![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net
লেসিথিন নামক একটি উপাদান প্রায় অনেক খাবারে ব্যবহার হয়। এটি একটি ইমালসিফায়ার। ইমালসিফায়ার কি জিনিস তা একটু বলা প্রয়োজন। যেমন পানির সঙ্গে তেল মিশে যায়না, কিন্তু যদি ইমালসিফায়ার যোগ করা হয় তাহলে সহজেই তেল পানির মিশ্রণ ঘটবে। যখন কোন খাবারে বিভিন্ন রকম উপাদান থাকে তখন সবগুলো উপাদান নিজেদের মধ্যে যেন ভালোভাবে মিশে যেতে পারে সে কারণে লেসিথিন ব্যবহার করা হয়। ক্যন্ডি বার তৈরি করার সময় যেন কোকা এবং কোকা বাটার ভালোভাবে মিশতে পারে তাই লেসিথিন ব্যবহার করা হয়। বেকারী প্রোডাক্ট তৈরি করার সময় খামির যেন লেগে না যায়, সে কারণেও লেসিথিন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়াও টি বেগ, সালাদ ড্রেসিং, কাশির লজেন্স ইত্যাদিতেও লেসিথিন ব্যবহার করা হয়।
লেসিথিন প্রথম আবিষ্কার হয় ডিমের কুসুম থেকে। বর্তমানে লেসিথিন প্রাণিজ এবং উদ্ভিদ উভয় উৎস থেকে তৈরি হয়। প্রাণিজ লেসিথিন তৈরি হয় প্রাণির কলিজা, মগজ ত্থেকে। কিন্তু সবচেয়ে বেশী লেসিথিন তৈরি হয় সয়াবিন থেকে। সয়াবিন বলতে সয়াবিন তেলের যে উৎস সেই একই উৎস। এই উৎস সহজ এবং সস্তা। প্রাণিজ উৎস থেকে ব্যবহৃত লেসিথিন সন্দেহযুক্ত, কেননা সেখানে লেসিথিনের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়া নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু উদ্ভিদ লেসিথিন হালাল। অনেক খাবারে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে ভেজিটেবল লেসিথিন বা সয়া লেসিথিন, লেসিথিন (ভেজিটেবল সরটেনিং) ইত্যাদি। লেসিথিন শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিছু নয়। লেসিথিন এ পাওয়া যায় ফসফোরিক এসিড, কোলিন, ফ্যটি এসিড, গ্ল্যীসারল, গ্লাইকোলিপিডস, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ফসফোলিপিড ইত্যাদি।
মূল পোস্টঃ এখানে
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
মাটির কথা বলেছেন: লেসিথিন প্রাণিজ এবং উদ্ভিদ উভয় উৎস থেকে তৈরি হয়।
যদি সেটা হারাম কোন প্রাণী থেকে তৈরি হয় , তাহলে তা হারাম হবে।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: শুকর থেকেও লেসিথিন তৈরী হয় । এগুলো হালাল না। খাওয়ার আগে জেনে নিবেন এনিম্যাল ফ্যাট , গ্লিসারয়েড, সর্টেনিং, ইমালসিফায়ার, লেসিথিন এসব আছে কি না ।
গুড়া দুধেও লেসিথিন দেয় । নিডোতে সয়া লেসিথিন উল্লেখ থাকে । গুড়া দুধের আরো বড় সমস্যা হল মিল্ক ফ্যাট তুলে নিয়ে বাটার বানায়, টারপর আবার বাড়তি ফ্যাট যোগ করা হয়, এটা আবার এণইম্যালও হতে পারে, ভেজও হতে পারে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৩৮
মাটির কথা বলেছেন: সহমত।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮
সরকার আলী বলেছেন: প্রাণিজ উৎস থেকে ব্যবহৃত লেসিথিন সন্দেহযুক্ত, কেননা সেখানে লেসিথিনের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন হওয়া নিয়ে সন্দেহ আছে।
ঠিক ঠাহর করতে পারলাম না। মেহেরবাণী করে ব্যাপারটা যদি খোলাসা করতেন তাহলে কতই না ভাল হতো।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৪১
মাটির কথা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যের জবাব দ্রষ্টব্য।
তবে কোন মৃত পশুর থেকেও তৈরীকৃত লেসিথিন হারামের অন্তর্ভূক্ত হবে যদি পশুটি হালাল পশু হোক না কেন।
একারনে উদ্ভিজ লেসিথিন ব্যতীত অন্য প্রাণীজ লেসিথিন এড়িয়ে চলাই উত্তম।
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
হেডস্যার বলেছেন:
সব প্রোডাক্ট ধরে ধরে লেসিথিন আছে কি না খুজে বের করে বর্জন বা গ্রহন করা কি সম্ভব?
দুশ্চিন্তায় ফালাইলেন।
বিদেশ থেকে আনা চকলেট বা চর্বি জাতীয় খাবার খাই না হারাম এর ভয়ে।
আর এখন আবার লেসিথিন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
মাটির কথা বলেছেন: পন্যের গায়ে উপাদানসমূহ লিখা থাকে। তা দেখে বুঝা যাবে।
আর সন্দেহ হলে এড়িয়ে চলাই ভালো।
মু’মিন ব্যক্তির অন্যতম বৈশিষ্ট্য সন্দেহযুক্ত বিষয় এড়িয়ে চলা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
হেডস্যার বলেছেন:
হালাল হারামের কথা কেন আসল?