নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ মুজতবা আলীর \'ওয়াতনম\', আর পাকীদের ছাত্র, তালেবান

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৬



৪০ শতকে বাংগালী শক্ত লেখক, সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেব 'ওয়াতনম' গল্পটি লিখেছিলেন; আমরা ৬০ দশকে স্কুলের পাঠ্য বইয়ে পড়েছি; আফগানিস্তানের কোন এক পাঠানের দেশপ্রেম দেখে উহ: আঃ করেছি, ও আমাদের দেশে গ্রামে গ্রামে কাবুলীওয়ালাদের দেখে মন খারাপ করেছি, বেচারারা জীবিকার জন্য স্ত্রী, পরিবার-পরিজন ফেলে বাংলার মাটিতে পিঠে বিরাট বোঝা টেনেটুনে হকারী করছে গ্রামে গ্রেমে; যেখানে রাত, সেখানে কাত।

১৯৭৩ সাল অবধি, আফগান নারীরা ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দু:খী নারী, এরা স্বামীর দেখা পেতেন না; স্বামীরা বিদেশে, "কাবুলীওয়ালা": পাকিস্তান, ভারত, ইরান, সিরিয়া, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তানের রাস্তায়, এরা সুদখোর "কাবুলীো্যালা"। কেহ কেহ প্রতি বছর দেশে যেতো, ২/১ মাস পরিবারের সাথে থাকতো, অনেকে ২/৩ বছরও দেশে যেতে পারতো না। '৭৩ সালে থেকে নারীদের ভাগ্য বদলাতে শুরু করলো, জাতি দেশের রাজা, জহির শাহ'কে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, আগের থেকে ভালো থাকতে চেষ্টা করেছে, দেশকে 'প্রজাতন্ত্র' করেছে। কিন্তু দেশে অশান্তি, স্বামীরা স্ত্রীকে ফেলে যে বিদেশে যাবে সেই অবস্হা রলো না।

আজকে ১ সপ্তাহ দেখছেন, কিভাবে এই পাঠানেরা পালাচ্ছে; শুধু গতকালই, এয়ারপোর্টে ঢুকতে গিয়ে ৭ জন পায়ের তলায় পড়ে নিহত হয়েছে; এর আগে ২ বার চলন্ত সামরিক বিমানে উঠতে গিয়ে ১২ জনের প্রাণ গেছে। আমেরিকা ও ইউরোপ মিলে, প্রায় সোয়া ১ লাখ কাবুলীওয়ালাদের নিয়ে যাবে রিফিউজী হিসেব। আমেরিকা যারা আসবে, তারা লিগ্যালী আসবে, এদের আর ফেরত যেতে হবে না। এরাই ছিলো দেশের মোটামুটি শিক্ষিত অংশ; এরা পালিয়ে গেলে বন্যদের থামাবে কে?

সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেব কি ভুল দেখেছিলেন, নাকি আমরা ভুল দেখছি? আসলে, উনি ভুল দেখেননি, উনি সঠিক পাঠান সমাজ দেখেছিলেন, আমরা যাদেরকে চলন্ত সামরিক বিমানে উঠার জন্য দৌঁড়তে দেখছি, এটাও চলমান ঘটনা থেকে, এটাও আসল ঘটনা; মাঝখানে কি ঘটলো? মাঝখানে আফগানীরা পাকী, আরব, সেসনিয়ান, ইরানীনের সাথে মিশেছে; ২০/২২ জংগী সংগঠন আফগানীদের আফিম চাষী থেকে হিরোইন ব্যবসায়ী ও ধর্মের নামে জংগীতে পরিণত করেছে। আজকে একাংশ নিজের দেশ দখল করছে চেংগিস খানের কা্যদায়, আরেক অংশ চলন্ত বিমানের চাকার সাথে নিজকে বেঁধে দেশকে থেকে পালাচ্ছে।



মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওরা আসলেই আমাদের মত নয়।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


২২টি জংগী সংগঠন: আরব, ইরান, সেননিয়ান, পাকী, কাশ্মীরীরা ও সামান্য বাংগালী মিলে, বেকুব কাবুলীওয়ালাদেরকে কঠিন জংগীতে পরিণত করেছে; আর সোজা কাবুলীওয়ালারা সব সময় পশ্চিমে পালিয়ে গেছে।

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন: এখন কোনো এক সৈয়দ মুজতবা লিখুক, বিমানের চাকায় আটকে মৃত্যু,পায়ে পিস্ট হয়ে মৃত্যু, ২০ বছর পর তা পড়ে কেউ উহঃ করে উঠবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



২০ বছর পর এই বাংলা থেকেও মানুষকে পালাতে হবে; আজকে যারা বাংলা থেকে আফগানিস্তান যাচ্ছে, তারা বন্ধুবান্ধবসহ ফিরে আসবে।

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: চাদগাজী সাহেব --- একটা সংবাদ জানাই এবং এতে অনেকে খুশি হবে -- আমি গতকালএকটা পোস্ট করেছিলাম -- যার মূল থিম ছিল মাথার হিজাব মূলত খৃষ্টানদের রিচুয়াল এবং এই রিচুয়াল অনুসরন করা মুসলমানদের জন্য হারাম । এই বিষয়ে আমার কাছে সব রেফারেন্স আছে । বাইবেল এবং কোরানের ।
ওনারা লিখাটা ডিলিট করে, আমাকে জেনারেল স্টাটাস দিয়েছেন , আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে , শুধু বলেছে আমি নাকি ব্লগিং রুল ব্রেক করেছি ।
এর পর আমি ব্লগ এডমিন এবং জাদিদ সাহেবকে মেইল করেছি । আমি জানি তারা কোন উত্তর করবে না ।
-- এখন এ ব্যপারে আপনার মতামত জানতে চাই , ধন্যবাদ

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আপনার পোষ্ট পড়িনি,মতামত দেয়া তো সম্ভব হচ্ছে না।

সামুতে ইসলামের ব্যাপার নিয়ে পোষ্ট দিলে ভয়ংকর সমস্যা হয়; ইসলাম নিয়ে পোষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
ধর্ম মিথ্যা ও রূপকথার উপর প্রতিষ্ঠিত, উহার উপর রেফারেন্স মেফারেন্স দিয়ে কি লাভ?

৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশী তালেবানরা আশায় আশায় তাকিয়ে আছে,
একদিন ছাত্র ভাইয়েরা ভারত পাকিস্তান টপকে বাংলাদেশের এসে বাকস্বাধিনতা ফেয়ার নির্বাচন ফিরিয়ে দিবে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে যাবে; মানুষ তালেবান, মালেবান ইত্যাদিকে রাজাকারদের চেয়েও কঠিন হাতে থামাবে; তবে, লিডিং কারা দেবে সেটা এখনো বুঝা মুশকিল।

৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি আপনার পোষ্ট পড়িনি,মতামত দেয়া তো সম্ভব হচ্ছে না।

