নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যের টাকা যারা মেরে খায় তারাই তো সুশীল

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

হেড লাইনে কেও হাসবেন না বা বিরুপ মন্তব্য করবেন না দয়া করে জীবনের দীর্ঘদিন পর্যন্ত আমার এই ধারনা ছিল। ছোট বেলার আমাদের আঁখ বিক্রির টাকা দেননি ইক্ষু ক্রয় সেন্টারের ইনচার্জ সিআই (সেন্টার ইনচার্জ)। অনেক ঘোরাফেরা করেও আমার বাবা সর্বশেষ দুই গাড়ী (১গাড়ি = ১২০০কেজি ধরা হয়) আঁখের টাকা তিনি পেলেন না। পরবর্তীতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে গেলে বাবা বললেন এই সেই ব্যক্তি যে আমাদের টাকাদেন নি। তো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উনি যখন বক্তব্য দিতে উঠবেন তার আগে মাইকে ঘোষণা করা হল সুশীল ব্যক্তিত্ব --------- (আল্লাহ্ র কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী তাকে নিয়ে লেখার জন্য, কারণ তিনি এখন মৃত)। এরকম অভিযোগ শুধু আমার বাবার নন অনেকের বাবার ছিল।



ক্লাস ফাইব বা তার আগ থেকেই আঁখের গাড়ির সঙ্গে যেতাম। ক্লাস সেভেন বা এইটে যখন পড়ি সেই সময় আঁখ সেন্টারে গেলে আমার গাড়ীর পরে এসে আগে ওজন করাতে চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন। আমার গাড়ীর গাড়োয়ানকে উনি তুমি সম্বোধন করে বলে বসেন এই তোমাদের গাড়ি পড়ে দাও আমার গাড়ীটি আগে ওজন দিয়ে নেই। গাড়োয়ান মানুষ; সেখানে ভদ্রলোক আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যপার না, এগে এসেছে আগে ওজন করিয়ে গাড়ী খালি করে চলে যাবে এটাই শেষ কথা। কোন রকমে তাকে সাইড দিতে রাজি না হলে বেধে যায় তর্ক। আমাদের গাড়োয়ানকে যখন তুই/তুকারি শুরু করল তখন আকরে ছোট হলেও মেজাজ ঠিক রাখতে পারি নাই সেদিন। সোজা বলে বসলাম আমার গাড়ীগুলি ওজন না হওয়া পর্যন্ত তোমার গাড়ি তো দুরের থাক সেন্টারের মালিকের গাড়ী আসলেও ওজন হবে না। কথা না বাড়িয়ে গাড়ি লাইনে রেখে দাঁড়াও। ছোট মুখে বড় কথা শুনে থমকে যান আমার গাড়ীর গাড়োয়ান গুলি (সম্ভবন ৩/৪টি গাড়ি ছিল আমাদের)। বড় ভাই তো রেগে আগুন পারলে তুলে ছুড়ে মারবে, তত সময় গাড়োয়ানদের রক্ষিত লাঠি হাতে উঠে যেতে দেখে থমকে যান বড়ভাই এবং আমাকে বলেন তুমি এত ছোট স্কুলে পড়ো মাত্র আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমাকে তুমি -তুমি- করে বললে। আমি সর্বদায় ঠোটকাটা স্বভাবের বললাম কেন আপনি যে আমার লোকদের তুমি করে বললেন। যা হউক উনি অনেক ভাবে বোঝাতে চাইলেন যে আমি বেয়াদব। আমি অনেক চিন্তা করলাম যে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ে পড়লে কি তারা এক্সটা কোন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নাকি? কিন্তু কোন ফল না হলে ভাবলাম যে ওখানে যারা পরে তারা হয়তো এরকমই হয় যে অশিক্ষিত বড়দের সাথে তুই/তুকারি করে কথা বলে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

আহলান বলেছেন: জীবনের কিছু স্মৃতি শেয়ার করলেন আর কি!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

চোরাবালি- বলেছেন: আজকে এরকম একজন সুশীলকে দেখে মনে হল উনি আবার আমার দেখা সেই সব সুশীল নয়তো?

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

সাউন্ডবক্স বলেছেন: ++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

চোরাবালি- বলেছেন: আজকে এরকম একজন সুশীলকে দেখে মনে হল উনি আবার আমার দেখা সেই সব সুশীল নয়তো?

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

বাংলার হাসান বলেছেন: তত সময় গাড়োয়ানদের রক্ষিত লাঠি হাতে উঠে যেতে দেখে থমকে যান বড়ভাই এবং আমাকে বলেন তুমি এত ছোট স্কুলে পড়ো মাত্র আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমাকে তুমি -তুমি- করে বললে। আমি সর্বদায় ঠোটকাটা স্বভাবের বললাম কেন আপনি যে আমার লোকদের তুমি করে বললেন ;) ;) ;)

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৭

এল এইচ, জুয়েল বলেছেন: :-<

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.