![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষা, টেকনোলোজী, সামাজিক অর্থনীতি ও রাজনীতি জাতিকে এগিয়ে নেবে।
আজ যীশু খৃষ্টের জন্মদিন; গতরাতে বিশ্বের ২০০ কোটী খৃষ্টান তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন; ইহা এখন মোটমুটি পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান। বিশ্বে এত বড় জন্মদিন আর কারো নেই; প্রায় সারা বিশ্বে দিনটি সরকারী ছুটির দিন, একমাত্র ইহুদীরা ছাড়া অন্য ধর্মের লোকেরাও দিনটিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকে। পশ্চিমের দেশগুলোতে ইহা পুরো বছরের সবচেয়ে বড় ফাইন্যান্সিয়াল কর্মকান্ডের ঘটনা, খৃষ্টান বিশ্বের প্রায় সকল শিশুই এই দিনে উপহার পেয়ে থাকে।
শুরুতে যীশুর জন্মদিন ধর্মীয় থাকলেও, আজকে ইহা ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় কারণেই ইহুদীরা দিনটিক পালন করে না; তারা যীশুকে পয়গম্বর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, তারা মুসা (আ: )'এর পর, আরেকজন পয়গম্বরের আগমণের জন্য অপেক্ষা করছে, এবং তাদের মতে যীশু সেইজন নহে।
যীশুর জন্মকে ধর্মীয় দিক থেকে অলৌকিক ঘটনা হিসেবে প্রচার করা হলেও, ইহাতে কোন অলৌকিকতা ছিল না; তিনি যেরুসালেম থেকে ৯০ মাইল দুরে, বেথেলহাম গ্রামের এক সাধারণ গরীব ইহুদী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছিলেন; মায়ের বিয়ের আগেই যীশুর জন্ম হয়েছিলো, যথাসম্ভব। ইহুদীদের একাংশ ও অন্য ধর্মের লোকেরা যীশুকে পয়গম্বর হিসেবে মেনে নেয়ার পর, উনার জন্মদিনটিক অলৌকিক করে তোলা হয়েছে।
যীশু আসলে কি পয়গম্বর ছিলেন, নাকি ইহুদী জাতীয়তাবাদী ধর্মীয় নেতা ছিলেন? তিনি আসলেই ইহুদী জাতীয়তাবাদী, ইহুদী ধর্মীয় নেতা ছিলেন, যিনি রোমান শাসকদের বিপক্ষে ও ইহুদী ধর্মীয় নেতাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন। যীশুর জন্ম হয়েছিলো একটি ইহুদী পরিবারে, বাবা ছিলেন সুতার মিস্ত্রি। বাল্যকালে তিনি অন্য ইহুদী শিশুদের মতো পড়ালেখা করেছিলেন, বাবাকে কাঠের কাজে সাহায্য করেছিলেন। কৈশোরে তিনি যেরুসালেম যান ও সেখানে রোমান শাসন দেখে তিনি রোমান-বিরোধী হয়ে যান; সাথে সাথে ততকালীন ইহুদী ধর্মীয় নেতারা রোমানদের বশ্যতা স্বীকার করে নেয়াকে পছন্দ করেননি। যৌবনে কিছু সময় তিনি আশপাশে ভ্রমণ করেন ও ইহুদী ধর্মকে আরো সহজভাবে উপস্হাপন করার জন্য স্হানে স্হানে বক্তব্য রাখেন। যেরুসালেমের আশপাশের ইহুদীরা উনার সংস্কারের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে।
