নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জলবায়ু সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কি কি করতে হবে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৫



'জলবায়ু পরিবর্তন' নিয়ে ১২ দিনের কনভেনশন, COP26 (অক্টো ৩১-নভে ১২) শেষ হয়েছে, ২০০ দেশ মিলে প্রয়োজনীয় অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে; সেগুলো হচ্ছে: (১) ভু-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা যাতে ১৭৫০ সালের তাপামাত্রা ( ১৩.৪২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ) থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশী বাড়তে না পারে (২) গ্রীন-হাউস গ্যাসসমুহের নির্গমণ কমানো হবে (৩) তেল ও কয়লার ব্যবহার কমাতে হবে (৪) ১০০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ড গঠনে সব দেশকে অংশ নিতে হবে।

গরীব দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ; আমাদের জনসংখ্যা ১৯ কোটী, মালদ্বীপের জনসংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ।

আমাদের প্রাইম মিনিষ্টার সন্মেলনে উপস্হিত ছিলেন; তিনি সেখানে কথা বলেছেন। তিনি কি কি ব্যবস্হা নেবেন সেটা বলেননি, তিনি বলেছেন পশ্চিমের কি কি ব্যবস্হা নেয়া উচিত। শিল্পের শুরু হয়েছে পশ্চিমে, উহা এখন চলে গেছে পুর্বে, আমাদের এলাকায় আসেনি; কিন্তু গ্যাস ও তাপমাত্রা আমরা পেয়েছি, ক্ষতি আমাদের হচ্ছে, ভবিষ্যতে ভয়ংকর ক্ষতি হবে।

যেহেতু আমরা বায়ুমন্ডলের কোন ক্ষতি করিনি, উহাকে রিপেয়ার করার জন্য আমাদেরকে কি ১০০ বিলিয়ন ডলারের ফান্ডে টাকা দিতে হবে? আমাদের সরকার কোনদিন কাউকে টাকা দিয়েছিলো? আমাদের যেই পরিমাণ ক্ষতি হবে, উহার জন্য কারা দায়ী থাকবে, কারা ক্ষতিপুরণ দিতে বাধ্য থাকবে?

এখন আমরা কি পশ্চিমের ক্ষতিপুরণের ডলারের জন্য অপেক্ষা করবো, নাকি আমাদের নিজেদের রক্ষার জন্য এখনি ব্যবস্হা নেয়ার জন্য লেগে যাবো? যদি আমরা নিজেদের রক্ষার জন্য কাজ করতে চাই, আমাদের কি কি করার দরকার শুরুতে?








মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৪

বঙ্গদুলাল বলেছেন: বাংলাদেশ অংশের মধ্য সবার আগে তলিয়ে যাবে আমার জন্মভূমি কুতুবদিয়া।

আল-জাজিরার প্রতিনিধি আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শাহ নাওয়াজ চৌধুরীর কুতুবদিয়ার উপর ফোকাস করে তৈরী প্রতিবেদনটি একবার দেখুন।https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10160398663738690&id=7382473689

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখন পানি থেকে গড় উচ্চতা কত?

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৩

বঙ্গদুলাল বলেছেন: কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ তৈরী আমাদের জন্য মরণফাঁদ আমার দৃষ্টিতে।এর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ তৈরি করা যেতোনা? এসব প্রকল্প হাতে নেওয়া কি ঠিক হয়েছে?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনা এসব মিটিং'এ যাচ্ছেন ২০০৯ সাল থেকে; কিন্তু ওরা ওখানে কি বলে, উনি বুঝেন কিনা বলা মুশকিল।

আপনি কুতুবদিয়াতে ২/১টা মিটিং করে আলোচনা করেন।

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এখন থেকে পদক্ষেপ গ্রহন করলে ক্ষতির পরিমান কম হবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার শ্বশুর বাড়ী বরিশাল, ওখানে ২/১টা মিটিং টিটিং করেন।

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

দেশে মাস্কের টেসলা ডুকিয়ে,কয়লাখনি সিলগালা করা;ডাটা এন্যালাইজ করে দেশের ডুবে যাওয়া অন্চল চিহ্নিত করা; মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা।বাঙালিরা ফান্ডে কন্ট্রিবিউট করবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


