নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ (২০/০৮২৪খ্রিঃ) পোষ্টটি দীর্ঘদিন পর আজ ড্রাফ থেকে মুক্তি দিলাম। ঐ শিক্ষাকা আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন ডিসিকে দিয়ে আমাকে সায়েস্তা করবেন বলে এবং আমার স্ত্রী'কে বাচ্চা সহ পরের ক্লাসে ভর্তির সময় ৩ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এই পোষ্টের কারণে। টিসিও দেয় নাই আবার ভর্তিও নেয় নাই এমন অবস্থা করে। পরবর্তীতে "সবুজ" ভাইয়ের অনুরোধ ভর্তি করে, তবে আমি আর ঐ শিক্ষিকার মত শিক্ষকের স্কুলে আমার ছেলেকে রাখি নাই, স্কুল ট্রান্সফার করেছিলাম।
আমার বাচ্চাটি আজ কিডনাপের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া তিনি রক্ষা করেছেন। কুমিল্লার মোটামুটি নামকরা স্কুল এ ক্লাস থ্রীতে অধ্যয়নরত। বাসা থেকে মাত্র ১০/১৫মিনিটের ওয়াকিং ডিসটেন্স আর রিক্সায় গেল ৫/৭মিনিট সর্বচ্চ। সকালে বাসার নিচ থেকে রিক্সা পাওয়া যায় এবং আসার সময়ও রিক্সা। বাসায় লোক থাকলে দিয়ে আসে এবং নিয়ে আসে। গত ৩/৪মাস অত্যন্ত স্বল্প সময়ের রাস্তা আর স্বাথ্যগত দিক থেকে ক্লাসের তুলনায় একটু বেশিই বৃদ্ধি হওয়ায় ফেরার সময় সে একাই ফিরে আসে রিক্সা করে। যথারীতি আজও ফিরছিল, কিন্তু রিক্সাচালক তাকে বাসার রাস্তায় না নিয়ে চলতে থাকে ভিন্নপথে। রাজগঞ্জ চত্তর থেকে দারগোবাড়ী রোডে না ঢুকে সে চলতে থাকে সোজা এবং তারপর বাক নেয় বাম দিকের গলিতে চানপুরের দিকে। তত সময়ে সে চিল্লাচিল্লি করতে থকে কিন্তু রিক্সাচালক চলতে চলতে। উপায়ন্ত না দেখে সে লাফ দেয় রিক্সা থেকে যার ফলে প্যান্ট ছিড়ে যায়, হাটু ছিলে রক্ত বের হতে থাকে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাসায় ফিরে। সকালের ফাকা রাস্তা থাকায় রিক্সাওয়ালাকে তাড়া করেও ধরতে ব্যর্থ হয় স্থানীয়রা।
বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত বিচেনায় স্কুলে পাঠানো হয় বাচ্চার মা সহ। কিন্তু প্রিন্সিপাল " নার্গিস বেগম" ব্যস্তাতার অজুহাত দেখিয়ে সময় না দিয়ে পাঠান তার সহকারীকে। তার সহকারী স্কুল গেটে দাড়িয়ে সব কিছু শোনেন এবং তার উত্তর স্কুলের বাইরে কি হল সেটা তাদের দেখার বিষয় না এবং সে দায়ও তাদের না। তাকে বলা হয় আপনাকে তো দায় নিতে বলা হয় নি, যাস্ট অবহিত করা। তার উত্তর সেটা তাকে অবগত হয়ে কি করবেন। দাড়োয়ানকে দেখিয়ে বলে আপনারা ব্চ্চা স্কুল গেটে দিয়ে যাবেন এবং স্কুল গেটে নিয়ে যাবেন। বাচ্চার গার্ডিয়ান গেলে তার সঙ্গে কথা বলতে হলে কোথাও বসতে দিতে হয় সে রীতিনীতিও নেই তাদের।
এবার আমাদের সময়কার (১৯৮৮-১৯৯৫) কথা বলি। বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে পরে গিয়ে সামন্য ব্যথা পেলেও শিক্ষরা টেককেয়ার বা যত্ন নিতেন। আমার মনে আছে, শামীম নামে আমার বন্ধুকে আমি মারি যেটা একটু জোড়েই হয়ে গিয়েছিল, সেটা ছিল ছুটির দিন এবং স্কুলের বাইরে তবুও শিক্ষরা আমাকে নিয়ে শাসন করে যেন ভবিষ্যতে এরূপ না করি। আমাদের যেতে হত রেল লাইন পার হয়ে, আমাদের প্রায়শই শতর্ক করা হত 'তিতুমির এক্সপ্রেস' (দ্রুতগামি আন্তনগর ট্রেন) নিয়ে যার সময় ছিল ১২-১০ থেকে ১২-২০এর মধ্যে। রেললাইনের পাথর ছুড়তে গিয়ে "আকতার" নামের একটি ছেলে মাথায় পাথর লেগে সামান্য কেটে যায় যার। ক্লাস টিচার নিজ দায়িত্বে তার ছাত্রকে বাসায় দেখতে আসেন। স্বভাবতই এসব শিক্ষদের প্রতি ছাত্র এবং ছাত্রের অভিভাক দুজনেরই শ্রদ্ধা হবে।
শ্রদ্ধা পেতে হলে কি জ্ঞান থাকা দরকার বা কি ধরনের ব্যবহার করতে হয় সে জ্ঞানই নেই বর্তমানে সময়ের শিক্ষকদের। সম্মান পেতে হলে নিজেকে সম্মানের পাত্র হিসেবে গড়ে তুলতে হয়। ভিন্ন পেশার মানুষেরা যেমন পয়সা উপার্জন করে বর্তমান সময়ের শিক্ষকেরাও ঠিক তেমনি শিক্ষা বেচে পয়সা উপার্জন ছাড়া অন্যকিছু জানে বলে আমার মনে হয় না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
চোরাবালি- বলেছেন: বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দেয়া উচিত ছিল এবং গার্ডিয়ানদের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচার অনন্ত করতে পারত। কিন্তু ব্যাপারটা তারা কোন গুরুত্বই দিলেন না। কোন দুর্ঘটনা হলে তখন শোক দেখানোর নামে কালো ব্যানারের সামনে পোজ দিয়ে দাড়িয়ে ছবি প্রকশ করে ক্রেডিট নিত।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
আধুনিক সভ্যতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২
চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: শিক্ষা এখন বিরাট একটা ব্যবসা আর শিক্ষকরা হলেন ব্যবসায়ী।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
চোরাবালি- বলেছেন: সঠিক বলেছেন ভাই। তারা ব্যবসা ছাড়া কিছু বোঝেন না। বিষয়টা কোন গুরুত্বই দিল না। যদি অঘটন ঘটে যেত তখন ব্যানারে ফটোশেসন করত
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
সুপারডুপার বলেছেন: কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল ও কলেজের সব শিক্ষকের -ই এই অবস্থা , অথবা শুধুমাত্র ঐ সহকারীর ব্যক্তিগত সমস্যা এটা । এই বিষয়ে ভেবে দেখেছেন কি?
কারণ আমাদের সময় ও সব শিক্ষকরা ভালো ছিলেন না। কিছু শিক্ষক ছিল অসৎ, রগচটা , সবসময় কুত্তার মত ব্যবহার করতো, অমানবিক ভাবে পিটাতো । এই ক্যাটাগরির শিক্ষকরা ছাত্রদের গরু ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করতে পারতো না । অন্যদিকে কিছু শিক্ষক ছাত্রদের পিতৃত্ব স্নেহে আদর ও শাসন করতেন । ১০০% শিক্ষকেরা ভালো ছিলেন, এটা বাংলাদেশে কোনো কালে ছিল বলে আমার বিশ্বাস হয় না।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
চোরাবালি- বলেছেন: ভাই যেহেতু বাচ্চা পড়ে তাই বেশি কিচু বলতে চাই না। সে সময়ে মেজরিটি ভালো ছিল আর এখন মেজরিটি খারাপ। প্রিন্সিপাল তো দেখায় করল না তা হলে বুঝব কিভাবে সমস্যা সহকারীর না প্রিন্সিপালের।
ব্যাপার হচ্ছে তারা বিষয়টি গুরুত্বই দিল না।
৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
একে৪৭ বলেছেন: লাস্ট লাইন...
আমরা সবাইকি একই রকম নই???
আমি বা আপনিও কিছু না কিছু বেচেই খাচ্ছেন।
শিক্ষকতা তাদের পেশা/প্রফেশন, এটা বেচেই তারা খায়, এটা বেচেই তাদের রুটি, চাল, ডাল কিনতে হয়, ঘড়ের ভাড়া দিতে হয়।
তাদের পেশাকে মহান বলে আপনি তাদের থেকে কাইন্ড অফ চ্যারিটি আশা করছেন!
যতদিন শিক্ষক/ডাক্তারদের থেকে চ্যারিটির আশা বাদ দিয়ে আরও বেশি পেশাদার হবার কথা বলতে না পারবেন, ততদিন এই সেক্টরগুলোতে আপনি ভালো কিছু পাবেন না।
আর তারা ভিন্ন কেউ না।
তারা কেবলই আরেকজন আপনি, আরেকটা আমি।
একটা দুইটা সেক্টরকে মুখে মুখে মহান বলে ফায়দা খোজার কোনো মানে নেই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২
চোরাবালি- বলেছেন: জ্বি বেচেই খাচ্ছি, আমরা সবাই কিছু না কিচু বেচে খাচ্ছি। শিক্ষকদের মত মুখে মহান পেশা, সম্মানজনক পেশা, মানব সেবার পেশা ইত্যাদি বলে বাণি তুলি না।
৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: প্রাচীন গ্রিসে সক্রেটিসের সময় থেকে আজকের এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে অনেক পেশা হারিয়ে গেছে, অনেক পেশার উত্থান ঘটেছে, কিন্তু শিক্ষকতা টিকে আছে তার সম্মানের জায়গায়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪
চোরাবালি- বলেছেন: মাঝে মধ্যে যখন শিক্ষকেরা থাবড়ানি খায় আমি মোটেও আশ্চর্য্য হয় না। সে তার চাত্রকে যেমন শিক্ষা দিয়েছে তার ছাত্র তাকে ঠিক তেমনই প্রতিদান দিয়েছে।
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বিষয়টিকে এভাবে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হয় নি। "্তর স্কুলের বাইরে কি হল সেটা তাদের দেখার বিষয় না এবং সে দায়ও তাদের না" কথাটা এভাবে না বলে, আন্তরিক ভাবে দেখা যেত। আমাদের সিস্টেমটাই এমন, বড় কিছু না ঘটলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে না।
রিক্সাওয়ালার ব্যাপারটা কাছের থানায় জানিয়ে রাখতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: চোরাবালি- ,
একদম শেষের প্যারাটিতে বর্তমানের শিক্ষকদের (ব্যতিক্রম বাদে) মূল চরিত্রটিই বলে গেছেন।