![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন কৃষক, নিজের জমি নাই অন্যের জমি চাষ করি
সবে মেরাজ-এর ঘটনায় বিশ্বাস না করায় আমার মুসলমানত্বের কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে? এই ঘটনা আমার কাছে আজগুবি ও বানোয়াট মনে হয়। কিন্তু অন্য সব কিছুতে আমার বিশ্বাস ঠিক আছে।
শুধু একটি ঘটনার প্রতি অবিশ্বাস মুসলমান হতে কোন বাঁধা কিনা?
২| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৫
রিপন দা বলেছেন: দেখতে চাইলে দেখতে পারেন http://subratlaboni.blogspot.com/
৩| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৬
স্যার ... বলেছেন: অবশ্যই।
আজগুবি আর বানোয়াট-- আপনার তো ঈমানই নাই। তওবা পড়া দরকার।
মিরাজ সত্য এতে কোনো সন্দেহ নাই। বিশ্বাস হলো ঈমানদারদের জন্য একটা পরীক্ষা আর প্রেম।
তারা সৌভাগ্যবান যারা তাদের বিশ্বাসকে এই জীবনেই সত্যরূপে দেখতে পায়।
তারা সেই সৌভাগ্য লাভ করবে না যারা এতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ করে।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৭
মাহবুব বিআর বলেছেন: শবে মেরাজ এর তিনটি পার্ট- যাওয়া আসা, বিভিন্ন স্থান দেখা এবং ব্যয়িত সময়। কোনটিতে অবিশ্বাস?
৫| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১১
ভবোঘুরে বলেছেন: মিরাজের কথা কুরআনে আছে,আর কুরআনের কথা অবিশ্বাস করা মানে ইসলামকেই অবিশ্বাস করা। দেখেন ভাই পৃথিবীর শুরু থেকেই মানুষ সব কিছু জানে নাই। আধুনিক বিঙানের কারনে এখন আমরা অনেক কিছু জানি যা আগে জানতাম না। হ্য়তো মিরাজের ব্যাখ্যাও একদিন পাও্য়া যাবে।কারন কুরআনের অনেক কিছুর ব্যাখ্যা পাওয়া গেসে,এটার ব্যাখ্যা যে পাওয়া যাবে না তা কিন্তু আপনি নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না।
৬| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৩
এস এইচ খান বলেছেন: তুমি মুসলিম আছিলা কবে দাদা? বাল একটা আইনস্টাইনের লগে যোগাযোগ কর হে ব্যবাক কইতারবো
৭| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আপনার অবিশ্বাসের কারণ কি? আপনি এটা বিশ্বাস না করতে পারেন দুই ভাবে।
১) এমনটা মোটেই ঘটতে পারে না।
২) মোহম্মদের বেলায় এমনটা ঘটেনি।
আপনি যদি মনে করেন এমনটা মোটেই ঘটতে পারে না তবে আপনি 'আল্লার ইচ্ছায় সবকিছু ঘটতে পারে' এই ধর্মীয় দাবী অস্বীকার করছেন। কাজেই আপনি আর মুসলমান নন।
আপনি যদি মনে করেন মোহম্মদের বেলায় এমনটা ঘটে নি তবে আপনি মোহম্মদের কথা মিথ্যা বলে দাবী করছেন। যেহেতু কোরানের কথাগুলিও মোহম্মদের মুখ দিয়ে বলা তাই তাকে মিথ্যাবাদী বললে কোরানের কোনো মূল্যই থাকে না। কাজেই আপনি মুসলমান নন।
৮| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৪
হোরাস্ বলেছেন: একটা আজগুবী হইলে বাকিগুলাও হইতে পারে।
৯| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৬
রিপন দা বলেছেন: হলে সাহায্য নিতে পারেন http://subratkumarchanda.blogspot.com/
১০| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৩
কমুনা বলেছেন: শবে মেরাজের চেয়েও গাঁজাখুরি জিনিসপাতি আছে। ভাবেন।
আপনি চিন্তা কর্তাসেন দেইখা ভালো লাগ্লো। ধর্মের কালো পর্দাটা সরায় ফেলেন। অনেক কিছু দেখতে পারবেন।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৩
রিপন দা বলেছেন: বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার সকল তথ্য জানতে ক্লিক করুন http://sumonkumarchanda.blogspot.com/
১২| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৪
রিপন দা বলেছেন: হলে সাহায্য নিতে পারেন http://subratkumarchanda.blogspot.com/
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি আল-কোরআনের এই আয়াতের বক্তব্যকে অস্বীকার করেন!!?? যদি করেন তাহলে আপনার ইমান থাকার কথা কি?
