নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাঝেমাঝে ছোটখাট প্রতি-আক্রমণের দরকার হয়

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০১



এক:
আমি নিউইয়র্ক শহরে কাজ করার সময় সাবওয়ে ট্রেনে যাওয়াআসা করতাম, ট্রেনে ছোটখাট এটাসেটা ঘটে থাকে; ইহা ১ দিনের ছোটখাট একটা ঘটনা:

কাজ থেকে ফিরছি, ট্রেনে মোটামুটি ভীড়; দরজার কাছে দাঁড়ানোর জয়গা পেলাম; সামনে একটি আফ্রিকান আমেরিকান মেয়ে, স্মার্ট-ফোনে বুমবাম যুদ্ধ-যুদ্ধ গেইম খেলছে; আওয়াজও হচ্ছে, সিনারিও বদলাচ্ছে ঘনঘন; দেখতে না চাইলেও চোখ চলে যায় স্ক্রীনের দিকে; আমি অনেকটা বেখেয়ালভাবেই দেখছি। কিছুক্ষণ পরে, সে খেলা বন্ধ করে ই-মেইল চেক করছে; অভ্যাসবশত: আমার চোখ তার ফোনের স্ক্রীনেই আছে, ২টি শব্দই চোখে পড়লো ইংরেজীতে, " চুরি করেছ"; মনে হয়, হৃদয় চুরির কথাবার্তা হতে পারে। মেয়েটি ফোন ঘুরায়ে আমাকে প্রশ্ন করলো:
-তুমি আমার ই-মেইল দেখছ?
-হ্যাঁ, দেখছি।
-এটা কমনসেন্স যে, কারো ই-মেইল দেখতে হয় না; তুমি ব্যাকওয়ার্ড ধরণের লোক!
- ভীড়ের মাঝে, আমি তোমার পেছনেই স্হান পেয়েছি, চোখ অবশ্যই বন্ধ করে রাখিনি; আমার মনে হয়, কোথায় কি চুরিদারী করেছ, সেইসব ঘটনা নিয়ে ই-মেইল ইত্যাদি ট্রেনে খোলাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, ট্রেনে আন্ডার-কাভার ডিটেকটিভ মিটেকটিভ থাকে, আমি বললাম।
-তুমি চুরি ইত্যাদির কথা বলছে কেন? ২/১টা শব্দ পড়ে কি পুরো ইমেইলের অর্থ বুঝা যায়?
-২ শব্দ দেখতেই তুমি যেভাবে আক্রমণ করছ, পুরোটা পড়ার সুযোগ পেলাম কোথায়? পুরোটা পড়লে হয়তো তোমার সম্পর্কে ভালো ধারণা হতে পারতো!

দুই:
জ্যাকসন হাইটে ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের স্বর্ণ-দোকানগুলোতে অনেক বাংগালী নারী কাজ করতেন; এঁরা কাষ্টমারদের সাথে বাংলাদেশের মতোই আচরণ করতেন, এটা একজন বাংগালী সেলস-পারসন'এর সাথে আমার ছোট ঘটনা:

আমার পরিচিত এক বাংগালী মহিলা পাকিস্তানী স্বর্ণের দোকান থেকে ১ জোড়া চুড়ি কিনেছেন; ২ মাস পরেই একটার জোড়াটা খুলে গেছে; উনি গিয়েছিলেন বদলায়ে আনতে, বদলায়ে দেয়নি; সেলস-পারসন নাকি বাংগালী মেয়ে। বেচারী আমাকে অনুরোধ করলেন চেস্টা করে দেখতে। দোকানে গেলাম, দেখি ২৩/২৪ বছরের বাংগালী নারী ক্যাশে; আমি অনুরোধ করলাম চুড়িটা বদলায়ে দিতে, রিসিপ্ট দিলাম; উনি বললেন,
-এটা রিপেয়ার করতে হবে, রিপেয়ারের খরচ দিতে হবে।
-২ মাসের ভেতরে ভেংগে গেছে, বদলায়ে নতুন একটা দেন, কিসের আবার খরচ?
-এটা তো আমরা ভাংগিনি, কাস্টমার ভেংগেছে!
-কাস্টমারও ভাংগেনি, এটা ভেংগে গেছে, পঁচা কোয়ালিটি।

বদলায়ে না দিয়ে উনি ভেতর থেকে মালিককে নিয়ে আসলন; মালিককে কি বলেছে কে জানে, মালিক বেশ অফ মুডে; আমার সামনে মহিলা মালিককে বলছে, কাস্টমার ছুড়ি ভেংগেছে, এখন বদল চায়।
আমি মহিলাকে বাংলায় বললাম:
-মালিককে যখন ডেকেই এনেছেন, আপনি চুপ করেন।
-আমি ষ্টোর চালাই।
-সেটা ভালো, চালাতে থাকেন; আপনি এখন কথা কম বললে ভালো হয়, আপনার দাঁতগুলো বেশ অপরিস্কার ও আঁকাবাঁকা, আপনি চুপ করে থাকলে আমি সহজে নিশ্বাস নিতে পারবো।

মহিলা পেছনে সরে গেলেন; পাকী মিয়া আমাকে হাইকোর্ট দেখানোর বৃথা চেস্টা করলো ২/৩ মিনিট; আমি চুপ করে শুনলাম; তারপর বললাম:
-শোন, কথা না বাড়িয়ে বদলায়ে দাও, এসব ব্যাপারে কোথায় যেতে হয়, সেটা আমি জানি; তখন অনেক ধরনের কথা এসে যাবে, কতটা স্বর্ণ, কতটা পিতল বিক্রয় করছ, তুমি নিশ্চয় এসব ঝামেলা চাও না?

লোকটা কথা না বাড়ায়ে একই মডলের আরেকটি চুড়ি বের করে দিয়ে দিলো।




মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব আর নারী কেলেঙ্কারী !!
একটা আর একটার সাথে অঙ্গাঙ্গি
ভাবে যুক্ত থাকে সব সময়। আচ্ছা
আপনার জন্মের সময় কি আপনার
মুখে মধু দেওয়া হয়নি ? সবার সাথে
এমন ঝগড়াটে মুডে থাকেন কেন ?
আমার বিশ্বাস ভাবীর সাথে এমন
ব্যবহার করে তার সুন্দর পৃথিবীটাকে
নরক বানিয়ে রেছেছেন ! আহা বেচারা !!

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি যখন জন্মেছিলাম, আমি প্রথম কি খেয়েছি এগুলো আমার মনে নেই; ধুলোবালোছাই এ'এসব মনে রাখতে পেরেছেন; তবে, তখন আমাদের এলাকায় গাছে টাছে বন্য মধু পাওয়া যেতো। আমি নারীদের বেলায় সহজ থাকি।

২| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:১৭

রক্ত দান বলেছেন: বেশ

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি প্রতি-আক্রমণ চালান তো? ব্লগেও সময় সময় দরকার হয়।

৩| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আমি নারীদের বেলায় সহজ থাকি।

নারীদের বেলায় আপনি সহজ !!জোক অব দ্যা সেঞ্চুরি !! এতদিন
যা লিখেছেন তাতে প্রতিটি নারীর সথে (সে হোক কুমারী কিংবা
বিবাহিতা, সুন্দরী কিংবা কুৎসিত, সুন্দরী অথবা হোৎকা মোটা,
গ্রাম্য অথবা শহুরের আধুনিকা, শিক্ষিতা বা মূর্খ্য, দেশী অথবা
বিদেশী, চাকুরীজীবী অথবা ছাত্রী) সবার সাথেই আপনি ক্যাচালে
জিড়িয়ে পড়েন। নিজের সাথে ঘটা ঘটনার সাথেতো করেনই
উপযাজক হয়ে পরের বিষয় নিয়েও মেয়েদের সাথে ক্যাচাল
করেন। এইজন্যই ওই কুকুরওয়ালী মেয়েটা (যার ,কুকুর
আপনার একশত ডলারের বিলটা আটকে দিয়েছিলো)
আপনাকে লেস হিউমার বলেছে।

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেয়েটা কিছুটা হিউমার অনুভব করায় টাকাটা ফেরত দিয়েছিলো; সে ভুল বুঝেছিলো যে, আমি গাছের ডাল দিয়ে কুকুরকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলাম; আসলে, আমি বরং কুকুরের ভয়ে ডালটা ফেলে দিয়েছিলাম।

৪| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: মাঝে মাঝে এমন প্রতি আক্রমন দরকার এতে সমস্যার সমাধান মেলে।

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহা কাজ করে, ব্লগেও দরকার হয়; আসলে, আমি কয়েকদিন আগে ব্লগে একটু চেষ্টা করে দেখেছি।

৫| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৪

শাহ আজিজ বলেছেন: B-) :-P :-B ভালই দেখাইছেন পাকি শালারে ।

০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকীগুলো চোরের হাড্ডি।

৬| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সাবওয়ে ট্রেনে সিট কি কখনওই পাওয়া যায় না? গাড়ি নিয়ে বের হন না কেন? আমিও আশে পাশে কেউ মোবাইল চালালে চোখ চলে যায়। দেখি। যদিও এটা ঠিক না।

আপনি তর্কে জড়াতে পছন্দ করেন। নিশ্চয়ই বহু বার বিপদে পড়েছেন?

০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মানুষের সাথে আলোচনা/তর্ক চালিয়ে যেতে পারি। নিউইয়র্ক শহরে পার্কিং পাওয়া যায় না, সেজন্য গাড়ী নেয়া অসম্ভব ব্যাপার।

সাবওয়ে ট্রেনে সীট পেলেও বসি না; আমি ৭ বছর সাবওয়ে ট্রেন ও রেগুলার ট্রেনে করে গিয়ে চাকুরী করেছি কখনো বসে যাইনি; পুরো ট্টরেন খালি থাকলেও আমি বসিনি। আমি একটা ট্রেনে ৭/৮ ষ্টেশন অনেক সময় খালি ওয়াগণে আসতাম ( রাতে ), আমি বসতাম না।

৭| ০৯ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৩৪

সিগনেচার নসিব বলেছেন: দারুন অভিজ্ঞতা !! আপনি খুব ভালো কাউন্টার দিতে পারেন।

আপনি দেশের বাহিরে কত বছর ধরে আছেন?
আমেরিকা ছাড়া অন্য কোন দেশে থাকার অভিজ্ঞতা আছে নাকি??
নিতান্তই জানার আগ্রহ থেকে বললাম চাইলে প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন।


অশেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেন।

০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি আমেরিকা, নরওয়ে ও ইতালীতে কাজ করেছি; সবকিছু যোগ করলে, ২০ বছরের কাছাকাছি চাকুরী করেছি।

৮| ০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: ছোট বেলাতে একবার আমাদের বাসায় আসা এক আঙ্কেলের চিঠি আমি খুলে পড়ে ফেলেছিলাম । সেটা দেখে আমার মা আমাকে বলছিল, অন্যের চিঠি পড়া হচ্ছে ইতর শ্রেণীর লোকের কাজ । এরপর থেকে আর কোন দিন এমন কাজ করি নি ।
বাঙালীর ভেতরে এই স্বভাব খুব আছে । অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপার জানা, পড়ার জন্য তারা ব্যকুল হয়ে থাকে । বাসে যদি কেউ মোবাইল বের করে চ্যাট করে, কিংবা কোন কাজ করে মোবাইলে পাশের লোকটা উচি ঝুকি মেরে কিংবা আড় চোখে দেখার চেষ্টা করে । এই স্বভাব প্রায় সব বাঙালীর ভেতরেই আছে । এটা খারাপ স্বভাব । ভাল স্বভাব নয় মোটেও ।

০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



কেহ ফোনে গেই খুললে আমার চোখ চলে যায়; তা'ছাড়া আমি মেয়েদের মুখের দিকে তাকাই, এটা নিয়ে বিবিধ সময়ে কথা হয়েছে, আমি কোন সময় তেমন কোন অসুবিধায় পড়িনি। আমার মা আমাকে তেমন কোন উপদেশ দিতেন না, তিনি জানতেন যে, আমি আমার দায়িত্ব বুঝি।

৯| ০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার আজকের লেখার শিরোনামঃ মাঝেমাঝে ছোটখাট প্রতি-আক্রমণের দরকার হয়

সহমত জানাচ্ছি !! আমিযে মাঝে মধ্যে আপনাকে ছোট বড় প্রতি-আক্রমণ করি
তাতে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? রাগ, অনুরাগ নাকি ক্ষোভ !! নির্ভয়ে ও নিঃসঙ্কোচে
বলতে পারেন।

০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ব্লগিং আমি পছন্দ করি।
হঠাৎ করে আমি খুব একটা রেগে যাই না; তবে, শিক্ষিতদের অপধারণা ইত্যাদির নিয়ে আমি কঠিন কথা বলি।

১০| ০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাকি পাক ফাইলে পাক করে । তাই আপনার ধরা ঠিক আছে

