিখতে কলকাতার গোলপার্কে রামকৃষ্ণ মিশনে দৌড়তে হয় হিন্দু-মুসলমান সকলকেই। প্রসঙ্গত, কোনও ভাষাই কোনও একটি ধর্মের একচেটিয়া হতে পারে না। আরবি বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ভাষা। মিশরে এই আরবি ভাষাতেই ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়। পশ্চিম এশিয়ায় ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় নিযুক্তদের একটা বড় অংশ ভারতীয় হিন্দু। পেশাগত কারণেই তাঁদের আরবি শিখতে হয়।
বর্ধমানকাণ্ডে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক অপরাধী মাদ্রাসাগুলিকে। শুধু স্বাগত জানানো নয়, মুসলিম সমাজকে এই প্রচেষ্টায় পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে। এবং, শুধু সরকারের নয়, মুসলিম সমাজপতি বা অগ্রসর অংশকে এগিয়ে আসতে হবে খারেজি মাদ্রাসাগুলির প্রকৃত উন্নয়নে বা নজরদারিতে। চেষ্টা করতে হবে খারেজি মাদ্রাসাগুলিকে সরকারি অনুমোদনের আওতায় আনার।
তবে মনে রাখতে হবে, অনুমোদন না পেলেও সংবিধানের ৩০ নং ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের ‘ধর্ম শিক্ষা কেন্দ্র’ খোলার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সুতরাং, অনুমোদনহীন মাদ্রাসাকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেওয়ার যে প্রচেষ্টা চলছে, তাও ভ্রান্তিকর ও বিদ্বেষমূলক। রাজ্য বা দেশ জুড়ে চলছে বহু টোল বা চতুষ্পাঠী, যেখানে বেদ, রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি হিন্দু ধর্মশাস্ত্রই পড়ানো হয়। সুতরাং, ধর্মশিক্ষাকে অবৈধ ও সন্ত্রাসী বলে বৈষম্য সৃষ্টি অশুভ প্রচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।

তালপুকুর আড়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক

১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের জাতির কাছে যেই পরিমাণ সম্পদ আছে, এতে প্রতিটি শিশুকে ফ্রি পড়ানো, খাবার ও থাকার জন্য বিনিয়োগ করা যাবে সব সময়। ধনীদের সন্তানদের জন্য প্রয়োজনের বেশী বিনিয়োগ হয়েছে, গরীবের সন্তানদের জন্য কিছুই নেই; মাদ্রাসার পড়ালেখার মান এত নীচু যে, ইহার তেমন কোন মুল্য নেই।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:২৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অনিশ্চিত পথে কেউ তার সন্তানদের পাঠায় না।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



৫০ লাখ মাদ্রাসায় আছে, ইহাদের ভবিষ্যত কি? সরকার এদের অধিকারকে অস্বীকার করেছে, এদের শিক্ষার জন্য সরকার কোন টাকা ব্যয় করেনি বললেই চলে।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি বাংলাদেশের সিলেট চা বাগানের অভ্যন্তরের কার্যক্রম দেখার সুযোগ পেয়েছেন কিনা জানিনা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে আমার ধারণা - সমগ্র বাংলাদেশ একটি চা বাগান ! আর এই দেশের জনগণ হচ্ছে সেই চা বাগানের কুলি ! আর চা বাগানের কুলিদের নিয়ে বাগানের কর্মকর্তা টর্মকর্তাদের তেমন ভাবনার সময় নেই, তাদের আরোও অনেক কিছু ভাবতে হয় ! আর সন্ধ্যা শেষে বাংলা ও বিদেশী বোতল নিয়ে বসতে হয়! এটিই নিয়ম। নিয়মের বাইরে তারা কেনো যাবেন?

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



চা বাগানের শ্রমিকগুলো গত ২০০ বছর দাসত্বের জীবন যাপন করছে।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:২৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব মাদ্রাসায় সাবজেক্ট একটাই, পুস্তকও একটাই। আল-কোরান।
শুধু এটাকেই আবৃতি (তেলাওয়াত) করায় আর মুখস্ত (হাফেজ) করায়। বঙ্গানুবাদ পড়ায় না। একবার অনুবাদ পড়লে হাজারো প্রশ্ন করবে। কাফের হয়ে যাবে। তাই উর্দুতে অনুবাদ করে।
আর বেছে বেছে কিছু হাদিস পড়ায়, একেক মতাদর্শের মাদ্রাসা শুধু বেছে বেছে সেই মতাবেক হাদিস পড়ায়।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটা কি শুধু আপনি জানেন, নাকি শেখ হাসিনা ও শেখ সাহবেও জানতেন?

৭| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফেনীর কালিদহ ইউনিয়নে রশীদিয়া কওমী মাদ্রাসাই তার প্রমাণ । আমার বাড়ির পাশে।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশে ৩০ হাজারের বেশী মাদ্রাসা আছে, সরকার জানে এখানে কাহারা পড়ে, তারা জীবনে কি পায়।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ হলো গরীবের দেশ।
বেশির ভাগ মানুষই গরীব। মাদ্রাসায় লেখাপড়ায় খরচ কম। তাই দরিদ্র জনগোষ্ঠী সেদিকে যায়। সরকারও চুপ করে আছে। তাদের দরিদ্র শ্রেনী নিয়ে ভাবার কোনো কারন নেই। সময় এখন তাদের।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:




দেশ সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা; বাংলাদেশকে গরীব করে রেখেছে শেখ হাসিনা, মুহুিত ও সাইফুরেরা।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৪৯

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: গাজী ভাই ভালো আছেন ?
আমার কিছুই ভালো লাগে না। একরাশ হতাশা ছেয়ে গেছে আমার জীবনে। বন্ধুরা অনেকেই লিখতে বলে। লিখি না। অলসতা লাগে। আপনার টপিকে মাঝে মাঝে উকিঁ দেই। মুড থাকলে কমেন্ট করি না হলে নাই।

মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কিছু ভাবনা বলি।
আমি পুরাণ ঢাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে। আমার মা একটু স্বশিক্ষিতা ছিলেন। তাই আমাদের ৭ভাইকে ও ৪ বোনকে পড়ালেখা করিয়েছেন। সবাই রেগুলার স্কুলে। অথচ আমার বাবা ছিলেন আরবীর শিক্ষক। বাবা বহুবার চেষ্টা করেছিলেন অন্ততঃ ১টি ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়িয়ে বেহেস্তের ভিসা নিতে। উনি প্রায়ই নসিহত করতেন, পরিবারের ১জন মাদ্রাসায় পড়লে পরিবারের অধিকাংশ বেহেস্তে যাওয়ার অগ্রাধিকার পেয়ে যায়।
মা’র ষ্ট্রেট জবাব, “আপনার অন্য ঘরের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠিয়ে বেহেস্ত হাসিল করুন, আমার পেটের বাচ্চাদের দিব না।”
বাবা সুন্নত ৪টি বিবাহ সম্পন্ন করেছিলেন। অন্য ঘরে ১টি মেয়ে। পুরাই মূর্খ। পড়াশোনোর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও।
আমাদের সময়ে আমাদের এলাকার প্রতি ঘরে সদস্য সংখ্যা ছিল গড়ে ৭জন। দেখেছি পরিবারে যে ছেলেছি বখাটে / গবেট / বিদ্যায় অনুৎসাহী /দুষ্ট / স্থূল বুদ্ধি ইত্যাদি, তাকে পাঠানো হোত মাদ্রাসায়। মা বাবা তাকে বাতিল মাল হিসাবে গণ্য করতো, ফাও-তে বেহেস্ত লাভের মওকা।
মাদ্রাসায় নাকি কঠোর শাসনে সে বদমাইশ ছেলে ভালো হয়ে যেতো। শাসনটা কি বুঝেছেন তো। মাইরের উপর ঔষধ নাই।
আমাদের এলাকার মানুষদের আরেক শ্রেনীর মানুষদের প্রবনতা দারুণ রেশনাল। আমাদের বাণিজ্যিক এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ব্যবসায়ীরা হিসাব করেন, আমার ছেলে বালেগ হয়ে আমার ব্যবসা সামলাবে তাই ১, ২, ৩ গুনতে পারলেই হয়। আমার মেয়ে বালেগ হয়ে অন্যের বিছানা আর রান্না সামলাবে। অর্থাৎ কর্মসংস্থানের চিন্তা নাই। অতএব পড়াও মাদ্রাসায়। ব্যবসায়ী বাবাদের সন্তানরা মাদ্রাসায় যে ফুডিং পায় বাবার অর্থায়নে তা দেখলে মাথা ঘুরে যাবে।
আর আছে প্রচুর অবাঙালী পরিবার। বাংলাদেশ রাষ্ট্র যাদের মনে মগজে নাই। সন্তানদের পড়ায় ইংলিশ মাদ্রাসায়। এরকম দু একটি মাদ্রাসার সামনে গিয়ে এই বাবা-দের বাত চিত শুনলে আপনার জীবন যাপনের উপর ঘেন্না ধরে যাবে।

ধন্যবাদ। ধৈর্য্য আর নেই।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার সৌভাগ্য যে, আপনার মা জ্ঞানী মানুষ ছিলেন, আপনাদের ভবিষ্যত দেখেছেন; একজন বস্তির মা'য়ের কতটুকু জ্ঞান ও সম্পদ আছে যে, উনি নিজের বাচ্চাকে স্কুলে দেবেন? গরীবের বাচ্চাদের সঠিক স্কুলে দেয়া শেখ হাসিনার দায়িত্ব, পয়সা দিচ্ছে জাতি।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

জাহিদ হাসান বলেছেন: কওমী মাদ্রাসা বন্ধ চাই। আলিয়া মাদ্রাসা শুধু সরকারি নজরদারীতে চালু থাকুক।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকারকে সব বাচ্চার পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে হব.

১১| ১২ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: যারা কওমীর সমর্থক এরা দেখবেন কোন না কোনভাবে এসব ধর্মব্যবসায় জড়িত। এদের অনেকেই ব্যাপক ধর্মান্ধ এবং মূর্খ।
কওমী মাদ্রাসাগুলোকে সরকার দখল করে আলিয়া মাদ্রাসা বানাক। যার পরিচালনায় থাকবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রত্যক স্বচ্ছল পরিবার চেষ্টা করেন শধুমাত্র তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়ালেখায় ভালো করুক, জঘন্য জাতি।

১২| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যম কেন চালু আছে? সেটার বিরুদ্ধে কিছু বলেন না কেনো? জাতে উঠা যায় জন্য?
পৃথিবীর কোনে দেশে ১১ রকমের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে? আপনার দেশ এ্যামেরিকায় আছে ?
২০০৫ সালে ১১ টা দেশ ভ্রমন করে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা দেশে মাদ্রাসা আর কৃষি শিক্ষা বাধ্যতামুলক করার সুপারিশ করেছিলো, যেসব দেশের কোনটাইতেই এসব ছিলো না।
মাদ্রাসা শিক্ষা বাতিল করলে সেদিনই কোনো সরকারের মহাবিপদ। কারণ দেশের জনগণ যেমন নীতিহীণ তেমনিই বক-ধর্মিক। ধর্ম না মানলেও মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতা মানবে না। যাদের ছেলে-মেয়েরা এসব পড়ে বা পড়েনা-সবাই প্রতিবাদ করবে।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইংরেজী মাধ্যম চালু আছে, কারণ বাংলায় পৃথিবী কথা বলে না; বাংলার টেকনোলোজীতে পৃথিবী চলে না।

১৩| ১২ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা হয়ে যাবে
আপনি অপেক্ষায় থাকুন ।
দেখতে পাবেন।

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা উনার ছেলেমেয়ের শিক্ষা নিয়েই সন্তুষ্ট, এখন উনার আর ভাবার দরকার নেই।

১৪| ১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নামাজের ইমামতি করা কি কোন পেশা হতে পারে?
কিংবা মসজিদে আজান দেয়া?

এগুলো কোন পেশা নয়।

সমাজের যে কোন মুরুব্বীই নামাজে ইমামতি করতে পারেন।
আজানও দিতে পারেন যে কেউ।

এর জন্য বেতনভুক কর্মচারী রাখার দরকার কি!

১২ ই মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মক্তব, মাদ্রাসা এগুলোকে পেশা হিসেবে ধরেই পড়ালেখা শিখাচ্ছে, উজবুকি ধারণা

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশ সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা; বাংলাদেশকে গরীব করে রেখেছে শেখ হাসিনা, মুহুিত ও সাইফুরেরা।

তাতে তাদের লাভ কি?

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



তাদের লাভ হচ্ছে, তারা ছাগল চরাচ্ছে; রাখালদের একমাত্র স্বপ্ন হলো ছাগল চরানো।

জাতির পয়সা জাতির শিক্ষার জন্য ব্যয় করেননি শেখ হাসিনা, মুহিত ও সাইফুরেরা।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৪৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যম চালু আছে, কারণ দেশে আপনার মতো কোটি কোটি হীনমন্য আছে, যারা শুদ্ধভাবে একটা বাংলা শব্দও বলতে পারে না কিন্ত ইংরেজীর জন্য পাগল।
না হলে এরা জানতো যে চীন, জাপান ,কোরিয়া-এসব দেশে সবকিছু নিজেদের ভাষায় হয়। এবং পৃথিবীর কোনো দেশ ইংরেজী শিখে কোনোদিন উন্নতি করেনি। এবং তাহলে নাইজেরিয়া আর আফ্রিকার ইংরেজী জানা দেশগুলি উন্নত হতো।
দুর্নীতি না থাকলে দেশ অনেক আগেই উন্নত হতো।
এজন্য ইংরেজী শেখার দরকার নাই।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনাকে ইংরেজীর গুরুত্ব বুঝাতে হলে আবার প্রাইারী স্কুলে নিতে হবে; বাংলা ভাষায় সায়েন্স ও টেকনোলোজীর বই নেই।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সব শিক্ষার মতই মাদরাসা শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। তবে শিক্ষা দানে নিয়োজিত শিক্ষকদের পিটিআই, বিএড, এমএড শিক্ষার মতো পেশাগত প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ছেলেযমেয়েদের মাদ্রাসায় দেবেন?

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

স্থিতধী বলেছেন: প্রত্যক স্বচ্ছল পরিবার চেষ্টা করেন শধুমাত্র তাদের পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়ালেখায় ভালো করুক, জঘন্য জাতি।

একটা গল্পের চরিত্র দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ দেশের মধ্যবিত্ত সম্পর্কে একটা সংলাপ বলিয়েছিলেন যা কিছুটা এরকমের;
“ এ দেশের মধ্যবিত্ত হচ্ছে সবচেয়ে সুবিধাবাদী শ্রেণীর, এদের দেখলে ঘেন্না হয় । এরা জীবনে প্রথম প্রেম করবে নিজের মামাতো বোনের সাথে । প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা নেবার চেষ্টা করবে বাড়ির কাজের লোকের সাথে । আর প্রথম মদ খাবে অন্য মানুষের টাকায়। এরা হচ্ছে সমাজের সবচাইতে ফাযিল অংশ।“

বাংলাদেশে যখন গার্মেন্টস এর বিকাশ ঘটে তখন দেশের মধ্যবিত্তরা সবচাইতে হতাশ হয়। কারন এখন আর আগের মতো বাড়ির কাজের লোক খুঁজে পাবেনা, আর পেলেও সস্তায় পাবেনা; বেতন অনেক বেশী বাড়াইতে হবে । অপেক্ষাকৃত ভালো বিকল্প সুযোগ থাকলে কেউ ই কম বেতনে কারো বাসা বাড়িতে দাস-দাসীর মতো কাজ করে, মাইর খেয়ে অসম্মানের জীবনে থাকতে চায়না ।তারা বরং অপেক্ষাকৃত স্বাধীন জীবনের একটা চাকরি চাইবে । ফলে মধ্যবিত্তরা গার্মেন্টস এর উপর ব্যাজার হয় । বুয়েটে, মেডিক্যালে, ঢাবি, বিদেশে পড়াশোনা করে এসে এই মধ্যবিত্তরাই আবার বলে যে মাদ্রাসা শিক্ষা খুব ই দরকার! নয়তো তাঁর মহল্লার মসজিদে কে আজান দিবে, কে নামায পড়াবে ? কে তাঁর বাসায় মিলাদ পড়াবে, কুরআন খতম দিবে? কে জানাযার নামায ইমামতি করবে, কে কোরবানির পশু জবাই করবে? এগুলা তো “ কামলা” অথবা “ এক্সপার্ট” দের কাজ; মধ্যবিত্ত তো এগুলোর কোনটাই করতে পারেনা!

কোন জাতির মধ্যবিত্তের বড় অংশ যখন ভন্ড, অলস, সুবিধাবাদী, পা- চাটা শ্রেণীর হয়; সে জাতির সভ্যতার চাকা উল্টা পথে চলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছুনাই ।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



গরীব বাংগালীরা পাকীদের থেকে কিছু পায়নি, শেখ হাসিনারথেকেও কিছু পায়নি

১৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

স্থিতধী বলেছেন: ইংরেজী মাধ্যম চালু আছে, কারণ দেশে আপনার মতো কোটি কোটি হীনমন্য আছে, যারা শুদ্ধভাবে একটা বাংলা শব্দও বলতে পারে না কিন্ত ইংরেজীর জন্য পাগল

ব্লগার অনল চৌধুরীর এই পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের বাস্তবতায় সঠিক ( ঐ মন্তব্যে থাকা ব্যাক্তি আক্রমণটি নিয়ে কিছু বলার নাই কারন সামু ব্লগে ব্যাক্তি আক্রমণ করাকে আপনি নিজে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন; ঢিল মারার অভ্যাস থাকলে পাটকেল তো কিছু আসবেই, তাছাড়া পাটকেল আপনার ভালো লাগে বলেই মনে হয়)।

‘বাংলা ভাষায় সায়েন্স ও টেকনোলোজীর বই নেই’; তাঁর কারন ঐ হীনমন্যতা, অদক্ষতা, অযোগ্যতা । বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিরা ইংরেজীতে রায় দেন; বাংলায় রায় দিতে পারেন না! রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হয়েছে তাতে কি? ওনাদের একটু ইংরেজীতে ভাব মারতে হবে , তা নাহলে ব্রিটিশ আইন শিখে বিচারক হিসেবে এনাদের উঁচু সাহেবী মর্যাদা ঠিকমতো প্রকাশ পায়না যে! জাপান, কোরিয়া, চীন ইংরেজী ভাষার কারনে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে আছে? আমাদের পতাকার নকশাকারীরা জাপানের পতাকা অনুসরন করেছিলো স্বাধীন বাংলাদেশে ইংরেজীর সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য?

স্বজাত্যবোধ তৈরিতে ভাষা একটা বড় ভূমিকা রাখে যেমনটা রাখে কলোনিয়াল মাইন্ডসেট এস্টাব্লিশড করতেও । বাঙালি যেহেতু বিভক্তি প্রিয়, কলোনিয়াল চিন্তাধারার ধারক বাহক এক জাতি; তাই তাঁর শিক্ষা ব্যবস্থাতেও এর প্রকাশ ঘটে । একপক্ষ আরবের আরবীর আরেক পক্ষ ব্রিটিশের ইংরেজী ভাষা শিক্ষার দালালী করতে সদা প্রস্তুত থাকে ।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাত্র ৪০ বছর আগেও ইংরেজী ছিলো বিশ্বের সব জাতির জন্য কমন ভাষা; এখন চীনারা, জাপানীরা, রাশিয়ানরা নিজেদের ভাষাকে সব যায়গায় ব্যব হারের উপযুক্ত করেছে: বই, মিডিয়া, সায়েন্স, কম্প্যুটিং 'এ; বাংগালীরা সেটা পারেনি এখনো।