খুলনা,বরিশাল, ভোলা, কতুবদিয়া, পটুয়া খালিকে স্পেশাল জোন ঘোষণা করে, ওদের ৫ বছরের উপরের সব ছেলেেয়েকে ফ্রি পড়ায়ে, ফ্রি খাওয়ায়ে একটা প্রফেশান দিতে পারে।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

চীন,ভারত ও কয়লার ত্রিভুজ প্রেম নিয়ে উপন্যাস লিখা যাবে মনে হয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


চীন সারা পৃথিবীর জন্য অপ্রয়োজনীয় মালামাল ন্যানুফেকচারিং করছে অনেক। ভারত কয়লা থেকে বের হতে ৫০ বছর লাগবে।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫২

প্রামানিক বলেছেন: আগে থেকেই সতর্ক থাকা দরকার

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর জন্য মানুষকে সাহায্য করার দরকার।

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



জলবায়ু সমস্যা সমাধানের জন্য জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে হবে সর্বাজ্ঞে।
এর জন্য খুব বেশী কিছু করতে হবেনা । শুধু সরকারকে সদিচ্ছা নিয়ে কঠোর
হস্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
দেশে বর্তমানে মাত্র ৮৮২১৫জন জবর দখরকারীর হাতে দেশের সংরক্ষিত
বনাঞ্চলের ১৩৮৬১৩‌ .০৬ একর সংরক্ষিত বনভুমি জবর দখল হয়ে আছে
বছরের পর বছর ধরে । এসমস্ত বনভুমির উজার হয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে
বিভিন্ন স্থাপনা । ফলে পাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে দারুনভাবে ।
জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভুমির জমি উহ্ধারের জন্য সরকারী কিছু উদ্ধার
অভিযান চলছে যার মধ্যে আছে
১) পি ও আর মামলা
২)নিন্ম আদালতে দেওয়ানি মামলা
৩)উচ্চ আদালতে রীট মামলা
৪)উচ্চ আদালতে আপিল/মিস মামলা
৫)জেলা প্রশাসনে প্রেরিত উচ্ছেদ প্রস্তব
৬)জেলা প্রশাসন রুজুকৃত উচ্ছেদ মামলা ।
তথ্য সুত্র : পরিবেশ , বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের
সরকারী ওয়েবসাইট Click This Link

আমরা সকলেই জানি এসমস্ত মামলা অতি ধীরগতির মামলা , এগুলির রায় ও বাস্তবায়নে
কযেক জেনারেশন সময় লেগে হয়ে যেতে পারে. তারপরেও রায় যা হবে তাতো বুঝাই যাচ্ছে।
তাই যেহেতু সরকারী পর্যায়ে এগুলি জবরদখলকৃত সংরক্ষিত বনভুমি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছে
সেহেতু এগুলি হতে এই মহুর্তে জবরদখলকারীকে উচ্ছেদ করে সেখানে বনায়ণ করা হোক
দ্রুত গতিতে, তাতে করে জলবায়ু পরিবর্তনের ইতিবাচক দিকগুলি বাস্তবায়ন তরান্বিত হবে।

মামলা চলতে থাকুক তার আপন গতিতে , লক্ষতো একটাই, জবরদখল উচ্ছেদ করে সেখানে বনায়ন করা।
মামলায় যদি জবরদখলকারী জিতে যায় তাহলে তাদেরকে আর্থিক ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রাপ্ত অর্থ হতে । আর যদি হেরে যায় তাহলে লাভ সব দিক হতেই , সে অর্থ দিয়ে
অনুকুল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উন্নয়নমুলক কাজ হাতে নেয়া যেতে পারে বড় পরিসরে ও সমন্বিত উপায়ে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসব ব্যাপারে আার ধারণা নেই; তবে, সরকারী জমি (বনভুমি, পাহাড়, নদী ) পুরোটাই দুষ্টরা দখল করে নিয়েছে। শেখ হাসিনা যদি এসব ফেরত চান, এবং দখলকারীদের ছেড়ে দিতে বলে, এসব জমি ছেড়ে দখলকারীরা দেশ থেকেও পালিয়ে যাবে। তবে, তিনি এসব নিয়ে ভাবছেন না, তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের দিকে তাকিয়ে আছেন।

৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৩

বঙ্গদুলাল বলেছেন: উচ্চতা ০-৫ মিটারের মধ্যে ভ্যারি করছে(কোনো কোনো স্থানে পানির সাথে মিলেমিশে একাকার)।

জি-৭ বলছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ওরা ফিন্যান্স করবে না(যদিও অতীতে জার্মানি, আমেরিকা এরা নিজেরাই কয়লা পুড়িয়ে পরিবেশের কম ক্ষতি করেনি)।অর্থনৈতিক উন্নয়নের লোভে জাপানিদের সহায়তায় এসব প্রকল্পে হাত দিয়ে বৃহৎ অর্থে আমরা নিজেদেরই ক্ষতি করছি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


অতীতে যা ঘটেছে, তা'সম্পর্কে মানুষের পর্যাপ্ত জ্ঞান ছিললো না; এখন সময় হয়েছে আগের ভুলের সংশোধন করার। পশ্চিম যদি এগুলো না বুঝতো, আজকেও আগের মতো ভুল চলতে থাকতো।

আপনি দেখেন নিজ এলাকায় এই নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে পারেন কিনা।

৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আশাকরি, আপনার এ পোস্টটা সরকারী নীতি নির্ধারক মহলের কারো না কারো নজরে আসবে। এ ব্লগের পাঠকদের মাঝেও কারো কারো ভাবনাকে উসকে দেবে, করণীয় নির্ধারণে বিজ্ঞানমনস্ক , ইনফরমড সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে। এ ধরণের সমস্যা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন দেশে শক্তিশালী রাজনীতি এবং জবাবদিহিমূলক সরকার। কিন্তু দেশে এখন দুটোর কোনটাই নেই। সংসদে এখন কোকিল গান গায়, কর্কশ দাঁড়কাক উচ্চস্বরে শুধু কা-কা করে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


COP26 চলাকালে বিশ্বের ৩০০ শহরে মিছিল ও প্রতিবাদ হয়েছে; বাংলাদেশ সরকার উপকুল এলাকায় র‌্যালীর ব্যবস্হা করলে মানুষ এই ব্যাপারে জানার জন্য উৎসাহী হতো।

সরকার ও প্রশাসনের অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, এরা পশ্চিমের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকবে।

১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

রানার ব্লগ বলেছেন: জলবায়ু সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের নিজেদের জানতে হবে জলবায়ূ কি ,এটা কি করে নস্ট হয়, কেন নষ্ট হয়, কি করলে জলবায়ু সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের ৯৯% লোক জলবায়ু সমস্যা নিয়ে মোটেও ওকিবহল নয়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



এবারের ১২ দিনের সন্মেলনের সময় বিশ্বের ৩০০ শহরে মিছিল ও প্রতিবাদ হয়েছে; আমাদের শিক্ষিতরা একটা র‌্যালীও করলো না। আমাদের শিক্ষিতরা ফেইসবুকে বউ'এর ছবি দিতে ব্যস্ত আছে।

১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



জলবায়ুর পরিবর্তনে যদি সমুদ্রের উচ্চতা ৫০ সে,মি, বাড়ে তাহলে বাংলাদেশের ১১% ভূমি পানির তলায় তলিয়ে যাবে। ক্ষতিগ্রস্থ হবে প্রায় ১.৫ কোটি বাংলাদেশী।

তাই, বাকি ৯৯% উঁচু ভূমিগুলোকে সংস্কার করা এখনই প্রয়োজন। সেখানে হাই রাইজ বিল্ডিং তৈরী করতে হবে যাতে এই দেড় কোটী মানুষের জায়গা দেওয়া যায়।

এছাড়া, সমুদ্রে ভাসমান শহরের কথাও চোঁতা করা যেতে পারে।


এগুলো তৈরি করার জন্যে এতো বড় ফান্ডিং বাংলাদেশ কোথা থেকে পাবে? উন্নত বিশ্ব থেকে আসা লাকজারী পণ্যের উপর এখন থেকেই অতি উচ্চ মানের ট্যাক্স বসাতে হবে। আরও কিছু চিন্তা করা যেতে পারে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:



উপকুল ও দ: অন্চলে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করবে ও বর্ষার পানি উঁচু এলাকায়ও জমে থাকতে পারে। উপকুলের মানুষকে এখন থেকে স্পেশাল ট্রেনিং দিয়ে প্রফেশানেল করে তুললে, তারা নিজের কইছুটা দায়িত্ব নিজেরাই নিতে পারবেন।