আনুমানিক ৩৩ বছর বয়সে তিনি নিজ গ্রাম থেকে যেরুসালেম অভিমুখে রওয়ানা হন, উদ্দেশ্য ছিলো: রোমানদের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগিয়ে তোলা ও ইহুদী ধর্মীয়নেতাদের বিপক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলা। পথে প্রায় ৩ মাস সময় ব্যয় করে তিনি যেরুসালেম পৌঁছেন ইহুদী ধর্মীয় অনুষ্ঠান "পাসোভার"এর সময়। তিনি যেরুসালেম যাওয়ার পথে রোমান-বিরোধী ও ইহুদী ধর্মীয় নেতাদের বিরোধী যেসব বক্তব্য রেখেছিলেন, ইহুদী নেতারা এই তথ্য জানতো। উনি যখন যেরুসালেম পৌঁছেন বেশকিছু পরিমাণ মানুষ উনাকে অভ্যর্থনা জানায়; তিনি যেরুসালমের ভগ্ন ইহুদী টেম্পলে যান ও মানুষজনের সামনে বক্তব্য রাখেন। ঠিক একই সময়ে একটি ছোট ইহুদী বিপ্লবী দল রোমানদের উপর আক্রমণ চলায়, এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে; ফলে,যেরুসালেমে রোমান সৈন্যদের তৎপরতা খুবই বেড়ে যায়।
ইহুদী ধর্মীয় নেতারা যেরুসালমের এই অস্হির সময়ে যীশুকে থামানোর জন্য রোমানদের সাহায্য চায়; যীশু এই সময় উনার কিছু সাগরেদসহ জেরুসালেমে অবস্হান করছিলেন; রোমানরা উনাকে সহজেই গ্রেফতার করে। ইহুদী ধর্মনেতারা রোমান প্রশাসকের কাছে যীশুর প্রাণদন্ড দাবী করে; রোমান প্রশাসক সেটাই করে, ক্রুশবিদ্ধ করে উনাকে হত্যা করার আদেশ দেয়।
হতে পারে, ক্রুশে যীশুর মৃত্যু হয়নি; যীশুর মৃত্যুর পর, কিংবা পলাতক থাকা অবস্হায়, উনার সাগরেদরা উনার বক্তব্য ও ভাবনাগুলোকে লিখে সংস্কার-করা এক নতুন ইহুদী ধর্ম প্রচার করতে থাকে; কঠিন ইহুদী ধর্মের বাহিরে, এই নতুন সংস্করণ শীঘ্রই খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে, বিশেষ করে ইউরোপে বেশ গ্রহনযোগ্যতা পায়।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে হয়, খৃষ্টানদের শতকরা ৩০ ভাগ এই ধরণের ধারণা পোষণ করে আজকাল; ইহুদীদের সংখ্যা মাত্র ১ কোটী ৪০ লাখ, এবং এদের বড় সংখ্যা ধর্মনিরপেক্ষ।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বাবা সুতার মিস্ত্রী,এটা পশ্চিমে সবাই জানে,মানে? হত্যা করার পর বডি কোথায় কি করা হয়?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পশ্চিমের ৩০ শতাংশ জানে যে, যীশুর বাবা সুতার মিস্ত্রি ছিলেন; ক্রুশে যথাসম্ভব উনার মৃত্যু হয়নি। ক্রুশ থেকে নামিয়ে উনাকে একটি কবরে ( এক ধরণের গুহায় ) রাখা হয়েছিলো; মনে হয়, উনি ওখান থেকে পালিয়ে যান।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কিতাবী ধর্ম বাদে যীশু নিয়ে নিরপেক্ষ ইতিহাস কারা লিখেছে?মনে হয় তিনি পালিয়ে যান" এ বাক্যটার পরবর্তী ইতিহাস কি?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
যীশুকে নিয়ে পশ্চিমের লোকেরা তেমন ভাবে না; ধর্মীয়রা উনাকে ধর্মীয় অনুষ্টানে মানে। যারা যীশুর ধর্মীয় গল্পকে পুরোপুরি সাপোর্ট করে না, তারা এগুলো নিয়ে কথা বলে থাকেন; হয়তো লিখেছে অনেকই; অবশ্য আমি এসব বিষয়ে তেমন কিছু খুঁজিনি।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪২
বঙ্গদুলাল বলেছেন: মানুষসহ অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদকূল পৃথিবীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে, নিজে নিজে ক্রিয়েট হতে পারে এমন ধারণা পোষণ করেন কত শতাংশ মানুষ?এবং কোনো বাস্তবসম্মত থিউরি?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইউরোপ, আমেরিকা ও উন্নত দেশসমুহের লোকজন বুঝে যে, প্রকৃতিতে প্রাণ উদ্ভব ঘটেছে প্রাকৃতিক প্রসেসেই; এটা এখন আর থিওরী নয়, এটা ভাবনার অংস হয়ে গেছে, মনে হয়।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যীশুর ইতিহাস কি ইভিডেন্স দ্বারা মীমাংসিত বর্তমান সভ্যতায়? ইনজীল কিতাব যীশু কীভাবে কি করছে?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইন্জিল কেতাব মৌলিক কেতাব নয়; ইহা আসলে বাইবেলার ২য় খন্ড, ইহা লেখা হয়েছে যীশুর সাগরেদদের লেখাকে সম্পাদনা করে।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০২
আগন্তুক৬৯ বলেছেন: আরব-রা যিশু খৃষ্টকে কিভাবে দেখেন। মধ্যপ্রাচ্যে এখনও অনেক দেশে খৃষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বসবাস করেন।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবরা খৃষ্টানদের ব্যাপারে মোটামুটি উদার; আরবী মুসলমানদের জন্য যীশু হলেন ঈশা নবী (আ: )। ইরানীরা, পাকিস্তানীরা খৃষ্টানদের প্রতি ভয়ংকর।
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১১
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: শুরুতে যীশুর জন্মদিন ধর্মীয় থাকলেও, আজকে ইহা ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
পশ্চিমা বিশ্বে ইহা সবচেয়ে বড় পারিবারিক অনুষ্ঠান।
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যীশুকে নিয়ে গল্পগুলো ইহুদী,খৃষ্টান ও মুসলিম বিশ্বে ভ্যারিয়েশন কেমন?কোন গল্পের গ্রহণযোগ্যতা ও অগ্রহনযোগ্যতা কেমন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি এগুলো নিয়ে খুব একটা বলতে পারবো না; আমি উনাকে কোনদিন নবী হিসেবে দেখিনি, দেখেছি ধর্মীয় ও বিপ্লবী নেতা হিসেবে।
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
যীশু অমিক্রন বাড়িয়ে দিবে মনে হয় এবছর; পশ্চিমা বিশ্বের কপালে ভাজ পড়ছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখন আমেরিকায় সংক্রমণ সর্ব সময়য়ের রেকর্ড ভংগ করছে প্রতিদিন।
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩০
বঙ্গদুলাল বলেছেন: ভাবনা আর গবেষণালব্ধ/বৈজ্ঞানিক প্রমাণের মধ্যে কোনটিকে লজিক্যালি এক্সেপ্ট করবে মানুষ?
