নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮



ব্লগে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখার পরিকল্পনা আমার ছিলো না; কয়েকজন ব্লগার বারবার বলাতে, উনাদের প্রতি সন্মান দেখানোর জন্য কয়েকটা পোষ্ট দেয়ার কথা ভাবছি।

সামরিক ক্যু (অক্টো ২৭, ১৯৫৮ সাল) করে জেনারেল আইয়ুব খান পাকিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছিল; তারপর, এটাসেটা করে উনি নিজে নিজেই প্রেসিডেন্ট হয়ে যান; আমেরিকান সিআইএ উনাকে সাহায্য করেছিলো। শুরু থেকেই সাধারণ বাংগালীরা মিলিটারী শাসনের বিপক্ষে ছিলো। শেখ সাহেবকে আগরতলা মামলায় (১৯৬৮-১৯৬৯ সাল) ফাঁসি দেয়ার চেষ্টা করায় পুর্ব পাকিস্তানে গণবিস্ফোরণ ঘটে; ইহাতে নেতৃত্ব দেন মওলানা ভাসানী; আন্দোলনে জেনারেল আইয়ুব খানের পতন ঘটে ( মার্চ ২৫, ১৯৬৯ ); পতনের সময়, তিনি মার্শাল ঘোষণা করেন, এবং দেশের সেনাপতি ইয়াহিয়া খানকে সামরিক শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান, আইয়ুব খানের পদ্ধতি অনুসরণ করে দেশর প্রেসিডেন্ট হয়ে যান। তিনি দেশে জাতীয় পরিষদের জেনারেল ইলেকশান দেন; ইলেকশান অনুষ্ঠিত হয় ২৫শে ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে; ফলাফল: আওয়ামী লীগ মোট ৩১৩ সীটের মাঝে ১৬৭ সীট পেয়ে মেজরিটি অর্জন করে, ২য় স্হান পায় পাকিস্তান পিপলস পার্টি, তাদের সীটের সংখ্যা ৮৬।

পাকিস্তানের মিলিটারীর ধারণা ছিলো, আওয়ামী লীগ মেজরিটি পাবে না; মুসলিম লীগ ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর দল মিলে সরকার গঠন করলে, মিলিটারীসহ মিলেমিশে দেশ চালাবে; মিলিটারী ও ভুট্টোর মাঝে এই বুঝাপড়া ছিলো। সরকার গঠনের জন্য জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডাকা হয় ঢাকায় ৩রা মার্চ, ১৯৭১ সালে; আওয়ামী লীগের সরকার গঠন করার কথা ছিলো; কিন্তু ভোটের পর থেকেই পিপলস পার্টির প্রধান, জুলফিকার আলী ভুট্টো সরকার গঠনের দাবী জানিয়ে আসছিলো; উহার বক্তব্য, শেখ সাহেব সরকার গঠন করলে, পুর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাবে। ভুট্টো বৈঠকের জন্য ঢাকায় আসতে নারাজ; সে বলছিলো যে, ঢাকায় বৈঠক বসলে, আওয়ামী লীগের লোকেরা তাকে হত্যা করবে।

মিলিটারী ষড়যন্ত্র করে ১লা মার্চ ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পরিষদের বৈঠক অনিদ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়; ইহার প্রতিবাদে আওয়াী লীগ ২দিনের ( মার্চের ২, ৩ তারিখ) হরতাল ডাকে; পরে সেটাই অসহযোগ আন্দোলনে (মার্চ ২- ডিসেম্বর ২৫) পরিণত হয়। অসহযোগ আন্দোলনের মাঝে ৭ই মার্চ শেখ সাহেব রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক বক্তব্য রাখেন; বক্তব্যে শেখ সাহেব মিলিটারীর উপর চাপ সৃষ্টির জন্য, পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন জাতীকে। অসহযোগ আন্দোলনের সময় পাকিস্তান সরকার পুর্ব পাকিস্তানের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, পুলিশ ও সরকারী কর্মচারীরা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়; দেশ অনেকটা শেখ সাহেবের কথানুযায়ী চলতে থাকে। পাকিস্তান সরকার মিলিটারী নামায় রাস্তায়, মিলিটারী রাস্তায় টহল দিতে থাকে ও গুরুত্বপুর্ণ অফিস ও স্হানে স্হানে অবস্হান নেয়। ব্যাংক, সরকারী অফিস, রেডিও ষ্টেশনসমুহ বাংগালীদের হয়ে কাজ করছিলো।

