নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Chinmoy Sarker

chinmoy

আমাকে এনে দাও মিনিপ্যাক ট্রু,মিনিপ্যাক সেলফিশনেস।অথবা এক দ্বীপ আল্বাট্রোস।

chinmoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্তের স্বর্গে

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

তখন উত্তরা থাকি, কুর্মিটোলা শাহীনে পড়ি। এক সময়কার খুব জনপ্রিয় চলচ্চিত্র জুটির দুই জমজ মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতাম; আমার প্রথম টিউশানি। তো, প্রথম কামাইয়ের টাকায় কি কি করবো তার লিস্ট লম্বাতর হতে হতে কক্সেজবাজারে ট্যুর পর্যন্ত লম্বা হলো। বলা বাহুল্য টাকার অঙ্কের সাথে 'টু ডু লিস্ট' সমান্তরাল নহে। যেদিন শক্ত কাগজের ধবধবে সাদা খামটা হাতে পেলাম, টু ডু লিস্ট এর আকর্ষন ছাড়িয়ে বাবা মা ছোট দুই ভাই বোনের কথা বার বার মনে হতে লাগলো। বাসা থেকে পাঠানো সীমিত টাকায় কখনোই মনের মত শপিং করতে পারিনি, আর এ কারনেই টিউশানি শুরু করেছিলাম বাসায় না জানিয়ে। ভেবেছিলাম কোনদিন জানাবও না। কিন্তু বুঝতেও পারিনি কখন সবগুলো টাকা দিয়ে বাবার জন্যে একটা অনেক দামী শার্ট কিনে ফেলেছিলাম। আর তো টাকা নেই, এখন? ভাবলাম পরের বার টাকা পেলে অন্য সবার জন্য কিনব। বাসায় গিয়ে বাবাকে পেলাম না, মাকে সব বল্লাম। মা রাগারাগী করলো পড়া বাদ দিয়ে টিউশনির জন্য। আমি টেনশনে, শার্টের মাপ না জেনেই কিনেছি। ফিট হবে তো? জাস্ট মজা করার জন্যই বাবা শার্ট গায়ে দিয়ে বাচ্চাদের মত আমার সামনে এলেন, পিছনে মা আর ছোটবোন। সময়ের ব্যাবধান আর পিতা-পুত্রের শার্টের মাপের ব্যাবধান ব্যাস্তানুপাতিক। শার্টটা বাবার গায়ে একটু বড় হয়েছিলো, ভেবেছিলাম আমার বাবা কত্ত বড় মানুষ। ছোটবেলার রেশিও তখনও থেকে গিয়েছিলো হয়তো আমার নিওরনে। সবচে বড় কথা, এখন প্রায়ই মনে হয় সেদিন ছোট্ট একখন্ড স্বর্গ নেমে এসেছিল আমাদের ঘরে। মধ্যবিত্ত জীবন মাঝে মাঝে এত্ত আনন্দের কেন? কারণ মধ্যবিত্তের চোখ একটু সুখেই ঝাপসা হতে জানে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

MrPulok বলেছেন: ঠিক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৬

chinmoy বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩

একাত্তরের দামাল ছেলে বলেছেন: আমাদের কষ্ট যেমন তেমনি সুখের পরিধিটাও অনেক ব্যাপক ।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৮

chinmoy বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.