![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরনো লেখা আবারো লিখলাম...গতকাল নারিন্দার সাবেক বাসিন্দা Tasvirul Islam-এর সঙ্গে ছাদ নিয়ে আহ্ উহ্ টাইপ আফসোস করতে গিয়েই মনে পড়লো মূল্যবান স্ট্যাটাসখানার কথা...
" বিকেলে ছাদে উঠার রেওয়াজটা বোধহয় এখন আর নেই...অথচ একটা সময় ছিলো যখন বাড়ির ছাদটাই ছিলো শহুরে বাঙালির অবিচ্ছেদ্য অংশ...বিকেলের প্রেম, সেই প্রেমের পরিনতি বিয়ের অনুষ্ঠান, সেই বিয়ের পরিনতি প্রথম সন্তানের আকিকা, সুন্নতে খাতনা, জন্মদিন সবকিছুরই একটাই গন্তব্যস্থল, বাড়ির ছাদটা...বিকেলে মেয়েরা ছাদে উঠবে না এতো হতেই পারে না...বড়ো আপুরা ছাদে উঠেছে পাশের বাড়ির বড়ো ভাইরা ছাদে উঠিবে না এটাও অসম্ভব...
ছাদ থেকে ছাদে দেখা...সেই দেখাদেখির মাঝেই প্রেম...ছাদ টু ছাদ কথা...ছাদ থেকে ছাদে ইশারায় ভাব-বিনিময়, চিঠি ছোড়াছুড়ি, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে উথাল পাথাল প্রেম...কপাল আরো ভালো হলে ছাদ একতলা নেমে বাড়ি থকে বাড়িতে প্রস্তাব পাঠানো এবং বিয়ে...আর বিয়ের অনুষ্ঠানটাও বাড়ির ছাদে প্যাণ্ডেল টানিয়ে...বিয়ের পর প্রথম সন্তানের জন্মদিনের অনুষ্ঠানও সেই ছাদেই...
গোধূলির কণে দেখা আলোয় খোলা চুলের দারুণ সুন্দরী তানিয়া বা উর্মিরা এখন আর ছাদে উঠে না...ছাদ সংষ্কৃতির একেবারে শেষদিকে বাড়ির মালিকরা ভীষন কড়া নিয়ম করলেন ভাড়াটিয়ারা ছাদে যেতে পারবে না...স্বৈরাচারী সেইসব বাড়িওয়ালাদের নিয়ে সে সময় অভিযোগের অন্ত ছিলো না...
তখন তো শীতকালে এখনকার মতো পিকনিকের সুযোগ মিলতো না সবার, তাই বাড়ির সব আপু আর ভাবীরা মিলে ডিসেম্বর মাস এলেই একটা দিন ছাদে ঝোলাভাতির আয়োজন করতেন...পুরুষ বিবর্জিত সেইসব পিকনিকে শুধু বাড়ির পিচ্চিপাচ্চিদের প্রবেশাধিকার ছিলো...ছাদ নিয়ে লিখতে গেলে মহাকাব্য হয়ে যাবে...তারচেয়ে যারা খুব গুছিয়ে লিখতে পারেন তাদের কেউ একটা বই লিখে ফেলুন ‘ছাদের সেই দিনগুলি’ নামে...
ওহ আজ হাতির ঝিল দিয়ে আসার সময় দেখলাম দোতলা বাড়ির একটি ছাদে দুই তরুণী হাঁটাহাটি করছেন...তাদের অনেক ধন্যবাদ, ছাদ নিয়ে আমার শৈশবের অনেকগুলো স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য....
©somewhere in net ltd.