এত বড় অইসলামিক কাজ তালেবানরা কি করে কোরলো , এটাতো ইসলামের বেসিক জিনিস । তালেবানরা সম্প্রতি ঘোষনা দিয়েছে মহিলাদের বোরকা না পোড়লে চলতারা বোরকার বদলে মাথায় হিজাব পড়তে পারে ।
সহি হাদিসে পরিষ্কার ভাবে বলা আছে , যে অন্য ধর্মের আচার অবে , অনুসরন করবে , সে আর মুসলমান নহে, সে অন্য ধর্মের অন্তর্ভূক্ত । যেমন মুসলমান মেয়েদের মাথায় সিদূর লাগানো হারাম কারন ওটা হিন্দু ধর্মের রিচুয়াল ।
আমাদের দেশে ২০ বৎসর আগে কোন মহিলাকে মাথায় হিজাব পড়তে দেখেছেন কেউ ? কেন এর কারন কি জানেন ? আমাদের এই দেশে ইসলাম এসেছে ১০০০ বৎসর আগে কিন্তু আগের আমলের কোন আলেম মুফতি কেন মাথায় হিজাব পড়ার ব্যপারে উৎসাহ দেয় নাই সেই কারনটা কি জানেন ? আলেমরা মেয়েদেরকে বোরকা পড়তে বলেছে , নিকাব পড়তে বলেছে , ঘোমটা দিতে বলেছে কিন্তু কেন মাথায় হিজাব পোড়তে বলেনি ? কেন ? কেন ?
এবার না বলার কারনটা বলি , মাথায় ভেইলিং হিজাবটা হোল খৃষ্ঠান ধর্মের রিচুয়াল এবং বাইবেলে এর নির্দেশ আছে । আগে খৃষ্ঠানরা খুবই রক্ষণশীল ছিল , তখন সব প্রায় সব খৃষ্ঠান মহিলারা মাথায় মাথায় ভেইলিং হিজাব পোড়তো । সেই আমলে সবাই দেখতে পেত এটা খৃষ্ঠান ধর্মের কালচার (তবে এই কালচার বর্তমানে পালন করে খৃষ্ঠান নান রা ) ।
যেহেতু এটা খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল তাই এটা অনুসরন করা মুসলমান মহিলাদের জন্য হারাম এবং এই কারনে আগের আমলের কোন আলেম মাথায় ভেইলিং হিজাব পড়ার জন্য উপদেশ দেন নি ।
এই হিজাব ২০ বৎসর আগেও আমাদের দেশে ছিল না , সব চেয়ে আশ্চর্য বিষয় পাকিস্থানের মহিলাদের খুবই কম মাথায় ভেইলিং হিজাব পড়ে এবং তাদের আলেমরা জানে এটা খৃষ্ঠ ধর্মের রিচুয়াল ।
তালেবানরা কি করে খৃষ্ঠান ধর্মের রিচুয়ালটা মুসলমান মহিলাদের জন্য অনুমুতি দিল সেটা মোটেও বোধগোম্য হচ্ছে না । সেই সাথে বাংলাদেশের আলেমরা কি করে এই খৃষ্ঠান রিচুয়ালটার বিরুদ্ধে কোন কথা বলছে না সেটা রহস্যজনক অতচ তারা হিন্দুদের সিদূর না পড়ার জন্য ফতুয়া দেয় ।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এখানে আমার দাবি ভেইলিং হিজাব বাইবেলের রিচুয়াল সেটা আমি প্রমাণ করতে পারবো -- এবং এটা প্রমাণ হলেই এটা অনুসরন করা মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ প্রমাণীত হবে ।
বাইবেলের রেফারেন্স ---- What does the Bible say about Head Coverings

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামের শুরুটা এই রকমই ছিলো; বেদুইন গোত্ররা প্রাকৃতিকভাবে জল্লাদ ছিলো; ওদেরকে সংঘঠিত করে আরব সাম্রাজ্য গঠন করা হয়েছিলো। আফগানদের একাংশ বেদুইনদের মতো, গোত্রে বিশ্বাসী, ভয়ংকর দরিদ্র। পাকীরা এদেরকে সংগঠিত করেছিলো, এরা মাদ্রাসায় অব হেলিত হতো, দেশে দেশে গিয়ে কাবুলীওয়ালা হতো; এখন দেশের মালিক।

হিজাব মিজাব এসেছে ইহুদী ও খৃষ্টানদের থেকে; ইহা নিয়ে আপনি চিন্তিত কেন?

৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২২

ফয়সাল রকি বলেছেন: চাচা কেমন আছেন?
সৈয়দ মুজতবা আলীর উক্ত গল্পটি পড়িনি।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইহা নবম/দশম শ্রেনীতে ছিলো; আপনাদের সময় কি সামুর গলপ পড়াতো ক্লাশে?


আমি ভালো আছি, করোনা আমাকে খুঁজছে।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

হাবিব বলেছেন: শিক্ষিতরা বিমানের চাকায় বসে? বুদ্ধিমানেরা পলায়ন করে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




৫০ বছর একটা দেশে গৃহযু্দ্ধ ও যুদ্ধ চলছে, ওদের শিক্ষা অশিক্ষার বাকী কি আছে? আফগানিস্তান সব মুসলিম দেশের মতো, যাদের পয়সা আছে, তাদের ছেলেমেয়েদের সার্টিফিকেট আছে। তালেবানদের কোন শিক্ষাদীক্ষা নেই, ওরা মানুষকে প্রথমে হত্যা করে, পরে জানতে চায়, লোকটি কে ছিলো।

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

হাবিব বলেছেন: হত্যা করে ফেললে পরে কথা বলে কি করে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৯৭ সালে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করার পর, যাকে পছন্দ হয়নি, তাকে তারা হত্যা করেছে; কোন কিছু জানতে চাহেনি; এবারও করবে; এখন চুপ করে আছে, যদি আমেরিকা আবার প্ল্যান বদলায়!

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ফরিদ ভাইয়ের প্রতিউত্তরে সুন্দর বলেছেন,

'২২টি জংগী সংগঠন: আরব, ইরান, সেননিয়ান, পাকী, কাশ্মীরীরা ও সামান্য বাংগালী মিলে, বেকুব কাবুলীওয়ালাদেরকে কঠিন জংগীতে পরিণত করেছে; আর সোজা কাবুলীওয়ালারা সব সময় পশ্চিমে পালিয়ে গেছে।'
তাহলে পশ্চিম এদেরকে শুদ্ধ করবে নাকি শান্তি ও সার্বভৌমত্বের শপথ নিয়ে এদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ হত্যায় নতুন করে লিপ্ত হবে বলে মনে করেন?

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




যারা পশ্চিমে যায়, তারা বদলে যায়, ওরা মানুষের জীবনের মুল্য বুঝার শুরু করেন।

১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৭

ঈশ্বরকণা বলেছেন: 'ইনহাস্ত ওয়াতানম',যার অর্থ 'এই তো আমার জন্মভূমি', কথাটা ছিল মুজতবা আলীর 'প্রবাস বন্ধু' গল্পে। এটা এক সময় পাঠ্য ছিল স্কুলের কোনো ক্লাসে। লেখকের (মুজতবা আলীর) কেয়ার টাকার কাম বাবুর্চি আব্দুর রহমানের তার দেশ পানশির সম্পর্কে ভালোবাসার এই উক্তিটা করেছিল । এতদিন সেটাইতো জানতাম । মুজতবা আলীর যে "ওয়াতানম" নামে একটা গল্প আছে সেটাতো জানতাম না।

