![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করতে গিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের সুচনা হয়; যুদ্ধের ফলাফল হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধের শুরুতে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়: সরকারের অংশ হিসেবে ছিলো প্রিমিয়ার তাজউদ্দিন সাহবের কেবিনেট, ১৯৭০ সালে নির্বাচিত এমপি'রা, ১টি রেডিও ষ্টেশন, কয়েকজন কুটনীতিবিদ ও একটি সেনা বাহিনী। বিজয়ের ৩/৪ দিন পর, মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী যাবার অনুমতি দেয়া হয়, বেংগল রেজিমেন্ট ও ইপিআর সদস্যদের ফিরে এসে ক্যান্টনমেন্টগুলোতে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিলো, তাঁদের সংখ্যা হয়তো ৪/৫ হাজারের কম ছিলো; কিন্তু জনতা থেকে যাঁরা যুদ্ধ করেছিলেন, তাদেরকে রিপোর্ট করতে আর বলা হয়নি কোনদিন, এঁদের সংখ্যা ছিলো ১ লাখের কাছাকাছি; ইহা ছিলো তাজউদ্দিন সাহেবের ভয়ংকর বেকুবী। মুক্তিযোদ্ধারা উনার সরকারে থাকলে, উনাকে কেহ কারাগারে নিতে পারতো না।
ইন্দিরা গান্ধী এসেছিলেন আগরতলা, তিনি বাংগালীদের সামনে বলেছিলেন যে, বছর'খানেকের মাঝে বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হবে; ইহা একটি শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হবে। তিনি কি দেখেছিলেন এই জাতির মাঝে, তাজউদ্দিন সাহবে কি মিস কলরলেন যে, স্বাধীনতার ২ বছর ৬ মাস পরে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, তিনি ২৫ দিনের মতো প্রাইম মিনিষ্টার ছিলেন; দরকার ছিলো স্বাধীন জাতির জন্য অনেকগুলো ডিক্রির মাধ্যমে জনগণের আশার রূপরাখা অংকন করা, বিজয়কে অর্থপুর্ণ করে তোলা।
শেখ সাহবে ফেরত আসার পর, তাজউদ্দিন সাহবে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন; যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যুদ্ধ চালায়েছেন, যুদ্ধ দেখেছেন, স্বাধীনতায় মানুষের অবদান, ত্যাগ ও কষ্ট দেখেছেন, তাঁদের উৎসাহ দেখেছেন, তাদের আশা/প্রত্যাাশাকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু বিজয়ের পর, তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে নিজের পদটি নিয়ে চুপচাপ বসে সময়ের অপচয় করেছেন মাত্র।
ইন্দিরা গান্ধী যখন নির্বাসনে বাংগালীদের দেখতে আসেন, তাজউদ্দিন সাহেব উনার সাথে নিজের লোকদের দেখতে আসেননি। পুরোদেশের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী সেক্টর ছিলো ১নং সেক্টর; ৯ মাসে তাজউদ্দিন সাহেব ১ বারও এই ভলনটিয়ার সৈনিকদের দেখতেও আসেননি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাজউদ্দিন সাহবে ও শেখ সাহেবের বদলানোর কিছু ছিলো না; আমার মনে হয়, স্বাধীনতা মানুষকে কি বিশাল সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো, সেইসব সম্ভাবনা সম্পর্কে উনাদের কোন আইডিয়া ছিলো না।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০৪
সোহানী বলেছেন: এক পাক্ষিক চিন্তা!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি বরাবরই নিজের চিন্তাকে তুলে ধরি।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পর্ব করে যুদ্ধক্ষেত্রের ঘটনা লিখতে থাকেন, আপনি শুভপুর এবং রেজুমিয়ার বীজ্র ভাঙ্গতে ছিলেন
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ সকালে শুভপুরের ব্রীজ ভাংগার চেষ্টার সময়, জনতার মাঝে আমিও উপস্হিত ছিলাম; কিন্তু উহা তখন ভাংগা সম্ভব হয়নি; আগুনে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো মাত্র। এরপর, কুমিল্লা থেজে থেকে ৮৫ ট্রাক পাকী সৈন্য ফেনী পৌঁছার পর, আমরা পালিয়ে যাই।
রেজুমিয়া ব্রীজ ভাংগার চেষ্টায় আমি ছিলাম না।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৯
রংবাজপোলা বলেছেন: হক কথাই কয়ছেন। গরিবেরা জান দিয়্যা বাংলাদেশকে স্বাধীন করলো, হেইটার গুরুত্ব এই নেতারা বুঝবার পারে নাই। তিতা হইলেও হেইটাই হক কথা। হক কথাই বলছেন। কদমবুছি লইয়েন।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সেটার খেসারত সবাই দিয়েছে, আজকেও দিচ্ছে
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ৭১ নিয়ে পোস্ট অথচ জিয়াকে গালাগালি নাই।
এটা আপনার স্বভাব বিরোধী হয়ে গেল না!
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
জে: জিয়াকে চিনতাম বলে গালি দিতে পারি; অন্য অনেকেহ উনাকে সহজে গালি দিতে পারার কথা নয়।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছু যৌক্তিক এবং কিছু অযৌক্তিক কথা বলেছেন দাদাভাই।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
অযৌক্তিক কোনটা?
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: তাজ উদ্দিন সাহেবের দোষ নাই। কিন্তু তাকে জোর করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে গুটি চালিয়েছে মোস্তাক। যুদ্ধের আগে ও পরে তাজ উদ্দিন সাহেবকে বেশির ভাগ সময় কারাগারে থাকতে হয়েছে। এমন কি তাকে ঢাকা কারাগারে না রেখে দুর্গম এলাকার কারাগারে রাখা হয়েছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা যদি সরকারের থাকতো, উনাকে কে কারাগারে নিতে পারতো? মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে উনার দেখা হয়নি কোন কারাগারের কারণে?
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: এমন কি যুদ্ধের পর শেখ মুজিব তাজ উদ্দিন আহমেদের কোনো কথা শুনেন নি। তিনি বারবার তার কাছে গেছেন- সমস্যার কথা বলতে। শেখ মুজিব পাত্তা দেন নি। শেখ মুজিবের চেয়ে ইন্দিরা দেবীর সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো তাজ উদ্দিনের।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি এসব কথা কোথায় শুনেছেন? আমি উনার সময়ের মানুষ, প্রতিদিন রাজনীতি অনুসরণ করেছি।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধের পুরো সময়টা শেখ মুজিব জেলে। এই যুদ্ধ পালনের সম্পূর্ন দায়িত্ব নিয়ে নেন তাজ উদ্দিন সাহেব। অস্থায়ী সরকার এবং মুজিব নগরের নায়ক একমাত্র তাজ উদ্দিন। তিনি যথেষ্ঠ করেছেন। শেষমেষ মোস্তাক বাহিনীর জটিলতায় পড়েছেন। ৭৫ এ তাজ উদ্দিন আহমেদ দলে থাকলে বঙ্গবন্ধুকে হয়তো হত্যা করা যেত না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোস্তাক যা করেছে, সেটা শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহবের অদক্ষতার সুযোগে।
১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
বিজয়ের এই আনন্দঘন দিনটিতে শুভকামনা জানবেন। আপনি এখন সেইফ স্ট্যাটাসে আছেন?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, এখন সেইফ! ১০/১২ জন ব্লগার এডমিনের পোষ্টে কান্নাকাটি করেছে আমাকে ব্যান করার জন্য।
১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: যে কেউ এখন যে কাউকে বেকুব বলতেই পারে কারণ ইহা অশ্লীলতার মধ্যে পরেনা । মুরাদের জন্ম এই দেশেই বটে !
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
নতুন নিক নিয়েছেন, লেখেন, তখন বুঝা যাবে।
১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার মন্তব্য ভুল থাকতে পারে। রাগ করবেন না। ভুল ধরিয়ে দিবেন। নিজেকে শুধরে নিবো।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ পাবার সাথে সাথে সাধারণ মানুষের যেই উৎসাহ, উদ্যম ছিলো, তাজউদ্দিন সাহেব উহাকে কাজে লাগাতে পারেননি; মানুষকে কাজ দেননি, দায়িত্ব দেননি; পাকিস্তানপন্হী লোকদের সেক্রেটারিয়েটে রেখে সর্বনাশ করেছেন।
১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এক যুদ্ধ শেষে তারা যে আরো এক বড় যুদ্ধে শুরু করতে নেমেছে তারা সেটা ঠিক বুঝতে পারেনি।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহবে ও তাজউদ্দিন সাহেব বেশী বড় চাকুরী পেয়ে ভুলে গিয়েছিলেন যে, অন্যদেরও চাকুরীর দরকার আছে।
১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাজউদ্দিন সাহেব ও শেখ সাহেবের বদলানোর কিছু ছিলো না; আমার মনে হয়, স্বাধীনতা মানুষকে কী বিশাল সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো, সেইসব সম্ভাবনা সম্পর্কে উনাদের কোন আইডিয়া ছিলো না।
মোস্তাক যা করেছে, সেটা শেখ সাহেব ও তাজউদ্দিন সাহবের অদক্ষতার সুযোগে।
কথাগুলো অপ্রিয় হলেও সত্যি। যদিও বঙ্গতাজ এবং জাতির জনককে নিয়ে এমন কথা শোভনীয় নয়।
ওনাদের কাছ থেকে জাতির আরও প্রত্যাশা ছিল।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নে হয়, শেখ সাহবের ধারণা ছিলো, স্বাধীনতা মানে, পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া, অন্য কিছুর দরকার নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩৩
বিষন্ন পথিক বলেছেন: যুদ্ধ আর দেশ স্বাধীনের পর সব আদর্শবাদী জাতীয় নেতারা বদলে গেলেন, অথচ দেশ গড়ার জন্য তাদের দরকার ছিলো সবচেয়ে বেশী।