(১৭:০১) পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রি বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যান্ত-যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি যাতে আমি তাঁকে কুদরতের কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দেই। নিশ্চয়ই তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।
(১৭:৬০) এবং স্মরণ করুন, আমি আপনাকে বলে দিয়েছিলাম যে, আপনার পালনকর্তা মানুষকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং যে দৃশ্য আমি আপনাকে দেখিয়েছি তাও কোরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত বৃক্ষ কেবল মানুষের পরীক্ষার জন্যে। আমি তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি। কিন্তু এতে তাদের অবাধ্যতাই আরও বৃদ্ধি পায়।
(৫৩:১২-১৮) তোমরা কি বিষয়ে বিতর্ক করবে, যা সে দেখেছে? নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল, সিদরাতুলমুন্তাহার নিকটে, যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। যখন বৃক্ষটি দ্বারা আচ্ছন্ন হওয়ার, তদ্দ্বারা আচ্ছন্ন ছিল। তাঁর দৃষ্টিবিভ্রম হয় নি এবং সীমালংঘনও করেনি। নিশ্চয় সে তার পালনকর্তার মহান নিদর্শনাবলী অবলোকন করেছে।
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: আসিফ@ আপনি কি স্বপ্ন মাত্রেই আজগুবি বলতে চান? কোরানের অনেক আয়াত কিন্তু স্বপ্নে পাওয়া। স্বপ্নে পাওয়া সত্য আর স্বপ্নে পাওয়া গপ্প এদের মধ্যে তফাত কিভাবে মাথা খাটালে করা যেতে পারে?
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:২৭
ROKON বলেছেন: চ্যাংড়া তুই কি হিন্দু নাকি ভিতরে হিন্দু নাম বলস মুসলমান। তুই যে মুসলিম না এই টা সিওর।
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৮
এম এস জুলহাস বলেছেন:
চ্যাংড়ার মতো দু'চারটা চ্যাংড়া'র শব-ই মিরাজ কেন পূরো কোরআনকেই বিশ্বাস-অবিশ্বাস করলেই কী আর না করলেই কী ???
ইসলাম কি এইরকম দু'চারটা নাস্তিকের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল ???
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৮
ইউসুফ খান বলেছেন: তাহলে আপনার ঈমানে দুর্বলতা আছে। আরও সময় দিন। ভালো করে ব্যাপারটা জানুন। অবিশ্বাসের কিছু নেই। আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়াত দিক।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৪১
স্বপ্ন ভুবন বলেছেন: হায় আল্লাহ, এমন ভন্ড চ্যাংড়া ও সামুতে আছে । এদের সাহস দেখে অবাক হই । নিজের মুনাফিকি ব্লগে ছড়িয়ে দেয় কেমন করে ?
১৯| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৬
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@ কোরানে বলা আছে, যারা কিতাবের কিছু অংশে বিশ্বাস করে আর কিছু অংশে অবিশ্বাস, তারা অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত। তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
ঈমানদার হতে গেলে আপনাকে কোরানে পুরাই বিশ্বাস করতে হবে। শুধু ইসলাম নয়, কোনো ঐশ্বরিক ধর্মেই অর্ধেক বিশ্বাস করার ব্যবস্থা নাই।
২০| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫১
শুধু প্যচাল বলেছেন: মুজা পাইলাম.।লেখক এলাকায় নেই। উনি জানেন যে কি লেখা দিলে জমবে। তাই করেছেন। আমরাও মজা পাইলাম।
২১| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৫২
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: আপনার ভেতরে ঈশ্বরে অবিশ্বাস আছে। নয়কি?
