![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাতটি অস্কার পাওয়া এ সিনেমাটিকে ২০০৭ সালে আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিউট সেরা ১০০ আমেরিকান সিনেমার মধ্যে ৮ম সেরা সিনেমার স্বীকৃতি দিয়েছে। মুভির লাল কোট পরা ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে চমকপ্রদ কিছু তথ্য শেয়ার করব আজ। তার আগে মুভিটি সম্পর্কে সামান্য টুকিটাকি-
মুভির নামঃ সিন্ডলার'স লিস্ট/Schindler's List
মুক্তি : ১৯৯৩
দৈর্ঘ : ১৯৫.৫ মিনিট
রঙ : সাদাকালো, আংশিক রঙিন
দেশ : আমেরিকা
ভাষা : ইংরেজি, হিব্রু, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, পলিশ
পরিচালনা : স্টিভেন স্পিলবার্গ
মূল উপন্যাস : টমাস কেনেলি
মুভি হবার কাহিনীঃ
অস্ট্রেলিয়ান লেখক টমাস কেনেলি ১৯৮০ সালের অক্টোবর মাসে ইতালির সরেন্তোতে অনুষ্ঠিত একটি ফিল্ম ফেস্টিবল থেকে ফেরার পথে রিডো ড্রাইভের একটি লেদার-গুডস শপের এক কর্মচারীর কাছে অস্কার সিন্ডলারের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রথম শুনতে পান। সেই সত্য ঘটনার ভিত্তিতে তিনি লিখলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস “সিন্ডলার্স আর্ক” যা পরবর্তীতে বুকার পুরস্কারে ভূষিত হয়। উপন্যাস “সিন্ডলার্স আর্ক” এর ব্যাপক সাফল্যের পর ১৯৮৮ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ “সিন্ডলার'স লিস্ট” পরিচালনার প্রস্তাব নিয়ে রোমান পোলানস্কির কাছে যান, যিনি নিজেই একজন হলোকাস্ট সারভাইবার এবং তাঁর মা আউশভিৎজ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে মারা যান। কিন্তু তিনি সেই সময় “দ্যা পিয়ানিস্ট” নামের অন্য এক হলোকাস্ট সিনেমা তৈরিতে ব্যস্ত। অগত্যা স্পিলবার্গ নিজেই পরিচালনা করার মনস্থির করেন এবং বিনামূল্যে।
আরো কিছু তথ্যঃ
১। অস্কার সিন্ডলারের (৪টির মধ্যে) যে লিস্টটি নিয়ে মুভির কাহিনী বিন্যাস, ২০১৩ সালে তা ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ প্রাইসে ই-বে অকশনে উঠানো হয়েছিল।
২। এ ছবির ৪০ ভাগ শ্যূটিং করা হয়েছে হ্যান্ডি ক্যামেরায়। শুধু তাই নয়, স্পিলবার্গ ক্রেন, ট্রলি, জুম লেন্স, স্টেডিক্যাম এ সব জিনিসকেও বর্জন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, “এই সব কিছুর সহায়তা ছাড়া নিজেকে একজন চিত্রকর মনে হচ্ছে।” মুভির ১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে একটি মোমবাতি নিভে যাওয়ার মাধ্যমে সাদাকালোতে চলে যাওয়ার আইডিয়াটা অসাধারণ শৈল্পিক।
৩। শুরুর এবং শেষের দৃশ্য এবং লাল কোট পরা ছোট্ট মেয়েটি ও মোমবাতি জ্বালানোর দৃশ্যটি ছাড়া বাকী ছবিটি সাদাকালোয় চিত্রায়িত হয়েছে।
মেয়েটির কাহিনীঃ
৩ বছর বয়সের যে ফুটফুটে মেয়েটি (অলিভিয়া ডাবরোস্কা, Oliwia Dąbrowska) এই চরিত্রটিতে অভিনয় করেছে, স্পিলবার্গের সাথে তাকে শপথ করতে হয়েছিল যে, ১৮ বছরের আগে যেন সে এ মুভি না দেখে। কিন্তু অলিভিয়া ততদিন অপেক্ষা করতে না পেরে ১১ বছর বয়সেই মুভিটি দেখতে গিয়ে ভীষণ ঘাবড়ে যান ও ভয় পান (দ্যা গার্ডিয়ানের লিঙ্ক)।
নাৎসি বাহিনী যখন বার্লিন থেকে অর্ডার পায় যে, ক্র্যাকো-প্লাসজো কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সমস্ত বন্দীদের লাশ পুড়িয়ে ফেলা হোক তখন আমরা দেখি ট্রলিভ্যানে করে অন্যান্য লাশের সাথে সেই লাল কোট পরিহিতা ছোট্ট মেয়েটির লাশও নিয়ে আসছে পুড়িয়ে দেয়ার জন্য। এই দৃশ্যটি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। কিন্তু আসলে কী ঘটেছিল মেয়েটির ভাগ্যে?
