নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী কালচার আর বাঙ্গালী কালচার আলাদা নয় কেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৫

ইদানিং ইসলামী চিন্তাবিদদের যন্ত্রনায় বাংলা নববর্ষ উৎযাপনও বেশ হুমকির মুখে পরেছে, আমরা এটাকে হুমকির মুখে পরতে দিব না। আরা এটাকে পালন করব আমাদের কথা মত, ইসলামী চিন্তাবিদের কথায় তো আমরা চলতে পারি না। আমরা বাঙালী আমাদের নিজস্ব ব্যক্তিসত্ত্বা আছে, আছে সংস্কৃতি তাই চলতে পারি না আমার কোন মোল্লাদের কথায়।



এই উপমাহদেশে ইসলাম ধর্মের উৎপত্তি বা জন্ম নয় এর জন্ম আরবে তাই কেন আমরা আরবের কালচার মেনে চলে আমাদের ঐতিহ্য মূখোশ নাচগান রঙ্গলীলা থেকে বঞ্চিত হব। কথাগুলি আমার নয় আমাদেঙার তথাকথিত বালীর উৎসবের নামে রঙ্গলীলা জন্য তৈরী করা।



হ্যাঁ কথা কিন্তু সত্যা যে আমরা বাঙালী, আছে নিজস্ব কালচার। উপমহাদেশের ইতিহাস ঘাটতে গেলে আমাদের এলাকায় আর্য জনগোষ্ঠী বাস করত বলেই ইতিহাস বলে থাকেন (ভুলও হতে পারে কারণ বর্তমানে সব কিছুই গড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে)। যা হউক মুসলমান ছিল না এটা সত্য এবং কারো কোন বিরোধিতা করার কথা না। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় এদেশে আসেন ধর্মপ্রচারের জন্য বিভিন্ন জন যারা এসে এদশে ধর্ম প্রচার করেন এবং তাদের আদর্শে অভিভূত হয়ে দলে দলে সবাই মুসলমান বা ইসলামের ছায়া তলে আসেন পুরাতন ধর্ম ত্যাগ করে।

কোন কিছু ত্যাগ করে নতুন কিছু গ্রহন করা মানে আমরা সচারচর যেটা বুঝে থাকি যে, তার সব কিছু ত্যগ করা এবং নতুন রূপে নতুন কে গ্রহণ করে তার আদর্শ মেনে চলা, তার দিক নির্দেশনা মনে চলা। মুসলিম থাকলাম আবার বাংলী কালচার বলে আগের দিনের সং সাজা, অশ্লীল গান বাজনা করা, বেহায়াপনায় যদি করি তাহলে তো যেটি ছেড়ে দিলাম সেটিই কি গ্রহন করালাম না?

ইসলাম কখনও অশ্লীলতার অনুমোদন দেয় না বা সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ, সেইসাথে যৌবন প্রাপ্ত বা কামবাসনা আছে বা যাদের যৌনতায় আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এমন বয়সী ছেলে মেয়ের একত্রে মেলা মেশার অনুমোদন দেয় না। এটা ইসলামের বিধান বা নির্দেশ। এবার অনেকেই টেনে নিয়ে আসবেন সেই বিষয়গুলি যে গুলি সম্পর্কে ইসলাম কোন কিছু বলে নাই। -- একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার তা হল কি বলা নাই সেটা মূখ্য নয় যেটা বলা আছে সেটা পালনীয় অবশ্য কর্তব্য। --

ইসলাম আমাদের উৎসব হিসেবে দুটি ঈদ উপহার দিয়েছেন, সপ্তাহে একদিন জুম্মা (যেখানে আমরা সকল মুসলিম একত্রিত হতে পারি) উপহার দিয়েছেন সেখানে আমরা বাংলী উৎসবের দোহায় দিয়ে পূর্ব পুরুষের সেই সং সাজ, অবাধ মেলামেশা, অশ্লীল গান বাজনাই যদি করলাম তা হলে তো মুসলিম হওয়ার দরকার ছিল না। মুসলিম হতে হলে হয় তাকে সম্পূর্ণ মানতে হবে না হলে নাই। কিছু মানি কিছু মানি না এর কোন স্থান ইসলাম ধর্মে নাই। মুসলিম হয়ে থাকলে ইসলামিক কালচার হিসেবে ১লা বৈশাখে নফল নামাজ আদায় করেন, বেশী বেশী দান করেন, বিশ্ব শান্তির উন্নয়ন কামনা করে দোয় মাহাফিল করুন। বাংলী কালচার হিসেবে ১লা বৈশাখ পালন করতে হলে ইসলাম যে দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবে পালন করুন পূর্বপুরুষ যে পথে হেঁটেছে সে পথে নয়, যদি সে পথে হাঁটতে হয় তা হলে আগের অবস্থানে ফিয়ে গিয়ে পালন করাই উত্তম খামখো ইসলাম প্রিয়দের বিভ্রান্ত না করে।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০১

নাওেয়দ বলেছেন: পহেলা বৈশাখে গনজাগরন মঞ্চ মুক্ত শাহবাগ

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

চোরাবালি- বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

মুঘল সম্রাট বলেছেন:
এই আপনে কি কইলেন! যেইডা আমগো বাপ-দাদারা কইরা আসতেছেন সেই বৈশাখী পুজা আমরা ছাইড়া দিমু। আপনারা আসলেই আন কালচার্ড।

ইসলাম সর্ব সময় আধুনিক। আল্লাহ্ সব সময় সর্ব শক্তিমান।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

চোরাবালি- বলেছেন: বর্তমানে যেভাবে নববর্ষ উৎযাপন হয় সেটি গত ১৫-২০বছর আগেও ছিল না। ১৫/২০ বছর আগেও মিলাদ মাফফিল হত, গ্রামে গ্রামে দোয়া অনুষ্ঠান হতো। খাবার বিতরণ হত কিন্তু এখন হয় নাচ গান, মদ জুয়া যা ইসলাম কখনও এলাও করে না

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

দি সুফি বলেছেন: :) :)

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একটি দেশের সংস্কৃতি নির্ভর করে সেদেশের ভৌগলিক, অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর । আরবের ভৌগলিক কাঠামো আর আমাদের দেশের ভৌগলিক কাঠামো কি এক? আমাদের হালখাতার যে উৎসব সেটা কিন্তু অত্যন্ত ভালো একটা উৎসব। বাকি টাকা তোলার জন্য ঋণগ্রস্তদের খাওয়ানো। এটা সামাজিক বন্ধনের ও একটা ব্যাপার আছে। অনেক কিছুই আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। কট্টোর মুসলিমরা পহেলা বৈশাখসহ দেশিয় সব সংস্কৃতি বাদ দেওয়ার কথা বলেন। এতে মূলত গুয়া মারা খান তারাই।
পোশাক ও একটা সংস্কৃতি। আরবের আবহাওয়া অনুযায়ী তারা যে পোশাক পড়ে, প্রচণ্ড শীতের দেশের মানুষেরা নিশ্চয় ওই পোশাক পড়বে না।
ইন্দোনেশিয়া তো সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ। সেখানকার একজন মানুষের নামও আপনি ইসলামী নাম পাবেন না। ওরা ওদের সংস্কৃতি পাল্টায়নি।
আপনি যখন সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কট্টোর কোনো কিছু বলবেন, তখন ধর্মকেই আপনি অপমান করবেন। মানুষ সেটা নেবে না।

হিসাব করে দেখুন, হেফাজতে ইসলাম কট্টোর কথা বলে জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। তাদের দিয়ে যেসব দল ফায়দা নিতে চেয়েছে আমার মনে হয় তারাও কিছুটা গুয়ামারাই খেয়েছে।

দেশিয় সংস্কৃতি আর আরব সংস্কৃতি কোনোদিনই এক হবে না ভৌগলিক কারনে। এই বিষয়টা মাথায় রেখে কথা বলাই যুক্তি সঙ্গত।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

চোরাবালি- বলেছেন: ভৌগলিক সংস্কৃতিই যদি পালন করবেন তা হলে দেশের পূর্বপুরুষদের ধর্ম পালন করেন সমস্যা তো নাই। মুসলিম হলে মুসলিম কালচার মানবেন পালন করবেন এবং ইসলামে যেটি নিষিদ্ধ সেটা অবশ্যই পরিহার করবেন। কোন ভৌগলিকতার উদাহরণ দিয়ে নিষিদ্ধ জিনিস আপনি করতে পারবেন না।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

বিস্কুট বলেছেন: ইন্দোনেশিয়া তো সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ। সেখানকার একজন মানুষের নামও আপনি ইসলামী নাম পাবেন না। ওরা ওদের সংস্কৃতি পাল্টায়নি।

ইন্দোনেশিয়ার একজন শাসকের নাম আনোয়ার ইব্রাহিম। তার নামটা কি হিঁদু হিঁদু লাগে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

চোরাবালি- বলেছেন: আপনি কি ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম পালন করবেন না মুসলিম ধর্ম পালন করবেন?

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

চোরাবালি- বলেছেন: নামে হিন্দু মুসলমান নির্ধারণ করা আরেকটা বোকামি ছাড়া কিছুই না।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

বিস্কুট বলেছেন: বাঙালি সংস্কৃতি যদি ডান্ডি সংস্কৃতি হয় তাহলে বলতে হয়, সোনাগাছি ছাড়া যেমন ডান্ডিদের ইতিহাস বিচার করা যাবে না ঠিক সেভাবে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ডান্ডি সংস্কৃতি গ্রহণ করলে আমাদের পরিণতিও সেরকম হতে পারে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

চোরাবালি- বলেছেন: আপনি যদি ধার্মিক হন (যে ধর্মেরই হউন না কে) ধর্মই আপনার কাছে মূল সংস্কৃতি। ধর্ম আপনাকে যা করতে বলেছে করবেন, আর যেটি থেকে বিরত থাকতে বলেছে সেটি করবেন। এই বাইরে কিছু চিন্তা করার কোন কারণ নাই বা অপশন নাই।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: লেখক বলছেন, কোন ভৌগলিকতার উদাহরণ দিয়ে নিষিদ্ধ জিনিস আপনি করতে পারবেন না। ‘’

শুনুন এই কথাই যদি আপনি বলেন,তাহলে ইসলাম ধর্ম শুধু সৌদি আরবসহ ওই হট বেল্ট বাদে আর কোথাও প্রযোজ্য হয় না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

চোরাবালি- বলেছেন: তা হলে তো আপনার মুসলমান কেও হতে বলে নি। ধর্মের বিধানই যদি না মানতে পারেন তা হলে সে ধর্মের থাকার দরকার কি?

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: দুই একটা নাম থাকতে পারে। কিন্তু ইসলামী নাম রাখা হুলস্থুল ইন্দোনেশিয়াতে নেই।
আর আপনি যদি ভৌগলিক কাঠামো ইগনোর করেন তবে প্রচণ্ড শীতের দেশে জু্‌ব্বা পাঞ্জাবি পড়া কিভাবে সুন্নত হবে?? সেখানে তো গরম পোশাক পরিধানই সুন্নত হওয়ার কথা । তাই নয় কি? ভৌগলিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর সংস্কৃতি নির্ভর করে। এটাতো আপনাকে মানতেই হবে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: ইসলাম আপনাকে জুব্বা পানজাবি পড়তে বলে নাই বলেছে পড়া সুন্নত, নবীজি পরিধান করতেন তাই যদি আপনিও পরিধান করেন তা হলে ভাল না সম্ভব না হলে নাই। আপনাকে যে বিষয়গুলি করতে নিষেধ করা হয়েছে তা অবশ্যই পালন করতে হবে কোনরূপ দোহায় ছাড়া, স্বেচ্ছায় না পালন করতে পারলে সে ধর্মে থাকার অধিকার আপনার নাই।

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫

শিপু ভাই বলেছেন:
যে সকল কার্যকলাপ ইসলামের বিধিবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো বাদ দিয়ে সবই করা যায়!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: যেটি নিষিদ্ধ সেটা করা যাবে না মূল কথা এটা। কোনরূপ ভৌগলিকতার দোহায় সেখানে চলে না

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন: কালচার কেউ শিখায় না এমনিতেই বেড়ে ওঠে। বাংলাদেশে উলু দিলে হিন্দুয়ানি হয়ে যাবে কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে উলুর চর্চা আছে। আমাদের দেশের মতো ইসলামী সভা অন্য মুসলিম দেশে আছে নাকি?
কি জানি থাকতেও পারে। কিন্তু আমার তো মনে কীর্তনের বিপরীতে মিলাদ পড়ানোর নিয়ম চালু হইছে এদেশে। তাইলে বাঙালী মুসলমানের কালচার। আরব মুসলমানের কালচারের সাথে এটারে না মিলানোই ভাল।
ওরা রুটি খায়, জোব্বা গায় দেয়। ওটা আমাদের অভ্যাস নয়। পান্তা খাইয়াই কৃষক মাঠে যায়। অবশ্য চাউলের যে দাম তার বদলে রুটি খাইলে খাইতেও পারে।
শোনেন- কালচার হইলো নদীর স্রোতের মতো। নিজের মতোই যাবে। যদি বাধা দেন তাহলে পানি পচে গন্ধ ছড়াবে। মাঝখানে মানুষের একটা অভ্যাসকে নিয়মের জালে বন্দী করে ফ্যাসাদ না বাধানোই ভাল। এতে ধর্মের প্রতিও অনাসক্তি তৈরি হতে পারে। দেখেন না বাবা মা প্রেমে বাধা দিলে পোলাপাইন বাব মারেও অনেক সময় ছাইড়া যায়!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

চোরাবালি- বলেছেন: কালচার এবং ধর্ম এক জিনিস নয়। আমরা মধ্যপ্রাচ্যের ধর্ম পালন করি না। আমরা মুসলিম। মুসলিম ধর্ম যা করা জায়েজ আছে তাই করব না নিষিদ্ধা তা করা থেকে বিরত থাকব। কারো দোহায় দিয়ে ধর্মের নিষিদ্ধ জিনিস করা ধর্ম এলাউ করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.