নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় ও সামাজিক সমস্যগুলোকে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ভাবুন।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:১৪



জাতীয় সমস্যা, নাগরিক অধিকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, দারিদ্রতা মোচন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সমস্যা, ইত্যাদি নিয়ে কথা বলার সময় শিক্ষিত, সচেতন নাগরিক হিসেবে কথা বলুন; এগুলো দেশ ও জাতির সমস্যা; এগুলোর সাথে ধর্মকে মিশায়ে লাভ নেই; ধর্মে এগুলোর সমাধান নেই; আমরা আধুনিক সভ্যতায় বাস করছি, এগুলো আধুনিক মানুষের জীবনযাত্রার অংশ; এসব সমস্যা ও এগুলোর সমাধান আধুনিক ভাবনার মাঝে নিহিত, ধর্মে এগুলোর সমাধান নেই; এগুলোতে নবী,রাসুলদের টেনে এনে কোন লাভ নেই, উনারা এসব বিষয়গুলো এই লেভেলে দেখেননি, এগুলো নিয়ে বর্তমান লেভেলে ভাবার সুযোগ উনারা পাননি, উনাদের শিক্ষা ইত্যাদি এগুলোর সমাধান দিতে পারবে না।

সময়ের সাথে সভ্যতা বদলাচ্ছে, বিশেষ করে কম্প্যুটিং মানব সভ্যতাকে ভয়ংকর গতি দিয়েছে; ফরাসী বিপ্লব থেকে সভ্যতা যেই গতিতে ২য় বিশ্বযুদ্ধ অবধি এসেছিলো, ইহা মানব সমাজের জন্য ছিলো বিস্ময়; কিন্তু কম্প্যুটার আজকে যেই গতি দিয়েছে উহা একসময় ছিলো কল্পনাতীত; এখন ৫ বছরে টেকনোলোজী ও জীবনযাত্রা যেভাবে বদলাচ্ছে, উহা আগে ৫০ কিংবা ১০০ বছরেও সম্ভব হতো না। টিকার কথা ভাবুন, ৬/৭ মাসে যেই টিকা বের করেছে, ইহা করতে গত শতাব্দীতে ২৫/৩০ বছর লেগে যেতো। আধুনিক বিশ্ব ও আজকের জীবনযাত্রা নিয়ে কথা বলার সময় আজকের টেকনোলোজী ও মানুষের লব্ধজ্ঞানের আলোকেই বলতে হবে।

ইউরোপ, আমেরিকার মানুষজন আধুনিক সভ্যতাকে ইহার নিজস্ব গতিতে চলতে দিচ্ছে; উহাকে ধর্মের দখলে আনতে চেষ্টা করছে না; তারা জানে যে, ধর্ম ইহাকে ধারণ করে রাখতে পারবে না, এবং ধর্ম ইহার সাথে অকারণ প্রতিযোগীতায় নেমে জয়ী হতে পারবে না, বরং নিজের স্বকীয়তা হারায়ে হাইব্রীড আকার ধারণ করতে পারে। আমাদেরকেও একই নীতি অনুসরণ করতে হবে, সবকিছুতে ধর্ম টেনে আনলে, ধর্ম নিজের আকৃতি ও প্রকৃতি হারিয়ে নতুন কিছু একটাতে পরিণত হতে পারে।

আধুনিক মানুষ, আধুনিক জাতিগুলো জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে; জ্ঞানভিত্তিক সমাজ মানুষের লজিক্যাল ভাবনা ও লব্ধজ্ঞানের ফসল; সেখানে মানুষ সামাজিক,রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সায়েন্টিফিক ও টেকনোলোজিক্যাল ভাবনার সমন্ময়ে বিবিধ মডেল করে সেগুলো নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন; আমাদেরকেও বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অতি সংক্ষেপে অসাধারণ সুন্দর বক্তব্য তুলে ধরেছেন।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু ব্লগার লজিক, সায়েন্স ও টেকনোলিজীর ধারে কাছে না গিয়ে, সবকিছুতে ধর্মকে টেনে হয়রাণ হয়ে যাচ্ছেন।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ধর্মপ্রচারকগণ এখন ফেসবুক টিকটক লাইকিতে ধর্ম প্রচার কাজ করছেন। ভবিষ্যতে ধর্মের রেফারেন্স হিসেবে ফেসবুক লাইকি টিকটক ব্যবহৃত হতে পারে।

১৬ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেশ কিছু সংখ্যাক ব্লগার বর্তমান সভ্যতাকে সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারছেন না, কোনটা ধর্মীয় ব্যাপার, কোনটা সভ্যতার ব্যাপার কিছুতেই আলাদা করতে পারছেন না।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট পোষ্ট। কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ন কথা বলেছেন।
এক শ্রেনীর মানুষ সব কিছুতেই ধর্ম নিয়ে আসে। তারা বুঝে না দেশ, সমাজ, বাজার, পরিবার ধর্মে রহিসাবে চলে না। মধ্যপ্রাচ্য দেশ গুলোর করুন অবস্থা ধর্মের কারনে। শুধু মাত্র দুবাই ধর্মকে একপাশে সরিয়ে রাখরে পেরেছে বলেই আজ তারা উন্নত।
কাজেই আসল উন্নয়ন করতে হলে ধর্মকে ভুলে যেতে হবে। ধর্ম সকল ভালো কাজের বাঁধা।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকের বিশ্বের সমস্যাগুলো ২/৩ হাজার আগের মানুষকল্পনাও করতে পারেনি;আজকের টেকনোলোজী মাত্র ২০০ বছর আগের মানুষ কল্পনা করতে পারেননি। আজকের সমাস্যা ও সমাধান আজকের মানুষের হাতে।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: একজন ব্লগার যে বহু আগে মারা যাওয়া, কবরে শুয়ে থাকা মৃত মানুষদের কাছে যেয়ে উনাদের কাছে চাইতে, হাত পাততে বুদ্ধি দিচ্ছেন সেটা দেখেছেন?
এইদেশে এখন সবচেয়ে রমরমা ব্যবসা হলো মাজার ব্যবসা আর ওয়াজ মাহফিলের ব্যবসা।
পয়সা নিয়ে দ্বীন নিয়ে ব্যবসা করার অনুমতি এদের কে দিয়েছে আর কবর পাকা করে লালসালুর ব্যবসা করার সুযোগ কেন পাচ্ছে সেটা ভালোমতো দেখা দরকার।
এরা দুই দলই পুরোপুরি ভণ্ড।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকার মানুষের জীবিকা ও বাকী নাগরিক অধিকারগুলোকে স্বীকারই করে না ঠিক মতো; এতে করে দেশে এনার্খির সৃষ্টি হয়েছে: মানুষ নিজের ইচ্ছা তো যা পারছে তাই করছে, মানুষ সন্মানজনক জীবিকার সিকিউরিটি পাচ্ছে না।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে এইধরণের বেআইনি ব্যবসা একমাত্র সরকারের পক্ষেই বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু কোন অজানা কারণে সরকার যতই বদল হোক এরা ঠিকই সার্পোট পাচ্ছে। এই সার্পোট যেভাবেই হোক আসা বন্ধ করতে হবে।
শুভ রাত্রী।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার অনেকটা কলোনিয়েল সরকারের মতো ঝুলে আছে; প্রশাসনকে বেতন, ভাতা ও সুযোগ দিচ্ছে, ব্যবসায়ীদের লালন পালন করছে; বাকীরা নিজ চেষ্টায় উঁচু শ্রেণীর সার্ভিস করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ কর; ফলে, নীচের লেভেলে কি হচ্ছে, সেটা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:২৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি যে সমস্যা গুলোর কথা বলছেন ধর্মে এই সমস্যা গুলোর সমাধান নাই ঠিক আছে।কিন্তু প্রতিটা সমস্যার সাথে ধর্মীয় ভাব ধারার লোকজন জড়িত এবং তারা নিজেরাও একটা সমস্যা।তাই সমস্যা সমাধানের কথা বলার সাথে সথে ধর্মের অশারতাও প্রমান করতে হবে।ধর্ম যে সমাধান দিতে পারে না এটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম ইউরোপ আমেরিকায় সবচেয়ে শক্তিশালী; ক্যাথলিক ফান্ডগুলো ১/২টা বাংলাদেশে কিনতে পারবে; কিন্তু ওরা শিক্ষিত, জাতী ও দেশের বেলায় তাদের জন্য সংবিধানই বড়। আমাদের দেশে ধর্ম আছে মরা অবস্হায়, সমাজও আছে মরা অবস্হায়। এরা দীর্ঘ সময় বেকুবী জীবন যাপন করবে।

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষদের কান মলে দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে- ওরে বেকুব, সামনে আগা ! :|

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শতকরা ৬০জনের কানই নেই, চিলে নিয়ে গেছে।

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৪২

জাহিদ হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন:কিছু ব্লগার লজিক, সায়েন্স ও টেকনোলিজীর ধারে কাছে না গিয়ে, সবকিছুতে ধর্মকে টেনে হয়রাণ হয়ে যাচ্ছেন।
ভুল বলেছেন। শুধু কিছু ব্লগার নয়, পুরো জাতিরই এখন এই অবস্থা। সব কিছুর সাথে ধর্ম মেশাচ্ছে, সব কিছুতে ধর্ম টেনে হয়রান হয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন পরে পরে অমুক-তমুক বয়কট, অমুক তমুক দাবী নিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে দেখছেন না?

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




যেই ছেলে ফিজিক্স, অংক, কেমেষ্ট্রীতে ভালো, তাকে ধর্মের উপর ৭ দিনের প্রস্তুতি পরীক্ষা দিতে দিলে সে শতকরা ৮০ ভাগের বেশী নম্বর পাবে। আর্টস'এর কোন ছেলেকে ৭ দিনের প্রষ্তুতি নিয়ে ফিজিক্স পরীক্ষা দিতে দিলে সে ৮ নম্বর পাবে।

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:৫২

স্থিতধী বলেছেন: একটা বিপুল সঙ্খ্যাক জনগোষ্ঠীর সাথে ধর্ম তাঁর সাংস্কৃতিক আর আবেগীয় বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে প্রবলভাবেই বেঁচে থাকে । জ্ঞান-বিজ্ঞান একদিকে রকেটের গতিতে এগিয়ে গেলে পরে ধর্মকে সহজে এক কোনায় ফেলে রেখে আসা যায়না সেকারনেই । তাই বিবর্তিত হওয়াটা ধর্মের নিয়তি যতই সেটা অনেকের অপছন্দ হোক । আজকের দুনিয়াতে যে কোন কিছু যখন সময়ের সাথে কিছুটা হলেও বিবর্তিত হতে চায়না তখন তা সমাজের জন্য মাথাব্যাথার ও ক্ষতির কারন হয় প্রায় ই । পশ্চিমে গ্যালিলিও ধর্মীয় পাদ্রী সমাজকে একটা ধাক্কা দিতে পেরেছিলেন; পাদ্রীরা ও বুঝেছিলেন যে বিজ্ঞানকে ঘাটিয়ে বা বাধা দিয়ে আর লাভ নাই; তাঁরা বরং ধর্ম কেই সমসাময়িক মানুষের কল্যাণে সাধ্যমত ব্যাবহারের কাজে ব্যাস্ত হল। রাষ্ট্রক্ষমতা কে একে অন্যের বিরুদ্ধে লাগানোর প্রবণতা হারাতে থাকলো।

এই সামাজিক উত্তরণটাই আমাদের রাজনীতিবিদ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট লোকেরা ঘটাতে দিচ্ছেন না । কারন এই উত্তরণটা হোক সেটাই তাঁরা চান না। এখানে আমরা প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, আমাদের শিক্ষা প্রগতি সবকিছু ভেস্তে যাচ্ছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক

১০| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কাজেই এটা পরিস্কার- ধর্ম সব কিছু পেছনে টেনে ধরে রেখেছে।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



যত শিক্ষিত লোকজন ধর্মের কথা বলেন, ওদের সব ধরণের ভাবনাই মোটামুটি অকেজো টাইপের।

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ১০:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সমাজে চলমান কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



দরিদ্র মুসলমান ও হিন্দুরা ধর্ম দ্বারা উপকৃত হতে পারবে না; ধর্ম তাদেরকে বাস্তব জীবনকে বুঝতে সাহায্য করছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.