আরো একটা কথা, আপনার ব্লগ স্বজন এ আর -১৫ কে কি বলা যাবে রামপন্টক (কণ্টক থেকে কাঁটা, পন্টক থেকে পাঠা..';)? হাইলাইট করা কথাগুলো মুজতবা আলীর থেকে ধার করে বললাম। উনার গুরুদেব ও শান্তি নিকেতন বইটা পড়ুন পেয়ে যাবেন কথাগুলো I এই ব্লগার সব সময়ই ইসলামের জরুরি ব্যাপারগুলোর অপব্যাখ্যা করে । আল্লাহতো আদম (আঃ) থেকে হজরত ঈসা (আঃ) সবার উম্মতকেই 'আল্লাহ এক' সেটা বলতে বলেছেন। হজরত ইব্রাহিমকে (আঃ) কুরবানী দেবার কথা বলেছেন ।রাসূলের (সাঃ) উম্মতকেও বলেছেন কুরবানী করতে । তাহলে রাসূলের (সাঃ) উম্মতের জন্য আগের নবী রাসূলদের সেই বিধানগুলোও অনুকরণ করা হলো ? এখন অনুকরণ করা হলো বলে এই বিধানগুলো বন্ধ করতে হবে নাকি ? আল্লাহ এক সেটা না বলে আল্লাহ অনেক সেটা বলতে হবে নাকি ? নাকি সেটা বলা ভালো হবে ? বিধানগুলো যেহেতু আল্লাহ দিয়েছেন তাই সেটাই চূড়ান্ত। যেটা আল্লাহর বিধান সেটা মানতে হবে । প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের কোনো প্রোগ্রামে ভারতীয় কোনো কবির গান কেউ গাইলে তার জেল জরিমানা হবার কথা ! কিন্তু ভারতীয় নাগরিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'আমার সোনার বাংলা। ...' গাওয়া যাবে কাৰণ এই গানটা আমাদের দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ--- দেশের সরকার জাতীয় সংগীত হিসেবে ঘোষণা করেছে । তাই সেটা গাওয়া কোনো অন্যায় হবে না । তেমন দ্বীনের বিধান হিসেবে আল্লাহর কর্তৃত্বই চূড়ান্ত । তার বিধানই সব শেষ কথা। একেশ্বরবাদী ধর্মানুসারীদের জন্য আল্লাহ কিছু বিধান দিয়েছেন সেটা মানতে হবে সবারই

। এখানে আইন বা বিধানটাই ইম্পরট্যান্ট ।অন্য কোনো বিষয়ের বিতর্ক অবান্তর এই সহজ ব্যাপারটাও এআর-১৫ -এর জন্য বোঝা কঠিন বলে মনে হচ্ছে ! উহাকে বাংলাদেশ সরকারি দল (আপনি আমেরিকায় থাকেন তাই ইংরেজিতে এব্রিভিয়েট করে বলবেন) ব্লগার বলে ভর্ৎসনা করুন এখুনি ।

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ আল্লাহ'কে সৃষ্টি করেছে, আপনিও তাতে কিছু যোগ করছেন প্রতিডইণ।

১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যতদুর জানি, সৈয়দ মুজতবা আলী তার আফগানিস্থান ভ্রমন বিষয়ক- দেশে-বিদেশে' আর প্রেমের উপন্যাস ' শবনম' লিখেছেন।
'ওয়াতনাম' শিরোনামে কোন ছোট গল্প আমার চোখে পড়েনি। আপনার কোথাও কি ভুল হচ্ছে?

২৩ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গল্পটাকে এডিট করে আমাদের টেক্সট বইতে এই নামে দিয়েছিলো; অন্য নামেও থাকতে পারে।

১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সৈয়দ মুজতবা আলী কাবুলের ভ্রমন কাহিনীতে ইনকে হাসত ওয়াতনাম বা এইতো আমার জন্মভূমি শিরোণামে একটি গল্প লিখেছেন। গল্পে লেখকের পরিচারক তার এলাকায় মুজতবা আলীকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি লেখককে বলেন, তার গ্রামে গিয়ে একবার গভীর নি:শ্বাস নিলেও এক বছরের হায়াৎ বেড়ে যায়।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেই আফগানটি ছিলো সঠিক আফগান; আজকের তালেবানরা হলো, আমাাদের এতিমখানার বাচ্চাগুলোর মতো কঠিন দারিদ্রতা ও নিপীড়নের মাঝে বড় হওয়া আফগান; এরা আবার আলকায়েদা, আইএস, লস্করে তৈয়বা, ইত্যাদি জংগীদের সদস্য; এরা জল্লাদ

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, আজ মোবাইলে ম্যাসেজ এসেছে। আগামীকাল প্রথম ডোজ নিতে যাচ্ছি। সাথে সুরভিও যাচ্ছে। সে-ও টিকা নিবে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



খুবই ভালো খবর; টিকা দেয়ার ১ মাস পর টিকা কাজ করবে; আপনাদেরকে সব সময় মাস্ক পরতে হবে; টিকা নেয়া লোকেরা গুরুতরভাবে অসুস্হ হলে প্রাণ হারাতে পারে।

১৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ইতিহাস বলছে, বহু যুগ আগে থেকেই আফগানরা গোটা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শুকনো ফলের
ব্যবসা করতেন। যদিও তাদের এ অঞ্চলে আসার পেছনে দেশটির রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা
ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

তবে দেশ ভাগের পর আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আসায় সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় এই কাবুলিওয়ালাদের।
কারণ এর পর হতে আর ইচ্ছে করলেই আফগানিস্তানের গ্রাম থেকে সরাসরি প্রবেশ করতে পারে না তারা।

‘আট্টান’ কাবুলিদের একধরনের নাচ। আন্ডা কুস্তি এক জাতের অদ্ভূত খেলা। এই খেলায় একজন কুস্তিগির
অন্য জনের সিদ্ধ ডিম ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন।খেলার শেষে যিনি সবচে’ বেশি ডিম রক্ষা করতে পারেন,
তিনিই বিজয়ী বলে গণ্য।আফগানরা মনে হয় কাবুলে বিমানে উঠাকে তাদের সেই আন্ডা কুস্তিই মনে করছে।

একটি কথা কোনদিনই ভেবে দেখিনি, তা হলো বিদেশ বিভুইএ কাবুলীওয়ালা কিভাবে দুর্দান্ত প্রতাপে তাদের
সুদের ব্যবসা চালিয়েছে । বুজলাম সাথে করে আনা আফগানি ফলমুল বিক্রি করেছে নগদে , কিন্তু বিদেশ
বিভুইএ বিনা জামানতে সুদের ব্যবসা কিভাবে চালিয়েছে । চড়াসুদে দান করা অর্থ কিভাবে তারা আদায়
করেছে । তাদের আদায় হার কত ছিল ,অনাদায়ী ঋণ কিভাবে আদায় করত। ঋণ কেলাপীদের জন্য দন্ডের
বিধান কি ছিল , সে দন্ড তারা কিভাবে বাস্তবায়ন করত এগুলি জানতে বড় ইচ্ছা করে । কাবুলীওয়াদের
ঋনবিতরন ও আদায় কৌশলকি আমাদের গ্রামীন ব্যাংক অনুসরন করেছে নব আঙ্গিকে সে সকল প্রশ্নই
এখন মাথায় ঘোরপাক খাচ্ছে । ইতিহাস আবশ্য কাবুলী ধরনের ঈঙ্গিতই দেয় ।

ইতিহাস ঘেটে জানা যায় কাবুলীওয়ালারা শহড়াঞ্চলে এক একটি বাড়িতে ‘মেস’ বানিয়ে থাকত।
একই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া এবং থাকা। খানিকটা ‘কমিউন’ সিসটেম। একে অপরের জন্য নিরাপত্তা।

কবিগুরুর কাবুলিওয়ালা তার ঝুলিতে করে বিক্রি করতেন আফগানের স্বাদ আর গন্ধ। পেস্তা, বাদাম,
কিসমিস আখরোটসহ আরও হরেক রকম শুকনো ফল। তবে কাবুলিদের মূল পেশা সুদের বিনিময়ে
টাকা ধার দেওয়া। আর এই সুদে টাকা ধার দেওয়ার ব্যবসাটিও চলত এক ‘অনন্য’ পদ্ধতিতে।

