নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Chinmoy Sarker

chinmoy

আমাকে এনে দাও মিনিপ্যাক ট্রু,মিনিপ্যাক সেলফিশনেস।অথবা এক দ্বীপ আল্বাট্রোস।

chinmoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘৃণাচ্ছেদ যুদ্ধচ্ছেদ

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

যেকোন অন্যায়ের পেছনেই মানসিক দুর্বলতা দায়ী। তাই আমাদের এই আদি দুর্বলতা, 'ভয়'ই হল আমাদের প্রথম শত্রু। সে কারণেই বলা হয়ে থাকে, (ভবিষ্যতের ভয়ে) ভীত মানুষেরাই যুদ্ধ করে, সাহসী হলে যুদ্ধের কী প্রয়োজন? তাছাড়া (ভবিষ্যতের) ভয় কেন পেতে হবে যদি আমি (বর্তমানেই) সবকিছু ঠিকঠাক রাখি? এখানে কেউ বলতে আসবেন না, অন্যরা খারাপ, তাই আত্মরক্ষারথে আপনিও। অন্যদের খারাপ মনে করাটাও অন্যায়। আত্মরক্ষার নাম কখনওই যেন ক্ষতি না হয়, এই বিষয়ে আরও নিয়ম নীতি চালু করা দরকার; আমাদেরকেই করতে হবে।

পৃথিবীতে যোদ্ধাদের কত পারসেন্টের কথা ইতিহাস জানে? আর যুদ্ধ বাধানো মানুষগুলোর সবার নামই একেকটা ইতিহাস। কেন? কেউ নিন্দিত হয়ে তো কেউ নন্দিত হয়ে ইতিহাস। যারা নিন্দিত, তাদের নিয়ে কথা নেই; এটাই উচিৎ। তবে যারা নন্দিত, তারা যুদ্ধ করার জন্য নন্দিত নন। তারা নন্দিত যুদ্ধের ফলাফলে। এই ফলাফল হয়ত লাখো কোটি জীবনের নিরাপত্তা দান করে বলেই।

আরও একটি কথা, যুদ্ধের কোন মহিমা থাকতে পারে না, মহিমা থাকে যুদ্ধ না করায় বা যুদ্ধ বন্ধ করায়। হয়ত পৃথিবীতে অনেক যুদ্ধই না হলেও পারতো, আবার অনেক যুদ্ধ এড়ানোর সুযোগ সময় ছিল না। তবুও যুদ্ধ ফেরানো বীরেরাই শ্রেষ্ঠ; তারা মহামানব।

চেতনার সমস্ত ভয় মিশ্রিত ভাবনাগুলি থেকে নিজেকে বের করে আনার চেষ্টা করার অন্য নাম মনুষ্যত্ব চর্চা করা। কেননা, মানুষের প্রথম ও দীর্ঘ পুরাতন অন্যায় নিজেকে (স্বভাবতই অন্যদেরকেও) পাপী এবং অন্যায়কারী মনে করা- এরা মূলত ভীত একটা শ্রেণী, কিন্তু হিউজ। আর এটা অন্যায় এই কারনে যে, এই মতবাদ আরও সুস্থ মানুষকে অন্যায়কারী, পাপী ইত্যাদি ভাবতে শেখাচ্ছে। এধরনের মানুষরা আপডেটেড ইনফরমেশান ইগ্নোর করার মাধ্যমে যুগোপযোগী জীবন ধারার ব্যাপারে কনফিডেন্সলেস হয়ে নিজেদের ভয় বা অজ্ঞতাকে জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা হিসেবে প্রবাহিত করছে আরও হাজার জীবনে। এই পুরো ব্যাপারটাই এরা আবার অস্বীকারও করবে। এরা ভয় আর সম্মানের পার্থক্য বুঝে না, কিংবা ঘৃণা ও বিরক্তির, অন্যায় ও পাপের। অথচ এরা প্রেমকে ভালোবাসার বিপরীত শব্দ মনে করে।



অন্যদিকে যারা জীবন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা রাখেন কিন্তু শান্তিপ্রিয়তার দোহাই দিয়ে অন্যদের ভুলগুলি ইগ্নোর করে যাচ্ছেন, তাদের এই ইগ্নোরেন্সের নিচেই বাড়তে থাকছে ওই ভীত মানুষগুলোর ভয়, জীবনের প্রতি অসহায়ত্ব। ভয়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনাগুলি শিখা হয়ে তাপ দিতে শুরু করে ইগ্নোরেন্সে। ভয় ও ইগোরেন্সের নির্যাশ জমা হতে থাকে দিন থেকে দিন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। এই হেইট একটি দাহ্য তরল। এটা যখন জমা হতে হতে টেস্টটিউব থেকে উপচে পরে ফ্লোর ভাসিয়ে দিবে, ভয়টা তখন কাত হয়ে পরে যাবে। ভয়ের মাথায় থাকা ছোট্ট আগুনটি ঘৃণার সংস্পর্শে দাউ দাউ করে জ্বালিয়ে দিবে ইগ্নোরেন্স সহ সবকিছুই।

ভয়, অবহেলা আর ঘৃণার এই সার্কেল ভাঙতে হলে, মনে হয় ভয় ভাঙ্গাটাই সহজ। কারণ অবহেলা যে করছে তাকে আপনি চেঞ্জ করবেন কীভাবে যদি নিজেকেই আগে চেঞ্জ করতে না পারেন? তাই ভয় ভেঙ্গে নিজেকে জানুন। কোন ইগ্নোরেন্সও থাকবে না, হেইটও থাকবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.