![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু লোকের ফেসবুক স্ট্যাটাস, দৈনিক পত্রিকা ইত্যাদি পড়ার পড় আল কোরআন আর আল হাদিস এর কিছু লেখা মনে পড়লো। মিলিয়ে দ্যাখলাম। বুঝলাম, আমারই মাথা খারাপ। আজকের মুসলিমরা যে আল্লাহ এবং রাসুলের পথই অনুসরণ করছে এবং তাদের কথা অক্ষরে অক্ষরে, বিন্দুতে বিন্দুতে পালন করছে এই ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহই আর থাকল না। নিচে প্রমাণ।
১। সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি স্বয়ং তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।
- হযরত মুহাম্মদ (সঃ),
সূত্রঃ আবূ দাঊদ : ৩০৫২
২। তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিয়ো না, নইলে তারাও শত্রুতার কারণে না জেনে আল্লাহ তা‘আলাকেও গালি দেবে, আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের কার্যকলাপ সুশোভনীয় করে রেখেছি।
সুত্রঃ আল কোরআন, সূরা : আল আন‘আম, আয়াত : ১০৮
৩। আল্লাহর বাণী প্রচার করতে গিয়ে মহানবী (সঃ) তায়েফের প্রান্তরে প্রস্তরাঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছেন। মালায়েকা তাঁর নিকট পাহাড় চাপা দিয়ে তায়েফবাসীদের ধ্বংস করে দেওয়ার অনুমতি চয়েছেন। মহানবী (সা.) কখনোই নাকি এধরনের অনুমতি দেননি। বরং তিনি আল্লাহর কাছে বিনয়াবনত মস্তকে আরজ করলেন; হে আল্লাহ ওরা অবুঝ!
সূত্রঃ আল হাদিস
৪। অহুদের যুদ্ধে নবীজী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাঁর পবিত্র দাঁত ভাংগা গেছে। লৌহ শিরস্ত্রাণ ভেঙ্গে মাথায় ঢুকে গেছে। নবীজীর দুঃখে অহুদ পাহাড় আরজ করলো আপনি অনুমতি দিন আমি কাফিরকুলকে গ্রাস করে ফেলি। কিন্তু রাসুলুল্লাহ বলেছেন, না। আল্লাহ ওদের হেদায়েত দিন।
সুত্রঃ আল হাদিস
৫। আমি তোমাদের কয়েকটি উপদেশ দিয়ে প্রেরণ করছি : তোমরা বাড়াবাড়ি করবে না, ভীরুতা দেখাবে না, কারো চেহারা বিকৃতি ঘটাবে না, কোনো শিশুকে হত্যা করবে না, কোনো গির্জা জ্বালিয়ে দেবে না এবং কোনো বৃক্ষও উৎপাটন করবে না।’
- হযরত মুহাম্মদ (সঃ),
সূত্রঃ হাবীব ইবন অলীদ থেকে বর্ণিত, আবদুর রাযযাক, মুসান্নাফ : ৯৪৩০
উপরে যা করতে বলা হইছে আর যা মানা করা হইছে সেইটা বুঝার খেমতা নাই আমার।
নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর।
বিদ্রঃ বাংলাদেশের হিন্দুদের নির্দিষ্ট কোন শত্রু নাই। তাইলে কারা তাদের ভাংচুর করে, জ্বালায় পোড়ায় ? এরা অনির্দিষ্ট শত্রু। এদেরকে তাই ধরা পড়তেও দেখা যায় না।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
"নবীজীর দুঃখে অহুদ পাহাড় আরজ করলো আপনি অনুমতি দিন আমি কাফিরকুলকে গ্রাস করে ফেলি। "
-অহুদ পাহাড় তা'হলে কথা বলেছে?