ইয়াহিয়া খান ও মিলিটারী এই অবস্হা থেকে বের হওয়ার জন্য ভয়ানক এক মিলিটারী অপরেশনের পরিকল্পনা নেয়; কিন্তু বাহিরে তারা শেখ সাহেব ও আওয়ামী লীগের সাথে বৈঠক করে সময় কিনছিলো প্রস্তুতির জন্য। ইয়াহিয়া খান ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভুট্টোকে নিয়ে এলো ঢাকায় এবং শেখ সাহেব ও আওয়ামী লীগের সাথে মিটিং করার নামে এক পুর্নাংগ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। মার্চের ২২ তারিখে জাতীয় পরিষদের বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পুনরায়; পরে সেটাও স্হগিত করা হয়। এইদিকে মিলিটারী পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিমান ও জাহাজে করে সৈন্য ও অস্ত্র আনছে পুর্ব পাকিস্তানে। চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র ও সৈন্য নিয়ে ২টি জাহাজ এলো, বাংগালীরা অস্ত্র খালাসে বাধা দেয়ায় সেখানে মিলিটারী গুলি চালিয়ে পোর্টের কিছু শ্রমিককে হত্যা করে ২২শে মার্চ ও ২৪শে মার্চ; ইহাকে কেন্দ্র করে বিবিধ শহরে আন্দোলন ভয়ানকভাবে গতিশীল হয়ে উঠে; ২৪ শে মার্চে দেশের অনেক যায়গায় মিলিটারী আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালিয়ে বেশ কিছু পরিমাণ মানুষকে হত্যা করে। শেখ সাহবের সাথে ২৫ মার্চ ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর মিটিং'এর কথা ছিলো; কিন্তু কোন ঘোষণা ছাড়াই মিটিং হয়নি।

সেই রাতেই, আনুমানিক রাত ১০টার পর, পাকিস্তান মিলিটারী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লাসহ সব শহরে আন্দোলনকারী জনতাকে একটি পুর্ণাংগ যুদ্ধের শক্তি নিয়ে আক্রমণ করে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের শতশত ব্যারিকেডে জমায়েত মানুষকে একটি দেশের পুরোবাহিনী সব শক্তি দিয়ে আক্রমণ করে পৈশাচিক হত্যাকান্ড চালায়। তারা বাংগালী সৈন্যদের, ইপিআর ও পুলিশকেও আক্রমণ করে। ইপিআর, পুলিশ ও বাংগালী সৈন্যরা কয়েকস্হানে তাদের সংগে যুদ্ধ লিপ্ত হয়; ইহা ছিলো মুক্তিযুদ্ধের শুরু। সেই রাতে ঢাকার পুলিশ লাইনের বাংগালী পুলিশরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলো। রাত শেষে পাকিস্তান বাহিনী ঢাকা, খুলনা ও কুমিল্লা শহর দখল করে নেয়; কিন্তু চট্টগ্রাম শহর দখল করতে সমর্থ হয়নি। ২৬ মার্চ পাকিস্তান বাহিনী দেখলো যে, তাদের প্ল্যান অনুসারে পুর্ব পাকিস্তান দখল করা সম্ভব হয়নি, বাংগালীরা উল্টা তাদেরকে আক্রমণ করছে ও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে; তাদের সামনে ছিলো ৯ মাসের এক কঠিন যুদ্ধ ও ভয়ানক পরাজয়।


** বেশকিছু ব্লগার মুক্তিযুদ্ধে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য বারবার বলেছেন; তাঁদের মাঝে, ব্লগার জহিরুল ইসলাম সেতু সাহেব আজকের পোষ্টটা এই বিষয়ের উপর দেখতে চেয়েছিলেন।





(সময় নিয়ে আরো কয়েকটা পোষ্ট দেবো )

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ বিজয়ের মাস আসার আগেই এমন সুন্দর একটি পোস্টের আয়োজন করেছেন। এই পোস্টটি কন্টিনিউ করে যাবেন এবং মুক্তিযুদ্ধের নানান ঘটনা তুলে ধরবেন। সঠিক ইতিহাস না বললে না লিখলে ইতিহাস বিকৃত করা হয়। তখন প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্ম আর জানতে পারেনা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার পোষ্ট নিশ্চয় ঐতিহাসের অংশ হিসেবে গৃহিত হবে না; জাতীর এই গর্বের যুদ্ধের সময় আমি সেই জেনারেশনের সদস্য হিসেবে ইহাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছি; ইহা আমার উপর যেভাবে প্রভাব ফেলেছে, সেটুকু থেকে কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কৃতজ্ঞতা

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি যে মুক্তিযোদ্ধা সেটাই এই ব্লগের অনেকে বিশ্বাস করে না...