১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



*****বাকি ৮৯% ভূমি হবে। ৯৯% নয়। ভুল লিখেছি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসলে, পুরো জাতির অর্থনীতি আক্রান্ত হবে। চাষাবাদের ধরণ বদলালে, কম জমিতেও চলা সম্ভব; সেগুলো নিয়ে শিক্ষিতরা এখন থেকে পরীক্ষা নীরিক্ষা শুরু করার দরকার।

১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: জনগনকে সচেতন করা,সেই সাথে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করা।জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে এই হারে বাড়তে থাকলে কোন পরিকল্পনাই কাজে দিবে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকারীভাবে জনসংখ্যা আর নিয়নত্রণ করা সম্ভব হবে না, দেশে এই ব্যাপারে জামাত-হেফাজত ও বিএনপি বিরোধীতা করবে; তদুপরি প্রশাসন ইহার পক্ষে নয়।

১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর বনের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের ক্ষতি করলে কী জলবায়ুর উপর প্রভাব পড়বে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


জলবায়ুর উপর প্রভাব পড়বে অবশ্যই; সেজন্য কয়লার বিপক্ষে সরব সারা বিশ্ব। তবে, আমাদের সামনে যে সমস্যা আসছে, উহা গ্রীণ-হাউস গ্যাসের থেকে, যা অনেক আগের থেকেই বায়ুমন্ডলকে দখল করেছে।

১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২০

সাসুম বলেছেন: আপনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য লগিন করলাম। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ এর ৫ কোটি মানুষ ক্লাইমেট রিফিউজি হবে। এই ৫ কোটি মানুষ এর হিসাব করা হয়েছে যদি সমুদ্র স্তরের বাড়া আর বরফ গলা বর্তমান রেটে চলতে থাকে। কিন্তু আমিও জানি আপ্নিও জানেন এই রেট বাড়বেই। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে- এই ঘর বাড়ি হারা মানুষ গুলো কই যাবে কিভাবে যাবে? এক মেট্রোপলিটন শহর মানে ঢাকা চিটাগাং রাজশাহী খুলনা কুমিল্লা - এই শহর গুলো এই মুহুর্তে ক্লাইমেট রিফিউজি তে গিজগিজ করছে। ঢাকা শহরের রিক্সা ওয়ালা আর বস্তিবাসী বেশির ভাগ নদী ভাংগা পার্টি। এখন আলাদা কোটি মানুষ কে যায়গা দিবেন কই? এই সাউথ বাংলার নদী ভাংগা আর জমি জিরাত হারানো মানুষে ভরে যাবে শহর। কারন থাকার যায়গা দিতে হবে মানুষ কে।

এবং এই ক্লাইমেট রিফিউজি রা এরপর ছুটবে পাশের দেশে- জি, ভারতে। এতদিন আমরা চিন্তা না করলেও জান বাচানোর তাগিদে মানুষ ভারত ছুটবে। বৈধ এবং অবৈধ ভাবে।

ভারত কি এটা বুঝতে পারছে না? জি পারছে, এই জন্য তাদের এন আর সি আর আধার কার্ড, নাগরিকত্ব আর বাংগালী হটাও কর্মসূচী সাথে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী দের এত আস্ফালন। ভারত তাদের সীমান্ত পই পই করে অফ করবে , বি এস এফ আরো মানুষ খুন করবে ডেইলি, একটা পিপড়া ও ঢুক্তে দিবেনা তাদের দেশে। কাটাতার এর বেড়া আর সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে পুরা বাংলাদেশ। ভারত- বুঝতে পারছে আমরা ৫০ বছর পর তাদের দেশে কুত্তার মত দৌড়াব। আমরা বুঝিনা।

আমরা এই কপ ২৬ এ যা যা করেছি তা লিটারালি লজ্জার- এন্টি ডিফরেস্টাশান আইনে সাইন করিনাই। কি করে কোন লজ্জায় করব? আমরা রামপাল পুড়িয়ে কয়লা বিদ্যুত বানাই- এর চেয়ে লজ্জা কই? আমরা কক্সবাজারে শত শত একর রিজার্ভ ফরেস্ট নস্ট করে বাংলো করার প্লান করি। এটা নিয়ে লিখালিখির পরে সমালোচনার পরে আমাদের কোন এক জাতীয় ক্লাউন নাকি অভিযোগ করেছে ক্লাইমেট ওয়ালারা নাকি ষড়যন্ত্র করে আমাদের এই লিস্টে রাখেনাই। এখন তারা এই লিস্টে ঢুক্তে চায় কারন- ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এর লস হবে না গেলে। বাহ!

আমাদের মাতুইয়াল আর অন্য ডাস্টবিন থেকে মিথেন গ্যাস এমিট করে দুনিয়া জোড়া ওজন স্তর ক্ষয় করে ফেলছে- আমরা মিথেন গ্যাস এমিশান আইনে সাইন করিনাই।

আমরা কি করছি শুনবেন? আমরা নেট জিরো ভিশন মানে একদম ০ কার্বন এমিশান এর দেশে পরিণত হব এমন আশাবাদ করে একটা টার্গেট সেট করেছি। কি টার্গেট জানেন সেটা??

দুনিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আমরা টার্গেট সেট করেছি ২০৩০ সালে। মানে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশে কোন পজিটিভ কার্বন এমিট হবেনা, বরং সেটা ০ হবে। এটা কতটা অসভ্য ও অযৌক্তিক তার একটা হিসাব পাবেন সভ্য ও উন্নত দেশ গুলার টার্গেট দেখলে। বেশির ভাগের টার্গেট ২০৫০ থেকে ২০৬৫ সালের মধ্যে এমিশান কে গ্রেজুয়ালি কমিয়ে আনা। এবং সে দেশগুলা কয়লা বা ফসিল ফুয়েল থেকে বের হয়ে এসেছে অল্রেডী। অথচ আমরা দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ফসিল ফুয়েল জ্্বালানো দেশ গুলার অন্যতম ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশান এর জন্য।

দুনিয়ার যত প্লাস্টিক ডোবা নালা নদী আর সমুদ্রে পড়ে তার ৬% যোগান দেই আমরা সারা বছর জুড়ে। আরো মজার ব্যাপার হল- আমরা যত প্লাস্টিক ইউজ করি তার ৯৮% ওয়ান টাইম ইউজ, মানে একবার ইউজ করেই চলে যায় ডাস্টবিনে।

যাই হোক- এত কথা বলার কারন- আমাদের দেশের সরকার এর এসব নিয়ে ভাবার টাইম নাই। তাদের কাছে ক্লাইমেট চেঞ্জ এর সেমিনার আর টাকা পয়সা বড় কথা। সরকারের কাছে আসল কাজ হল- উপকূলে বিল্ডীং বানানো আর ২ দিনে ভেংগে যাবে এমন বাধ বানানো। মানে ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানানো যাতে করে টাকা পয়সা খসানো যায়।

বাট সফট ইনফ্রাস্ট্রাকচার- মানে সচেতনতা , শিক্ষা, ট্রেনিং, নিজেদের আইন ঠিক করা, ভুল আর ভুয়া প্রজেক্ট না নেয়া রামপাল এর মত- এসব কাজ করবে না সরকার।

এসব নিয়ে চিন্তা করে মাথা খারাপ করবেন না।

দুনিয়ার সভ্য জাতিরা এসব নিয়ে চিন্তা করে। বাংগুস্তান এর লোকজন আর তাদের সরকার এর এসব নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি আমার থেকে অনেক বেশী কাভার করেছেন; সরকার ১০০ বিলিয়ন ডলারের বস্তার দিকে তাকিয়ে জ্ঞান হারায়ে ফেলেছে; ফলে বকবক করছে, মানুষের কি হবে, ততদিনে কত মানুষ হবে, ওরা কোথায় যাবে, এসব ভেবে বের করতে পারবে না সরকার ও প্রশাসনের লোকেরা। ভয়ংকর একটা সমস্যা হবে, জাতি পুরোপুরি ইয়েমেনের লেভেলে চলে যেতে পারে।

১৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভয়ঙ্কর অবস্থা, কিন্তু দায়িত্বশীল কারো মনে ভয় জাগছে না!
সাসুম এর মন্তব্যটা পড়ে তো মাথা খারাপ হবার অবস্থা। একটু ডিটেইলসে ব্যাখ্যা করার জন্য তাকে ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ড: আতিক নামে একজন সায়েন্সের লোক দীর্ঘদিন থেকে এইসব বৈঠক গুলোতে অংশ নিচ্ছেন; তিনি আমাদের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা ও উহাকে হ্যানডিলিং করার ব্যাপার নিয়ে কখনো কথা বলেন না, উনি সব সময় কথা বলেন আমরা কিভাবে বিদেশী টাকা পেতে পারি সেটার উপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.