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
chinmoy বলেছেন: আপনার আমার বা যুক্তির কথা দিয়ে মুসলিম বা ধার্মিকরা (যেকোন ধর্মেরই হোক) চলে না, তাড়া যাদের কোথায় চলে তাদের কথাই তুলে দিসি। আপনি আজকে জানলেন এইসব কথা? তাইলে শুনেন, বুররাক নামে ঘোড়া আছে একটা, পৃথিবী আর স্বর্গে আসা যাওয়া করতে পারে। আরও আছে।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বর্তমান ক্ষমতাশীনদের ট্রাম্প কার্ড। এই তিনটাকে জিইয়ে না রাখলে তাদের আর কিছুই দেশকে দেয়ার নাই, তাদের অত্যাচার-বিশৃঙ্খলার কোন অজুহাত নাই। তাই এই তিনটার দোহাই দিয়ে লিটারেলি রাম-রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। কতগুলো রোবটসম বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবিকে ফ্রন্টলাইনে রাখা হয়েছে এই তিনের গীত গেয়ে গেয়ে মানুষকে সর্বদা বিভ্রান্ত করে রাখার জন্য যেন দেশ লুটেপুটে খেলেও এই তিন জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে শান্ত রাখা যায়। যুদ্ধাপরাধে এখন মানুষের কিছুটা অরুচি চলে এসেছে তাই জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাই ভরসা। আর সেগুলো ন্যাচারালি তৈরী না হলে, আর্টিফিশিয়ালি সমস্যা তৈরী করে লোকজনকে উসকে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েই তারা এগুচ্ছে।
বি-বাড়িয়াতে যা হয়েছে, তাতে দেশের আপামর জনসাধারণের কোন সমর্থন নাই। কোন একজনের স্ট্যাটাস দেখে সাধারণ হিন্দুদের উপর ঝাপিয়ে পড়া রীতিমত পাগলামী মাত্র। এটা আমাদের ধর্ম কিছুতেই সমর্থন করেনা। অন্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের গালিগালাজ করাকে, কিংবা তাদের জান মালের উপর হামলা চালানোকে ইসলাম সমর্থন করেনা।
দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, প্রথমেই আমার প্রশ্ন হলো বি-বাড়িয়াতে কারা হামলা চালিয়েছে, তারা কি শুধুই সাধারণ মুসলমান, তাদের এ ব্যাপারে উত্তেজিত করেছে কে? যেই লোক একধরনের জঘন্য ছবি পোস্ট করল, তারপর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, সিম্পলি বলল, তার আইডি থেকে অন্য কেউ পোস্ট করেছে, তার এই কথা কি ভেরিফাই করা হয়েছে? এর পিছনে কার হাত আছে, গোয়েন্দারা কি সেটা তলিয়ে দেখছে?
জঙ্গি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে এদেশের আপামর জনসাধারণের উপর স্টিমরোলার চালানো হয়, উঠতে বসতে সন্দেহের চোখে রাখা হয়, যেকোন বক্তব্য ১০বার তলিয়ে দেখা হয়, কোন ধরনের জঙ্গিবাদের পক্ষে কোন উসকানি আছে নাকি, এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। আঙ্গুলি হেলনে জাকির নায়েককে ব্যান করা হয়, পিস টিভি বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না কেন? খতিয়ে দেখা হয়না কেন, কারা এইধরনের চাল চালছে বার বার এই দেশে? কেন বার বার ক্ষমতাশীন দলের সমর্থকদের হাতে নাতে হিন্দু বাড়ির ও মন্দিরের উপর হামলা চালানোর পরও তাদের দলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার কোন অপবাদ দেয়না আমাদের বুদ্ধিভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবিগণ আর ভারত?
স্বামীবাগে তারাবী বন্ধ করার হুমকি, গেন্ডারিয়ায় মসজিদ উপর হামলা, বি-বাড়িয়ার ঘটনা, প্রতিটার ভিকটিম কিন্তু সাধারণ মুসলমান ও সাধারণ হিন্দুরা হচ্ছে, কিন্তু কলকাঠি নাড়াচ্ছে অনেক উপর থেকে। সাধারণ ঢাকা ইউনিভার্সিটির নামে দুটো কথা বলা হয়েছে, তাতে পুরা বাংলাদেশে একজন লোককে রীতিমত খুন করার জন্য তৈরী হয়ে যায়, কারো কারো সম্মান টিকিয়ে রাখার জন্য তৈরী হয়েছে ৫৭ ধারা, অথচ এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানিমুলক বক্তব্যের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছেনা প্রশাসন, কার ইঙ্গিতে, কোন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে?
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১
একজন দেশপ্রেমীক বলেছেন: যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বর্তমান ক্ষমতাশীনদের ট্রাম্প কার্ড। এই তিনটাকে জিইয়ে না রাখলে তাদের আর কিছুই দেশকে দেয়ার নাই, তাদের অত্যাচার-বিশৃঙ্খলার কোন অজুহাত নাই। তাই এই তিনটার দোহাই দিয়ে লিটারেলি রাম-রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। কতগুলো রোবটসম বুদ্ধিহীন বুদ্ধিজীবিকে ফ্রন্টলাইনে রাখা হয়েছে এই তিনের গীত গেয়ে গেয়ে মানুষকে সর্বদা বিভ্রান্ত করে রাখার জন্য যেন দেশ লুটেপুটে খেলেও এই তিন জুজুর ভয় দেখিয়ে মানুষকে শান্ত রাখা যায়। যুদ্ধাপরাধে এখন মানুষের কিছুটা অরুচি চলে এসেছে তাই জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাই ভরসা। আর সেগুলো ন্যাচারালি তৈরী না হলে, আর্টিফিশিয়ালি সমস্যা তৈরী করে লোকজনকে উসকে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েই তারা এগুচ্ছে।
বি-বাড়িয়াতে যা হয়েছে, তাতে দেশের আপামর জনসাধারণের কোন সমর্থন নাই। কোন একজনের স্ট্যাটাস দেখে সাধারণ হিন্দুদের উপর ঝাপিয়ে পড়া রীতিমত পাগলামী মাত্র। এটা আমাদের ধর্ম কিছুতেই সমর্থন করেনা। অন্য ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের গালিগালাজ করাকে, কিংবা তাদের জান মালের উপর হামলা চালানোকে ইসলাম সমর্থন করেনা।
দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে, প্রথমেই আমার প্রশ্ন হলো বি-বাড়িয়াতে কারা হামলা চালিয়েছে, তারা কি শুধুই সাধারণ মুসলমান, তাদের এ ব্যাপারে উত্তেজিত করেছে কে? যেই লোক একধরনের জঘন্য ছবি পোস্ট করল, তারপর ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, সিম্পলি বলল, তার আইডি থেকে অন্য কেউ পোস্ট করেছে, তার এই কথা কি ভেরিফাই করা হয়েছে? এর পিছনে কার হাত আছে, গোয়েন্দারা কি সেটা তলিয়ে দেখছে?
জঙ্গি ঘটনা ঘটার সাথে সাথে এদেশের আপামর জনসাধারণের উপর স্টিমরোলার চালানো হয়, উঠতে বসতে সন্দেহের চোখে রাখা হয়, যেকোন বক্তব্য ১০বার তলিয়ে দেখা হয়, কোন ধরনের জঙ্গিবাদের পক্ষে কোন উসকানি আছে নাকি, এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। আঙ্গুলি হেলনে জাকির নায়েককে ব্যান করা হয়, পিস টিভি বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়না কেন? খতিয়ে দেখা হয়না কেন, কারা এইধরনের চাল চালছে বার বার এই দেশে? কেন বার বার ক্ষমতাশীন দলের সমর্থকদের হাতে নাতে হিন্দু বাড়ির ও মন্দিরের উপর হামলা চালানোর পরও তাদের দলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার কোন অপবাদ দেয়না আমাদের বুদ্ধিভ্রষ্ট বুদ্ধিজীবিগণ আর ভারত?
স্বামীবাগে তারাবী বন্ধ করার হুমকি, গেন্ডারিয়ায় মসজিদ উপর হামলা, বি-বাড়িয়ার ঘটনা, প্রতিটার ভিকটিম কিন্তু সাধারণ মুসলমান ও সাধারণ হিন্দুরা হচ্ছে, কিন্তু কলকাঠি নাড়াচ্ছে অনেক উপর থেকে। সাধারণ ঢাকা ইউনিভার্সিটির নামে দুটো কথা বলা হয়েছে, তাতে পুরা বাংলাদেশে একজন লোককে রীতিমত খুন করার জন্য তৈরী হয়ে যায়, কারো কারো সম্মান টিকিয়ে রাখার জন্য তৈরী হয়েছে ৫৭ ধারা, অথচ এই ধরনের সাম্প্রদায়িক উসকানিমুলক বক্তব্যের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছেনা প্রশাসন, কার ইঙ্গিতে, কোন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে?
৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
সজীব মোহন্ত বলেছেন: সমগ্র কুরান ঘৃণ্য আয়াতে ভরপুর।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
chinmoy বলেছেন: সমস্ত ধর্মগ্রন্থই তাই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মালায়েকা তাঁর নিকট পাহাড় চাপা দিয়ে তায়েফবাসীদের ধ্বংস করে দেওয়ার অনুমতি চয়েছেন। "
মালায়েকা কত বড় ( কত ওজন ইতয়াদি), ও পাহাড় কত বড় ছিল? অনুমতি কার কাছে চেয়েছিল?