নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আবার কোথাকার বিল গেইটস?

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৪



এই ঘটনাটা ঘটেছিলো বেশ আগে, এক দোকানী আমার সাথে গন্ডগোল করেছিলো, আমিও সামান্য চেষ্টা করেছিলাম, সেই কাহিনী।

এক ছুটির দিনে এক বন্ধুমানুষ আমাকে ও আরো ৪ জনকে নিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য কিছুটা দুরে একটি ইটালিয়ান রেষ্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন; আমি ট্রেনে রওয়ানা হলাম; দেখি, প্রায় ২০ মিনিট আগেই পৌঁছে গেছি! ঠিক আছে, আশেপাশে হেঁটে দেখি: ইটালিয়ান-গ্রীক এলাকা, পরিস্কার, উঁচু দালান মালান নেই, ভালো; সামনে একটা কফিশপ পড়লো, বেশ সুন্দর; ঢুকলাম, একজন কাষ্টমার কফির পয়সা দিচ্ছে, আমার সামনে আরেকজন লাইনে, আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা; কাপড় চোপড়ে দারিদ্রতার চাপ। তিনি মাখনসহ একটা টোষ্ট-করা ব্যাগল ( ১জনে খাবার মতো গোলাকার রুটি বিশেষ) অর্ডার করলেন। কাষ্টমার কম, একজন মাঝ বয়সী লোক ক্যাশে, সে'ই অর্ডার তৈরি করে দিচ্ছে, পয়সা নিচ্ছে; ২২/২৩ বছরের একটা মেয়ে পেষ্ট্রি মেষ্ট্রি সাজিয়ে রাখছে তাকে।

মহিলাটি খুচরা পয়সা দিলো, আগের থেকেই হিসেবে করে মুঠায় ধরে রেখেছিলো; ক্যাশিয়ারের মুখে সামান্য বিরক্তি, সে পয়সাগুলো গণনার শুরু করেছে, ৫/১০ পয়সার কয়েন সব; আমার পছন্দ হলো না, সামান্য ব্যাগলের মুল্য গণনা করে নিতে হবে? গণনা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মহিলা; ক্যাশিয়ার হ্যাঁ-সুচক মাথা নাড়লো; মহিলার সরে যাবার কথা, তিনি সরলেন না; বেশ নম্রভাবে ক্যাশিয়ারকে বললেন,
-আমি কি একটি ফ্রি কফি পেতে পারি?
-না, আমি ফ্রি'তে কিছু দিই না।

মহিলা সরে দাঁড়ালেন, আমি মহিলাকে ইশারা করলাম অপেক্ষা করতে; ক্যাশিয়ারকে বললাম,
-মহিলাকে একটা ছোট কফি দাও, পয়সা আমি দেবো!
-তুমি আবার কোথাকার বিল গেইটস? তোমার কাছে কি আমার চেয়ে বেশী টাকা? ক্যাশিয়ার রেগে বললো।
-টাকার কথা কেন আসছে, আমি মহিলাকে কফি কিনে দিচ্ছি!
-আমি কফি দিইনি, তুমি কফি কিনে দিয়ে বড়লোকি দেখাচ্ছ?
-আমি বড়লোকী দেখাচ্ছি না, আমি চাই মহিলাটি একটা কফি পাক।
-তোমার কোন অর্ডার নেবো না, যাও!

পেষ্ট্রির মেয়েটা এগিয়ে এসে, লোকটাকে বললো,
-আংকেল, তুমি পেছনে যাও, ব্রেক নাও, আমি দেখছি।
লোকটা ক্যাশ থেকে সরে গেলো, যাবার আগে আমাকে বললো,
-আমার দোকানে তোমাকে যেন আর না দেখি।
-আমি আসবো না, আমার বন্ধুরা আসবে।

মেয়েটা আমাকে ইশারা করলো চুপ করতে; সে প্রথমে ছোট ১ কাপ কফি দিলো মহিলার জন্য; মহিলটা আমাকে ও মেয়েটাকে ধন্যবাদ দিয়ে কফি নিয়ে চলে গেলেন। আমি ভেবেছিলাম, ঠান্ডায় এখানে বসে কফি খাবো, তা হলো না, আমি কফি নিয়ে বের হয়ে এলাম; দোকানের ঠিকানটা টুকে নিলাম।

পরের সপ্তাহে লেবার-ডে ছুটির দিন ছিলো, সেই দিনটাকে সামনে রেখে, আমি সেই কফির দোকানের নামে ছোট একটা হ্যান্ড-আউট তৈরি করলাম ইংরেজীতে; বাংলায় অনেকটা এই রকম:

"লেবার-ডে'এর সন্মানে ফ্রি কফি
বেলা ১০ টা থেকে ১২ অবধি ফ্রি কফি, জনপ্রতি ১ কাপ মাত্র

হ্যাপী লেবার-ডে।
কফিশপের ঠিকানা"

আমি সকাল ১০টার একটু আগেই কফিশপের ট্রেন ষ্টেশনে পৌঁছলাম, হ্যান্ডআউট বিলি করার জন্য লোক খুঁজতে লাগলাম। ষ্টেশনের সামনে ৩/৪ জন স্পেনিশ কাজের খোঁজে দাঁড়িয়ে আছে, নিজেদের মাঝে আলাপ করছে। আমি ১ জনকে বললাম, এই হ্যান্ডআউটগুলো বিলি করতে পারবে কিনা, আমি ১ ঘন্টার জন্য ১০ ডলার দেবো। সে হাতে চাঁদ পেলো। তার হাতে ২০০ হ্যান্ডআউট দিয়ে, তাকে বুঝিয়ে দিলাম: ট্রেন থেকে বেরিয়ে আসা, শুধুমাত্র বয়স্কদের দিতে, আর ছাত্রছাত্রী ধরণের ছেলে মেয়েদের দিতে; ভালো কাপড়ছোপড়-পরা মাঝারী বয়সীদের না দিতে।

আমি রাস্তার উল্টোপাশে একটি সেলফ-সার্ভিস লন্ড্রীতে গিয়ে বসলাম, কফিশপ ও স্পেনিশ ছেলেটার উপর নজর রাখছি; প্রথম ১০/১২ মিনিটের মাঝে হ্যান্ডআউট হাতে ৬/৭ জন মানুষ কফিশপে প্রবেশ করলেন, ২/৩ জন কফি হাতে বেরিয়ে গেলেন; এরপর, ৫/৭ মিনিটের মাঝে আরো ৭/৮ জন মানুষ ভেতরে গেলেন। একটু পরে দেখি সেই পুরুষ ক্যাশিয়ারটা একটা হ্যান্ডআউটসহ বেরিয়ে এসে, এক মিনিট এদিক ওদিক দেখে ট্রেন ষ্টেশনের দিকে গেলো; সে স্পেনিশ ছেলেটার হাত থেকে হ্যান্ডআউটগুলো কেড়ে নিয়ে পাশের গার্বেজে ফেলে দিলো, এরপরে ছেলেটাকে ধাক্কা মারলো; লোকজন তাকে থামাচ্ছে, সে চীৎকার দিচ্ছে; বেচারা স্পেনিশ হেঁটে রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে চলে গেলো। ক্যাশিয়ার রেগেমেগে দোকানে এসে ঢুকলো, একটু পরে সব কাষ্টমারকে বের করে দিয়ে, দোকানের সাটারটা অর্ধেক নামিয়ে দিয়ে, বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালো।

আমি চুপ করে বসে দেখছি; একটু পর সে সেলফোনে কার সাথে কথা বলার শুরু করলো, রেগেমেগে একাকার। অতপর হেঁটে আবার ট্রেনের দিকে গেলো। আগেরদিনের পেষ্ট্রির মেয়েটা মাথা নীচু করে দোকানের ভেতর থেকে বাইরে এসে সাটারটা তুলে দিলো; কয়েকজন কাষ্টমার ভেতরে যাবার পর, আমি লন্ড্রী থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চারিদিকে খেয়াল রাখলাম; পুরুষ ক্যাশিয়ার ট্রেন ষ্টেশন থেকে ফিরছে না অনেকক্ষণ। আমি ভাল মতে চারিদিকে খেয়াল রেখে ট্রেন ষ্টেশনে গেলাম, সে নেই! আমি কফিশপের সামনে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভেতরে গেলাম; পেষ্ট্রির মেয়েটা কফি বানাচ্ছে, ক্যাশে অন্য একটা মহিলা; আমি লাইনে দাঁড়ালাম।

পেষ্ট্রির মেয়েটা একজন কাষ্টমারকে একটা কফি দেয়ার সময় আমার দিকে তাকালো; মনে হয়, সে খেয়াল করেনি, অভ্যাসবশত তাকায়েছে; আমি লাইনে আছি, দরজা থেকে বাহিরে অনেক দুর অবধি খেয়াল রাখছি, পুরুষ ক্যাশিয়ারকে দেখলে কৌশলে কেটে পড়বো; মেয়েটা আরেকটা কফি বানায়ে আমাকে ইশারায় ডাকলো, আমি তখনো লাইনের শেষজন, সামনে ৩/৪ জন। সে কফিটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো,
-এটা ফ্রি, তুমি চলে যাও।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: ছোট বেলায় আমিও এর কাছাকাছি একটা ঘটনা ঘটিয়েছি, আপনার গল্প পড়ে সেইটা মনে পরে গেলো। হা হা হা!!

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সময় সময় একটু আধটু করতে হয়।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৬

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি ক্রিয়েটিভ গোলমাল পাকানো লোক =p~ =p~ =p~ =p~

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



রেগে গেলে লেগে যাই।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০০

অর্ক বলেছেন: ও এম জি!

দোকানের মালিক তো সেদিন আপনাকে প্রায় বলাৎকার করেছে সেখানে! এটা ঢোল পিটিয়ে বলার মতো কিছু নয়! আর পরে যা করেছেন, সেগুলো নীরেট শিশুসুলভ দুষ্টুমি। এর মধ্যে কোন বাহাদুরি নেই। চাইলে এরকম করাই যায়। কিন্তু সভ্য সুস্থ মানুষের পক্ষে এই ধরণের ইতরামো করা কোনওরকমেই সম্ভব নয়। এতে ‘বুদ্ধির জাহাজ আমি’ ভাব নেয়ার কিছু নাই।

সরি। মন্তব্য ভালো না লাগলে ডিলিট করতে পারতেন। কিন্তু লেখাটি পড়ে আশ্চর্য হলাম। এইরকম নীচতা নির্লজ্জতার প্রদর্শন শুধুমাত্র ইতর শ্রেণির মানুষের পক্ষেই সম্ভব। আমি কিন্তু লেখা নিয়েই বললাম। আপনার মানসিক রোগের চিকিৎসকের আশু শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। দেশ জাতি উদ্ধার পরে।

শুভেচ্ছান্তে...

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



মনে অনেক ক্ষোভ?

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: ইটালিয়ানরাও কি এমন উগ্র নাকি? সাদা আমেরিকান রেস্টুরেন্ট মালিকদের ভেতর এই স্বভাব থাকে শুনেছি।

সাদা চামড়ার আমেরিকানদের রেসিস্ট মনোভাব দেখলে মেজাজ খারাপ হয়। যখন ওরা বলে "গো ব্যাক টু ইয়োর কান্ট্রি", তখন হাসি পায়, আরে গর্দভ, তোমরাই তো ন্যাটিভদের মেরে কেটে এই দেশ দখল করছো, মেক্সিকানদের থেকে দুনম্বরী করে তাদের দেশের অর্ধেক বাগিয়ে নিছো. তোমাদেরই তো নিজ পূর্বপুরুষদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিৎ।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



অশিক্ষিত আইরিশ ও ইটালিয়ানরা বদরাগী; শিক্ষিত ইটালিয়ানরা ভালো।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ কাউকে কিছু কিনে দিলে দোকানীর আপত্তি থাকার কথা ছিল না, সেজন্য তার অকাজের প্রতিবাদের দরকার ছিল।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বদমেজাজী লোকদের কার্যকলাপ রেশানেল হয় না।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়---
করেছেন কি!!!

আপনি তো সহজ মানুষ না। মানুষকে শিক্ষা দিতে জানেন।
আপনি বাংলাদেশে চলে আসুন। দুষ্টলোকদের শিক্ষা দিন।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




দেশে দুষ্ট লোকজন ও বদমেজাজীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে, দেশে ফিরতে হবে।

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৫

জুন বলেছেন: আপনি নিজেকে মুকেশ আম্বানি বলতেন ;)
আসলেই মজার অভিজ্ঞতা। ভালো লাগলো।
+

২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




যারা অকারণ গন্ডগোল করে, তাদেরকে সামান্য গন্ডগোলে ফেলার চেষ্টা করি।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনি তো ক্যাশিয়ারকে জটিল অবস্থায় ফেলে দিলেন হে। এক কাপ কফি আর এমন কি?

২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু কিছু রগছটা লোকজন আছে, এরা কখন কি কারণে রেগে যায়, উহার কোন ব্যাখ্যা নেই।

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪

অর্ক বলেছেন: সবাইকে এলোপাথাড়ি পিগমি বানর বলে বেড়াবেন। কথায় কথায় দেশ দেশের মানুষকে মগজহীন এটাসেটা বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবেন। নিজে কোনওরকমের তীক্ষ্ণ সমালোচনা নেবেন না! হা হা হা।

ভালো মন্তব্য করি, ভদ্রলোকের ঠিকানা থাকলে, নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে একটি চিঠি দিন। চুল পরিমাণও কোনও দোষ নেই তার। আপনার টাকার গরম দেখানো উচিৎ ছিলো দোকান থেকে বেরিয়ে। ওরকম কফি খাওয়ানোর মানুষের অভাব হবে না পৃথিবীর কোথাও।

ধন্যবাদ ভাই। সম্মান। ভালো থাকবেন।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



পেঁচা দেখলে ভয় পান?

১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

একেই বাংলায় বলে পোংটা !!
আপনি ছোট বেলায় যেমন পোংটা ছিলেন
এখনও তাই আছেন। মরার সময় যমদূতের
সাথেও পোংটামি করবেন =p~ ! বলে আমার
ধারনা !!

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমি সব সময় সহনশীল ছিলাম; গ্রাম্য ফুটবল খেলায় মারামারি লাগলে, কিলঘুষি আমার ভাগে বেশী পড়তো।

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাজিদ! বলেছেন: তিন আর নয় নম্বর কমেন্টের সাথে একমত। শিশুসুলভ লেখা ও কাজ। হাস্যকর।
আপনি নিয়মিত থাইরয়েড প্রোফাইল আর ক্যালসিয়াম চেক করান তো? গন্ডগোল মনে হচ্ছে যে কোন একটায়।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাড়ে ৯ মাস ব্লগে আছেন, আপনার কোন পোষ্ট নেই, ০ মন্তব্য পেয়েছেন; আপনার একমত, দ্বিমত, ত্রিমত দিয়ে আমি কি করবো?

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

৩, ৯ এবং ১১ আপনারাও তো খুবই
অসহনশীল হয়ে গেলেন !! সংযমতা
বজায় রাখুন। একজন বয়জেষ্ঠ্য্ মানুষকে
সম্মান প্রদর্শণ করুন। তাতে আপনাদেরই
ভদ্রতা প্রকাশ পাবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আমাকে জানেন, এবং এদের মতো হাজার জনকে দেখেছেন; এদেরকে উপদেশ দিয়ে লাভ নেই, সময়ের সাথে এরা নিজ যায়গা খুঁজে পাবেন।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাজিদ! বলেছেন: =p~

যারা অনেকবার বললেও বুঝে না, স্লো, তাদের থাইরয়েড হাইপো হতে পারে, সাথে ক্যালসিয়াম যদি বেড়ে যায় তাদেরও স্থিরতায় সমস্যা হতে পারে।

আপনি কিছু মনে করিয়েন না। নিয়মিত চেকাপ করান সব হরমোনাল প্রোফাইল।
নূর ভাইকে দেওয়া কমেন্ট পালটে নতুন কমেন্ট লেখলেন আবার আমাকে দুইবার কমেন্ট করলেন, মনে হচ্ছে আসল জায়গায় নক দিয়েছি =p~
যখন মানুষকে লজিক ছাড়া যাচ্ছেতাই অপমান করেন তখন সেই ব্লগারটির কেমন লাগে এখন বুঝতে পেরেছেন? আমি তো আরও লাইনের ভেতরে থেকে মন্তব্য করলাম।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন; প্রাইভেট মেডিক্যালে পড়েছেন?

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে এমন হলে আমি হলফ করে বলতে পারি ফ্রন্টডেস্ক/ক্যাশিয়ারের সাথে কাস্টমারের রিতিমতো কুস্তি হয়ে যেতো। আমি কখনো রেস্টুরেন্ট/হোটেল ব্যবসাতে আগ্রহ বোধ করিনি। কখনোই না। যারা রেষ্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন তারা জানেন খুব ভালোভাবেই জানেন আমাদের দেশের কাস্টমার কতোটা বদরাগি আর রেস্টুরেন্টের জন্য অসম ধৈর্য্যশীল এমপ্লয়ি পাওয়া কতো কঠিন!

বর্তমানে বাংলাদেশের ফুড ব্লগারদের আচরণ ভয়াবহ। আপনি কুস্তি না লড়ে যা করেছেন তা খুবই ভালো কাজ করেছেন। ঢাকা এমনও এলাকা আছে যেখানে রেষ্টুরেন্টের ওয়েটার বয় ক্যাশিয়ারের আচরনের জন্য গোলাগুলি হতাহত পর্যন্ত হয়েছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




ঢাকা হলো, বাংলাদেশের ক্যান্সার; ইহা বাংলাদেশকে চুষে খাচ্ছে; ওখানকার মানুষজন ভুবন বিখ্যাত।

১৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৯

অক্পটে বলেছেন: একজন কাস্টমারকে 'তোমার কোন অর্ডার নেবনা বা তুমি যাও' এসমস্ত অপমানসূচক বাক্য শুধু মাত্র আনসিভিলাইজড আনকালচার্ডরাই বলতে পারে। এরা দোকাদারীর যোগ্য নয়। এদের মতো লোকদের সুযোগ মতো অবশ্যই জুতানো দরকার। আপনি যা করেছেন ভাল লেগেছে। আমি সেদিন কাশ্মীরি একটা দোকানে খাবার অর্ডার করতে গেছি বন্ধু আমার সাথে। আমি বন্ধুকে তার পছন্দের যে কোন খাবার অর্ডার করতে বললাম। সে মেনু দেখছে এবং মেনুর প্রাইস এবং বোর্ডে টাংগানো প্রাইসে গড়মিল দেখে সে কারণ জিজ্ঞেস করতেই সেই দোকানের ক্যাশিয়ার উল্পা পাল্টা কথা বলতে শুরু করলো বন্ধুকে এক পর্যায়ে ক্যাশিয়ার বেটা বলে বসলো খাবার নয় যেন মিসাইল কিনতে এসেছে। রাগ হলো আমার দুএকটা কথা শুনিয়ে বেড়িয়ে এলাম দরজায় একদল পুলিশ। সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে এই দোকান সিলড করতে এসেছে।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



রেডন্যাকরা আমেরিকার সুনাম নষ্ট করে।

পাক-ভারতীয় বা চীনা রেস্তোরাগুলোতে খেলে কোন না কোনভাবে ঠকিয়ে দেয়; মন খারাপ করে দেয়।

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঢাকা হলো, বাংলাদেশের ক্যান্সার; ইহা বাংলাদেশকে চুষে খাচ্ছে; ওখানকার মানুষজন ভুবন বিখ্যাত। ঢাকা না সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ভূবন বিখ্যাত। কোনো একজন বিশিষ্ট ব্লগার উচ্চতাপে বলেছিলেন তিনি এপার ওপার দেখেছেন তাই তার এপার ওপারের অভিজ্ঞতা প্রবল! এবং ওপারেই থেকে গিয়েছেন। আমি এপার ওপার দেখে এপারে থেকে গিয়েছি। কারণ ওপারের বাংলাদেশী লোক দলিয় কোন্দল দল রাজনীতি বদনাম সদনাম নিয়েই ব্যস্ত এখন সেটি জাপান হোক আর আমেরিকা!

আপনাদের আমেরিকাতে বাংলাদেশী সোসাইটিগুলো কি রকম ভাবে গ্রুপিং করে তা রিতিমতো আরেকটি বাংলাদেশ। একজনের আড়ালে এক একটি গ্রুপ দেশের পাড়া মহল্লার মতো বদনাম করে। - আপনি বলুন আমেরিকায় বাংলাদেশীরা এটি করে না?

যারা ছেলে মেয়ে বিপুল টাকা খরচ করে প্রবাসে পাঠান প্রবাসে সেটল হতে চিন্তা করেন তারা নিজের পায়ে কুড়াল মারেন না। তারা কুড়ালে পা মেরে দেন। প্রবাসে বাংলাদেশী সোসাইটি ভয়াবহ। - আর এই কারণে প্রচুর প্রবাসী একা নিভৃতে বসবাসের জন্য বাংলাদেশী সোসাইটি থেকে দূরে সরে পরেন।

প্রবাসে বাংলাদেশের ভদ্রলোক যারা আছেন তারা মানবেতর জীবন যাপন করেন। কারণ তাঁদের কোনো বন্ধু নেই, আত্মীয় পরিজন নেই। সন্ধ্যা হলে দেশে লং কল দিয়ে বসেন। তাঁদের সাথে কথা বলতে গিয়ে কান ব্যথা করে। তখন বাধ্য হয়ে বলি দেশে চলে আসেন।

বাই দ্য ওয়ে: - আউল ফাউল পোস্টে আপনি বারংবার মন্তব্য করলে আপনার পোস্ট পড়া থেকে বিরত থাকবো এবং আপনার পোস্টে আর মন্তব্য করবো না। আপনার কারণে যেমন তেমন লোক ব্লগে বাজে কথা বলার সুযোগ পায়। আপনি সুযোগ করে দিচ্ছেন তাদের বাজে কথা বলার। তাদের পোস্টে আপনি মন্তব্য না করলে ব্লগ বন্ধ হবে না, আর আপনার ব্লগিংও বন্ধ হবে না। আপনি নিজে নিজে ব্যন খাচ্ছেন। মনে রাখবেন নর্দমায় যে পা ফেলে দোষ তার, কখনো নর্দমার দোষ না।


সামহোয়্যরাইন ব্লগ এডমিন
মন্তব্যটি সামহোয়্যরাইন ব্লগের এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। জরুরী নয় এডমিন প্রতিমন্তব্য করতে হবে। তিনি আমার মন্তব্যটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।

২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি বুঝার জন্য অনেক অপ্রয়োজনীয় পোষ্ট মন্তব্য করে থাকি, এগুলোর রেজাল্ট ভালো নয়। আমাকে এমনিতেই ব্লগিং থেকে সরে যেতে হবে।

বাংগালীরা আমেরিকায় ভারতীয় বা নেপালীদের মতো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি; মানুষ ছোট ছোট গ্রুপে চলছেন। আমি আমেরিকায় স্হায়ীভাবে না থাকায়, এসব সোসাইটি ইত্যাদির সাথে চলার সুযোগ পাইনি। আমি আমাদের এলাকার কিছু লোকজনের সাথে চলি।

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ডাল ভাত রুটির জন্য আমাকে নানান দেশে যেতে হয়েছে। আমি জীবনে অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি প্রবাসে বাংলা সোসাইটি থেকে দূরে থাকা মানে ভালো থাকা।

প্রবাসে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ভালো সোসাইটি হচ্ছে ভারতের পাঞ্জাব ও তামিল সোসাইটি। এরা এজনরে জন্য আরেকজন প্রাণ দিয়ে দিবে। আর প্রবাসে ভারতের সবচেয়ে লেইম সোসাইটি হচ্ছে হায়াদ্রাবাদ ও বিহার এরা বাংলাদেশীর ভাইবোন।


২৫ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি ঘুরেফিরে আমেরিকা এলেও, আমি ইউরোপেও কাজ করেছি বেশ কিছু সময়; ফলে, কোথায়ও স্হায়ীভাবে ছিলাম না। শক্তিশালী সোসাইটি করা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.