লাল জামার এই মেয়েটির হঠাত উধাও হয়ে যাওয়ায় সবাই ভেবেছিল মেয়েটির ভাগ্যেও হয়ত মৃত্যুই জুটেছে। কিন্তু মেয়েটি বাস্তবে সারভাইভ করতে পেরেছিলেন এবং এখনো বেঁচে আছেন। তার নাম রোমা লেইব্লিং (পরবর্তীতে রোমা লিগোকা)। তিনি একজন লেখিকা, পেইন্টার ও কস্টিউম ডিজাইনার, থাকেন জার্মানিতে। পরবর্তীতে তার বই “দ্যা গার্ল ইন দ্যা রেড কোট” এ তিনি জানান যে, সেসময় তিনি ও তার মা ভিন্ন পরিচয়ের আইডি জোগাড় করে, পোশাক আর চুলের রং পাল্টে, ক্রিশ্চান শ্লোক মুখাস্ত করে এবং ধরা পরার কথা চিন্তা করে সাথে সায়ানাইড পিল নিয়ে শেষমেশ পালাতে সক্ষম হন এবং ম্যানুয়েলা কিরনিক নামের এক মহিলার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন। সেখানে তাদের সাথে দেখা হবে সারভাইভ করতে পারা আরেকজনের সাথে। তার নাম রাইমণ্ড লিবলিং। তিনি রোমা লিগোকা অর্থাৎ লাল কোট পরা মেয়েটির কাজিন। ঘেটো থেকে পালানোর সময় যিনি তার নাম পাল্টে রেখেছেন রোমান পোলানস্কি।
তথ্যসূত্র ও বিস্তারিত জানতেঃ
https://www.theguardian.com/film/2013/mar/04/schindlers-list-actor-traumatised-by-film
http://mentalfloss.com/article/69150/14-fascinating-facts-about-schindlers-list
http://en.wikipedia.org/wiki/Schindler’s_List
http://www.imdb.com/title/tt0108052/
https://en.wikipedia.org/wiki/Roma_Ligocka
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
chinmoy বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তথ্যগুলো জেনে মুগ্ধ হলাম।
ধন্যবাদ চিন্ময়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩১
chinmoy বলেছেন: স্বাগতম। আপনাকেও ধন্যবাদ ।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক ভালো লাগল।
+।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২
chinmoy বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৭
কালীদাস বলেছেন: ফ্রাউলিন লেইব্লিং কে দেখে এত বয়ষ্ক মনে হয় না।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
chinmoy বলেছেন: হু, তার রিসেন্ট ছবি না মনে হয় এটা। গুগলে আর বয়স্ক ছবিও আছে দেখলাম।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
জেন রসি বলেছেন: স্পিলবার্গ পোলানস্কিকেই মুভিটা পরিচালনা করতে বলেছিলেন। কিন্তু পোলানস্কি করেননি।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
chinmoy বলেছেন: হ্যাঁ। পোলান্সকি ছাড়াও স্পিলবার্গ এই মুভিটি নিয়ে সিডনি পোলাক, মারটিন স্করসেসি ইত্যাদি আরও আনেকের কাছেই যান। এমন কি প্রযোজক ও কাস্টিং বাছাই করতে গিয়েও অনেকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার