![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিধাতা তোমার দয়ার আশায় ই প্রতিটি দীর্ঘশ্বাসের শেষে নতুন স্বপ্ন বুনি।
এই প্রমত্তা নদীটাকে বুকের মাঝে কিভাবে যে লুকিয়ে রাখি! হৃদয়ের দুকূলে উচ্ছ্বসিত ঢেউগুলোর অবিরাম আছড়ে পড়া। এ এক মধুর পীড়ন !
পৃথিবীর সবচেয়ে ক্লান্তিকর মানসিক কাজ নাকি অপেক্ষা করা?
আমার উপলব্ধিতে তো সেই ক্লান্তিটা একেবারে অদৃশ্য।
একে যদি বলি আসক্তি, ভুল নেয়। যদি বলি উন্মাদনা অশুদ্ধ হবে না।
যদি বলি ছেলেমানুষী,
-আশ্চর্য!! মনের বয়স কি বছর গুণে বাড়ে?
যেদিন জাপানের হিরোশিমাতে এটোম বোমার বিস্ফোরণ হয়। ঠিক তার ৬৫ বছর পর একই দিনে আমার হৃদয়েও একটা এটোম বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। আমার পৃথিবী বদলে যায়। একটা অপেক্ষার জপমালা আমার হাতে এসে পড়ে। আর আমি জপতে থাকি এক একটা অপেক্ষার প্রহর। অনন্ত অপেক্ষা, বহু বর্ণের অপেক্ষা।
ও অনেক ভেবেছে। অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে। তারপর এসেছে।
আমিও অনেক সয়েছি। বুকের ভেতর নিভৃত পাথরে খোদাই করেছি কখনো বর্ণিল, কখনো সাদাকালো স্মৃতি।
আমরা অনেক অপেক্ষা করেছি।
তারপর,
ভোরের রবি উদার হাতে আমাদের শরীরে যখন কিরণ ছিটিয়ে দেয়। আমরা আড়মোড়া ভাঙ্গি। মহৎ মাধুর্যময় একটা ছন্দ ওঠে, আমাদের ঘরে।
আমি ওকে বলি, “শোনো”
ও উত্তর দেয় “বলো”
আমি চেয়ে থাকি নিশ্চুপ, কিছু কথা বলব বলে। ও চেয়ে থাকে নিশ্চুপ, কিছু কথা শুনবে বলে।
পার্থিব ব্যস্ততায়, রৌদ্রের প্রখরতায় কিভাবে যেন সেই ছন্দের পতন হয়। অপার্থিব সম্পদ টুকু হাত ফসকে চলে যায়।
তারপর আমি অপেক্ষা করি। আমরা অপেক্ষা করি। নাগরিক কোলাহলে ছন্দটা দূরে চলে যায়! দূর থেকে বহুদূর!
আমাদের ঘরে, অলস দুপুরে, ভ্রমর আসে। মোহনীয়, মাতাল করা সুর তোলে। গুনগুন গুনগুন।
আমি ওকে বলি, “শোনো”
ও উত্তর দেয় “বলো”
সাংসারিকতায়, সামাজিকতায় সেই সুর কেটে যায়। ভ্রমর সভয়ে লুকিয়ে ফেলে প্রেম বিতরণী সুকোমল ডানা। ভ্রমরটাকে আর দেখি না।
তারপর আমি অপেক্ষা করি। আমরা অপেক্ষা করি সুর জোড়াবার। অনন্ত অপেক্ষা।
শুক্লা পক্ষের রাতে জানলার গরাদ বেয়ে জ্যোৎস্না নামে, আমাদের ঘরে। জ্যোৎস্নার ধমনী থেকে রূপালী কনিকাগুলো মর্মমূলে তীব্র ঢেউ তোলে। মুগ্ধতায় মুখর এক রঙিন পানসী ভাসিয়ে দেয় আমরা। মোহাবিষ্ট পালে হাওয়া দেয় সোনালী সময়।
বৈষয়িক সাফল্য ব্যর্থতা, স্বার্থোদ্বারের নানান কথকতার কর্কশ হস্তক্ষেপে হঠাৎ মোহভঙ্গ হয়। পাল ছিড়ে যায়। পানসী হারিয়ে যায় দূরে ।দূর থেকে বহুদূরে।
আমাদের মাঝখানে নিষ্পাপ, নিস্পন্দ একটা শূণ্যতা আসে।
এপার থেকে আমি ওকে বলি, “শোনো”
ওপার থেকে, ও উত্তর দেয় “বলো”
আমাদের কিছু বলা হয় না। কিভহু শোনা হয় না।
আমি সেই শূন্যতা পেরুতে চাই। আমরা সেই শূন্যতা পেরুতে চাই।
আমরা অপেক্ষা করি শূন্যতা পেরুবার। অপেক্ষা করি রঙিন পানসী ভাসাবার।
অনন্ত অপেক্ষা, বহু বর্ণের অপেক্ষা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
ক্লে ডল বলেছেন: সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর।
২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ক্লে ডল,
আমি এবং আমরা নিয়ত প্রতীক্ষায় থাকি কিছু একটার। বৈষয়িক বিষয়-আসয়গুলো মাঝপথে কখন যে ঢুকে পড়ে সব শূণ্য করে দিয়ে যায়, প্রতীক্ষার নাওখানি ভেসে যায় কোন সুদূরে! তবুও আবার নতুন করে প্রতীক্ষার পানসিখানি ভাসাতে ইচ্ছে জাগে................
খুব সুন্দর হয়েছে লেখা। জোছনার মতো নরম -কোমল।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:৫৩
ক্লে ডল বলেছেন: ঝরা পাতার সাথে বাসনা ঝরিয়ে ঝরিয়ে নির্বাক বট হয়ে অপেক্ষা করা। দাঁড়িয়ে থাকা। আপেক্ষা আর আপেক্ষা করা.......
আপনার দখিন হাওয়া মন্তব্যখানি আমার ব্লগবাড়ি পার হয়ে, মনেও দোলা দিয়ে গেল!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা নিন।
৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪২
অন্তরা রহমান বলেছেন: আহ। এরকম কবিতা পড়েও সুখ। অনিন্দ্য সুন্দর প্রকাশ৷ বিমুগ্ধ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭
ক্লে ডল বলেছেন: আমার কোন লেখায় বোধ হয় আপনাকে এই প্রথম পেলাম! আমার ব্লগে স্বাগতম অন্তরা রহমান।
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা সহকারে ধন্যবাদ জানবেন।
৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৭
মাহের ইসলাম বলেছেন: অপেক্ষা শেষ হবে কবে ?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১
ক্লে ডল বলেছেন: তা তো জানি না, কবে শেষ হবে।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এত সুন্দর! এত সুন্দর করে কথাগুলো লিখেছেন! মুগ্ধ, অভিভূত!
এত সুন্দর একটা লেখায় মাত্র চারটে মন্তব্য? মাত্র একটি 'লাইক'! বড্ডো অসময়ে এসেছিল এ লেখা, যখন ব্লগের দুয়ার ছিল বন্ধ, প্রায় সকলের জন্য। এখন সে বদ্ধ দুয়ার খুলে গেছে। আমি চাই, আরো অনেক বেশী পাঠক এ লেখাটা পড়ুক।
লেখার সাথে ছবিটাও এত সুন্দর মিলে গেছে!!!
শোনো, আর বলো.... কিন্তু শোনা বা বলা, কিছুই হয় না। মাঝখানে থাকে শুধুই অন্তহীন অপেক্ষা.... চমৎকার!
মোহাবিষ্ট পালে হাওয়া দেয় সোনালী সময়!
ভাবনাটার প্রকাশ কত কারুকার্যময়!
প্লাস ++++
০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৪২
ক্লে ডল বলেছেন: কেউ একজন যে এতদিন পর লেখাটি পড়েছে। তাঁর কাছে সুন্দরও লেগেছে। আবার লাইক দিয়েছে! তাতেই লেখা সার্থক!
আপনার মন্তব্যে খুব অনুপ্রাণিত হই!
ভাল আছেন আশা করি?
৬| ০৫ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট আর দিবেন না, নাকি?
০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
ক্লে ডল বলেছেন: সামুতো ভীষণ ভাল লাগার এক জায়গা! ভালো লাগে, ভালবাসি তাই আসি। আর আসলে কখনো না কখনো তো পোস্ট দেওয়া হবেই
ভালো আছেন আশা করি?
৭| ২০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩১
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: অনেকদিন বাদে ব্লগে আসলেন। কেমন আছেন?
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৩
ক্লে ডল বলেছেন: হ্যাঁ অনেকদিন বাদেই! সামুর মায়ায় তবু আসতে হয়।
ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আপনিও ভালো আছেন আশা করি।
৮| ২০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আর লিখছেন না?
০৪ ঠা জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:৫৭
ক্লে ডল বলেছেন: আপনার মত মানুষেরা সামুতে আছেন বলেই এখানে মায়া পড়ে গেছে!! ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি ব্যস্ত হয়ে ওঠায় লেখালেখিতে সময় কম দিতে পারছি না!
আপনি কেমন আছেন?
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। জিজ্ঞাসার জন্য ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে পুনরায় আপনার প্রত্যাবর্তন দেখতে চাই। নতুন নতুন লেখা পড়ে আপনার সাম্প্রতিক ভাবনাগুলোর সাথে পরিচিত হতে চাই। সম্ভব হলে পুনরায় লিখুন, এবং তা এখানে প্রকাশ করুন।
১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
রঙিন পানসীর মতো ক্লে ডল হারিয়ে গেছে!
আবার কবে এমন লেখা পাবো?
লেখায় অনেক মুগ্ধতা!!!
যতক্ষণ পড়ছিলাম, মোহাবিষ্ট হয়েছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: নিজের সবটূকু আবেগ লেখায় ঢেলে দিয়েছেন।