![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাহবুবুল আলমের জীবন সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত জন্ম ও বংশ: কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট ও শিক্ষাবিদ মাহবুবুল আলম, ১৯৫৯ খ্রীষ্টাব্দের ১ জানুয়ারী, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মোল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিনী রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম তাঁদের ষষ্ঠ সন্তান। শিক্ষা: স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে, তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। লেখালেখি: সত্তর দশকের গোড়ার দিকে তিনি সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রিকা সাময়িকীতে ছড়া, কবিতা গল্প ফিচার লিখে তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটান। সাথে সাথে সাহিত্যাঙ্গণের সম্পাদক হিসাবে মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ ‘প্রসূন’ সম্পাদনা করেন। একজন শিক্ষাবিদ হিসাবে দেশের শিক্ষা বিস্তারেও তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন-সানমুন ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজ, হলিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মিশো মিউজিক কেয়ার প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা: ৩৮। উপন্যাস-৮, কাব্যগ্রন্থ-৯, ছড়ার বই-৩, কলাম সমগ্র-৫, নাটক-৭, গবেষনা-২, শিশুতোষ-২, প্রবন্ধ-নিবন্ধ-২টা। পুরষ্কার: সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮) সংশপ্তক বঙ্গবীর ওসমানী পদক, অলইন্ডিয়া চিলরেন্ড লিটারারী ফউন্ডেশন ‘উৎপল হোমরায়’ স্মৃতি পুরস্কার-২০১২ ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা সন্মাননা-২০১২, দুইবাংলা কবিতা উৎসব সন্মাননা-২০১৩, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা সন্মাননা-২০১৩সহ বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
মাহবুবুল আলম //
আমরা যে যখন যেভাবে পারি আমাদের পুলিশকে গালমন্দ করি, তাদের নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলি সুযোগ পেলেই তাদের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করি। কিন্তু ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পরিচালিত ইতিহাসের কলঙ্কজনক ‘অপারেশন সার্চলাইটেও’ প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে সামিল হয়েছিল রাজারবাগের পুলিশ ব্যারাকের পুলিশ বাহিনী এবং সারাদেশের থানাগুলো বিদ্রোহ করেছিল পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে। পুলিশ বাহিনীর সেই সাহসে বলিয়ান হয়েই পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অসম মুক্তিযুদ্ধে সামিল হায়েছিল দেশের মানুষ। তারপর সর্বহারা সন্ত্রাসী, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে জঙ্গি উত্থানের প্রতিকূল সময়ও আমাদের পুলিশবাহিনী তা প্রতিরোধ করে দিতে সক্ষম হয়।
আমরা যখন তখন জঙ্গি-বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীদের মতো বলি পুলিশ দুর্নীতিবাজ, পুলিশ এই, পুলিশ সেই। তাহলেতো পুলিশের প্রতি সুবিচার করা হলোনা। বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিদের সেটা বলার কারণও আছে, কেননা, বাংলাদেশে গতবছর বিএনপি-জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিদের অবরোধের নামে টানা ৯৩ দিনের যে, জ্বালাও পোড়াও, পেট্টোলবোমার অগ্নিসন্ত্রাস ১২০ জনের মতো মানুষকে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারার যে নৃশংস খেলায় মেতে ওঠেছিল তা কিন্তু কয়েকজন সহকর্মীর জীবনের বিনিময়ে পুলিশই রুখে দিয়েছিল। পুলিশের তৎপরতার জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। তাই পুলিশের ওপর তাদের এত আক্রোশ। আর ১লা জুলাই গুলশানের হলি অর্টিজান হোটেলে প্রায় পঞ্চাশজন নিরপরাধ দেশি-বিদেশীকে জিম্মি করে বাংলাদেশী তিনজনসহ যে ২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো তার প্রথম প্রতিরোধেই কিন্তু জীবনবাজী রেখে এগিয়ে এসেছিল আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা।
আমরা সকলেই ইতমধ্যে জেনে গেছে যে, জানি১ জুলাই যখন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ঢুকে পড়েছে বলে খবর আসে তখন একযোগে পাঁচ থানার ওসির কাছে খবরটি পৌঁছানো হয়। ওয়্যারলেস সেটে ওসিরা একে অপরকে দোস্ত সম্বোধন করে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে নিজেরাও রওনা দেন। জীবনে বহুবার অসীম সাহসিকতা দেখিয়ে পুরস্কৃত বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং পরক্ষণেই আরেক দুর্ধর্ষ ডিবি অফিসার রবিউল তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে জঙ্গীদের তোপের মুখে পড়েন। দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের দল মনে করেছে, রমজান মাসের সাধারণ ডাকাত দল হয়ত হামলা করেছে এবং পুলিশ ও ডিবি দেখলেই তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নিবৃত্ত হয়ে যাবে, যা সাধারণত অন্যান্য ক্ষেত্রে অহরহ ঘটছে। দুই পুলিশ কমকর্তা এতটুক আঁচ করতে বা বুঝতেই পারেননি যে, জঙ্গীরা বিভিন্ন দেশে যে কায়দায় হোটেল-রেস্তরাঁয় জিম্মি ও হামলা করে সহিংস সন্ত্রাসের মাধ্যমে রক্তাক্ত ঘটনা উপহার দিয়ে যাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতেও। তাই সেদিন রাতে এসি রবিউল ও ওসি সালাউদ্দিন, দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের দল নিয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির সামনে যেতেই এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও গ্রেনেড-বোমা ছুড়তে থাকে জঙ্গীরা। জঙ্গীদের গ্রেনেড-বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতেই প্রথমেই গুরুতর আহত ও পরে নিহত হন ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম, বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন।
সেই দিনের সেই ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনায় আহত গুলশান থানার পুলিশের এসআই ফারুক হোসেন গণমাধ্যমের সাথে যে সাক্ষাতকার দেন তা আমাদের পুলিশের পেশাদারীত্বের নিদর্শণ হিসেবে এখানে তুলে ধরা হলো। এবং তা তোলে ধরা হলো এসআই ফারুক সাহেবের জবানীতেই ‘শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার পর গুলশান থানার একটি টহল টিম দায়িত্ব পালন করছিল গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনের পাশে। হঠাৎ গুলশান থানার ওসি ওয়াকিটকিতে বার্তা পাঠান লেকভিউ ক্লিনিক আক্রান্ত হয়েছে। এই বার্তা পাওয়ার পর এক মুহূর্ত দেরি না করে ছয় সদস্যের টহল টিম নিয়ে সেখানে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন, মূল গেটের ভেতরে একজন আহত হয়ে পড়ে আছেন। তিনি জানালেন, ভেতরে অনেককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়েছিল একটি প্রাডো গাড়ি। পুলিশের টহল গাড়ি দেখার পরপর সেটা দ্রুত পালিয়ে গেল। হোটেলের ভেতর থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্তও পালানোর চেষ্টা করছিল। গাড়িটি সম্ভবত তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি শুরু হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গ্রেনেডের আঘাতে প্রথমে দু’জন কনস্টেবল আহত হন। তারপরও তাদের লক্ষ্য করে আমরা গুলি ছুড়তে থাকি। তখন তারা রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। এ সময়ে ওয়াকিটকিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর দিই। সবাইকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট নিয়ে আসতে বলি। জঙ্গিদের অন্তত পাঁচ সদস্যকে দেখেছি আমি। দু’জনের কাছে ব্যাগ ছিল। সবার কাছেই ছিল অস্ত্র। পুলিশের পরবর্তী টিম আসার আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে আমরা কিছু কৌশল নিয়েছি। আমাদের আগে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো দল পৌঁছেনি। দু’জন কনস্টেবল আহত হওয়ার পর তাদের কাছে থাকা শটগান নিয়ে কিছুক্ষণ পরপরই গুলি করতে থাকি। যদিও আমার কাছে পিস্তল ছিল। শটগানের গুলি ছুড়লে বিকট শব্দ হয়। তাই বন্দুকধারীদের আতঙ্কিত করতে শটগানের গুলি ছুড়ি। যাতে তাড়াতাড়ি গুলি শেষ হয়ে না যায় তাই কিছু সময় পরপর থেমে থেমে গুলি করেছি। পুলিশের অন্য টিম আসার পর ফারুকসহ আহত অন্যদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গির হামলার পর পালিয়ে যেতে চেয়ে ছিল। সেই সময় তাদের জন্য রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়েছিল একটি প্রাডো গাড়ি। পুলিশের টহল গাড়ি দেখার পরপর সেটা দ্রুত পালিয়ে গেল।
তার এ বক্তব্য ও সেদিনের পারিপাশ্বিক অবস্থা দেখে এটা মনে হওয়ার যথেষ্ঠ কারণ আছে যে, একদিকে শুক্রবার অন্যদিকে ঈদের ছুটি তারওপর তারাবীহ নামাজের কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকবে তাই অপারেশন করে পালিয়ে যাওয়া সহজ হবে। সেই কারণে জঙ্গিরা এ মোক্ষম সময়টাকেই বেছে নিয়েছিল। কিন্তু জঙ্গিদের এই সহজ ভাবনাকেই কঠিন করে তুলেছে পেশাদার হয়ে ওঠা আমাদের পুলিশবাহিনীর বীর সদস্যরা।
এইতো গেল গুলশান অভিযানের কথা। আর গতকাল পবিত্র ঈদের দিনে দেশের সর্ববৃহত সোলাকিয়া ঈদের জামায়াতের কাছাকাছি যে ঘৃণ্যতর জঙ্গি হামলা চালালো পুলিশ সদস্যরা যদি তাদের সহকর্মীদের জীবনের বিনিময়ে রুখে দিতে না পারতো, তা হলে যে কত বড় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতো তা ভাবতেই গা শিহরে ওঠে। ভয়াবহ ম্যাসাকারের পরিকল্পনা নিয়েই এ হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু ধীরে ধীরে পেশাদার হয়ে ওঠা আমাদের পুলিশ বাহিনীর বীর সদস্যরা নিজেদের জীবন দিয়ে আবারও তাদের পেশাদারীত্বের প্রমাণ দিয়ে গেল। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই সাম্প্রতিক সময়ে পর পর দুইটি পরিকল্পিত জঙ্গি হামলায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশের বীর সদস্যদের।
পরিশেষে বলতে চাই, রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ঝড়ঝ্ঞ্ঝা মাথায় নিয়ে, পরিবার পরিজনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত আমাদের পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে সব ধরনের নেতিবাচক কথা বলা, ও প্রচারনা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের সকলের উচিৎ তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের দেশে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে যত নেতিবাচক প্রচারনা চালানো হয় আর কোথাও তা হয়না। এতে পুলিশ বাহিনীর ওপর মনোস্তাত্বিক চাপ বাড়ে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়। আমাদের ১৬ কোটি মানুষের দেশে