পুরো ই্উরোপ ইংরেজী কথা বলতে পারে, নিজেদের ভাষায়ও কথা বলতে পারে।

২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

অক্পটে বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! আমার শুধু একটাই বলার আছে তা হলো এই দেশটার বয়স এখন ৫০ বছর। এই পঞ্চাশ বছরে আমাদের জাতি কোন যোগ্য ও ব্রিলিয়ানন্ট শাসক পায়নাই।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


না, আওয়ামী লীগ দক্ষ লোকজন প্রস্তুত করতে পারেনি

২১| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

স্থিতধী বলেছেন: মাত্র ৪০ বছর আগেও ইংরেজী ছিলো বিশ্বের সব জাতির জন্য কমন ভাষা;

ইংরেজ কলোণীয়াল সাম্রাজ্য বিশাল বড় হলেও সেটা কখনই সারা বিশ্বের ভাষা ছিলোনা। কলোনী গুলোতে ইংরেজি ভাষা চাপানো হইছে; ইংরেজি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলন করা হইছে একটা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত দালাল শ্রেণি বানানোর স্বার্থে যাতে তারা ইংরেজদের কেরানী হবার কাজ করতে পারে; নিজেদের একটু সাহেবদের মত ভাবতে শিখে যারা "গরীব বাংগালী" থেকে নিজেদের অনেক উঁচু শ্রেনীর ভাববে । ইংরেজদের এসব প্রশাসনিক এবং সাইকোলজিক্যাল কৌশল সমসাময়িক ডাচ- পর্তুগীজ কলোনি গুলোর থেকে ভিন্ন ছিলো। এসব ঐতিহাসিক সত্যর তথ্য এখন পাবলিক ডোমেইনেই পাওয়া যায় ।

পুরো ই্উরোপ ইংরেজী কথা বলতে পারে, নিজেদের ভাষায়ও কথা বলতে পারে।

ভুল। পুরো ই্উরোপের অনেকেই আছে ইংরেজী শিখতেই চায়না । ভাঙ্গা ভাঙ্গা টাইপ ইংরেজী বলে। এর কারন ওদের সমাজে "ইংরেজী শিখলেই শুধু জাতে ঊঠবা বা ভালো চাকরি পাবা" এমন কলোনিয়াল চিন্তা দিয়ে চলেনা । যতটুকু ইংরেজী শিখে তা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের খাতিরে শিখে । আমেরিকান আর অস্ট্রেলিয়ান ইংলিশ এক্সেন্ট যে ব্রিটিশ ইংলিশ থেকে এতো বেশী আলাদা তাঁর বড় কারন বিভিন্ন ভাষার ইউঁরোপিয়ানরা ওসব দেশে গিয়ে তাঁদের নিজেদের ভাষার সাথে ইংরেজী মিশ্রণের ফলে একটা মিশ্র উচ্চারণের নতুন ধারার কথ্য ইংলিশ তৈরি করেছে যার ফলে সেটা দিয়ে নিজেদের একটা আলাদা জাতীয় পরিচয় তৈরি হয়েছে।

চীনারা, জাপানীরা, রাশিয়ানরা নিজেদের ভাষাকে সব যায়গায় ব্যবহারের উপযুক্ত করেছে: বই, মিডিয়া, সায়েন্স, কম্প্যুটিং 'এ; বাংগালীরা সেটা পারেনি এখনো

বাংগালীরা এখনো পারেনাই কারন আমরা হলাম এখনো হীনমন্য, বর্ণবাদী, মৌলবাদী স্বভাবের একটা কলোনিয়াল চিন্তার উত্তরাধিকারী জাতি; এটাই মূল কথা । আমাদের মূলগুণ একে অন্যের মাঝে পার্থক্য খুঁজে খুঁজে একে ওকে ল্যাং মারতে পারা। চীনা, জাপানী, রাশানরা কম করে ভাষা কে নিজেদের মাঝে ঐক্য ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যাবহার করতে পেরেছে।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার মনে হয়, আপনিও ব্লগার অনল চৌধুরীর মতো দার্শনিক হয়ে গেছেন, অথবা আপনার পরিবার আপনার জন্য প্রশ্নফাঁসের পেছনে বেশ টাকা খরচ করেছেন।

২২| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৫

স্থিতধী বলেছেন: অথবা আপনার পরিবার আপনার জন্য প্রশ্নফাঁসের পেছনে বেশ টাকা খরচ করেছেন

আপনি নিজে কৈশোর – যৌবনে আপনার মার্ক্সবাদী রাজনৈতিক বড় ভাইদের কাছে ‘দাস ক্যাপিটাল’ সংক্রান্ত ইন্টারভিঊ প্রশ্ন ফাঁস ছাড়া ঠিকমতো দিতে পেরেছিলেন তো? তাঁদের হাতে মার খান নাইতো? তাহলেই হবে! আমার পরিবার নিয়ে অযথা অনুমান করে আপনার ভিসার মেয়াদ বাড়বেনা ;)

এখানে আপনার ভাষা সংক্রান্ত তথ্য ও দর্শনগুলো যে আগাগোড়া ভুল তা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়ে দেখানো খুব সহজ কাজ । অযথা সে পথে হাটবোনা কারন সামুতে সেই “পাঠক ১৯৭১” থেকে শুরু করে আজকের “চাঁদগাজী” নিক পর্যন্ত আসতে গিয়ে আপনার তেমন একটা বিবর্তন হয়নাই যে আপনাকে সঠিক তথ্য , পরামর্শ বা শাস্তি কোন কিছু দিয়েই কোন লাভ হবে । আপনি যদি কোনভাবে বিবর্তনবাদীদের ভুল প্রমাণ করানোর কোন কারন হয়ে যান তাহলে আবার ব্লগার মুজিব রহমান সাহেব আপনার উপর চটে যাবেন! ভাগ্যিস জানা আপার ভাষা প্রেম ও দর্শন বোধ আপনার থেকে ভালো ছিলো নয়তো সামুতে বাংলায় লিখতে পারবার কারনে আপনার যতটুকু অনলাইন পরিচিতি হয়েছে অন্য ভাষায় লিখতে গেলে ততটুকু ও হতোনা। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছয় দফা দিয়ে শেখ মুজিব যদি আঞ্চলিক নেতায় পরিণত হবার পথে না হাটতেন আপনাকে কেউ এখানে চিনতোইনা আজকে! আপনাকে হয়তো অখন্ড পাকিস্তানের কোন ব্লগে বসে থেকে ভাঙা ভাঙা উর্দু আর ইংরেজীতে বেলুচ, সিন্ধি, পাঠানদের মুক্তির জন্য আউটডেটেড মার্ক্স ধর্ম ঝালাই করতে দেখা যেতো; মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে আলাদাভাবে জানা আপার এই “কর্পোরেশনের” কাছে এসে খাতিরটা আর নেয়া লাগতোনা। যাউকগা, চোখ আর স্বাস্থ্যের যত্ন নিয়েন ।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে দরকারী বিষয়গুলো প্রতিদিন লেখা হয় ইংরেজী, চাইনীজ, জার্মান,ফরাসী, রাশান ও হিব্রু ভাষায়; এগুলোকে বুঝতে হলে, ইংরেজী জানতে হবে; না'হয় সবগুলো ভাষা জাতে হবে; আপনি কোনটা জানেন?

২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:২৫

স্থিতধী বলেছেন: বিশ্বে দরকারী বিষয়গুলো প্রতিদিন লেখা হয় ইংরেজী, চাইনীজ, জার্মান,ফরাসী, রাশান ও হিব্রু ভাষায়; এগুলোকে বুঝতে হলে, ইংরেজী জানতে হবে

ইংরেজী ভাষা জানা / শেখা আর সম্পূর্ণ আলাদাভাবে একটা কারিকুলাম দিয়ে কতগুলো উচ্চ বেতনের "ইংরেজি মিডিয়াম" স্কুল বানিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় নয়-ছয় ধারা তৈরি করার পার্থক্য টা যদি আপনাকে ধরিয়ে দিতে হয় তাহলে আপনার এতো বছরের ব্লগ সফর কি কাজে দিলো? বাংলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করে আপনার ইংরেজী কি এখন বেশী খারাপ? ছোটবেলায় ইংরেজী মিডিয়ামে পড়ে আসলে আজকে কি আরো বেশী কামাতে পারতেন?

২০১৬ সালের ঢাকা জঙ্গি এটাকের একাধিক ছাত্র অমন ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল থেকে আসা যেখানে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কোন ভালো শিক্ষা দেয়া হয়না। অনেক মাদ্রাসা ছাত্রের মতো এরাও একটা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মধ্যে বাস করে প্রায়ই যেটার ফায়দা তোলে জঙ্গি রিক্রুটার রা।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



টেকনোলোজী, সায়েন্স ও উচ্চশিক্ষার জন্য ভালো ইংরেজী জানতে হয়; ব্যাচেলর অবধিও ভালো কিছু পড়তে হলে ভালো ইংরেজী জানতে হয়; ইংরেজী না জানার ফলে, আমাদের অর্থনীতি, ফাইন্যন্স, সায়েন্স ও টেকনোলোজী এত পেছনে পড়ে আছে।

২৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কোন বংশে যদি মাদ্রাসা পড়ুয়া এক জন আলেম থাকে তাহলে সাত পুরুষ বিনা হিসাবে বেহেশতে যাবে ।
আমাদের সমাজে এই ধারণাটি খুবই কঠিন ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে ।

তাই সবাই চায় অন্তত একটা সন্তানকে কুরবানী দিয়ে হলেও মাদ্রাসায় পড়াবেন।

১৩ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মৃত্যুর পর আর কোন কার্যকলাপ নেই।

