নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হলেম ক্যাকটাস মানব, আর অভিযোগহীনতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাবার চেষ্টায় আছি FB: Nazmul Hasan Nero

The Man of No Complain! - http://nhnero.info

› বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিলাম - ১

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯


বিজ্ঞান বইয়ে থার্মোমিটার পড়িতেছিলাম। আরে ইহা তো আমার বাড়িতেই রহিয়াছে। ছুটিয়া গিয়া তাহা নিয়া আসিয়া বাপজানের নকল করিয়া আগে লেজ ধরিয়া কয়ডা ঝাঁকি মারিলাম, মুখের মধ্যে কতক্ষণ পুরিয়া রাখিলাম, তারপর সেটাকে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে ধরিয়া/কাত করিয়া/চিৎ করিয়া যে ক্ষণে তাপমাত্রা বাহির করিতে পারিলাম তখন আমার "আলন্দ" দ্যাখে ক্যাঠায়।
ক্রমে শুরু হইল আমার একের পর এক তাপমাত্রা মাপন প্রক্রিয়া।
মুখের মধ্যে রাখিয়া একবার। বগলে রাখিয়া একবার। এবং বিভিন্ন অন্ত:অঙ্গেরও তাপমাত্রা পরিমাপ শেষে যখন দেখা গেল শরীরের আর কোন অংশই বাদ নাই তখন ভাবিলাম তাহলে আগুনের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যাক এক্ষণে।
ছুটিয়া গেলাম রান্নাঘরে। দেখিলাম চুলা জ্বলিতেছে না, আগুন নাই; তবে একখানা বালতিতে গ্যাভ্রকে(গাভী) খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ভাতের মাড় ভর্তি করা আছে এবং সেখান হইতে ধোঁয়া উঠিতেছে, বুঝিলাম যথেষ্ট গরম হইবেক, ইহারই তাপমাত্রা মাপা যাক এক্ষণে।
ডুবিয়ে দিলাম থার্মোমিটার সেখানে। এক সেকেন্ড হয়েছে কি হয় নি অতিশয় সূক্ষ্ণ একটা ঝাঁকুনিমূলক অনুভূতি হল আঙ্গুলের ডগায়। থার্মোমিটার উঠিয়ে দেখি হায় হায়............ হেতের মাথা কনে.... মাথা নাই থার্মোমিটারের, তাপের চোটে ফাটিয়া পড়িয়া গিয়াছে।
বাপে আমার যে পরিমান প্যাদায়....! এইটা জানিতে পারিলে নিশ্চিত কপালে খারাবী আছে। তবে আশার কথা হইল বাসা মে কই নেহি হে।
সুরসুর করিয়া গিয়া ভালো মানুষের মত ওই ভাঙ্গাটাই প্যাকেটে পুরিয়া যথাস্থানে রাখিয়া দিয়া ভাগিলাম।
পর দিন সকাল বেলা দোতলায় জানালার কাছে বসিয়া পড়িতেছি। এই নিচ হইতে ব্যাঘ্রসম ফ্রিকোয়েন্সীতে বাপজানের চিল্লানি কানে আসিল।
"থার্মোমিটারের এই মাথাডি ভাঙ্গছে ক্যাঠায়.................."
আমি ভালো মানুষের মত পড়িতে শুরু করিলাম।
গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন, গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন(জোরে), গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন(আরো জোরে)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


"গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন, গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন(জোরে), গ্রীক দার্শনিক এ্যারিষ্টোটল বলেছেন(আরো জোরে) "

-বুঝলাম অবস্হা খারাপ।

এখন কি হচ্ছে?

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বলেছেন: পরের ঘটনাগুলো আরো অবস্থা খারাপ রে ভাই... :D

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১২

কালীদাস বলেছেন: হা হা :) সেইম কাজ তো মনে হয় আমিও করেছিলাম ছোট থাকতে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

বলেছেন: শেয়ার করেন না ভাই আমাদের সাথে....

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০

এই আমি রবীন বলেছেন: ভাইডি, বাফে জানে ওনার বিজ্ঞানী ফোলা (ছেলে) এ্যারিষ্টোটল ছাড়িয়া 'বলগ' ধরিয়াছে?

৩ খানা রচনাই উত্তম হইয়াছে । পেলাস দিলাম।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৮

বলেছেন: ভাইডি বাফজানে বলগ তো দূরের কথা সবে মাত্র ফেসবুক ইমো বোঝা শুরু করছে ভাই। বলগ বুঝতে আরো দেরি হইবে রে ভাইডি। পেলাসের লাইগ্যা ভেরি ধইন্নাপাতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.