নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ

চাঁদগাজী

শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।

চাঁদগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি: শিক্ষাকেন্দ্র, নাকি ডাকাতী?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮



আমার মতে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি পংগু গ্রেজুয়েট তৈরি করছে, টাকার দিক থেকে ডাকাতী করেছে; আপনারা যারা কাছের থেকে দেখছেন, তারা নিশ্চয় ভালো জানেন। গত কয়েক বছরে ব্লগে বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি শিক্ষকদের ব্লগিং দেখেছি, এঁরা কেহ কোনদিন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিয়ে একটি পোষ্টও লিখেননি। আরেকটা বিষয়, ব্লগে ইউনিভার্সিটির যেসব শিক্ষক ব্লগিং করতেন, তাঁদের লেখা ইত্যাদি প্রায়ই ছিলো অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর ও বেশ দুর্বল।

সম্প্রতি, আমার স্ত্রীর দিক থেকে আমার আত্মীয় পরিবারের মেয়ে প্রাইভেটে গেছে, সে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পেয়েছিলো; কিন্তু সে যেই সাবজেক্ট চেয়েছিলো, সেটা পায়নি, অন্য একটাতে পেয়েছিলো। পরিবারের ফাইন্যান্সিয়ালের যেই অবস্হা, ইহা প্রাইভেটের জন্য ভালো নয়, এবং মেয়ের যে রেজাল্ট তার পাবলিকে যাওয়াটাই সঠিক ছিলো। মেয়ে পরিবারকে কনভিন্স করে প্রাইভেটে ভর্তি হয়েছে; মেয়ে যেভাবে পরিবারকে কনভিন্স করেছে, ইহা আমার পছন্দ হয়নি।

বাংলাদেশে গত ২/৩ বছর আনুমানিক ১১ লাখ ছেলেমেয়ে এইচএসসি লেভেলের পড়ালেখা শেষ করছে; এদের মাঝে পাবলিক ইউনিভার্সিটি ইত্যাদিতে মনে হয়, আনুমানিক ৪০/৪৫ হাজার ভর্তি হচ্ছে; বাকীগুলোর বড় অংশ জাতীয় ইউনিভার্সিটি ও প্রাইভেটে যাচ্ছে। আমি দেখছি, ধনী পরিবারের যারা পড়ালেখায় দুর্বল, এরা সবাই প্রাইভেটে যাচ্ছে; যারা সাাধারণ সাবজেক্টেও পাশ করার কথা নয়, এই রকম অনেকেই ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার হয়েছে।

আমি করোনার মাঝে নিউইয়র্কে মোটামুটি বেশ পরিচিত ১ বাংগালী নিউরোলোজিষ্ট'এর কাছে গিয়েছিলাম; আমার প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন ১ জন বাংগালী তরুণ ডাক্তার; তিনি অপ্রয়োজনীয় বেশ কথাবার্তা বলছিলেন, আমার পছন্দ হচ্ছিল না; আমার অবস্হা সম্পর্কে আমি জানতে চাচ্ছিলাম; তিনি এক পর্যায়ে বললেন যে, আমাদের হায়াত-মউত আল্লাহের হাতে! আমি বুঝলাম, আমি বেকুবের হাতে পড়েছি। তিনি আমাকে জানালেন যে, উনারা ৩ ভাই ডাক্তার, কিন্তু উনাদের ৫৬ বছর বয়সী মা আমেরিকায় করোনায় মারা গেছেন, উনারা ৩ ভাই কিছুই করতে পারেননি, সবই আল্লাহের হাতে।

নিউরোলোজিষ্ট আমার পরিচিত, উনার কাছে অনেকটা নালিশের মতোই করলাম; উনি বেশ বিরক্ত হয়ে বললেন যে, ঐ লোক উনার স্ত্রীর ভাই, বাংলাদেশে কোন এক প্রাইভেট থেকে পাশ করে এসে এখন উনার ঘাঁড়ে; স্ত্রীর মন রক্ষার জন্য তিনি কুইনাইন গিলছেন।





মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৬

জ্যাকেল বলেছেন: প্রাইভেটে পড়ার পরিবেশ ভাল করার দ্বায়িত্ব সরকারের। এইগুলো নজরদারি করা, কারিকুলাম পরিচালনা, পাঠের মান যাচাই করা, ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে উন্নতি অর্জন সহ অনেক বিষয়ে সরকারের শিক্ষা অফিসগুলার কাজ আছে। আমরা তো তাদের কিছু কর্মতৎপরতা পাচ্ছি না।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের জন্য "ফ্রি" শিক্ষাে ব্যবস্হা করা; সরকারের দায়িত্ব সম্পর্কে আপনার ১ পয়সার জ্ঞানও নেই।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: দেশে ব্যাঙ্গের ছাতার মত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হইছে। অধিকাংশই একটা আধটা ১২শো বর্গফুটের ফ্লাট ভাড়া নিয়ে সার্টিফিকেট বেচতেছে। ধনীর দুলাল দুলালীরা কিনে নিচ্ছে বাপের ব্লাক এন্ড হোয়াইট মানি দিয়ে। আর দিন শেষে সেই সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরিও কিনে নিচ্ছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগে অনেক পয়সাওয়ালা পরিবারের বখে যাওয়ারা পড়তো না, এখন ওদের সবাই কমপক্ষে মাষ্টার্স ডিগ্রির অধিকারী, মাইজভান্ডার স্কুল খুলেছে।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

