![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আমি তখন হাইস্কুল শুরু করেছি; বাবার মৃত্যুর পর, চাষবাস আমি দেখছি; এটি তখনকার ছোট একটি ব্যাপার:
আমাদের গরু ছাগল দেখার জন্য যে ছেলেটি ছিলো, সে রাতে খামারে থাকতো না ভয়ে; আমাকেই থাকতে হতো সেখানে। মাঠের একপ্রান্তে অবস্হিত খামারের রাতগুলোকে মায়াময় মনে হতো। একরাতে শিয়ালের ডাকে ঘুম ভাংগলো, মাঝরাত হবে, মনে হচ্ছে; নিঝুম রাতে শিয়ালের চীৎকার অদ্ভুতভাবে ভালো লাগছিলো; মিনিট খানেক পরে শিয়ালগুলো শান্ত হলো, চারিদিকে গভীর রাতের অদ্ভুত প্রশান্তি; জানালায় ফাগুনের হালকা বাতাস; কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ অনেকটুকু উঠেছে, হালকা মিস্টি আলো, আকাশভরা তারকারাজি; পুর্ব পাশের মাঠে চার পাঁচটা শিয়াল দৌঁড়াচ্ছে: শামুক, কাঁকড়া, কিংবা ইঁদুর ধরার চেস্টা করছে। খামারে ঘুম ভাংলে প্রথম কাজ গরুগুলোকে একবার দেখা; গরু ঘরের সামনে যেতে লাল বলদটি উঠে দাঁড়ালো; বুঝলাম, পানি খাবে। বালতি হাতে টর্চ নিয়ে পুকুরের দিকে চললাম, হালকা আলোকেও টর্চ দরকার, রাতের এই হালকা আলোকে সাপের বাচ্চাগুলোকে দেখা যায় না। দুর থেকেই দেখছি, ঘাটে একজন লোক বসে আছেন; এত রাতে এদিকে কেহ আসার কথা নয়; আমি কাছে যেতে লোকটি উঠে দাঁড়ালেন, বয়স্ক।
-আপনাকে তো চিনলাম না, আমি বললাম।
-বাবা, আমি সোনাগাজীর লোক, কাজের খোঁজে এসেছিলাম, আজ ২ দিন কিছু পাইনি; আজ বিকেলে সাধুর হাঁটে গিয়েছিলাম, কেহ নিলো না; এই খামারে আমি কাজ করেছিলাম কয়েক বছর আগে, সেই আশায় এসেছি; রাতের বেলায়, মালিকের বাড়ীটা মাঠের কোন পাশে ছিলো ঠিক বুঝতে পারছি না।
-আসেন, ঘরে আসেন। রাতে খেয়েছেন?
-না বাবা, কিছু খাইনি।
উনাকে বসায়ে আমি বাড়ী গেলাম, ১০ মিনিটের পথ, সবাই ঘুমাচ্ছে; ভাতে পানি দিয়ে দিয়েছে; যাক, এটাই দিতে হবে। লোকটার বয়স পন্চাশের কাছাকাছি হবে, বয়সের তুলনায় দুর্বল। সকালে উনি আমার আগেই উঠে গেছেন।
-চলেন, বাড়ী থেকে খেয়ে আসি। বাড়ীর কাছে যেতেই তিনি বাড়ী চিনলেন।
-আপনি কি মালিকের ছেলে? উনার চেহারার সথে মিল আছে!
-হ্যাঁ উনার ছেলে; উনি নেই, উনার মৃত্যু হয়েছে।
কাছারী ঘরে বসে দুইজনে খেলাম।
-আপনার ছেলেমেয়ে কয়জন? আমি জানতে চাইলাম।
-দুই মেয়ে, এক ছেলে!
-ওদের ব্যবস্হা আছে বাড়ীতে?
-না, বাবা; আমি আসার সময় ঘরে কিছু ছিলো না; আমিও খালি হাতে বের হয়েছি।
-মিয়াজান ঘাট হয়ে মুহুরী নদী পার হলে, কত মাইলের মধ্যে আপনার বাড়ী?
-কাছেই বাবা, ৩/৪ মাইল হবে।
-আপনি আমাদের কাজ করবেন, আমি আপনাকে ২ সপ্তাহের বেতন দেবো এখন, আপনি বাড়ী গিয়ে টাকাগুলো দিয়ে চলে আসেন।
লোকটার চোখে পানি; উনি ২ দিন পর ফেরত আসলেন। আমাদের কাজ করেছিলেন ৬ বছর। তিনি আমাকে মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতেন,
-আপনি কিভাবে আমাকে বিশ্বাস করে, ২ সপ্তাহের অগ্রিম বেতন দিয়েছিলেন?