বিশ্বের জেনেসিস, ইভোলিউশন নিয়ে গবেষণা করা প্রথম সারির অধিকাংশ বিজ্ঞানীরা জীবনের উৎস নিয়ে কীরকম অবস্থানে আছেন?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবনের উদ্ভব পৃথিবীতে প্রাকৃতিক কারণেই ঘটেছে, ইহা এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার; কে, কখন ইহাকে বুঝবে ও গ্রহন করতে পারবে, ইহা নিজস্ব ভাবনার ব্যাপার মাত্র।
১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: একদম আমার মনের কথা গুলো লিখেছেন।
এরকম সত্য উচ্চারন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এক সময়ের খৃষ্টানেরাই আজকের আধুনিক পৃথিবীর রূপকার।
১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩০
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সহজ ভাষায় অনেক কিছু ব্যাখ্যা করেছেন।ভালো লাগলো।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৪২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ, আমাদের সামনে যা ঘটছে, উহাকে বুঝার দরকার।
১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বড় দিনে শুভেচ্ছা । আপনিও সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধন্যবাদ।
এদেশে মানুষ মানুষকে এই দিনের শুভেচ্ছা জানায় বেশ কয়েকদিন।
১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৩
সোবুজ বলেছেন: অনেক বড় ইতিহাস সংক্ষেপে খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন।আসলে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।এতো পুরনো ঘটনা সঠিক ইতিহাস পাওয়া মুসকিল।যৌক্তিক বিশ্লষণই মেনে নিতে হবে।আপনার আলোচনাও যৌক্তিক মনে হয়েছে।
বড় দিন কেন হলো।দিনটা আসলে বড় না।শীতের এই দিনটা ছোটই বলা চলে।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
দিবালোকের ঘন্টার মাপে ইহা আসলে ছোট দিন; বেশী মানুষ এই দিনকে পালন করায় ইহা বড় দিনে পরিণত হয়েছে।
১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫১
বিটপি বলেছেন: যীশুর বাবা সুতার মিস্ত্রী ছিলেন? কেউ মদ খেয়ে আপনাকে বানিয়ে বানিয়ে উদ্ভট কিছু বলল আর আপনি বিশ্বাস করলেন? মদের নেশা আপনারও হয়। নইলে যীশু গুহা থেকে পালিয়ে কোথায় গেলেন - এই নিয়ে কোন গবেষণা করেন নি?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যীশুর বাবা সম্পর্কে জানা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। যীশুর মৃতদেহ সৎকারের আগে যেখানে রাখা হয়েছিলো, সেখান পরে আর পাওয়া যায়নি; মনে হয়, ক্রুশে উনার উনার মৃত্যু হয়নি, তিনি অজ্ঞান ছিলেন। পরে উনার জ্ঞান ফিরে আসার পর, রোমানদের থেকে বাঁচার জন্য পালিয়ে গেছেন।
১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৪
সেডরিক বলেছেন: এটা কি ফ্যাক্ট? নাকি ফিকশন? নাকি অপিনিওন? ফ্যাক্ট হিসেবে ধরে লিখলে তথ্যসূত্র দিয়ে দিন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটা ফ্যাক্ট, আমার পোষ্টটি হচ্ছে এই ফ্যাক্টের তথ্যসুত্র।
১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: এটাই সম্ববত আসল ঘটনা।
অলৌকিক ঘটনা বাদ দিলে বাস্তবতা এই রকমেরই হবার কথা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
অলৌকিক বলতে কিছু নেই; সুতরাং, উহা কারো বেলায় ঘটেনি, আমার বেলায় ঘটেনি, আপনার বেলায় ঘটেনি, কোন ব্লগারের বেলায় ঘটেনি।
১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
সাসুম বলেছেন: একটু অগোছালো ও এলোমেলো লিখা। বাট মূল কাহিনি মোটামুটি সঠিক। অলৌকিকতা বাদ দিলে এই ন্যারেটিভ ই বেশ পাকাপোক্ত ঠায় পায় ইতিহাসে।
এখানে একটা মজার জিনিস আছে। এই যে রোমান দের অত্যাচারে পালিয়ে এলো ধু ধু মরুভুমিতে এই পালিয়ে আসা দল আরবে গোড়াপত্তন করেছিল এই দুনিয়ার দুইটা বিরাট ধর্মের- ক্রিশ্চিয়ান এবং ইসলাম।