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




খারাপ খবর

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হুবহু ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি নিজের পর্যবেক্ষণও তুলে ধরবেন আশা করি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


চেষ্টা করবো।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আইয়ুব খানের দেখানো পথ ধরে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে অনেকে ক্ষমতায় আসে।পশ্চিমা প্রেসার না থাকলে এখনো চলতো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মিলিটারীরা হতাশ; এখন ব্যবসায় মন দিয়েছে।

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,




লিখে যান সবটুকু, সাথে আছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। আশাকরি ব্লগের পাঠকেরা গভীর আগ্রহ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার এ লেখাগুলো পড়ে যাবেন এবং তাদের মন্তব্য/মতামত জানিয়ে সেটা আরও সমৃদ্ধ করবেন।

লেখা চালিয়ে যান, সাথে আছি।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ; দেখা যাক, জাতির চরম কষ্ট ও গর্বের বিষয়টা যদি ব্লগারদের কোনভাবে উৎসাহিত করতে পারে, আমি খুশী হবো।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যুদ্ধে আপনার অংশগ্রহন ও অভিজ্ঞাতার কথা লিখুন।
লেখাটুকু বরাবরের মতই চমৎকার হয়েছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি যতটুকুতে জড়িত ছিলাম, সেটা নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবো।

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২২

নজসু বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। গল্প শুনি আর বই পুস্তক, পত্রিকায় পড়ি।
শুনি, পড়ি আর মুগ্ধ হই। কতো ত্যাগ আর কষ্টের এই দেশ আমাদের।
আগ্রহ নিয়ে রইলাম এই বিষয়ে আপনার আরও লেখা পাঠ করার।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই বিশাল বিষয়ের উপর আি কোন বই পড়িনি, একটু বেকুবী হয়ে গেছে।
আমার উচিত ছিলো কমপক্ষে কর্ণেল ওলির বইটা পড়া; উনার উপর যেডফোর্সের এডমিনিষ্ট্রেটিভ দায়িত্ব ছিলো।

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

বঙ্গদুলাল বলেছেন: ধারাবাহিকতা ঠিক রেখেছেন, এক নাগাড়ে পড়েছি।আজকের লেখাটি তথ্যবহুল।

পরবর্তী লেখাগুলোতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার, তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেয়া,৭৫ এর পটভূমি,জেনারেল জিয়া হত্যায় এরশাদের ভূমিকার বিশ্লেষণ,মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন বিষয়ে অভিমান,কষ্ট ইত্যাদির প্রতিচ্ছবি দেখতে চাই।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




ধন্যবাদ, আমি যতটুকু দেখেছিলাম, অনুধাবন করেছিলাম, সেটা বলার চেষ্টা করবো।

১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি আপনার অভিজ্ঞতা লিখুন, আপনি কেন মুক্তিযুদ্ধে জরালেন, আপনার কেন মনে হল এবং কখন মনে হলে যুদ্ধে যেতে হবে এই সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই সহজ ছিল না! তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ অংশ নেয়া মানে দেশ স্বাধীন না হলে দেশদ্রোহী হিসেবে সাব্যস্ত হওয়া যেটা পরিবার এবং নিজেকে ঝুকির মধ্যে ফেলা এই ব্যাপারগুলো সেই সময় কিভাবে ভেবেছিলেন! আপনার পরিবার আত্নীয় স্বজিন যুদ্ধে অংশগ্রহন করাকে কিভাবে দেখত, পারিবারিক কোন চাপ ছিল কিনা, ট্রেনিং কি শুধু ইন্ডিয়ায় হত নাকি দেশেও হত, এবং লোকালি ওগুলো ফান্ডিং কারা করত, খাওয়া দাওয়া কিভাবে করতেন, সাধারন মানুষ এগুলো কিভাবে দেখত, তাদের কিরকম সহযোগিতা পেয়েছিলেন, যেগুলো জানিনা সেগুলো আলোকপাত করুন! আর যেগুলো বই পরে বা ইন্টারনেট ঘেটে পাওয়া যায় সেগুলো লেখা মানে সামুর সার্ভার ভরা!! আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে লেখুন!

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিকে ইয়াহিয়া, শেখ মুজিব, ভাসানী, আইয়ুবসহ ইত্যাদি লোকদের কথা আসবে জানি। আসাটাই স্বাভাবিক।
আমার জানতে ইচ্ছা করে-
# আপনি কিভাবে যুদ্ধে গেলেন?
# বাসা থেকে যেতে দিলো?
# ট্রেনিং কোথায় নিলেন?
# যুদ্ধের ময়দানে গুলি করে পাকিস্তানী মেরেছেন?
# থেকেছেন কোথায়? খেয়েছেন কি?
ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনার লেখাতে বিস্তারিত ভাবে চাই।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি কিভাবে জড়িত হলাম, ৯ মাস যুদ্ধ কিভাবে চলেছে, সেগুলো জানাবো; এই পোষ্টে যুদ্ধ কিভাবে শুরু হলো, সেটার কথা বললাম।

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪২

স্প্যানকড বলেছেন: আশায় রইলাম। কি সময় না গেছে আর আপনি সে সময় তাতে অংশ নিয়েছেন। কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেই যদিও ইহা কোন কিছু নয়।এছাড়া আর কি করতে পারি বলেন।আচ্ছা, এত বছর পর যখন দেশের এই হাল দেখেন কষ্ট লাগে না। এখন রাজনীতি মানে ব্যবসা টাকা কামাও গরীব কে আরো গরীব করে দাও। ভালো থাকবেন।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাড়ে ৭ কোটীর মাঝে ৬ কোটী মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে সংগ্রামে নেমেছিলেন; পাকীদের পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে, পরে বাংগালী মিলিটারী ও হায়েনা রাজনীতিবিদদের কাছে জাতি পরাজিত হয়েছেন।

১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভালো উদ্যোগ। আপনি এই পোস্টে প্রাক-মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন পাক সামরিক বাহিনী, পিপিপি ও আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন। কিন্তু এছাড়াও তৎকালীন দুই পাকিস্তানের অন্যান্য নেতৃত্বের ভূমিকা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আপনি অবশ্য মাওলানা ভাসানীর উল্লেখ করেছেন। সে সময়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা নিয়েও আলোকপাত করলে বিষয়টি সম্পূর্ণতা পাবে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঠিক আছে, যতটুকু মনে আছে, সেটা বলার চেষ্টা করবো।

১৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:৪৬

সোহানী বলেছেন: চলুক সাথে আছি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।

১৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৪

শেরজা তপন বলেছেন: শুরু করলাম! সামনের কাহিনী শোনার অপেক্ষায় রইলাম...

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আমি সামান্য কয়েক পোষ্টে কিছুটা আইডিয়া দেয়ার চেষ্টা করবো।

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৬

বিটপি বলেছেন: বলেন তো, আপনি একজন পাকিস্তানী হলে ২৫শে মার্চের গণহত্যাকে কিভাবে জাস্টিফাই করতেন? আমি এই গণহত্যার কোন ব্যাখ্যাই পাইনা। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত গণহত্যা চলেছিল, তার পেছনে সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু ২৫ শে মার্চের গণহত্যার আমি কোন উদ্দেশ্যই দেখতে পাইনা। কেউ যদি বলে যে বাঙালি জাতিকে দমানোর জন্য এই অপারেশন চালানো হয়েছিল - আমি একদমই বিশ্বাস করিনা। এভাবে কোন আন্দোলন দুনিয়ার কোথাওই দমানো যায়নি।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিদের কথা বাদ দেন, রাজাকারদের গণহত্যা চালানোর কারণ বের করতে পারেন কিনা দেখেন।

১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পাকিস্তানীরা জঘণ্য রকমে বেকুব ছিল।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



পাকিস্তানে ২টি শ্রেণী আছে: মিলিটারী ও জনতা।

১৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
লিখুন ;সাথে আছি।

পশ্চিম-পূর্ব পাকিস্তান মিলিয়ে একটা দুইটা অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ থাকলে অরাজকতা থাকতো না সম্ভবত।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



পশ্চিম পাকিস্তানের লোকজন পড়ালেখা করলেও খুব একটা বদলায় না; ওরা ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডায় আছে; ওরা যেকোনসাজের জন্য হুমকি।

আমাদের মাদ্রাসাগুলো কমভাবনার মানুষ তৈরি করে চলছে, এদেরকে বদলানো অসম্ভব।

২০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা গুলো লেখার ভাষায় আনুন !!! আমরা এর মাধ্যমে সেই সময় কে অনুধাবন করতে পারবো । অধির অপেক্ষায় পরবর্তি পোস্টের জনে অপেক্ষায় আছি ।

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।

২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: শুভ কামনা !

২৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.