আমি সব সময় বলতাম, "আমার মনে হয়েছিলো, ইহার দরকার ছিলো"।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সম্ভব হলে করিয়েন, অভুক্ত বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের খেতে দিতে পারবেন।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: হাইস্কুলের বাচ্চাটা বলে উঠলো" আমার মনে হয়েছিলো, ইহার দরকার ছিলো"।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তখন আমাদের গ্রামে ১ জন মেট্রিক পাশ করা মানুষ ছিলেন; তখন জীবন অনেক কষ্টকর ছিলো, সেই বয়সেই পরিবারের জন্য কাজ করতে হয়েছিলো।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: দেশে মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাসের বিবর্তন তেমন হয়নি আজ পর্যন্ত ;এখন রাস্তায় কেউ কারো জিনিস কুড়িয়ে পেয়ে ফিরত দিলে সব জায়গায় হাইলাইট হয় ;কিন্তু ব্যাপারটা ছিল সহজাত প্রবৃত্তি।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক জাতির মরাল উঠানামর মাঝ দিয়ে যায়; আমাদের জাতির মরাল এখন নিম্নমুখী।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিশ্বাস কখনো হারাতে নেই।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
গত ৪০/৫০ বছর জাতির মরাল নিম্নমুখী: মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা কমেছে, ব্যক্তিত্ব কমেছে, সততার অভাব, দায়িত্বহীনতা স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৩
গফুর ভাই বলেছেন: মানুষ কে সাহায্য করার মাঝে একটা সুখ আছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা' আছে; কিন্তু বাংগালী জাতি সেই সুখের সন্ধান পাননি।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৪
গফুর ভাই বলেছেন: আপনার চরিত্রে চরম অনমনীয়তা আছে কিন্তু তার মাঝে কোমল মনের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা ভালো করতে পারিনি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের থেকেও অদক্ষ, জাতির কপালে আরো কষ্ট আছে।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাহ! সত্য কাহিনী অবলম্বনে সুন্দর গল্প কথা । অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ সে বড় বেদনা দায়ক ,
জীবনের শুরুতেই কষ্টের জীবন , আর সে সময়েই করেছেন মানবসেবা , প্রসংসার দাবী রাখে ।
যাহোক, জীবনের অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখন আছেন সাত সমুদ্রের উপারে তবু মনটা
যে পড়ে আছে ছোট কালের সেই খামারে সেটাই আনন্দের বাড়তা ।
আপনার মত স্কুল জীবনে আমাদের পারিবারিক কৃষি খামারের এক প্রান্তে নির্জনে
নিভৃতে থাকার অভিজ্ঞতা আছে । সে সময়ে নদীর পাড়ে খালের ধারে ছোট এক ঘরে
আমাদের সমবায়ের মাধ্যমে পরিচালিত ইরিগেশন প্রজেক্টের আওতায় পাওয়ার পাম্পের ড্রাইভারকে
সেচ যন্ত্র পাহাড়া দেয়ার জন্য রাতে দামী পাওয়ার পাম্প যন্ত্রের কছে পাহাড়ায় থাকতে হতো রাত জেগে ,
তা না হলে চোরে পাওয়ার পাম্পের যন্ত্রাংশ চুরী করে নিয়ে যেতো। তাই গ্রামের সমবায়ি সকলের ছেলে
ছোকড়াকে পালা করে রাতে সেই ঘরে ড্রাইভারের সাথে রাত কাটাতে হতো । মাঝে মাঝেই আমার
পালা আসতো , বেশ মঝা হতো সারা রাত ড্রাইভারের সাথে গল্প গুজব আর লক্ষি পেঁচা দেখে সময়
ভাল কাটত ।
সে্ই কুড়ে ঘরের কাছেই জঙ্গলের পাশে বড় কৃষ্ণচুড়ার গাছের ডালে রোজই এক জোড়া পেঁচা দেখা যেতো।
গোধূলি এবং কাকডাকা ভোরে এরা বেশি কর্মচঞ্চল থাকত। সন্ধ্যায় বেশ জোরের সাথে চিকিক-চিকিক-চিকিক
শব্দ করে তাদের কাজ শুরু করত। জানতাম পেঁচা নিশাচর তাই রাতভর শিকার করে। গাছের ফোকর, বড়