আরো অবাক করা বিষয় - যে রোমান ব্যাবিলনীয় শাসক দের অত্যাচারে পালিয়ে এসেছিল এবং আরবের মরুবাসী হয়েছিল, নিজেরা ১০০০ বছর পর সেই একই অত্যাচারী রুপে ধর্মের রুপরেখা জারি করেছিল। বেশ মজার ইতিহাস।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংগালীরা নেতা হয়, আরবেরা পয়গম্বর হতো; হাজার হাজার জন পয়গম্বর হতে চেষ্টা করে কৃতকার্য হয়নি, মাত্র কয়েকজন সফল হয়েছিলো
১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এক সময়ের খৃষ্টানেরাই আজকের আধুনিক পৃথিবীর রূপকার।
আসলে সবারই ভূমিকা আছে। কারো কম। কারো বেশি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আধুনিক বিশ্ব গঠনে আফগান ও বাংগালীদের ভুমিকা লিখার চেষ্টা করে দেখেন: আজকেও ১০ বছরের চাকরাণী মেয়ে পরিবার চলাাচ্ছে, মাষ্টার ডিগ্রি পাশ করা ব্উ দিনের ১১টা অবধি চীৎ হয়ে ঘুমিয়ে আছে।
২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
বঙ্গদুলাল বলেছেন: আচ্ছা, ঠিক যে ন্যাচারাল প্রসেসে/কারণে ইউনিভার্সে জীবন সৃষ্টি হয়েছে ঠিক একই উপাদান /কারণগুলো কি বর্তমান ইউনিভার্সে বিদ্যমান নেই? মানুষ ন্যাচারাল প্রসেসে জীব/মানব সৃষ্টি ভাবতে পারলে, ঠিক একই ন্যাচারাল প্রসেসে/কারণে মৃত্যু পরবর্তী রিক্রিয়েট হওয়া ভাবতে দ্বিধান্বিত কেন!মানুষের ভাবনাশক্তি এই দ্বিচারিতায় প্রশ্নবিদ্ধ নয়?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবিত প্রাণীর কোষ সময়ের সাথে ফিজিওলোজীক্যালী বদলাচ্ছে; হাজার ধরণের জীবিত কোষ আবার শরীরের জীবিত কোষকে আক্রমণ করে ধ্বংস করছে; যা ধংস হচ্ছে, সেটা আবার জীবিত হওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে।
২১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আশ্রম এলাকাটায় খ্রীষ্টানদের বসবাস।
২৪ ও ২৫ তারিখ রাত সেখানে ছিলাম।
এলাকার ছেলেরা আগেই অনুমিতো নিয়েছে ওরা রাতে আমাদের টং এসে গান বাজনা করবে। প্রায় গোটা ৩০জন ছেলে এসেছিলো। ধুমধারাক্কা মদ গিলেছে আর গানও চলেছে অনেক রাত অবদি।
আজ বাসায় ফিরলাম।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
তাদের মতো করে জন্মদিন পালন করেছে, এটুকুই যীশুর জন্য।
২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
কাউকে হত্যা করার চেষ্টা করা সব সময়ই নিন্দনীয়।
ইহুদী বা রোমানরা ভালো কাজ করেনি।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহুদীরা সাধারণত অন্য ইহুদীর ক্ষতি করে না; কিন্তু যীশুর বেলায়, তারা নিজের লোকের প্রাণদন্ড চেয়েছিলো
২৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
লেখক বলেছেন:
ইহুদীরা সাধারণত অন্য ইহুদীর ক্ষতি করে না; কিন্তু যীশুর বেলায়, তারা নিজের লোকের প্রাণদন্ড চেয়েছিলো
ব্লগাররা এক ফ্যামিলির মানুষ। আপনি কি কোন ব্লগারের ক্ষতি চাবেন?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
না, আমি কোন ব্লগারের ক্ষতি চাই না; কিন্তু 'ধর্মের বেলায়' মানুষ মগজ হারিয়ে ফেলে, যীশুর বেলায় ইহুদীরা মগজ হারিয়ে ফেলেছিলো।
২৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৯
বঙ্গদুলাল বলেছেন: কোষ হচ্ছে রাসায়নিক কম্বিনেশন জাস্ট,কোষ ধ্বংস হলে রাসায়নিক শক্তি অন্য শক্তিতে কনভার্ট হবে,হারিয়ে যাবার সুযোগ নেই। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তিত।ফলে একই জিনিস রিজেনারেট হওয়া সম্ভব।(কথা হচ্ছে, পুরো ন্যাচার সৃষ্টির পেছনে কেউ থাকলে আমাদের এসব প্রশ্ন অবান্তর,কারণ শেষ পর্যন্ত আমরা রাসায়নিক উপাদান <শক্তিতে গিয়ে থেমে যায় যে, মহাবিশ্বে ভর সৃষ্টি< শক্তি কোথা থেকে এলো,শক্তি বাদ দিলে এই যে মহাশূন্য/স্পেসই বা কী?)
আত্মা/প্রাণ /রূহ সম্পর্কে আপনার ধারণা কী এবং বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে কোন্ অবস্থানে আছেন?
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
জীবিত কোষ মরে যাবার পর, উহা থেকে জীবিত কোষ হচ্ছে না, মৃত রাসায়নিক পদার্থের সৃষ্টি হচ্ছে; ফলে, রিজেনারেট হচ্ছে না।
মানুষের ফিজিওলোজিক্যাল (জীবিত কোষ ) প্রসেস মানুষকে জীবিত রাখে; জীবিত মানুষের শরীরের সন্মিলিত প্রসেসকে অনেক আত্মা বলেন; আসলে, ইহাই প্রান হিসেবে পরিগণিত।
২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩২
বঙ্গদুলাল বলেছেন: কিন্তু ঐভাবে চিন্তা করলে আমরা দেখি, মহাবিশ্বে / পৃথিবীতে প্রথম জীবন্ত কোষ নিশ্চয়ই মৃত রাসায়নিক উপাদান থেকে সৃষ্ট।
আপনার যুক্তি/সন্দেহ কথা হচ্ছে সেইম জীবন্ত স্পেসিস সৃষ্টি হওয়া নিয়ে।কথা হচ্ছে পৃথিবীর সকল জীবন্ত বস্তুকে (উদ্ভিদ ও প্রাণী) রাসায়নিক বস্তু/রাসায়নিক শক্তিকে কনভার্ট করা সম্ভব (ন্যাচারালি বড় কোনো মহাজাগতিক দুর্ঘটনায় যা হওয়ার প্রোবাবিলিটি আছে)।সুতরাং যে ন্যাচারাল প্রসেসে মহাবিশ্বে প্রথম জীব/কোষ সৃষ্টি হয়ে, মরে গিয়ে আবার মৃত ক্যামিকেলে কনভার্ট হচ্ছে, সেই একই মৃত ক্যামিকেল থেকে সেইম প্রসেসে জীবন্ত স্বত্তার রিজেনারেশন হওয়া অসম্ভব কেন হবে! বরং এটি অতি সাধারণ একটি ন্যাচারাল প্রসেস।(আমার মতে)
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পৃথিবীর ঠিক কোন রাসায়নিক পরিবেশে প্রাণহীন পদার্থ থেকে 'প্রান' সৃষ্টি হয়েছে, তা মানুষ এখনো তৈরি করতে সমর্থ হচ্ছেন না।
২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লেখা দেখে মনে হল কোন এক নতুন
দিগন্তের উন্মোচন হতে চলেছে ।
এটা আলোচনার ঝড় তুলবে ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহুদী ধর্ম শিক্সিত রাবাইদের হাতে, ওরা ধর্মকে মানুষের জীবনের সাথে মিলিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। খৃশ্চানিজম ইহুদী ধর্ম থেকে এসেছে; ইহাকে আলাদা রূপ দিতে গিয়ে, কম বুদ্ধিমানরা অনেক রূপকথা যোগ করে দিয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৩
বঙ্গদুলাল বলেছেন: আপনার এই বক্তব্যটি বিশ্বের কত শতাংশ মানুষের বিশ্বাস বলে মনে হয় আপনার কাছে?(ইহুদিরা এইরকম মত পোষণ করেন?)