সীমিত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে পুলিশ যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, পৃথিবীর অন্য কোন দেশে তা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী যদি দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ না হয়ে দেশের কঠিন সময়গুলোতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না রাখতেতো তাহলে কবেই পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশও একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হতো।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৯
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: সময়োপযোগী একটি লেখা।আমাদের সবার আমাদের পুলিশ বাহিনি কে উৎসাহ দেওয়া উচিৎ।আমরা তাদের ভাল দিকটা দেখা ছেড়েই দিয়েছি।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪
হাকিম৩ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট তবে সে সময়ের পুলিশের কাজ আর এখনকার পুলিশের কাজ অনেক ব্যবধান ।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার অবস্থা, এখন সাধারন মানুষকে পুলিশদের সাহায্যে নামতে হবে। এটাই হবে জংগিবাদ থেকে মুক্তির সহজ উপায়।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
তানভীর হাসান খান বলেছেন: এই পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। উঁচু পর্যায়ে আমূল পরিবর্তন দরকার।
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আর ১লা জুলাই গুলশানের হলি অর্টিজান হোটেলে প্রায় পঞ্চাশজন নিরপরাধ দেশি-বিদেশীকে জিম্মি করে বাংলাদেশী তিনজনসহ যে ২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া হলো তার প্রথম প্রতিরোধেই কিন্তু জীবনবাজী রেখে এগিয়ে এসেছিল আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা।
২৮ জন কোথায় পাচ্ছেন? মাত্র কদিন আগে প্রায় ১৬ হাজার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছিল এই পুলিশ । মাইরের বদলে ২০ হাজার টাকা ডেমানড আর কেস হাল্কা করার প্রতিশ্রুতি ছিল পুলিশের । এবার পুলিশ মারা যাওয়ায় আমি সাধারন মানুষের ভেতর তেমন বা কোনই প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করিনি। এবার পুলিশ যা করেছে তা তার দেয় দায়িত্ব থেকে করেছে। সত্যের বাধ খুলে যাক ।
৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুলিশ অনেকদিন ধরেই ইমেজ সংকটে ভুগছে। সহসা কাটিয়ে উঠারও লক্ষণ নেই। এই তো মিতু হত্যাকান্ডের সন্দেহভাজনদের মেরে ফেললো। কদিন আগে জঙ্গি ফাহিমকে মেরে ফেললো। তারা যদি রহস্য বের করার আগেই মেরে ফেলে তাহলে আর কবে আর পেশাদার হবে?
৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
মূল-উপদল বলেছেন: সাধারন মানুষের কাছে এরম দু একটা ত্যাগের ঘটনা তেমন প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না, যেমন ধরেন ও সি সালাউদ্দীন মারা গেলো দেখেন কতগুলো লোক তাকে স্যালুট জানাচ্ছে তারচেয়ে বেশি মানুষ হাফ ছেড়ে বাচছে। পুলিশের অনেক সদস্যই আমজনতার স্যালুট পাবার যোগ্য, কিন্তু একজন খারাপ কর্মকর্তার জন্য কত শত মানুষের যে দুর্ভোগ হয় ভুক্তভোগী মাত্রই জানে।
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
নতুন বলেছেন: এটা বলতে পারেন যে আমাদের দেশী পুলিশ সন্ত্রাসীরা আক্রমন করার পরে তারা পালিয়ে না গিয়ে তাদের মোকাবেলা করেছে। এবং এটাই তাদের কাজ।
বত`মানের পুলিশের ইমেজ যতটা খারাপ হয়েছে সেটা ভাল করতে অনেক চেম্টা করতে হবে।
আপনি বলছেন পুলিশ প্রফেসনাল????><< তাহলে ক্রসফায়ারে তাদের হাতে বন্দিরা মেরে ফেলে কেন??
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১৬
নিনজা টার্টল বলেছেন: পুলিশ ধীরে ধীরে পেশাদার হয়ে উঠছে ---তার মানে আগে এবং এখন অপেশাদার হয়ে আছে।
আহত পুলিশ সদস্য দের সাথে কথা বলে ওই ঘটনায় তাদের পেশাদারিত্ব দেখলাম তো।
১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২২
নিনজা টার্টল বলেছেন: ক্রস ফায়ারে মারাটাই প্রধান পেশাদারিত্ব, ওইটা করতে পারলেই তো হইল!---@নতুন
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৭
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
আপনি কোন কমেন্ট এর ই উত্তর দেননি । আশা করি দেবেন ।
এখানে অনেকেই পুলিশের নেগেটিভ দিকের কথা তুলে ধরেছেন ।
তাদের ই বলছি একবার পুলিশ ব্যারক এ গিয়ে খোজ করুন তাদের দিন যাপন । উত্তর পেয়ে যাবেন ।
১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেটের মন্তব্য সমর্থন করে আমি সরকারকে অনুরোধ জানাতে চাই অনুগ্রহ পূর্বক পুলিশের বেতন বাড়িয়ে দিন। ইইরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া বাদ দিলাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে পুলিশ বাংলাদেশ এর টাকার মাণ এ দেড় লক্ষ টাকার ও বেশী বেতন পায়।
১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০৪
নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: আওয়ামী দালাল ছাড়া আর কারো কাছে এই ঠোলা বাহিনীকে পেশাদার মনে হবার কোন কারণ নেই। গুলি করে মানুষ মারা একটা শিশুও পারে। অপরাধীকে জীবিত ধরে বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কাজ।
১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
নতুন বলেছেন: সরকারী চাকুরের মাঝে.... শিক্ষক, পুলিশ, নাস`, ডাক্তার ... মানে সেবা খাতের সবার খুবই ভালো বেতন থাকা উচিত....
এবং তার সাথে তাদের উপরে পুরুপুরি জবাবদিহিতার নিয়ম রাখতে হবে... সেবা না দিলে তাকে চাকুরি থেকে অব্যহতি এবং জরিমানা/জেল দিতে পারবে এবং দিতে হবে অপরাধীদের...
এটা উপরের থেকে আসতে হবে...
আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তার সাথের মন্ত্রীপরিসদ যতদিন পযন্ত দূনিতি মুক্ত হয়ে চেস্টা শুরু না করবে ততদিন কিছুই হবে না।
১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
পথিকের পাঁচালী বলেছেন: আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেখানে দুর্নীতি সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনী এর থেকে দূর থাকবে এ আশা করা বাতুলতা। এদের সমালোচনা অবশ্যই যেমন করা যায় তেমনি এদের কৃতিত্বের প্রশংশাও আমাদের করা উচিত।
শোলাকিয়ার জঙ্গিদের মুল টার্গেট ছিল ঈদের জামাতে হামলা ।জঙ্গিরা যদি এই লক্ষ লোকের সমাবেশে গ্রেনেড বা গুলাগুলি করতে সমর্থ হত তাহলে কি পরিমাণ লোক মারা যেত? গ্রেনেড বা গুলাগুলির কথা বাদ দেন। নিকট অতীতের জঙ্গি হামলার কারণে জনগণ যে পরিমাণে ভীতিকর পরিবেশে ছিল এই শোলাকিয়ার লক্ষ লোকের সমাবেশে যদি একটি পটকাও ফুটত তাহলে যে প্যানিক সৃষ্টি হত তার কারণে পদদলিত হয়ে কত লোক মারা যেত , আমরা সেটা একটু ভেবে দেখি। আমাদের পুলিশ বাহিনীর তৎপরতা কারণে তারা মুল ঘটনা স্থলে যেতে পারেনি। তাছাড়া ঘটনা ঘটে গেলে আমরা পুলিশ বাহিনীর সমালোচনা করি , তাদের গোয়েন্দা ব্যর্থতার সমালোচনা করি । কিনত তারা যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্বার করে , সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে তখন আমরা হাসাহাসি করি , উপহাস করি , ক্ষেত্রবিশেষে বিরোধী দলের লোক জন গ্রেফতার করছে বলে তার স্বরে চিৎকার করি , আর সুশীল প্রাণীরা (দুঃখিত) মানবাধিকার গেল গেল বলে মুখে ফেনা তুলেন।
১৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পুলিশ সম্পর্কে এরকম প্রেরণাদায়ী লেখার প্রয়োজন আছে। তারাও মানুষ। দু'টি ঘটনায় পুলিশ সত্যিই নিজেদেরকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
১৮| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
আল মাসুম ভাই বলেছেন: http://amraito.com/
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৪
আহলান বলেছেন: সাধারণ জনগন র সাথে পুলিশের সম্পর্ক আসলেই কি বন্ধুত্বপূর্ণ?