নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Chinmoy Sarker

chinmoy

আমাকে এনে দাও মিনিপ্যাক ট্রু,মিনিপ্যাক সেলফিশনেস।অথবা এক দ্বীপ আল্বাট্রোস।

chinmoy › বিস্তারিত পোস্টঃ

গতকাল মারা গেলেন ইউজিন কারনান, চাঁদের বুকে হাঁটা এ পর্যন্ত সর্বশেষ মানুষ

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০



ইউজিন কারনান, চাঁদের বুকে হাঁটা এ পর্যন্ত সর্বশেষ মানুষ, গতকাল ১৬ ই জানুয়ারি ২০১৭ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন ১৯৬৩র অক্টোবরে বাছাই করা ১৪ জন নভোচারীদের একজন।

জুন ১৯৬৬ তে তিনি জেমিনি-৯ এর পাইলট ছিলেন। মে ১৯৬৯, তিনি ছিলেন এপোলো-১১ এর চূড়ান্ত উড্ডয়নের পূর্বে পরীক্ষামূলক “মহাকাশ ও চন্দ্র মিশন এপোলো -১০” এর পাইলট। তাছাড়া ১৯৭২ এর ডিসেম্বরে আমাদের লাস্ট চাঁদে নাম্বার মিশনে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেনই এবং সেবারেই চাঁদ থেকে জনপ্রিয় “ব্লু মারবেল” ছবিটি (এক ফ্রেমে সম্পূর্ণ পৃথিবীর ইমেজ, যা আমরা আজকাল বিভিন্ন ওয়ালপেপার, বিজ্ঞাপন, লোগো ইত্যাদি অনেক কিছুতেই দেখতে পাই) ক্যাপচার করেন তিনি ও তার টীম।

২০০৭ সালে ব্লু মার্বেল নিয়ে কারনান বলেছিলেন, “ এই ছবিটি দেখার আসল অর্থ কী? ওয়েল, আমি সবসময় বলে এসছি, এখনো বলি এবং এমনটাই হতে চলেছে। আজ থেকে অনেক বছর পর আমরা যখন এই গোলকটিকে ছেড়ে নতুন কোথাও চলে যাব, হোম বলা হবে না আর এই পৃথিবীকে, আমরা ছবিটির প্রকৃত অর্থ বুঝতে শুরু করব।”

এছাড়াও এই এপোলো-১৭ মিশনটি আরও বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে। যেমন, এটি ছিল প্রায় ৩০২ ঘণ্টাব্যাপী সবচে দীর্ঘ চন্দ্র অভিযান; সবচে বড় (প্রায় ২৫০ পাউন্ড) নমুনা সংগ্রহ করা হয় এর মাধ্যমে, চাঁদের কক্ষপথে সবচে দীর্ঘ সময়- প্রায় দেড়শ ঘণ্টা অবস্থান এবং চাঁদের মাটিতেও সবচে দীর্ঘ সময় (২২ ঘণ্টা ৬ মিনিট) ধরে কাজ করা ইত্যাদি ইত্যাদি। কারনান এবং তার ক্রু-মেট হ্যারিসন হেইচ (জ্যাক) স্মিটের কথা অনুযায়ী তারা যেন তিন দিনের জন্য চাঁদকেই হোম মনে করে ফেলেছিলেন। তাদের বয়ে নিয়ে যাওয়া নাসার তৃতীয় রোভার আজও অনুসন্ধান করে যাচ্ছে চাঁদের বুকে।

২০০৮ সালে নাসার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কারনান বলেন, “ আমরা সেবার সবচে বেশী এলাকা জুড়ে ঘুরছিলাম এবং কিছুটা বেশী সময় ধরেই অবস্থান করেছিলাম। আমাদেরকে বিশেষ ভাবে বলে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতেও (যেমনঃ পাহাড়,পর্বত) আমরা ঘুরে ঘুরে দেখেছিলাম যদি চাঁদের কোন ইতিহাস, উৎস বা নতুন কোন তথ্য জানা যায় এই আশায়।”

১৯৩৪ সালের ১৪ মার্চ শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন কারনান। তিনি ছিলেন একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং নৌবাহিনীয়ে কর্মরত অবস্থায় ইউ এস নেভাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুল, মন্টেরি, ক্যালিফ থেকে এয়ারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। জুলাই, ১৯৭৬ এ কারনান ২০ বছরের নৌবাহিনী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করে নাসাতে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন।

কারনান ও এপোলো -১৭ মিশন সম্পর্কে জানতে মার্ক শেফার্ডের পরিচালনায় ডকুমেন্টারি “দ্যা লাস্ট ম্যান অফ দ্যা মুন” দেখে নিতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

রাকিব হোসেন (রকি) বলেছেন: চাঁদে ভ্রমন নাকি অসম্ভব? এসব নাকি সাজানো নাটক এ নিয়ে ইউটিউবে অনেক তথ্য সমৃদ্ধ ডকুমেন্টারী রয়েছে। আমিত সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে আছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১

chinmoy বলেছেন: আপনি যত দ্রুত সম্ভব এই ডকুমেন্টারিটা দেখে ফেলেন। https://www.youtube.com/watch?v=yv4qwII2fZY

আরও কিছু লিঙ্ক আছে আপনার কাজে লাগবেঃ

চাঁদে এ পর্যন্ত হওয়া সাকসেসফুল, আনসাকসেসফুল মিশন ও ২০১৮ পর্যন্ত যেসব মিশন হবে তার একটা ডিটেইলস লিস্ট পাবেন এখানে Click This Link

এই বছরেই ৫ টি মিশন (একটি নাসা, একটি চীন ও ৩টি প্রাইভেট) সম্পন্ন হবার কথা । তো, গত ৬ টি সাকসেসফুল ল্যান্ডিং মিশনে চাঁদে আমরা এ পর্যন্ত মোট (শুষ্ক ভর) ১৮৭৪০০ কিলোগ্রামের মত যন্ত্রপাতি রেখে এসেছি এবং ৩৮০ কিলোগ্রাম মুন রক নিয়ে এসেছি। বিভিন্ন কাজে রেখে আসা এইসব মেশিনপত্রের কেবল গুরুত্বপূর্ণ ও আকারে বড়গুলোর একটা বিশাল লিস্ট পাবেন এখানেঃ Click This Link


শুধু এগুলোই না, মানুষের তৈরি মেশিন এর থেকেও অনেক অনেক দূর পারি দিচ্ছে সফলভাবে। এর মধ্যে চারটির কথা আলাদা করে না বললেই নয়। এরা এখন আর আমাদের সোলার সিস্টেমেই নেই, ছাড়িয়ে গেছে বহু আগে।
পাইওনিয়ার-১০ (০৩ মার্চ ১৯৭২),
পাইওনিয়ার-১১ (০৬ এপ্রিল ১৯৭৩),
ভয়েজার-২ (২০ আগস্ট ১৯৭৭) এবং
ভয়েজার-১ (০৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭)।

এদের মধ্যে সবার শেষেরটি অর্থাৎ ভয়েজার-১ আমাদের থেকে সবচে বেশি দূরত্বে আছে (২০ বিলিয়ন কিলোমিটারেরও উপরে) এবং এখনো চলমান। ভয়েজার দুটির লাইভ ডিসট্যান্স কাউন্ট দেখুন এখানেঃ http://voyager.jpl.nasa.gov/where/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.