নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের আকাশের চির-ধ্রুবতারারা

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৩



বাড়ীর পাশের ছোট মেয়ে সিমোন, সব সময় এটা সেটায় সাহায্য করতো; কলেজে যাবার পর, তাকে অনেকদিন দেখিনি; সে একদিন নিজেই আমাকে দেখতে এলো, এটি সেই কাহিনী।

আইএসসি ১ম পার্ট ফাইনাল শেষ করে, শহর থেকে বাড়ী এলাম সন্ধ্যার দিকে; ফেরার পথে খামারে থেমেছিলাম বুড়োমিয়াকে দেখতে। উনাকে জানালাম, কলেজ ১ মাসের ছুটি; উনি কাপড় গোছাতে লেগে গেলেন, এখুনি নিজের পরিবারকে দেখতে যাবেন।পরদিন ভোরেই বুড়োমিয়া চলে গেলেন; এখন থেকে আগামী ১ মাস খামারের সব দায়িত্ব আমার উপর; রাতে খামারে ঘুমালাম, বৈশাখ মাস, খামারের রজনীগুলো ভয়ানক সুন্দর: তিনদিকে মাঠ, বাতাস বহে , গভীর রাতে শিয়ালের দল মাঠে শামুক খোঁজে, সোস্যালাইজিং করে; রাতের পাখীরা বের হয়।

পরদিন খুব ভোরে বাড়ী গিয়ে নাস্তা করে খামারে এসে গরু, ছাগলগুলোকে মাঠে ছেড়ে দিয়ে, পুকুর পাড়ে বসে নজর রাখলাম; ৩টা বলদ ছিলো খুবই শক্তিশালী, মাঠের অন্য গরুগুলোকে আক্রমণ করে, এগুলোকে চোখে চোখে রাখতে হয়; যাক, আজকে মাঠের এইদিকে কারো গরু আসেনি, ঘাষও প্রচুর। বেলা ১২টার দিকে প্রচন্ড গরমের কারনে গরুগুলো নিজের থেকেই ঘরে ফিরলো, ভালো! আমি পানি খাওয়ায়ে, গামলায় ঘাস দিয়ে ঘরে ঢুকলাম; প্রচন্ড রোদ, অনেক গরম; দুপুরের খাবার খেতে যাবার দরকার; কিন্তু এই রোদে বের হতে ইচ্ছে হলো না। জানালর দিকে মাথা রেখে, চৌকিতে শুয়ে দৈনিক আজাদী পড়ছি; কখন চোখ লেগে এসেছিলো কে জানে! কার পায়ের শব্দে ঘুম ভেংগে গেলো! কে যেন জানালার এপাশ থেকে আস্তে ওপাশে চলে গেলো, পত্রিকার উপর ছায়ার মতো পড়লো!
-বাহিরে কে?
-আমি!
-ভেতরে আয় সিমোন।

সিমোন, আমাদের উত্তর পাশের ২য় বাড়ীর বদি ভাইয়ের মেয়ে; বয়স ১২/১৩ হবে, বয়সের তুলনায় একটু লম্বা গঠনের, বাবাও লম্বাটে; মায়ের মতো সুন্দরী; আমি স্কুলে থাকতে খামারে আমার জন্য খাবার আনতো সব সময়; কাজটা সে নিজের থেকেই নিয়েছিলো; মাকে এটা সেটায় সাহায্য করতো। গত ১ বছর আমি কলেজে, বাড়ী এলে ব্যস্ত, সিমোনের সাথে দেখা হয়নি।

-কিরে সিমোন, কেমন আছিস, অনেকদিন তোকে দেখি না!
-এখন বের হই না; মা বলেছে, আমি বড় হয়ে গেছি!
-তাই? তুই অবশ্য অনেক লম্বা হয়ে গেছিস!
-আর কিছু না?
-তোকে অনেক সুন্দর লাগছে!

-মাঠ থেকে ছাগল নিতে এসেছিলাম, দেখি তুমি খামারে। তোমাকে দেখতে এলাম; তুমি খেয়েছ?
-না, এই গরমে যেতে চাচ্ছি না।
-বরাবরের মতোই অলস তুমি; আমি নিয়ে আসবো!
-এখন থাক, এই রোদে খাবার আনার দরকার নেই, গরমে পুড়ে যাবি; আমি পরে যাবো।
-আসার সময় দেখলাম, পুকুরের উত্তর পাড়ে ২ গাছে কলা পেকে আছে, পাখী অনেকগুলো খেয়ে ফেলেছে। দা আছে ঘরে?
-বুড়োমিয়ার ঘরে দেখ।

সিমোন হাতে দা নিয়ে কলা কেটে আনতে চলে গেলো; পুকুরের উত্তর পাড়টায় দুনিয়ার সাপের বাসা। আমি দৌড় দিয়ে বের হলাম; সে প্রায় উত্তর পাড়ের কাছে; আমি চীৎকার দিয়ে বললাম,
-সিমোন থাম, আমি আসছি; ওখানে সাপ থাকতে পারে।

আমি লাঠি হাতে প্রথমে পাড়ে উঠলাম; কলা ২/১দিন আগেই পেকেছে, বুড়োমিয়া টের পায়নি; ২ জনে মিলে ২ ছড়া কলা ঘরে আনলাম।
দু'জনে বসে খাচ্ছি; আমি ২/৩টা খাাওয়ার সময়, সিমোন ৪/৫টা খেয়ে ফেললো।
-কিরে, তুই এত কলা কিভাবে খাচ্ছিস? পেটে ব্যথা করবে।
-আমি সকাল থেকে কিছু খাইনি; আসলে, কাল রাতেও খাইনি।
-ঘরে কিছু নেই?
-না, আব্বার অসুখ আজ ৪/৫ দিন, কাজকর্ম নেই।
-আমাদের ঘরে যাস নাই কেন?
-এখন শরম লাগে, বড় হয়ে গেছি।
-তুই আবার কিসের বড় হলি! ছাতা নিয়ে যা, খাবার নিয়ে আয়; মাকে বলিস মেহমান আছে ১ জন।

সিমোন ২ জনের খাবার এনেছে; আমার ক্ষুধা নেই, কলা খেয়ে ক্ষুধা চলে গেছে। সিমোন বললো,
-তোমার মেহমান কই?
-মেহমান তুই!
সিমোন অদ্ভুত করে হাসলো।
-তুই খেয়ে নেয়, বাকীটুকু তোর বাবার জন্য নিয়ে যা; কলা খেয়ে আমার পেট ভরে গেছে, কলাও নিয়ে যা যতটুকু পারিস।
-আমিও খেতে পারবো না; কলা বেশী খাওয়াতে পেট ভারী লাগছে; সবটুকু নিয়ে যাই, আব্বা ও আম্মা খাবে।
-বেলা ডুবার আগে আমার জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসিস; মাকে বলিস, মেহমান থাকবে একজন।





-

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার গল্প গুলোতে আবেগ মেশানো আছে। কিছুটা হাহাকারও থাকে।

শিয়াল অতি দুষ্ট প্রানী। এরা সবচেয়ে বেশি মূরগী চুরী করে। সুযোগ পেলে এরা মানূষও কামড়ে মাংস নিয়ে নেয়। শিয়াল গ্রামের কুকুরদের কামড়ে জখম বানিয়ে দেয়।

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



জীবনে কিছু মানুষের স্হান অতি উঁচুতে, এঁরা হৃদয় জুড়ে থাকে সব সময়।

২| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মনে হয় ভয়ডর কম।
রাতে শখ করে কেউ বাইরে থাকে? কত কিছুর ভয়!!!

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রামের রাত্রি এত সুন্দর লাগে আমার কাছে, তা লেখার মতো ভাষা আমার নেই; আমি গভীর রাতে মাঠে হাঁটতাম; এখন শহরে আছি, তরপরও অনেক রাতে হাঁটি।

৩| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। সিমোনের সাথে কি ভাষায় কথা বলতেন? আঞ্চলিক?

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



স্হানীয় ভাষা, চিটাগং'এর ভাষা।
ধারণাটুকুকে প্রকাশ করতে পেরেছি?

