নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই মেয়েটির সাথে জ্বীন ছিলো

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৪



**** আমি ৩৮ দিন কমেন্ট-ব্যানে আছি; আমাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ার জন্য ইহাই ভালো সময় *****

আমাদের গ্রামের ছোট্ট সুন্দরী একটি কিশোরীকে জংগলের মাঝে একা পেয়ে, একটা ছেলে তাকে জড়ায়ে ধরেছিলো; মেয়েটি খুবই ভয় পেয়েছিলো; কিন্তু সে উহাকে নিজের মতো করে হ্যান্ডল করেছিলো; এটি সেই কাহিনী:

তখন আমি ১০ম শ্রেণীতে; এক সকালে যখন স্কুলের দিকে পা বাড়াবো, সেই সময় মা বললেন, ঘরে সরিষার তেল নেই; দৌড়ে গ্রামের শেষ প্রান্তে অবস্হিত আমু ভাইয়ের দোকানে গেলাম; আমু ভাইয়ের দোকানের একাংশ মুদি দোকান, অন্যাংশ চা দোকান। দোকানের সামনে পশ্চিম পাড়ার ১২/১৩ বছরের মেয়ে, বেছু দাঁড়ায়ে মালামল দেখছে। আমি তেলের অর্ডার দেয়ার আগেই বেছু আমাকে বলে,
-কাকু, তোমার কাছে পয়সা থাকলে, আমাকে একটা লজেন্চ কিনে দিও।
আমু ভাইকে বললাম,
-আমু ভাই, বেছুকে ৪টা লজেন্চ দেন।
আমু ভাই বললো,
-ছোট ভাই, তোমার মাথায় গন্ডগোল শুরু হচ্ছে, মনে হয়! এই মেয়ের উপর জ্বীনের আছর আছে, এখন তুমিও উহাতে যোগ দিচ্ছ?
-আমু ভাই, আপনি দুনিয়ার আজগুবি সব খবর রাখেন। বেছুকে এককাপ চা ও একটা বেলা-বিস্কুটও দেন; আমি বিকেলে এসে পয়সা দিয়ে যাবো।
বেছু চা দোকানের সামনের বেন্চে বসে গেলো; আমার দিকে তাকিয়ে হাসলো; ওর দু'চোখ খুশীতে নাচছে।
বেছু এর আগে কখনো কিছু চাহেনি কোনদিন।
আমুভাই এবার বললেন,
-ছোটভাই, খবর কিন্তু চাচীর (আমার আম্মা) কাছে চলে যাবে এক সময়।
-আম্মা এতে অখুশী হবেন না।

বেছুর আসল নাম রিজিয়া বেগম; গ্রাম্য ভাই সম্পর্কের দরিদ্র দিনমুজুরের মেয়ে। বেছুর মা আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা; দারিদ্রতা ও অপুষ্টি বেছুর সৌন্দয্য কমাতে পারেনি, মায়ের থেকেও সুন্দরী। আমাদের পুর্ব দিকের ২য় বাড়ীটি বেছুর ফুফুর বাড়ী; সকাল বিকেল বেছু আসে যায়, আসতে যেতে দেখা হয়, হাসে।

বেছু হয়তো খেয়াল রাখতো, প্রতি সপ্তাহে বেছুর সাথে দোকানের আশেপাশে দেখা হতো; সে আর কোনদিন লজেন্চ চায়নি, আমি নিজেই কিনে দিতাম; লোকজন না থাকলে সে বেন্চে বসতো, আমি ওর জন্য চায়ের অর্ডার দিয়ে চলে যেতাম। আমু ভাই সব সময় বেছুকে চা দিতো, কিন্ত প্রতিবারই আমার জন্য আফসোাস করতেন, আমার মাথায় ভুত চেপেছে।

সেই বছর, শীতের পড়ন্ত এক বিকেলে আমি স্কুল থেকে এসে, খেয়ে খামারের দিকে যাচ্ছি, দুর থেকেই দেখছি বেছু খামার বাড়ীতে প্রবেশ করছে, কোলে একটা বাচ্চা, ওর ফুফাতো বোন; সে কলাগাছের আড়ালে চলে গেলো; আমি খামারে প্রবেশ করে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখি সে কোথায়ও নেই; আমি ডাকলাম, কোন সাড়া নেই! আমার সন্দেহ হলো, এই মেয়ের আসলেই কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে , সবাই বলে, ওর সাথে জ্বীন আছে!

আমি গরুগুলোকে দেখতে গরু ঘরের ভেতর গেলাম, দেখি বেছু গরুঘরের পেছনে; আমি বললাম,
-বেছু, তুই ওখানে কেন, ঘরের সামনে আয়।
-তুমি আমাকে দেখছ? আমার সাথে জ্বীন আছে, আমি চাইলে তুমি কিন্তু আমাকে দেখতে পাবে না।
-জ্বীন মীন থাক, এইদিকে চলে আয়, ঐদিকে গুইসাপ আছে।
সে একদৌড়ে চলে এলো।

বেছু বললো,
-কাকু, আমাকে পুকুর থেকে সিংগারা ( কাঁটাযুক্ত এক ধরণের জলজ লতার ফল) তুলে দাও!
-এই শীতকালে, বেলা ঢুবার আগে তুই আমাকে পানিতে নামাতে চাস?
-তোমার শীত লাগলে থাক, আমি নিজেই নামবো, তুমি ফুফাতো বোনটাকে কোলে রাখ; ঘাটের দিকে আসিও না।
-পানি ঠান্ডা, তুই মারা যাবি।
-তুমি তো নামতে চাচ্ছ না।

আমি নেমে কয়েকটা সিংগারা ফল নিয়ে আসলাম; কাঁটার জন্য বেশী নেয়া সম্ভব হয়নি, পানিও অনেক ঠান্ডা। বেছু খুশীতে টগবগ, দৌড়ে গিয়ে খামার ঘর থেকে আমার লুংগি নিয়ে এসেছে। বাচ্চাটাকে আমাকে দিয়ে ষে সিংগারা খেতে লাগলো। আমি বললাম,
-বেছু, সবাই তোকে নিয়ে জ্বীনের ক্থা বলে, ব্যাপারটা কি?

কাকু, তোমাকে বলি, জ্বীন টিন কিছু না; তোমাকে তো সব কথা বলতে পারবো: গত বছর জামের দিনে, দুপুরবেলা আমি ফুফুর ছাগলটাকে মাঠে দিয়ে, বড় পুকুরের কবরস্হানের জংগলের জামগাছটা থেকে জাম পাড়তে গেলাম; জাম পেকে কালো হয়ে আছে! আমি জংগলে ঢুকে, গাছের নীচে গিয়ে দেখি, উত্তর বাড়ীর আকবর ভাই গাছের ডালে বসে জাম খাচ্ছে! সে আমাকে দেখে কয়েকটা ডাল নেড়ে দিলো; জাম পড়ে গাছতলা ভরে গেছে, আমি খেয়ে কুল পাচ্ছি না। আকবর ভাই গাছ থেকে নেমে, আদর করে আমার গায়ে হাত বুলিয়ে দিলো; একটু পরে, আমাকে জড়িয়ে ধরলো; ভয়ে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম! আমি জোরে জোরে ফুফু ফুফু করে ডাক দিলাম; আকবর ভাই ভয়ে জংগলের ভেতর দিয়ে দৌড়ে উত্তর দিকে চলে গেলো; আমার হাত-পাগুলো কেমন অবশ হয়ে গেলো, আমি কোন প্রকারে জংগল থেকে বের হয়ে পুকুরের পাড় থেকে জমিতে নামার পর, আর হাঁটতে পারছিলাম না, পড়ে গেছি! দক্ষিণ বাড়ীর হাদী কাকু গরু নিয়ে ফিরছিলেন, উনি দৌড়ে এলেন; আমাকে ধরে বসালেন; তারপর কোলে করে ফুফুর ঘরে নিয়ে গেলেন। সবাই আমার থেকে জানতে চেয়েছে, কি হয়েছিলো! আমি বললাম, আমি জাম কুড়াতে জামগাছের নীচে গিয়ে ছিলাম, কালো এক লোক গাছের ডালে বসেছিলো, সে লম্বা হাত দিয়ে টেনে আমাকে গাছের ডালে তুলে ফেলে, আমি চীৎকার দেয়ার পর, সে আমাকে নীচে রেখে দেয়।

-তুই আকবরের কথা কাউকে বলিসনি?
-কাকু তোমার মাথা খারাপ! এই কথা বললে কি হবে, তুমি বুঝ না?
-এখন আমাকে যে বললি!
-তোমাকে আমি সবকিছু বলতে পারব।





মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আজ বিশাল এক পোস্ট দেখলাম আপনার বিপক্ষে !!
আপনার কোন মন্তব্য থাকলে পোস্ট করেন না কেন?

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনার লেখায় ১টা "লাইক" দিয়েছি।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাকে ব্যান ফেলানোর জন্য এসব পোষ্ট, সেজন্য পোষ্ট দিচ্ছি না।
লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, লেখক বেকার, কামসুত্র সাহিত্য-বিশারদ।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

ব্লগ টিম কিন্তু এর তীব্র সমালোচনা করেছে।
ধন্যবাদ জানাই ব্লগ টিম লিডারকে।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



টিমের লোকজন প্রফেশানেল।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



**** ঐ পোষ্টে সঠিক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১২

কামাল১৮ বলেছেন: মেয়েরা সমাজের ভয়ে অনেক কিছু লুকিয়ে রাখে।আর পুরুষরা হলো সমাজপতি।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



নারীরা হলেন ধরণী।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: বেছু, আমু ভাই,আকবর বেঁচে আছে? মানুষের গোপনীয়তায় মানুষ জ্বীন সেজে বসে থাকে।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



জ্বীন, ভুত হলো বেকুবদের গল্পের চরিত্র।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: ওই ফলটাকে আমরা বলি 'পানি ফল'।

এর আগে একটা কাহিনীতে এরকম বয়সী অতি দরিদ্র এক কিশোরীর কথা বলেছিলেন( সে নামটা আপনার দেয়া ছিল)।
সে আর এ কি একজনই?

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সেটি সিমোন, এইজন হচ্ছে বেছু, এরা আলাদা।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: জ্বীন,ভুতেরা পৃথিবীর কোথায় বেঁচে থাকে? সুরা জ্বীন পড়েছিলেন কখনো? বেছু,আকবর,আমু পড়েছিলো?

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেছু, আমু, আকবরদের পড়ালেখার সুযোগ কেড়ে নিয়েছিলো আইয়ুবের খানের মতো ইডিয়টরা, যেভাবে শেখ, জিয়া, এরশাদ, শেখ হাসিনারা মানুষকে পড়ার সুযোগ থেকে বন্চিত করেছে।

সুরা জ্বীন পড়েছি।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আপনর শিষ্যতো এখন তার পোস্টেও সরব নয় !!
আপনার মতো লেখেনা কেন? প্রতি মন্তব্যও করেনা!!.
শরীর ভালোতো. খবর রাখেন?

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



না, আমি উনার খবর জানি না; আমি অনুরোধ করেছিলাম, যেন কম লেখেন। উনার ২টি ছোট মেয়ে আছে, চাকুরী নেই।

৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: বুদ্ধি নিয়ে চলে বেছু!

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বেছুরা সরল, সৎ, প্রকৃতির সন্তান।

৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: আপনি সর্বোচ্চ কতদিন কমেন্ট ব্যানে ছিলেন?

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই নিকে এটাই সর্বোচ্চ; অন্য ব্লগে, প্রায় বছর খানেক ছিলাম; কমেন্ট ব্যানে আমার পাঠক তেমন কমেনি কোন সময়; এবার ব্লগে ব্লগার কম, একই সময়ে কিছু অসৎ লোকজন আমাকে টার্গেট করেছে, সেজন্য আমি সহজভাবে নিচ্ছি।

১০| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: সৎ লোকজন টার্গেট করেছে কখনো?

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



শতশত বাংগালী ব্লগারের সাথে আমার কালচারেল কনফ্লিক্ট হয়েছে, ধারণার গরমিল হয়েছে; তাঁদের অধিকাংশই যুক্তির বেলায় সৎ ছিলেন; এখন সামুতে অনেকের সততা নিয়ে সন্দেহ আছে।

আজকে আমাকে নিয়ে একজন পোষ্ট লিখেছেন; উনি বলেছেন যে, উনি হাতে হামন দিস্তা নিয়ে বের হয়েছেন; হুমায়ুন আজাদের সময় উনি কি নিয়ে বের হয়েছিলেন?

১১| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখা চমৎকার হয়েছে।
১২/১৩ বছরের মেয়ের তুলানায় শেষ অংশের কথাটুকু গুছিয়ে বলা শক্ত।


আমি নেমে কয়েকটা সিংগারা ফল নিয়ে আসলাম; কাঁটার জন্য বেশী নেয়া সম্ভব হয়নি
সিংগারা বা পানি ফলে কাঁটা থাকে না। কাঁটা থাকে মাখনায়।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের এলাকার কথা বলতে পারবো না; আমাদের এলাকায় যে সিংগারা জন্ম নিতো, প্রতিটি ফলে ৩/৪টি ভয়ংকর কাঁটা থাকতো।

গ্রামের মেয়েরা অনেক কিছু জেনে ফেলতো খুব অল্প বয়সে।

১২| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বুঝতে পারছি, আপনার কমেন্ট ব্যান থাকার কারণে আপনি অন্যের পোস্টে গিয়ে ডিফেন্ড করতে পারছেন না। কিন্তু আপনি আপনার যে পোস্টে সৈয়দ হককে নিয়ে 'স্ট্যান্টবাজি' সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন সেখানে আপনার মন্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি প্রদান করতে পারতেন। আমরা জানিনা তার প্রতি আপনার এই মন্তব্যের পিছনে কি কারণ ছিল। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে একজনের লেখা না পড়েই তার লেখা নিয়ে মন্তব্য প্রদান করা ঠিক নয়। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো যদি সময় করতে পারেন এবং সংগ্রহ করতে পারেন, তবে দয়া করে অন্তত: সৈয়দ শামসুল হকের 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাসটি পড়ে দেখবেন। তার আরো অনেক উপন্যাস আছে তার ফিরিস্তি দিলাম না। অন্তত এটি পড়ে দেখুন, পড়ে সম্ভব হলে অন্যগুলো পড়বেন।

আপনার শিষ্যকে আপনি যে পরামর্শ দিয়েছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তার পরিবারের প্রতি অধিক সময় দেয়া উচিত, বিশেষত তার এই সংকটকালে। আশা করি তিনি তার সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন শিগগিরই।

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন !

১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সৈয়দ শামসুল হকের ব্যক্তিত্ব ও সততার অভাব ছিলো; উনার লেখা দিয়ে আমি কি করবো?
উনি মোনায়েম খান, জিয়া, এরশাদ, শেখ হাসিনার রাজকবি; উনার লেখা দিয়ে আমি কি করবো?

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: ব্যান-ম্যান,কাউন্টার পোস্ট,পেছনে লাগা নিয়ে আপনার ঢের অভিজ্ঞতা আপনাকে বাঁচাবে, সমস্যা নেই।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



অনেকেই দেয়ালে মাথা কুটেছে।

১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: হুমায়ন আজাদ আপনার শিক্ষক ছিলেন বললেন; মানুষ ছিলেন কেমন? দেশে তো উনাকে নিয়ে চুলকানি অনেক।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি অনেক জ্ঞানী লোক ছিলেন, কিন্তু নিজের বিপদ আপদ বুঝতেন না। রগ-কাটারা উনাকে শেষ অবধি হত্যা করলো। দরকার মতো রগ-কাটারা একদিন সুর বদলায়ে উনার পক্ষেও কথা বলবে।

১৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৮

সাসুম বলেছেন: এই জিন আসলে জিন ছিলো না। এই জিন ছিল আকবরের কালা কুত্তা। সেদিন আকবর আর তার কালা কুত্তা এবং পোষা বন্য কালা সাপ নিয়ে জংগলে ঘুরতেছিল।

হুট করে বেছুকে দেখতে পেয়ে তার কালা বন্য সাপ টা টা জিন হয়ে দাঁড়িয়ে গেল তার লুংগির ভেতর আর কালা কুত্তা টা বড় জিন হয়ে বেছুর গায়ে হাত দিলো।

এখানে আসলে আকবর কে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। বেছু আকবর কে দেখে নাই, সেটা আসলে জিন ছিল।

( আপনি যদি ভাবেন আমি কালা কুত্তা আর বইন্য সাপের জিন হবার কথা মিছা কথা বা গালগল্প কইতাছি- আপনি ব্লগের পদার্থ বিজ্ঞানী ডঃ ৭৪.৫ কে জিগাইতে পারেন। )

১৯ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আকবরও ক্রিমিনাল ছিলো না, গ্রামের ছেলেরা তখন ক্রিমিনাল ছিলো না; এগুলো ঘটে থাকে; মেয়ের সুনাম যেন নষ্ট না'হয়, মেয়ে নিজেই উহাকে চেপে গেছে।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: গল্পের শুরুতে আপনার এটেনশান নোট টা বেশ মজার!!! আমার ভালো লেগেছে।

গ্রামের মানুষ গুলা অনেক সহজ সরল ছিলো এখন আর তেমন নাই।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




হামনদিস্তা সাহিত্য-বিশারদেরা তেমন মন্তব্য পাচ্ছে না, আমাকে তিরস্কার করে কিছু লিখলে, অনেক মন্তব্য আসার সম্ভাবনা আছে।

গ্রামের মানুষও খারাপ হয়ে গেছে।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:২৬

বিটপি বলেছেন: ৬ নং মন্তব্যের জবাবঃ

জ্বীনেরা এই পৃথিবীতেই মানুষের সাথে সহাবস্থান করে বেঁচে থাকে। তাদের সুনির্দিষ্ট কোন আকৃতি নেই - অনেকটা গাছের মত। এমনিতে তাদেরকে দেখা বা অনুভব করা যায়না, যদি না তারা দেখা দিতে চায়। তাদের কোন লিঙ্গ নেই, শারীরিক চাহিদাও নেই - অনেকটা ফেরেশতাদের মত। কিন্তু তাদের আত্মা ও বিবেক আছে। জন্ম ও মৃত্যু হয়। তারা চাইলেই ভালো বা খারাপ কাজ করতে পারে। ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষ ছাড়া আর যাকে কিয়ামতের দিন বিচারের সম্মুখীন করা হবে - সে হল জ্বীন।

মেয়েটার বয়েস অনুযায়ী অনেক বুদ্ধি। একেতো দরিদ্র, তার উপর অনেক সুন্দরী। ভুল করার সব উপাদান তার মধ্যে আছে। কিন্তু বুদ্ধির জোরে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মেয়েটা ১টা জ্বীন সৃষ্টি করতে পেরেছে।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাবলীল বর্ণনা ভালো লেগেছে।






আপনার কমেন্ট ব্যান উঠে দেবার জন্য আবেদন জানাচ্ছি কতৃপক্ষের কাছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার কমেন্ট-ব্যান আরো কিছুদিন থাকুক; হামনদিস্তা সাহিত্য-বিশারদ, কামসুত্র সাহিত্য-বিশারদেরা কিছুদিন মন্তব্য টন্তব্য পাক।

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লুইচ্চা পুরুষগুলো ওৎ পেতে থাকে। যাই হোক সে ঐ যাত্রায় বেঁচেছে। ধন্যবাদ আপনাকে

১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি জানি না, আপনারা পুরুষ জাতিকে কেন এভাবে নিচ্ছেন? মহুর্তের আবেগে অনেক কিছু ঘটে।

২০| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি একটা গল্পের বই লিখতে পারেন।

১৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বই লেখার মতো কিছু আপনি দেখছেন?

২১| ২১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

পুলক ঢালী বলেছেন: হুম ! বুঝলাম বেছুর কাছ থেকেই আপনার উপর জ্বীনের আছর হয়েছে :D এই জ্বীনের আছরের পিছু পিছু আবার কমেন্ট ব্যান জ্বীন হাজির হয়েছে, আশা করি এক সময় সবগুলি জ্বীনই বিদায় নেবে =p~

আপনার বলা সিঙ্গারাই সঠিক নাম, এগুলো ছোট ছোট হয়,পাতার নীচে থাকে ৩ টি কাঁটা থাকে, করাতের মত সহজেই বিধে যায় কিন্তু বের করার সময় করাতের মত মাংস কেটে বের হয় ক্যাটফিসের কাঁটার মত।
পানিফলও একই জাতের বড় বড় ফল তবে কাঁটা থাকেনা।

আপনি ঠিকই বলেছেন, ১২/১৩ বছরের মেয়েদের সহজাত প্রাকৃতিক বোধ বুদ্ধি অনেক প্রখর। একই বয়সের ছেলের তুলনায় ওদের মানসিক বয়স ৫ বছর বেশী (আনুমানিক) তাই ১০ এ পড়ে আপনি যে বুদ্ধি অর্জন করেছেন মেয়েটি তার চেয়েও বেশী পরিপক্ক। ঘটনাটি হয়তো সাময়িক আবেগ, নাহলে জ্বীন ভূতের ভয় দেখিয়ে মেয়েটি রেহাই নাও পেতে পারতো।

সৈয়দ শামসুল হক যা লিখেছেন সমাজের সঠিক চিত্রই চাছা ছোলা ভাষায় তুলে এনেছেন।
হুমায়ুন আজাদ কোন রাখঢাক না করেই স্পষ্ট ভাষায় যা বলার তা বলেছেন, বিশেষ করে পাক সারজমিন সাদ বাদে যা লিখেছেন তাতে একটা গোষ্ঠির টার্গেটে পড়ে গিয়েছিলেন।

সমরেশ বসুর প্রজাপতিও সমাজের সঠিক চিত্র স্পষ্ট করে তুলে ধরে নিষিদ্ধের গিলোটিনে আটকা পড়েছিল বহুদিন।

শ্লীলতা এবং অশ্লীললতা দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপার। মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে তারপরও একটা উদাহরন দিতে ইচ্ছে করছে।

একবার এক চিত্রশিল্পী একটা ছবি একে অশ্লীলতার দায়ে দোষী হলেন, সমাজে ভীষন তোলপাড় ও অস্থিরতা দেখা দিলো। মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাড়ীতে ঢিল ছুড়তে লাগলো, বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোর্ট অব্দি গড়ালো।
তিনি একটি যুবতীর নগ্ন দেহের ছবি এঁকেছিলেন, যেখানে যৌবনের জয়জয়কার প্রদর্শনের জন্য নারীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রকটভাবে তুলে ধরেছিলেন।
আদালতে বিচার কার্য চলাকালে বিচারক তাকে বললেন, " অশ্লীল ছবি অঙ্কন করে সমাজের নারীদের অবমাননা করার জন্য তোমাকে কেন সাজা দেওয়া হবে না? "
জবাবে শিল্পী বললেন, " হুজুর আমি স্রষ্টার সৃষ্টির মাধুরীকে তূলীর টানে তুলে এনেছি। স্রষ্টা কিইই সুন্দর ভাবে নারীদেহ সৃষ্টি করেছেন, এই সৌন্দর্য্য সৃষ্টির জন্য কি স্রষ্টাকে দায়ী করা যায়? বরঞ্চ স্রষ্টার গুনগান করা যায়। আমি সেই সৌন্দর্য্যকে তুলে ধরেছি মাত্র। "
তখন বিচারক বললেন, "তোমার চিত্র যদি অশ্লীল না হয় তাহলে অশ্লীল কোনটি? "
তখন শিল্পী মেয়েটির পায়ে একটি মোজা এঁকে দিলেন এবং বললেন, " হুজুর এই চিত্রটি অশ্লীল "
বিচারক বললেন, " বুঝলাম না ব্যাখ্যা করো। "
তখন শিল্পী বললেন, " মোজাটি নির্দেশ করছে যে মেয়েটি কাপড় পড়েনি নগ্ন, মানুষের ভাবনাকে একটা নির্দিষ্ট দিকে ধাবিত করেছে, স্রষ্টার সৃষ্ট সৌন্দর্য্যকে কলুষিত করেছে। "
বলাবাহুল্য চিত্রকর নির্দোষ হিসাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান।

তাই চামড়ার চোখে শুধু পড়েই একজন লেখক বা সাহিত্যিককে সমালোচনা করা যায় না, লেখকের অবশ্যই যুক্তি এবং ব্যাখ্যা থাকবে।

ভাল থাকুন গাজীভাই। :)

২১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আমার ভাবনা ও ধারণার কয়েকটা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন; এগুলোর উপর আপনার ভাবনাগুলো আমার পছন্দ হয়েছে। শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকরা আমাদের সাংস্কৃতিক জীবনের উপর প্রভাব ফেলে।

২২| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:৫১

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপনার কমেন্ট ব্যান আর ভাল লাগছে না, আশা করি মডারেটরেরা বিবেচনা করে আপনাকে মুক্ত করে দিবেন।

২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনাদের বুদ্ধির তারিফ করছি, দেখা যাক!

২৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০১

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: ক্লাস টেনে পড়া একটা ছেলেকে ১২-১৩ বছরের মেয়ে কাকু ডাকলে কেমন অনুভূতি হইতো? নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগতো না? :||

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



গ্রামের সবাই সবাইকে কোন একটা 'সম্পর্কীয়' শব্দে ডাকে; ১০ বছরের ছেলে ১০ বছরের মেয়ের কাকু হওয়া সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.