২২| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:০৯
সচেতন বলেছেন: ভাই চ্যাংড়া (আপনার আসল নামটা জানতে পারলে খুশী হবো), ঘাবড়াবেন না, নিজেকে এতো চটজলদি অমুসলিম ভাববেন না। এতো সহজ নয়। আল্লাহ্ও খুব ভালো করেই জানেন যে মেরাজের মতো ঘটনা বা আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা মানুষের অতি সামান্য বুদ্ধিতে বিশ্বাস নাও হতে পারে। আর আপনি নিজেই বলছেন আর সকল কিছুতে আপনার বিশ্বস আছে, শুধু মেরাজের ঘটনায় বিশ্বাস নেই (বা আমি ধরে নিচ্ছি বিশ্বাস হতে কষ্ট হচ্ছে, বা আপনার জ্ঞানে বিশ্বাস হবার মতো যথেষ্ট তথ্য নেই।) আমি আপনাকে পরামর্শ দেবো এই যে, (১) আপাত দৃষ্টিতে আপনার বিশ্বাস হয়নি বলেই নিজেকে অমুসলিম ভাববেন না। (২) আপনি মুসলমান, সেই হিসাবে আপনার দ্বায়ীত্ব পালন করে যান (৩) 'ইয়্যা-কানায়বুদু-ওয়া-ইয়্যা-কানাস্তাঈন' আল্লাহ্র কাছে সাহায্য চান যেন উনি আপনার জ্ঞানে এটি বুঝিয়ে দেন। (৪) ইন্টারনেটে মেরাজ নিয়ে তথ্য খুঁজুন, সেগুলি পড়ুন, বোঝার চেষ্টা করুন। (৫) ইন্টারনেটে anti-islam দের অনেক পোষ্ট পাওয়া যায় মেরাজ নিয়ে, সেই পোষ্টগুলি আপাতত পড়া থেকে বিরত থাকুন , কারন সেগুলি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা দ্বারা সাজানো হয়েছে। (৬) ক্রমে নিজের ভেতর এটা ভাবতে থাকুন যে, মেরাজের ঘটনা সত্য তবে আমার বুঝে আসছেনা বলে বিশ্বাস হতে চাইছেন না (৭) আর ঐ যে বললাম 'ইয়্যা-কানায়বুদু-ওয়া-ইয়্যা-কানাস্তাঈন', দেখবেন আল্লাহ্ আপনার বুঝে অবশ্যই এনে দেবে।
দেখুন কোরানের সবকিছুই যে, একদম বুঝে আসবেই ঝট করে তা নয়। তাহলেতো কোরান নিয়ে এতো গবেষণা বহুকাল আগেই শেষ হয়ে যেতো। যেহেতু আপনি কোরানের আর সব কিছুতেই বিশ্বাস এনেছেন, সেই বিশ্বাসেইতো এতুটুকু বিশ্বাস থাকা উচিত যে মেরাজও সত্য। শুধু একটু আগ্রহী হোন বিষয়টি নিয়ে জানতে।
আর অনেকেই অনেক রকমের মন্তব্য করবেই, সেগুলি নিয়ে বিব্রত হবেন না, বিচলিত হবেন না।
আশা করবো ২২ নং মন্তব্য সত্য নয় আর আপনি সেটা অবশ্যই প্রমাণ করবেন।
২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১৮
এখনই সময় বলেছেন: ধরুন একজন লোক এই দেশের জন্য অনেক কিছু করে, দেশের দরিদ্র লোকের জন্য সারদিন পরিশ্রম করে, হাসপাতল বানিয়ে দিয়েছে, এতিম খানা বানিয়ে দিয়ে অনাথদের সাহায্য করছে,... ইত্যাদি দেশের জন্য ভালবাসার কমতি নেই।
শুধু সে এই বাংলাদেশে নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব স্বীকার করে না।
এই অবস্থায় সেই ব্যক্তিকে কি বাঙলাদেশ প্রেমিক বলা যায়?
ধর্মের প্রধান শর্ত হল এখানে যুক্তি দিয়ে সব কিছু প্রমান খুজে সত্য মিথ্য নির্নয়ের সুযোগ নেই। বিনা প্রমানে এখানে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়।
তারপর হল আপনি ধর্ম বিশ্বাসী।
সুতরাং ধর্মবিশ্বাসী হলে আপনি সেই ধর্মের যুক্তি যুক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না।
আর এটাই ধর্মের নিয়ম।
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৭
আ েধক আ িম বলেছেন: কাম কাজ না থাকলে যা হয় আর কি.........
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ২:০৩
শুভ জািহদ বলেছেন: লেখক নাস্তিকগোরে একটু বাজাইয়া গেলো। দেখলো বাজে নি?
২৬| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ২:৩৬
স্বাধীকার বলেছেন:
ব্যাপক গবেষণার বিষয়। প্রশ্ন হলো, মনে কোনো জিজ্ঞাসার উদয় হলেই সে কি ধর্মে খারিজ হয়ে যাবে?
২৭| ০১ লা জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১৭
ত্বাহির বলেছেন: পবিত্র শবে মেরাজ শরীফ-এর ঘটনায় বিশ্বাস না করলে আপনি শুধু মাত্র অমুসলিমই হয়ে যাবেননা বরং আপনি কাট্টা কাফের হয়ে চীর জাহান্নামী হয়ে যাবেন। কারন পবিত্র শবে মেরাজ শরীফ-এর সকল ঘটনা সমুহ বিশ্বাস করা ফরয।
২৮| ০১ লা জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:২৮
শুধু প্যচাল বলেছেন: উস্তাদ লেখা দিয়ে ঐযে আড়ালে গিয়ে ফিকফিক করে হাসছেন, আজও আসছেন না। উস্তাদ কিছু বইলা যান। টপিকত ভাল খুইজা লইছেন। একটু আইসে খোচা মাইরে যান, মানে এইরকম উলটা পালটা মন্তব্য করে যান, দেখেন আরও আগাবে মনে হয়।
২৯| ০১ লা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক একটু উত্তর দিয়ে গেলে পুস্ট টা আরোই হিট হতে পারত।
৩০| ০১ লা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:০৬
জোবায়েন সন্ধি বলেছেন:
চেংড়া ভালই জমাইছো!
৩১| ০১ লা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১৩
দূর প্রবাসী বলেছেন: আমাদের প্রচলিত শরীয়তের ধারনা মতে রাসূল (স) মেরাজে গিয়ে আল্লাহর দীদার লাভ করেছিলেন। সাত আসমানের উপর পর্যন্ত যেতে রাসূল (স) ‘বোরাক’ নামক এক অদ্ভুত বাহন ব্যবহার করেছিলেন। দুই পাখা বিশিষ্ট বোরাকের চেহরা ছিল নারী আকৃতির, আর দেহ ছিল ঘোড়ার আকৃতি। ‘বোরাক’ শব্দ এর অর্থ উজ্জল, আলোকময় ইত্যাদি। বারকুন শব্দ থেকে এর উৎপত্তি যার অর্থ বিজলী।
তাসাউফ সাধনা করে মানুষ আল্লাহর দিদার পাবে এটা যারা তাসাউফ চর্চা করে তারা বিশ্বাস করে এবং সঠিকভাবে আদব ভক্তি নিয়ে সাধনা করলে অল্প সময়েই সে তার মহান মালিকের দর্শন লাভ করতে পারে। কিন্তু কথা হলো জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব যদি সেই বোরাক নামক বাহন ছাড়া আল্লাহর দীদার লাভ না করে থাকেন তাহলে আমরা তার উম্মত হয়ে বোরাক ছাড়া কিভাবে আল্লাহকে পাবো? যারা সাধনা করে ওলী আল্লাহ হন তারা তো কখনো বলেন নাই যে আমিও বোরাকে চড়েই আল্লাহর সাথে দীদার করেছি। সুতরাং এর মানে হলো আমরা আসলে কেউই ‘মেরাজ’ সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা কি তা জানিনা।
মেরাজ আরবী শব্দ যার অর্থ পথ, সিড়ি বা আল্লাহর দীদার ইত্যাদি।
দাকায়েকুল আকবার কিতাবে ইমাম গাজ্জালী (র) হাদীস শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন হাদীস শরীফে আছে-বোরাক এক প্রকার স্বর্গীয় বাহন, এর ২ টি পাখা আছে। ইহা আকাশে ও পৃথিবীতে উড়তে পারে। এর মুখ মানুষের মত ও মানুষের ভাষায় কথাবার্তা বলতে পারে। মুখমন্ডল সুপ্রশস্ত ও শিং অত্যন্ত মোটা। কিন্তু কর্নদ্বয় সবুজ জবরজদ পাথর নির্মিত অত্যন্ত চিকন। চক্ষুদ্বয় ঘন কালো ও নক্ষত্রের মত উজ্জল।
প্রকৃত পক্ষে ‘বোরাক’ নামক ঐ বাহন টি আর কিছু নয় মানুষের ভেতরকার যে জীবাত্মা বিরাজ করে তার ইচ্ছাশক্তি বা সাধারন ভাষায় নফসকে বুঝায়। নফসের ইচ্ছা শক্তি অত্যন্ত গতি সম্পন্ন ( বিদ্যুতের ন্যয় ) হওয়ায় চোখের পলকে তা লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ অতিক্রম করতে সক্ষম, হযরত রাসূল (স) এর পবিত্র রুহ মোবারক মেরাজের রজনীতে পবিত্র নফসকে বাহন বানিয়ে বিদ্যুত গতিতে স্বশরীরে উর্ধলোকে পরিভ্রমন করেছিলেন বলে ঐ বাহনকে বোরাক বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নফসের ইচ্ছাশক্তি বা তার গতিকে আরেকটু ব্যখ্যা করলে পাঠকের বুঝতে সুবিধা হবে, যেমন একজন মানুষ ঘুমে স্বপ্নের মধ্য দেখতে পায় যে সে হাজার হাজার মাইল দূরে কোথাও রয়েছে যদিও প্রকৃত পক্ষে সে বাড়ীতেই ঘুমিয়ে রয়েছে। ঠিক তেমনি রাসূল (স) ও যেস্থানে বসা অবস্থায় ছিলেন সেখানে বসেই মোরাকাবারত অবস্থায় রাসূল (স) এর পরমাত্মা তার জীবাত্মার উপর সওয়ার হয়ে সুদুর মোকাম হতে আনার মোকাম পর্যন্ত পরিভ্রমন করে মহান আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন এবং সমগ্র সৃষ্টির সব রহস্য অবগত হয়েছিলেন। এখন প্রশন্ন উঠতে পারে তাহলে যে সাত আসমান এবং জিব্রাইল (আ) এর কথা বলা হয়েছে ঐগুলো তাহলে কি?
