নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডলারে ঋণ দিয়ে শ্রীলংকার মুদ্রায় ঋণ ফেরত নিবে বাংলাদেশ, ইহা ব্যবসা?

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১:২৬



বাংলাদেশ সরকার তার অলস রিজার্ভ থেকে শ্রীলংকাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে; ঋণের সুদ ৩% হওয়ার কথা; শ্রীলংকা এই ঋণ ফেরত দিবে শ্রীলংকান মুদ্রায়; ব্যবসায়িক দিক থেকে দেখলে, ইহা ভালো ব্যবসা নয়। যদি বাংলাদেশ সরকারের ফাইন্যানসিয়াল বুদ্ধিমত্তা হিসেবে ইহাকে বিচার করা হয়, ইহা আসলে দেশবাসীর প্রতি অন্যায়ের একটি উদাহরণ মাত্র।

**দেশের কোন নাগরিক আমাদের সরকার থেকে ৩% হারে ব্যবসায়িক, শিক্ষা বা পরিবারিক বিপর্যয়ের কারণে জরুরী ঋণ পাবে? কখনো পাবে না।

শ্রীলংকা চীন থেকে ঋণ নিয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশী; খুব শীঘ্রই শ্রীলংকাকে কোন ব্যাপারে বৈদেশিক মুদ্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার পে করতে হবে, কিন্তু তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ মার্চ মাসে ছিলো ৪ মিলিয়ন ডলার মাত্র; ইহা শ্রীলংকার জন্য বেশ বড় ধরণের সংকট। এই সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য তারা চীন ও ভারতের কাছে ২০০ মিলিয়ন বা তারো বেশী ঋণ চেয়েছিলো, এই ২ দেশ দেয়নি, দিচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি ও ফাইন্যান্স পদ্ধতি দেখলে বুঝা যাবে যে, বাংলাদেশ দরকারী খাতে খরচ না করে, "অলস রিজার্ভ" বাড়িয়ে চলছে; এখন বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ বিলিয়ন ডলার। দেশের বর্তমান আমদানী ও রপ্তানীর পরিমাণ থেকে বুঝা যায় যে, দেশটি ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখলেই যথেষ্ট; বাকী ১৫বিলিয়ন ডলার "পুরোপুরি অলস"; বর্তমান বিশ্বে অলস টাকার উপর বসে থাকাটা বুদ্ধিহীনতার পরিচয়, বিশেষ করে দেশের বেকার সমস্যা যখন কন্ট্রোলের বাহিরে।

বাংলাদেশের তরুণরা বেকার, রিটায়ারীদের আয় নেই, বাবারা প্রবাসী; এই অবস্হায় বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের দরকার; সেই দেশ কি করে এত টাকা শ্রীলংকার মতো দেশকে ঋণ দিতে পারে? ইহা বেকুবী ব্যতিত অন্য কিছু নয়।





মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: বাংলাদেশ সরকার নিজে বিনিয়োগ করার যোগ্যতা রাখে না।প্রাইভেট সেক্টরের সাথে মিলে বিনিয়োগ করে অতীতে পুঁজি ফেরত পায়নি।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শ্রীলংকাকে দেয়া হারাবে না, ওদের কাছে নিজ দেশের মুদ্রা আছে; কিন্তু ইহা আমাদের সরকারের লোকদের বুদ্ধিমত্তা ও সততার অভাবের উদাহরণ।

(১) আমাদের বাজেটের জন্য ফান্ড থাকবে না, ৩০% ডেফিসিটে বাজেট করবে।
(২) করোনায় শিক্ষিতদের বেকারত্ব ৪০ লাখ বা তার চেয়ে বেশী বেড়েছে; এদের জন্য ৩% হারে, ১/২ বিলিয়ন ডলার "পিপিপি" ঋনের অধীনে কৃষি ও খাবার সংরক্ষণের জন্য ঋণ দেয়ার দরকার ছিলো।

২| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: চুক্তির বিস্তারিত না দেখে সরাসরি মন্তব্য করা কঠিন। এখানে কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

১. ডলারে লোন নিয়ে তা নিজস্ব কারেন্সিতে ফেরত দেয়া (কারেন্সি সোয়াপ) নতুন কোন বিষয় নয় বা এটা শুধুমাত্র একক কোন দেশের জন্য করা হচ্ছে না। সার্কভুক্ত দেশগুলোতে এ ধরনের প্রথা বিদ্যমান (অন্যান্য অঞ্চলেও) তবে বাংলাদেশ এই প্রথম কোন দেশকে এভাবে লোন দিচ্ছে।
২. ২০০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হচ্ছে ৩ মাসের জন্য যা মূলত স্বল্প মেয়াদী লোন। দীর্ঘ মেয়াদে হল হয়তো সুদের হার আরো বেশী হতো।
৩. এ ধরনের লোনের ক্ষেত্রে লিবর রেট(উঠানামা করে) এর পাশাপাশি আরো অতিরিক্ত ২% সুদ যোগ করে তা ৩% দেখানো হচ্ছে। এখানে বোঝার ব্যাপার হলো বর্তমানে ৩ মাস মেয়াদী লিবর (ইউএসডি) রেট ১% এর চেয়েও অনেক কম। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ লিবর রেটে অনেক এগিয়ে থাকবে।
৪. বর্তমান বাজারে শ্রীলঙ্কার কারেন্সি ডলারের (ইউএস) বিপরীতে বেশ দুর্বল এবং সেটা আগামী ৩ মাসে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে যেহেতু শ্রীলঙ্কা লোনের বিপরীতে তাদের কারেন্সিতে টাকা ফেরত দেবে, তাই আজকের হিসেবে ৩ মাস পরে যে টাকা ফেরত পাওয়ার কথা তার তুলনায় বাংলাদেশ খুব সম্ভবত বেশ কিছু বেশী টাকা পাবে।
৫. বিগত বেশ ক'বছরে বাংলাদেশের সাথে শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীন বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানির বিপরীতে এই লোনের কারনে পাওয়া শ্রীলঙ্কার কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবে অনায়াসে।
৬. দেশের অভ্যন্তরীন উন্নয়নমূলক বিনিয়োগগুলো মূলত দীর্ঘ মেয়াদী (৫ বছর বা তার বেশী) হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সঠিক প্রকল্প না হাতে নিয়ে টাকা বিনিয়োগ করলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভবনাই বেশী। অন্যদিকে টাকা বসিয়ে রেখেও (২০০ মিলিয়ন) লাভ নেই বা তাতে কোন সুদ পাওয়া যাবে না। তাছাড়া এই ধরনের লোন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
৭. এখানে শুধু লাভ-লোকসানের হিসেব নয় বরং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও প্রাধান্য পাচ্ছে।

বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভের তুলনায় ২০০ মিলিয়ন তেমন কোন বড় অংক নয়। তবুও এ কথা সত্য টাকা অলস না রেখে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়নমূলক এবং জনহিতকর প্রকল্প হাতে নেয়া উচিত। ব্লগে যদি এ সংক্রান্ত কেউ বিশদ জেনে থাকেন তাহলে তাদের ভাষ্যও জানা যেতে পারে। দেশের নীতি-নির্ধারনের সাথে সম্পৃক্ত কোন অর্থনীতিবিদও এর বিরোধীতা করবেন বলে আমার মনে হয় না।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৩:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি যেই পয়েন্টগুলো দেখায়েছেন, সেগুলো ধনী দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর জন্য একটা ভালো ব্যবসা হতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশ "সরকার"( কোন কর্পোরেশন নয় ) শ্রীলংকা থেকে কি আমদানী করছে যে, এই ধরণের লেনদেন জাতির জন্য লাভজনক হবে? ইউরোপ আমেরিকার ১ টা প্রাইভেট কোম্পানীও এই ধরণের লোন দিতে পারার কথা।

বাংলাদেশ সরকার তার রিজার্ভ থেকে "বেকার ইন্জিনিয়ার, কৃষি গ্রেজুয়েটদের ৩% হারে কোন ঋণ দেবে"?

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: সম্পূর্ন সহমত।
তবে সরকার ঋণ দিবে। কারন বর্হিবিশ্বকে দেখাবে আমরা ভালো আছি। আওয়ামীলীগ ভালো দেশ চালাচ্ছে।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



গত বছর ও এই বছর মিলে ৪০ লাখের মতো শিক্ষিত বেকার হবে দেশে; সরকার এদেরকে "প্রাইভেট-পাবলিক-পরিকল্পনার" মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য ৩% হারে কোন ঋণ দেবে?

৪| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৩:৩৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনি লিখেছেনঃ আপনি যেই পয়েন্টগুলো দেখায়েছেন, সেগুলো আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর জন্য একটা ভালো ব্যবসা হতে পারে; কিন্তু বাংলাদেশ "সরকার"( কোন কর্পোরেশন নয় ) শ্রীলংকা থেকে কি আমদানী করছে যে, এই ধরণের লেনদেন জাতির জন্য লাভজনক হবে? ইউরোপ আমেরিকার ১ টা প্রাইভেট কোম্পানীও এই ধরণের লোন দিতে পারার কথা।
বাংলাদেশ সরকার তার রিজার্ভ থেকে "বেকার ইন্জিনিয়ার, কৃষি গ্রেজুয়েটদের ৩% হারে কোন ঋণ দেবে"?


সরকারকে "কর্পোরেশন" বলা হয় নি আর তেমনটা ভাবাটাও জনহিতকর নয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোন দাতব্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় যে লক্ষ্যহীনভাবে ঋণ দিয়ে বেড়াবে। নীতি নির্ধারণ হয় সরকার থেকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার মতামত যেকোন ক্ষেত্রে দিতে পারে। বোঝাই যাচ্ছে শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক ট্রেড সম্পর্কে আপনার ধারনা অপ্রতূল (সূত্র)। লোন দেয়ার বিষয়টি শুধু ইউরোপ আমেরিকা কেন্দ্রিক নয় আর বিষয়টি প্রাইভেট লোন নয় বরং দ্বিপাক্ষিক লোন। সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব, কিন্তু মনে রাখতে হবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংকের রোল কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেয় না নেয়া উচিতও নয়।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৩:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন, " বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোন দাতব্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় যে লক্ষ্যহীনভাবে ঋণ দিয়ে বেড়াবে। "

-কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাহাদের সম্পদ জমা রাখে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদের মালিকানা কার?

২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন, " বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোন দাতব্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় যে লক্ষ্যহীনভাবে ঋণ দিয়ে বেড়াবে। "

-কেন্দ্রীয় ব্যাংক লক্ষ্যহীনভাবে ঋণ দেবে কেন, "বেকারত্ব কমানোর জন্য ঋণ" দেবে।
-কেন্দ্রীয় ব্যাংক নাগরিকদের থেকে সরাসরি ঋণ নেয়; তাদের ঋনের টাকা থেকে তারা নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য ঋণ দিতে পারে।

৫| ২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:১৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ঋণ খেলাপিরা কোনো জামানত ছাড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ পায়।
আর প্রকৃত লোকজন মাত্র ২/১০ লাখ টাকা ঋণ নিতে গেলে তার ব্যাবসা আর বাড়ি জামানত রাখতে বলা হয়।
এটা হলো তেল মাথায় তেল ঢালার নীতি।

২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এগুলো তেলে মাথায় তেল নয়, এগুলো হলো ইষ্ট ইন্ডিয়া কম্পানীর মতো প্রশাসন; বিসিএস পাশ করার বাংগালীরা ডাকাতে পরিণত হয়।

শ্রীকংকাকে ২০০ মিলিয়ন ঋণ দিয়েছে, বুয়েটের ১ টা বেকার ইন্জিনিয়রকে ১০ লাখ টাকা দিবে না একটা ইন্জিনিয়ারিং ফার্ম করার জন্য; কিন্তু বেক্সিমকোকে বিলিয়ন দিয়ে আসবে বাড়ীতে গিয়ে; এসব ডাকাতেরা পাকীদের মতো ডাকাত।

৬| ২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ঋণ দেয়া নেয়াই শিখলো না দেশ। দেশের খেলাপিদের দেয়, ঋণে জর্জরিত শ্রীলংকাও পায়।

২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঋণ খেলাপীরা ব্যাংকের সাথে মিলে জাতির সব ক্যাপিটেল লুট করেছে।

শ্রীলংকা লুট করবে না; কিন্তু এই লেনদেন আমাদের সরকার ও আমাদের প্রশাসনের লোকদের বুদ্ধিহীনতা ও জাতির প্রতি দায়িত্বহীনতার ছোট একটা প্রমাণ হিসেবে থাকবে।

৭| ২৯ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: দরকারী বিষয় আসলেই রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, টেকনোলোজি , এগুলা বুঝলেই বাকি সব কিছুই বুঝা সম্ভব।

২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, এগুলো সব শিক্ষিত মানুষকে জানতে ও বুঝতে হবে।

৮| ২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: দরকারী বিষয়গুলো একটা র্যাংকিং করেন তো আপনি।

২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ৭:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



এটা মোটামুটি কঠিন কাজ; তবে, প্রতি নাগরিকের জন্য শিক্ষাকে ফ্রি করে দিলে, একটা চাকুরী কিংবা ব্যবসায় অংসগ গ্রনের সুযোগ করে দিলে মানুষ সমাজের জন্য অবদান রাখার জন্য উৎসাহী হবে, নিজে সবকিছু দখল না করে, সবার কথা ভাববে ও জাতির জন্য ও নিজ পরিবারের জন্য কাজ করতে উৎসাহী হবে।

বেসিক হলো: ফ্রি শিক্ষা, চাকুরী ও সামাজিক নিরপত্তা, জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি, জাতির অর্থনীতির উপর ধারণা, জাতীয়বাদী রাজনীতিতে সবার অংশ গ্রহন।

৯| ২৯ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অলস রিজার্ভ অর্থ ফেলে না রেখে অন্তত টাকাটা রোল করা হচ্ছে, অনেকটা নাই মামার চাইতে কানা মামা ভালোর মতো। অর্থনৈতিক দিক থেকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়টিই এখানে প্রাধান্য পেয়েছে বলে মনে হয়। দক্ষিণ এশিয়াতে একজন মিত্র বাড়ানোর চেষ্টাও হয়তো চলছে।

২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন দেশ সমস্যায় পড়ার পর, এই প্রথমবার বাংলাদেশ সেই দেশকে সাহায্য করেছে; ইহা বড় একটি পদক্ষেপ, সন্দেহ নেই। তবে, এসব সিদ্ধান্ত গ্রহনকারীরা কি দেশের শিক্ষিত বেকারদের দেখে না? আমাদের শিক্ষিত বেকারেরা কি শ্রীলংকার সাহায্য পাবে?

১০| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: রিজার্ভের টাকা দিয়ে কি দেশের অভ্যান্তরে ঋন দেয়া যায়? যদি যায় তবে কি ভাবে?

২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকার জাতি থেকে ঋণ নিচ্ছে; সুতরাং, জাতিকেও ঋণ দিতে বাধ্য।

রিসার্ভের টাকাটার মালিক কে? দেশের বেকারত্ব কমানোর জন্য জাতির টাকা জাতির জন্য খরচ করা কি অসম্ভব?
পরিবারের যদি সন্চয় থাকে, সেখান থেকে টাকা খরচ করে ছেলেকে কি পড়ানো উচিত, নাকি সন্চয়ে হাত দেয়া যাবে না?

১১| ২৯ শে মে, ২০২১ দুপুর ২:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারনা ছিল রিজার্ভের টাকা দিয়ে যে কোন বৈদেশিক ঋন মেটানো, আমদানী ও অন্যদেশকে ঋন দেয়া ছাড়া অন্য কোনভাবে খরচের উপায় নেই।
কিন্তু এবার শুনলাম,বাংলাদেশ সরকার নাকি এই প্রথমবার রিজার্ভ থেকে ঋন নিবে।

রিজার্ভের টাকাতো বায়বীয় টাকা। এ টাকাতো দেশিয় মুদ্রায় একবার কনভার্ট হয়ে গেছে। একই মুদ্রা দুইবার কিভাবেন বদলি করা যায়???

এ বিষয়ে আমার জ্ঞান-গম্যি অনেক কম। কেউ বুঝিয়ে দিলে কৃতার্থ হতাম

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের বেলায়, রিজার্ভের টাকা হলো, হার্ড-কারেন্সীতে জাতীয় তহবিল, যা আমদানীর পেমেন্ট হিসেবে যাবে; যা আমদানী হয়, উহা বিক্রয় করে (লাভ বা ক্ষতি ) মুল্য পাওয়া যায় দেশীয় মুদ্রায়; আবার আমদানী করতে, এই দেশীয় মুদ্রাকে হার্ড-কারেন্সীতে পরিণত করতে হয়; এটা একটা প্রসেস। আমদানীর আগে পেমেন্ট ক্যাপাসিটি দেখাতে হয়, সেইজন্য তহবিল প্রস্তুত রাখতে হয়, ইহাই রিজার্ভ।
দেশ যদি গড়ে ৩০ বিলিয়ন ডলারের আমদানী করে, এবং দেশের কাছে ৪৫ বিলিয়নের তহবিল থাকে, ১৫ বিলিয়নকে জাতির সবচেয়ে দরকারী কাজে লাগানো উচিত।

১২| ২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: গত বছর ও এই বছর মিলে ৪০ লাখের মতো শিক্ষিত বেকার হবে দেশে; সরকার এদেরকে "প্রাইভেট-পাবলিক-পরিকল্পনার" মাধ্যমে বিনিয়োগের জন্য ৩% হারে কোন ঋণ দেবে?

বেকারের সংখ্যা আরো বেশি হবে।
ব্যাংক গুলো ভাল মানুষকে ঋণ দেয় না। দুষ্টলোকদের ঋণ দেয়।
সরকার ঋণ দেয়। সেই ঋণ দিয়ে ভাল ব্যবসা করা সম্ভব না। বড়জোর দুইটা ছাগল কেনা যেতে পারে।

২৯ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:




শ্রীলংকাকে ২টা ছাগলের দামের সমান ঋণ দিলে ভালো হতো।

১৩| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: শ্রীলংকার মতো দেশকে এতো দরদ দেখানোর কারণ কি?
এরা মুৃক্তিযুদ্ধের সময় পাকিদের সাহায্য করেছিলো।
বাড়ি বন্ধক দিলেও ব্যবসা না থাকলে কোনো ব্যাংক ঋণ দেয়না।

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ১১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



ক্রিকেটের কি এক লোককে বানায়েছেন অর্থমন্ত্রী; উনি জাতিকে খেলা দেখাচ্ছেন।

১৪| ৩০ শে মে, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: সাইফুর, আজিজুল, মুহিত- কোনটা জাতের ছিলো?
সবই এক গোয়ালের গরু।
সাইফুর জনগণের করের টাকাকে তার বাপ-দাদার সম্পত্তি মনে করে ৫ কোটি টাকা দিয়ে সিলেট সার্কিট হাউসে লিফট লাগিয়েছিলো তার উঠানামার সুবিধার জন্য।
মালয়শিয়ায় দ্বিতীয় বাড়ি করেছিলো।
আর মানুষের আদালতে এসব অপরাধের কোনো কোনো বিচার না হলেও এজন্যই হয়তো বুড়া বয়সে পানিতে ডুবে মরেছিলো।

৩০ শে মে, ২০২১ ভোর ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাইফুর রহমান ছিলো একান্টেন্ট, তাকে বানায়েছিলো অর্থমন্ত্রী; মুহিত ছিলো ব্যুরোক্রেট তাকে বানায়েছিলো একটা জাতির অর্থমন্ত্রী, কেরানী হওয়ার মতো যোগ্যতাও ছিলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.