ডালের গোড়ার আবডাল,ফাঁক-ফোকরে দিন কাটায়, তবে সুযোগ পেলে দিনে দু’-একবার রোদ পোহায় ও
শত্রু পর্যবেক্ষণ করে।
দিনের প্রহরে দু’একবার ডাকলেও রাতের প্রায় সব প্রহরেই ডাকে।দিনের বেলায় কদাচিত পেঁচার দর্শন পেলে
ওদের দিকে তাকিয়ে মাথা উঁচু-নিচু করলে ওরাও সুন্দর ভঙ্গিতে ওদের মাথা উঁচু-নিচু করে। এটি ছিল
আমার কাছে এক মজার খেলা। একদিন দেখতে পাই বড় কৃষ্ণচুড়া গাছের কোঠরে পেঁচা বাসা বেধে ডিম
ফুটিয়েছে । প্রতিদিনই লক্ষ রাখি ডিম ফুটে কবে বাচ্চা বেরুবে। পেঁচাও গাছের কঠুরীতে বসে আমাদেরকে
পর্যবেক্ষন করত যাতে করে তার ডিম ও বাচ্চার কোন ক্ষতি করে না বসি ।
মাসখানেকের মধ্যে দেখতে পাই ২টি পেঁচার বাচ্চা কুঠরের বাইরে মুখ দেখাচ্ছে । মাকে তাদের জন্য
খাবার নিয়ে আসা যাওয়া করতে দেখা যায় । পেঁচার মুখে খাবারের মধ্যে পোকা মাকর ঘাস ফড়িং দেখতে
পাই । তাই ছন খেত হতে ঘাস ফড়িং ধরে পেঁচার বাসায় বাচ্চাদের জন্য ফেলে রেখে আসি । মনে হয়
তারা সেগুলি মঝা করে খেতো। দিন কয়েক পরে জোড়া বাচ্চা দুটিকে গাছের ডালে বসে থাকতে দেখা যায় ।
প্যাঁচা যে কত ভাল, এরা যে মোটেও অলক্ষি নয় তা কদিনেই ভাল করে বুঝে যাই । সে বছর পাওয়ার
পাম্পের ইরিগেসনের ফলে আমাদেরসহ সারা গ্রামবাসীর ধানের ফলন ভাল হয়েছে । অপরকে খাবার
দিলে সে পশু পাখী মানব যেই হোক না কেন ফল ভাল পাওয়া যায় ।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
খামারের ঘরের সাথে লাগানো একতা বাদিগাছ ও কড়াই গাছ ছিলো, ২ গাছের কোটরে তাদের বাসা ছিলো; সন্ধ্যায় ডালে বসতো পেঁচারা, আমাকে নিয়মিত দেখতো বলে ভয় পেতো না; সেই থেকে পেঁচা আমার পছন্দের পাখী।
অদ্ভুত ছিলো সেই জীবন; বুঝতে পারিনি, ভুল করে জীবনের বড় অংশ কেটে গেলো বিদেশে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুন্দর ছবির জন্য ধন্যবাদ আনাকে।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৪
দিমিত্রি বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারন।
মানুষকে বিশ্বাস করাটা ভালো গুন, তবে বর্তমান যুগে বিশ্বাস করলেই কেন জানি শুধু ঠকতে হয়
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের ভেতরে বাংগালীদের বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
নিউইয়র্কে বেশীরভাগ ইহুদীরা বাংগালী ক্যাসিয়ার খোঁজে।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নিরাশ হলাম !! আমি ভাবছিলাম
ঘাটে কোন সুন্দরী দেখতে পেয়েছেন !!
আপনারতো আবার রমনী কপাল !!
যা হোক আপনার মানব দরদী মনের
জন্য ধন্যবাদ!
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
শীতে অনেক নারী এই পুকুরের পানি নিতেন, তাঁদের সাথে নিয়মিত দেখা হতো।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: রাতের বর্ননা পড়তে পড়তে মনে হলো বড় কোন সাহিত্যিকের লেখা পড়ছি।চমৎকার লিখেছেন রাতের বর্ননা।বরারের মতো মানবতাবাদী লেখা।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি কি আপনার কাছে এখনো বড় সাহিত্যিক নই? কবি নজরুল ইসলামের তো গরুও ছিলো না।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: খুধার কস্ট আমি এখনো পাই নাই কিন্তু কেনো জানি মনে হয় শেষ জীবন আমার কাটবে অসম্ভব দারিদ্রতায় হয়তো ক্ষুধার জ্বালা তখন টের পাবো।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেষ জীবনের জন্য এখুনি সন্চয় করেন।
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: শীতে অনেক নারী এই পুকুরের পানি নিতেন, তাঁদের সাথে নিয়মিত দেখা হতো।
ওই রাতে তাদের কারো একজনের দর্শন পেলে আপনার
জীবন ধন্য হতো !! কিন্তু বিধি বাম !!
২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেখা তো অনেকের সাথে হতো, গ্রামে কেহ লুকিয়ে থাকে না; সবাই কথা বলেন, হাসেন।
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার বর্ণনা খুবই সুন্দর এবং ভিন্নধর্মী অর্থাৎ আপনার একটা নিজস্ব স্টাইল আছে। চমৎকার স্মৃতিরোমন্থনের জন্য ধন্যবাদ।
@ ব্লগার সাসুম এর অভিপ্রায় আমাকে মুগ্ধ করেছে। ওনার জন্য রইলো শুভকামনা।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাসুম জীবনের ভয়ংকর কষ্টকর একটা দিকের সাথে পরিচিত হয়েছেন।
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১০
রাজীব নুর বলেছেন: সাউথ ইন্ডিয়ান একটা মুভি আছে নাম ''আসুরান''। গ্রামের কৃষকের কাহিনী। সে রাতে তার জমিতে ঘুমায়। যদি জমিতে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। বা বন্য পশু জমি নষ্ট করে ফেলে। সামান্য শব্দ শুনেই কৃষক বলে দিতে পারে এটা কিসের শব্দ।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের চাষীদের আসলে দরকারী পরিমাণ জমি নেই।
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি চাই মুভিটা আপনি দেখুন। ভালো লাগবে। ভাষা বুঝতে সমস্যা হবে না। হিন্দি ডাবিং আছে।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, দেখবো।
১৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৩
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: গ্রামের সেই সরলতা কি এখনো আপনার মাঝে আছে বড়ভাই?
২৯ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহা নিজের পক্ষে বলা মুশকিল।
১৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫৫
কুশন বলেছেন: আমি গ্রামের ছেলে।
অন্যের জমিতে বাবার সাথে কাজ করেছি। আমরা হত দরিদ্র ছিলাম। আজ আমাদের গ্রামে আমরাই সবচেয়ে ধনী। গ্রামের লোকজন বিপদে পড়লে আমাদের কাছে আসে। আমার বাবা মা কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। সবচেয়ে বড় কথা আমি আমার বাবা যে জমিতে কাজ করেছি, সেই জমি আমি দ্বিগুন দামে কিনে নিয়েছি।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারা সৎভাবে পরিশ্রম করেছেন, সেটা আপনাদের বেলায় সুফল দিয়েছে; আপনাদের জন্য শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১
সাসুম বলেছেন: অনার্স পাশ করে ঢাকা শহরে এসেছি। চাক্রির খোজে। ২০১৫। একটা জব পেলাম ৪৫০০ টাকা বেতন। ২০০০ টাকার বাসা ভাড়া আর আসা যাওয়ার পর তেমন টাকা থাক্ত না। রোজার দিনে তখন রোজা রাখতাম। ইফতারির সময় বের হতাম। মাঝে মাঝে কোন দোকানে গিয়ে পানি গিলতাম। ঢাকাবাসী মাঝে মাঝে ইফতার সাধত। লজ্জায় নিতাম না। খাওয়ার কস্ট বড় কস্ট!সে বছর বুঝেছিলাম। এদিকে গারমেন্টস এ শিপমেন্ট হয় নাই তাই বেতন ও পাই নাই কেউ। কাউরে বলতাম্না।
একদিন এক অপরিচিত লোক জোর করে খাইয়াতে নিয়ে গেল। কি খিদা ছিল সেদিন। যেখানে দিনে ১ বেলা খাইতাম সেখানে ভরপেট খাইলাম। রাস্তার পাশের হোটেলে। ৪৫ টাকায়।
একদিন এরপর বড় চাকরি পাইলাম। এত টাকা রাখার যায়গা পাইতাম্না। সেই লোকেরে বহুত খুজেছি ৩ বছর, পাইনাই।
খাওয়ার কস্ট বড় কস্ট!
সেই ঘটনা আমাকে চেঞ্জ করে দিয়েছিল। এরপর জীবনে কাউরে খালি হাতে ফিরাই নাই।
প্লান আছে, ৪০ পার অইলে ভাতের হুটেল দিমু একটা। সালাদিয়া হুটেল। ফিরি খাবার পাওয়া যাইব।
আপ্নে মানুষ ভালা।