সাত আসমান বলতে ‘ক্বানব’ এর সাতটি স্তর কে বুঝানো হয়েছে। প্রথম স্তর এর নাম হচ্ছে ‘সূদুর’ এরপর ‘নশর, এরপর ‘শামসী’ এরপর ‘নূরী’ এরপর ‘কুর্ব’ এরপর ‘মাকীম’ এবং সর্বশেষ স্তর কে বলে ‘নাফসীর’ মোকাম। এই সাতটি স্তরকেই সাত আসমান বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আর জিব্রাইল বলতে শরীয়তের কিতাবে আমরা যা বুঝি তা হলো তিনি একজন সম্মানিত ফেরেশতা যিনি কিনা আল্লাহর নিকট থেকে ওহি নিয়ে নবীগনের নিকট পৌছে দিেতন। তাসাউফের ব্যখ্যায় ‘জিব্রাইল’ হচ্ছে সাধকের পরিশুদ্ধ জীবাত্মা বা নফসে মুলহেমা ( এলহাম প্রাপ্ত আত্মা) দেহের মাঝে ‘জিব্রাইল’ এর ন্যয় কাজ করে থাকে। পবিত্র কোরানে ‘জিব্রাইল’ কে ‘রুহুল কুদ্দুস’ বা ‘পবিত্র আত্মা’ নামেও আখ্যায়িত করা হয়েছে। গভীর সাধনার মাধ্যমে যখন কোন ব্যক্তির জীবাত্মা পবিত্র হয়ে উঠে নফসে মূলহেমার স্তরে পৌছে যায় তখন মানবাত্মার থেকে তার ভেতর ফেরশতার স্বভাব উদ্ভাসিত হয়ে উঠে ফলে ঐ পরিশুদ্ধ জীবাত্মা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত হয়ে থােক। আর ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ জিব্রাইল অতিক্রম করতে পারেন নি এর অর্থ হলো, ক্বালবের প্রথম স্তর হলো ‘সুদুর’ মোকাম এরপর কোন ফেরেশতা ( যে জীবাত্মা ফেরেশতার চরিত্র অর্জন করেছে) যাইতে পারেনা। এরপরের স্তর গুলো মহামিলন এর আকাংখাকারী সাধক তার প্রেমের আকর্ষনে অতিক্রম করে আল্লাহর সাথে দীদার পেয়ে থাকেন।
৩২| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৯
শুধু প্যচাল বলেছেন: @দূর প্রবাসীঃ প্রথমেই বলতে চাই অপাত্রে মুক্তা দান, অথবা গোবরে পদ্ম ফুলের ন্যায় আপনার মন্তব্য। এইরকম দামী কথাগুলো এইরকম স্থানে.। তবে তা যাইহোক তৃষ্ণা মিটল বটে।
অন্তরে দোলা দিয়ে গেল, আনোলিত অনুভূত হল। তাসাউফের জ্ঞান ব্যতীত ইহা কারও দ্বারা বুঝিতে অক্ষম বিশেষ করে আমার মনে হয় যারা গুরু দর্শণ সম্পর্কে অবগত নয়, অথবা গুরু দর্শণ করে নাই, তারা এই জগতের, আপনার এই বানই বুঝিতে একদম অক্ষম ইহা সত্য। জানিনা এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি। কিছু থাকলে জানাবেন।
ধন্যবাদ।
৩৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
দূর প্রবাসী বলেছেন: @ শুধু প্যচাল- আমি জানি যে সাধারন মানুষ ধর্ম সম্পর্কে কি পরিমান ভূলের ভেতর বাস করে। এর পেছনে দায়ী লোকগুলিকে তো আমরা শাস্তি দিতে পারবোনা তবে ক্ষুদ্র সামর্থ্য বলে মানুষকে অন্তত ধারনা দিেত চেস্টা করে যাব। বাকীটা মহান মালিক ভাল জানেন। আসলে যার নসীবে হেদায়েত নাই তার জন্য কোন দরজাই খোলা নাই, আর যে হেদায়েত পাবে তাকে এর চাইতে কঠিন কথা বললেও সে বুঝবে। আমি আমার কাজ করে যাই বাকীটা যার হাতে তিনি বুঝবেন। ধন্যবাদ
৩৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০৮
বটতলার টারজান বলেছেন: জি ভাই, বিশ্বাস না করলে আপনি মুসলমান হইলেন না
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৪
ফাইয়াদ ইফতিখার রাফী বলেছেন: