![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
হিসেব মতে, আসল মুক্তিযোদ্ধা ৫০/৬০ হাজার বেঁচে থাকার কথা; সরকারী হিসেবে, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছে; এতে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। ঢাকার মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা ৯০/৯৫ ভাগ ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অবশ্য, দেশের বিবিধ এলাকা থেকে কিছু আসল মুক্তিযোদ্ধা ঢাকায় এসেছিলো চাকুরী বাকুরীর কারণে, এখন উনারা ওখানে আছেন, অনেক নেই, উনাদের অনেকের পরিবার থাকতে পারে। কিন্তু যারা ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে দাবী করেন, তাদের ৯০ ভাগই ভুয়া হওয়ার কথা; কারণ, ঢাকা ৯ মাস পাকীদের অধীনে ছিলো, এবং ঢাকা ছিলো ২ নং সেক্টরের অধীনে; ২ নং সেক্টর ছিলো খুবই দুর্বল সেক্টর: ওখানে সামান্য সংখ্যক মানুষকে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে, সবাইকে দেশের ভেতরে পাঠানোও সম্ভব হয়নি।
আসল মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ বয়সের কারণে প্রাকৃতিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা এত বয়স্ক যে, তাঁদের বড় কোন কিছু করার ইচ্ছা কিংবা ক্ষমতা নেই। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, এরা এখনো খুবই একটিভ, এরা সবকিছু থেকে লাভবান হয়েছে ও এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে।
যুদ্ধে গেছে, ভারতে ট্রেনিং নিয়েছিলো, কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়া অবধি দেশে প্রবেশ করেনি এই রকম মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ২৫/৩০ হাজার, এরা ছিলো ছাত্র; এদের বড় অংশ এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে আছে; এদের থেকে সেক্রেটারী হয়েছে, এদর অনেকে প্রশাসনে চাকুরী করেছে, এদের ছেলেমেয়েরা দুনিয়ার সুবিধা পেয়েছে; সুবিধা পেতে পেতে এদের লজ্জাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এরা জানে যে, তাদের পিতা মুক্তিযোদ্ধা, বড়াই করতে করতে এরা সীমার বাহিরে চলে গেছে। এদের জ্বালাতনেই বাচ্চা রাজাকার নুরুমিয়া ডাকসুতে জিতে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সবচেয়ে বড় অংশ ছিলো ইপিআর, কৃষকের ছেলে ও গ্রামের ছাত্র; এদের ছেলেমেয়েরা কোন সুযোগ ইত্যাদি নিতে পারেনি, সুযোগ যে আছে, তাও জানতেন না; এদের অনেকের পড়ালেখা ছিলো না, সুযোগ থাকলেও নেয়ার মতো অবস্হা ছিলো না। ব্লগারদের মাঝেও মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী থাকতে পারেন, অসুবিধা নেই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, ১০০ ভাগ ভুয়া।
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৫
স্থিতধী বলেছেন: নির্লজ্জ ভন্ডের তো অভাব নাই আমাদের দেশে । ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারো তাই অভাব নাই ।
সেদিন আপনার মূল নামটা বললাম আব্বাকে । বলামাত্রই চিনে ফেললো। বললেন বেশকবার নাকি নানা বিষয়ে তর্ক করেছেন আপনার সাথে, আপনি নাকি বেশ তর্কবাজ মানুষ।
আপনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকের অনেক অনুরোধের পরেও তেমন কিছুই লেখেননা ব্লগে । অনিল মুখার্জি বা ফেনী-চিটাগাং অঞ্চলের যুদ্ধ নিয়ে কিছু অন্তত লেখা লিখুন ব্লগে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমি বই লিখলে, আমাকে দেশে থাকতে দেবে না অনেকেই; দেশে যাওয়া আসা বন্ধ হয়ে যাবে; ব্লগে লেখার তেমন অর্থ নেই।
আপনারা কোন এলাকার লোক?
৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২৮
আল ইফরান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে আমার পিতার জীবনের হিসেব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। সেই গোলমেলে হিসাব উনি দীর্ঘ ৩৫ বছর কেরানিগিরি করে মেলানোর চেস্টা করেছেন, ফলাফল শুন্য। আমার বাবার যে সহযোদ্ধারা মায়ের কাছে ফিরে আসার সৌভাগ্য পেয়েছিলেন, দুর্ভাগ্য তাদের জীবনকে প্রতিমুহূর্তে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে [স্বচক্ষে দেখা জীবনের ক্লাক্তিকর ঘানি টেনে টেনে (বাজারে চায়ের দোকান, ভ্যান চালানো অথবা দিনমজুরি করে) তাদের অধিকাংশই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন]। বাবা-মায়ের চাকুরির সুবাদে অন্য জেলায় থাকতে হয়েছে এবং সেখানেও দেখেছি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের লম্বা তালিকা (আমি যেই এলাকার কথা বলছি সেখানে আদৌ কোন যুদ্ধ হয়নি কৌশলগত কারনে পাকিরা অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায়)।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেই পরিমাণ যুদ্ধ হয়েছে, এতে ২২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ হারায়েছেন। এটা ছিলো আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, আমাদের দরকার ছিলো, আমাদের দেশ থেকে পাকীদের তাড়ানো, তাদের পরাজিত করা; অকারণ যুদ্ধ করে কিছু যায়গায় ভুল করা হয়েছে, বেশী প্রান গেছে; এটা ছিলো স্নায়ুযুদ্ধ, ওরা যেন পালিয়ে যায়।
একটা উদাহরণ হলো, ফেনী থেকে রামগড়, পুরো বর্ডার এলাকায় পাকীরা যেন কোথায়ও বাংকার করে স্হায়ী হতে না পারে, তারা বাংকার করার চেষ্টা করলেই আর্টিলারীর আক্রমণ চালানো হয়েছে; বর্ডারে পাকিরা হতাশায় ডুবে গিয়েছিলো।
৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, দেশে ৫০/৬০ হাজারের বেশী মুক্তিযোদ্ধা নেই।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেটাই আমার হিসাব
৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: এদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শ্রদ্ধার ব্যাপারটা, নিজের থেকে উপরে দেখতে চায় না ৬০ ভাগ মানুষ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেখানে শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহেব মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব ও অবদান বুঝেননি, সেখানে মফিজ, চোরদোর সেক্রেটারী ও চোরাকারবারী আবুল কি কারণে তাঁদের সন্মান করবেন!
গরীব পরিবারের লোকজন যুদ্ধে বেশী যাওয়ায়, অন্যেরা ধরে নিয়েছে যে, যুদ্ধ করাটা গরীবদেরই দায়িত্ব ছিলো।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য সম্মান এখন দিতে চাইলে কি করতে হবে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সময় শেষ হয়ে গেছে।
যাঁদের স্বাস্হ্য ভালো, তাঁদেরকে দেশের বর্তামন সমস্যা সমাধানের জন্য একটা সংস্হা খুলে চাকুরী দিয়ে দেখতে পারেন, তাঁরা শক্তিশালী একটা ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্হা গড়ে তুলতে পারেন কিনা; যেমন ফরমালিন ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করা, ভুমিদস্যুদের থামানো, কোর্টে সঠিক বিচার পাওয়া, যানবাহনে মাফিয়াদের থামানো, গ্রাম প্রশাসনে গরীবদের জন্য সরকারী সাহায্যের চুরি রোধ করা, ইত্যাদি।
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: অনেকটা এক্সপেরিমেন্ট করার মত মনে হচ্ছে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা কাজ না করে গড়ে ১০/১৫ হাজার টাকা পাচ্ছে, আর সামান্য টাকা দিয়ে সবাইকে কাজে ডাকা কি বুদ্ধিমানের কাজ, নাকি অপচয়?
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: যারা কাজ পাবে না তাদের কি হবে?
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাঁদের কিছু হবে না; এঁরা তো দেশ গঠনে কোনদিন চাকুরী/সুযোগ পাননি।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৩
রানার ব্লগ বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধা কখনোই সুবিধা ভিক্ষা চাইতে পারে না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কোন মুক্তিযোদ্ধা চেয়েছেন বলে আমার মনে হয় না; বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চোর ডাকাতেরা নিজ নিজ দল থেকে সার্টিফিকেট কিনে ডাকাতী চালাচ্ছে।
১০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যদি “আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” বলে চিৎকার করেন, তাহলে বুঝতে হবে তাঁর পারিবারিক শিক্ষাদীক্ষায় ঘাটতি রয়ে গেছে।
এটা তাঁর বুদ্ধিবিবেচনার ঘাটতিরও লক্ষণ; কারণ, এভাবে তিনি যে তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পিতার জন্য বিব্রতকর, এমনকি অপমানজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
২০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
হতে পারে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার ছেলে
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঘটনাচক্রে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে সামান্য আলাপ করার সুযোগ হয়েছিল 2013 সালের প্রথম দিকে।
তার কথাবার্তায় মনে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তিনি খুবই খুশি ।
আমি তাকে এর কারন জিজ্ঞাসা করলে তিনি এর কোনও সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই।
২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওগুলো ভুয়া।
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আসল মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ বয়সের কারণে প্রাকৃতিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরা এত বয়স্ক যে, তাঁদের বড় কোন কিছু করার ইচ্ছা কিংবা ক্ষমতা নেই। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, এরা এখনো খুবই একটিভ, এরা সবকিছু থেকে লাভবান হয়েছে ও এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছে।
............................................................................................................................
বক্তব্যর সাথে ৯০% সহমত ! তবে কিছু ব্যতিক্রম ও আছে,
এমন কিছু পরিবার আছে , তারা আমাদের বেহায়আপনা দেখে
মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দেয় না ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজনকে চিনি, তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন। প্রতিমাসে দশ কেজি তেল, ডাল আরও কি কি যেন পান। আমারে ধারনা সে মুক্তিযোদ্ধা নয়। কারন লোকটা ভন্ড এবং নারীঘেষা।
অনেক মুক্তিযোদ্ধা কে দেখি, কোটে একটা ব্যাচ লাগিয়ে সরকারি অফিসে ঘোরাঘুরি করে। তারা চিৎকার করে বলেন, আমার কাজ আগে করে দিন। হেন তেন আরো অনেক কথা। তাদের চোখে লোভ চকচক করতে দেখেছি।
টিসিবি তে দেখেছি তেল ডাল ইত্যাদি নিতে গিয়েছে। কিন্তু সে লাইনে দাঁড়াবে না। কারন সে দাবী করছে সে মুক্তিযোদ্ধা। বিরাট ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছে।