নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সব বাঁধা ভেঙ্গে এগিয়ে চলার প্রত্যয়ে...

লাল সূ্‌র্য

উদিত হচ্ছে

লাল সূ্‌র্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Daily Star ও এশিয়া ফাউন্ডেশান মতামত জরিপ ও কিছু কথা।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মানুষ আওয়ামীলিগ সরকারের কর্মকান্ডে খুশি, তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে অনিচ্ছুক। ( হোয়াট এ প্যারাডক্স )।







দৈনিক প্রথম আলো জনমত জরিপের পর এবার আসলো এশিয়া ফাউন্ডেশানের সয়াহতায় দ্যা ডেইলী ষ্টার পরিচালিত ওপিনিওন সার্ভে। ২রা নভেম্বর প্রকাশিত পত্রিকাটিতে জরিপ বিষয়ক প্রবন্ধটির শুরুতেই বলা হয়, আওয়ামিলীগ সরকার ভোটারদের কাছ থেকে কৃষি, বিদ্যুৎ সরবাহ, পাবলিক পরিষেবা বিতরণ ও আইন শৃঙ্খলাই ভূয়সী প্রশংসা কুড়ালেও ভোটের ব্যাপারে ৫৫ শতাংশই বিএনপি এবং মাত্র ২৮ শতাংশ আওয়ামিলীগ কে দিতে চাই। তবে বেশীভাগ (৪৭ শতাংশ, না ৪৪ শতাংশ) মানুষই নাকি ভাবছে দেশ সঠিক পথে চলছে।





জরিপ তার পরীক্ষা লব্ধ সমীক্ষা থেকে এই মর্মে প্রতীয়মান যে শাষন পদ্ধতি ও দূর্নীতিই নাকি সরকারের ওপর থেকে জনগণের আত্ববিশ্বাস হরণের মূল কারন। ৭৭ শতাংশ মানুষ নাকি তত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন চাই। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বড় অংশ ৬২ শতাংশ মানুষ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মুদ্রাস্ফিতিতে ৮০ মানুষের অভিযোগ আছে। মানবাধিকার বিষয়ে পরিস্থিতি উন্নতি লক্ষ্য করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড গত সরকারের তুলনাই কমেছে বলে ৫০ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে যেখানে ৩৭ শতাংশ মতপার্থক্য আছে। প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ আইনশৃংলা পরিস্থিতি উন্নতিতে সরকারকে উচ্চ নাম্বার দিয়েছে যার মধ্য ৪৭ শতাংশ মনে করছে অপরাধ প্রবণতা কমেছে যখন বাকি ১৫ শতাংশ মনে করছে অবস্থা অপরিবর্তিত। ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করছে দূর্নীতি আগের সরকারের তুলনায় বেড়েছে। ৪৩ মনে করছে গুম ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, রাজনৈতিক কর্মী, শ্রম অধিকার কর্মী ও সাংবাদিক সংখ্যা বেড়েছে একইসাথে ৩৪ শতাংশ তা মনে করছে না। কিন্তু ৬৩ শতাংশ জনসাধারণ উন্নত বিদ্যুৎ সরবাহে খুশি, ৮০ শতাংশ মতে প্রয়োজনীয় সার ও ডিজেল সরবাহ পর্যাপ্ত। আবার ৪৪ শতাংশ বিশ্বাস করছে কৃষি কর্মকান্ড বেড়েছে যার বিপরীতে ১৬ শতাংশই না সূচক উত্তর দিয়েছে।

মজার ব্যাপার হল, ৩৫ শতাংশ ভোটার দ্বিমেরু রাজনৈতিক পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে এসে তৃতীয় কোন শক্তি খুঁজেছে।

দ্যা ডেইলী ষ্টার ও এশিয়া ফাউন্ডেশান ১৪ টি জেলায় ১৪০০ মানুষের ওপর এ বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে জরিপ টি পরিচালনা করে। ( অনুবাদ ও অনুলিখনঃ লাল সূর্য )

বাংলাদেশের মানুষের বিদ্যুৎ, কৃষি, পাবলিক পরিষেবা বিতরণ , আইন শৃঙ্খলা ও বিবিধ বিষয়ে সরকারের প্রতি আস্থা যদি থেকেই থাকে তবে কেন মানুষ অন্য দিকে পা বাড়াতে চাইবে। জরিপ মোতাবেক মানুষ যদি দেখে থাকে দেশ সঠিক পথে চলছে কেন বিকল্প খোঁজা প্রয়োজন আমার মাথাই আসছেনা।

Since Bangladesh achieved independence after 42 years later it becomes mature but still to struggle in world economy as low income country to feed its people while Malaysia becomes role model for others because of its steady governance lead by Mahathir Mohamad.

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ কে কম ঝক্কি ঝামেলা পোহাইতে হয় নাই- বঙ্গবন্ধু হত্যা, আর্মি কুপ, স্বৈরশাষন এর পর গণতন্ত্রের প্রকৃত রুপ লাভ আবার ফখরুদ্দিন –মইনউদ্দিন শেষ পর্যন্ত আবার গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা আওয়ামীলিগ ক্ষমতায়। মাহাথির মোহাম্মদ টানা ২২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন বলেই তো মালেশিয়া এতো উন্নত হতে পেরেছে। আমাদের দেশের জনগনের উচিত এক সরকারকে কমপক্ষে পরপর দুবার সু্যোগ দেওয়া জাতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডকে নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য। কারন ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে এক সরকারের হাতে নেওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো আর সফলতার মুখ দেখেনা অন্য সরকারের আমলে। শুরু হয় নামের পালা বদল সহ রীতি নীতির বৈপরীত্য জাতীয় উন্নয়ন কে সব দিক দিয়ে বাধাগ্রস্থ করে, যা সতিই দুঃখজনক। তাই ভালো কিছুই যদি হয়েই থাকে, সঠিক পথেই যদি আমরা চলে থাকি পরিবর্তনের আর কি দরকার!!! অন্তত নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়নের স্বার্থে।

না আমরা সেই জাতি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর নতুন কাউকে ক্ষমতায় দেখার বাতিক আছে আমাদের সে যতই ভালো কিছু করুক, তাহলে কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছি।

The article link:

Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায়.............তাইতো সরকারের মাথা পুরাই খারাপ।

এতো চিপাচিপির পরও এই পরিসংখ্যান। মাঠ পর্যায়ে সিটি হোয়াইট ওয়াশ!!!!

কিন্তু জনমতকে অশ্রদ্ধা করে কৌশল কতদিন কার্যকর থাকবে?

জনমতকে অশ্রদ্ধ করাই কি স্বৈরাচারী নয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.