০৯ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকীরা এই দেশে সীল পাওয়া লোকজন।

১১| ০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দারুন

০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাঝে মাঝে লাগতে হয়।

১২| ০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

কুয়ালালামপুরে আমি যেখানে থাকি তার কাছেই এক পাকিস্তানি গাড়ি মেকানিক আছে। আমি তার কাছে মাঝে মাই।

সে অনেক যত্ন নিয়ে গাড়ি ঠিক করে দেয় ।

এখানে যে সমস্ত বাংলাদেশি গাড়ি মেকানিক কাজ করে তাদের সেবা ও নিয়েছি।

তারা এক টাকার জিনিস 10 টাকা রেখেছে । সার্ভিস ও খুব একটা ভালো হয় নাই।

সেই তুলনায় পাকিস্তানের অটোমেকানিক আয়ুব অনেক ভাল সার্ভিস দিয়েছেন।

আমি টুপি দাড়িওয়ালা অনেক বাঙালি মেকানিকের কাছে গিয়েছি। টুপি দাড়ি তাদের লেবাস মাত্র। তাদের কাছে কখনোই সন্তোষজনক সেবা পাইনি।

আমরা বাংলাদেশীরা স্বদেশে থাকি আর প্রবাসেই থাকি আমাদের স্বভাব বদলায় না।

বিশেষ করে বাঙালি পেলে বাঙ্গালী প্রবাসী মেকানিক বা যেকোনো ধরনের ব্যবসায়ী বাঙালিদেরকে ঠকাতে সচেষ্ট থাকে।

আফসোস!


০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকাতে আসা বাংগালী, পাকিস্তানী ও মালয়েশিয়া যাওয়া বাংগালী, পাকিস্তানীদের মাঝে একটা বড় ধরণের গড়মিল আছে: মালয়েশিয়া যাওয়া বাংগালী, পাকিস্তানীদের বেশীর ভাগই খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ।

আমেরিকাতে আসা বাংগালী, পাকিস্তানীদের একাংশ হচ্ছে বড় ধরণের জালিয়াত, এরা পাসপোর্ট-ভিসা জালিয়াতী করে এসেছে, দেশে জালিয়াতী করে আমেরিকা এসেছে।

১৩| ০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আজ থেকে ৭ বছর আগে আমি একবার এক বিরাট শপিং মলের পাকিং এ গাড়ী পার্ক করে বিরাট বিপদে পড়েছিলাম। আমি তখন নতুন চালানো শিখেছি। এমন জায়গায় পার্ক করেছিলাম যেখন থেকে আমার মতো নতুন চালক গাড়ীটি বের করে আনতে পারছিলাম না। অনেক বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আমি খুবই হতাশ হয়ে গেলাম।

কাউকে বলতেও পারছি না। মালয়েশিয়ানরা অত উদার নন। কোন বাঙ্গালীর দেখাও পেলাম না। এমন সময় এক তরুন এসে উর্দু কিংবা হিন্দীতে বললো - তোমার গাড়ী আটকে গেছে?

আমি হিন্দী কিংবা উর্দু কোনটাই খুব একটা বুঝি না। তবু তার কথা শুনে বেশ আশান্বিত হলাম।

তিনি এক মিনিটেরও কম সময়ে গাড়ী চিপা থেকে বের করে দিলেন।

পরে জানতে পারলাম তিনি পাকিস্তানের নাগরিক।

অই তরুণের নাম জিজ্ঞাসা করা হয়নি টেনশনের কারণে। তবে তাকে মনে আছে। অনেক দিন মনে থাকবে।

- বৃক্ষ তোমার নাম কী?
-- ফলে পরিচয়।

০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকাতে বাংগালীদের সামাজিক মেলামেশা পাকিস্তানের লোকদের সাথেই বেশী; আমি একবার ২ জন বয়স্ক পাকিস্তানী মানুষকে সামান্য সাহায্য করেছিলাম; এছাড়া আমি ওদের সাথে তেমন চলি না।

ওহ, এই দেশে জন্ম নেয়া এক পাকিস্তানী ছেলে আমাকে একটা কন্ট্রাক্ট চাকুরী দিয়েছিলো; সে সরকারী বড় চাকুরী করতো; পরে, বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখার জন্য আমাকে ছুটি না দেয়াতে আমি তার কথা অমান্য করে খালা দেখতে চলে যাই, আমাদের মাঝে এনিয়ে তর্ক হয়; সে আমার কন্ট্রাক্ট বাড়াবে না বলে হুমকি দেয়; তখনো বর্তামন কন্ট্রাক্ট আরো ২ মাস ছিলো; আমি পরেরদিন থেকে আর কাজে যাইনি।

