নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেকুলারিজম বুঝা কি অনেকের জন্য খুবই কষ্টকর?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭



সেকুলারিজমের ডেফিনেশন ও ব্যাখ্যা খুবই সহজ: রাষ্ট্র পরিচালনায় কোনভাবে ধর্মীয় ভাবনা-চিন্তা, নিয়ম-কানুন, ট্রেডিশন, ইত্যাদি প্রয়োগ করা যাবে না, রাষ্ট্র চালনার জন্য আধুনিক পলিটিক্যাল সায়েন্স, ফিলোসফি, পলিটিক্যাল ইকোনোমিক্স, সোস্যাল সায়েন্স থেকে উদ্ভুত তত্ব, ভাবনা ইত্যাদি প্রয়োগ করতে হবে; আধুনিক প্রজাতন্ত্রগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার তত্বগুলো থেকে রূপরেখা (সংবিধান ) তৈরি করে, দেশের মানুষের সন্মতিক্রমে পাশ করায়ে, উহার সাথে সংগতি রেখে দরকারী আইন, নিয়ম-কানুন তৈরি করে, উহা নাগরিকদের ভালোর জন্য প্রয়োগ করবে। কঠিন কিছু নয়, সহজ ও লজিক্যাল ভাবনা।

শিক্ষিতদের মাঝে এসব নিয়ে আলোচনার একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগ; বাংলা ব্লগে হয়তো ৪/৫ লাখ বাংগালী বিবিধ সময়ে ব্লগিং করেছেন, এবং সেকুলারিজম একটি আলোচ্য বিষয় ছিলো সব সময়; এবং বেশীরভাগ ব্লগারেরা সেকুলারিজমের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। যারা সেকুলারিজম'এর বিরোধীতা করেন, তাঁদের সঠিক কোন বক্তব্য থাকে না; তাঁরা মনে করেন যে, সেকুলারিজম মানে ধর্মহীন সমাজ। সেকুলারিজম ধর্মহীনতার পক্ষে বা বিপক্ষে কোন ভুমিকা রাখে না; ইহা আধুনিক পলিটিক্যাল সায়েন্স ও অর্থনৈতিক ভাবনার প্রয়োগ করে মাত্র।

কোন সেকুলার রাষ্ট্র ধর্মহীনতাকে সাপোর্ট করে না, ধর্মীয়রা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সবার সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন, ধর্মীয় হওয়ার কারণে কেহ আলাদা সুযোগ সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, না কোনভাবে অধিকার বন্চিত হওয়ারও কথা নয়; এজন্য পশ্চিমের দেশগুলো সেকুলারিজম প্রয়োগ করেছে খুবই সহজে।

আমাদের অন্চলের ধর্মীয়রা মনে করেন যে, রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় অনুশাসন থাকতে হবে; কারণ, ধর্মীয় অনুশাসন মানুষের একাল ও পরকালের পথকে সঠিক রাখে। কিন্তু রাষ্ট্র কারো পরকালের ভার নেয়ার কথা নয়, রাষ্ট্র মানুষের নাগরিক জীবনের সুখ-শান্তির কাজে নিয়োজিত। রাষ্ট্রীয় তত্বগুলো লজিক্যাল ভাবনার উপর প্রতিষ্ঠিত, ধর্মীয় নিয়ম-কানুন লজিক্যাল ভাবনার উপর প্রতিষ্ঠিত নয়, এগুলো কতগুলো বিশ্বাস, যা মধ্যযুগের মানুষ রচনা করেছেন; মধ্যযুগের মানুষ আজকের মানুষের চেয়ে কম অভিজ্ঞ, কম-শিক্ষিত ও কম দক্ষ ছিলেন; আমরা তাদের মতো জীবনে ফেরত যেতে চাহি না, তাদের জীবন ছিলো অনেক কষ্টকর।






মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

হাবিব বলেছেন: সেক্যুলার সব রাষ্ট্রই কি উন্নত?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



হ্যাঁ, এরা উন্নত; কারণ, তাদের সংবিধান ও আইনকানুন লজিক্যাল ও মানুষের অভিজ্ঞতার ফসল।

