নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফ্রিকায় টিকাও নেই, ভাতও নেই

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৪



আফ্রিকার গ্রামগুলো মোটামুটি বেশ বিচ্ছিন্ন ও হাট-বাজারগুলোতে অন্য এলাকার লোকজন তেমন আসে না; ফলে, গ্রামগুলোতে করোনা বেশী ছড়ায়নি। বেশীরভাগ দেশের সরকার ওদের কত গ্রাম আছে তাও সঠিকভাবে জানে না; আফ্রিকার গ্রামগুলোর খোঁজ খবর রাখে ইউরোপিয়ানরা। আফ্রিকার কোন দেশের গ্রামে মহামারি লাগলে, প্যারিস বা লন্ডন থেকে সেই দেশের সরকারকে জানায় সাধারণত; কিংবা আফ্রিকার সরকারী লোকেরা প্যারিসে বাজার করতে গেলে পত্রিকায় দেখে তাদের দেশের কোন কোন প্রদেশে দুর্ভিক্ষ চলছে।

করোনার শুরুতে, FAO সব গরীব দেশগুলোকে হুশিয়ার করেছিলো যে, করোনা যদি ১ বছরের বেশী সময় থাকে, বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, ভিক্ষাও কম পাওয়া যাবে; এবং যাতায়তের অসুবিধার কারণে খাদ্যের সরবরাহ কমে যাবে। সেটা গরীবদেশে ঘটার আগে আমেরিকায় ঘটে গেছে; নিউইয়র্ক শহরে খাবারের দাম অনেক বেড়ে গেছে; সামুদ্রিক মাছের অবস্হা বাংলাদেশের ইলিশের মতো হয়ে গেছে: ১ ডলারের হোয়াইটিং ৫ ডলারে বিক্রয় হচ্ছে, অনেক ধরণের মাছ বাজারে নেই।

কিন্তু নিউইয়র্কের আফ্রিকান আমেরিকানরা এবার সবচেয়ে বেশী পরিমাণ খাবার খাচ্ছে: রাতদিন ২৪ ঘন্টা রেডিমেইড খারারের ডেলিভারী বেড়ে গেছে আমেরিকান আফ্রিকান দরিদ্র এলাকাগুলোতে; দুর্ভিক্ষ তো দুরের কথা, অনেকের ওজন বাড়ছে হু হু করে! এত টাকা কোথায় পাচ্ছে তারা? ওরা আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে, শতকরা ৮০ জনের বেশী ঘরভাড়া দিচ্ছে না; ঘুমানোর চিন্তা নেই, খাও আর খাও, বেশী করে খাও আর আড্ডা মারো।

কিন্তু আসল আফ্রিকা চাষবাস কম করে, তারা ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে; সরকারগুলো নিজের জমি দেখে না, রিলিফের ট্রাক গুণে বসে বসে।

FAO জানতো যে, আফ্রিকার সরকারেরা চাষবাসে বেশী আগ্রহী নয়; কিন্তু রিলিফ যাদের থেকে পাবার কথা, তাদের চাষবাস ও ট্রান্সপোর্টের কি অবস্হা? ট্রান্সপোর্ট শ্রমিকের অভাবে আমেরিকার অনেক বন্দর তাদের কার্যক্রম শতকরা ৬০ ভাগ চালু করতে হিমশিম খাচ্ছে! ভিক্ষার চাল, গম গোডাউনে আছে, কিন্তু পাঠানোই সমস্যা; আগামী ২/১ বছর পর, গুদামের কিছু অংশ খালি হয়ে আসবে, মনে হয়।

দক্ষিণ আমােরিকার শহর কেন্দিক দেশগুলোতে ( ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, পেরু ) খাবারের দাম বেড়ে গেছে অনেকটা; আমেরিকার সাথে বর্ডার থাকায় মেক্সিকো আপাতত ভালো আছে।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৭

আমার চিরকুট বলেছেন: তারা মানসিকভাবে এখনো দাসই রয়ে গেছে। পরনির্ভরশীল জাতি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওসব দেশের ক্ষমতাশীলরা পরগাছা

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আফ্রিকার শিক্ষিতরা ব্লগিং করে? উল্টা পাল্টা কারণে কিয়ামত হলে দেখা যাবে,আফ্রিকার মানুষ দুভিক্ষে আগেই মরে গেছে, সরকারের লোকজন ইউরোপ,আমেরিকায়।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকার মানুষ অনেক শতাব্দী আগের থেকে পরনির্ভরশীল হয়ে গেছে; ইহা একটি মানসিক অবস্হা।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মানসিক অবস্থায় বন্দি হয়ে গেলে, বের হতে পারা অসম্ভব। আফ্রিকার ভবিষ্যৎ কি হবে মনে হয়?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপাতত আফ্রিকার ভবিষ্যত অন্ধকার; নাইজেরিয়া বিশ্বের সেরা জালিয়াত ও মাফিয়ার জন্ম দিচ্ছে; দ: আফ্রিকা ধান্দাবাজ ও অলস মানুষ তৈরি করছে। আলজিরিয়া ও তিউনিশিয়া যদি চেষ্টা করে, তা'হলে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: যাক আফ্রিকার থেকে আমরা ভালো আছি।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমরা আফ্রিকা থেকে ভালো আছি আজকে, কিন্তু আমাদের আগামীকালের কোন নিশ্চয়তা নেই, অদক্ষদের হাতে আমাদের অস্হিতিশীল অর্থনীতি।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: মরক্কো,লিবিয়া আর মিশরের অবস্থা কেমন।সাউথ আফ্রিকা আফ্রিকারই একটিদেশ।আফ্রিকা সম্পর্কে জানার আগ্রহ নাই বলে খুব একটা জানি না।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মিশর ও মরক্কা বাংলাদেশের মতো, সামান্য লোকজন ( মিলিটারী ও সরকার ) খুবই ভালো আছে, বাকীরা জালিয়াতী ও গন্ডগোল করে চলে; এই ২ দেশের আয়ের একটা অংশ হচ্ছে, আরবদের বেশ্যাপাড়া হিসেবে।

লিবিয়া অনেকটা উথে দাঁড়ায়েছিলো গাদাফীর সময়, আবার গাদাফীর কারণে শেষ।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আফ্রিকা মহাদেশের শাসকগণও একটা হতে একটা স্বৈরাচারী

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৩:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের আজীবনের ইতিহাস সেটাই, ওরা সাধারণ মানুষকে মানুষ হিসেবে থাকতে দেয়নি, বিক্রয় করেছে, মেরে ফেলেছে।

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সম্বল এলাহী ভরসা।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



গত ৪/৫ বছর এলাহী ভরসা চলছে আফ্রিকায়।

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ব্লগে ঢুকতে পারলাম দেড় বছর পর।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকা নিয়ে, ঢাকার মানুষ নিয়ে লেখেন।

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দক্ষিণ আফ্রিকাতো মনে হয় ভাল আছে। ব্যবসার জন্য মানুষ সেখানে যাচ্ছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা ব্যবসার জন্য ইরাক ও লেবাননও যায়।

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি একটা জিনিস বুঝি না আফ্রিকার জনগোষ্ঠী এতো বড় এদের কার্ম ক্ষমতাও অন্যদের থেকে অনেক বেশি তারপরেও এরা এতো দরিদ্র কেনো?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের মজগটা সঠিকভাবে কাজ করে না; ওদের শিক্ষিতরা জালিয়াত।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

জুন বলেছেন: আফ্রিকার কংগোর এক যুবকের সাথে রোমে আলাপ হয়েছিল। সে রোমের প্রানকেন্দ্র ভিক্টরিও ইমানুয়েল মেট্রো স্টেশন এর উপরে ফুটপাতে পুরনো কোট প্যান্ট বিক্রি করে। মালিক ইতালিয়ান। যুবকটি জানালো তার বাবা নামক ব্যাক্তিকে সে ভালো মতো চিনেও না, তবে সে ফ্রান্সে কংগোর এম্বাসাডর। তার বাবা কতগুলো বিয়ে করেছে আর তার কতগুলো আপন আর সৎ ভাইবোন তার হিসেবও জানা নেই।
কি অবস্থা এক একটা খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ দেশগুলোর। অতিরিক্ত সম্পদও অনেক দেশের বিপদ ডেকে এনেছে। এই সম্পদকে কাজে লাগানোর মত মগজ তাদের নেই। আর দুর্নীতি পরায়ণ শাসক থাকলে তো কথাই নেই। আর এটা আফ্রিকার দেশতো বটেই মিয়ানমার, ক্যাম্বোডিয়া আর লাওসেও দেখা যায়। মাটির নীচে অফুরন্ত সম্পদ আর দেশের মানুষ না খেয়ে মরছে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আফ্রিকা ও বার্মার মাঝে মিল আছে; আফ্রিকার ক্ষমতাশীলরা গরিলার মতো বুদ্ধিমান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.