বঙ্গদুলাল বলেছেন: আপনার লেখাগুলো ব্লগের বাইরে আরও বড় প্লাটফর্মে উঠে আসা দরকার।বাংলাদেশের মানুষ ফেসবুকে সারাদিন ডুবে থাকে। কিন্তু অধিকাংশ ফেসবুক ইউজারস আপনার লেখাগুলো ধারণ করার মতো অবস্থানে নেই।উচ্চ শিক্ষিত অনেক বাঙালিই মুখের উপর গালি দিবে।কিন্তু আপনার ব্যতিক্রমী, বাস্তবসম্মত লেখাগুলো আমি পছন্দ করি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেখি অন্য কোথায়ও প্রকাশ করা যায় কিনা, ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

বঙ্গদুলাল বলেছেন: আচ্ছা, পুরো মহাবিশ্বকে একটি অতি ক্ষুদ্র বস্তুতে রূপান্তর করা সম্ভব? মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা/ভর পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত,আর পরমাণুর অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা।
একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর ৯৯.৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৯৬% অংশই হলো ফাঁকা / শূন্যস্থান /ভ্যাকুয়াম। যদি পৃথিবীর সকল পরমাণুর ভেতর থেকে সমস্ত শূন্যস্থান বের করে বাকি অংশগুলোকে একত্রিত করা হয়,তাহল এটি ক্ষুদ্র বস্তুতে পরিবর্তিত হবে?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



না, এটমের শুন্যস্হানই এটমকে নিদ্দিষ্ট পদার্থ হিসেবে থাকতে দিচ্ছে; যেমন: হাইড্রোজেন'এর এটমের স্ট্রাকচার বদলে গেলে উহা অন্য কিছুতে পরিণত হবে।

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন:


সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের জন্য "ফ্রি" শিক্ষাে ব্যবস্হা করা; সরকারের দায়িত্ব সম্পর্কে আপনার ১ পয়সার জ্ঞানও নেই।


আপনার জ্ঞান আছে তাই দেখা যায় ছাইপাস লিখে নিজের পোস্ট প্রস্রব করে থাকেন। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিসমুহের কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে সেইটা দেখানোর মত দক্ষতা থাকলে একটা পোস্ট দিয়ে দেখিয়ে দেন তা নাহলে সবার সামনে স্বীকার করেন আপনার ব্লগিং করার মত জ্ঞান নেই। যা করছেন তা হইতেছে হামবড়া।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার সব ছাইপাস নিয়ে, ব্লগে একজন চাঁদগাজী আছি, আপনার জ্ঞান গরিমা নিয়ে আপনাকে ৫০টার বেশী নিক নিয়ে ব্লগিং করতে হচ্ছে।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: এটমের অস্তিত্ব থাকুক বা না থাকুক?বাহ্যিক কোনো ফোর্সের প্রভাবে এটি সম্ভব কিনা?
মহাবিস্ফোরণের সময় ভর/পদার্থ সৃষ্টিকালে কি (বর্তমান আবিষ্কৃত ১১৮টি) মৌল) সবগুলো মৌল ছিল?(নাকি ভিন্ন ভিন্ন ইলেকট্রন; প্রোটন ও নিউট্রনের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে?) সবগুলো পদার্থ/বস্তু কি ১১৮ টি মৌলের সমন্বয়ে গঠিত?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে "মহা বিস্ফোরণে যেই ছোট গোলকের কথা বলা হচ্ছে, উহা কোন মৌলিক ছিলো" আমার জানা নেই; এখন পৃথিবীতে যেই কয়টি মৌলিক পদার্থ আছে, এগুলো এক বা একাধিক যৌগের অংশ ছিলো। এগুলো এখন প্রাক্বৃতিকভাবে খুব একটা বদলানোর মতো পরিবেশ নেই।

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০২

সেডরিক বলেছেন: বাংলাদেশে গ্রাজুয়েট হওয়া, ডিগ্রি অর্জন করা একটা ইগোর ব্যাপার ও আবশ্যক ব্যাপার হয়ে গেছে।
আমার মতে ইংলিশ মিডিয়াম, ইংলিশ ভার্সন, মাদ্রাসা (আলিয়া, কওমি, হাফেজী), ভকেশনাল, টেকনিক্যাল, জেনারেল, ক্যাডেট সব মাধ্যমের ছাত্র - ছাত্রীদের এইচএসসির পর একটা কমন এক্সাম নেয়া উচিৎ। যারা পাশ করবে, শুধু তারাই তারা ভার্সিটির ভর্তির যোগ্য, বাকিরা স্বল্পমেয়াদী টেকনিক্যাল, ম্যাটস বা ট্রেড কোর্স করবে।