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

এপোলো বলেছেন: সেকুলার পশ্চিমা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত বিরোধী এবং সাম্প্রতিক টিকা বিরোধী আন্দোলনে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের সমর্থনে ধর্মীয় পটভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । এই ব্যাপারটা আপনি কিভাবে দেখেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



গর্ভপাত ধর্মীয় বিষয় নয়, ইহা ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানবিক বিষয়।
কইছু ধর্মীয় গ্রুপ টিকা নিচ্ছে না, রাষ্ট্র তাদের বিপক্ষে কোন ব্যবস্হা নিটে পারবে না।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

সেক্যুলারিজম বুঝতে ধর্মীয় প্রভাব মুক্ত হতে হয়;একজন জাপানী/সুইডিশ শিক্ষিতরা যেভাবে বুঝবে, বাঙালী শিক্ষিতরা সেভাবে বুঝবে না।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আধুনিক চিন্তাধারাতে বাংগালীরা পেছনে; ফলে, আধুনিক রাজনৈতিক তত্বের বড় বড় ফিচারগুলো অনেক বাংগালীর ধারণার বাহিরে।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৮

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: আমার এক বন্ধু সুইডেনে স্থায়ী হয়েছে। তার কাছে সুইডিশ শাসন ব্যবস্থার কথা শুনেছি। কিন্তু যেই দেশে পরীক্ষার সিজনে রাত ২-৩ পর্যন্ত ওয়াজ চলে সেখানকার মানুষদের শিক্ষিত করা যাবে কিভাবে? সেক্যুলার ভাব-ধারার শাসন ব্যবস্থার জন্য গুণগত শিক্ষা অপরিহার্য। আমাদের দেশে সেই পরিবেশটাই নেই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষকে শিক্ষিত করা সরকারের দায়িত্ব; সবার জন্য ফ্রি শিক্ষা চালু করলে সমস্যা দ্রুত কমে আসবে।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: হাসিনা সরকার অন্য নজির স্থাপন করবে- সেক্যুলার না হয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে এ দেশ।
বিশ্বাস না হইলে আমাদের যে কোন মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে পারেন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের কোন মন্ত্রীকে যদি প্রশ্ন করা হয়, উনার মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব কি, উনি বলতে পারবেন না।

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: আর কতো উন্নয়ন? আমরা তো উন্নয়নের শিখরে আরোহন করেছি!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্হা মানুষকে শিক্ষা থেকে দুরে রাখছে, বেকারে দেশ ভরে গেছে, মানুষ পরিবার ফেলে বিদেশে যাচ্ছে আয় করতে, বেতনের টাকায় কেহ চলতে পারছে না।

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনার মাথার টিউমার এর কি অবস্থা এই টিউমার থাকা অবস্থায় আপনার জ্ঞানের পরিধি প্রসারিত হবে না এবং হয় নাই কোনদিন। ইউরোপ ইউরোপ ইউরোপ উন্নত কিসে?
ইউরোপের নারীরা সন্তানদেরকে বাবার পরিচয় দিতে পারেনা যান্ত্রিক উন্নতি হলে কি তারা উন্নত হয়ে যায়?
আমি অনেক আগেই আপনাকে বলেছি ধর্ম কয় হাজার বছর পৃথিবীতে শাসন করেছে বলতে পারবেন?
আর বিজ্ঞানের কয় যুগ হয়েছে বিজ্ঞান দিয়ে কি 5000 বছর মানুষ সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম তৈরি করেছে কিছু সাধারণ মানুষ, বিশ্বকে আধুনিক করেছে কিছু জ্ঞানী মানুষ।

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৩

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি উইকিপিডিয়াতে চাপ দেন তো? আইনস্টাইন নিউটন এদের আগে মুসলিম বিজ্ঞানী কয়জন ছিল তারা কত জ্ঞানী, এসব মুসলিম বিজ্ঞানী না হলে ইউরোপে রেনেসাঁ বিপ্লব ঘটতো শুধু তর্ক করতে শিখেছেন?

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন জাতির, কোন ধর্মের কে কি করেছে, তা ইতিহাসে আছে।

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৭

জাতিস্মরের জীবনপঞ্জী বলেছেন: মানুষকে শিক্ষিত করা সরকারের দায়িত্ব; সবার জন্য ফ্রি শিক্ষা চালু করলে সমস্যা দ্রুত কমে আসবে।

বাংলাদেশে সরকারি শিক্ষা মোটামুটি ফ্রিই বলা যায়। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তো পুরোই ফ্রি। সরকারি স্কুল-কলেজগুলোতেও যে খুব খরচ তা না। হ্যাঁ, আনুষাঙ্গিক খরচ একটা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তো প্রায় ফ্রিতেই পড়ে আসলাম যখন দেখি আমার স্টুডেন্টরা জমি বন্ধক দিয়ে প্রাইভেটে পড়তে আসছে। ফ্রি শিক্ষার চেয়ে বেশি দরকার মানসম্মত শিক্ষা ও পরিবেশ। ইন ফ্যাক্ট, এখন দরকার পরিবেশ। দেশে থাকলে বুঝতে পারতেন শিক্ষার পরিবেশ কত খারাপ হয়েছে

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ফ্রি শিক্ষা সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে জার্মান, ফরানস ও সুইডেনের শিক্ষা সম্পর্কে বুঝতে হবে; আপনি যা বলছেন, উহা ব্যুরোক্রেটরা প্রতিদিন বলে।

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৩

তানভির জুমার বলেছেন: ইসলাম ধর্মের সাথে সেকুলারিজম পুরোপুরি সাংঘর্ষিক, ইসলাম ধর্ম মতে রাষ্ট্র-সমাজ-জীবন চলবে কেবল ইসলামী বিধান দিয়ে। অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের যে কোন রাষ্ট্র-সমাজ-জীবন পরিচালনা করার জন্য সর্বাধুনিক বিধান দেওয়া ছিল এবং আছে। অনেকে মনে করে ইসলামের সাথে সেকুলারিজ সাংঘর্ষিক নয় তাদের কে প্রশ্ন করলে সেকুলারিজ কি এটার ব্যাসিক উত্তর টা দিতে পারে না।


ইসলামের সাথে সেকুলারিজম কেন সাংঘর্ষিক এবং সেকুলারিজম মতবাদটা কেমন এটা নিয়ে এই পডকাষ্টে কিছুটা ব্যাখা আছে চাইলে শুনতে পারেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক হলে কোন কিছু আসে যায় না; দেশ চলবে সংবিধান অনুসারে।

১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: একজনের মন্তব্যে আপনি বলেছেন- ধর্ম তৈরি করেছে কিছু সাধারণ মানুষ, বিশ্বকে আধুনিক করেছে কিছু জ্ঞানী মানুষ।

এই এক লাইনে আপনি হাজার লাইনের বেশি বলেছেন। এটা বুঝার মতো জ্ঞান ধার্মিকদের নেই।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধর্ম মানুষের সাধারণ জ্ঞান ও ভাবনাশক্তিকে সীমিত করে দেয়।

১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মার্ক্স বেঁচে থাকলে সেক্যুলারিজম নিয়ে কি বলতো?ধর্ম কে আফিম বলে ভিলেন হয়ে গেছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মার্ক্স বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক অর্থনীতি ও দর্শনের রচয়িতা; সে যা বলেছে, উহা ঠিক আছে।

১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কানিজ রিনা মুসলিম বিজ্ঞানী মুসলিম বিজ্ঞানী বলে প্রায়ই গলা ফুলিয়ে ফেলে। বিজ্ঞানী হলো বিশেষ ভাবে জ্ঞানী ব্যক্তি। কোনোদিন তো অন্য ধর্মের মানুষের মুখে শুনি নাই হিন্দু বিজ্ঞানী, খ্রিস্টান বিজ্ঞানী, নাস্তিক বিজ্ঞানী, ইহুদি বিজ্ঞানী!
আর যেসব মুসলিম বিজ্ঞানী ছিলেন এদের অধিকাংশই প্রচলিত ধর্মকর্মে মনোযোগী ছিলেন না বরং সে সময়ের মোল্লাদের রোষানলে পড়েছে বিজ্ঞান চর্চা করার জন্য। অথচ তাদেরকে মুসলিম বিজ্ঞানী বলে এখন অনেকেই গর্ববোধ করে!

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের সবার অবদান আছে আধুনিক সভ্যতায়; কেহ তাদেরকে জাতি হিসেবে দেখে না, তাদেরকে মহামানব হিসেবে দেখা হয়।

১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩

ঊণকৌটী বলেছেন: সবার ভিতরে তাগিদ থাকতে হবে সে কোন মানসিকতা নিয়ে বড় হবে

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জ্ঞান ও সংস্কৃতি জাতি ও ব্যক্তিকে বড় আসনে বসায়, এবং তার জন্য দরকার শিক্ষা। বাংলাদেশ ও ৩য় বিশ্বের সরকারেরা মানুষকে প্ল্যান করে শিক্ষা থেকে দুরে রাখছে।

১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৪:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: গনতান্ত্রিক শ্বাসন ব্যবস্থাই সেকুলার শ্বাসন ব্যবস্থা।সংবিধান তার রক্ষা কবজ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ ভোর ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



গণতন্ত্র রাষ্ট্র চালনার একটা তত্ব; সেকুলারিজম গণতন্ত্রের একটি আর্টক্যাল ও সিদ্ধান্ত; সংবিধান হলো, আইনের রূপরেখা। এগুলো সাহিত্যক শব্দে প্রকাশ না করাই ভালো।

১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:২৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: এত সহজ করে বলার পরও মানুষ ত্যানা পেচায়। ফরাসি বিপ্লব এসেছিল ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে। কারণ ইউরোপীয়রা দেখেছিল, ধর্মের নামে রাষ্ট্র নাগরিকদের উপর কী রকম অত্যাচার চালায়। ইউরোপে ধর্মের নামে প্রচুর মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে পাদ্রীরা। অন্যদিকে ইসলামী খেলাফতে মুসলিম না হলে জিজিয়া কর দিতে হয়। এটা অমুসলিমদের উপর জুলুম। কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র কারও উপরে জুলুম করতে পারে না।
এই সব ধর্মীয় জুলুমের কারণেই ফরাসি বিপ্লবের পর মানুষ রাষ্ট্র ও ধর্মকে আলাদা করেছে। এই আলাদা করার সুফল সারা দুনিয়ার মানুষ পাচ্ছে। এখন সেই রাষ্ট্রগুলোই সফল যারা ধর্ম নয়, বরং ধর্মবিহীন রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। রাষ্ট্র কারও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। রাষ্ট্র সংখ্যাগুরুরও, সংখ্যালঘুরও। ধর্মীয় কারণে কেউ বৈষম্যের শিকার হয় না। এটাই মানবিকতা, এটাই আধুনিকতা।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সঠিক, এগুলো ঐতিহাসিক কারণ ছিলো

১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হতে পারে না...........................

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাষ্ট্র যখন পুরানো রীতিনীতি অনুসরণ করে, তখন পুরো জাতি পেছনে পড়ে যায়।

১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪

নিমো বলেছেন: শত বছর আগের রাখালদের দেখানো পথে যে সব ভেড়ারা চলছে, তাদের জন্য খুবই কষ্টকরতো বটেই।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাজতন্ত্রের ভয়ংকর জীবন থেকে মানসিক মুক্তির জন্য ধর্মগুলো রূপকথার ভুবন সৃষ্টি করেছিলো।

১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২০

তানভির জুমার বলেছেন: লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অন্যদিকে ইসলামী খেলাফতে মুসলিম না হলে জিজিয়া কর দিতে হয়। এটা অমুসলিমদের উপর জুলুম। কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে রাষ্ট্র কারও উপরে জুলুম করতে পারে না। নাম দেখে মনে হয় আপনি মুসলিম কিন্তু নিজের ধর্ম সম্পর্কে এত অজ্ঞ কেন? নিজের ধর্ম নিয়ে জ্ঞান অর্জন করেন এটা আপনার উপর ফরজ।

জিজিয়া কাকে বলে কারা দিবে এবং কেন দিবে? ১) ইসলামী রাষ্ট্রে যুদ্ধ করতে সক্ষম অমুসলিমদের নিকট থেকে দেশ রক্ষার দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেবার বিনিময়ে প্রতি বছর যে অর্থ আদায় করা হয়, তাকে জিজিয়া বলা হয়। এর বদলে কেউ যাতে তাদের উপর আগ্রাসন না চালাতে পারে, সে জন্য তাদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয় ইসলামী সরকার। ২) জিজিয়ার অর্থ পরিশোধ করবেন আর্থিক সক্ষমতা আছে এমন পূর্ণবয়স্ক পুরুষরা শিশু-কিশোর, নারী, পাগল, দাস-দাসী, প্রতিবন্ধী, উপাসনালয়ের সেবক, সন্যাসী, ভিক্ষু, অতি বয়োবৃদ্ধ এবং বছরের বেশির ভাগ সময়ে রোগে কেটে যায় এমন লোকদের জিজিয়া দিতে হবে না। ৩) অমুসলিমদের কেউ যদি দেশরক্ষার কাজে নিয়োজিত হতে রাজি হন, তাহলে তার জিজিয়া মওকুফ হতে পারে। যদি ইসলামী সরকার অমুসলিম নাগরিকদের জান-মাল ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তাদের থেকে কোনো প্রকারের জিজিয়া আদায় করা হয় না। বরং আদায়কৃত জিজিয়া ফেরত দেয়া হয়। ৪) জিজিয়ার অর্থের পরিমাণ অমুসলিম নাগরিকদের আর্থিক সঙ্গতি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। যারা স্বচ্ছল তাদের কাছ থেকে বেশি, যারা মধ্যবিত্ত তাদের কাছ থেকে কিছু কম এবং যারা দরিদ্র তাদের কাছ থেকে অনেক কম নেয়া হয়। আর যার উপার্জনের কোনো ব্যবস্থা নেই অথবা যে অন্যের দান-দক্ষিণার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে, তার জিজিয়া ক্ষমা করে দেয়া হয়। ইসলামী রাষ্ট্রে অমুসলিম নাগরিকদের উপর সাধ্যের অতীত জিজিয়া চাপানো যায় না। জিজিয়া অবশ্যই তাদের সাধ্যের মধ্যে হতে হবে। ৫) যে সকল অমুসলিম নাগরিক দারিদ্র্যের শিকার ও পরের উপর নির্ভর করে চলে, তাদের জিজিয়া মওকুফ তো করা হবেই উপরন্তু বাইতুল মাল থেকে তাদের জন্য নিয়মিত সাহায্য বরাদ্দ দিতে হবে। জিজিয়ার অল্পকিছু ধারা এবং সংক্ষিপ্ত ব্যাখা এইগুলো।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



এখনকার আরবদের আচরণের সাথে আপনার কথাগুলো মিলিয়ে দেখেন তো, তারা এত ভালো লোক ছিলো? আরবরা জিজিয়া মিজিয়া করে মানুষের জীবনকে বিষাক্ত করে তুলেছিলো।

২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২

হিমেল রেজার বচন বলেছেন: সেক্যুলারিজম নিয়ে ত্যানা পেঁচিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন যারা, তাঁদের উদ্দেশ্যে- ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্বন্ধে কোনো ধারণা না থাকায় এসব ফালতু কথা বলছেন। এইগুলো গুগল করলেও পাবেন, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা ও জিজিয়া কর ইত্যাদি। টাইপ করে আঙ্গুল বেহুদা ব্যথা করতে চাই না।

এইটা মনে রাখবেন, আল্লাহ তাআলা কুরআনে এবং আল্লাহর রসুল (সা) তাঁর জীবনদর্শনে (সহীহ হাদিস সমূহ) যা কিছু বর্ণনা করে গিয়েছেন তা ধর্ম জাতী নির্বিশেষে সকলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। অন্য ধর্মের অনুসারী এতে বিশ্বাস করবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে অন্তত মুসলিম হিসেবে এতে (কোরআন ও সহীহ হাদীসে) কোনো সন্দেহ করা উচিৎ না।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোরান, হাদিস, ইত্যাদি রাষ্ট্র চালনার বই নয়, এগুলো হলো মৃতয়ুর পর ভালো থাকার তত্বের বই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.