১৪| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১১

অনল চৌধুরী বলেছেন: চুরিকে ছুড়ি লিখেছেন।
ভুল সংশোধন করেন।

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধনয়বাদ, ঠিক করে দিয়েছি।

১৫| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩২

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমিও আর টাইপে ভুল করেছি।
চুড়ি হবে।

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



অসুবিধা নেই।

১৬| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: মহিলার দাঁতগুলো কি সত্যই অপরিষ্কার এবং আঁকাবাকা ছিল? নাকি আপনি শুধুই তাকে "প্রতি-আক্রমণে" কাবু করার জন্য এ কথাটি বলেছিলেন?

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার দাঁতে কোন সমস্যা ছিলো না; আমি উনাকে পুরোপুরি অফ করতে গিয়ে একটু খারাপ কৌশল প্রয়োগ করেছিলাম।

১৭| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:২০

কামাল১৮ বলেছেন: দুটি ঘটনাই সাধারন,কিন্তু আপনার সাথে ঘটেছে বলে অসাধারন সমাপ্তি হয়েছে।
আমি কানাডা আসার পর বড়সড় একটা টিভি কিনলাম।প্রায় দুই বছর পর কিভাবে যেন নষ্ট হয়ে গেল।আমার ছোট শালা বললো,ক্যাশ মেমো আছে,আমি মেমো দেখালে ও বলে এক বছরের ওয়ারেন্টি ছিল।ক্যাশে কিনেছিলাম কিনা জিজ্ঞেস করায় ,বললাম ক্রেডিট কার্ডে।ক্রেডিট কার্ডে দুই বছরের ওয়ারেন্টি ছিল।১৫৮০ ডলার,সম্পুর্নটাই ফেরত পেলাম।

০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



পশ্চিম হলো কাষ্টমারদের পক্ষে।

১৮| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: ট্রেনে না বসার কারন কি? খালি থাকলেও কেন বসবেন না?

১০ ই মে, ২০২১ রাত ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাকতে অভ্যস্ত ছিলাম; এটা অভ্যাসের ব্যাপার।

১৯| ১০ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

কালো যাদুকর বলেছেন: কাইন্টার এটাক করার দরকার আছো। বেশ করেছেন
ছাত্র অবস্থায় এক পাকির দোকানে কাজ করতাম। তখন ইনকাম বলতে ঐ একটাই ছিল। একদিন পাকি খারাপ ব্যবহার করল ৷ এরপর আর কাজে যাইনি।
জীবান প্রথম চাকুরীর অফার পেলাম একটি কমপানী থেকে ৷ ইন্টারভিই দিতে গিয়ে জানলাম এই ছোট কোম্পানীটির মালিক এবং আমার ভবিষ্যৎ ম্যানেজার একজন পাকি। আমার হাতে আর কোন জব অকার ছিল না। তবুও আমি চাকুরীর অফার ফিরিয়ে দিয়েছিলাম ৷

মাঝে মাঝে চরম হারউলাইনে যেতেই হয।

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আমেরিকায় জন্মনেয়া এক পাকিস্তানীর অধীনে চাকুরী করেছিলাম; পুরোসময়টা ভালো গিয়েছিলো, কিন্তু একদিন তর্ক হয়েছিলো, আমি আর কাজে যাইনি; কাজটা ছিলো সরকারী।

২০| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাকতে অভ্যস্ত ছিলাম; এটা অভ্যাসের ব্যাপার।

একবার আমার আর্জেন্ট চিটাগাং যাওয়ার দরকার ছিলো। রাতে কমলাওপুর চলে গেলাম। টিকিট নাই। শেষমেশ ট্রেনে উঠে গেলাম। দাঁড়িয়ে যাবো। যদি ভাগ্য ভালো হয় সিট খালি পেলে বসে পড়বো। আমার ভাগ্য খারাপ সিট আর খালি হয় না। দশো জন নামলে দেখা যায় ত্রিশ জন উঠে। সারারাত দাঁড়িয়ে থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়েছিলো।

১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমেরিকায় দুরযাত্রার ট্রেনগুলোতে সব সীট পুর্ণ হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.