২৫| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাভাষায় যেসব বই আছে, সেব কোনো মানুষ একজীবনে পড়ে শেষ করতে পারবে না।
বাংলায় বিজ্ঞান ও কারিগরির বই নাই, একথা আপনাকে কে বলেছে?
না জেনে কথা বলা বোকামী।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলায় কারিগরীর যেসব বই আছে, সেগুলো পড়ে আপনি মাটির হাঁড়ি কলসী বানাতে পারবেন, টিকা বানানো যাবে না।

২৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

লেখক বলেছেন:

বাংলায় কারিগরীর যেসব বই আছে, সেগুলো পড়ে আপনি মাটির হাঁড়ি কলসী বানাতে পারবেন, টিকা বানানো যাবে না।

টেকন্যিাল বিষয়গুলো যেমন গণিত, বিজ্ঞান প্রাথমিক স্তর থেকেই ইংরেজিতে পড়ানো উচিত।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের মানুষ দক্ষতার অভাবে চলমান সায়েন্স ও টেকনোলোজীর উপর লিখিত পেপারসুহ অনুবাদ করতে পারেন না।

২৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৭:৩৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের মধ্যে সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা এখনো রয়ে গেছে অনেক প্রকটভাবেই। হতদরিদ্র শিশুকিশোরদের দায়িত্ব রাষ্ট্র বা সমাজ নেয় না বলেই অনেকে এদের যুগের সাথে সামঞ্জস্যহীন শিক্ষা নিতে বাধ্য করে। এই সকল হিপোক্রেটরা নিজেদের সন্তানদের না পাঠিয়ে এই সকল অসহায়দের এমন শিক্ষা ব্যবস্থায় নেয়ার সুপারিশ করেন যা পরিশেষে তাদের সম্পূর্ণভাবে আর্থিক সাহায্য সহায়তা নির্ভর পেশায় জড়িত হতে বাধ্য করে।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমাদের মধ্যে সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা এখনো রয়ে গেছে অনেক প্রকটভাবেই। "

-আমাদের মাঝে কেহ কি সমাজতন্ত্র বুঝতেন? মওলানা যেটা বলতেন সেটা ছিলো মানুষের প্রাকৃতিক ও মানবিক-তন্ত্র, যার সাথে সমাজতন্ত্রের মিল আছে।

বাংলাদেশের কেহ চাহে না যে, অন্য পরিবারের বাচ্চারা পড়ালেখায় তার বাচ্চাদের কাছাকাছি আসুক।

২৮| ১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি কি চান মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করে দিতে?
কিন্তু এটাতো কোন মানুষের হাতে নেই কারণ
কেয়ামতের আগ পর্যন্ত মহান আল্লাহ রব্বুল এর
পরিচালনার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।
কোরআন বুঝতে হলে আলেম হতে হবে। আলেম হওয়ার জন্য মাদ্রাসার প্রয়োজন।
কারণ, মাদ্রাসাতে কোরআন-হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হয়। কাজেই একজন
মুসলমানের জন্য, মুসলমানিত্ব রক্ষা করার জন্য মাদ্রাসার বিকল্প নেই।
আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য;
অন্য কোনো কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি।

১৪ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার বাচ্ছাদের মাদ্রাসায় পড়ায়েছেন?

২৯| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩০

অনল চৌধুরী বলেছেন: পূর্ব-ইউরোপ-চীন-জাপান-কোরিয়া নিজেদের ভাষায় পারলেও আপনি যে মানসিকতার অধিকারী, সেধরণের বাক্তিদের জন্যই যে ভাষা-আন্দোলনের ৭০ বছর পরও সর্বক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার করা যাচ্ছে না, সেটা কি বোঝেন?

কোনো সভ্য জাতি গোলামীর সূত্রে পাওয়া ভাষা নিয়ে এতো আনুগত্য দেখা য় না। ইংরেজরা খাবার খোজে না আসলেই এদেশে ইংরেজীভক্ত দালাল শ্রেণীর সৃষ্টি হতো না।

বাংলাদেশের কেহ চাহে না যে, অন্য পরিবারের বাচ্চারা পড়ালেখায় তার বাচ্চাদের কাছাকাছি আসুক-শুধু সন্তানদের শিক্ষা না, সবক্ষেত্রেই বাঙ্গালী পরশ্রীকাতরতায় পৃথিবী সেরা।

১৫ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




মনে হচ্ছে, আপনি সায়েন্স বা টেকনোলোজীর মানুষ নন, কম শিক্ষিতদের মাঝে, বিনা প্রতিযোগীয় সোজা কিছু করে জীবিকা নির্বাহ করতে সমর্থ হয়েছেন, বিশ্ব কোনদিকে যাচ্ছে উহার খবর নেই।

৩০| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:২০

জাহিদ হাসান বলেছেন: খবরটা দেখেছেন? সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে ছবি তুলতে আসা লোকদের লাঠিপেটা করেছেন মামুনুল হক ! মাদরাসায় শিশুদের লাঠিপেটা করে এদের হাত এতই পেকে গেছে যে এবার জনগনকে লাঠিপেটা করা শুরু করেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো আমাদের সমাজকে ভেঁড়ার পালে পরিণত করছে।

৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: বিশ্ব কোনদিকে যাচ্ছে উহার খবর নেই- আপনার কাছে ঐ কলার মতো বিশ্ব মানে সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা, যেমন কূয়ার ব্যাং-এর কাছে কূয়া।
চীনের চেয়ে কারিগরি ও প্রকৌশল-প্রযুক্তিতে উন্নত কোন দেশ?
সেখানে গিয়ে ইংরেজী ঝেড়ে দেখেন, হোয়াংহো নদীতে ফেলে দেবে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পড়ালেখা কিসে আমি জানি না, আপনি যদি মাষ্টার্স করে থাকে কোন সাবজেক্টে আপনাকে অভিনন্দন; কিন্তু আপনি নিজকে পরিচায় দেন, ফিলোসোপার হিসেবে। আপনার সমান ডিগ্রিধারী একজন চাইনীজের সমান পরিমাণ আপনার অবদান আছে কোন পেশায়?

৩২| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১০

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি একটা চশমার উপরে আরেকটা চশমা পড় ব্লগে আমার সব লেখা আর গুগল খূজে বইগুলি পড়েন।
তাহলে আমার অবদান সম্পর্কে জানবেন।

শিক্ষা মানে কি সেটা আগে জানেন। শিক্ষা মানে প্রতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না, এর মানে হলো জ্ঞান অর্জন এবং অর্জিত জ্ঞানকে মানুষের কাজে লাগানো।


তারপরও যখন জানতে চান, আমার এমএ ডিগ্রি দুইটা এবং এছাড়াও আমি আইনেও ডিগ্রিধারী।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো, আপনি আইন বুঝেন। বাকী ২টি ডিগ্রী কোন কোন বিষয়ে?

কারো পড়ালেখার বিষয় জানলে, বুঝা যায়, উনার সাথে আলাপ করার সময় কমন-আন্ডারষ্টান্ডিং কি কি থাকবে ।

আপনি যদি ম্যানেজমেন্টে পিএইচডি করেন, আর কোনরান শরীফের উপর বই লেখেন, উহা কিছুটা অস্বাভাবিক দেখাবে, কি বলেন?

৩৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:৪৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি মাদ্রাসা শিক্ষার বিরোধিতা করলেও কথা বলছেন আদর্শ মাদ্রাসা শিক্ষক ও ছাত্রদের মতোই, যারা মনে করে, প্রতিষ্ঠানে না গেলে বা নির্দিষ্ট পাঠ্যবিষয়ের বাইরে কেউ জ্ঞান অর্জন করতে পারে না।
অথচ বেশীরভাগ লোকই তার বিষয়ের বাইররে বিষয় নিয়ে বেশী আলোচনা করে।
আপনি যতো বিষয়ে নিয়ে লেখেন, সব বিষয় নিয়ে কি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিয়েছেন ?
আমার একটা এমএ ইতিহাসে, অন্যটা চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমে।
কিন্ত রাজনীতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ভুগোল, সমরবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান-এসব আমার বিষয় না হলেও এগুলি নিয়েই বেশী লেখা হয়।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৩:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানলাম, আপনার সম্পর্কে আইডিয়া আরো বাড়লো, এটুকুই। আমি ইন্জিনিয়ার, এটাই আমার বেসিক লেখাপড়া, বাকীগুলো এটার আলোকে।

আমি কোন মৌলিক বিষয়ে লিখি না; আমি চলমান বিষয়ের উপর নিজের মতামত জানাই।

৩৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০০

নতুন বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনি কি চান মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করে দিতে?
কিন্তু এটাতো কোন মানুষের হাতে নেই কারণ
কেয়ামতের আগ পর্যন্ত মহান আল্লাহ রব্বুল এর
পরিচালনার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন।
কোরআন বুঝতে হলে আলেম হতে হবে। আলেম হওয়ার জন্য মাদ্রাসার প্রয়োজন।
কারণ, মাদ্রাসাতে কোরআন-হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া হয়। কাজেই একজন
মুসলমানের জন্য, মুসলমানিত্ব রক্ষা করার জন্য মাদ্রাসার বিকল্প নেই।
আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য;
অন্য কোনো কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি।


আপনি কি নিজের সন্তানদের মাদ্রায়ায় পড়িয়েছেন?
আপনার সন্তানদের আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য;
অন্য কোনো কাজের জন্য সৃষ্টি করেননি, তাদের যদি মাদ্রাসায় পড়িয়ে কোরান-হাদিসের জ্ঞান না দেন তবে সেটা কি ঠিক?

৩৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪১

নজসু বলেছেন:




বাংলাদেশে এখন কোন শিক্ষা ব্যবস্থাই চালু নাই।
হীরক রাজার প্রজা হবো আমরা। :D :D :D

১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ পরিবার পড়ালেখা ব্যতিত ভালো করেছিলো, জিয়া পরিবারও তাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.