সবার গ্রাজুয়েট হওয়ার দরকার নাই। এবং পেশা বিষয়ক কোর্স করে সংশ্লিষ্ট পেশায় কাজে লেগে পরা সহজ ভাবে নিতে হবে। সবাই গ্রাজুয়েট ডিগ্রি চায়, বাবা-মা ছেলে মেয়েকে "অনাস-মাস্টাস" বানাইতে চায়, পিয়ন পদেও কোম্পানিগুলো গ্রাজুয়েট চায় বলেই প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো এমন ডাকাতি করার সুযোগ পাইতেছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমাদের মতো বিশৃংখল সমাজে মানুষের চাওয়া-পাওয়াকে কার্যকরী করার সুযোগ নেই; সরকারের শিক্ষিত অংশকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: দেশজুড়ে শতাধিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে হাতে গোনা গোটা দশেক মান সম্পন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৯০% স্রেফ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। ওরা মুদি দোকানের মতো সার্টিফিকেট নামের পণ্য বিক্রি করে। দক্ষ শিক্ষক ও গবেষণার অভাব, ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ অবস্থায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না, শিক্ষার মানও নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে বর্তমানে দু একটা বাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্নমুখী।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রাইভেট ও জাতীয় ইউনিভার্সিটি মিলে জাতিকে পংগু করে দিয়েছে; প্রাইভেট নিজেরা যে একা ডাকাতী করছে শুধু তা নয়, যেসব সরাকরী কর্মচারী ও রাজনৈতিকদের নেতাদের ছেলেমেয়েকে পড়াচ্ছে, ফি দেয়ার জন্য তারাও ডাকাতী করছে।

৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০২

সাসুম বলেছেন: আমি গত বেশ ক বছর যাবত এই বিষয় টা নিয়ে লিখছি। স্পেশালি জ্ঞান বিজ্ঞান ও মেধায় দুনিয়ার সবার তলায় যাওয়ার অন্যতম কারন আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষার সহজলভ্যতা

আমি দেশের একটা পাব্লিক ইউনি থেকে অনার্স মাস্টার্স ও দেশ সেরা একটা পাব্লিক ইউনি থেকে একটা মাস্টার্স ও পোস্ট গ্রাড করার সুযোগ হয়েছে। তো আসল কথা যেটা হল- প্রাইভেট ইউনি গুলা একান্তই বিজনেস সেন্টার। এন এস ইউ বা ব্রাক বা এরকম দুই একটা বাদে। আর পাব্লিক দের মধ্যে বুয়েট বা এরকম ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনি গুলা দুই একটা ভাল আছে বা শিক্ষক ছাত্রদের কারনে টিকে আছে। বাকি সব পাব্লিক হল বুলশিট আর ঢাবি হল ছাগল উতপাদনের বড় খামার। সামু ব্লগের চেয়ে ঢাবি ছাগল বেশি উতপাদন করে রেশিও হিসাব করলে। এটাকে উচ্চতর টি এস সি বড় মাদ্রাসা হিসেবে মানুষ চিনে থাকে।

প্রাইভেট ইউনি গুলা এখন বিজনেস সেন্টার। পিউর বিজনেস। তা কারা এই বিজনেসের পিছনে? রাজনৈতিক লোকজন। সিম্পল এজ ইট ইজ। বিম্পি আমলে বিম্পির চোরেরা আম্লিগের আমলে আম্লিগের মাফিয়ারা। এরাই সব! তো শিক্ষাবিদ এর পরিবর্তে যখন চোর ডাকাত কে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খুলে বিজনেস করার অনুমতি দিবেন তখন এখানে বিজনেস হবে কেম্নে? মুরগির খামার করে সেখান থেকে তো আর দুধ পাবেন না। মুরগিই পাবেন।

আমি গত বেশ ক বছর ধরে কিলিয়ারলি বলে আসছি- দেশের উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেয়া ফরজে কেফায়া।


আমাদের দেশের সকল কলেজ লেভেলে অনার্স মাস্টার্স এডূকেশান বন্ধ করে দিতে হবে। আমাদের এই ন্যাশ্নাল ইউনিভার্সিটি নামক কচুর হাই স্কুল থেকে ভুড়ি ভুড়ি সার্টিফিকেট ইসু করা বন্ধ করতে হবে। এই সব গুলা প্রতিষ্ঠান কে কারিগরি ও টেকনিকাল কলেজে রুপান্তর করতে হবে। রাত দিন, সকাল বিকাল বছরে ৩৬৫ দিন এসব খোলা রাখতে হবে, যার যখন ইচ্ছা সে যাতে তখন এসে শিখতে পারে।

একমাত্র, যাদের উন্নত শিক্ষার ইচ্ছা, এবং একাডেমিয়া তে যাওয়ার ইচ্ছা, সাহস এবং যোগ্যতা আছে তারাই হায়ার এডুকেশান নিবে। আর যদি কারো বাপের বেশি টাকা থাকে, সে যোগ্যতা থাকুক আর না থাকুক- বিদেশে চলে যাক। আমাদের দেশের ইউনিভার্সিটি গুলার এডমিশান ক্রাইটেরিয়া আর কোয়ালিটি উন্নত সভ্য দেশের সমমান করা হোক। স্যাট বা জি আর ই স্টান্ডার্ড চালু করা হোক ভর্তির জন্য।
আই এল টি এস ৬.৫ বাধ্যতামূলক করা হোক ইউনিভার্সিটি এডমিশান এর জন্য।
গরু গাধা এক কাতারে নিয়ে এসে ভর্তি করানো বন্ধ হোক।
দেশের এম্নিতেই আনাছে কানাছে গরু গাধা আর বেকুবে ভর্তি যাদের হাত ভর্তি সার্টীফিকেট। সকল প্রাইভেট ইউনি অবিলম্বে বন্ধ ঘোষনা করা হোক। পরে কোয়ালিটি দেখে দুই একটা চালু করা হোক।