অনুসন্ধ‍ানে জানা যায়, এই সুদের ব্যবসা চালাতে ‘গদি’ বা 'ডেরা' তৈরি করত আফগান কাবুলীওয়ালারা।
এক একটি ডেরা একেকজনের। এই ডেরাকে ঘিরেই চলত তাতের সুদের কারবার। এই ব্যবসা কঠোর
নিয়মের মধ্যেই করতে হতো ।একজন কাবুলিওয়ালার কাছ থেকে টাকা নিলে অন্য কাবুলিওয়ালা সেই
লোককে আর টাকা দিতে পারতনা। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তি দেওয়া হতো। আর এই শাস্তি কখনও সব
ডেরার লোকজনকে বিরিয়ানি খাওয়ানো কিংবা বিশেষ দিনে একটা খাসির দাম দেওয়া।

যাহোক, আমাদের এনজিউরা কাবুলীওয়ালাদের মতই এখন গ্রামগঞ্জে শাখা তথা ঢেরা স্থাপন করে
সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে , কাবুলীওয়ালাদের নিয়মটাও মেনে চলছে অর্থাৎ এক এনজিউ যাকে ঋণ
দিবে অন্য কেও তাকে আর ঋণ দিতে পারবেনা। আর পুর্বে দান কৃত একশত টাকার ঋণ পরিশোধ
করলে তাকে দুইশত টাকা ঋণ বরাদ্ধ করে আগের একশত টাকা উসুল করে বাকী একশত টাকা তার
হাতে ধরিয়ে দিবে। তবে সে দুইশত টাকার ঋণ গ্রহীতা হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে । কাগজে কলমে
ঋণ আদায় হার শতভাগ , এতে ঋণগ্রহনকারীর দায়ভাগ বাড়লেও ঋনদানকারী এনজিউর সুনাম
বাড়ে বিশ্বজুরে, ফলে বিদেশী ডোনেশনের সাথে বিবিধ ধরনের পদক ও পুরস্কার জোটে তাদের কপালে।
দরিদ্র ঋণ গ্রহীতারা দরিদ্রই থেকে যায় , আর ধুকে ধুকে মরে জীবনাচারে।

তাই কাবুলীওয়ালারা এখনো আছে , অনেকেই আফগান গিয়ে তালিম নিচ্ছে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে।
আসলে মুল লক্ষ সেই অতি সুদের তেজারতি বানিজ্য । তাদের নিরাপত্তা বিধানকারীদের একই
চরিত্র , সকলই পুজিবাদী কলোনিয়াল বানিজ্য, সাধারণ মানুষে যতদিন না বুঝবে ততদিনই চলবে
মুর্খদের মাঝে তালেবান নামীয় তেলেসমাতি কান্ডকির্তী।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বড় একটা বিষয় তুলে এনেছেন; আফগানরা নিজেদের মতো করে ইসলাম পালন করতো: তারা আফিম খেতো, আফিম বিক্রয় করতো, চড়া সুদে টাকা দিতো, সুদে কম্বল, ছাদর, নকল জাফরাণ বিক্রয় করতো। আজকের তালেবানরা বিশুদ্ধ আফগান নয়, এরা নিপীড়িতরা।

১৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ঈশ্বরকণা কমেন্ট ১০
ধন্যবাদ আপনাকে যে ভেইলিং হিজাবটা যে বাইবেলের রিচুয়াল সে ব্যপারে একমত হওয়ার জন্য ।
আপনার যুক্তি যেহেতু আব্রাহামিক ধর্মের অনেক কিছু মিলে যায় তাই -ভেইলিং হিজাবে কোন অসুবিধা নাই ইত্যাদি ।
ব্যপারটা এত সরল নহে ।
একটা সহি হাদিস আছে যারা অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করে , তারা মুসলমান থাকে না , তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় । অন্য ধর্ম গুলো তখনছিল ইহুদি, নাসা এবং পৈত্তালিকরা ।
কোরাবনি ইহুদি নাসারা দেয় না , তাহোলে কোরবানির উদাহরন এখানে প্রজোয্য নহে ।

নামাজ ইহুদি, নাসা এবং মুসলমানরা পড়ে কিন্তু এর গূণগত বৈশিষ্ঠ কিন্তু এক নহে, ভিন্ন ।
ইহুদি নাসারা পর্দা করে এবং এর গূণগত বৈশিষ্ঠ এক নহে ।
ইহুদি, নাসাদের প্রার্থণার আহবান বা আজানের বৈশিষ্ঠ ভিন্ন ।
এই কিছু করা হয়েছে যেন কোন অনুসরন না করা হয় ।
এবার আসুন মাথার হিজাবের বিধানের উপর --- ভেইলিং হিজাব এটা ১০০% খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল কালচার -- এই ভাবে মাথা কভার করার জন্য আগের আমলের কোন আলেম উপদেশ দেয় নি এবং ২০ বৎসর আগেও আমাদের দেশে ছিল না । আমাদের আলেমরা মেয়েদেরকে বোরকা পড়তে বলেছে , নিকাব পড়তে বলেছে , ঘোমটা দিতে বলেছে কিন্তু ভেইলিং হিজাব পড়তে বলেনি ।
এখন যদি মাথার হিজাব পড়া শুরু করে তবে সেটা হবে বিদাত এবং সরাসরি খৃষ্ঠান ধর্মের অনুসরন এবং এটা সহি হাদিস অনুযায়ি হারাম ।
বড় আনন্দের খবর আপনারদের জন্য -- এই লিখাটার জন্য আমাকে জেনারেল ব্লগার করে দেওয়া হয়েছে ।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের নবী (স: ) শিক্ষিত ছিলেন না, ছিলেন বুদ্ধিমান; তিনি ইহুদীও খৃষ্টানদের জীবন দেখে বুঝতে পেরেছিলেন যে, আরবদের গোত্রীয় দেয়াল ভেংগে, তাদেরকে "এক" করতে পারলে, এরা একটা যোদ্ধাজাতি হবে। তিনি আরো বুঝেছিলেন যে, বেদুইনদের জীবনটা অমানুষিক; কিন্তু ইহুদীরা ও খৃষ্টানরা ভালো জীবন যাপন করছে; তিনি ঐ ২ ধর্ম থেকে আরেকটা ধর্ম "সিনথেসাইজ" করেছেন মাত্র।

১৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩০

ঈশ্বরকণা বলেছেন: এ আর -১৫,
আমি যতই কম বলতে চাই আপনি ততই ভুলভাল বকে আমাকে আরো বলতে বাধ্য করেন। কিন্তু ভুলভাল বকতে বকতে মাঝে মাঝেই আপনি নিজের ব্লগিং সত্বাকেও AR-১৫ এর গুলিতে যে ঝাঁজরা করে ফেলেন সেটা মনে হয় আপনি বুঝতেও পারেন না। এজন্যই বলি যা বলছেন সেগুলো একটু ব্রড ফ্রেমওয়ার্কে দেখুন। আরেকটু পড়াশুনা করে বলুন। শুধুমাত্র আপনার কমফোর্ট জোনের ভেতরের কথাবার্তা বললে যুক্তি হয়তো দেয়া যায় কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই সেগুলো হয় কুযুক্তি ।

আপনিতো ধর্মের ম্যান্ডেটরি আইন আর সেগুলোকে কমপ্লিমেন্ট করা বিধানগুলোকে গুলিয়ে ফেলেছেন । ইসলামের স্তম্ভ হলো পাঁচটা --শাহাদা (এর অন্তর্ভুক্ত আরো বিষয় আছে), নামাজ, রোজা, হ্বজ আর জাকাত । এগুলো ইসলামের সবচেয়ে বেশি ফান্ডামেন্টাল বিষয় ।এগুলো অপরিবর্তিত ভাবেই মানতে হবে । এগুলো পালনের পর্যাপ্ত নির্দেশনা পরিষ্কার করেই কুরআন আর হাদিসে দেয়া আছে । এখন এই ফান্ডামেন্টাল বিষয়গুলোর পাশাপাশি বা এগুলোকে কমপ্লিমেন্ট করতে আরো অনেক সামাজিক বিধি বিধানের কথা বলা আছে যা একজন প্রকৃত মুসলিমের জন্য অনুসরণ করা দরকারি। যেমন নামাজ পড়ার সময় শরীরের কতটুকু ঢাকতে হবে একজন ছেলে বা মেয়ের জন্য সেটা আইন করেই বলা আছে । কিন্তু কি ধরণের কাপড় পরে সেটুকু শরীর ঢাকতে হবে সেটা বলা নেই। এখন ছেলেদের মধ্যে কেউ লুঙ্গি, গেঞ্জি পড়ুক বা আরবদের মতো আলখাল্লা পড়ুক অথবা স্যুট টাই পড়ুক কিছু আসে যায় না । রাসূল (সাঃ)যেই আলখেল্লা পড়তেন সেই আলখেল্লা আরবের প্যাগান মক্কাবাসী আর ইহুদিরাও পড়তো তাতেতো রাসূলের (সাঃ) কোনো অসুবিধে হয়নি তাই না ? নাকি বলবেন রাসূল (সাঃ) মূর্তিপূজক আরব বা ইহুদিদের অনুকরণ করতেন ?কাপড় নোংরা না হলেই হলো । মুসলিম মেয়েদের জন্য চুল ঢেকে রাখারও তেমন একটা আদেশ আছে । কিন্তু এটা করতে যেয়ে কিভাবে চুল ঢেকে রাখতে হবে সেটার স্ট্রেটকাট আইন করা হয়নি নানা কারণেই । এক ভাবে সেই আদেশ পালন করলেই হলো ।কেউ বোরখা পরেই করুক আর কেউ হিজাব করেই করুক ছেলেদের নামাজের কাপড় পড়ার মতোই ঠিক আছে সেটা। তাই যে কোনো এক ধরণের হিজাব পড়তে কোনো অসুবিধে নেই চুলটা ঢেকে রাখা গেলেই হলো।

এই প্রথাগুলো পালন নিয়ে বিতর্ক করার জন্য যেই যুক্তিই কেউ দিক সেটা কুযুক্তি ছাড়া কিছু হবে না । বিধর্মীদের অনুসরণ করার বিষয়ে নিষেধ আছে সত্যি কিন্তু সেটা কোন বিষয়ে? একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক বা দ্বীন পালনে সমস্যা সৃষ্টিকারী বিষয়েই সেটা না করতে বলা হয়েছে। শার্ট প্যান্ট স্যুট টাই পশ্চিমা ড্রেস । এই ড্রেসগুলো পড়া আমাদের দেশের মুসলিমদের জন্য হারাম বা সেটা পরে নামাজ হবে না সেটা কি কোনো ইসলামিক স্কলার বলেছেন ? মনে হয় না কেউ এরকম কিছু বলেছেন কখনো। প্যাগান আরবদের মধ্যেও আতিথেয়তা করা, দান ধ্যানের প্রথা ছিল সেগুলো কি ইসলাম নিষেধ করেছে মুসলিমদের পালন করতে অনুকরণ কর হবে বলে? মেয়েদের চুল ঢাকার জন্য ভেইলিং হিজাব বিষয়টাও তেমন । কিছু আসে যাচ্ছে না সেটা প্রি-ইসলামিক পিরিয়ডে কারা হিজাব করতো বা এর উৎস কি সেগুলো নিয়ে ।এটা একত্ববাদের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় না। এ নিয়ে কোনো কুবিতর্ক করারও কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না ।

এখন দেখা যাক "ভেইলিং হিজাব এটা ১০০% খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল কালচার" আপনার বক্তব্যটা। আপনি চটকদার কথাবার্তা লিখতে পারেন খুবই । তাতে আমার অব্জার্ভেশনটা হলো ব্লগের অনেক ঝানু ব্লগারও হতচকিত হয়ে আপনার বক্তব্য নিয়ে সুস্থ্য আলোচনার কথা বলেন । পুরো বিষয়টাই গার্বেজ সেটা আপনি কিন্তু জানেন । আমি আগেও যেমন বলেছি এখনো আপনার এই ভেইলিং হিজাব সম্পর্কিত কথাগুলো সম্পর্কে বলি এগুলো গার্বেজ । আপনি সত্যিটা গোপন করে আপনার কমফোর্ট জোনের জন্য যেটুকু বলা দরকার সেটাই বলেছেন । তাতেই কথাগুলো ম্যানুপুলেট করা হয়েছে ভীষণ ভাবে । আমার পয়েন্টটা হলো আপনার "ভেইলিং হিজাব এটা ১০০% খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল কালচার" কথাটাতো পুরো সত্যি না । ভেইলিং হিজাব প্রথাটা প্রি-ইসলামিক অভিজাত শ্রেণীর পার্সিয়ান, রোমান মেয়েদের ভেতরেতো বটেই আরবের মেয়েদের ভেতরেও প্রচলিত ছিল । এটা খ্রিস্টানদের কালচার হিসেবে শুরু হয়েছে সেটা কে বললো ? ব্যাপারটা হলো খ্রিস্টান মেয়েরাও এই প্রথা পালন করতো । এই হিজাবটা একটা প্রথা হিসেবেই খ্রিষ্টান ধর্মের সূচনার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত । আপনি কি সাদার্ন তুরস্কের প্রাচীন শহর মাইরাতে (Myra) পাওয়া খ্রিস্ট পূর্ব ৩২৩-৩১ সালের 'টেরাকোটা ফিগারিং'-এর (Terracotta figurine) চুল কভার করা মানে হিজাব পরিহিতা মেয়েদের মূর্তিগুলো দেখেননি ? এগুলো খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচলনের প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগের বুঝতে পারছেনতো ? প্রি ইসলামিক সময়ে মক্কাবাসীরা যে তিনজন পৃষ্ঠপোষক দেব দেবীর পূজা করতো তাদের একজন দেবী হলো আলাত (Allāt) ।মক্কা এলাকাবাসীরা এর পুজো করতো ইহুদি ধর্ম এখানে আসারও আগে থেকে। এই আলাত দেবীর মাথার চুল ঢাকা হাজার বছর পুরোনো কোনো মূর্তির ফটো দেখেছেন কখনো বা সামনে সামনি দেখেছেন ? নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরের বিষয়গুলো একটু পড়ার অভ্যেস করুন তাহলেই এইসব ঐতিহাসিক আর্টিফ্যাক্টগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন নিশ্চিত। এই আর্টিফ্যাক্টগুলো থেকেই বোঝা যায় সামাজিক প্রথা হিসেবেই চুল ঢাকার একটা ব্যাপার প্রাচীন কালের অভিজাত মহিলাদের মধ্যে ছিল খ্রিস্টান ধর্ম উদ্ভবের অনেক আগে থেকেই । আরবেও সেই প্রথা ছিল । তাই বলাই যায় হিজাব পরার ব্যাপারটা কখনোই শুধু খ্রিস্টান কালচার হতে পারে না । ইসলাম অভিজাত একটা প্রথাকেই অব্যাহত রেখেছিলো সব মহিলাদের জন্যই। এগুলো কিন্তু ইতিহাসের কথা বললাম। আমাকে ভুল প্রমান করতে চাইলে ইতিহাস থেকেই বলবেন। কুযুক্তি দেবেন না প্লিজ। আর সারা দিনরাত আমাদের দেশের আলেম মাওলানাদের চোদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করে এখন তাদের রেফারেন্স খুঁজছেন ভেইলিং হিজাব হিজাবের জন্য ? আর তারা সেই হিজাব পড়ার কথা বলেনি দেখেই সেটা পড়া যাবে না ! আপনিতো দেখি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আমাদের আলেমদের বিরল সম্মানে ভূষিত করলেন দেখছি ! কি যে যন্ত্রনা করেন একেক সময় একেক কথা বলেন! আজকে একটা বলে কালকেই সেটা অবশ্বাস করছেন! ব্রাভো । মেয়েদের হিজাব পড়ার ব্যাপারে কিছু ভিন্নমত থাকলেও ব্রড স্প্রেকট্রামে মুসলিম স্কলারদের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐক্যমত আছে । তাই আমাদের দেশের আলেমরা বলেননি দেখেই সেটা অনুশীলন করলে 'সহি হাদিস অনুযায়ি হারাম' বলে আপনার মাসি হয়ে মায়া কান্নার দরকার নেই একদমই ।

এখন শেষ কথা --আপনাকে জেনারেল করা হয়েছে কি না সেটা আমি জানতামই না, আমার সেটা নিয়ে আগ্রহও নেই । আপনি ইসলাম নিয়ে সত্যি গোপন করে কি পরিমান ম্যানিপুলেটিভ লেখা লেখেন সেটা নিয়ে আমার ধারণা খুবই পরিষ্কার । সেটা নিয়ে খুশি অখুশি না আমি প্রচন্ড বিরক্ত সব সময় । এই ব্লগে যেহেতু আমিও একজন পার্টিসিপেন্ট তাই ব্লগাররা পড়াশুনা করে লিখেবেন সেটা সব সময়ই আশাকরি ।সেটাই ভালো লাগে । দুঃখের ব্যাপার হলো সেই স্ট্যান্ডার্ডে আপনাকে বিচক্ষণ ব্লগার বলার সুযোগ খুবই কম । জেনারেল হয়েছেন অসুবিধে নেই শুধু আশাকরি এই করোনার মধ্যে সুস্থ্য আর ভালো থাকুন । জেনারেল থেকে মুক্তি পাবার সাথে সাথে ইসলাম বিদ্বেষ থেকেও যেন মুক্তি পেতে পারেন সেই আশাও করেছি ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি আরেকটু পড়াশোনা করে, আপনার লেখাগুলো পড়বো।

১৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: ঈশ্বরকণা ১৬ নং কমেন্ট

আনেক ধন্যবাদ , আপনাকে ।
প্রথমে একটু বলুন --- আমার এই পোস্ট দেওয়ার জন্য আমাকে ব্যান করা কি হয়েছে কিনা । যদি এই পোস্টটা প্রথম পাতায় থাকতো তাহোলে , একই ভাবে আপনি আপনার মতামত দিতে পারতেন এবং ভুল কে ঠিক এই বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে যেত ।

এবার আমি আপনার মতামতটার সম্পর্কে বলি আপনি অনেক বেশি বিস্তৃত করে ফেলেছেন এবং আনরিলেটেড ইসু নিয়ে এসেছেন

আমার পয়েন্টটা হলো আপনার "ভেইলিং হিজাব এটা ১০০% খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল কালচার" কথাটাতো পুরো সত্যি না । ভেইলিং হিজাব প্রথাটা প্রি-ইসলামিক অভিজাত শ্রেণীর পার্সিয়ান, রোমান মেয়েদের ভেতরেতো বটেই আরবের মেয়েদের ভেতরেও প্রচলিত ছিল
শার্ট প্যান্ট স্যুট টাই পশ্চিমা ড্রেস । এই ড্রেসগুলো পড়া আমাদের দেশের মুসলিমদের জন্য হারাম বা সেটা পরে নামাজ হবে না সেটা কি কোনো ইসলামিক স্কলার বলেছেন ? মনে হয় না কেউ এরকম কিছু বলেছেন কখনো।

এই বিষয়টা এখানে আনরিলেটেড কারন শার্ট পেন্ট এগুলো কোন ধর্মীয় রিচুয়াল পোষাক নহে । আপনি হয়ত জানেন না , শার্ট পেন্ট , কোর্ট এই পোষাক গুলো যিনি উদ্ভাবন করেছিলেন তিনি একজন স্প্যানিস মুসলমান দর্জি এবং এটা কোন ধর্মের ধর্মীয় পোষাক নহে ।

আমার পয়েন্টটা হলো আপনার "ভেইলিং হিজাব এটা ১০০% খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল কালচার" কথাটাতো পুরো সত্যি না । ভেইলিং হিজাব প্রথাটা প্রি-ইসলামিক অভিজাত শ্রেণীর পার্সিয়ান, রোমান মেয়েদের ভেতরেতো বটেই আরবের মেয়েদের ভেতরেও প্রচলিত ছিল

সত্য কথা বলেছেন এটা পার্সিয়ান, রোমানদের কালচার ছিল কিন্তু খৃষ্ঠানরা এটাকে তারো আগে তাদের ধর্মীয় রিচুয়ালের ভিতরে নিয়ে আসে এবং এর পক্ষে অন্তত ২০টা ভার্স আছে এবং এটা অলরেডি খৃষ্ঠানদের ধর্মীয় কালচার হিসাবে গৌণ্য হয় ।
এটা যে খৃষ্ঠান রিচুয়াল কালচার সে কারনে আগের আমলে কোন আলেম এটাকে এলাউ করে নি এবং ২ বৎসর আগে আমাদের দেশে এটা ছিল না ।
আমাদের দাদী নানি , মা , খালা, চাচী , বোন ইত্যাদিকে দেখেছি ঘোমটা দিতে , কখনো ভেইলিং হিজাব পড়তে দেখিনি ।

২৪ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



হিজাব মিজাব, আলখাল্লা, পাগড়ি, সবই আরব এলাকার পোশাক; এগুলো সংস্কৃতির অংশ, এখানে ধর্ম নেই, আছে কর্ম।

১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

ঈশ্বরকণা বলেছেন: চাঁদগাজী, আপনার চোখের অবস্থাতো ভালোই খারাপ মনে হচ্ছে ! আমারতো কোনো লেখা নেই পড়বেন কিভাবে ? মন্তব্যগুলি পড়তে পারেন অবশ্য । সেগুলো পড়ার আগে আরো একটু পড়াশুনা করে নিলেও খারাপ কিছু হবে না মনে হয় ।আপনিও কিছু জানবেন আমাদেরও জানাতে পারবেন ভালোইতো হবে তাই না? যাক আপনার করোনা মুক্ত থাকার কামনা করছি। এই বয়সে করোনা আপনাকে করুনা করবে না, যদি হয় নিশ্চিত আইসিইউ ভ্রমণ করতে হবে বলে আমার ধাৰণা । তাই তা থেকে বেঁচে থাকুন ।

এ আর ১৫,
আপনিতো কঠিন জিনিস দেখছি ! একবার কিছু কামড়ে ধরলে আর ছাড়তে চান না ! যতই চেষ্টা করছি চুপ করে থাকার ততই আপনি ভুল যুক্তি দিয়ে ইসলামের প্লেইন একটা বিষয়কে বিতর্কিত করতে চাইছেন । তাই এই মন্তব্যটুকু করতেই হচ্ছে । তবে প্রথমেই বলি আপনার মন্তব্য পরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা মনে হলো :
রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে আমি দেব রথ ভাবে আমি,
মূর্তি ভাবে আমি দেব-হাসে অন্তর্যামী।'

আপনার কুটযুক্তি দেখে আমিও হাসছি । সত্য কথা বলেছেন এটা (হিজাব)পার্সিয়ান, রোমানদের কালচার ছিল কিন্তু খৃষ্ঠানরা এটাকে তারো আগে তাদের ধর্মীয় রিচুয়ালের ভিতরে নিয়ে আসে এবং এর পক্ষে অন্তত ২০টা ভার্স আছে এবং এটা অলরেডি খৃষ্ঠানদের ধর্মীয় কালচার হিসাবে গৌণ্য হয় । এটা যে খৃষ্ঠান রিচুয়াল কালচার সে কারনে আগের আমলে কোন আলেম এটাকে এলাউ করে নি এবং ২ বৎসর আগে আমাদের দেশে এটা ছিল না আপনার এই যুক্তি নিয়ে কিছু কথা বলে আমার কথা শেষ করছি।

হিজাব, যা একটা সামাজিক প্রথা হিসেবে প্রি ইসলামিক যুগে আরব অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যেতো বটেই তার আশেপাশের অনেক অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যেই প্রচলিত ছিল, সেটা কোনো একটা অঞ্চলের মানুষ রিচুয়ালের পোশাক হিসেবে ব্যবহার করলো কি না সেটাতো খুব জরুরি বিষয় না অন্য অঞ্চলের মানুষের জন্য । যেমন উদাহরণ দেই, গরুকে দেবতা হিসেবে এই অঞ্চলের একটা বিশেষ ধর্মানুসারীরা পূজা করে । এখন তার জন্য কি গরু এই অঞ্চলের বা পৃথিবীর অন্য সব মুসলিমদের খাওয়া হারাম বলে কোনো মাওলানা ফতোয়া দিয়েছেন ? নিশ্চই দেননি তাই না । অথবা ভাবতে পারেন খ্রিষ্টমাস ট্রি -র কথা ।ওটা খ্রিস্টানদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনে ব্যবহৃত হয় দেখেই ওই গাছ আপনি আপনার বাগানে লাগাতে পারবেন না বা ওই গাছের তলায় নামাজ পড়তে পারবেন না এমন কোনো বিধান মনে হয় ইসলামে নেই। মানুষ গাছকে পূজা করছে বা ধর্মীয় কালচারে পরিণত করেছে সেটা গাছের কোনো দোষ না। গাছ আল্লাহর একটা সৃষ্টি। নানা ধর্মের পূজায় ফল মিষ্টি দেবতার সামনে সাজিয়ে দিয়ে পূজা করা হয়। তারজন্য সেই সব ফল খাওয়া হরাম করা হয়নি ইসলামে। চাঁদ সূর্যের পূজা মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকে করে আসছে । তাই বলে কি চাঁদ সূর্যকে ত্যাগ করতে হবে । আল্লাহ স্বয়ং কুরআনে রমজান,হজ্বের সময় নিৰ্ধাৰণ করতে বলেছেন চাঁদের হিসেবে তাই না ? এভাবেই হিজাবের বিষয়টা ভাবুন। হিজাব নিজে থেকে ধর্মীয় আচারের একটা উপকরণ হয়নি মহিলাদের । ওটা প্রথা হিসেবেই পরিচিত ছিল খ্রিষ্টান অঞ্চেলর মেয়েদের মধ্যে তারা তাদের রিচুয়ালেও সেটা ব্যবহার করতো। সব মহিলারাই রিচুয়ালে পোশাকের আনুষঙ্গিক অংশ হিসেবে হিজাব ব্যবহার করতো আর সেই হিসেবেই প্রথাটা হয়তো এক সময় রিচুয়ালের পোশাকের অংশ হিসেবে ঘোষিত হয়, আর কিছু নয়। রথ,পথ,মূর্তি সবাই নিজেকে দেবতা ভাবতেই পারে তাতে তারা দেবতা হয়ে যাচ্ছে না । হিজাব পরে খ্রিষ্টানরা রিলিজিয়াস রিচুয়াল করে বা রিচুয়ালের পোশাক হিসেবে ঘোষণা করেছে তাতে হিজাব দেবতা বা দেবতার অংশ হয়ে যাচ্ছে না বা তাতে হিজাবের কোনো দোষও হচ্ছে না। ওটা একটা পোশাকের অনুসঙ্গ মহিলাদের ।সব সময় সেটাই থাকছে । তাই হিজাব দিয়ে চুল ঢাকা ইসলামে নিষিদ্ধ কোনো বিষয় না।

বিশ পঁচিশ বছর আগে আমাদের আলেমরা কখনো কি হিজাবের বিরোধিতা করেছেন বলে জানেন ? কখনো শুনেছেন ? সেই সময়ে, আসলে সব সময়ই,, আমাদের মেয়েরা ঘরের বাইরে গেলেই মাথায় ওড়না বা ঘোমটা দিত। বোরখার প্রচলনও আমাদের দেশে সব সময়ই ছিল। তাছাড়া ত্রিশ চল্লিশ বছর আগে আমাদের মেয়েরা বাইরে কাজ করতো তুলনামূলকভাবে অনেক কম । সেজন্যই হয়তো আগে হিজাবের ব্যাপারটা সেভাবে আলোচনার বিষয় হয়নি কিন্তু তার মানে এই নয় কিন্তু যে আমাদের আলেমরা হিজাবের বিরোধিতা করেছেন। তাই আপনার এই কথাটা যুক্তি হিসেবে খুবই দুর্বল । যাক এ নিয়ে আমার কথা শেষ ।

আর একটা কথা আমি আগেই বলেছি কোন লেখার জন্য আপনাকে জেনারেল করা হয়েছে সেটা আমি জানতাম না এই লেখা পড়ার আগে । তবে হিজাব নিয়ে এই লেখার চেয়েও ইসলাম নিয়ে ভুল, কুযুক্তিপূর্ণ লেখা আপনার আরো অনেকই আছে বলে আমার মনে হয়েছে । তাই আমি জানি না কেন আপনাকে জেনারেল করা হয়েছে ।ওটা মডারেটরের বিষয় ।উনিই ভালো জানেন । সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । ভালো থাকুন ।

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলাম কোন আলাদা ধর্ম নয়, ইহা ইহুদী ধর্মের বেদুইন ভার্সন।

১৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ঈশ্বরকণা কমেন্ট ১৮

বিশ পঁচিশ বছর আগে আমাদের আলেমরা কখনো কি হিজাবের বিরোধিতা করেছেন বলে জানেন ? কখনো শুনেছেন ? সেই সময়ে, আসলে সব সময়ই,, আমাদের মেয়েরা ঘরের বাইরে গেলেই মাথায় ওড়না বা ঘোমটা দিত। বোরখার প্রচলনও আমাদের দেশে সব সময়ই ছিল।

ওড়না ঘোমটা এলাউড সেটা আগেই বলেছি , খৃষ্ঠানদের রিচুয়ালের অংশ বলে ভেইলিং হিজাবকে এলাউ করা হয় নি ।

চাঁদ সূর্যের পূজা মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকে করে আসছে । তাই বলে কি চাঁদ সূর্যকে ত্যাগ করতে হবে ।

আবশ্যই আপনি চাঁদ সুর্যের পুজা ত্যাগ করবেন, চাঁদ সূর্যকে নহে ।
আপনি গাছ, আগুন,গরু ইত্যাদির পূজা ত্যাগ করবেন -- কিন্তু গাছ , গরুকে, আগুনকে নহে ।
ভেইলিং হিজাব পড়ে মাথা ডাকা খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল - তাই ভেইলিং হিজাব মুসলমান মেয়েদের জন্য হারাম কিন্তু মাথা ঢাকা হারাম নহে , তারা ঘোমটা দিয়ে মাথা ঢাকতে পারে ।
হিন্দু মেয়েরা সিঁদূর পড়ে, তাই মুসলমান মেয়েদের জন্য হামার।

একই ভাবে খৃষ্ঠানদের ধর্মীয় রিচুয়াল ভেইলিং হিজাব -- তাই ভেইলিং হিজাব মুসলমানদের জন্য হারাম । মাথা ঢাকা মুসলমান মেয়েদের জন্য হারাম নহে , তারা ঘোমটা দিয়ে মাথা ঢাকতে পারে ।
ধন্যবাদ

২৫ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আলেম বলতে অক্ষরজ্ঞান সমপ্ন্ন মানুষ, যারা ধর্নের রূপকথার শিখেন ও বেকুবী জ্ঞান নিয়ে কথা বলেন।

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:২১

ঈশ্বরকণা বলেছেন: এ আর ১৫,
আপনার উত্তর দেখে আমি হতভম্ভ থেকে হতভম্বতর হচ্ছি ক্রমশই জনাব !
খুশি হলাম দেখে যে আমার কথা কোট করেছেন, চাঁদ সূর্যের পূজা মানুষ বহু প্রাচীন কাল থেকে করে আসছে । তাই বলে কি চাঁদ সূর্যকে ত্যাগ করতে হবে ? কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি নিজেই বলেছেন, আবশ্যই আপনি চাঁদ সুর্যের পুজা ত্যাগ করবেন, চাঁদ সূর্যকে নহে । আপনি গাছ, আগুন,গরু ইত্যাদির পূজা ত্যাগ করবেন -- কিন্তু গাছ , গরুকে, আগুনকে নহে ।এইতো লাইনে এসেছেন দেখি ।তাহলে আর বেলাইনে হিজাবের ব্যাপারে অনর্থক সম্পূন উল্টা আর কুযুক্তি দিচ্ছেন কেন ? চাঁদ,সূর্য,গাছ গরু,আগুন এগুলো অবজেক্ট তাই না ? আর রিচুয়াল বা পূজা হলো কাজ (verb)যা কর্তা (subject )বা মানুষ করছে।একই ভাবে হিজাব রিচুয়ালের একটা অবজেক্ট হতে পারে কিন্তু অবশ্যই কর্ম বা verb না। এখন হিজাব পরে যদি প্রাচীন কালের খ্রিষ্টান মেয়েরা ট্রিনিটি ধরণের ইসলাম নিষিদ্ধ রিচুয়াল করেই থাকে তাহলে সেই রিচুয়াল অবশ্যই বাদ দিতে হবে গরু, গাছ আগুন, চাঁদ সুর্যের পুজা ত্যাগ করার মতো- মানে কাজটাকে (verb) বাদ দিতে হবে। অবজেক্টকে নয়।লজিক ঠিক আছে? আর মুসলিম মেয়েরাতো ট্রিনিটির মতো বা গরু, গাছ আগুন,চাঁদ সুর্যের পুজার মতো ইসলাম নিষিদ্ধ কিছু করছেও না হিজাব পরে। আপনার 'গরু, গাছ আগুন, চাঁদ, সূর্যকে নহে'-র মতো তাহলে হিজাব কে বাদ দেবার দরকার নেই বা সেগুলো বাদ দিতে হবে কেন সেই প্রশ্ন করা যায় নিশ্চই ? তাহলে আপনার উত্তরের মতো ইসলাম নিষিদ্ধ খ্রিষ্টান রিচুয়াল বাদ দিতে হবে 'হিজাব নহে' আমার কথাও তাহলে ঠিক আছে তাই না ? এই কথাটাই এতক্ষন ধরে বলছি কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না। আমার নিজের ধারণা কোনো মুসলিমের যদি নামাজ পড়ার ওয়াক্তে শরীর ঢাকার মতো পর্যাপ্ত কাপড় না থাকে আর সে সময় সামনে দিয়ে ট্রিনিটি করে যাওয়া পোপের গায়ের কাপড়ও তাকে দেয়া হয় সেটা দিয়েও নামাজ হবে যদি সেই কাপড় নোংরা বা ময়লা না হয়। মানুষ আল্লাহর শরিক করে গুনাহগার হয়,তার কাপড় না। এটাই আসলে মূল কথা। এতো বলে বোঝাবার পরেও যদি সহজ ব্যাপারটা জটিল করতে কুযুক্তি দিতেই থাকেন তাহলে আমি আপনাকে রবীন্দ্র সংগীতের চরণ "তোমার হলো শুরু আমার হলো সারা" শুনিয়ে বিদায় নিলাম। টা টা, বাই বাই ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসব ম্যাঁওপ্যাঁ নিয়ে কি জন্য কথা বলা?

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: ঈশ্বরকণা - কমেন্ট ২০
আর মুসলিম মেয়েরাতো ট্রিনিটির মতো বা গরু, গাছ আগুন,চাঁদ সুর্যের পুজার মতো ইসলাম নিষিদ্ধ কিছু করছেও না হিজাব পরে।

খৃষ্ঠান মহিলারা এমনি রাস্তায় বের হোলে ও বা অন্য কোন কাজ কোরলে ও হিজাব পড়ে থাকে হবে , শুধু মাত্র ইবাদতের ক্ষেত্রে নহে । খৃষ্ঠান ধর্মে সব সময়ে ইবাদত হোক বা অন্য কাজ হোক ভেইলিং হিজাব পড়তে হবে । তাই অন্য কাজে ট্রিনিটি বা পূজা ছাড়া যদি মুসলমান মেয়েরা হিজাব পড়ে সেটা হারাম হবে ।
আপনার যুক্তি মানলে পূজাবিহীন সিঁদুর মাথায় দিতে পারে মুসলমান মেয়েরা । মুসলমানরা হিন্দুদের মত মাথায় তিলক দিতে পারে এবং দাবি করতে পারে আমরা তো পূজাবিহীন উদ্দেশ্যে মাথায় তিলক দিয়েছি ।
খৃষ্ঠানদের বিধান শুধু ইবাদত নহে দৈনন্দিন সব সময়ে মাথায় ভেইলিং হিজাব পড়তে হবে যেমন মুসলমান মেয়েদের সব সময়ে নামাজ হোক বা অন্য সময়ে হোক পর্দা করতে হবে নিজেদের বিধান মোতাবেক ।
তাহোলে এখন থেকে মুসলমানরা মাথায় সিঁদুর দিক , তিলক দিক --- আপনার যুক্তি অনুযায়ি ।

২৬ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বে মেয়েরাই সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে থাকে; পোশাক মেয়েদেরকে বেশী মানায়।

২২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

রাজীব বলেছেন: ঈশ্বরকনা -কে সমর্থন করে বলতে চাই, অনেক হিন্দুরা পুজার সময়ে পান্জাবি পরে। এজন্য পাঞ্জাবি পরে নামাজ পড়া কিন্তু নিষিদ্ধ নয়।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব বকবকের কোন দরকার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.