![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বলশেভিক্স নামের একটি কমিউনিস্ট ভাবাদর্শী রাশিয়ান গ্রুপ ও তাদের নেতা ভ্লাদিমির ইলিয়িচ লেনন ১৯১৮ সালে রাশিয়ার ক্ষমতা দখল করে নেয় এবং জার্মানির সাথে অতি দ্রুত এক শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করে ফেলে । এ সংবাদে ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স তৎক্ষণাৎ সে বছর মার্চেই বহু প্রতিভারধর সিডনি রাইলি এবং রবার্ট ব্রুস লকহার্ট নামের দুইজন এজেন্টকে মস্কো প্রেরণ করেন। তাদেরকে মধ্যে রবার্টের কাজ নতুন গঠিত সরকারের সাথে আলোচনা এবং সিডনী সিক্রেট এজেন্ট ও কাজ ভ্লাদিমির ইলিয়িচ লেননকে হত্যা। আর সেই সুযোগে হবে আর্মিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ মাস ধরে সিডনির বিভিন্ন চমকপ্রদ ও বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে গোপনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের কাজ যখন শেষ, এরই মধ্যে ৩০ আগস্ট ১৯১৮ তে রাশিয়ান এক জাঁদরেল সিক্রেট পুলিশ কোডনেম দ্যা চিকা তাদের প্লট জেনে ফেলেন এবং অতর্কিতেই রবার্টকে এরেস্ট করে ফেলেন ও সিডনীর জন্য চারপাশে তল্লাশি শুরু করেন। এই সময়টাতে সিডনি রাইলি কিছুদিন গা ঢেকে থাকেন। তারপর পরিস্থিতি বুঝে একদিন সকালে তিনি তার ১১টা পাসপোর্টের মধ্য থেকে জার্মানেরটা ব্যাবহার করে একজন জার্মান ডিপ্লোম্যাট সেজে এস্তোনিয়া রওনা হন। অনেক গুলো ভাষার মধ্যে জার্মানের ফ্লুয়েন্সি তার অসাধারণ ছিল বিধায় বিন্দুমাত্র ঝামেলা ছাড়াই তিনি সেখান থেকে জার্মান এবং পরে জাহাজযোগে লন্ডন ব্যাক আসেন সে বছরের নভেম্বরে। ওদিকে ওই একই মাসে রবার্ট লকহার্টও মুক্তি পান এবং লন্ডন এসে দুই বন্ধুতে অনেক স্মৃতিচারণ করেন। এই আলোচনা থেকে রবার্ট জানতে পারেন যে, সিডনি রাইলি আবারও রাশিয়া যাবার প্লান করেছেন বলশেভিক্সদের ক্ষমতাচ্যুত করতে। তিনি অনেক বাধা দিয়েও রাইলিকে আটকাতে পারলেন না।
১৯২৫ সালের নভেম্বরে রাইলি আবার আসেন রাশিয়াতে নতুন প্লট নিয়ে। কিন্তু এবার আর দ্যা চিকার হাত ফসকাতে পারলেন না তিনি। তারা রাইলিকে মস্কোর অদূরে এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৩১ সালে বন্ধুর প্রতি ট্রিবিউট হিসেবে রবার্ট ব্রুস লকহার্ট একটি মেমোয়ার বা স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন এবং স্বভাবতই তা ছিল অনেক রোমাঞ্চকর ও সিডনির দুর্দান্ত সাহসী সব ঘটনায় ভরপুর। তার কয়েক বছর পর এই ইতিহাসিকা আরেক ব্রিটিশ সরকারী কর্মকর্তা মিঃ ফ্লেমিং এর হাতে পড়ে এবং কোনভাবেই তিনি সিডনি রাইলির এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরাজয়কে মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই ল্যান ফ্লেমিং নিজে থেকেই এই স্পাইকে নিয়ে সাকসেসফুল কিছু কাহিনী লিখাতে শুরু করেন। কিন্তু আইনগতভাবে রাইলির নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে না বিধায় খুঁজতে থাকেন নতুন নাম। এবং পেয়েও গেলেন।
- নাম?
- বন্ড, জেমস বন্ড।
বিঃ দ্রঃ এখনো পর্যন্ত অফিশিয়ালি লাইসেন্সড জেমস বন্ড (বই) এর সংখ্যা ৩৯ টি যা ৬ জন লেখক দ্বারা লিখিত এবং পরবর্তীতেও কেউ না কেউ লিখতেই থাকবে-
জেমস বন্ডের আড়ালে রাইলি, সিডনি রাইলি।
©somewhere in net ltd.