![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালবাসি লেখালেখি লেখা আমার পেশা ও নেশা ঘৃনা করি হলুদ সাংবাদিকতা
দিন যত ঘনিয়ে আসছে সরকারী দলের প্রার্থীদের পরাজয় তত নিশ্চিত হয়ে উঠেছে। হিসাব কিতাব করে বড় গোলমালে পড়ে গেছে আম্লীগ। কি করি কোন দিকে যাই - বড় দিশাহারা অবস্থা! সুষ্ঠু ভোট হলে সরকার বিরোধীরা ৪টিতেই জিতবে, এটা এখন সবাই বিশ্বাস করেন। রাজশাহী ও বরিশালে ভোটের ব্যবধান হবে বিরাট। খুলনাতে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে জামায়াত ও হেফাজত কোমড় বেধে নেমেছে, অথচ জাতীয়পার্টির প্রার্থীর কল্যানে তালুকদার খালেককে ব্যাপক হারের সম্মুখীন হতে হবে। সিলেটে আরিফের পক্ষে বিজয়ের রব উঠেছে। আম্লীগের প্রেসিডিয়াম নাসিম সাহেব সে গুজবের দিকে জনগনকে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন! মোট কথা ২০ বছরের রাজত্বহারা হচ্ছেন এবার কামরান।
৫ মে পরবর্তী বিএনপির খুব নাজুক সময়ে ৪ সিটির নির্বাচন ঘোষণা করে সরকার সুবিধা নিতে চেয়েছিল। আম্লীগ ধরে নিয়েছিল যেহতু বিএনপি তত্বাবধাযক সরকারের দাবীতে আন্দোলন করছে, তাই বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করবে। তাহলে নির্ঘাত ওয়াক-ওভার পাবে সরকারী দল। আর নেহায়েত যদি বিএনপির স্থানীয় নেতারা ইলেকশনে আসেও, তবে কেন্দ্রের খারাপ পরিস্থিতিতে হয়ত দল আর তেমন এগিয়ে আসবে না। মোট কথা ২০০৮ সালের মত একটা নির্বাচন আশা করেছিল আম্লীগ। কিন্তু বিএনপি যে এত জোরালোভাবে ইলেকশনে নামবে, বিশেষ করে জোটবদ্ধ হয়ে সকল কোন্দল মিটিয়ে সর্বশক্তি নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে, এটা ছিল সরকারের কল্পনারও বাইরে। বরং কার্যত দেখা যাচ্ছে, সরকারী জোটে বিভেদ ও বিদ্রোহী প্রার্থী। খালেদা জিয়ার এমন স্মার্ট গেমে হতবাক হয়ে গেছে আম্লীগ ও মহাজোট!
সরকারী দল ৪ সিটিতে হেরে গেলে ভীষন বিপদে পড়ে যাবে সরকার। বলা চলে, সরকারে থাকার আর কোনো ম্যান্ডেটই থাকবে না। দেশের মানুষ তথা বিদেশীদের কাছে মেসেজ চলে যাবে- আম্লীগের ভয়ানক বিদায় আসন্ন। ওদের নেতা কর্মীরা মুষড়ে পড়েবে, অনেকে বিদেশমূখী হবে। পুলিশ-আর্মি সহ সকল বাহিনী পরিস্কার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে। সরকারী প্রশাসন ও কর্মকর্তারা ভবিষ্যত সরকারের লোকদের সাথে যোগাযোগ তৈরী করে সামনের দিনে ভালো থাকা নিশ্চিত করতে চাইবে। সে ক্ষেত্রে বাকী চার মাস সরকার কেবল থাকবে ভেন্টিলেটরে!
আর যদি কারচুপি করে ২/১ টা মেয়র ছিনিয়ে নিতে চায় সরকার, তবে মিডিয়া ও ইলেক্ট্রনিক্সের চরম ব্যবহারের ফলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা সমধিক। সেক্ষেত্রে এইসব উপাদান সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঘৃতাগ্নি ঢালার সামিল হবে। অতপর এই বিষয়টি নিশ্চিত হবে যে, সরকার সামনের নির্বাচন জোরজরদস্তি করে কেটে নিতে চায়। ”গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়” তেমন চাপাবাজি নিয়ে দেশী-বিদেশী কারো কাছেই আর সরকার দাড়াতে পারবে না সরকারী দল।
ভোট সুষ্ঠু হলে হেরে গেলেও সরকার আবার বলতে চাইবে যে, আম্লীগ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। কাজেই হাসিনার অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে বিএনপি যেনো আর আপত্তি না করে! কিন্তু মুশকিলটা অন্যত্র- বিএনপির কাছে হাসিনাকে বিশ্বাস করার মত কোনো নূন্যতম কারন নাই! আর তাই সিটি কর্পোরেশনের বিজয় বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনকে জোরদারই করবে। নবউদ্যমে ১৮ জোট কর্মীরা শেষ পর্যন্ত এটা আদায় করেই ছাড়বে। মোট কথা, সিটি নির্বাচনে বিরোধী দল হারলেও লাভ, জিতলে ডবল লাভ। আর সরকারের প্রার্থী জিতলেও সামনে বিপদ, হারলে মহাক্ষতি!! এখন কি করবে সরকার?
সব মিলিয়ে সরকার এখন মহা দোটানায় পড়ে নিজেদের সর্বনাশের মাত্রা মাপছে! সরকারের লোকেরা এতদিন যে জনপ্রিয়তা নামক বৃক্ষটিতে নিজেরাই কুঠাঘাত করছিল, তা ছিল তাদের দৃষ্টির বাইরে। শেষ সময়ে এসে এখন তা ভূপাতিত হওয়ার অবস্থা। জনপ্রিয়তার এ নাজুক পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে দেশের মানুষ যখন সরকারকে ’নাস্তিকদের দোসর’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে এবং শাপলা চত্তরে গণহত্যার পরে সারা দেশে সাধারন মুসলমানরা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সে সময় এমন গুরুত্বপূর্ন সিটি কর্পোরেশনগুলোর নির্বাচন দেয়ার যৌক্তিকতা অনেকেই খুঁজে পাচ্ছে না! জনবিচ্ছিন্ন মন্ত্রীবাহাদুরদের ভাবনা ছিল, ’মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি’ আর ’যুদ্ধাপরাধ বিচার’ নিয়া জনগন সরকারী দলের পক্ষে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কিন্তু দেশ যে ’আস্তিক আর নাস্তিকে’ বিভাজিত হয়ে গেছে- সংখ্যাগুরু মানুষের মনের এই ভাবনাটি ’প্রতিবেশী ও বাম নিয়ন্ত্রিত’ সরকার বুঝতে অক্ষম। বাস্তব অবস্থা না বুঝে নির্বাচন দেয়ার খেসারত গুনছে এখন মহাজোট, অনেকেই বলছেন এর চেয়ে বরং নির্বাচন না দিয়ে আগামী সাধারন নির্বাচনে বর্তমান মেয়রদের প্রভাব কাজে লাগাতে পারত। সব মিলিয়ে সিটি নির্বাচন দিয়ে বিরোধী দলকে বিপদে ফেলতে গিয়ে লাভ-লসের হিসাবে সরকারের নিজেরই এখন নাক-কাটা পড়ছে!!
২| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
গেস্টাপো বলেছেন: সরকারের পরাজয়ের অপেক্ষায় আছি।আমার বিশ্বাস গোপালগঞ্জ,ফরিদপুর যেটা আওয়ামী লীগের স্থায়ী ঘাটি সেখানেও নির্বাচন দিলে তারা পরাজিত হবে।যে আচিপের (বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিকের) জন্য সরকার এত কিছু করলো তাদের ভোট সরকারের চাওয়া উচিৎ।তাদের লজ্জা থাকলে যেন আর ৯০% মুসলিমের ভোট না চায়।বাকি ১০% তাদের ভোট দিয়ে ক্যামনে জেতাক তা আমিও দেখি
৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩
জহির উদদীন বলেছেন: হাম্বালীগ লুংগি উচা কইরা পলাইবো......
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ভাই ফেরাউন এত সহজে ক্ষমাতা থেকে নামে নাই....
এই সরকার ও ফেরাউনে ছায়া দেখা যায় মনে হয়.....
সহমত
৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪
কামের কথা কন!! বলেছেন: ভারতের এই পা চাটা কুত্তা মার্কা সরকার যেন আগামি ৪০ বছর আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। আমাদের এখন নতুন কিছু খুঁজে বের করার সময় আসছে চেয়ে চেয়ে আর কতদিন আবাল বাঙালি দেখবে!!! ???
৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
নিষ্কর্মা বলেছেন: যুদ্ধাপরাধি পরাশ্রয়ী-পরজীবি জামাতের উপর নির্ভরতা যদি বিম্পি কমাইতে পারত, তা হলে শেখ হাসিনা অন্তর্বতীনকালীন সরকারের প্রধান থাকলেও আম্লীগ হারত। জামাত নির্ভরতার কারনে বিম্পি ঠেকে যাবে আম্লীগের কাছে। শুধু জামাতকে কোলে-পিঠে করে পার করার জন্যই বিম্পি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। সে কারনেই এরশাদও আম্লীগে ঘাড়ে ভর করতে পারতেছে।
আমাদের রাজনীতির এই দুই আগাছাকে আগে বিদায় করতে হবে, এরপরে শুধু আম্লিগ আর বিম্পি খেলুক। ওরা চোর-ডাকাত হৈলেও জামাত-এরশাদের মত খারাপ না।
৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মাইন রানা বলেছেন: দেশকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর বিপক্ষের শক্তি এই দুইভাগে বিভক্ত করতে গিয়ে দেশ যে আস্তিক আর নাস্তিকে বিভক্তে হয়ে গেছে সেটা সরকার টেরও পায়নাই, পাত্তাও দেয় নাই।
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি বলে কিছু নাই গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া। বাংলাদেশে নাস্তিকদের সংখ্যাও বেশী নাই কয়েকটি মিডিয়া নির্ভর চুচীল ছাড়া।
৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
মদন বলেছেন: যেখানেই হারের সম্ভভবনা আছে সেখানে জোর করে হলেও আওয়ামীলীগ জিতবে। বাধা দেয়া তো দূরের কথা প্রতবাদ করার ক্ষমতাও বিএনপির এখন নাই। এটি আওয়ামীলীগ ভালো করেই জানে। কাজেই নির্বাচন নিয়া তাদের কোনোই টেনশন নাই।
জয় বাংলা, খেতা বালিশ সামলা।
১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
চিন্তিত দার্শনিক বলেছেন: ১০০% সহমত
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ভাই ফেরাউন এত সহজে ক্ষমাতা থেকে নামে নাই....
এই সরকার ও ফেরাউনে ছায়া দেখা যায় মনে হয়.....