নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাঁচ বছরঃ কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি ভারত (পর্ব-২)

০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫



স্বাধীনতা উত্তর সব সরকারই কম বেশী ভারত তোষনে ব্যস্ত ছিল, দেশ উজাড় করে ভারতকে সব ঢেলে দিয়েছে। বিএনপি, জামাত ও ভারতের সাথে গোপন আঁতাতে ব্যস্ত। এত ব্যস্ততা দেশের স্বার্থে নয় শুধু দল ও ক্ষমতার স্বার্থে। ভারতের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে কিছু লাশ এবং দেশের অফুরন্ত সম্পদ ও সম্ভাবনাকে ভারতের মুখে তুলে দেয়া ছাড়া কিছুই পায় নি।



প্রথম পর্বের পর..................



২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও ২০১১-তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের উদ্যোগ প্রচারণা পায়। কিন্তু বাংলাদেশের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও ভারত অংশে গিয়ে বিষয়গুলো থমকে যাচ্ছে। ফলে আলোর মুখ দেখছে না প্রতিশ্রুত ইস্যুগুলোর। অন্যদিকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট বা বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রফতানিতে শুল্ক কমানো বা বিদ্যুৎ রফতানির মতো নিজ স¦ার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোয় ভারত ছিল সোচ্চার। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে বেশকিছু পণ্য পরিবহন করেছে ভারত। আর ভারতের বিপক্ষে সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার না করতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে বাংলাদেশ।



ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অশুল্ক বাধার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিন ধরে অর্থ পরিশোধ না করার মতো ঘটনাও রয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি। ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশী হত্যা, অপহরণ বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।



এদিকে লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ভারতের ৮০ কোটি ডলার ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতিও থমকে আছে। গত পাঁচ বছরে ছাড় হয়েছে মাত্র ১০ কোটি ডলার। অর্থছাড় না হওয়ায় এ ঋণের আওতায় নেয়া প্রকল্প অনুমোদনের জটিলতা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দেশটির ক্রয়-সংক্রান্ত শর্ত। দুই দেশের চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে এর অগ্রগতি।



অপরদিকে বাংলাদেশকে নদী ইস্যুতে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখছে না ভারত। বারবার প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এর কোনো বাস্তবায়ন করছে না। ভারতের এই কথা না রাখার প্রতারণায় আন্তর্জাতিক কোনো নদী বিষয়ক সংস্থার উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে জোর দিচ্ছেন দেশের বিশ্লেষকরা।





প্রথম পর্ব।

============ চলবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.