এই সব মাকাল ফল নামক ছাত্র দের কে মাঠে ঘাটে কাজ করে খাওয়ার মত সিস্টেম করা হোক।

সভ্য হবার পথে আপাতত দাবি এক্টাই।

সোজা কথা- দেশের উচ্চ শিক্ষার নামে প্রতারণা বন্ধ করা হোক।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলো কোনভাবে "ব্যবসায়িক" নয়, আমার মতে ডাকাত। পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলো ছাত্রলীগের ডাকাতীর কেন্দ্র ও ছাগলের ফার্ম।

১০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মন্দের ভালো বলা যেতে পারে। আমি নিজেও একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ২ বছর পড়েছিলাম। কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষ করি নি

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



পড়ালেখায় মন্দের ভালো বলতে কিছু নেই। পড়ালেখা হলো জ্ঞান অর্জনের ব্যাপার।

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শিক্ষার মান যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে ধরে এনে ডিপার্টমেন্ট হেড বানানো হয়।সরকারের গাফিলতির কারণে ওরা শিক্ষাকে অর্থহীন পণ্যে পরিণত করেছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী ছেলেমেয়েরা পড়তে চাহে না; প্রাইভেট ও জাতীয় ইুনিভার্সিটি সেই সুযোগও লরে দিচ্ছে।

১২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: স্যার, আপনার লেখা পত্রিকাতে প্রকাশের চেষ্টা করুন। তাতে জাতী উপকৃত হবে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনাদের বন্ধু বান্ধবেরা মিলে আমাকে জেনারেল করে দেবে নাতো?

১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

রচনা লিখার সময় এসেছে "প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি"; যদিও দিপুমণি ফিনল্যান্ড,কোরিয়ামুখী শিক্ষা দেশে আমদানী করতে চাচ্ছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



দীপুমনি থেকে জানতে হবে, উনি কত দিন ক্লাশে উপস্হিত থেকে ডাক্তারী পাশ করেছেন!

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন:


আমার সব ছাইপাস নিয়ে, ব্লগে একজন চাঁদগাজী আছি, আপনার জ্ঞান গরিমা নিয়ে আপনাকে ৫০টার বেশী নিক নিয়ে ব্লগিং করতে হচ্ছে।

এই যে নিজেই দেখেন। আপনার সাথে ক্যাচাল করতে হইতেছে আলোচনার কোন উপায় নাই। আমি প্রাইভেট ভার্সিটি নিয়া কমেন্ট দিলাম আর আপনে শুরু করলেন আমার ১ পয়সা জ্ঞান নাই।

এইটাকে ব্লগিং বলা যায় না, বলা যায় অজপাড়াগাঁয়ের ধ্যামড়া বুড়ার ভিমরতি।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




ব্লগিং করার মতো জ্ঞান আপনার নেই; আপনি 'সরকারে দায়িত্ব' যা বুঝেন উহা আপনার ভুল। তখন সরকারকে বাদ দিয়ে আপনাকে নিয়ে আলোচনা করেছি।

১৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯

বঙ্গদুলাল বলেছেন: বিস্ফোরণ পরবর্তী কিছু সময় কোয়ার্ক যুগেও (১০^-১২_১০^-৬s) মৌলিক পদার্থ সৃষ্টি হয়নি তো।বর্তমান বিজ্ঞান মতে পরমাণুর ভর তখা প্রোটন, নিউট্রনকে ভাঙলে 'কোয়ার্ক' পাওয়া যায়।আমার অবাক লাগে যে, বিগ ব্যাগ এর সময় নির্দিষ্ট কোন শক্তি বলে এভাবে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো?সেই একই শক্তি যদি এটিকে আবার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যায় তখন কী হবে? এসব নিয়ে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে অনেক প্রশ্ন জাগে কিন্তু বিজ্ঞান এ নিয়ে হাজারো গবেষণা চালাচ্ছে। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আমার ডিপার্টমেন্টের কোয়ান্টাম ফিজিক্সের কয়েকজন শিক্ষক আছেন যারা আমার চোখে হাজার গুণে জ্ঞানী । কিন্তু উনাদের মুখেও ক্লাসে শুনেছি মানুষ অনেক কিছু উদঘাটন করবে কিন্তু সবকিছু সম্ভব হবে না।
আপনার সাথে তর্ক বিতর্ক ভালো লাগে তাই মাঝে এসব অপ্রাসঙ্গিক বিষয় সামনে নিয়ে আসি।আচ্ছা, মহাবিশ্ব সৃষ্টির শুরুতে শক্তি কোথা থেকে এলো? (বিজ্ঞান রহস্য খোঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা আছে?)ব্লগে,ফেসবুকে এসব লিখা চোখে পড়ে না।বাংলাদেশে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা নেই বললেই চলে।(গরীব দেশ,বাজেট নেই এসব খাতে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



"বিগ ব্যাংগ'কে থিওরী হিসেব ধরে ব্যাখ্যা করলে, জ্ঞানের বর্তমান পরিধিতে অনেক কিছু মিলছে; কিন্তু সবকিছু মিলছে না।

গ্রামের একজন অশিক্ষিত কৃষক ক্লাশ ফোরের "সরল অংক" কখনো করতে পারবেন না; কিন্ত ধান বিক্রয়, গরু ক্রয়, মেয়ের বিয়ের হিসেব রাখতে পারবেন, এর বাইরে উনার জন্য "সরল অংক" আজীবনই নাগালের বাইরে থেকে যাবে, যা মাত্র ক্লাশ ফোরের বাচ্চা পারছে।

সেইভাবে, ষ্টিফেন হকিং, আইনষ্টাইন, নিউটনদেরও সীমানা আছে; বিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের অনেক হিসেব, ধারণা, ব্যাখ্যা সঠিক আছে ও আরো সঠিক হবে; তবে, বিশাল অংশ অজানা থেকে যাবে; তার আগেই মানব জাতির বিলুপ্তি ঘটবে।

১৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: মুরগীর ফার্মগুলোর পরিচালক রেজিস্টার অবসরপ্রাপ্ত নামকরা অধ্যাপক শিক্ষক শিক্ষিকা । তাদের নিয়ে কিছু বললেননা ।
পড়াশুনা নষ্ট করার চক্রান্তে এরাও যুক্ত , খালি খালি ব্যাবসাহীদের আর ডিগ্রীভুখদের দোষ দিলে সব জায়েজ হয়ে যায়না ।
আপনার পরিচিত যে ফ্যামিলি ঢাবিতে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়নি তারা হোল ফ্যামিলি বলদ নয়তো প্রশ্ন ফাস পাশ ।
ঢাবিতে চান্সএর দাম জানেন ? মিনিমাম ৫লক্ষ । আর ভাবে ? কিম্বা কুশিক্ষায় ?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার আত্মীয় পরিবার, আমি তাদের সিদ্ধান্তের মাঝে নেই।

১৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

সোবুজ বলেছেন: অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মালিকরা নিজেরাই শিক্ষিত না।শিক্ষা সম্পর্কে তাদের জ্ঞান খুবই কম।তারা গলাকাটা ব্যবসায়ী এবং এখানেও তাই করছেন।অনেকে আবার কাগজ( সার্টিফিকেট ) বিক্রি করে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওদের ডিগ্রি আছে, তবে শিক্ষিত নয়।

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

বিশ্বের বর্তমান মানুষের জ্ঞানের স্যার্ন্ডাড যে লেভেলে আছে, তা সময়ের সাথে বাড়বে? টেকনোলোজি দ্বারা রিপ্লেস হয়ে যাবে কতটুকু?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিশ্বের আশিভাগ মানুষ এখনো কমজ্ঞানী। টেকনোলোজী হলো মানুষের জ্ঞানের প্রতিফলন, যা সব সময় অনেক পেছনে পড়ে থাকে।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মানুষের গলা কাটে। অবশ্য সেখানে দরিদ্র শ্রেনীর লেখাপড়া করা সম্ভব না। দরকারের চেয়ে ৭/৮ গিন বেশি টাকা নেয় তাঁরা। তবুও ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়ছে। তিনটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে লেখাপড়ার মান ভালো। বাকি গুলো ব্যবসায়ী। ১০০% ব্যবসায়ী।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ডাকাতদের থেকে এই প্রাইভেটগুলোর মালিকানা কেড়ে নিয়ে, ছাত্রদের পরিবারকে মালিকানা দেয়ার দরকার।

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:০০

বঙ্গদুলাল বলেছেন: ক্লাসিকাল মেকানিক্স অনুযায়ী সময় ঠিক করে দেয় বিশ্বজগত কেমন হবে কিন্তু কোয়ান্টাম স্তরে কোয়ান্টাম নিয়মসমূহ ঠিক করে দেয় সময় কেমন হবে। আইনস্টাইনের থিওরি অফ রিলেটিভিটির মতে সময় একটি মাত্রা আবার অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন সময় আসলে একটা অহেতুক ধারণা তাদের মতে সময় হচ্ছে বিশ্বজগতের বিবর্তন ও ঘটনাগুলোকে আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখার একটা মাধ‍্যম মাত্র যাকে আমরা সময় বলি। যদিওবা আইস্টাইনের টাইম ডায়ালেশন পরীক্ষালব্ধ ফলাফল দিয়েছে তবে তা অনেক বিজ্ঞানীর কাছেই খুব একটা বিশ্বাসযোগ‍্য না।

সময় সম্পর্কে আপনার দর্শন কী রকম?মহাবিস্ফোরণ সঠিক হলে, এর পূর্বে সময় ছিলো কিনা?মহাবিশ্বের সবখানে সময়ের হিসাব একই রকম কি না?সময়ের শুরু/শেষ/ সংকোচন/প্রসারণ ইত্যাদি নিয়ে আপনার ধারণা কী রকম?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মহা বিস্ফোরণের আগেও "মেটার" ছিলো; এই মেটার কত সময় ধরে ছিলো? উনা মানব জাতি বের করতে পারবে না; কিন্তু সময় ছিলো। সময়ে কখন থেকে গণনা শুরু হয়েছে, ইহা অনুমান ভি্যত্তিক। এসব অনেক বিষয়ে আমার ধারণা নেই।

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: প্রাইভেট ভার্সিটি না থাকলে বায়োলজি না পড়া ফার্মাসিস্ট , হায়ার ম্যাথ না পড়া ইজ্ঞিনিয়ার আর ইন্টার ফেল গ্রাজুয়েট কোথায় পেতেন?পাবলিক ভার্সিটিতে আর যাই হোক এসব হয় না।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রাইভেট ভার্সিটি আাডের ৩য় বিশ্বে থাকা অনুচিত; যেসব প্রাইভেট আছে, সেগুলোকে কেড়ে নিয়ে পাবলিকে রূপান্তরিত করার দরকার।

২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ডাকাতও মনে হয় এদের চেয়ে কম। এরা আরো কিছু ডাকাত সৃষ্টি করতেছে

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:




ওরা পাকীদের চেয়ে বেশী ভয়ংকর খারাপ কাজে লিপ্ত আছে।

২৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৩

সাসুম বলেছেন: আর একটা ভিন্ন ধর্মী আলাপ আছে । ইকোনমিক্সে একটা প্রচলিত টার্ম হল যোগান ও চাহিদা। মানে, আপনার চাহিদা থাকলে অটোমেটিক যোগান হবে। কিংবা যদি এটাকে আমরা বাস্তবতার ভিত্তিতে এক্সপ্লেইন করার চেষ্টা করি, তাহলে যেটা হবে সেটা হল- যেমন ডিমান্ড তেমন সাপ্লাই।

ইউনিভার্সিটি আর বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে পার্থক্য আছে। এটাকে কেন বিশ্ব বিদ্যালয় বলা হয়? কারন- এখানে নিজের লোকাল হেরেডিটি, কালচার আর নর্ম কে এক পাশে সরিয়ে রেখে দুনিয়ার সকল সভ্যতা, কালচার ও জ্ঞান আহরন করার সুযোগ আছে। ইউনিভার্সিটি সিস্টেম টাই হল বিভিন্ন কালচারের মানুষ দের কে আক সাথে এনে তাদের কে জ্ঞান আহরনের সুযোগ করে দেয়া। এটা যেমন বই পুস্তক বা লেকচার থেকে দেয়া হয় তেমনি ভিন্ন কালচারের , ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন জেন্ডার স্প্রেক্ট্রাম এর মানুষ দের থেকেও দেয়া যায় না নেয়া যায়। এখানে চিন্তার বিকাশ ঘটানো হয়, মানুষ গবেষণা করে। গবেষণা জিনিষ টা পুরোটাই চিন্তার সাথে সম্পর্কিত। কি চিন্তা? ভিন্ন ভাবে চিন্তা করা , সকল বাধা নিষেদ বা নর্ম কে এক পাশে সরিয়ে রেখে মুক্ত ভাবে নিজের ভাব প্রকাশ করার চিন্তা। ধরুন আইন্সটাইন এর রিলেটিভিটি সুত্র একটা স্টাবল ল। এখন যদি সবাই এটাকে মেনে চলে তাহলে তো আর গ্রাভিটি নিয়ে কেউ কাজ করতে পারতোনা কিংবা কোয়ান্টাম ফিজিক্স দিয়ে আর কেউ চিন্তা করত না কিংবা স্পেস টাইম কার্ভেচার কেই সবাই বাই ডিফল্ট হিসেবে ধরে নিত কিংবা জ্ঞানের আজকের এই পর্যায়ে আসার চিন্তাও করা যেত না। বাট ইউনিভার্সিটি যেই গবেষণা বা মুক্ত জ্ঞান চর্চার যায়গা সেখানে ছাত্র রা দুনিয়ার সব চেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানীর থিউরিকে এক পাশে রেখে ভিন্ন করতে পারে বলেই আজকে নিউটনিয়ান ফিজিক্স এর বাইরে আলাদা ফিজিক্স এর অস্তিত্ব আছে। ভিন্ন চিন্তা আর ভিন্ন গবেষণা করে বলেই পসিবল হয়েছে। এটাই বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাধুর্য্য।

এবার চিন্তা করেন বাংগুস্তান এর ইউনিভার্সিটির কথা। এখানে বিজ্ঞানের ছাত্র বিলিভ করে মানুষ আকাশ থেকে ধুপ করে পড়েছে। পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র তার ডক্টরেট প্রফেসর এর সাথে তর্ক করে বিগ ব্যাং সিঙ্গুলারিটি নিয়ে কিছু নেই, মাইক্রো বায়োলজির প্রফেসর তার ক্লাসে বলে হযরত আল্লামা আরিফ আজাদ ছাগলাপুরীর প্যারাডগিস্টাইল মজিদ এই মহাবিশ্বের শ্রেষ্ট বই। কেমিস্ট্রির প্রফেসর বাচ্চা হবার জন্য গুলিস্তান এর মাজারে সিন্নি মানত করে। তো এই যে আমাদের ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষক দের এই অবস্থা, এখানে বিশ্ব বিদ্যালয়ের আসল কাজ চিন্তার পরিবর্তন ঘটানো সেটা হবে কিভাবে? আমাদের ঢাকা ইউনিতে হিন্দু মুসলিম আলাদা হল আছে এটা চিন্তা করতেই তো বমি আসার কথা কোন সভ্য মানুষের! আমাদের ছেলে মেয়ের আলাদা হল - কেন কিভাবে? ইউনিভার্সিটি তে মানুষ যায় চিন্তা করতে আর পরিবর্তন ঘটাতে - অথচ আমরা আমাদের ইউনিভার্সিটি তে নিয়ে যাচ্ছি আরো গোড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রদের।

এবার আসেন ডীমান্ড এর কথা। আমাদের বাবা মা বা অভিভাবক দের যদি বলেন আপ্নার সন্তান কে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি করালে এখানে তার চিন্তা পরিবর্তন হতে পারে, এতদিন কার ধ্যান ধারনা এক পাশে রেখে সে নতুন চিন্তা করবে গবেষণা কর্বে এবং চিন্তার মুক্তি ঘটাবে। এতদিন কার আল্লাহ খোদা কে প্রশ্ন করতে শিখবে এবং সেখানে চিন্তার পরিবর্তন আনবে। এতদিন যে বাই ডীফল্ট ল জেনে এসেছেন তার বিপক্ষে যুক্তি দিতে শিখবে।

আপনার কি মনে হয় কোন সন্তানের বাবা মা বাংলাদেশের মানুষ হয়ে তার সন্তান কে ইউনিভার্সিটি তে পাঠাবে ? উত্তরঃ না

সোজা কথায় বলে দিবে, হয় কাজে লেগে পড়ো নাইলে বাসায় ফিরে এসো। দরকার নাই চিন্তার পরিবর্তন ঘটানো।

আপনি আমাদের এই সামু ব্লগ কে একটা বিশাল স্যাম্পল ফ্যাক্টর হিসেবে ধরতে পারেন। এখানে মারখোর পুরী আর চার পেয়ে হাটহাজারী পুরীদের সমাহার থেকেই আপনার বুঝতে পারার কথা আমাদের ডীমান্ড কেমন। আপনার কি মনে হয় এই সো কল্ড শিক্ষিত ব্লগার রা তাদের সন্তান দের কে ইউনিভার্সিটি তে পাঠাবে জ্ঞান অর্জনের জন্য? স্টাব্লিশ্মেন্ট কে প্রশ্ন করার জন্য? প্রচলিত ধ্যান ধারনা কে প্রশ্ন করার জন্য আর তার বিপরীতে পালটা যুক্তি দাড় করতে তাদের সন্তান দের কে এই ব্লগার রা ইউনিতে পাঠাবে? উত্তরঃ না , ভুলেও না।

এখন দেখেন, এই যে আমাদের ডীমান্ড হলো জাস্ট পাশ করে একটা চাকুরি সেজন্য আমাদের ইউনিভার্সিটির কালচার আর সাপ্লাই সেভাবে গড়ে উঠেছে। আমাদের পাব্লিক ইউনি গুলা কেন ছাগলের খামার ? কেন আমাদের বুয়েট থেকে জংগি বের হয়? কেন আমাদের ঢাবি থেকে আরিফ আজাদ মারখোর পুরীর ভক্ত বের হয় ? কেন আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাস বের হয় ? কেন? কারন আমাদের বেসিক ডিমান্ড ভুল যার কারনে আমার সাপ্লাই এ সমস্যা।

এখন এই যে আমাদের ডীমান্ড ভুল, এর মধ্যে কিছু মডারেট আছে যাদের চাওয়া একটু তাড়াতাড়ি সন্তান বের হয়ে যাক এক্ টুক্রো কাগজ নিয়ে, টাকা যা লাগে দিবে। কারন, এই ডীমান্ডে কখনো জ্ঞান অর্জন ছিল না বরং ছিল একটা সার্টীফিকেট পাওয়া আর সেটা দিয়ে চাকুরি বাগানো। তো সেই ডিমান্ড কে ফুলফিল করতে আমাদের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসেছে। তারা প্রাইভেট ইউনি খুলে বসেছে যেখানে ডিগ্রী বেচা হয়, সার্টিফিকেট দেয়া হয়। তো এই যায়গায় আপনি কোয়ালিটি খুজতে আসলে সেটা বেমানান।

জ্ঞান অর্জনের জন্য কেউ প্রাইভেট এ যায় না। আসে ডিগ্রী কেনার জন্য। সিম্পল এজ ইট ইজ।

এই কারনে, আমাদের সবার আগে উচ্চ শিক্ষা নামের সব প্রতারণা বন্ধ করে দিতে হবে। ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হবার জন্য আই এল টি এস সাড়ে ৬ বাধ্যতামূলক করা হোক। জি আর ই এবং স্যাট স্কোর বাধ্যতামূলক করা হোক। এবং ইউনিভার্সিটি থেকে সকল ধর্মীয় সামাজিক কালচারার গোড়ামি বাদ দেয়া হোক। এরপর ইউনিভার্সিটী চালু করা হোক শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জনের জন্য।

হোক সরকারী বা প্রাইভেট। দেখেন পরিবর্তন কিভাবে আসে।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষ চাচ্ছেন, তাদের সন্তানেরা কোন বিষয়ে পড়ে, যেন নিজের জীবন গড়তে পারে; কিন্তু প্রাইভেট ফি নিয়ে নীচুমানের শিক্ষা দেয়ার ফলে, ছাত্ররা কোন প্রফেশানের জন্য প্রস্তুত নয়। এজন্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোকে মালিক থেকে কেড়ে নেয়ার দরকার।

২৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২৫

সাজিদ! বলেছেন: একজন মানুষের মা ও আত্নীয় মারা গেলো কোভিডে আর তার উপর সেই মানুষটি যেকিনা চিকিৎসায় স্নাতক, তার কাছ থেকে এমন সময়ে আপনি আর কি আশা করেন? সে তো কথা মিথ্যা বলে নাই, হায়াত মাওত সব আল্লাহর হাতে। চিকিৎসক মাত্রই চেষ্টা করতে পারে। আপনি প্রথম ভুল ও আনপ্রফেশনাল কাজ করেছেন ' নিউরোলজিস্টের' কাছে গিয়ে ওই চিকিৎসক সহকারী সম্পর্কে মন্তব্য করে। এরসাথে প্রাইভেট / পাবলিকের সম্পর্ক কিভাবে তুলে আনলেন তাও ঠিক পরিষ্কার নয়। অতিরিক্ত কৌতুহল অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে অশোভন দেখায়। আপনার কাছ থেকে এমন আশা করি নাই। আমার বক্তব্য ঠিক ডাক্তারের অফিসের যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। বাই দ্যা ওয়ে, নিউরোলজিস্টের কাছে যাচ্ছেন কেন? কি সমস্যা আপনার?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



চিকিৎসায় সবাই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই; যে ভালো হয়নি সে মারা গেলে, সেখানে কারো হাত নেই।

২৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

সাজিদ! বলেছেন: @ সাসুম, কেমেস্ট্রির প্রফেসর/ মাইক্রোবায়োলজির প্রফেসরকে যে নাস্তিক হতে হবে কিংবা ধর্মে বিশ্বাস করা যাবে না এইটা কি স্টাবলিশড নাকি আপনার হাইপোথিসিস? আপনি দেখছি ব্লগের সব জায়গায় ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আপনার মন্তব্যগুলো একটা ফিক্সড প্যাটার্নে নিয়ে যেতে চান? সমস্যা কি আপনার ভাই? এত হাইপার কেন? রিল্যাক্স। * মন্তব্যে ধর্মের অংশটা বাদ দিয়ে বাকি অংশে কিছু বলার নাই।

২৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মালিকেরা কোনো না কোনো রাজনীতিবিদ। তাদের শেয়ার আছে। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অন্যায় ভাবে ও ক্ষমতার জুড়ে অনেক জায়গা দখল করে রেখেছে। এ নিয়ে মামলাও চলছে।

প্রতি সেমিস্টারে এক লাখ বিশ হাজার টাকা কেন নিবে?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




শেখ হাসিনার বেকুবীর জন্য এসব ঘটছে; উনি মালয়েশিয়ায় ও আরবে সস্তা শ্রমের লক পা ঠাচ্ছেন, কারণ মানুষের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে।

২৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিতে গলায় মাফলার পড়া প্রামানিক সাহেবকে দেখা যাচ্ছে।

ব্লগার প্রামানিকের আপডেটঃ

আলহামদুলিল্লাহ্।
আমি শুভ। গতকাল আমার আব্বু প্রামানিকের জন‍্য দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত মাহফিলে অনেক আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ অনেক শুভাকাঙ্খি উপস্থিত হয়ে আব্বুর রোগমুক্তির জন‍্য দোয়া করেছেন। আব্বু এখন অনেকটা ভালো। আপনারাও দোয়া করবেন যাতে আব্বু পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেন।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




প্রামানিকের ছেলে মেকিক্যাল আপডেট না দিয়ে কিসব আলতু ফালতু আপডেট দিয়েছে; ছেলেটা বুদ্ধিমান বলে মনে হচ্ছে না।

২৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫

বিটপি বলেছেন: এক ছাগল মাঝে মাঝে এসে শস্যক্ষেতে মুখ দিয়ে যায়। কি বলে নিজেও বোঝেনা। আপনি ব্লগ লিখেছেন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মান নিয়ে আর সেই ছাগল এসে ব্যা ব্যা করেছে - 'শিক্ষিত হয়না বলেই শিক্ষিতেরা এখনও আল্লার নাম নেয়' টাইপের ল্যাদানি দিয়ে। হায়াত মউত আল্লাহ্‌র হাতে বলায় আপনার কাছে ঐ ডাক্তারকে বেকুব মনে হয়েছে। এই ছাগল্টাকে কেন আপনার কাছে জ্ঞানী মনে হচ্ছে?

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন বিষয়ে মানুষ মতাত নির্ভর করে তার জ্ঞানের উপর; অজ্ঞানীরা কোন বিষয়কে সঠিকভাবে বুঝে না, এবং ইহা ঘটছে আপনার বেলায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.