৪| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:১৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কিছু গদ্য লেখেন; আপনি মন খারাপ করিয়েন না, আপনার বেশীরভাগ কবিতাই অনেকটা একই রকম হয়ে যাচ্ছে।

৫| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: অবশ্যই। ধারনা সঠিকভাবেই প্রকাশিত হয়েছে।

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, সামুতে আজকাল ফিডব্যাক পাওয়া মুশকিল; বেশীরভাগ ব্লগারের দক্ষতা কম।

৬| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

রানার ব্লগ বলেছেন: সময় করে ছুটিতে বাংলাদেশ সে সিমোন কে দেখে যাবেন, আশাকরি খুশি হবে। ছোটবেলার সঙ্গীদের উপর আলাদা একটা অধিকার থাকে।

২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশে গেলে ওকে দেখতে যাই, সেও আসে।

৭| ২৭ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই কাহিনীটা আগেও একবার পড়েছিলাম।
মনে হয় আমার স্মৃতিশক্তি খারাপ না।

২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



হ্যাঁ, পড়েছেন; আমি সিমোনকে নিয়ে আগেও লিখেছিলাম।

৮| ২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: গ্রামের সহজ সরল সাধারন ঘটনা,কিন্তু লিখার গুনে অসাধারন মনে হয়।

২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি লিখলে আপনি পড়বেন? আমার কৈশোর কেটেছে গ্রামে, অনেক অনুভবতা আছে হৃদয় জুড়ে।

৯| ২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আজকে এক প্রফেসর সাহেবকে দেখলাম ইংরেজি ভাষার বিরোধিতা করে দুই লাইনের একটি জ্বালাময়ী পোস্ট দিয়েছেন । আফসোস!

২৭ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি ব্লগে যত শিক্ষক দেখেছি, বেশীরভাগই ম্যাঁওপ্যাঁও; এটি অপদার্থ। একটি ছিলো শিবির, উহাকে দেখছি না, নাকি মালটি নিক নিয়ে রং বদলায়েছে!

১০| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পড়ালেখার ক্ষেত্রে আমার স্মরণশক্তি খুবই শার্প ছিলো সব সময়। লেখাটি আগেও পড়েছি আজ আবার নতুন করে পড়লাম। আমার মনে হয় আপনার দেশে বেশ কিছু কাজ করার আছে। নিজ এলাকায় কিছু ছোট ছোট প্রজেক্ট। যেমন: - “একটি বাড়ি একটি খামার” এমন কিছু। তাতে করে আপনি আত্মতৃপ্তি পাবেন।

আমি সম্প্রতি গ্রামের বাড়িতে সরিষার তৈলের মিল করে দিয়েছি, সামনে এটিকে আরোও বড় করে দিবো এছাড়া ধান, চিড়া, মুড়ির কলও করে দিবো ভাবছি।

অফ টপিক: - আপনার তুরস্ক নিয়ে প্রশ্ন আমার চোখে পড়েছে। তুর্কি সহ আরব লোকজন গড়পড়তায় মিথ্যুক ফ্রড প্রকৃতির হয়। এবং এরা হারমাদ। তুর্কি লোকজন মাঝারি আকৃতির এবং ইউরোপীয় ফর্সা গায়ের রঙের জন্য অহংকারী হয়ে থাকে। এরা হাতের কাজ বেশ ভালো পারে এবং সন্ধার পর অধিকাংশ লোকজন নেশায় বুঁধ হয়ে থাকে।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিউইয়র্কে আমার পরিচিত কয়েকটি পরিবার তুর্কি এলাকায় থাকে; ওরা বলে যে, তুর্কিরা ওদের দেশের মতো গন্ডগোল করে এলাকায়।

১১| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৬

জুন বলেছেন: ভালো লাগে আপনার জীবনের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে লেখাগুলো। গ্রামের মেয়েরা সে সময় কঠিন জীবন পার করেছে। বিয়েটাই ছিল তাদের জীবনের আরাধ্য। এখন তো গার্মেন্টস এ চাকরি করে কিছুটা স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে গ্রামের মেয়েরা। মরিচ পোড়া দিয়ে রাতের রান্না করা ঠান্ডা ভাত খেয়ে যখন সকাল বেলা দলবেঁধে রাস্তা দিয়ে হেটে চলে তখন কিন্ত তাদের কলকাকলীতে কিছুটা হলেও সুখী চেহারাটাই চোখে পড়ে।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি তাদেরই ছিলাম, প্রবাসে এসে সময় হারিয়েছি, ওদের সাহায্য করতে পারিনি।

১২| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: বুড়োমিয়া কে?
আপনি একা আছেন , খেয়ে কি না খেয়ে আছেন ভেবে মা খবর নেয়নি , খাবার পাঠায়নি কেন?
সেই সময়ে সিমোন নামে কোন গ্রাম্য মেয়ে থাকতে পারে ধারনা ছিল না!।
ছোটবেলা থেকেই আপনি বোহেমিয়ান টাইপের।
বাংলার সেই প্রকৃতি এখনো আপনাকে ভীষনভাবে টানে নিশ্চিত।
ভাল থাকুন।

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি গ্রামের ছেলে, ওখানেই আমি সুখী ছিলাম। আমার মা আমাকে নিয়ে ভাবতেন না, আমি স্বাবলম্বী ছিলাম।

বুড়োমিয়া ছিলেন নোয়াখালীর এক বয়স্ক লোক, উনি আমাদের বাড়ীতে থেকে আমাদের চাষবাস দেখতেন।
মেয়েটাকে সিমোন নাম আমিই দিয়েছিলাম

১৩| ২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছ থেকে এত বড় উত্তর পাব আশা করিনি!
ভেবেছিলাম হয়তো উল্টো প্রশ্ন-টস্ন করবেন -'আপনি কি গ্রামের ছেলে?' টাইপের :)
ধন্যবাদ

২৭ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি মানুষের প্রশ্ন বুঝতে চেষ্টা করি ও উত্তর দিই; বেশীরভাগ বাংগালীকে প্রশ্ন করলে সঠিক উত্তর পাওয়া কঠিন ব্যাপার।

১৪| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রাম দেশে রাতে আমার ভয় করে।
মাটির রাস্তা। নানান রকম গাছপালা। বাতাসের ছন ছন শব্দ। গ্রামে কম বেশি কিছু শিয়াল থাকেই। রাতের বেলা শিয়াল গুলো খুব ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। তাছাড়া গ্রামে প্রায় সব বাড়িতে ৩/৪ টা করে কুকুর থাকেই।

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


শিয়ালেরা দলে থাকলে, রাতে মানুষকে খুব একটা ভয় পায় না; কিন্তু শিয়াল মানুষকে আক্রমণ করে না; গ্রামে রাতে হাঁটতে সাপ থেকে সাবধান থাকতে হয়।

১৫| ২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১২:৪০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: বই বেন করবেন নাকি?

২৮ শে মে, ২০২১ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি পড়বেন, অন্যারা এসব পড়বেন?

১৬| ২৮ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



গল্প সুন্দর হয়েছে । মনের আকাশে চির-ধ্রুবতারা হয়ে থাকার মতই গল্পের চরিত্র গাথা ।
পুকুরের উত্তর পারের দুই কলাগাছে পাকা কলার কথামালা আমার নজড় কেড়েছে ।
কলা চাষই হতে পারে দেশের দারিদ্রতা বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার । বাংলাদেশ
সরকার ও ব্যবসায়ীরা একটু সচেতন হলে বিশ্ববাজারে কলা রপ্তানী করে দেশের
দারিদ্র বিমোচন করতে পারে । শিমোনদের আনেকের অবস্থার আমুল পরিবর্তন
ঘটতে পারে শুধু মাত্র কলা চাষের মাধ্যমে।

উল্লেখ্য কলা বাংলাদেশের সর্বপ্রধান ফল যা সারা বছর প্রায় একই হারে বাজারে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলের মধ্যে কলার উৎপাদনই সবচেয়ে বেশি। ইহা সুস্বাদু
সহজলভ্য ও পুষ্টিকর। এর ফলন অন্যান্য ফল ও ফসল অপেক্ষা অনেক বেশি। কলা মূলত
ক্যালরি সমৃদ্ধ ফল। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, বি-৬ ও সি এবং ফসফরাস, লৌহ ও
ক্যালসিয়াম রয়েছে।

বাংলাদেশে অনেক জাতের কলা আছে। জাতগুলোকে ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে দু’ভাগে
ভাগ করা যায় - পাকা কলা ও কাঁচকলা বা আনাজী কলা। পাকা কলার জাতের মধ্যে অমৃতসাগর,
সবরী, বারি কলা-১, চাঁপা, কবরী ও মেহেরসাগর অন্যতম। বিশ্ববাজারে এগুলির ব্যপক চাহিদা
সৃষ্টি করা যায় প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে । তাছাড়া কাঁচকলা জাতের মধ্যে ভেড়ার ডগ,
চোয়ালপাউশ, বড়ভাগনে, বেহুলা, মন্দিরা, বিয়ের বাতি, কাপাসি, কাঁঠালী, হাটহাজারী,
আনাজী ইত্যাদির জন্যও দেশে ও বিদেশী বাজারে ব্যপক চাহিদা সৃজন করা যায় ।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য বারি কলা-৪ পার্বত্য এলাকা থেকে নির্বাচিত চাপা কলার একটি উচ্চ ফলনশীল জাত।
প্রতি কাদিতে ফলের সংখ্যা ১৭৮টি যার ওজন প্রায় ১৯ কেজি। ফল মাঝারী আকারের গড় ওজন ১০০ গ্রাম।
ফল পাকা হলদে রংয়ের সম্পূর্ণ বীজ বিহীন এবং টক মিষ্টি । হেক্টর প্রতি ফলন ৪০-৪৫ টন। রোগ ও
পোকামাকড় সহনশীল। দেশের সর্বত্র চাষ উপযোগী ও বেশ লাভজজনক ।
হাত বাড়ালেই কাদি কাদি পাকা কলা পাওয়া সে যে বড় ভাগ্যের ব্যাপার


প্রচারেই প্রসার , তাই এখানে আন্তর্জাতিক মানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই সামু ব্লগে কলার বিবিধ
প্রকারের সম্ভাবনার কথা প্রসঙ্গক্রমে বলে গেলাম ।

দেশ ও জাতির উন্নয়ন হয় এমন কথামালা সমৃদ্ধ গল্পকথা বরাবরই আমার কাছে ভাল লাগে ।
কামনা করি এমনতর লেখালেখি চলুক বেশী বেশী করে ।

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইউরোপে কি শুধু দ: আমেরিকার কলা?

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আইডিয়াটা মনে রাখবো।

১৭| ২৮ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৫৪

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সিমোনের মতন গরীবি এখন আর দেখা যায় না। বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ এখন ভাত কাপড়ের কষ্ট করেনা।

লেখা ভালোহয়েছ্

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



৬০ দশকের খবারের অভাবটা কমেছে; তবে, বয়স্কদের জন্য অভাব এখনো আছে।

১৮| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:১৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: সবাই গান গাইতে পারে না কিন্তু শ্রোতার অভাব নেই। সবাই লিখতে পারে না, আপনি আরো লিখে যান। যাই হোক পোস্টে এসে কলার রচনাও ফ্রীতে পেয়ে গেলাম।

২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সবার হৃদয়ে অনেক কথা সন্চিত হয়ে থাকে, সবাই বলতে চাহে না।

১৯| ২৮ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:০১

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমি ভীষন ভীষন দু:খিত। আপনার কমেনট্র উত্তর দিতে যেয়ে কমেনট ডিলিট করে ফেলেছি। আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি। আরেকবার কমেনট করুন প্লিজ ।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




কোন অসুবিধা নেই।

২০| ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

জুন বলেছেন: চিটাগাং এ গ্রামীণ এলাকায় সিমোন নামটি শুনি নাই, তবে ছেমোনা শুনেছি অনেকের নাম।

২৮ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেয়েটিকে এই নামে আমি একাই ডাকতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.